হিমালয়ের নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে জেলার জনজীবনে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ। এর আগের দিন তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাতের তাপমাত্রা কমলেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড় ও আশপাশের জেলাগুলোতে কয়েক দিন ধরে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সকাল ৮টার আগেই রোদ উঠছে নিয়মিত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তাপে উষ্ণতা ছড়ালেও ভোর ও রাতে ঠান্ডা এখনো বিরাজ করছে।
এদিকে, গত দুই দিন ধরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও আশপাশের এলাকা থেকে হিমালয়ের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। পরিষ্কার আকাশে দূর থেকে সাদা বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ছে। শীত মৌসুমে এমন দৃশ্য দেখা মিললেও পরিষ্কার আবহাওয়ার কারণে এবার তা আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় গত পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
এসআর