দলীয় পদ স্থগিত হওয়া আলোচিত বিএনপি নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের (প্রাথমিক) নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে মনোনীত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সারাদেশে ধাপে ধাপে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। যেসব আসনে এখনো আলোচনা চলছে, সেসব আসনে নাম পরে ঘোষণা করা হবে। কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষেত্রে ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে, বাকি দুই আসনে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঘোষিত প্রার্থীরা: কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া): জেলা জজ কোর্টের পিপি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দীন
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তারাইল): সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম): চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা (পদ স্থগিত) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী): পরে ঘোষণা করা হবে
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-১ ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে এ দুই আসনের প্রার্থীর নাম খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ২৬ আগস্ট বিএনপির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমানের সব দলীয় পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এর আগে, ২৪ আগস্ট তার নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে দল। নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে তিনি সময় বাড়ানোর আবেদন করেন, যা বিবেচনায় নিয়ে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়। পরে তিনি নোটিশের জবাব দিলেও তা দলীয় হাইকমান্ডকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, তার সব দলীয় পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি এবং টেলিভিশন টক শোতে কথা বলার মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার অবস্থানকে অনেকেই প্রশংসা করেন। আবার তার বিভিন্ন বক্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে এবং সমালোচনাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান ২০০৭ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং প্রায় আট বছর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এনআই