এইমাত্র
  • সেই ফয়সালের সই করা বিপুল চেকসহ আটক ৩
  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে
  • কুড়িগ্রামের দুই সেনাসদস্য সুদানে শহিদ, ‘নীরব হওয়ার’ শেষ বার্তা শান্তর
  • সোমবার হাদিকে নেওয়া হবে থাইল্যান্ড, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা
  • বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাকিব-লিটনের পোস্ট
  • ছোট পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হেসে-খেলে হারাল ভারত
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • বাকৃবিতে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
  • বিজয় দিবস ক্রিকেট ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করল বিসিবি
  • আইপিএল নিলাম থেকে বাদ পড়লো ৯ ক্রিকেটার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    খেলা

    মেসিকে ‘দখলে’ নিতে দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বে স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা

    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

    মেসিকে ‘দখলে’ নিতে দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বে স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা

    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

    দীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারত সফরে এসেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি। সফরের প্রথমদিনে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তিনি। তবে সেখানে ঘটে গেছে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। কলকাতার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির উপস্থিতিকে ঘিরে তৈরি হওয়া ভিড় শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় বিশৃঙ্খলায়। অতিরিক্ত মানুষের চাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা দিলে নির্ধারিত কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকাকে।

    পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, একপর্যায়ে দর্শকরা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালিয়েছেন, বেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকেছেন এবং কার্পেট, চেয়ার, ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস লুটও করেছেন। এ ঘটনার পর মেসিকে ভারতে আনার উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে আটক করেছে পুলিশ।

    এছাড়া মেসির আগমন ঘিরে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কেন ঘটেছে, তা খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।

    এদিকে বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, ‘ভিআইপি’ হিসেবে অনুষ্ঠানে আগত অভিনেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়ে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা মেসিকে দেখতে পান নি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছে তারা। এছাড়াও মেসিকে ‘দখলে’ নিতে চেয়ে দুই মন্ত্রীর লড়াই থেকে ঘটনার শুরু।

    কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের লড়াইয়েই শনিবারের এই বিপর্যয় ঘটেছে।

    আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুক্রবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছান মেসি। এর পর থেকেই নাকি তাঁকে ঘিরে দুই মন্ত্রীর মধ্যে লড়াইয়ের শুরু। মেসি কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখার পরই তাঁকে নিজের ‘দখলে’ নিয়ে ফেলেছিলেন সুজিত।

    মেসি কলকাতায় উঠেছিলেন হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে। সেখানে মেসিকে ঘিরে ছিল দমকলমন্ত্রীর লোকজনই। এখানে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। সেই হোটেলে সুজিত সপরিবার ছিলেন; ছিলেন তাঁর পছন্দের লোকজনও। নিজের ক্লাব শ্রীভূমির সামনে মেসির ৭০ ফুটের মূর্তি উন্মোচন করানো থেকে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে আলাপচারিতা, সবখানেই সুজিত সক্রিয় ছিলেন।

    অন্যদিকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ মেসির ওপর নিজের প্রভাব দেখাতে চেয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। তাই মেসি মাঠে ঢুকতেই তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে ঘিরে ফেলেন তাঁকে। সেখানে ছিলেন উদ্যোক্তাদের অনেকে এবং কলকাতার মাঠের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা, ফুটবলার এবং টালিউডের পরিচিত মুখেরা। মেসি যে মিনিট বিশেক মাঠে ছিলেন তার পুরোটা সময়ে তাঁকে ঘিরে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রীর লোকজন। তাতে যাঁকে দেখতে জনতা হাজার হাজার টাকা খরচ করে মাঠে এসেছে, সেই মেসিই ঢাকা পড়ে যান।

    ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন বিশৃঙ্খলার মূল কারণ নিয়ন্ত্রণহীন ‘ভিআইপি’ সংস্কৃতি। মেসি মাঠে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি ও আলোকচিত্রীর ভিড়ে ঘিরে পড়েন। ফলে তিনি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে বা গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ বলতে গেলে পানইনি।

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…