নেত্রকোনার পুর্বধলায় গার্মেন্টস কর্মী কমলা খাতুন (২৬) হত্যা মামলায় নিজাম উদ্দিন (৩৩) নামের একব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
রবিবার (০৪ মে) বিকেল ৩টায় এ রায় দেন আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন।
এসময় রাষ্ট্র প্রক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবুল হাসেম এবং আসামি পক্ষের আইজীবী ছিলেন শামসুদ্দিন আহমেদ।
মামলার এজাহার ও রায় থেকে জানা যায়, কমলা খাতুন বিবাহ বিচ্ছেদের পর গাজীপুর জেলার টংগী থানায় মিরা বাজার এলাকায় তার ছোট বোন চাম্পা খাতুনের সাথে থেকে একত্রে গার্মেন্টেসে চাকুরী করত। চাকুরিরত অবস্থায় বিভিন্ন জনের সাথে তার প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতো। একদিন ভাতিজার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরের দিন ২০২২ সনের ১৯ নভেম্বর বিকালে জেলার পূর্বধলা থানার খলিসাউড়া ইউনিয়নের পাবই দাসপাড়া বালুচড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে পাকা সড়কের কাছ থেকে কমলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে তার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন (৩৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পিবিআই তদন্ত করে বাদীর নামে নামে পুর্বধলা উপজেলার নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে পুলিশ পরের বছর (২০২৩ সালে) ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষ দন্ড বিধির ৩০২ ধারার ১১ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় উক্ত ধারায় নিজাম উদ্দিকে মৃত্যুদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত।
এআই