দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। পরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সড়ক ও মাঠঘাটে দৃষ্টিসীমা ব্যাপকভাবে কমে যায়। এতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। সেদিনও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি।
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
হাড়িভাসা এলাকার অটোরিকশাচালক সোহাগ ইসলাম বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকভাবে দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
এ বিষয়ে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্প বা কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সূর্যের আলোর প্রখরতা কম থাকবে। আগামী দু–তিন দিন দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত বা সামান্য ওঠানামা করতে পারে। বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।’
এনআই