পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে এখনও প্রায় ৫০ দিন (আনুমানিক) বাকি রয়েছে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০২৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে রমজানের প্রথম রোজা পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও বরকতময়। এ মাস আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও আত্মসংযমের অনন্য সুযোগ এনে দেয়। রোজা পালনের মাধ্যমে একজন মুসলমান ক্ষুধা ও তৃষ্ণা সহ্য করে গরিব ও অসহায় মানুষের কষ্ট অনুভব করতে শেখে, যা সহানুভূতি ও দানের মানসিকতা গড়ে তোলে। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস, যেখানে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়।
২০২৬ সালের রমজান কবে শুরু হতে পারে?
দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট (ICAD) প্রকাশিত হিজরি-টু-গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৬ সালে রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সে ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম রোজা হতে পারে।
বাংলাদেশে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর রোজা ও ঈদ পালিত হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ রমজানের প্রথম দিন এবং সম্ভাব্যভাবে ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।
রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। এ ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং আত্মাকে পবিত্র করে তোলে। রোজা মানুষকে ধৈর্যশীল, সংযমী ও নৈতিকভাবে উন্নত হতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে এটি সমাজে সহমর্মিতা, দানশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে।
ইখা