জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে দেশটির সরকার। বার্লিনের দাবি, শুধু অবকাঠামোয় হামলাই নয়—নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করেছে মস্কো। এ অভিযোগে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে জার্মানি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’ বলে কঠোর বার্তা দিয়েছে দেশটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ২০২৪ সালের আগস্টে সংঘটিত আলোচিত সাইবার হামলায় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তারা। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জার্মানির সাংবিধানিক নির্বাচনকে প্রভাবিত করা এবং দেশটির ভেতরে অস্থিরতা তৈরি করাও ছিল ওই তৎপরতার অংশ।
তবে জার্মান সরকারের এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সম্ভাব্য সাইবার তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘স্টর্ম ১৫১৬’ নামে একটি অপতথ্য ছড়ানোর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জার্মানির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচন ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হয়। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিলেন গ্রিন পার্টির শীর্ষ নেতা রবার্ট হাবেক এবং বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তৈরি করা কিছু ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করে। এসব ভিডিওকে রাশিয়ার পরিকল্পিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।