উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশ ছাড়াও গ্রামের মেঠোপথ ও বাড়ির ধারে একেকটি গাছ আচ্ছাদিত হয়ে আছে লাল ফুলে। প্রখর রৌদ্রদীপ্তে এই বিপুল বর্ণবৈভব চোখে প্রায় ঘোর লাগিয়ে দেয়। দিনে দিনে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের চারপাশে সবুজ পাতারা ফুলগুলোকে যেন সযত্নে রচিত স্তবকে পরিণত করে তুলেছে। চলতি পথে আপনা থেকেই পথিকের দৃষ্টি চলে যায় সেদিকে। অনাবিল আনন্দের অনুভূতি মনকে প্রশান্ত করে।
কৃষ্ণচূড়া ফুলে রাঙায়িত মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর, জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা, হামদার্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বালুয়াকান্দি মেঘনা ভিলেজ পার্ক, ভবেরচর, হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লাল, হালকা লাল, হলদে আভা ছড়িয়ে প্রকৃতিকে করেছে নয়নাভিরাম। যা উপজেলার নাগরিকদের হৃদয়-মন কেড়ে নিয়েছে। প্রতিদিনই সকাল-বিকেলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, যুবক-যুবতী এর সৌন্দর্য উপভোগে মেতে উঠে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা জানান, কৃষ্ণচূড়া শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে, জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ও মাটি ক্ষয়রোধ করে থাকে।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি ফাবেসি পরিবারের অন্তর্গত। পাকিস্তান, ভারতে এই ফুলকে গুলমোহর নামেও ডাকা হয়। এর আদি নিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ১৮২৪ সালে সেখান থেকে প্রথম মুরিটাস, পরে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তার ঘটে। এখন জন্মে আমেরিকা, ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে।
ধারণা করা হয়, কৃষ্ণচূড়া ভারত উপমহাদেশে এসেছে তিন থেকে চারশ’ বছর আগে। তবে ফুলের নাম কী করে কৃষ্ণচূড়া হলো সে সম্পর্কে ধুম্রজাল রয়েছে।
পিএম