ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সম্প্রতি চুরি হওয়া দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— শহরের আলীপুর গোরস্থান এলাকার মামুন মোল্লার ছেলে তামিম মোল্লা (২৪), আলীপুর কানাই মাতুব্বরের মোড় এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে আনিক ইসলাম (২৫), একই এলাকার ইউনুছ শেখের ছেলে রাতুল শেখ (২৪), সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হামেদ মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে লিয়ন শেখ (২৬), শহরের শোভারামপুর এলাকার সাইদ সরদারের ছেলে সিদ্দিক সরদার (৪২), সদর উপজেলার ইব্রাহিমদী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এনামুল (২৮) এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চান্দেরচর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৭)।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকা থেকে জুনায়েদ হাবিব নামের এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে ধারাবাহিক অভিযানে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, এনামুল ও সাব্বিরকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ফরিদপুর আদালতপাড়া এলাকা থেকে চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে শহরের আলীপুর মহল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তামিম ও আনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের কাছ থেকে জুনায়েদ হাবিবের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী বাকি তিন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন। তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই পেশাদার চোর। তারা বিশেষ ধরনের চাবি ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চুরি করত। এর আগেও তারা গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় তিনটি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, চক্রটির সঙ্গে আরও সদস্য জড়িত রয়েছে এবং তাদের কাছে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল আছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনআই