ইসরায়েল আগামী বছর ফিজিতে একটি নতুন দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এ ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার তার এক পোস্টে জানান, ‘ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিতেনি রাবুকার সঙ্গে কথা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে ফিজিতে একটি ইসরায়েলি দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।’
এটি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি সাধন করবে এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপস্থিতি শক্তিশালী করবে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, ফিজিতে ইসরায়েলের দূতাবাস খোলার মাধ্যমে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইসরায়েলের বন্ধুত্বপূর্ণ উপস্থিতি জোরদার হবে।
সেপ্টেম্বরে ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিতেনি রাবুকা জেরুজালেমে ফিজির মিশন উদ্বোধন করেন। জেরুজালেমের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে বেশিরভাগ দেশ তাদের দূতাবাস তেল আবিবে স্থাপন করে, কারণ এটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একটি গুরুতর বিষয়।
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে এবং এটি তার অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে দাবি করে।
তবে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়। ২০১৭ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন, যা বিশ্বব্যাপী বিতর্কের সৃষ্টি করে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করে এবং এর পর গুয়াতেমালা এই একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাপুয়া নিউ গিনি একমাত্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ হিসেবে জেরুজালেমে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেয়।
সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া
এবি