চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুন সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে ১১টি পরিবারের।
স্থানীয়দের চোখের সামনে একে একে ভস্মীভূত হয় বসতঘর, আসবাবপত্র, মূল্যবান সম্পদ সবকিছু। সর্বস্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাথরিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিগ্রি পাড়ায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় লোকমানের বসতঘরের রান্নাঘরের চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে আগুনের ভয়াবহতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বালতি, কলসি আর টিউবওয়েলের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালান তারা। কিন্তু দমকা বাতাসের কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের লেলিহান শিখায় মুহূর্তেই বসতঘরগুলো ভস্মীভূত হয়ে যায়।
খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তারা আসার আগেই আগুন তীব্র আকার ধারণ করে এবং ১১টি ঘর পুড়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মিযানুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, "খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, কিন্তু ততক্ষণে আগুন সবকিছু গ্রাস করে ফেলে। তদন্তের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে, তবে প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।"
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন, মোঃ দিলাল, লোকমান, দেলোয়ার, কাসেম, মামুন, আকবর, জব্বার, শেয়ার আলী, মোঃ মিয়া, রিদুয়ান এবং ইসমাইল। তাদের সকলের ঘর, আসবাবপত্র, শীতবস্ত্র, গবাদি পশু, নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্রসহ জীবন সংগ্রামের একমাত্র সম্বল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এমআর