পঞ্চগড়ে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শীতের প্রকোপ জোরালো হয়েছে। সকালে আবহাওয়ার শীতলতা স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তা সামান্য কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগের দিন শনিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সপ্তাহে এই তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে নেমেছিল।
শনিবার বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা আগের দিনের তুলনায় কম; আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ ভোরে হালকা কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারপাশ। সকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার হলেও রোদের দেখা মেলে প্রায় ১০টার পর। গতকালও রোদ উঠতে দেরি হয়েছিল। সকাল ১১টার পর থেকে সূর্যের তাপ কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। তবে বিকেলের দিকে হালকা হিমেল বাতাস বইতে থাকে। সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়ে এবং গভীর রাতে বাতাসে ছোট ছোট কুয়াশার কণা অনুভূত হয়। দিনের বেলা আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ থাকলেও রাতে শীত বেশ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।
শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিয়োজিত শ্রমিকদের অনেকের হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। ভোরে কাজে নামতে সমস্যায় পড়ছেন কৃষিশ্রমিকরা। এদিকে হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত নানা সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, সকালে সূর্যের দেখা মিলতে দেরী হওয়ায় ঠাণ্ডার প্রবণতা বেশি। ডিসেম্বর জুড়ে এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
ইখা