এইমাত্র
  • দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
  • যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সারজিও গোরকে প্রধান উপদেষ্টা
  • ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য কুমির-ঘেরা কারাগার বানাবে ইসরাইল
  • এবার নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিলেন হুদা
  • গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর
  • ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন
  • যাত্রা শুরু করলো ভোটের গাড়ি 'সুপার ক্যারাভান'
  • খুলনার উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির ‘খনির’ সন্ধান
  • খুলনায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতা শঙ্কামুক্ত
  • বোমা হামলায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেল নিহত
  • আজ মঙ্গলবার, ৮ পৌষ, ১৪৩২ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টেকা নদীর ভাঙা কাঠের সাঁকোতে জনদুর্ভোগ

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ পিএম

    টেকা নদীর ভাঙা কাঠের সাঁকোতে জনদুর্ভোগ

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ পিএম

    যশোরের অভয়নগরে টেকা নদীর ওপর নির্মাণ করা বিকল্প কাঠের সাঁকো ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নড়বড়ে হয়ে পড়া সাঁকোটি গত সপ্তাহে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে গেলে যাতায়াত কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দৈনন্দিন কার্যক্রমে মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, সাঁকো ভেঙে পড়ায় উপায়ান্তর না পেয়ে অনেক মানুষ নৌকায় করে নদী পার হচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীরা বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

    অভয়নগরের বারান্দী ও দিঘলিয়া গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী মণিরামপুর টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। সাঁকো ভেঙে পড়ায় তারা এখন বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। নওয়াপাড়া-মণিরামপুর সড়ক ব্যবহার করে দুই উপজেলার অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের মানুষ নিয়মিত এই কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন। জরুরি রোগীদের হাসপাতালেও পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

    পায়রা বাজার এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক সোলাইমান হোসেন বলেন, “এই সাঁকো দিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় এখন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজে যাওয়া প্রায় বন্ধ। মানুষ বাধ্য হয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছে।”

    বারান্দী গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক রায়হান উদ্দিন জানান, “অসুস্থ স্ত্রীকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ি। পরে বাধ্য হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়েছে।”

    পায়রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, “একমাত্র সংযোগ সেতুটি ভেঙে পড়ায় কর্মজীবী মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়েছে। প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে।”

    অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ সালাউদ্দিন দিপু জানান, “জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সাঁকো সংস্কারের জন্য প্রকল্প থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টেকা নদীর ওপর ৭ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০৭ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে সেতুর প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও আইনি জটিলতার কারণে চার বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য বিকল্প কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…