শরিফ ওসমান হাদি, তার একটা এক্সিডেন্ট হতে পারে এবং হওয়ার পর কি কি ঘটনা ঘটানো হবে বাংলাদেশে, এটার একটা পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার পর আমরা বলেছি যে, এটা সরকারের ভেতরের একটা অংশের এখানে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে- এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্সের’ প্রতিবাদে সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
নাহিদ বলেন, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, যারা এই ঘটনাটা সেই রাতে ঘটিয়েছে বা যারা প্রথম আলোসহ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করেছে, তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্লোগানগুলোকে ব্যবহার করেছে। শরিফ ওসমান হাদির নাম ব্যবহার করেছে। আমাদের স্লোগানগুলোকে ব্যবহার করে তারা সেখানে আক্রমণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে যেই পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ এই পুরো পরিস্থিতির সঙ্গেই আমাদের জুলাই অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে এই পরিবেশ এবং যেই বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা সেই দিকে আগাচ্ছি না।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, এ ঘটনায় সরকারের ভিতরের একটা অংশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এটার পক্ষে সম্মতি তৈরি করা হয়েছিল অনেকদিন ধরেই। এটার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাকআপও আছে। এই তিনটা ঘটনা একসঙ্গে না ঘটলে এত বড় সাহস সেই রাতে কারও পক্ষে করা সম্ভব হতো না। কয়েক হাজার মানুষ গিয়ে এটা ঘটিয়েছে এরকমও না। ফলে পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিত ছিল। ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে কী কী ঘটানো হবে, সেটার একটা চক্রান্ত, পরিকল্পনা আগে তৈরি হয়েছে। ঘটনাগুলো দেখে আমাদের কাছে এটাই মনে হয়েছে।’
এনসিপির নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের সবারই এটার কিছু দায় আছে। আমাদের অনেক বেশি দায় আছে। যারা আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমাদের জন্য এটা আরও দুর্ভাগ্যজনক।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আজকে আমরা শব্দটা ব্যবহার করছি মব ভায়োলেন্স। এই শব্দটির সঙ্গে প্রথম দিকে একমত হতাম না বা আমরা এটার বিরোধিতা করতাম। কারণ আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তাদের পক্ষ থেকেই পুরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে মব। ফলে আমরা বলেছি যে এটা মবোক্রেসি না।’
এইচএ