চলমান অ্যাশেজে পার্থ ও ব্রিসবেন টেস্টে হেরে আগেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেড টেস্ট ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প তাদের কাছে ছিল না। তবে এ টেস্টেও হারের শঙ্কায় রয়েছে ইংলিশরা।
অ্যাডিলেড ওভালে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের রান ৬ উইকেটে ২০৭। জয়ের জন্য শেষ দিনে এখনো প্রয়োজন ২২৮ রান, হাতে মাত্র চার উইকেট।
বাস্তবতার বিচারে লক্ষ্যটা কঠিনই নয়, প্রায় অসম্ভব। তবু আগের ম্যাচগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এখানেই ইংল্যান্ডের প্রাপ্তি এই যে, ম্যাচে তারা অন্তত শেষ দিন পর্যন্ত টিকে আছে।
চতুর্থ দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ছিল বেশ শক্ত অবস্থানে। ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকরা আগের দিনের অপরাজিত জুটি ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স কেরি ব্যাটে লিড আরও বাড়ায়। হেড খেলেন চোখধাঁধানো এক ইনিংস। ১৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৭০ রান করে তিনি যখন আউট হন, ম্যাচ তখন পুরোপুরি অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে। কেরি দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭২ রান যোগ করেন। তবে শেষের দিকের ব্যাটাররা বড় অবদান রাখতে না পারায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৩৪৯ রানে।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে জশ টাং ছিলেন সবচেয়ে সফল, নেন ৪ উইকেট। ব্রাইডন কারস যোগ করেন ৩টি। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আশানুরূপ শুরু করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন বেন ডাকেট, কিছুক্ষণ পর অলি পোপও আউট হন প্যাট কামিন্সের বলে। এরপর জ্যাক ক্রলি ও জো রুট মিলে কিছুটা স্বস্তি ফেরান। তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডের ইনিংসে স্থিরতা আসে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কামিন্স নতুন স্পেলে ফিরে এসে আবারও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ৩৯ রান করা রুট ‘কট বিহাইন্ডের’ ফাদে পড়েন। এরপর হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে ক্রলি লড়াই চালিয়ে যান। ১০২ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার।
ঠিক তখনই অভিজ্ঞ নাথান লায়নের আঘাত। শুরুতে কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও পরের পাঁচ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। ব্রুক বোল্ড হন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। এরপর দুর্দান্ত এক অফ স্পিনে বেন স্টোকসের অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন লায়ন। শেষ পর্যন্ত ক্রলিকেও স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি, কেয়ারির ক্ষিপ্রতায় ১৫১ বলে ৮৫ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
দিনের শেষ ভাগে জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস উইকেট না হারিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিনে ইংল্যান্ডের সামনে এখন অলৌকিক কিছুর অপেক্ষা। আর অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ, আরেকটি টেস্ট জিতেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে অ্যাশেজ নিশ্চিত করার।
আরডি