চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব জনসমাগম। দলীয় সীমারেখা ছাপিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢলে পুরো উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কেরানীহাট এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টা থেকেই কেরানীহাট, আশপাশের এলাকা থেকে দলে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে মানবস্রোতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো কেরানীহাট চত্বর।
গায়েবানা জানাজায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর পাশাপাশি জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ, বয়স্ক মুসল্লি, যুবকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে।
গায়েবানা জানাজার নামাজে ইমামতি করেন সাতকানিয়া মডেল মসজিদের খতিব মোঃ মিজানুর রহমান।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নামাজ শুরু হলে বিশাল চত্বরজুড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ নামাজ আদায় করেন। দূর থেকে তাকালে মনে হচ্ছিল মানুষের মাথার সারি যেন শেষই হচ্ছে না।
গায়েবানা জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আবেগঘন পরিবেশে অনেক মুসল্লি হাত তুলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি দলের নেত্রী নন, তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক। আজ কেরানীহাটে যে মানুষের ঢল নেমেছে, তা প্রমাণ করে তিনি এখনো দেশের মানুষের হৃদয়ে শক্ত অবস্থানে আছেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা সাধারণ মানুষদের কেউ কেউ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি। রাজনৈতিক বিভাজনের বাইরে গিয়ে তারা একজন জাতীয় নেত্রীর জন্য দোয়ায় শরিক হতে এসেছেন।
এসআর