মুন্সিগঞ্জে অটোরিকশাচালক মো. মজিবর রহমান (৪৫) হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ৩–৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি পূর্বপরিকল্পিতভাবে মজিবর রহমানকে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে তার হাত-পা বেঁধে বিছানা ও কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।
মামলার পর জেলা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে জানা যায়, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইমরান নামের এক ব্যক্তি মজিবরকে পঞ্চসার ইউনিয়নের বনিক্যপাড়া গ্রামের তেলেরবিল এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে ইমরান, জয় ও সোহাগ একসঙ্গে মাদক সেবন করে এবং পরে মজিবরকে অচেতন করে ফেলে। এরপর সোহাগ রশি দিয়ে গলায় প্যাঁচ দেয়, ইমরান তার পা চেপে ধরে রাখে এবং জয় বুকের ওপর বসে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে মজিবরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে সোহাগের বাড়ি থেকে আনা চাদর ও কম্বল দিয়ে লাশ মুড়িয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে পাশের ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।
পরদিন আসামিরা ছিনতাই করা অটোরিকশাটি হারুন নামের এক ব্যক্তির কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরপর হারুন তা রামশিং আলীর গ্যারেজে নিয়ে আরও এক লাখ ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘সোমবার সকালে অটোরিকশাচালক মজিবরের লাশ উদ্ধারের পরই আমরা তদন্ত শুরু করি। মঙ্গলবার আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত।’
ইখা