ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় অবৈধভাবে সার মজুত করার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৩৩০ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় রাজাগাঁও ইউনিয়নের সার ডিলার ও রুহিয়া থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত থেকেই গোডাউন দুটি প্রশাসনের নজরদারিতে রাখা হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতা ও রুহিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হকের নেতৃত্বে রুহিয়া চৌরাস্তা এলাকার লতিফ মার্কেটের দুটি গোডাউনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল কোর্টে তল্লাশি চালিয়ে একটি গোডাউন থেকে ৫৫ বস্তা টিএসপি এবং অন্যটি থেকে ২৭৫ বস্তা এমওপি সার উদ্ধার করা হয়। তদন্তে দেখা যায়, সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই এসব সার মজুত করা হয়েছিল।
আদালত ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইন এবং সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬-এর ১২(১) ও ১২(৩) ধারায় জিয়াউর রহমান জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে জব্দ করা সার ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি নির্ধারিত অর্থনৈতিক কোডে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হক বলেন, “সার নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম বা কালোবাজারি বরদাশত করা হবে না। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”
স্থানীয় কৃষকেরা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের আশা, নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে সার নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও কালোবাজারি বন্ধ হবে।
এসএম