লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথমে সিলেটে অবতরণের পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাকে বহনকারী বিমানটি। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষারত লাখো মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চারটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তারেক রহমান লেখেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এর আগে, শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে বরণ করেন শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরুসহ একে একে বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে অভিবাদন জানান।
তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে এবং রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল) এলাকায় তৈরি করা হয়েছে এক সুবিশাল মঞ্চ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মঞ্চ এলাকায় লাখ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটেছে।
জানা গেছে, তার এই প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতে ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ। গত রোববার দুপুর থেকে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে এটি প্রস্তুত করেছেন শ্রমিকরা। সংবর্ধনা কমিটির সদস্যরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান আসবেন। ওইদিন এই এলাকা মানুষের মহামিলন ও মহামেলায় পরিণত হবে বলে আমরা নিশ্চিত।
এসকে/আরআই