সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুস সালাম পিন্টু এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে তার ছোট ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপত্র নেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে তারা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলী, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কাজী শফিকুর রহমান লিটন এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাংবাদিকদের বলেন, আচরণবিধি মেনেই আমরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমার অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমান আমার ওপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা পালনে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। টাঙ্গাইল সদরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং ও মাদকমুক্ত একটি নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই ইনশাল্লাহ। সকলকে সঙ্গে নিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আগামীর পথচলা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর–ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ করেন।
অন্যদিকে, বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবারই প্রথম টাঙ্গাইল-৫ আসর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকে একাধিকবার মামলা ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রায় ৩৫০টি হয়রানিমূলক মামলার শিকার হন এবং ১২ দফা কারাভোগ করেন। এ সময় তিনি মোট প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন এবং টানা ৪৬ দিন রিমান্ডেও থাকতে হয় তাকে।
এসকে/আরআই