রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে মারা এসিড সদৃশ তরল পদার্থে গুরুতর আহত হয়েছেন শাহাদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবক। ঘটনার ২৬ দিন পার হলেও এখনো তার শরীরে ক্ষতের চিহ্ন স্পষ্ট রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আইনি সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগী শাহাদুল ইসলাম নাটোরের লালপুর উপজেলার মোল্লাপাড়া (কারিগর) গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর-নওটিকা বাজার থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন শাহাদুল ইসলাম। পথে ইউনিয়নের আরিফপুর বটতলার মোড়ের পূর্ব পাশে ফাঁকা মাঠ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে আসা কয়েকজন ব্যক্তি তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
চিৎকার করলে হামলাকারীদের একজন কাঁচের বোতলে থাকা এসিড সদৃশ তরল তার মুখের বাম পাশে ছুঁড়ে মারে। এতে তার বাম চোয়াল ও মাথার পেছন থেকে চোয়ালের নিচে গলা পর্যন্ত ঝলসে যায়। এরপর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শাহাদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলের আলোতে তিনি দু’জন হামলাকারীকে চিনতে পারেন। তারা হলেন, বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর-হিজলপল্লী গ্রামের মৃত রহমত মন্ডলের ছেলে জানারুল আলী (৫০) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছমির আলীর ছেলে রাসেল আলী (৩০)। অপর একজনকে তিনি চিনতে পারেননি।
তার দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই মামলা করতে না পারলেও কয়েকদিন পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বাঘা থানা থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তিনি এ ঘটনায় মামলা করতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বাঘা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এ ধরনের সহিংসতা আরও বাড়তে পারে।
এসআর