কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং মৌজার ইছাছড়ি গ্রামে সরকারি খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আবু ছালেক, মুরাদ সওদাগর, শহীদুল ইসলাম খোকনসহ একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সরকারি ভূমি রেকর্ড অনুযায়ী জমিটি সম্পূর্ণভাবে ১নং খতিয়ানভুক্ত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের নামে নথিভুক্ত।
ভূমি অফিস সূত্র ও রেকর্ড পর্যালোচনায় জানা যায়, হারবাং মৌজার ইছাছড়ি গ্রামের সিট নং–১২, বি.এস দাগ নং–১৬৭৩৪-এর সম্পূর্ণ অংশই সরকারি খাস জমি। সংশ্লিষ্ট দাগে কোনো ব্যক্তি মালিকানার রেকর্ড নেই। অথচ বাস্তবে ওই দাগে সীমানা প্রাচীর, স্থাপনা ও দখলচিহ্ন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি জমির ওপর গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো কোনো অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, খাস জমি দখল করে সেটিকে ব্যক্তি মালিকানার মতো ব্যবহার করা হলেও সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্তৃপক্ষ এখনো উচ্ছেদ বা স্থাপনা অপসারণে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, খাস জমিটি দীর্ঘদিন অনাবাদি থাকায় পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালীরা ধীরে ধীরে দখল শুরু করে। বর্তমানে তারা পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমির সঙ্গে সরকারি জমি একীভূত করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে হারবাং ভূমি অফিসের তহসিলদার সাইফুল ইসলাম বলেন, বি.এস দাগ নং ১৬৭৩৪ খাস জমি। তবে কতটুকু খাস, তা নির্ধারণে সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করা প্রয়োজন।
তবে ভূমি বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের মতে, একটি দাগ যখন সম্পূর্ণভাবে ১নং খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত, তখন ‘কতটুকু খাস’ এমন বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার শামিল। নিয়ম অনুযায়ী, খাস জমিতে কোনো অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হলেই তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ ও জমি উদ্ধারের বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, হারবাং ইছাছড়ি এলাকায় সরকারি খাস জমি জবরদখলের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে রেকর্ডপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর