পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে আটক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইমরান খান ‘যুদ্ধের উগ্রপন্থায় গ্রাসকারী চরমপন্থী’ এবং কারাগারের ভেতর থেকে শত্রুর এজেন্ডা এগিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি আরও সতর্ক করেন, কারাগারের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হলে দ্রুত ও দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে দেশটির আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ইমরানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলের অনাস্থা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের পর থেকে রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতায় পড়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদসহ একাধিক মামলার মুখোমুখি তিনি। ক্ষমতাসীন জোট অভিযোগ করছে, ইমরান এবং তার দল দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে প্ররোচিত করছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, ইমরান ও তার দল পাকিস্তানকে ঋণখেলাপির দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। এমন প্রেক্ষাপটে আইএমএফ-কে চিঠি পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের এখন কোনো ভবিষ্যৎ নেই; তাদের রাজনৈতিক স্থান ও বক্তব্য সীমিত থাকবে।’
এছাড়া জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মন্তব্য করেন, ইমরানের বোন উজমা খানের ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রাক্তন শাসকদলের জন্য ‘কফিনে শেষ পেরেক’ ঠুকে দিয়েছে।
তিনি যোগ করেন, ইমরান ও তার দল সবসময় পাকিস্তান-বিরোধী বক্তব্যের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখাননি, যেখানে অতীতে নওয়াজ শরীফ ভারতীয় মিডিয়াকে সাক্ষাৎ দিয়েও কখনো দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেননি।
আরডি