অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এক কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় ৩ দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসম্বের) রাতে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো, উপজেলার পূর্নিমাগাতি ইউনিয়নের ঘিয়ালা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই একই উপজেলার মধ্যবড়হর গ্রামের মোন্নাফ প্রামানিক ও মোন্নাফের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন।
নিখোঁজ রাকিব হোসেন স্বাধীন (২৩) উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ইসলামপুর ভুতগাছা গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ফিরোজের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া থানার এস.আই সুমন মাহমুদ বলেন, ‘দালাল আবুল কালাম আজাদ কলেজ শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন স্বাাধীনকে ইতালী পাঠানোর জন্য তার পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ২৫ লাখ টাকা নেয়। এরপর চলতি বছরের ২২ মে স্বাধীণ বিমানবন্দন থেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তাকে প্রথমে ভারতের চেন্নাই, এরপর পর্যায়ক্রমে দুবাই, শ্রীলংকা, মিশর ও সর্বশেষ লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝে ছেলে স্বাধীন আটক হয়েছে এবং কারাগারে আছে এমন কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে দু’দফায় আরো ১০ লাখ নেয় দালাল কালাম। এ অবস্থায় ১২ নভেম্বর ১২২জনকে একটি ট্রলারে করে লিবিয়ার উপকুল থেকে ভূমধ্যসাগর পথে ট্রলারে ইতালি পাঠানোর চেষ্টা করেন দালালরা। স্বজনদের দাবী কিছুদুর যাওয়ার পর ট্রলারটি আংশিক ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা স্বাধীনসহ ৯৭জনকে মারধরের পর হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন দালালরা। বিষয়টি জানার পর স্বজনরা শনিবার বিকেলে দালাল কালামকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। এরপর রাতেই নিখোঁজ স্বাধীনের বাবা বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মোন্নাফ প্রমানিক ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ইখা