ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামে কৃষক ইসহাক আলী (৭০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। নিহত ইসহাক আলীর পুত্রবধু নয়ন তারার অবৈধ প্রেমে বাধা দেওয়ায় নয়ন তারার প্রেমিক রওশন আলী কৃষক ইসহাক আলীকে খুন করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
ঘটনার ১৬ ঘণ্টার মাথায় মূল আসামি রওশন আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মাঠ থেকে হাত-পা ও গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ইসহাক আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার রওশন আলী হরিণাকুন্ডু উপজেলার হিঙ্গারপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে এবং মৃত ইসহাক আলীর পুত্রবধূ নয়ন তারার প্রেমিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিসুর রহমান জানান, নিহতের ভাই মিক্কাস আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে মূল আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রওশন আলী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তদন্তে জানা গেছে, নিহত ইসহাক আলীর ছেলে মিলনের স্ত্রীর সঙ্গে রওশন আলীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ইসহাক আলী বাধা দিলে, ওই সম্পর্ক গোপন রাখতে তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।’
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হবে।’
এদিকে, শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইখা