চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দলটি ১২৫ আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে বাঁশখালী আসনে মীর আরশাদুল হকের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে মীর আরশাদুল হকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতা ইমন সৈয়দসহ আরও কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। অবশেষে বুধবার ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এলাকায় নতুন রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত হয়।
মীর আরশাদুল হক দক্ষিণ বাঁশখালীর নাপোড়া গ্রামের মীরপাড়ার মীর মজিবুল হকের ছেলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। পরে এনসিপি গঠিত হলে তিনি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান।
মনোনয়ন ঘোষণার পর এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তাঁর ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যা তিনি নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে শেয়ার করেন। সেখানে লিখেন, ‘এনসিপি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, কিন্তু বটের আক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়নি! দেখা যাক, কী হয়…।’
তিনি আরও লেখেন, রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংস্কৃতি পরিবর্তন ছাড়া একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। সেই পরিবর্তনের পথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইন আক্রমণ নিয়ে একজন মনোনীত প্রার্থীর এমন সরাসরি মন্তব্য সাম্প্রতিক রাজনীতিতে নতুন ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সময়ের কন্ঠস্বর প্রতিবেদককে বলেন, “এই নিউজ করার জন্য কি আপনাকে অফিস থেকে অ্যাসাইনমেন্ট হয়েছে? আমিও সাংবাদিকতা নিয়ে পড়েছি। আপনাদের আরও ক্লাস করতে হবে। ভালো হয়ে যান বেলাল ভাই।”
‘বট বাহিনী’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আপনি গুগলে সার্চ করুন, ওখানেই পেয়ে যাবেন।”
কিছুক্ষণ পর তিনি চ্যাটজিপিটির একটি স্ক্রিনশটও প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান, যেখানে ‘বট বাহিনী’ সম্পর্কে তাঁর সার্চ এবং প্রাপ্ত উত্তরের অংশ দেখা যায়।
মীর আরশাদুল হকের এই বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বর্তমানে বাঁশখালীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা চলছে।
এসএম