কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুকের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শহরের একটি হোটেল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় হাইকমান্ডের কাছ এ দাবি জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা জানন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময়ে তাড়াইল-করিমগঞ্জে তিনি নিজে বিভিন্ন ইউনিয়নে দোয়া মাহফিল করে আসছেন। তিনি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
তিনি আরও জানান, ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দুই দফায় ২৭৩টি আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের নাম ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নিজের রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ইতিহাস উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা দাবি করেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি দলের দুর্দিনে কাজ করে এসেছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বারবার নির্যাতন-কারাবরণের শিকার হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বয়সজনিত কারণে ৮৭ বছর বয়সী ড. এম ওসমান ফারুক শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপযোগী নন। ফলে এই আসনে বিএনপি পরাজয়ের ঝুঁকিতে আছে বলে তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি জানান, স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত ও জনআকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে তার (এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা) নামই যেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি’র চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দলূ হাইকমান্ডের প্রতি তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
ইখা