মুন্সিগঞ্জ–১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেখানেই থাকুক না কেন, দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এটি কোনো ছোট ঘটনা নয়, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ওপরই এই হামলা চালানো হয়েছে।
তাই পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে উপজেলা মোড়ে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সিরাজদিখান থানার সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি। তা না হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, হাদীর ওপর গুলিবর্ষণ সেই চেষ্টারই অংশ।
এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম. সিদ্দিক মোল্লা, কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাছিম খান, ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসিন সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ মো. রাসেল,উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আশিক শেখসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসআর