গণসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহসহ তিনজনকে গুলির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও উদ্বেগ জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় গণসযোগ করছিলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। এসময় দুর্বৃত্তের গুলিতে এরশাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর এরশাদ উল্লাহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণসংযোগ করছিলেন। হঠাৎ করেই মুখোশধারী একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং তার সঙ্গে থাকা আরও অন্তত দুজন কর্মী আহত হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার ডান উরুতে গুলি লেগেছে, তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
হামলার খবর পেয়ে নগরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এটিকে ‘নির্বাচনী সন্ত্রাসের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে উল্লেখ করে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনী মাঠে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাস্থল ঘিরে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানিয়েছেন, “হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
আরডি