দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হোস্টেলে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী প্রিটোরিয়ার পশ্চিমে সলসভিলে অবস্থিত সেই হোস্টেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
পুলিশ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার অ্যাথলেন্ডা ম্যাথি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কমপক্ষে তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী এই হোস্টেলে প্রবেশ করে। সেখানে একদল মানুষ মদ্যপান করছিল। এরপর বন্দুকধারীরা নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। এই ঘটনায় অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ তবে গুলিবর্ষণের কারণ এখনও জানা যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিককালে এমন এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বন্দুকধারীরা হোস্টেল প্রাঙ্গণে ঢুকে মদ্যপানরত একদল মানুষের ওপর গুলি চালায়। নিহতদের মধ্যে একটি ১২ বছর বয়সী ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী কিশোরীও রয়েছে।
হোস্টেলটিকে ‘অবৈধ শেবিন’ বা লাইসেন্সবিহীন মদের আড্ডা হিসেবে বর্ণনা করে পুলিশের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা এসব অবৈধ ও অননুমোদিত মদের দোকান নিয়ে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। নিরপরাধ মানুষও এসব স্থানে ক্রসফায়ারে পড়ে।’ এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনাগুলো এসব মদের দোকানগুলোকে ঘিরেই বেশি ঘটে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের ২০২৩-২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুনের হারের দিকে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে প্রতি লাখে ৪৫ জন হত্যার শিকার হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৬৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এফএস