এইমাত্র
  • গুম-নির্যাতন: শেখ হাসিনা-সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু
  • একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ প্রকল্প অনুমোদন
  • সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ
  • তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আসতে ১০ রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
  • নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অতীত দুর্নাম ঘোচাতে চায় কমিশন: সিইসি
  • ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
  • স্বর্ণের সঙ্গে বেড়েছে রুপার দামও
  • গ্রিনল্যান্ড আমাদের হতেই হবে: ট্রাম্প
  • ভোটে আর্থিক সাহায্য চেয়ে জারার পোস্ট, ৭ ঘণ্টায় পেলেন ১২ লাখ টাকা
  • টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতন: শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
  • আজ মঙ্গলবার, ৯ পৌষ, ১৪৩২ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    রাজনীতি

    খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট জাইমা রহমানের

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

    খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট জাইমা রহমানের

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

    দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তারেক জিয়ার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। সেখানে দাদুকে নিয়ে তিনি তার প্রিয় স্মৃতি চারণ করেছেন।

    মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে তিনি এই পোস্ট দেন।

    ‘দাদুকে নিয়ে আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলোর একটি হলো, পরিবারকে আগলে রাখা একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি কতটা মমতাময়ী ছিলেন! আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদু’র অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচন্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।

    আমি সব সময়ই জানতাম, আমার দাদু’র কাঁধে একটা দেশের দায়িত্ব। তবুও আমার স্মৃতিতে দাদু হলেন পরিবারকে আগলে রাখা একজন মমতাময়ী অভিভাবক। লাখো মানুষের কাছে তিনি ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমার আর আমার কাজিনদের কাছে তিনি ছিলেন ‘দাদু’। আমাদের ‘দাদু’। তিনি সব সময় আমাদের খেয়াল রাখতেন, আমাদের জন্য সময় বের করতেন, আর যেসব মুহূর্ত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেগুলোতে আমাদের সাহস দিতেন, উজ্জীবিত করতেন।

    এই ছোট-ছোট মুহূর্তগুলো থেকেই আমি নেতৃত্বের প্রথম শিক্ষা পাই। সেটি হলো, নম্রতা, আন্তরিকতা আর মন দিয়ে শোনার মানসিকতা।

    বাংলাদেশের বাইরে কাটানো সতেরোটা বছর আমার জীবন অনেকভাবে বদলে দিয়েছে। কিন্তু আমি কখনোই আমার শিকড় ভুলে যাইনি। কারণ, আমাদের সত্তার যে ভিত্তি, আমাদের যে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ; সেটিই আমাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে, পরিচয় বহন করে। প্রবাসে থাকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের অনেক বাংলাদেশির মতো আমিও নিজ দেশের বাইরে, ভিন্ন দেশে অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি। লন্ডনের দিনগুলো আমাকে বাস্তববাদী করেছে, একটা বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। যদিও আমার হৃদয়-মন সব সময় বাংলাদেশেই ছিল।

    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাকে শৃঙ্খলা ও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান শিখিয়েছে। তবে মানুষের সঙ্গে কাজ করা আমাকে শিখিয়েছে আরও অনেক বেশি; শিখিয়েছে দায়িত্বশীল হতে, বিপদগ্রস্তের পাশে দাঁড়াতে। আইন পেশায় কাজ করার সময় কাছ থেকে দেখা মানুষগুলোর গল্প, আর সেই গল্পগুলোর যৌক্তিক এবং আইনগত সমাধান খোঁজার দায়িত্ব আমাকে আলোড়িত করে। প্রত্যেক ক্লায়েন্ট, প্রতিটি মামলা, প্রতিটি মানুষের সমস্যা, কারও না কারও জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। যারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অবহেলার শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই বিশ্বাস দিতে হয় যে, তাদের বিষয়টি দেখা হচ্ছে, শোনা হচ্ছে, সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। কারও জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিনে তার পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা যে শিক্ষাটা দেয়, সেটা কোনো ক্লাসরুম দিতে পারে না। এই প্রতিটা ধাপ আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে, মানুষ হিসেবে কেমন হতে চাই।

    আমি আমার ‘দাদা’কে কখনো দেখিনি। কিন্তু তার সততা আর দেশপ্রেমের কথা সব সময় শুনে এসেছি। ‘দাদু’ আর ‘আব্বু’ সেই আদর্শটাই বয়ে নিয়ে চলেছেন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় এবং ৫ আগস্টের আগে-পরের সময়টাতে আমি যতটুকু পেরেছি, নেপথ্যে থেকে সাধ্যমতো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। অধিকাংশ সময় বলেছি কম, বরং শুনেছি বেশি। ছোট-ছোট কাজের মাধ্যমে তাদের বোঝা একটু হালকা করার চেষ্টা করেছি।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…