কাউকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্বপ্রণোদিত হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এসব নেতাকর্মীরা তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। সেটা যারা পারবেন না, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও অংশ নেবেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি জানতে চেয়েছিলেন জাতিসংঘসহ অন্যান্য বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বলেছি, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। পাশাপাশি বিদেশি যারা আছেন, তাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা এটা বলেছি যে, যদি আপনারা মনে করেন আপনার নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে, তাহলে আমাদের জানালেই সেই বিষয়টি বিবেচনা করব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আমাদের কাছে সেটির একটি অনুলিপি দিলেই আমরা পদক্ষেপে নেবো।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সজাগ থাকবে, যাতে কোনো কেউ কোনো রকম নাশকতা কিংবা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে। বিদেশি কূটনীতিকরা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে কি না, জানতে চাইলে আমরা বলেছি, যেখানেই যেতে চান, যেতে পারেন। যদি তিনি মনে করেন, সহযোগিতার দরকার আছে আমাদের জানালেই আমরা সেটা করবো।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা তাকে বলেছি, বাংলাদেশে নির্বাচন আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সবখানে আপনি দেখবেন সবাই উৎসুকভাবে অপেক্ষা করছেন। যখন থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে, তখন থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মিছিল দেখতে পাবেন। এটা কেবল বাংলাদেশই না, পুরো উপমহাদেশেই এমনটি ঘটে আসছে।