এইমাত্র
  • নতুন বছরে ১২ দিন ছুটি কমলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
  • যশোরে বাবার মোটরচালিত ভ্যানে প্রাণ গেল শিশুর
  • গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা দেম্বেলে, মধ্যপ্রাচ্যের সেরা রোনালদো
  • নিকলীতে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
  • নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
  • এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপির মানিক
  • ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের একটা কনফিডেন্স বুস্টার’
  • টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রংপুর
  • ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা
  • লালবাগ মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহিমের ইন্তেকাল
  • আজ সোমবার, ১৫ পৌষ, ১৪৩২ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    কৃষি ও প্রকৃতি

    মাতামুহুরী নদীতে সচল রাবার ড্যাম, ৬০ হাজার একর জমি চাষাবাদ নিশ্চিত

    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

    মাতামুহুরী নদীতে সচল রাবার ড্যাম, ৬০ হাজার একর জমি চাষাবাদ নিশ্চিত

    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

    কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে স্থাপিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাবার ড্যাম ২টি অবশেষে ফুলানোর মাধ্যমে সচল করা হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা রামপুর ও কোনাখালী ইউনিয়নের বাঘগুজারা পয়েন্টের রাবার ড্যাম দুটি সচল হওয়ায় এখন নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলের মাতামুহুরি নদীর অধীনস্থ বিভিন্ন শাখা নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    রাবার ড্যাম ২টি যথাসময়ে ফুলানোর মাধ্যমে সচল করার ফলে মাতামুহুরী নদীতে মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে। এতে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে চলতি মৌসুমে শুরু হতে যাওয়া বোরো ধান ও রকমারি সবজি চাষাবাদ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বেগ আতঙ্ক কেটে গেছে।

    কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চকরিয়া উপজেলাকে সবুজ বিপ্লবের আওতায় আনতে কৃষকের সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণে মিঠাপানির উৎস ধরে রাখতে সর্বপ্রথম মাতামুহুরী নদীর দুই পয়েন্টে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্রসবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের বিপরীতে প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে নদীর বাঘগুজারা ও রামপুর পালাকাটা পয়েন্টে অস্থায়ী মাটির বাঁধ তৈরি করে মিঠাপানি আটকিয়ে অবিভক্ত চকরিয়া (পেকুয়াসহ) উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করে আসছিলেন। যা ২০০৭ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল।

    পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে প্রতিবছর অস্থায়ী ক্রসঁবাধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ায় নদীর দুই পয়েন্টেই স্থায়ীভাবে রাবার ড্যাম স্থাপনের উদ্যোগ নেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

    এর আলোকে ২০০৯ সালে মাতামুহুরী সেচ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা রামপুর ও কোনাখালী ইউনিয়নের বাঘগুজারা পয়েন্টে স্থায়ীভাবে ২টি রাবার ড্যামের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে রাবার ড্যাম ফুলানোর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মিঠাপানির সেচ সুবিধা দিয়ে আসছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা উপ সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা রামপুর পয়েন্টের রাবার ড্যামটি ফুলানো শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ২২ ডিসেম্বর রাবার ড্যামটি সফলভাবে ফুলানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    একইসাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে পলিমাটি চাপা পড়ে অচল হয়ে পড়া বাঘগুজারা পয়েন্টের রাবার ড্যামটি ফুলানোর কাজ শুরু করে। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর স্বাভাবিক ভাবে রাবার ড্যামটি ফুলোনা শেষ হয়েছে।

    তিনি বলেন, যথাসময়ে রাবার ড্যাম দুটি ফুলানোর মাধ্যমে সচল হওয়ায় এখন মাতামুহুরী নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বেড়ে চলছে।

    এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, যথাসময়ে রাবার ড্যাম দুটি ফুলানো সম্ভব হওয়ায় চলতি মৌসুমে চাষাবাদে মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিয়ে কৃষকদের শঙ্কা কেটে গেছে। ফলে সেচ পাম্পের (স্কিম) মাধ্যমে দুই উপজেলার অন্তত ৬০ হাজার একর জমিতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চাষাবাদ করতে পারবে কৃষকরা।

    চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন দেলোয়ার বলেন, পলিমাটি চাপা পড়ে অচল হয়ে পড়া বাঘগুজারা রাবার ড্যামটি প্রথমে পরিদর্শনে যায়। পরে পালাকাটা রামপুর পয়েন্টের রাবার ড্যাম পরিদর্শন করে দ্রুতসময়ে রাবার ড্যাম দুটি সচল করার জন্য কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

    তিনি বলেন, পাউবোর কর্মকর্তারা জরুরী ভিত্তিতে রাবার ড্যাম দুটি ফুলানোর কাজ শেষ করার ফলে এখন চাষের জমিতে মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিয়ে কৃষকদের মাঝে তৈরি হওয়া বিপদ কেটে গেছে। এখন নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে।

    কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া উপজেলার কৃষকদের সেচ সুবিধার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পাউবোর কর্মকর্তারা দ্রুতসময়ের মধ্যে মাতামুহুরী নদীর রাবার ড্যাম দুটি ফুলানোর মাধ্যমে সচল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখন নদীতে মিঠাপানির প্রবাহ বেড়েছে।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…