এইমাত্র
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির প‌ক্ষে বিএন‌পি
  • পুরনো নয়, ভবিষ্যতের দুর্নীতি প্রতিরোধে জোর দিতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠন
  • এপ্রিলের ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২০৮৮৫ কোটি টাকা
  • চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিরাপত্তা কর্মী নিহত
  • সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানের ভাগ্নে 'কলম মেম্বার' গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি নাদিম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
  • নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নতুন ডিজি শফিউল বারী
  • সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি: নেপালের রাষ্ট্রদূত
  • দাম বাড়ল স্মারক স্বর্ণমুদ্রার, এখন থেকে দেড় লাখ টাকা
  • আজ রবিবার, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    দেশীয় পোশাককে বিদেশি বলে প্রতারণা, এক লাখ টাকা জরিমানা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

    দেশীয় পোশাককে বিদেশি বলে প্রতারণা, এক লাখ টাকা জরিমানা

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

    চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পোশাক বিপণি প্রতিষ্ঠান মেগামার্ট-কে দেশীয় পোশাককে বিদেশি বলে প্রতারণার দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

    বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র টেরিবাজারে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

    অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান এবং টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান।

    বিশেষ অভিযানের সময় দেখা যায়, মেগামার্ট নিজস্ব কিছু পণ্যের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে দেশীয় পণ্য চড়া দামে বিক্রি করছে। সাধারণ ক্রেতারা বিশ্বাস করে বেশি দামে পণ্য কিনলেও, বাস্তবে সেগুলো ছিল বাংলাদেশেই তৈরি।

    নিরীক্ষার সময় ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিক্রয়কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা প্রথমে জানান, এগুলো ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা কাপড়। তবে, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চাওয়া হলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা স্বীকার করেন, পণ্যগুলো আসলে দেশীয় কারিগরদের তৈরি।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, "আমাদের সঙ্গে তারা যদি এই ধরনের প্রতারণা করতে চায়, তাহলে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে আরও বেশি করবে। আমরা কাপড় পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বিক্রয়কর্মীদের বক্তব্য শুনেছি। তারা প্রথমে বলেছিল এটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি কাপড়, কিন্তু যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই স্বীকার করেছে যে এটি আসলে দেশীয় পণ্য।"

    অভিযান চলাকালে মেগামার্টের কসমেটিকস বিভাগ থেকেও অনিয়ম ধরা পড়ে। দেখা যায়, অনুমোদনবিহীন কিছু বিদেশি কসমেটিকস বাজারজাত করা হচ্ছে, যেখানে আমদানিকারকের নাম ও সঠিক তথ্য উল্লেখ নেই।

    এ প্রসঙ্গে ফয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, "তাদের কাছে অনুমোদিত নয় এমন কিছু কসমেটিকস পাওয়া গেছে, যেগুলো সন্দেহজনক ও ভেজাল হতে পারে। পাশাপাশি কিছু বিদেশি পণ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, অথচ এগুলোর বৈধ কাগজপত্র নেই। এ ধরনের পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করেছি যাতে এ ধরনের অনিয়ম আর না করে।"

    অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে সব পোশাকের গায়ে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' লেবেল যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, "ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা, অনুমোদনবিহীন পণ্য বিক্রি ও পণ্যের উৎস গোপনের মতো কার্যকলাপে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…