কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস)। স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে ভিন্ন অধিদপ্তরে একিভূতকরনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স, মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল মিয়া, পাবলিক হেলথ নার্স নাজমুন নাহার, সাবেক সভানেত্রী বিডিএনএ কামরুন্নাহার, নার্সিং ইনস্টেকটর দীপন কুমার দত্তসহ আরও অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘৪৮ বছরের ঐতিহ্য, সেবা ও অগ্রগতির প্রতীক এই অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করার যে প্রচেষ্টা চলছে, তা নার্সিং পেশার স্বকীয়তা ও উন্নয়নের পরিপন্থী।’ স্বাধীনতার পর থেকে নার্সিং প্রশাসন দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র অধিদপ্তর গঠনের পরও এখনো নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, ক্যারিয়ার পাথ ও জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নার্সদের পদোন্নতি, বেতন-বৈষম্য নিরসন ও গবেষণায় অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সরকারের উচিত হবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশাকে যুগোপযোগী ও জনবান্ধবভাবে গড়ে তুলতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। তাদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর রক্ষা, জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন, যুগোপযোগী নিয়োগবিধি ও অর্গানোগ্রাম অনুমোদন, বেতন বৈষম্য নিরসন, ইনক্রিমেন্ট প্রদান, নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং অপ্রশিক্ষিত ভুয়া নার্স নির্মূল।
এসময় বক্তারা সতর্ক করে বলেন, ‘নার্সিং পেশার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় এই জনস্বার্থবিরোধী উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে সারাদেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
ইখা