গ্রীষ্মের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। বিশেষ করে যারা রোদে কাজ করেন বা দীর্ঘ সময় বাইরে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রাণঘাতী সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি উঠে যায় এবং ঘাম বন্ধ হয়ে জীবনসংকট অবস্থা তৈরি করে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো-
**অতিরিক্ত শরীর গরম হয়ে যাওয়া
** ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট
** মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
** ত্বক শুকনো ও গরম হয়ে যাওয়া
** বিভ্রান্তি বা অসংলগ্ন কথা বলা
** হিট স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়:
** রোগীকে দ্রুত ছায়াযুক্ত, ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান।
** শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমানোর চেষ্টা করুন (ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন বা ঠাণ্ডা পানি ছিটিয়ে দিন)।
** রোগীকে পানি পান করানোর চেষ্টা করুন, যদি সে অচেতন না হয়ে যায়।
** দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন:
** দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
** হালকা ও সাদা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
** নিয়মিত পানি পান করুন, এমনকি তৃষ্ণা না পেলেও পানি পান করুন।
** রোদে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।
** বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের বিশেষভাবে নজরে রাখুন।
বর্তমানে হিট স্ট্রোকের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সচেতন ও সতর্কত না থাকলে হিট স্ট্রোকে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে সময় মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এটি এড়ানো সম্ভব। তাই গরমের এই সময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজে সচেতন হওয়া এবং পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন রাখা।
এইচএ