দল ঘোষণার আগে কী হয়েছিল তামিম ইকবালের সঙ্গে, কী-ই বা শর্ত দেওয়া হয়েছিল বিসিবির পক্ষ থেকে। সামাজিক মাধ্যমে এসব বিষয়ে নানা গুঞ্জন-আলোচনা সামনে আসছিল গতকাল থেকে। কারণ আগেই কিছুটা ইঙ্গিত থাকলেও, তামিমকে ছাড়াই যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল গড়া হয়েছে সেটি ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। সবমিলিয়ে সেসব ধোঁয়াশা কাটাতে আজ (বুধবার) সকালে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়ার ঘোষণা দেন তামিম।
সব অপেক্ষার অবসান হলো বিকেল সোয়া ৫টায়। নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ফিজিও’র রিপোর্টে তিনি খেলতে পারবেন না এমন কিছু ছিল না। তিনি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না এমন কিছুও ছিল না। এছাড়া গত ৩-৪ মাস তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান করা তামিম।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে কোথায়ও ছিল না আমি খেলতে পারবো না। চাইলে যে কেউ এটা নিয়ে আমার সঙ্গে সরাসরি বসতে পারে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম। আমার শরীরে ব্যথা ছিল এটা ঠিক। প্রেস কনফারেন্সেও আমি তা বলেছি। মিডিয়ায় এসেছে, পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না, আমার ইনজুরি। এটা আমার বিশ্বকাপে না যাওয়ার কারণ নয়। ব্যথা থাকলেও আমি ইনজুরড নই।’
তিনি বলেন, আমি কোনো সময় কোনো মুহূর্তে বলি নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এ কথা কোনো সময় হয়নাই। এটা মিথ্যা ও ভুল কথা। কে করছে এটা আমি জানি না। এটা মিথ্যা কথা।
তামিম বলেন, আমি বলেছিলাম যে দেখেন, আমার বডিটা এ রকমই থাকবে। এটা মাথায় রেখে সিলেক্ট করবেন।
এই ক্রিকেটার বলেন, কদিন ধরে যা ঘটছে। তা সবার জানা উচিত। সবাই জানেন আমি রিটায়ার করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরে আসি। এরপর আমি প্রচণ্ড কষ্ট করি। আমি সব এক্সারসাইজই করেছি। আপনারা বুঝতে পারবেন এটা আসলে সহজ জিনিস না।
তামিম অনেকটা অভিযোগের সুরেই বলেছেন, তাকে বাঁধা দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে। তামিমের মতে যা অপ্রয়োজনীয়। তিনি শুধুই চোটের কথা মাথায় রাখতে বলেছিলেন। অথচ টিম ম্যানেজমেন্ট সেটাকে ইস্যু বানিয়েছে, এমন অভিযোগ তামিমের।
তামিম বলেন, 'বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, 'তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না।' আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না? তখন বললো, 'আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।'
'আমার আসলে তিন কিংবা চারে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা নেই। স্বাভাবিকভাবে কথাটি আমি ভালোভাবে নিইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি বিষয়টি পছন্দ করিনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাঁধা দেয়া হচ্ছে, ইচ্ছে করে। এটা ঠিক হলো এখন নতুন আরেকটা জিনিস করি। এটা আমি অনুভব করেছি।'-যোগ করেন তামিম।