যশোরে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর পর দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যশোরে। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কনকনে শীতে মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। হিমেল বাতাস কুয়াশায় বিপর্যস্ত মানুষ।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার যশোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। এর আগে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ছিলো ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে শীতের কারণে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের সঙ্গে কুয়াশা আচ্ছাদিত থাকে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জালিয়ে অল্প গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে তারা উপার্জনের সন্ধানে যেতে পারছেন না। তারপরও অনেকেই বাঁধ্য হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় শীতে মানুষ জবুথবু। কনকনে ঠান্ডায় মানুষের হাত পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, শীতের প্রকোপের সাথেই বেশির ভাগ শিশুরা সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতজনিত রোগ বাদ পড়ছে না বয়স্ক মানুষেরাও।
এসআর