বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রিারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে দলিল রেজিষ্ট্রেশনে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য প্রমাণ মিলেছে তাদের হাতে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় থেকে প্রায় দুই ঘন্টা এ অভিযান চালানো হয় বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার ও সদর সাব রেজিস্ট্রিারের কার্যালয়ে। তবে দুদকের অভিযানের খবর শুনে নিজ কার্যালয়ে ত্যাগ করার কারনে জেলা রেজিস্ট্রারকে পাওয়া যায়নি।
অভিযানে দলিল রেজিষ্ট্রেশনে রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে এবং উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমানও মিলেছে। এই অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচসলক রাজকুমার সাহা।
তিনি আরো জানান, উৎস কর উপেক্ষা করে সরকারি কোষাগারে কম উৎস কর প্রদর্শন করে প্রদানপূর্বক দলিল রেজিস্ট্রেশন করেছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে এক মাস, দুই মাস পরে বিভিন্ন দলিলে বিভিন্ন রকমের দাম দেখিয়ে উৎস কর জমা দিয়েছে তারা। জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা বিষয়টি নিয়ে অভিযান চালালে উল্লেখিত অভিযোগ গুলোর প্রমান পাই। এছাড়াও সাবেক সাব-রেজিষ্টার অসিম কল্লোল এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসিম কল্লোল’র বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তর শেষে তার রির্পোট দেওয়া হবে।
অভিযান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার, সাব রেজিস্ট্রার ও তাদের সহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দলিল রেজিষ্ট্রেশনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলিল রেজিষ্ট্রেশনে রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রমাণ হিসেবে কয়কটি দলিলের ফটোকপি নেয়া হয়েছে। এসময় জেলা রেজিস্ট্রারকে অফিসে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন এ বিষয় গুলোর উপরে।
এসআর