ঢাকাই সিনেমার সদ্য প্রয়াত অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমের মন্তব্যের ঘরেও নানা নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায়। অনেকের দাবি অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।
সোমবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চলচ্চিত্রে 'মিয়া ভাই' খ্যাত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গাজীপুরের কালীগঞ্জের উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে চির শয্যায় শায়িত হন তিনি।
প্রয়াত এই অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এত মোটা অংকের টাকার ঝণ খেলাপির বিষয়টি ভিত্তিহীন।
ফারুকের এই ঋণখেলাপির বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বলছেন, চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপি এটা সত্য, তবে পাঁচ হাজার টাকার ব্যাংকঋণের বিষয়টি গুজব। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ গুজব ছড়াচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠানের সঙ্গে। তিনি এমন গুজব না ছড়াতে সবার কাছে আহ্বান করেন। বলেন, যেটা সত্যি নয় তা কেনো আপনারা ছড়াচ্ছেন। ফারুক ৫ হাজার কোটি নয় ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে দুই কোটি টাকা পরিশোধও করে দেয়। ’
ফারুকের প্রয়াতে ভেঙ্গে পড়েছেন ফারহানা। তাই এ বিষয়টি আপাতত বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। জানালেন অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এলেই বিস্তারিত সব জানাবেন।
এদিকে একটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, প্রয়াত এ অভিনেতার নামে ৫ হাজার কোটি নয় তার নামে সুদসহ প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।
আরআইআর