সিরিয়ার পালমিরায় মার্কিন সেনাদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর বড় ধরনের সামরিক অভিযানে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ঘাঁটি ও সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে একযোগে বিমান ও স্থলভিত্তিক হামলা চালানো হচ্ছে। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিচ্ছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে ‘অপারেশন হক–আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আইএসের অস্ত্রাগার, কমান্ড সেন্টার ও লজিস্টিক স্থাপনাসহ ৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।
অভিযানে ফাইটার জেট, আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার ও ভারী গোলন্দাজ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। একাধিক ধাপে শতাধিক নির্ভুল অস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সেন্টকম।
এসব হামলায় এখন পূর্ব সিরিয়ার দেইর আজ-জোর এলাকায় আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস
নিহতদের মধ্যে একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা রয়েছেন, যিনি ওই অঞ্চলে ড্রোন কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এই অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার জবাব কঠোরভাবেই দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, যারা আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করবে, তাদের বিরুদ্ধে আপসের কোনো সুযোগ নেই। সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণ সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও অভিযানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বলেন, এটি কোনো নতুন যুদ্ধের সূচনা নয়, বরং একটি কঠোর প্রতিশোধমূলক বার্তা। তাঁর মতে, বিশ্বের যেখানেই মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো হবে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় আইএসের এক অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। এঘটনায় আহত হন আরও তিন সেনা। বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এটিই ছিল সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
আরডি