কক্সবাজার টেকনাফে প্রতিদিনের ন্যায় পাহাড়ে কৃষিকাজ করার সময় অস্ত্রধারী অপহরণ চক্রের সদস্যরা এক চাকমা যুবক অপহৃত করেছে।
এ সময় অপহৃত যুবকের সাথে থাকা এক বৃদ্ধ অপহরণকারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চৌকিদার পাড়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অপহৃত হওয়া যুবক হচ্ছে, বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চৌকিদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা সংকুচিং চাকমা (৩৫)। পালিয়ে আসা বৃদ্ধ ব্যক্তি হচ্ছে, একই এলাকার বাসিন্দা এবাদুল্লাহ (৬০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অপহরণ চক্রের হাত থেকে পালিয়ে আসা বৃদ্ধ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, পাহাড়ে কৃষিকাজ করার সময় হঠাৎ অস্ত্রধারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ হঠাৎ করে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে সংকুচিং চাকমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে সুকৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ২/৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, দুপুরের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ে মংক্যচিং চাকমা সহ আরও কয়েকজন কৃষিকাজ করতে গিয়েছিলেন।
একপর্যায়ে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্রের মুখে সংকুচিং চাকমাকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল সংলগ্ন কাঠ সংগ্রহকারি এবাদুল্লাহ নামে এক বৃদ্ধকেও অপহরণের চেষ্টা চালায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তবে বৃদ্ধ এবাদুল্লাহ সুকৌশলে দৌঁড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
ঘটে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে অবিহিত করার পর পুলিশের একটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপহৃত যুবককে উদ্ধার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মুক্তিপণের দাবিতে চাকমা যুবককে অপহরণ রেছে বলেও ধারণা করছেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন,ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অপহৃত যুবককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গোয়েন্দা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সুত্র বলছে এক বছরের ব্যবধানে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, কিশোরসহ ২৮০ জন অস্ত্রধারী অপহরণ চক্রের কবলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বেশীরভাগ ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা দাবিকৃত মুক্তিপণ দিয়ে পহরণকারীদের জিম্মি দশা থেকে ফেরত এনেছে।
এসআর