সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার রাতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম।ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রাতে তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।’ তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।এফেএস
ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
গত দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল করেছেন উপসচিব পর্যায়ের এক দল কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুরে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কে এম আলী আযমের কক্ষে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ‘এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির’ অভিযোগ তোলেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নতুন পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই হাসিনা সরকারের ফিটলিস্টের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এ কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। এ নিয়ে দিনভর সচিবালয়ে চলে হট্টগোল।পরে কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত দুই দিনে জারি করা ডিসি নিয়োগের দুই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন তাদের দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতরাতেই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে জানিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন দুটি বাতিল করে নতুনভাবে পদায়ন হতে পারে।নাম দেখতে না পেয়ে হট্টগোল:গতকাল ৩৪ জেলায় জেলা প্রশাসক দেওয়ার পর প্রজ্ঞাপনে নিজেদের নাম দেখতে না পেয়ে ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের এক দল উপসচিব বিক্ষুব্ধ হন। কর্মকর্তারা জানান, সোমবার ২৫ জনকে ডিসি পদায়ন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে তিনজন ছিলেন বঞ্চিত কর্মকর্তা। সিলেটের ডিসিসহ বেশির ভাগ ডিসিই হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যেই গতকাল দুপুরে আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরে বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা এপিডি অনু বিভাগের দুই কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং কে এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে জানতে চান– কীভাবে এ ধরনের ব্যক্তিদের ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলো? এ সময় যুগ্ম সচিব আলী আযম উত্তেজিত হয়ে উঠলে বঞ্চিতরা ক্ষেপে যান। শুরু হয় হইচই, হট্টগোল। এনএসআইর একজন কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ফোন ছিনিয়ে নেন বঞ্চিতরা। এ সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে আলী আযম খবর দিলে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা সেখানে যান। কর্মকর্তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে। ডিসি হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যাশা ছিল, কারণ তারা চাকরিজীবনে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তারা যুগ্ম সচিবের কাছে জানতে চান, কেন তিনি এককভাবে তালিকা তৈরি করলেন? কেন মেধা, যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে তালিকা করা হলো না? কীভাবে গত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ডিসি পদে পদায়ন পেলেন?জবাবে কে এম আলী আযম বলার চেষ্টা করেন, তিনি প্রস্তাব তৈরি করেননি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও একজন উপদেষ্টার নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, তারাই সব কিছু চূড়ান্ত করেছেন। এ পর্যায়ে কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, তাহলে আপনি আমাদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চলুন। আপনি তাঁর সামনে বলুন, আপনি কোনো প্রস্তাব দেননি। তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে উপসচিবরা বলেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন কে এম আলী আযমই এককভাবে তালিকা তৈরি করেছেন।বেলা ৩টার দিকে বঞ্চিতরা দুই কর্মকর্তাকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তিনি চলে গেলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্মকর্তারা দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় আলী আযম টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা তাঁকে বের করেন। পরে দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ‘বঞ্চিতরা’। তারা বঞ্চিতদের দাবির বিষয়টি সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।ভিডিও ফুটেজ:যুগ্ম সচিবের রুমে হট্টগোলের একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, নতুন পদায়ন পাওয়া কয়েকজন ডিসির সঙ্গে পদায়ন না পাওয়া উপসচিবরা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েছেন। ওই সময় সেখানে ছিলেন উপসচিব নজরুল, সাইফুল, নুরুল, শাহীন, রেবেকা, বদরুলসহ ২৫-৩০ জন। জনপ্রশাসনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কয়েকজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, পুরো তালিকা এককভাবে যুগ্ম সচিব আলী আযম তৈরি করেছেন। জনপ্রশাসন সচিব নতুন। তিনি সব কর্মকর্তাকে এখনও চেনেন না। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জনপ্রশাসনের পাঠানো তালিকার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। তারা বুঝতেও পারেননি গত সরকারের আমলে বঞ্চিতরা এ সরকারের আমলে এভাবে আরেক দফা বঞ্চিত হবেন।এসব বিষয়ে কে এম আলী আযমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।নতুন ডিসি হলেন যারা:গতকাল ৩৪ জনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগের দিন সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।গতকাল ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়াদের মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব মনোয়ার হোসেন মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোশাখানা ইউনিটের পরিচালক (উপসচিব) মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসির উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াক্ফ প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুরের ডিসি করা হয়েছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (উপসচিব) মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমা তুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইলের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।গত দু’দিনে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান সাবেক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব মইনুল কবিরের পিএস ছিলেন। ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান মোল্লা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাভারের ইউএনও ছিলেন। তিনি ঢাকার ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়া তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকারের শ্বশুর যতীন সরকার। তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। জয়পুরহাটের নবনিযুক্ত ডিসি মো. সাইদুজ্জামান টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ইউএনও থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি অফিশিয়াল বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে গত ২৭ মার্চ রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।সিলেটের ডিসি প্রত্যাহার: সিলেটের ডিসি পি কে এম এনামুল করিমকে নিয়োগ দেওয়ার পরদিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব শের মাহবুব মুরাদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের এসএসকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে চড় মেরেছিলেন তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিম। সেই ঘটনায় বিব্রত হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।সূত্র: সমকাল।এফএস
জাতীয়
সব দেখুন
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার রাতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম।ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রাতে তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।’ তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।এফেএস
ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
গত দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল করেছেন উপসচিব পর্যায়ের এক দল কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুরে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কে এম আলী আযমের কক্ষে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ‘এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির’ অভিযোগ তোলেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নতুন পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই হাসিনা সরকারের ফিটলিস্টের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এ কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। এ নিয়ে দিনভর সচিবালয়ে চলে হট্টগোল।পরে কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত দুই দিনে জারি করা ডিসি নিয়োগের দুই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন তাদের দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতরাতেই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে জানিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন দুটি বাতিল করে নতুনভাবে পদায়ন হতে পারে।নাম দেখতে না পেয়ে হট্টগোল:গতকাল ৩৪ জেলায় জেলা প্রশাসক দেওয়ার পর প্রজ্ঞাপনে নিজেদের নাম দেখতে না পেয়ে ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের এক দল উপসচিব বিক্ষুব্ধ হন। কর্মকর্তারা জানান, সোমবার ২৫ জনকে ডিসি পদায়ন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে তিনজন ছিলেন বঞ্চিত কর্মকর্তা। সিলেটের ডিসিসহ বেশির ভাগ ডিসিই হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যেই গতকাল দুপুরে আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরে বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা এপিডি অনু বিভাগের দুই কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং কে এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে জানতে চান– কীভাবে এ ধরনের ব্যক্তিদের ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলো? এ সময় যুগ্ম সচিব আলী আযম উত্তেজিত হয়ে উঠলে বঞ্চিতরা ক্ষেপে যান। শুরু হয় হইচই, হট্টগোল। এনএসআইর একজন কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ফোন ছিনিয়ে নেন বঞ্চিতরা। এ সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে আলী আযম খবর দিলে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা সেখানে যান। কর্মকর্তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে। ডিসি হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যাশা ছিল, কারণ তারা চাকরিজীবনে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তারা যুগ্ম সচিবের কাছে জানতে চান, কেন তিনি এককভাবে তালিকা তৈরি করলেন? কেন মেধা, যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে তালিকা করা হলো না? কীভাবে গত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ডিসি পদে পদায়ন পেলেন?জবাবে কে এম আলী আযম বলার চেষ্টা করেন, তিনি প্রস্তাব তৈরি করেননি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও একজন উপদেষ্টার নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, তারাই সব কিছু চূড়ান্ত করেছেন। এ পর্যায়ে কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, তাহলে আপনি আমাদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চলুন। আপনি তাঁর সামনে বলুন, আপনি কোনো প্রস্তাব দেননি। তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে উপসচিবরা বলেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন কে এম আলী আযমই এককভাবে তালিকা তৈরি করেছেন।বেলা ৩টার দিকে বঞ্চিতরা দুই কর্মকর্তাকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তিনি চলে গেলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্মকর্তারা দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় আলী আযম টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা তাঁকে বের করেন। পরে দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ‘বঞ্চিতরা’। তারা বঞ্চিতদের দাবির বিষয়টি সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।ভিডিও ফুটেজ:যুগ্ম সচিবের রুমে হট্টগোলের একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, নতুন পদায়ন পাওয়া কয়েকজন ডিসির সঙ্গে পদায়ন না পাওয়া উপসচিবরা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েছেন। ওই সময় সেখানে ছিলেন উপসচিব নজরুল, সাইফুল, নুরুল, শাহীন, রেবেকা, বদরুলসহ ২৫-৩০ জন। জনপ্রশাসনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কয়েকজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, পুরো তালিকা এককভাবে যুগ্ম সচিব আলী আযম তৈরি করেছেন। জনপ্রশাসন সচিব নতুন। তিনি সব কর্মকর্তাকে এখনও চেনেন না। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জনপ্রশাসনের পাঠানো তালিকার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। তারা বুঝতেও পারেননি গত সরকারের আমলে বঞ্চিতরা এ সরকারের আমলে এভাবে আরেক দফা বঞ্চিত হবেন।এসব বিষয়ে কে এম আলী আযমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।নতুন ডিসি হলেন যারা:গতকাল ৩৪ জনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগের দিন সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।গতকাল ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়াদের মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব মনোয়ার হোসেন মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোশাখানা ইউনিটের পরিচালক (উপসচিব) মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসির উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াক্ফ প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুরের ডিসি করা হয়েছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (উপসচিব) মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমা তুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইলের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।গত দু’দিনে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান সাবেক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব মইনুল কবিরের পিএস ছিলেন। ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান মোল্লা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাভারের ইউএনও ছিলেন। তিনি ঢাকার ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়া তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকারের শ্বশুর যতীন সরকার। তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। জয়পুরহাটের নবনিযুক্ত ডিসি মো. সাইদুজ্জামান টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ইউএনও থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি অফিশিয়াল বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে গত ২৭ মার্চ রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।সিলেটের ডিসি প্রত্যাহার: সিলেটের ডিসি পি কে এম এনামুল করিমকে নিয়োগ দেওয়ার পরদিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব শের মাহবুব মুরাদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের এসএসকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে চড় মেরেছিলেন তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিম। সেই ঘটনায় বিব্রত হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।সূত্র: সমকাল।এফএস
শেখ হাসিনা-রেহানাদের পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ বাতিল চেয়ে রিট
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দ করা ৬০ কাঠা প্লট বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট করেন।রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন ও মো. জিল্লুর রহমান।রিটে প্লট বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত এবং সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বরাদ্দের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।রিটকারী আইনজীবীরা জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও প্লট নেন। এ ছাড়া ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।তারা জানান, ২০২২ সালে শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যরা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।এ আইনজীবীরা আরও জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে সব প্লট একত্রে সন্নিবেশিত করার সুযোগ দেয় রাজউক।এফএস
এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিতে চায় না ইসি, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এ সংক্রান্ত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন ইসি সচিব। ওই আইনে এনআইডি শাখাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করার বিধান দেওয়া আছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ডিও লেটারটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির কাছে পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ফলস্বরূপ গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবযাত্রা শুরু করেছে। আপনি অবগত আছেন যে, ২০০৭-০৮ সালে দল-মত নির্বিশেষে সকলের আস্থার জায়গা থেকে ইসির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপিসহ নয়টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় আট কোটি ১০ লাখ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২ কোটি ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।ইউএনডিপির সমীক্ষা অনুসারে, ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯ দশমিক সাত শতাংশ সঠিক বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ব্যতিরেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ অনুসারে ইসির একই জনবল দিয়ে বিগত ১৭ বছর যাবৎ নিবন্ধিত নাগরিককে এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী ইসির নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, তৎকালীন সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ ছাড়া রুলস অব বিজনেস ভঙ্গ করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তকরণ করে বিগত সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই ইসির মতামত গ্রহণ করা হয়নি।এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে বিগত কমিশন তার অবস্থান সুস্পষ্ট করে। কিন্তু, সেই মত উপেক্ষা করে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইনটির কার্যকারিতার তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায়, ইসির অধীনেই এখনও এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ (১) অনুসারে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে।’ অন্যদিকে, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এবং এতদসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথা ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হবে প্রণয়নের ক্ষেত্রে ডাটা প্রাপ্তির জন্য নির্বাচন কমিশনকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নিয়োগকৃত নিবন্ধকে সংবিধানে প্রদত্ত ইসির স্বাধীন অস্তিত্বের পরিপন্থী।এ ছাড়া আপনি জানেন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত দুটি ভিন্নধর্মী কাজ হলেও একই জনবল ও অর্থ দ্বারা একদিকে যেমন ভোটার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের যুগোপযোগী উদ্যোগ, বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধানে ভোটার তালিকার উপজাত হিসেবে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে, যা সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলে ভোটার তালিকার তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের অমিলের কারণে ভোট প্রদান বাধাগ্রস্ত হবে এবং নির্বাচন পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটবে। এছাড়া, তথ্যভান্ডারের শুদ্ধতা বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নাগরিকগণের তথ্য সংরক্ষিত থাকায় কোন তথ্য বিকৃতিসহ তথ্যের অপব্যবহারের সুযোগ কম। বর্তমানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে ডেটাবেজ মেনুপুলেট করার আশংকা দেখা দিবে এবং বিদ্যমান ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া ও সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের বিষয়টি আপনার নজরে আনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সদয় অনুমোদন দিয়েছেন।স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে নাগরিকদের নিয়ে যে সব ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে তন্মধ্যে একমাত্র ভোটার তথা এনআইডি ডাটাবেজ ব্যতীত অন্য কোন ডাটাবেজ শতভাগ আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। যে কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের পরিচিতি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ডাটাবেজ ও নাগরিক সেবার উপর আস্থাশীল। যা নির্বাচন কমিশনের এক অনন্য অর্জন। জাতীয় স্বার্থে অমূল্য এ তথ্যভান্ডারকে সুসংহত রেখে অব্যাহত নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে নির্বাচন কমিশন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিলে সদয় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।এমএইচ
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) গঠন করা হয়েছে। এতে ড. ইউনূসকে চেয়ারপারসন আর বাকি উপদেষ্টাদের এনইসির সদস্য করা হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরিষদকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন-মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব/সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবরা। পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৮ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। পরিষদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিক-নির্দেশনা দেয়া, দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান, বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন।এমএইচ
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩৪
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে ১৯ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৪ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।তথ্য অনুসারে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১০২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮১৯ জন।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং খুলনা বিভাগের হাসপাতালে একজন করে মোট তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ১২১ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৩ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে (সিটি করপোরেশনের বাইরে)। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ৭৮ জন, খুলনা বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৫৯, বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৩৭, রাজশাহী বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ১৮, ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ১৭ ও রংপুর বিভাগের হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।
শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন: ড. ইউনূস
শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সহযোগিতা চান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থ, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব সংস্কারে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা চাই। ডাচ রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, সামুদ্রিক, শিল্প, যুব, জ্ঞান অর্থনীতি, শ্রম, পরিবেশ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করবে।অধ্যাপক ইউনূস ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্ব ও ব্যবসাসহ আমার সঙ্গে দীর্ঘ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থ, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। শিক্ষার অভাবে তাদের ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকার না হয়।ডাচ রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন জানান, তারা কৃষি, পানিসহ সম্ভাব্য ব্যবসার ক্লাস্টারে আরও ডাচ বিনিয়োগ আনবে। বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং ডেপুটি ডাচ রাষ্ট্রদূত থিজ ওয়াউডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
সীমান্ত হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদের ভাষা শক্ত করেছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যার ঘটনায় আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। এটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ বাধাব না।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এরপরও সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে।প্রতিবাদে কাজ না হলে আমরা কি বিচার চাইব, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। আপনারা খেয়াল করেছেন কি না, আমি জানি না। আমাদের এই মুহূর্তে এটুকুই করার আছে। আমরা তো এটা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধাব না।তিনি বলেন, আমরা আশা করব, ভারত এ ব্যাপারে... এটা খুব সংবেদনশীল ইস্যু। সেটা আমরা প্রতি মুহূর্তে বলছি, আমরা আশা করব যে, তারা আমলে নেবে। আমরা বলেছি, যারা এটা করেছে, তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হোক। এটা আমরা আমাদের নোটে উল্লেখ করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা এটার নিন্দা জানাই।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে নিহত) যেটা হলো, সেটা নিয়েও আমরা একই রকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে আমাদের সুযোগ হবে, আমরা বলব। এটা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। দুই দেশের স্বার্থে উচিত এটা থেকে বেরিয়ে আসা। এটা ভারতের পক্ষে উপকার করছে বলে আমি কাউকে বলতে শুনিনি।এমএইচ
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক: অলি
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ৮৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নে গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া অনেক নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।অথর্ব ও অকর্ম ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অলি। তিনি বলেন, এমনটা করলে ছাত্র-জনতার রক্ত ব্যর্থ হবে।তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন- জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয় এটি পরিবর্তন করা যাবে না। তার জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।গণভবন কারও বাবার সম্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও গর্ব উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, এটি জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, প্রশ্ন হলো গণভবন কেন? অন্য কোনো জায়গা নয় কেন?এমএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক: অলি
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ৮৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নে গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া অনেক নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।অথর্ব ও অকর্ম ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অলি। তিনি বলেন, এমনটা করলে ছাত্র-জনতার রক্ত ব্যর্থ হবে।তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন- জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয় এটি পরিবর্তন করা যাবে না। তার জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।গণভবন কারও বাবার সম্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও গর্ব উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, এটি জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, প্রশ্ন হলো গণভবন কেন? অন্য কোনো জায়গা নয় কেন?এমএইচ
দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ বার্তা বিএনপির
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক কাজে সফরকালে যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল (রোববার) দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। খবর বিবিসি বাংলার। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে, দলটির সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্য সফরের সময় কোনো ধরনের মোটর সাইকেল বহর ও গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে বলা হয়েছে।সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, যে এলাকায় সাংগঠনিক সভা, কর্মী সভা অথবা জনসভা অনুষ্ঠিত হয় সেই এলাকায় ঊর্ধ্বতন নেতাদের আগমন ঘটলে শোভাযাত্রার কারণে প্রচণ্ড যানযটের সৃষ্টি হয় এবং মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।একইসাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন বা নিজেদের নামে পোস্টার প্রদর্শন না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এ বার্তায় বলা হয়েছে, এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, অনভিপ্রেত এবং দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এমএইচ
ভারত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত সবসময় তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা কারো জন্যই শুভ নয়। তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হওয়া উচিত।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, তার সুফল পেতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।ফখরুল বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের যে রাজনীতি ও আচরণ, সেটা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কীভাবে করছে, তারাই ভালো বোঝে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না।তার ভাষ্য, 'এর অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত সবসময় এই দেশগুলোর ওপর একটা প্রভুত্ব করেছে। যেটা ভারতের জন্যও শুভ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য শুভ নয়।'অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের মতামতের উপর নির্ভর করে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছে হন্তান্তর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সালমান মুক্তাদির ও মানজুর মতিন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির এবং আইনজীবী ও সংবাদ উপস্থাপক মানজুর আল মতিন।রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঘোষিত কমিটিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের ২ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।৫৫ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন। মুখপাত্র হয়েছেন সামান্তা শারমিন। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে সালমান মুক্তাদির ও মানজুর আল মতিনকে।সালমান মুক্তাদির বাংলাদেশের আলোচিত ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। জুলাই বিপ্লবে তিনি ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরাসরি ও অনলাইনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আন্দোলন চলাকালে তিনি পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারগ্যাসের মুখেও পড়েন। যেখানে অন্য জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা চুপ ছিলেন সেখানে তিনি আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। ফেসবুক ও ইউটিউবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রচারণা চালিয়ে যান।অন্যদিকে, মানজুর আল মতিন শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দিয়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি পুলিশের গুলি না করতে এবং ডিবি অফিসে হেফাজতে রাখা ৬ সমন্বয়ককে মুক্ত করতে রিট করেছিলেন।এফএস
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সময়োপযোগী: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার স্থায়ী রূপ ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার পক্ষে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংস্কারেরও পক্ষে দলটি।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন ।মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তারা ভালোই করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেক সমস্যার সমাধান করেছেনও। বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গার্মেন্টসগুলোকে সচল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিপ্লবের পর কিছু সমস্যা থাকে। সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা আছে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ঘটনায় চেয়ে অপপ্রচার বেশি হচ্ছে।এইচএ
বিএনপির কর্মকাণ্ডে আ.লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে: নুর
সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়নি। দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ, শাসন ব্যবস্থা, দেশের ব্যবসায়িক খাত, অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ‘এখন আবার আরকেটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, লুটপাট দখলবাজি ও নৈরাজ্যে লিপ্ত হয়েছে; যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে।এটাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে’। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। নুর বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা বিলুপ্ত করে অবরুদ্ধ করেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। এসব কারণে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠে, সামিল হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে। যে কারণে ৫ আগস্ট দেশে থেকে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনাসহ তার এমপি-মন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। নুর আরও বলেন, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি দেশে সেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়, তা হলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হব। তবুও নৈরাজ্য বাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যেমন যৌথ বাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। এই মাফিয়াদের দমন করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি আমার জেলায় আসছি, সেখানে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে; এটা কেমন মানসিকতা। সংবাদের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বর্তমান সরকারকে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।এমএইচ
পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে নানা চক্রান্ত করছে। প্রশাসনের সব সেক্টরে এখনও তাদের লোক বসে আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব–তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা পাশের দেশের (ভারত) বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিককে ষড়যন্ত্র মোকবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের রেজাউর করিম পল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবিরসহ ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
সায়েন্সল্যাবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হয়।জানা গেছে, পাভেল নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমন অভিযোগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হন। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এছাড়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজে গিয়ে ভাঙচুর চালান। এতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তারা তাদের শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ সামী বলেন, দুপুর থেকে দুই কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ চলছে। তবে কী কারণে এ সংঘর্ষ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।এসএফ
সাতরাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ, তীব্র যানজট
ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে মগবাজার-মহাখালী, খামারবাড়ি-ফার্মগেট-শাহবাগ-কারওয়ানবাজার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান করছেন।জানা যায়, টেকনিক্যাল পদে নন টেকনিক্যাল নিয়োগ বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবেন। এ দিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির কারণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান বলেন, ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর উত্তরার আজমপুর ও বাড্ডার আফতাব নগরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. মাসুম (৩০) ও মো. নাসির (৪০) নামে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত মাসুম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাগমারা এলাকার ইসরাইল হোসেনের ছেলে এবং নাসির চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের চরমোহনপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।নিহত মাসুমের চাচা মাসুদ রানা জানান, উত্তরা আজমপুর বিএনএস সেন্টার ভবনের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নয় তলায় মাচাং বেঁধে প্লাস্টারের কাজ করার সময় তিনজন নিচে পড়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত মাসুম ও শহিদুলকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) বিকেল চারটার দিকে মাসুমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।অপর ঘটনায় নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ভাতিজা নুর-ইসলাম জানান, বাড্ডা আফতাব নগর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের আট তলায় বাইরের সাইডে মাচাং বেঁধে প্লাস্টার করছিল নাসির। এ সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাসিরের।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক মাসুম ও নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।এবি
দিলীপ আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তারে অভিযান
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান আজ শুরুর পরই সেখানে অভিযানে গেছে র্যাব।আজ মঙ্গলবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যেই তার কার্যালয়ে গেছে র্যাবের একটি দল। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।এফএস
হাজারীবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত
রাজধানীর হাজারীবাগ বারইখালী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশাচালক (১৮) নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. সুমন জানান, আজ ভোরের দিকে হাজারীবাগ বারইখালি এলাকায় যাত্রী বেশে কয়েকজন ছিনতাইকারী একটি সিএনজির গতি রোধ করে। কোন কিছু বোঝার আগেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চালককে গুরুতর আহত করে। পরে ওই চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।এআই
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কেটে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন দশ পকেট ব্রিজের নিকট এ দূর্ঘটনা ঘটে।চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়।পরিচয় সনাক্তের জন্য ঝিনাইদহের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানানো হলে তারা পরিচয় সনাক্তে নিহত অজ্ঞাত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে।এসএফ
ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় অপর ট্রাকের সহযোগী নিহত
মাত্র একদিনের ব্যাবধানে ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বাগেরহাটের ফকিরহাটে মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের সহযোগী নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত তানজু শেখ (১৮) গোপালগঞ্জ সদরের খেলনা এলাকার ট্রাক চালক ইকবাল শেখের ছেলে।ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার মোল্লা মনিরুজ্জামান জানান, ট্রাক চালক ইকবাল শেখ পিলজংগ মেসার্স কামাল ফিলিং স্টেশন তেল নেওয়ার জন্য ট্রাকটি দাড় করায়। ঘটনার সময় তার ছেলে ওই ট্রাকের সহযোগী তানজু শেখ পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।এসময় রড বোঝাই খুলনাগামী অপর একটি দ্রতগতির ট্রাক তাকে সজোরে ধাক্কায় দেয়। এতে তানজু শেখ ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময়ে নিহতের পিতার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় টাউন-নওয়াপাড়া মোড় থেকে ঘাতক ট্রাকটি স্থনীয়দের সহযোগিতায় জব্দ করা হয়েছে। এসময় ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে। এইচএ
নিরীহ মানুষের নামে হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে ভোমরায় মানববন্ধন
ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বন্দরের সফল ব্যবসায়ী, অধিক করদাতা ও বিশিষ্ঠ সমাজসেবক নাজমুল আলম মিলন, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দীন (১৭২২) ও মোঃ হারুণ (১১৫৫)সহ নিরীহ ও নির্দোষ মানুষের নামে হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সামনে ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশন, ৪টি শ্রমিক ইউনিয়ন ১১৫৫, ১১৫৯, ১৭২২ ও ২২৬৪ এবং ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির হাজার হাজার শ্রমিক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভোমরা ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন মাও. ওবায়দুল্লাহ, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা, বিএনপি নেতা গ্রাম্য ডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমান, নিহত খলিল আহমেদের বরভাই ইসমাইল হোসেন, স্ত্রী মিনা খাতুন প্রমূখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের দিকে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় ক্রসফায়ারে নিহত হন ভোমরার লক্ষীদাঁড়ী গ্রামের আজগার আলীর ছেলে খলিল আহমেদ পুটি। গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া গ্রামের উসমান গাজীর ছেলে জাফর আহমেদ বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বন্দরের সফল ব্যবসায়ী, অধিক করদাতা ও বিশিষ্ঠ সমাজসেবক নাজমুল আলম মিলন, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দীন(১৭২২) ও মোঃ হারুণ(১১৫৫)সহ অসংখ্য নিরীহ ও নির্দোষ মানুষকে আসামী করা হয়েছে।যেখানে খলিল আহমেদ পুটি মারা গেছেন ২০১৮ সালের দিকে অথচ ওই মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের। মামলায় ভিকটিমের বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে তবে তিনি এখনও জীবিত আছেন এবং এই মানববন্ধে উপস্থিত আছেন। এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্যই প্রমাণ করে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক।এসময় বক্তারা মিলনসহ নিরীহ ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই মামলা থেকে যদি বাদ দেওয়া না হয় তবে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারী দেন।এইচএ
টানা বন্ধের পর ফের চালু শার্শার সাতমাইল পশুর হাট
টানা বন্ধের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুর হাট নতুন করে চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাটটিতে গরু ছাগল এবং ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরপুর হয়ে উঠে।জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হাটটি ইজারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটটি পরিচালনা করতো স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ টিংকু। তাদের কাছ থেকে ব্যাপারীরা ৩ হাজার টাকা করে ব্যাপারী কার্ড গ্রহণ করলেও গরু প্রতি তাদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা করে আদায় করা হতো এবং সাধারণ ক্রেতাদের কাছে থেকে গরু প্রতি এক হাজার থেকে ১২ শত টাকা আদায় করা হতো। অথচ গরু হাট ইজারা না হওয়ায় সরকারি পাশ মুল্য ছিল ৪ শত থেকে ৬ শত টাকা। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পরে হাটটি পরিচালনায় আওয়ামী লীগের ওই সকল নেতা গা ঢাকা দিলে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে হাটটি ২দিন পরিচালনা করছিলেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি বকুল ও টিংকুর কাছ থেকে করা ব্যাপারী কার্ড এর কোন সুবিধা পাইনি কার্ডধারী ব্যাপারীরা। হাটে কার্ডধারী ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতাদের একই মুল্যে প্রতিটি গরুর পাশ শুরু হলে ক্ষোভে ফুসে উঠে কার্ডধারী ব্যাপারীরা। হাটে আন্দোলন শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটার আশংকায় তখন হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।পরে বাগআঁচড়া সাতমাইল গরু হাট বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীরা এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটি প্রশাসনের নজরে আসে এবং মঙ্গলবার থেকে গরুর হাটটি নতুন করে খুলে দেন উপজেলা প্রশাসন।গরুর ব্যাপারী আজম বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে এই হাটের সাথে জড়িত। এখানে গরু কেনা বেচা করি। এবার হাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা হতাশায় ভুগছিলাম। কারণ সারাবছর ধরে খামারের গরু লালন-পালন করে এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। বাইরে থেকে ব্যাপারী না এলে আমাদের গরু লোকশানে বেচাকেনা করতে হতো। এখন পশু হাটটি সচল হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, এই হাটটি এর আগে প্রায় ১০ বছর ইজারা নিয়ে চালিয়েছে এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে হাট পরিচালনা করেছে। চলতি বছর হাটের কোন ইজারা তারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা হাটটি পরিচালনা করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর হঠাৎ প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে রেখেছেন এটা দুঃখজন। এই হাট থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতে প্রশাসন ও জড়িত ছিলো বলে তিনি অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, সাতমাইল গরু হাটটি পরিচালনা করতে ১৩০ থেকে ১৫০ জন জনবল প্রয়োজন। এতো জনবল উপজেলা প্রশাসনের না থাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে কিছুদিন হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিলো। পরে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে তাদের নির্দেশে পশু হাটটি আবারও চালু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় পশুহাট শার্শার সাত মাইল পশুহাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুইদিন হাট বসতো। দুই দিনের এ হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারিভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এ হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত বাংলা ১৩২৮ সালে সাত মাইল পশুহাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ সালে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ সালে এ হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ সালে এ হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি। যে কারণে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারি আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
বেনাপোলে গোয়ালঘরে মিলল ৩২৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী পুটখালি গ্রাম থেকে ৩২৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ মো. আলাউদ্দীন (২৭) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬, যশোরের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দীন ওই গ্রামের মৃত রবিউল হোসেনের ছেলে।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ যশোরের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার ফ্লা. লে. মো. রাসেল জানান, গোপন সংবাদে জানা যায় বেনাপোলের পুটখালি উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আলাউদ্দীন এর বসত বাড়িতে মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উক্ত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়ালঘরে রাখা ৩২৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারী আলাউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আলাউদ্দীন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূলে ভরতীয় ফেন্সিডিল ক্রয় করে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রি করে থাকে।জব্দকৃত আলামত ও আসামী আলাউদ্দীনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর পূর্বক মাদক আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় এটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে অ্যাকশনে ট্রাফিক পুলিশ
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশৃংখল হয়ে পড়ে বন্দরনগরীর প্রধান সড়ক গুলো। ব্যাটারিচালিত অটো-রিক্সা,ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দাপিয়ে বেড়ায় সড়ক। এতে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি তৈরী হয় দীর্ঘ যানজট। মূল্যবান কর্মঘন্টা নষ্ট এবং ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী । মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সড়কে শৃংখলা ফেরাতে এবার আইন প্রয়োগ শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিকের পশ্চিম বিভাগের তত্ত্বাবধানে নগরীর অলংকার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয় । রোড পারমিট ও কাগজপত্র বিহীন এবং মহানগর এলাকায় প্রবেশে নিষিদ্ধ যানবাহন হিসেবে ৮টি ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ একটি বাস, দুইটি ট্রাক, একটি হিউম্যান হলার, দুইটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, দুইটি অটো টেম্পো, একটি মোটর সাইকেল আটক করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়।`এছাড়া মামলা দেওয়া হয় কয়েকটি যানবাহনকে। এবিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আহম্মেদ পেয়ার সময়ের কন্ঠস্বর ’কে জানান, ‘যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ ।বিশেষভাবে নির্দেশনা মোতাবেক প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালানো বন্ধ করতেই কার্যক্রম শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ। একি সাথে কাগজপত্রে দীর্ঘদিদিনের ত্রুটি আছে এমন যানবাহনগুলোকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’ সড়কে শৃংখলা ফেরাতে এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা ।পিএম
ফেসবুকে দেখা নেই ‘এক দফার কবর’ চাওয়া নেতাদের
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় রাজপথে নেমেছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ‘শান্তি সমাবেশ’ নামক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে এক দফার কবর দিতে চেয়েছিল তারা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যাপক সক্রিয় থাকতেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যখন ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখনো বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় দেখা গেছে। নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজ সক্রিয় ছিল সেই সময়ে। প্রায় প্রতিদিনই পোস্ট, ছবি, ভিডিও, লাইভে সরব ছিলেন তারা।তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর প্রোফাইল ও পেজগুলো যেন হারিয়েই গেছে ফেসবুক থেকে। কয়েকদিন ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, বেশি সরব নেতাদের প্রোফাইল বা পেজগুলো ফেসবুকে আর নেই।সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের কোনো প্রোফাইল এখন নেই ফেসবুকে। নেই তাঁর কোনো পোস্ট। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের প্রোফাইলও উধাও ফেসবুক থেকে।চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এম. লুৎফুর রহমান মাসুমের ফেসবুক প্রোফাইল সক্রিয় রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের আগে কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে দেয়া কোনো পোস্ট ওই প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে না।উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ শানের প্রোফাইল সক্রিয় আছে এখনো। সর্বশেষ পোস্ট ২৩ আগস্ট। তাতে নিজের পিতার মৃত্যুবার্ষিকীর কথা তুলে ধরেছেন। তবে কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে দেয়া কোনো পোস্ট ওই প্রোফাইলে আর দেখা যাচ্ছে না।সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরীর ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া গেলেও তাতে ১ আগস্টের পরের কোনো পোস্টের খোঁজ মিলছে না। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামের বেশিরভাগ ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজগুলো আর নেই। তবে কিছু প্রোফাইল ও পেজ সক্রিয় থাকলেও তাতে ৫ আগেস্টর পরে নতুন করে কোনো পোস্ট নেই। এমনকি কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে দেয়া পোস্টগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এসব প্রোফাইল ও পেজগুলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কোনো প্রোফাইল বা পেজে অনেক বেশিসংখ্যক ব্যবহারকারী রিপোর্ট করলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ব্যবহারকারী নিজেও প্রোফাইল বা পেজ নিষ্ক্রিয় (ডিজঅ্যাবল) করে রাখতে পারেন।জানা গেছে, ‘সাইবার ৭১’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলনের পক্ষে সরব তৎপরতা চালায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যাঁরা উসকানিমূলক পোস্ট প্রকাশ করছিলেন, তাঁদের প্রোফাইল ও পেজে ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে ‘সাইবার অ্যাকশন’ নেওয়া হতো। বিভিন্ন পদধারী নেতার প্রোফাইল ও পেজের বিরুদ্ধেও একই রকম তৎপরতা চালানো হতো।
লাকসামে মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে হত্যা, গ্রেফতার ২
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের খুন হওয়া মোঃ শাহজাহান ওরফে সাইমন (১৭) হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।নিহত সাইমন হলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মোঃ শাহজাহান ওরফে সাইমন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, একই উপজেলার গণিপুর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে আবদুল ওয়াদুদ ও লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও এলাকার মৃত নূরু মিয়ার ছেলে সানাউল্লাহ। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামানের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, মামলার তদন্তে নিয়োজিত পুলিশের একটি বিশেষ টিম সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে আব্দুল ওয়াদুদ মানিককে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং মোঃ সানাউল্লাহ নামে আরেকজনকে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার করে যে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়, সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসময় মৃতদেহ থেকে পঁচা রক্ত ও পানি বের হচ্ছিল।এফএস
কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা, প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বিবৃতি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা। এ মামলা পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন তারা।বিবৃতিতে অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। তারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি ও হীন উদ্দেশ্য রয়েছে। সাজানো এ মামলা সাংবাদিকদের সামাজিকভাবে অপদস্থ ও হেয় করার অপচেষ্টার অংশ।প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সেক্রেেটার গিয়াস উদ্দিন রনির বাড়িতে হামলা ভাচুর,সাবেক সভাপতি সুভাষের ছেলের উপর হামলা,সাংবাদিক ইকবাল হোসেন মজনু দোকানঘর ভাংচুর।আমরা এসব অনিয়মের তিব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা থেকে সাংবাদিক নেতার নাম প্রত্যাহার ও ষড়যন্ত্রকারী মহলকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। তারা আরো বলেন, আমরা মনে করি এসব করে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধের অপচেষ্টা করছে একটি মহল। যা কারো জন্য শুভ নয়।বিবৃতিতে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক সমাজ সব সময় যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। রক্তস্নাত একটি আন্দোলনের পর দেশের মানুষ যেখানে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে মিথ্যা ও উদ্ভট নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মামলার আসামি করার ঘটনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।উল্লেখ্য গত ৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। এতে অন্য আসামিদের সঙ্গে সাংবাদিক নেতা হাসান ইমাম রাসেলকে আসামি করা হয়।এফএস
কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
রাঙামাটি সদর উপজেলার শহরের অদূরে টিটিসি এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে নোবেল চাকমা (৬) ও স্টেলা চাকমা (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ড টিটিসি রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা নলিন চাকমা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বাচ্চা দুটোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যে শিশুদের পায়ের জুতো ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা পানি নেমে ডুব দিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টিটিসি রোড এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক।এদিকে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারসহ পুরো এলাকা শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এসএফ
বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়ানৌকার নিখোঁজ বাবু প্রামানিকের (৩৫) লাশ একদিন পর ও মুক্তার আলী (৩২) লাশ দুইদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কালিহাতীর জোকারচর এলাকা থেকে বাবু প্রামানিকের লাশ ও মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে পৌলি এলাকা থেকে মুক্তার আলীর(৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়।রোববার রাত ৮ টার দিকে কালিহাতীর জোকারচর খেয়াঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়ানৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হন ওই দুই ব্যক্তি।নিহত মুক্তার আলী কালিহাতী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। বাবু প্রামাণিক টাঙ্গাইল সদর উপজেলা মালঞ্চ গ্রামের মৃত রহম প্রামানিকের ছেলে।কালিহাতীর জোকারচর এলাকায় খেয়ানৌকায় কয়েকজন যাত্রী ধলেশ্বরী নদী পার হচ্ছিলেন। এসময় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়ানৌকার কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। সাতরে অন্যরা পাড়ে উঠতে পারলেও বাবু প্রামানিক ও মুক্তার আলী পাড়ে উঠতে পারেনি। সোমবার সকালে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বাবু প্রামানিক ও মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে মুক্তার আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়।টাঙ্গাইলে নৌ পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোহেল রানা সোমবার ঘটনাস্থল করে জানান, যে যানবাহনের মাধ্যমে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই বাল্কহেডটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাল্কহেডের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসএফ
মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত মাদারীপুর। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য এ সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন দলটির মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদারীপুর শহরের চৌরাস্তা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার নেতারা।বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিব আহম্মেদ চৌধুরী জানান, নৈরাজ্যবাদ বিরুদ্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাদারীপুরে আসবেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে বক্তব্য দেবেন।গণ সমাবেশে শুধু মাদারীপুর জেলারই নয়, আশপাশের শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও বরিশাল জেলার সাধারণ মানুষ ও মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এতে ১০-১৫ হাজার মানুষের সমাগম হতে পারে। তাদের নিরাপত্তায় এইর মধ্যে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে গণ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিব আহম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মেজবাউল ইসলাম, সহসভাপতি মাওলানা সালমান ফরিদী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী নোমান আল হাবিব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল, পৌর শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ, শ্রমিক মজলিদের সদস্য সচিব আলী আহম্মেদ শাহীনসহ অনেকেই।এইচএ
গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় একজন নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত নারী শ্রমিকের নাম শিরিন। তিনি স্টারলিং ডিজাইন্স কারখানায় কর্মরত ছিলেন।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাস পাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মালবাহী ট্রাক শ্রমিকদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই শিরিন মারা যান। আহত তিন শ্রমিককে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এর মধ্যে একজনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের খাবারের বিরতির সময় শ্রমিকরা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় জয়দেবপুর থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পরপরই শ্রমিকদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ট্রাকটিকে আটক করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে মৌচাক সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শান্ত করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ‘দুর্ঘটনার পর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’দুর্ঘটনার পর পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং শ্রমিকরা দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এমএইচ
মুন্সিগঞ্জে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলারদের সঙ্গে সার-বীজ মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে ডিলারদের করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা মূলক স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মো.আবু সাঈদ শুভ্র। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম,বিসিআইসি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.বাদল মিয়া, বিসিআইসি উপজেলা কমিটির সভাপতি যাদব ঘোষ, বিএডিসি উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুন্সী সহ উপজেলার বিএডিসি ৩৬ও বিসিআইসি ১৫ জন সার ডিলারবৃন্দ। এ সময় সার ডিলাররা বলেন, দূর থেকে নয়, নিকটস্থ সার গুদাম থেকে সার দিতে হবে। সারের কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে, একাধিক এরাবেল কাগজ না করে একটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে হবে, জমাট বাধা সার দিতে পারবে না। সহজে সার-বীজ পরিবহনের জন্য পাঁচপীর মাজার গেটটি খুলে দেওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন তারা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডিলারদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস প্রদান করেন।এইচএ
মধুপুরে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ ১২জন বন্দির মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে গারো কোচ সম্প্রদায়েরা লোকেরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠন, আচিক মিচিক সোসাইটি, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ, কোচ আদিবাসী সংগঠন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের একাংশ ও গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মধুপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েকশত গারো কোচ নারী পুরুষরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানব বন্ধন শেষে এ স্মারক লিপি প্রদান করে। মানব বন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি থমাস চাম্বুগং, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের মধুপুর শাখার সভাপতি তুষার নেকলা, বাগাছাসের মধুপুর শাখার লুসি রিছিল, কোচ আদিবাসী সংগঠনের নেতা ভরত বর্মন, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রিসার্ড মৃ, আদিবাসী নেত্রী রোজী ম্রং, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের থানার বাইদ শাখার সভাপতি এজেজ রেমা, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন হাগিদক, কোচ আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি গৌরাঙ্গ বর্মন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীন চিসিম, সার্বিক মানব উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজ উদ্দিন, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নারী নেত্রী মেগি মেদিলিনা ম্রং,অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রবীর কুমার বর্মণ, ইদিলপুর গ্রামের উৎপল রেমা প্রমুখ। মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের খ্যাতনামা সভাপতি ইউজিন নকরেকসহ সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে গাছ চুরির মামলা করায় ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাকেসহ ১২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বক্তারা, এই মামলাকে মিথ্যা ও ভূমিহীন আদিবাসী জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেন। সার্বিক মানব উন্নয়ন সংগঠনের ৮৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিবাদীর দায়ের করা মামলায় তিনিসহ আরো ১১ জন জেল হাজতে রয়েছেন।এইচএ
বেশি দামে সিগারেট বিক্রির দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা
বরগুনার তালতলীতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সিগারেট বিক্রির দায়ে হলিউড-বেনসন কোম্পানির ডিলার প্রতিনিধি বংক্রিমচন্দ খরাতিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।মঙ্গলবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই সিগারেট কম্পানির গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।তিনি জানান, ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিগারেট কম্পানির গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রি করার সত্যতা পাওয়ায় ওই সিগারেট ডিলার প্রতিনিধিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এসএফ
বরিশালে একযোগে ৪ থানার ওসি বদলি
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)দের বদলি করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একযোগে বদলি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই থানা গুলোতে নতুন করে কারা আসছেন সেটি জানা যায়নি। তবে বদলি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান তাকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর থানার পরিদর্শক বিপ্লব কুমার মিস্ত্রিকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। কাউনিয়া থানার পরিদর্শক আসাদুজ্জামানকে পিবিআইতে বদলি করা হয়েছে ও বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক হোসেনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।নগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, গেল কয়েকদিন আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বদলি হয়েছে এবং নতুন পুলিশ কমিশনার শীঘ্রই যোগদান করবেন। আর কমিশনারের যোগদানের পর এই চার থানায় কারা ওসি হিসেবে যোগদান করবে সেটা বলা যাবে।গত ৫আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে পুলিশ সংস্কার ও গণ বদলি চলছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একযোগে বদলি পুলিশ সংস্কারের একটি অংশ বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।এইচএ
গৌরনদীতে কলা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ৭
বরিশালের গৌরনদীতে কলা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গৌরনদী উপজেলার ২নং প্রার্থী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম বার্থী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সকালে পরিত্যক্ত মরে যাওয়া কলা গাছ কাটতে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কলম খলিফাসহ তার স্ত্রী মামতাজ বেগম। কলা গাছ কাটার সসয় হামলার শিকার হন মমত তাজ বেগম ও তার স্বামী কলম কলিফা। কলম খলিফার স্ত্রী মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন পরিত্যক্ত মরা যাওয়া কালা গাছ কাটার সময় বাধা প্রদান করেন আপাং হাওলাদারের ছেলে মিঠুন হাওলাদার। এ সময় হাবুল খলিফা সহ ১০/১২ জন আমার স্বামী ও আমাকে মারধর করে আহত করেন। এ খবর পেয়ে আমার ছেলে মনির খলিফা আসলে তাকেও হামলা শিকার হতে হয়। পরে আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছি।বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য হাবুল খলিফা জানান আমার ভাগ্নে কলম খলিফার কাছে জানতে চেয়েছে কেন কলা গাছ কাটা হয়েছে। তখন আমার ভাগ্নে এবং আমার কাকাকে আমি বুঝানোর চেষ্টা করি। ঝগড়া না করার জন্য। তখন আমার কাকা কথা না বুঝতে যেছে তিনি উত্তেচিত হন। তখন দুজনকে থামাতে গেলেই আমার কাকা বলেন কলাগাছ কেটেছি তাতে কি হয়েছে। তখন আমার চাচা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল ঘুষি মারেন। আমার ভাগ্নেকে থামাতে গেলে দুজনের সাথে হাতাহাতি একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয় দুজনেই কাদামাটিতে পড়ে যায়। হয়তো তখন আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা কলম খলিফা আহত হয়েছেন।মারামারির ঘটনার অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে তিনি আরো জানান উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এইচএ
বিপ্লবকে পুঁজি করে চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব শুরু করেছে: সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবকে পুঁজি করে একটি রাজনৈতিক গোষ্টি চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব শুরু করেছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশের যে অপরাজনীতি চাঁদাবাজি সহ যত অন্যায় অপরাধ আছে সেটা ৫ আগস্টে শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা যদি বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিষ্টদের মেতো রাজনীতি চলবে না নিজেদের সংশোধন করতে হবে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের সরকারী বিএম কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, যারা বিভিন্ন যায়গায় দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি করেছেন জেলায় জেলায় সম্মেলন করে দখলদারদের নাম ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করা হবে। আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যারা বিপ্লব সংগঠিত সেই ছাত্র জনতাই রাষ্ট্র গঠন করবে।সেই লক্ষ নিয়ে ছাত্র জনতা কি চাচ্ছে রাষ্ট্র পুন: গঠনে তাদের দাবিগুলো আমরা শুনছি ও লিখে নিয়ে যাচ্ছি। এরপর ঢাকায় একটি বড় সম্মেলন করে রাষ্ট্র পুন: গঠনের রূপরেখা প্রদান করা হবে। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের উপজেলা ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটি ছিলো ফলে সবাইকে সমন্বয় করা হয়েছে। কিন্তু ২৪ এর বিপ্লবটি যে যেখানে পেরেছে সমন্বয় করে টিম করে কাজ করেছে। আমরা জেলা উপজেলা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি। সবার সাথে কথা বলে আমরা একটা অথরাইজ কমিটি গঠন করে দিব। সেই কমিটির মাধ্যমে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো। প্রশাসনকে বলা আছে কেউ যদি সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কোন অন্যায়ি কাজ করে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কোন ছাড় নেই। এর আগে বরিশালের বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এ সময় শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। সভায় শিক্ষকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি, এম এ সাইদ, রাইয়ান ফেরদৌস, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, হাসিবুল হোসাইন শান্ত, মোবাশ্বেরা করিম মিমি, শহিদুল ইসলাম শাহেদ, তৌহিদ আহমেদ আশিক ওজিহাদ হোসেন। এইচএ
বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশনি ব্যবস্থা চালু, খেলাপী ঋণ ও পাচারের টাকা উদ্ধার, লুটেরাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা,সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে আলোচনা শুরু করার দাবিতে দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা কমিটি।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে কমিউনিষ্ট লীগের বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপেন্দ্রনাথ বাড়ৈর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে বক্তারা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন, খেলাপি ঋণ ও পাচারের টাকা উদ্ধার, লুটেরাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, সংস্কারের রোড ম্যাপ ঘোষনা সহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।এসময় বক্তব্য রাখেন- কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, বাসদ জেলা সদস্য সচিব ডা. মনিসা চক্রবর্তী সহ নেতৃবৃন্দরা।সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এইচএ
ময়মনসিংহে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানবন্ধন
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অপরিকল্পিত মাছের খামার করায় প্রায় দুইশত একর জমি অনাবাদী অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে এই জলবদ্ধতার কারণে এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদামিয়া মোড়ে ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে মানববন্ধন করেন। এসময় মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রশাসনের জরুরী দৃষ্টি কামনা করেছেন। জানা গেছে, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম মোজাম্মেল হকের ছেলের বন্ধু পরিচয়ে ফিসারি খনন করে প্রভাবশালী সাজ্জাদ হোসেন।এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান জানান, এই বিষয়টি শুনেছি। একটি তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুয়েল মাহমুদ বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এসএফ
উস্কানি দিয়ে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতা গ্রেফতার
পোশাক কারখানায় নাশকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষেয় উস্কানিদাতা এক ছাত্রলীগের নেতাকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ। রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থেকে গ্রেফতার করে কেন্দুয়া থানার পুলিশ।গ্রেফতারকৃত ইসতিয়াক আহম্মেদ হৃদয় (২৪) নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ সম্মিলিত ছাত্রলীগের শাখা কমিটির শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক।পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হন ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয়। তার বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার বাদে আঠারবাড়ী এলাকায়। তাকে সোমবার নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এআই
পিওন থেকে কোটিপতি নেত্রকোনার হুমায়ুন
কর্ম কমিশনে পিওনের চাকরি করেও যিনি কোটিপতি নেত্রকোনার মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জেলা সদরের যোগাটি গ্রামের আনোয়ারা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী মো. আরজ আলী খানের বড় ছেলে। কর্ম কমিশনে চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী হিসেবে ২০০৭ সনে চাকুরিতে যোগদানের পর গত ১৫ থেকে ১৬ বছরেই তিনি কোটিপতি বনে যান। নিজে চাকরি নেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। এরপর করেন চাকরি দেওয়ার ব্যবসা। হাতিয়ে নেন এলাকাবাসীর কাছ থেকে নগদ অর্থসহ জমি। এমন নানা অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। পুলিশ রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া গেছে হুমায়ুন ২০১২ সনে জুয়া আইনের মামলার (এফআরআই নং ০৫ জিআর নং ২০৭, ৫ মে ২০১২) আসামিও। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন আলিসান বাড়িসহ মিল। চাকরির জন্যে যারা টাকা দিয়েছিলেন অনেকে চাকরি না পেলেও ফিরে পাননি টাকা। দরবার করতে গেলে হুমকির অভিযোগ ওঠে। গত এক থেকে দুই বছর ধরে এলাকায় কেউই পাচ্ছেননা হুমায়ূনের দেখা। আত্মগোপনে থাকার কথা জানান অনেকেই। চাকরিতে গিয়ে নামে বেনামে করেছেন বেশ কয়েকটি বাড়ি। কোনটায় ভাই কোনটায় থাকেন বোন। আবার দিয়ে রেখেছেন ভাড়া। নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই কেডিসির বাসায় ভাড়া থাকে ১৬টি পরিবার। এদিকে গ্রামের ফিশারির পাশে আধুনিক মিল নির্মাণ করছেন, সাথেই রয়েছে তিনতলা ভবন। ওই গ্রামে তার নির্মাণাধীন অটো রাইস মিলের কেয়ারটেকার আব্দুল বারেক বলেন, ফিশারির পাশে নান্দনিক বাড়িতে কর্মচারীরা থাকেন। তারা এখানে থেকে কাজ করে। মালিকের জায়গা কতখানি তা তিনি বলতে পারেন না। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তৈরী করছেন মিলসহ নানা স্থাপনা।স্থানীয় আব্দুল গণি, আমির হোসেন, বীরেন্দ্র পাল সহ অনেকের অভিযোগ পিওনের চাকরি করেই একযুগে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন বলে তারা প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা বলেন আরজ আলী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় কোটায় চাকরি পায় অষ্টম শ্রেনি পাস হুমায়ুন। ডিয়ারিং থাকায় বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো না। কিন্তু নিজের চাকরির পর অনেকেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন। আবার চাকরি না পাওয়া অনেককে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেও ঘুরিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।ভুক্তভোগী বীরেন্দ্র পাল বলেন, তার ভাই দীরেন্দ্র পালের চাকরির জন্য ৫ কাঠা জায়গা ও ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছিলেন। যার কোনটাই ফেরত পাননি। হিন্দু পরিবার বলে পাচ্ছেন না সঠিক বিচার।অন্যদিকে সাতপাই কেডিসি এলাকার মো. ইয়াহিয়া ও রাসেল আহমেদ জানায় যোগাটি গ্রামে মিল কারখানা, বাড়ি সহ নেত্রকোনা কেডিসি এলাকায় বাসা, কাটলিতে জায়গা ঢাকার বনানিতে বাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে নানা স্থাপনা গড়ে তোলেন। পাওনা টাকা আদায়ে লোকজন আসলে তাদেরকে হুমকি দেন হুময়ায়ুন। বিচার দিলে কোন দিনই পাবে না টাকা। এদিকে খোঁজ নিয়ে এবং হুমায়ুনের খোঁজে কেডিসির পিছনের অপর একটি বাসায় থাকা একমাত্র বোন শরীফা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় তার ভাইয়ের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। মা আনোয়ারা বেগম বলেন, তিনি ছেলের বনানির বাসায় ছিলেন কিছুদিন। অধিক অর্থসহ এসকল তথ্য মিথ্যাও বলেও দাবী করেন মা। তিনি বলেন আগে থেকেই ছিলো। এআই
পুলিশ বাদি হয়ে কোন মামলা করবে না: ময়মনসিংহের নবাগত ডিআইজি
পুলিশকে আগের পর্যায়ে জনগণের কাছের পুলিশ হিসেবে পৌঁছাতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। জনগণের আস্থায় পুলিশকে নিয়ে আসতে চাই, এ জন্য সহযোগিতা চাই। আমরা আইনের পুলিশ থাকতে চাই। কারো অভিযোগ খতিয়ে না দেখে হয়রানির লক্ষ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। পুলিশ বাদি হয়ে কোনো মামলা করবে না।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর পুলিশ লাইন্সের বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ মাল্টিপারপাস শেডে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন, নবাগত রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো: আশরাফুর রহমান।তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সকল ধরনের সমস্যা নিরসনে পুলিশের পুরনো মনোভাব পরিবর্তন হচ্ছে। ট্রমা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু করবে। এ জন্য সংবাদকর্মীদের সঠিক লেখনী ও প্রচরণার মাধ্যমে সহযোগীতা কামনা করছি। যাতে সিআরপিসি ও পিআরবি অনুসারে পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।এসময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আজিজুল ইসলাম। এছাড়াও সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, আজকের ময়মনসিংহের সম্পাদক শামসুল আলম খান, হোসাইন শাহিদ, স্বাধীন চৌধুরী, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোঃ নজরুল ইসলামসহ প্রমূখ।সভায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি (অর্থ) সৈয়দ আবু সায়েম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, খন্দকার খালিদ বিন নুর কমান্ড্যান্ট ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার ময়মনসিংহসহ রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।এইচএ
জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল জামালপুর জেলা শাখা।শহরের স্টেশন রোডের জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা মহিলা দলের সভাপতি মোছা: সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ছাইদা বেগম শ্যামাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, যারা সরকারে রয়েছেন তারা অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারা তাদের পদে আগের অবস্থানে ফিরে যাবেন। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।এআই
১৬ প্রভাষকের স্বাক্ষরিত দরখাস্তে ১৪ বানান ভুল!
নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬ প্রভাষক মিলে লেখা ও স্বাক্ষরিত এক দরখাস্তে ১৪টি বানান ভুল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। এত জন প্রভাষক মিলে লেখা ও স্বাক্ষরিত এক দরখাস্তে কীভাবে এত বানান ভুল হয়— প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ভুলে ভরা সেই দরখাস্তটি পড়ে দেখা যায়, অপসারন (অপসারণ), স্বাক্ষরকারীগন (স্বাক্ষরকারীগণ), অংশগ্রহন (অংশগ্রহণ), ভূগিতেছি (ভুগতেছি/ভুগছি), পরিসিস্থিতি (পরিস্থিতি), শিক্ষকগন (শিক্ষকগণ), ষরযন্ত্র (ষড়যন্ত্র), প্রবাহীত (প্রবাহিত), পরিসিস্থিতি (পরিস্থিতি), শিক্ষকগন (শিক্ষকগণ), দুর্নিতি (দুর্নীতি), অপসারন (অপসারণ), বিষম্য (বৈষম্য), প্রভাষকগন (প্রভাষকগণ) বানান ভুল। তাছাড়াও সেখানে ইং তারিখের পরিবর্তে খ্রিষ্টাব্দ হবে। কম্পিউটার টাইপের পরিবর্তে কম্পিউটার কম্পোজ হবে। এছাড়াও দরখাস্তটিতে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ রয়েছে।এ প্রসঙ্গে নবম শ্রেণী শিক্ষার্থী মেজবা মাহিন বলেন, ১৬ দফা দাবি শিক্ষকদের দেয়া হলে তারা নিজ ইচ্ছায় আমাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে এবং স্বাক্ষর করেন। অভিযোগের শিক্ষকগণ যা লিখেছে তার অধিকাংশই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। শিক্ষকগণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বখাটে বলে চরম অপমান করেছে।নবম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রাজ বলেন, আমরা কোনো শিক্ষককে জোরপূর্বক ভাবে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করিনি। অথচ প্রভাষক স্যারেরা উল্লেখ করেছেন উনাদের হেনস্তা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। আমরা শিক্ষকদের গালিগালাজ বা কোন ধরনের হেনস্তা করিনি। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা।ভুল বানানে লেখা দরখাস্তের সমালোচনা করে গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৬ প্রভাষক মিলে অল্প কয়েক লাইনের একটা দরখাস্তে এতগুলো ভুল বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দরখাস্তটি পড়ে স্যারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যারা শিক্ষার্থীদের শেখাবেন তাদের যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন থাকে তাহলে তারা কিভাবে শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা প্রদান করবেন?এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কামরুজ্জামান স্যার সবার সাথে কথা বলে স্বাক্ষর নেন। সেই সময় আমি তিন বার বের হয়ে আসতে চাইলে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।’অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরদানকারী প্রভাষক শিখা রানী সরকার বলেন, ‘অভিযোগ পত্রটি না পড়েই আমি কামরুজ্জামান স্যারের কথায় স্বাক্ষর করি।’দরখাস্তে এত গুলো ভুল কিভাবে হলো এই বিষয়ে জানার জন্য প্রভাষক কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কি তোমার কাছে পরীক্ষা দিছি। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে নাম্বার দিবে। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’আরইউ
হিলিতে আদালতের নির্দেশে ১ মাস পর কবর থেকে সূর্যের লাশ উত্তোলন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হাকিমপুর-হিলি পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের বাড়িতে আগুনে পুড়ে নিহত আসাদুজ্জামান সূর্যের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে ১ মাস ৫ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত আসাদুজ্জামান সূর্য বড় ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মজনুর ছেলে।এসময় হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলার হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলামসহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।আরইউ
আবু সাঈদ হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কঠোর নিরাপত্তায় রংপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআই পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে চার দিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে সোমবার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ওই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়। গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন।এআই
৩১ ঘণ্টা পরেও গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৫) মরদেহ ৩১ ঘণ্টাতেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অথবা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মরদেহটি ফেরত দেওয়ার কথা আছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।নিহত জয়ন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী লাহীড়ির ধানতলা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের মহাদেবের ছেলে। সিলেটের স্বর্ণা দাসের পর গতকাল সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতালা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নিহত হয়। এ সময় তার বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও দরবার আলী নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তারা বর্তমানে রংপুরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে ধনতালা বিজিবি সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩ এর পাশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় গুলি চালায় ভারতের ডিংগাপাড়ায় থাকা বিএসএফ বাহিনী। এতে ভারতের অভ্যন্তরে জয়ন্ত কুমার সিংহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ সময় তার বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও দরবার আলী নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তারা বর্তমানে রংপুরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এর আগে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজির আহমদ বলেন, আমরা রোববার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। মরদেহটি পেলে আইনি পক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ থাকলেও সচল ছিল তৃতীয় ইউনিট, যা থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এর আগে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে এ উৎপাদন শুরু হয়। যা দুই দিন পরেই বন্ধ হয়ে গেল।জানা যায়, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল।পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তিমোতাবেক, এ সময় উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেননি চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কারণেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বারবার ত্রুটি দেখা দিলেও সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে প্রয়োজন হয় দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প। যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে; কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তৃতীয় ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করলে তারা অজ্ঞাত কারণে তা আমলে নেননি।সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর মেরামতের মাধ্যমে ইউনিটটি চালু করা হলে দুই দিনের মাথায় আবারও সোমবার সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম।সূত্র মতে তৃতীয় ইউনিট থেকে বর্তমানে উৎপাদিত ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এটি সচল রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।সূত্রটি আরও জানায়, ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ আছে। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট।গত শুক্রবার রাত ৯টার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটি সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। একই সঙ্গে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নিত হবে বলে ধারণা করছেন সূত্রটি।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে, তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রতিটি ইউনিটের জন্য দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প থাকে। যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে; কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তৃতীয় ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন। এফএস
প্রাথমিক শিক্ষা পদকে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা
প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ উপলক্ষে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্ব এবং বিশেষ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠদের মনোনীত করা হয়েছে।ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেকেন্দার আলী'র যৌথ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় মনোনীতরা হলেন- উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. হাবিবা খাতুন খন্দকার।উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক শাহনুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার গোস্বামী, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা বেতুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফসানা জামান ও শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক দিলপাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর।এদিকে শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন মো. সেলিম রেজা। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে কর্মরত মো. রাশিদুল আলম শ্রেষ্ঠ কর্মচারী ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে ১নং ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি মোছা. নাজমুন নাহার সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, যেসব দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই'র মাধ্যমে মনোনীত করা হয়েছে। এ পদক প্রদানে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।এইচএ
বেলকুচিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা অনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় আয়োজিত প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খাঁন, সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামান মন্ডল।এসময়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে দারিদ্র বিমোচনে উপজেলা পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গুরুত্ব এবং খেলাপী ঋণ আদায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিভিন্ন ধাপ নিয়ে। আরও আলোচনা হয় আর্থ সামাজিক স্কীম ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং আরএসএস কার্যক্রম বাস্তবায়নে গ্রাম কমিটির দায়িত্ব সম্পর্কে। ঋণ খেলাপী হলে সরকারী ঋণের অনাদায়ী অর্থ আদায়ে আইনী পদক্ষেপ কি হতে পারে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের গ্রাম কমিটির সভাপতি বা দলনেতা, সাংবাদিক, ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারীরাগণ অংশগ্রহণ করেন।এইচএ
ভাঙ্গুড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন মো. নুরুজ্জামান
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান।শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বহুমুখী অবদান রাখার জন্য উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটি তাকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেকেন্দার আলী'র যৌথ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকের অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা ও পরামর্শে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই অর্জনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, জেলা পর্যায়েও আমি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, উপজেলার সব প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বাছাই করে পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামানকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি মোছা. নাজমুন নাহার সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে উপজেলার সব শিক্ষক আরও ভালো করবেন সেই প্রত্যাশা করছি।
দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে: সমন্বয়ক মাহিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার বলেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলা হয় সেই স্বাধীনতা এসেছে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে, যারা এক সেকেন্ড আগেও জানতো না মাথার এই পাশ দিয়ে বুলেট এসে মাথার খুলি ভেদ করে চলে যাবে। আমরা জানতাম আমরা মারা যাচ্ছি।মাহিন সরকার আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের যে ডিবিতে নেওয়া হতে পারে এটা নাহিদসহ তারা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। তারা আগেই আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল, আমরা কিন্তু ডিবিতে যেতে পারি। আমরা নাও থাকতে পারি, তোমরা আন্দোলন চালিয়ে নিও।সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে গণ অভ্যুথানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, ঐক্য প্রতিষ্ঠা, এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক সাধারণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মাহিন বলেন, সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে এখনো কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, সারাদেশের সিন্ডিকেট এখনো ভাঙ্গেনাই। প্রত্যেকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একপক্ষ থেকে আরেক পক্ষে হ্যান্ড ওভার হয়েছে। তাদের সঙ্গে কি আমরা আপোষ করব প্রশ্ন রেখে স্লোগান দেন আপোষ না সংগ্রাম, দালালি না রাজপথ।আমরা কারো বা কোন পক্ষের দালালি করতে আসিনাই। আমাদের বন্দুকের ভয় অনেক আগেই দেখাইছেন, আমরা সেই ভয় পাইনি। টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করেছেন, অনেক প্রলোভন দেখিয়েছেন, বাবা আসো মিডিয়া হাইলাইটস দেব, নেতা হবা তুমি, লাইফে যা যা লাগে সব দিব। আমি ওদেরকে প্রশ্ন করেছি, যদি আমাদের এই আন্দোলন নষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনার র্যাংক উন্নীত হবে। আর আমি যদি আন্দোলন সফল করতে পারি তাহলে আমার নাম ইতিহাসের পাতায় থাকবে। শুধু আমার কথা নয়, এই প্রজন্মের কথা আমি বললাম। আমাদেরকে টাকা দিয়ে কেনা যায় নাই, আমাদের সাথে আপোষ করে পারেনাই ফ্যাসিস্টরা। আমরা এখনো ভয় পাইনা, প্রয়োজন হলে আবারও রাজপথে নামতে রাজি।মাহিন সরকার বলেন, আমার একটা কথা মনে থাকবে আজীবন, যখন নাহিদ ইসলাম ভাইসহ ৬ জন সমন্বয়ককে যখন অস্ত্রের মুখে তাদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়ানা হলো তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম আমাদের এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সিদ্ধান্ত নিলেও মৃত্যু, না নিলেও মৃত্যু। যদি না নিতাম তাহলে সারাদেশের মানুষ বলতো এরা জাতীয় গাদ্দার। তখন ইতোমধ্যেই জনগণের মধ্যে থেকে কথা আসছিল এক দফা এক দফা। কমেন্টে গালাগালিও করছিল অনেকে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সিরাজগঞ্জের ছাত্র প্রতিনিধি ফয়সালের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কুবরাতুল আইন কানিজ, সাইফুল ইসলাম, মো. ইফতেখার আলিম আসাদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (মেহেদী), ফায়সাল আহমেদ, আল রাকিব, ফাতিন মাহদি, সাদিকুল ইসলাম স্বাধীন, ঐশিক মন্ডল জয়, ইমাম হোসাইন ইমন। তারা সবাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন। এসময় তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন সিরাজগঞ্জের ছাত্র প্রতিনিধিরা।এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর ভাসানী মিলনায়তনে আন্দোলনে শহীদদের পরিবার, আহত ও আহতদের পরিবার ছাড়াও আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন তারা। এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ছাত্র-জনতারা উপস্থিত ছিলেন।এআই
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দৈনিক করোতোয়া পত্রিকার সলঙ্গা প্রতিনিধি ও সলঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কোরবান আলীর উপর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম এলাহি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ সেপ্টে.) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সলঙ্গার লুঙ্গি হাটায় গেলে সাংবাদিক কোরবান আলীর উপর হামালার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত লোকজন 'সাংবাদিক কোরবান কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।আহত সাংবাদিক কোরবান আলী বলেন, আমি বাড়ি থেকে আমার মোটর সাইকেল নিয়ে সলঙ্গা বাজেরর লুঙ্গি হাটায় গেলে, যুবদল নেতা সেলিম এলাহী ও তার সহযোগীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার সাথে আমার কোন পুর্ব শত্রুতা ছিল না। এবিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী।অভিযুক্ত সেলিম এলাহী সলঙ্গা থানার বনবাড়ীয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলী আশরাফের ছেলে ও থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। সে এলাকায় পুকুর খনন, মাটি ব্যাবসার সাথে জরিত বলে জানিয়েছে এলাকা বাসি।এবিষয়ে অভিযুক্ত সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম এলাহী মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।সলঙ্গা থানা যুবদলের আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম পাপন জানান, বিষয়টা শুনেছি দু:খ জনক। তৎক্ষনিক আমার সদস্য সচিব শাহিন রেজাকে সাংবাদিক কোরবান আলী ও সেলিম এলাহীকে নিয়ে বসে সমাধান করতে বলেছি। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনাটা শুনেছি তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। সাংবাদিক সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে সাংবাদিক কোরবান আলীর উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।পিএম
পুলিশ নিজেই চাঁদাবাজ হলে, রুখবে কিভাবে : পুলিশ সুপার
পুলিশ ৫ আগস্টের আগে ছিল দখলদারদের বাহিনী, চাঁদাবাজ, লুটেরা। এরপর কোমলমতি ছেলেরা আমাদেরকে স্বাধীনভাবে চলার জন্য, মুক্ত ভাবে কথা বলার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তারা যে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আর কোন দখলদার, চাঁদাবাজ, লুটেরাদের টাই দেব না। এব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গিকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার নতুন পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিগত সময়ে পুলিশ রাজনৈতিক যে লেজুড়ভিত্তি নিয়ে কাজ করেছে বর্তমান সরকার পুলিশকে সেভাবে ব্যবহার করবে না। পুলিশ জনগণের সেবায় কাজ করবে। পুলিশ নতুন উদ্যোমে কাজ করবে। আপনারা ঘুমাবেন, পুলিশ পাহারা দিবে। কোন জায়গায় পুলিশের চাঁদাবাজি হবে না। আমি আপনাদের আশ^স্ত করতে চাই পুলিশের কোন চাঁদাবাজির তথ্য থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেব। পুলিশ চাঁদাবাজি করতে পারেনা, পুলিশ জনগণনের সেবক, পুলিশ নিজেই চাঁদাবাজ হলে তাহলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ কোন চাঁদাবাজের পক্ষ নিবে না এবং চাঁদাবাজি করবে না। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ মুখ তুবড়ে পড়ে ছিল। সকলের প্রচেষ্টায় পুলিশ ঘুরে দাড়াচ্ছে।মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ফ্রি ভাবে চলাফেরা করবে। তারা আগের মতো চাঁদাবাজ হবেনা, দখলদার হবেনা, আগের মতো অনৈতিক কাজে জড়িত হবেনা। কোন পুলিশ মাদকের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে সমাজের কিছু ব্যক্তি ছিলেন, যারা আপনাদের সমাজের অংশ, যারা এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা করেছিল, তাদের কেউ রেহাই পাবে না। কোনভাবেই ছাড় পাবার সুযোগ নেই। তারা আমাদের নিজেদের শ্ত্রু না, তারা স্বাধীনতার শ্ত্রু, তারা আমাদের মুক্ত ভাবে কথা বলতে দেয়নি, লিখতে দেয়নি, তাদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা।তিনি বলেন, কিছু সাংবাদিকদের মানুষ জাতির বিবেক মনে করতো। তারা ছাত্রদেরকে হত্যা করার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। আর এমন সাংবাদিক ছিলেন যারা ছাত্রদের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য পাশে থেকেছিল। সব জায়গায় দূর্বৃত্তায়ন সব সময় ছিল। সেই একটা ঘোলাটে পরিবেশ ছিল, এটা থেকে আমরা রেহাই পেয়েছি। যেসমস্ত সেবা ধর্মী জায়গায় বৈষম্য আছে সেগুলো কিছু ব্যক্তি, গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দলের পকেটে ছিল। সেই বৈষম্য দূর করবো।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার জেলায় ১৯টি মামলা হয়েছে। এই মামলায় ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সারোআর আলমসহ মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।এসএফ
কোম্পানীগঞ্জে ইউকে ইংলিশ একাডেমির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকেরবাজারে ইউকে ইংলিশ একাডেমির স্পোকেন ইংলিশ ব্যাচের রিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার সময় একাডেমির নিজস্ব রুমে প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডার ও প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজ খানের সভাপতিত্বে।হেড ইন্সট্রাক্টর রুবেল মিয়ার সঞ্চালনায়, স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ও শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার স্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মো. বরকত উল্লাহ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবীর চৌধুরী সহকারী শিক্ষক কলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এম এ এইচ শাহীন, সহসভাপতি কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রভাষক মো.বরকত উল্লাহ, ওরিয়েন্টেশনে আগত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন একটি সুন্দর ও মান সম্মত প্রতিষ্ঠান একটি এলাকার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। সেই স্বপ্ন পূরণের আইডল তরুণ শিক্ষক ফাউন্ডার মিনহাজ খানের মহতি উদ্যোগ।বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে তাল মিলিয়ে চলতে। এখানে একটি আদর্শ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ একাডেমির প্রয়োজন ছিল সেই স্বপ্ন পূরণের পথে। শিক্ষার্থীদের অল-রাউন্ডার হিসেবে তৈরি ও সফলতার লক্ষ্য নিয়ে টুকেরবাজারে কোম্পানীগঞ্জের প্রথম এবং একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান "ইউকে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ একাডেমি" বহুদূর এগিয়ে যাবে। এতে ৪০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী আরিয়ান আহমেদ। এইচএ
মাধবপুরে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ফারুক মিয়া (৪৫) নামে এক কাতার প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একইসঙ্গে তার ভাতিজা রবি মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলগাওঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক মিয়া মাধবপুর উপজেলা বহরা ইউনিয়নের দলগাওঁ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। গুরুতর আহত রবি মিয়া ওই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে।নিহত ফারুকের খালাতো ভাই আনোয়ার আলী জানান, ফারুক মিয়া ও একই গ্রামের হামিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ফারুক মিয়া জমিতে লাগানো গাছ কাটতে গেলে হামিদ মিয়া গংরা বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বি বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে সোমবার মাগরিব নামাজের পর একটি সালিশ বৈঠকে বসে। সালিশের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফারুক মিয়া ও তার খালাতো ভাইয়ের ছেলে রবি মিয়াকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। আহত অবস্থায় স্বজনরা ফারুক মিয়া ও রবি মিয়াকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তারেক-উজ জামান ফারুক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত রবি মিয়াকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রেরণ করেন। নিহত ফারুক মিয়া কাতার প্রবাসী। তিনি প্রায় ১৫ দিন পূর্বে কাতার থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।এআই
‘সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত’
’বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে যদি ইসলামী দলগুলো কিংবা ভিন্ন দলগুলো নির্বাচনে সহযোগিতা চায় তাহলে জামায়াতে ইসলামী তাদেরও সহযোগিতা করবে।’সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হলরুমে বিয়ানীবাজারে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে বিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মতবিনিময়সভায় মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘বিগত সরকার দেশকে কেবল পেছনের দিকে নিয়ে গেছে।সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করে দেশে সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের সাধারণ মানুষ এক নতুন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।’ আগামী নির্বাচনে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা পোষণ করে তিনি বলেন, ‘বিজয়ী হলে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জকে একটি আধুনিক-আদর্শ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করব।’মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘বিয়ানীবাজারের মতো সীমান্তবর্তী একটি জনপদ থেকে বৃহৎ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বকালেও রাজনীতির অপব্যবহার করিনি।আগামীতেও রাজনীতিকে ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করা কিংবা টাকা-পয়সা বানানোর খায়েশ আমার নেই।’এমএইচ
পদত্যাগ করলেন হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ
অবশেষে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুনির্মল রায়। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে কাজের পরিবেশ নেইসেখানে তিনি থাকতে চান না। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যে ছেলে তার বিরুদ্ধেআন্দোলন সংগ্রাম করেছে কিছুদিন পূর্বে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন করে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকেই গত এক সপ্তাহ ধরে হবিগঞ্জশেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে।এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা, ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ, অবস্থান ধর্মঘট ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের পর অধ্যক্ষ কলেজে না গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা। এসব করেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলেন না অধ্যক্ষ সুনির্মল রায়।শিক্ষার্থীরা আরও জানান, অধ্যক্ষ সুনির্মল রায় আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছিলেন। সব শিক্ষার্থীর এক দফা দাবি ছিল পদত্যাগ। অবশেষে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।এইচএ
অনলাইন ভোট
পাপনের পরিবর্তে নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদ কি পারবেন ক্রিকেটকে বদলে দিতে?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে জবাই করে হত্যা
সৌদিআরবে এক প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে জবাই করে হত্যা করেছে এক সৌদি নাগরিক। সৌদি আরবের দাম্মাম প্রদেশের আল-সুবেখা নামক এলাকায় গত সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।হত্যার শিকার প্রবাসী বাংলাদেশি ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার বাসিন্দা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।তথ্যে জানা যায়, রাস্তায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক সৌদি নাগরিক উক্ত প্রবাসী বাংলাদেশিকে প্রথমে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর, আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গলা কেটে নৃশংস্যভাবে জবাই করে হত্যা করেন ।সেসময় ঘটনাস্থলে অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা উপস্থিত থাকলেও ঘটনার আকস্মিকতায় এবং হাতে ধারালো ছুরি থাকায় কেউ তাকে বাঁধা দেয়ার সাহস পায়নি। হত্যাকান্ডের পরবর্তীতে হত্যাকারী সৌদি নাগরিক বাহরাইন দিয়ে পালাবার সময় সৌদি পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।বাংলাদেশির এমন হত্যাকান্ডে স্থানীয় প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।পিএম
পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ নয়: হুঁশিয়ারি মমতার
কলকাতার আর জি কর আন্দোলনকে ঘিরে যারা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন, তাদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা দূর্গাপূজা বয়কট করার ডাক দিয়েছেন, তাদের কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি।মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সচিবালয় ভবন নবান্নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) তার মর্যাদা হারাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর গ্রুপ তৈরি হচ্ছে, যাদের প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে বাংলা নিয়ে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো। এক তরফা তথ্যের ভিত্তিতে তারা বাংলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আর যারা এসব বিশ্বাস করছে, তারাও কোনো ধরনের যাচাই ছাড়াই বিশ্বাস করছে।”অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা কি বাংলাদেশ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দু’টি আলাদা দেশ। আমরা বাংলাদেশকে সম্মান করি, সেই দেশের ভাষাকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু এই অঞ্চল কখনও বাংলাদেশ হবে না।”আর জি কর আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা রাতের পর রাত সড়ক দখল কর্মসূচী পালন করছেন, তাদের সমালোচনা করে মমতা বলেন, “প্রতি রাতে সড়ক দখল কর্মসূচী অনেকের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাসাবাড়িতে অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন, লাউডস্পিকারের শব্দের কারণে যাদের ঘুমের সমস্যা হয়ে। নাগরিকবিধি অনুযায়ী কোনো আবাসিক এলাকায় রাত ১০টার পর মাইক্রোফোন চালু রাখা নিষিদ্ধ, কিন্তু আমরা এই আদেশকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছি না। ““আন্দোলনের এক মাস হতে চলল। সামনে দূর্গাপূজা আসছে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ প্রতি বছর দূর্গাপূজায় এখানে আসেন, অনেক পর্যটকও আসেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, দয়া করে উৎসবের আবহে ফিরে আসুন। ঢাকী, প্রতিমা নির্মাণকারীসহ বহু মানুষের জীবন-জীবিকা এই দূর্গাপূজার ওপর নির্ভর করে। দয়া করে তাদের ক্ষতি করবেন না।”আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে আগ বাড়িয়ে হামলা না করার নির্দেশ দেওয়া আছে। তারা নির্দেশ মেনেই চলছে। কিন্তু যারা পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছেন, মারধোর করছেন, মনে রাখবেন— তাদেরও পরিবার রয়েছে, স্বজন রয়েছে।”দূর্গাপূজাকে ঘিরে যেন ধর্মীয় বিদ্বেষ না ছড়ানো হয়— সেই সতর্কবার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে কেউ যে কোনো থিম অবলম্বনে পূজার প্যান্ডেল সাজাতে পারেন, তবে অবশ্যই এমন কোনো কাজ করবেন না— যা সাম্প্রদায়িক বিভেদ-বিদ্বেষকে উসকে দেয়।”সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়াএসএমডব্লিউ এসএফ
মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা
রাজধানী ইম্ফলে গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের পর ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরের রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসন দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অনিবার্য কারণে আজ বিকেল ৩ টা থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন রাজ্যজুড়ে লিজ লাইন, ভিএসএটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএনসহ সকল প্রকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।”ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইম্ফলে মণিপুর রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল শিক্ষার্থী-জনতার। সেই অনুযায়ী তারা দুপুর একটার দিকে মিছিল গভর্নর হাউসের কাছাকাছি পৌঁছালে সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষ শেষে দুপুর ২টার কিছু পরে শিক্ষার্থী-জনতাকে পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তার কিছুক্ষণ পরই ইন্টারনেট বন্ধের বিবৃতি দেয় মণিপুর রাজ্য সরকার।জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে গত বছর মে মাস থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মাঝখানে কয়েক মাস খানিকটা থিতিয়ে এলেও সম্প্রতি ফের তীব্র রূপ নিয়েছে সংঘাত। গত প্রায় দেড় বছরের সহিংসতায় উভয় সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।এর মধ্যে গত সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। সংঘাত-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে রাজধানী ইম্ফল ও তার আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।এসএফ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ঐক্যের আহ্বান এরদোগানের
ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। একই সঙ্গে সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।এরদোগান বলেন, এলাকার সব দেশকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি তেলআবিব তার হামলা বন্ধ না করে, তবে এর দখল আরও বৃদ্ধি পাবে, যা আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য একটি তাত্ক্ষণিক হুমকি তৈরি করবে।তুস্ককের প্রেসিডেন্ট বলেন, জেরুজালেম রক্ষার দায়িত্ব থাকা মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন, ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন) ইসরাইলের হামলা যে দিন দিন বাড়ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকা অগ্রহণযোগ্য।তিনি ওআইসিকে অবিলম্বে একটি শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক করার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শনের অনুরোধ করেন।এরদোগান তুরস্ক-মিসর সম্পর্কের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, দুই দেশ গাজা, পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং আফ্রিকা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে।এরদোগান বলেন, আমরা গাজায় মিশন কার্যক্রমে মিসরের কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন জানাই। ইসরাইলের মসজিদ আল-আকসা, জেরুজালেমে আরও দখল এবং আক্রমণনীতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার বিরোধিতা করি।ইসরাইলের হাতে তুর্কি-আমেরিকান শান্তি কর্মী আয়শেনুর এজগি এজির হত্যার নিন্দা জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আঙ্কারা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের (আইসিজে) কাছে আবেদন করে তেলআবিবকে দায়ী করার সব আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এসএফ
মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা, তিন জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি
নতুন করে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়েছে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে। আর এবার রাজ্যটিতে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরাও। প্রশাসনের ব্যার্থতার অভিযোগে হামলা চালিয়েছে সরকারি বিভিন্ন ভবনে।এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যটির তিনটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যটিতে শান্তি পুনরুদ্ধারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভের একদিন পর তিনটি জেলায় এ কারফিউ জারি করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা হিন্দু।যদিও এর আগে সেখানে কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে শিথিলের আদেশ বাতিল করে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ফের কারফিউ জারি করা হয়।কারফিউয়ের আদেশে বলা হয়, রাজ্যের জেলাগুলোর ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে কারফিউ শিথিলকরণের আগের আদেশগুলি ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে অবিলম্বে বাতিল করা হয়েছে। তাই, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে ইমফলের পূর্ব জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।ভারতের পতাকা নামিয়ে সাত রঙের পতাকা উড়াল মণিপুরের শিক্ষার্থীরাভারতের পতাকা নামিয়ে সাত রঙের পতাকা উড়াল মণিপুরের শিক্ষার্থীরাএদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷এদিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতা এবং শান্তি বজায় রাখতে অক্ষমতার জন্য রাজ্য সরকারের ডিজিপি এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন তীব্র হওয়ার শংকায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন।রাজ্যটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এবং রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে সোমবার হাজার হাজার ছাত্র মণিপুর সচিবালয় এবং রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ করে।রাজ্যটিতে গত কয়েকদিনে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ নতুন করে সৃষ্ট সহিংসতায় কমপক্ষে আটজন মারা গেছে এবং ১২ জনের বেশি আহত হয়েছে।এসএফ
অস্ট্রেলিয়ায় কিশোরদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
তরুণ ও কিশোরদের জন্য ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এসব প্ল্যাটফর্মগুলো তরুণদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এমন উদ্বেগের কারণেই এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি।মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে এ তথ্য জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।সরকার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আইন প্রবর্তনের আগে কোন বয়সে নিষিদ্ধ করা উচিত তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। খবর আল জাজিরা।তিনি বলেন, তার বাম লেবার পার্টি সরকার সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধের জন্য ১৪ থেকে ১৬ বছর সর্বনিম্ন বয়স বিবেচনা করছে। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সম্পর্কে "চিন্তিত" বলেও জানান তিনি।তবে বিরোধী দলীয় ডান লিবারেল পার্টির প্রধান বিরোধী নেতা পিটার ডাটনও ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।তবে সমালোচকদের যুক্তি, এই ধরনের পদক্ষেপ তরুণদের মত প্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।যদিও এর আগে চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্য সাইবার বুলিং এবং অনলাইন ক্ষতির উদ্বেগের কারণে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে।এসএফ
ভারতে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
ভারতের এক যুবক এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এই ধরনটি পশ্চিম আফ্রিকান এমপক্স বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোতে নির্দেশিকা দিয়েছে এমপক্সের সতর্কতায়।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যদি আক্রান্ত হয় তবে দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করে দ্রুত হাসপাতালের বিশেষ নিরাপত্তায় রাখতে হবে।নির্দেশিকায় আরও বলা আছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্সের যে প্রজাতির উপর জরুরি অবস্থা জারি করেছে, তাতে আক্রান্ত হননি ওই যুবক।সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্সের ‘ক্লেড-১’ প্রজাতি নিয়ে সতর্ক করলেও ওই যুবক ‘ক্লেড-২’ প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রজাতিতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ভারতে আক্রান্ত ৩০ জনের সন্ধান মিলেছে।এইচএ
বাংলাদেশ সরকার উৎখাতে ‘মার্কিন-চীন সংশ্লিষ্টতা’ প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। ভাসছে চীনের প্রভাবের কথাও। এমন অবস্থায় হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।দেশটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ও আগ্রহী বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে চীনের প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে অস্থিরতার পরে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে — বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে — জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ কি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে চাপে ফেলতে পারে?জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি সেই রিপোর্টগুলো দেখিনি। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, সেগুলো সত্য নয়। এই কারণেই হয়তো আমি সেসব রিপোর্ট দেখিনি।এইচএ
মণিপুরে ভারতীয় সাবেক সেনা সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে হিন্দু সংখ্যাগুরু মেইতেই সম্প্রদায়ের সাথে কুকিদের সংঘাতের মাঝেই দেশটির সাবেক এক সেনা সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মণিপুরের একটি বাফার জোনে নিজের গাড়ির ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভুলে ওই বাফার জোনে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে উত্তেজিত একদল জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ জানিয়েছে।টাইমস নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লালবই মেইতে। তিনি মণিপুরের ক্যাংপোকপি জেলার মোতবাং এলাকার বাসিন্দা। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈন্য ছিলেন তিনি। সোমবার সকালের দিকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই এলাকায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ শনাক্ত করেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাবেক ওই সেনাসদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় ভুক্তভোগীর পরিবার এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মণিপুর পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেছেন, সাবেক ওই সেনাসদস্য অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
গুজরাতের জুনাগড়কে নিজেদের অংশ দাবি পাকিস্তানের
জম্মু-কাশ্মীর থেকে আন্তর্জাতিক নজর কি এ বার ভারতের পশ্চিম প্রান্তে আনতে চাইছে পাকিস্তান? হঠাৎই সাংবাদিক বৈঠক করে গুজরাতের জুনাগড়কে নিজেদের অংশ বলে বহু পুরনো দাবি আবার খুঁচিয়ে তুলল ইসলামাবাদ। ওই অঞ্চলে ভারতের ‘অবৈধ দখলদারি’র নিন্দা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ দাবি করেন, ১৯৪৮ সাল থেকে জুনাগড় কব্জা করে রেখেছে ভারত।এ বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান সব সময়ই স্পষ্ট বলেও দাবি করেছেন মুমতাজ। তিনি বলেন, “দেশভাগের সময়ে জুনাগড় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। পরে অবৈধ ভাবে তা দখল করে ভারত। গোটা বিষয়টিকে ঐতিহাসিক এবং আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে পাক জনগণ। জুনাগড় পাকিস্তানের একটি অংশ এবং এই অংশ অবৈধ ভাবে দখল করে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ভারত।”মুমতাজ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের তরফে সর্বদাই জুনাগড়ের বিষয়টি রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মঞ্চে উত্থাপিত হয়েছে। পাকিস্তান এ বার এ নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘জুনাগড়কে ভারতের অবৈধ ভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের মতো একটি অসমাপ্ত অ্যাজেন্ডা হিসাবে বিবেচনা করে পাকিস্তান।’’তবে জুনাগড় নিয়ে পাকিস্তানের দাবি নতুন নয়। ২০২০ সালে নেপালের পর ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলকে তাদের রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছিল পাকিস্তান। সে দেশের মন্ত্রিসভাও তাতে অনুমোদন দিয়েছিল।পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের কিছু অংশ ওই মানচিত্রে রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে গুজরাতের জুনাগড় ও মানবগড় শহর এবং স্যর ক্রিক অঞ্চলও পাকিস্তানের অংশ বলে দাবি করা হয়েছিল।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদালোপের বর্ষপূর্তির ঠিক এক দিন আগে, এই নয়া মানচিত্র উন্মোচন করে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ‘‘এই মানচিত্র প্রত্যেক পাক নাগরিক এবং কাশ্মীরের মানুষের আশার প্রতীক।’’ তার পর সিন্ধু নদ দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ক্ষমতা হারিয়েছেন ইমরান। গ্রেফতারও হয়েছেন। ক্ষমতায় এসেছে শাহবাজ শরিফের সরকার।প্রায় চার বছর আগে পাকিস্তান ওই রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করার পর ভারত সেটিকে অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল। জুনাগড়কে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করাকেও পাকিস্তানের ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ পোষণ বলে দাবি করেছিল নয়াদিল্লি।অন্য দিকে, ইসলামাবাদের দাবি ছিল, জুনাগড়ের শেষ নবাব মহম্মদ জাহাঙ্গির খান নাকি চাইতেন যেন পাকিস্তানেরই অংশ হয় জুনাগড়। করাচিতে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় জাহাঙ্গির নাকি বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তানের অংশ জুনাগড়।’’জাহাঙ্গির পূর্বপুরুষদের শাসন করা জমিতে কখনও ফিরে যেতে পারেননি। তবে তিনি মাটির টান ভুলতেও পারেননি। তিনি সেই সময়ে বলেছিলেন, “১৯৪৭ সালে আমার দাদু পাকিস্তানে যোগদানের জন্য স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে এর জন্য তাঁকে তাঁর রাজত্ব হারাতে হয়েছিল। আমরা এখনও আমাদের রাজ্যের (জুনাগড়) জন্য লড়াই করছি। বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জে বিচারাধীন।”জুনাগড় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। শোনা যায় জাহাঙ্গিরের দাদু নবাব মহম্মদ মহাবত খান (তৃতীয়) চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তাঁর প্রজারা। অশান্তি ঠেকাতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নির্দেশে জুনাগড়ের কাছে পৌঁছয় সেনা। এর পরে পরিবার, কুকুর, মূল্যবান জিনিসপত্র এবং কোষাগার ফাঁকা করে করাচি চলে যান মহাবত। ১৯৪৮ সালে ভোট করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয় জুনাগড়কে।জাহাঙ্গির খানের এস্টেট এবং সম্পত্তির তালিকা অনুযায়ী, যে পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর দাদু ভারতে রেখে গিয়েছিলেন, তার অঙ্ক কোটি কোটি টাকা। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, জুনাগড় থেকে করাচি যাওয়ার পরেই মহাবত ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে জুনাগড়ে ফিরে আসার এবং তাঁর রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে একত্রিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে কোনও ভাবে তা সম্ভব হয়নি।করাচিতে পরিবার নিয়ে যাওয়ার পর ফাতেমা জিন্না রোডে ‘জুনাগড় হাউস’ নামে অট্টালিকা তৈরি করেন মহাবত। সেই ভবনে মহাবতের তিন প্রজন্মেরও বেশি বসবাস করছেন। সিন্ধ প্রদেশের গভর্নরও হন মহাবতের পুত্র তথা জাহাঙ্গিরের পিতা নবাব মহম্মদ দিলওয়ার খানজি।২০০৪ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গির তাঁর শিকড়ের টানের কথা জানিয়েছিলেন এবং তা খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার ইচ্ছা জুনাগড় যাওয়া এবং সেই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে দেখা করা। কামনা করি, দেশভাগের আগে সেখানে মুসলিম এবং হিন্দুদের ভ্রাতৃত্ববোধ যেমন ছিল, তেমনই যেন থাকে।পিএম
বিনোদন
সব দেখুন
নারীদের বোরকা নিয়ে আদৌ কী 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছেন জামিল আহমেদ?
নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ আজ (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে একাডেমিতে যোগদান করেছেন। তবে তাঁর এ পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই 'ইসলামবিদ্বেষী' হিসেবে অনেকে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। অভিযোগ নারীদের বোরকা পরা নিয়ে 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছেন তিনি। আবার তাঁর বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচারের অভিযোগও তুলছেন একাংশ।'২০২৪ সালেও কেন মেয়েদের বোরকা পরতে হবে?'—এমন একটি বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় বেইলী রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে বক্তব্য দেন এ বর্ষীয়ান নাট্য নির্দেশক। 'বিক্ষুব্ধ থিয়েটারকর্মীগণ' নামে ওই প্লাটফর্ম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সমসাময়িক থিয়েটারচর্চা নিয়ে নানা কথা বলেন জামিল।এতে জামিল আহমেদ বলেন, "হাজার 'মালভূমি'র দেশ হোক এটা। এক দেশ, এক চিন্তা, এক বটবৃক্ষ, এক মানব, একজন নেতা, তার পেছনে সবাই না দাঁড়িয়ে—হাজার মালভূমি থেকে হাজার রকম কথা হোক।"শিল্পকলা একাডেমিতে জামায়াত পন্থীদেরও স্বাগত জানাবেন বলেও জানান জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, 'শিল্পকলা একাডেমিতে আমি যদি সুযোগ পাই, আমি চাইব সেখানে জামায়াত যেন আসে, এজন্য যে বলুক না জামায়াত—কেন ২০২৪ সালেও মেয়েদের বোরকা পরতে হবে? তারা আমাদেরকে কনভিন্সড করবে যে কেন ২০২৪ সালে শরীয়তি রাষ্ট্রব্যবস্থা দরকার? কোরআনে তো আমাদের দৃষ্টিকে সংযত করার কথা বলা আছে। আমি যদি দৃষ্টিকে সংযত করি, তাহলে নারীকে কেন মাথায় বোরকা দিতে হবে।'জানা যায়, সেখানে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন তিনি। এই দেশ যেন বহুমতের মানুষের হয়, সেই প্রত্যাশা তুলে ধরেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব।বিষয়টি নিয়ে গুণী এই নাট্যজনের ভাষ্য, 'বিষয়টা ছিল আমি একটা প্রশ্ন উত্থাপন করেছি। আমরা এমন একটা ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই সবরকম মত প্রকাশ করতে পারবেন। ওই প্রেক্ষাপটে আমি উদাহরণ দিয়ে বলছিলাম- আমি শুনতে চাই আমি জানতে চাই আমি বুঝতে চাই, দৃষ্টিসংযত রাখলেও কেন বোরকা পরতে হবে?'উদাহরণ টেনে জামিল আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশে না পারলেন; কিন্তু আমেরিকা-ভেনিজুয়েলা বা ইংল্যান্ডের সবাইকে কি সাদা বা কালো বোরকা পরিয়ে দেওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে? সেটাই আমি জানতে চাই, এরকম সংলাপ আমি চাই বাংলাদেশে হোক। সে জায়গা থেকেই আমি শুধু জানতে চেয়েছি, কেন বোরকা পরতে হবে? আমি একবারও বলিনি নারীরা বোরকা পরতে পারবেন না! আমি শুধু একটা প্রশ্ন করেছি, কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। আমি কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার মানুষই না।শিল্পকলার মহাপরিচালক হিসেবে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিয়োগ পান সৈয়দ জামিল আহমেদ। তার এ যোগদান পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে আগামীকাল বুধবার।
চটেছেন শিরিন শিলা, বললেন 'আমি তো সানি লিওন না'
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা শিরিন শিলা। ২০১৪ সালে ‘হিটম্যান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে দর্শকদের নজরে আসেন শিরিন। সিনেমার বাইরে ব্যক্তিজীবনের নানা কর্মকাণ্ড নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।সম্প্রতি কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে এ নায়িকাকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে দাবি করা হয়, সরকার পতনের পর যুবলীগের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও শিরিন শিলার বিলাসী জীবন-যাপন, তার আয় ও বিদেশ সফর নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পাশাপাশি দাবি করা হয়, অভিনয়ের পাশাপাশি অসামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।বিষয়গুলো নিয়ে চরমভাবে ক্ষেপেছেন শিরিন শিলা। প্রথমদিকে এসবে নজর না দিলেও এখন বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে শিরিন শিলা বলেন, ‘প্রায় ৬-৭ বছর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে আমার নাম এসেছিল। সেটাই আপনারা এখন আবারও টেনে আনছেন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, যুবলীগ নেতার সঙ্গে আমার সখ্যতা রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমি বিদেশ সফরে গিয়েছি। যে কারণে সরকার পতনের পরে গা ঢাকা দিয়েছি।’তাদেরকে মিথ্যা প্রমাণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমি তো আমার বাসাতেই রয়েছি। গা ঢাকা দিব কেন? আর যাদের কথা বলা হচ্ছে, আমার জানামতে, তারা এখনো জেলে। তাদের আমেরিকার ভিসা নেই। আমি বাইরে গেলে আমেরিকাতেই যাই। গত ৬-৭ বছর আগে আমি কখনোই দুবাই কিংবা অন্য দেশে যাইনি। শুধুমাত্র আমেরিকা ছাড়া। সেখানে তাদের সঙ্গে বিদেশ সফরের প্রশ্নই আসে না।’প্রশ্ন ছুঁড়ে শিরিন শিলা বলেন, ‘আর একটা কথা, আমি নাকি পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত। আমি যদি এসবের সঙ্গে জড়িত থাকি তাহলে কীভাবে একজন অভিনেত্রী হলাম। আমি তো সানি লিওন না। আমি তো অভিনয় করি। আমার যদি পর্নোগ্রাফির কোনো ভিডিও বা লিংক থাকে, তাহলে আজও কেনো সেটা প্রকাশ পায়নি?’অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি একটা ভদ্র ফ্যামিলির মেয়ে। কিছু ভিডিওতে দেখলাম আমাকে দেহব্যবসায়ী বলা হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, সম্পূর্ণ গুজব। আমি জানিনা কারা আমাকে নিয়ে এসব নিউজ করছে, তবে যারাই করছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনুনাগত ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয়ে শিরিন শিলা জানান, মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মিলিয়ে ১৮টি ইউআরএলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেনে তিনি। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
নায়িকা জাহারা মিতুর সঙ্গে দুই ক্রিকেটারের প্রেমের গুঞ্জন
মডেল ও উপস্থাপিকা জাহারা মিতু এখন নায়িকা। এই নায়িকার সঙ্গে একজন চিত্রপরিচালক ও নায়কের সঙ্গে একটা সময় প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত। নতুন খবর হলো, এবার দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন মিতু! বিষয়টি নিয়ে অন্দরমহলে তুমুল আলোচনা। জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিতু।এই নায়িকাকে নিয়ে নাকি শান্ত ও হৃদয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মিতু তুমি কার? নায়িকাকে পেতে নাকি দুই ক্রিকেটারই মরিয়া- এমন কথাও বাতাসে ভাসছে। মিতুর অভিনীত 'জয় বাংলা' ও 'শত্রু' নামে সিনেমা দুটি মুক্তি পেয়েছে। এই নায়িকা কলকাতার দেবের বিপরীতে 'কমান্ড' ও শাকিব খানের 'আগুন' সিনেমায় জুটি বাঁধেন। কিন্তু দুটি সিনেমার শুটিং এখনো বাকি। আদৌ এই দুটি সিনেমার শুটিং শেষ হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এমন একটি সময়ে মিতুর ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেম নিয়ে নতুন গুঞ্জন চাউর হয়েছে। যদিও ক্রিকেটারের সঙ্গে নায়িকার প্রেমের বিষয়টি নতুন নয়। বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা বিরাটকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন। বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেম করে আলোচনায় এসেছিলেন অমৃতা সিং, কিম শর্মা, অমৃতা অরোরা, দীপিকা পাড়ুকোনরা। অমৃতা সিং ক্যারিয়ারের তুমুল জনপ্রিয় থাকাকালীন রবি শাস্ত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। যদিও সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। আরেক বলিউড অভিনেত্রী কিম শর্মার সঙ্গে যুবরাজ সিংয়ের প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। সেই প্রেম বিয়ে অবধি যায়নি।ভারতীয় ক্রিকেটার জহির খানের প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ইশা সর্বাণী। তাদের প্রেমের স্থায়িত্ব ছিল আট বছর। বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মডেল তানজিয়া জামান মিথিলার প্রেমের কথা কারও অজানা নয়। যদিও তিনি শিশিরকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন। তবে মিথিলা-সাকিবের একান্ত মুহূর্তের ছবি এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ে। ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে শাহ হুমায়রা সুবাহর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। সুবাহ নিজেই এই প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনেন। প্রেম ভাঙার পর নায়িকা বনে যান তিনি।তবে মিতুর এই প্রেমের গুঞ্জন কোন দিকে যায়, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। কারণ তাকে নিয়েই দুই ক্রিকেটারের নাকি দ্বন্দ্ব চলমান! বিষয়টি নিয়ে মিতুকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে এই নায়িকা গণমাধ্যমকে বলেন, 'ছি ছি! আপনি দুজন ক্রিকেটারের নাম বলছেন! একটা পার্সনই পাই না, আবার দুজনের সঙ্গে!'তাকে নিয়ে শান্ত ও হৃদয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে- এমন মন্তব্য শুনে নায়িকা বলেন, 'এসব ভুয়া কথা। ছিঃ বলা ছাড়া আর কোনো মন্তব্য নেই। আমি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।'
কন্যা সন্তানের মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন
মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। মা ও সন্তান সুস্থ আছেন। রণবীর সিংয়ের সংসারে নতুন সদস্য আগমনের খবরে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। এ মাসেই তার কোল জুড়ে নতুন অতিথির আশার কথা ছিল। তবে শরীর ভালো না লাগায় ৭ সেপ্টেম্বর তিনি পরিবারসহ হাসপাতালে যান। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর সেখানে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালের সামনে পরিবারসহ দেখা যায় দীপিকাকে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে অনেক ভক্তই দীপিকাকে শুভকামনা জানিয়েছেন।চিকিৎসকের তথ্য অনুযায়ী এ মাসের শেষের দিকে দীপিকার মা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই হাসপাতালে অভিনেত্রীকে দেখে ভক্তদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানাচ্ছেন শুভ কামনা। এদিকে প্রথম সন্তানের বাবা-মা হতে যাওয়া দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং ইতোমধ্যেই অনাগত সন্তানের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছেন। নিয়েছেন নতুন বাড়িও।প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারিতেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানান দীপিকা। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভূমিষ্ঠ হবে তার রণবীরের সন্তান। সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ‘গোলিও কি রাসলীলা – রামলীলা’র সেটে দীপিকা ও রণবীরের প্রেম শুরু হয়।২০১৮ সালের ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ইটালির লেক কোমোতে গিয়ে বিয়ে করেন তারকা যুগল। কোঙ্কনি ও সিন্ধ্রি, দুই মতেই বিয়ে করেন দীপিকা-রণবীর। এর পর কেরিয়ারেই মন দেন দুই তারকা। বিয়ের এতদিন পর মা হলেন দীপিকা।
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
ফের টানা দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার!
ফের টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর সোমবারও কমেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকের মান। পাশাপাশি উভয় শেয়ারবাজারেই কমেছে লেনদেন।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)ডিএসইতে সোমবার কমেছে সব কয়টি সূচকের মান। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে যথাক্রমে ৫ হাজার ৬২৯ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে ও ২ হাজার ৯২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস সূচক ৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৫ দশমিক ১০ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এদিন লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। লেনদেনের শীর্ষে ছিল লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। এছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইস-ক্রিম পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি ও দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। এছাড়া সোমবার ডিএসইতে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সোমবার সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স সূচক ১০৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে ও ৯ হাজার ৬৮৪ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ১২ দশমিক ০২ পয়েন্ট ও সিএসই-৫০ সূচক ৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ২১ দশমিক ০৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৯০ দশমিক ২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর সিএসই-৩০ সূচক ৭০ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩৪ দশমিক ০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ২ লাখ টাকা। সিএসইতে ২২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৭০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারদর।এসএফ
১০ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমরা আশা করি না কোন ব্যাংক দেউলিয়া হোক, তবে কমপক্ষে ১০ টা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মত খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। সরকার তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসাব জব্দ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলে, সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। যদি কেউ এস আলমের সম্পত্তি কিনে তবে নিজ দায়িত্ব কিনবেন, তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক নিবে না বলেও সতর্ক করেছেন গভর্নর। তিনি বলেন, ৭০ হাজার কোটি ব্যাংকিং খাতের বাইরে চলে গিয়েছিল, ৩০ হাজারের মতো ফিরে এসেছে।তিনি আরও জানান, আমানতের সুরক্ষা বীমার পরিমাণ ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এমএইচ
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো ৫৮ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।এমএইচ
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কেউ যেকোনো অ্যামাউন্টের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা আরোপ শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়।এফএস
বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভ কত জানালেন গভর্নর
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে জনমনে ছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যমে ঠিকানাতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী। গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ডলারও বাজারে বিক্রি করে নাই। বরং আমরা ডলার কিনছি রিজার্ভ বাড়াতে, এখন প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনছি।মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেমন ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা। এতদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) সেটি দেওয়া হতো।এমএইচ
কমেনি চালের দাম, মাংস ও সবজিতে কিছুটা স্বস্তি
গত ৫ আগস্টের আগে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল। যা এরপর কেটে যাওয়া একমাসেও কমেনি। বরং নতুন করে চালের দাম বাড়ার শঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।প্রধান এই খাদ্যপণ্যটির চড়া দাম নিয়ে দারুণ বিপাকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। তারা বলছেন, নতুন সরকার অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যেমন উদ্যোগ নিচ্ছে, চালের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজন। তারা বাজারে গিয়ে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হাজীপাড়া বউবাজারে চাল কিনতে এসে খালেক হোসেন নামের একজন বলেন, সংসারে প্রতিদিন দেড় কেজি চালের জন্য ১০০ টাকা লাগে। দাম কমছে না। এরমধ্যে ওএমএস বন্ধ। এখন আর তিনবেলা রান্না হয় না। এক কেজি চালে দিন পার করতে হয়।তিনি বলেন, শাক-সবজি ও মুরগির দাম কমলো, কিন্তু চালের দাম তো আগে কমা দরকার। কারণ, ভাত না জুটলে এগুলো দিয়ে কী হবে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে আবার অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না মোটা জাতের চাল। যে কারণে অনেক ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে।এদিকে, মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা।মাস দেড়েক আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবে একদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রকৃতপক্ষে এর প্রভাব পড়তে কিছুটা সময়েরও প্রয়োজন।এ অবস্থায় গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।অন্যদিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এখন ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।তবে কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, দাম বেশি থাকার কারণে মাংস বিক্রি খুব কম ছিল। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী দাম কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সবজির বাজারে। সরকার পতনের পর থেকে বেশিরভাগ সবজির দাম ক্রেতার নাগালে রয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটোলের কেজি। এক মাস আগেও পটোলের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পটোলের মতো বেশিরভাগ সবজির দাম নেমেছে অর্ধেকের কাছাকাছি। এক মাস আগের ১৫০ টাকা কেজির বেগুন ও করলার কেজি এখন কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।মৌসুমের মাঝামাঝি এসে বাজারে ইলিশের সরবরাহও বেশ বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি দাম। ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকায়। কমবেশি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনা যাচ্ছে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায়। ছোট ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।এসএফ
শেয়ারবাজারে এস আলম ও সালমান এফ রহমানের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
শেয়ারবাজারে মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্য ও তাদের প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন— বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা ও তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম), তার স্ত্রী, জামাতা, আত্মীয়স্বজনসহ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে কোনো ধরনের অনিয়মে জড়িত কিনা, তা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই কমিটিকে।পাশাপাশি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কমিটিকে।এমএইচ
ফের টানা দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার!
ফের টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর সোমবারও কমেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকের মান। পাশাপাশি উভয় শেয়ারবাজারেই কমেছে লেনদেন।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)ডিএসইতে সোমবার কমেছে সব কয়টি সূচকের মান। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে যথাক্রমে ৫ হাজার ৬২৯ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে ও ২ হাজার ৯২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস সূচক ৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৫ দশমিক ১০ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এদিন লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। লেনদেনের শীর্ষে ছিল লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। এছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইস-ক্রিম পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি ও দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। এছাড়া সোমবার ডিএসইতে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সোমবার সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স সূচক ১০৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে ও ৯ হাজার ৬৮৪ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ১২ দশমিক ০২ পয়েন্ট ও সিএসই-৫০ সূচক ৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ২১ দশমিক ০৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৯০ দশমিক ২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর সিএসই-৩০ সূচক ৭০ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩৪ দশমিক ০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ২ লাখ টাকা। সিএসইতে ২২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৭০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারদর।এসএফ
১০ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমরা আশা করি না কোন ব্যাংক দেউলিয়া হোক, তবে কমপক্ষে ১০ টা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মত খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। সরকার তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসাব জব্দ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলে, সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। যদি কেউ এস আলমের সম্পত্তি কিনে তবে নিজ দায়িত্ব কিনবেন, তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক নিবে না বলেও সতর্ক করেছেন গভর্নর। তিনি বলেন, ৭০ হাজার কোটি ব্যাংকিং খাতের বাইরে চলে গিয়েছিল, ৩০ হাজারের মতো ফিরে এসেছে।তিনি আরও জানান, আমানতের সুরক্ষা বীমার পরিমাণ ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এমএইচ
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো ৫৮ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।এমএইচ
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কেউ যেকোনো অ্যামাউন্টের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা আরোপ শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়।এফএস
বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভ কত জানালেন গভর্নর
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে জনমনে ছিল ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যমে ঠিকানাতে প্রচারিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী। গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ডলারও বাজারে বিক্রি করে নাই। বরং আমরা ডলার কিনছি রিজার্ভ বাড়াতে, এখন প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনছি।মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেমন ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা। এতদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) সেটি দেওয়া হতো।এমএইচ
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
"তুমি কে, আমি কে, আদু ভাই আদু ভাই " স্লোগানে বিক্ষোভ
দীর্ঘ সেশনজটের কারণে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ফলাফল প্রকাশের দাবিতে "তুমি কে, আমি কে, আদু ভাই, আদু ভাই" স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ক্যাম্পাস।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফলাফল প্রকাশে বিলম্বসহ একাডেমিক কার্যক্রমে ধীরগতির প্রতিবাদে বিজ্ঞান অনুষদ ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, মার্চ মাসে স্নাতকের শেষ পরীক্ষা শেষ হলেও ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি ছিল দ্রুত ফলাফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসন, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীরা ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল একদিনের মধ্যে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশ, সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফারিয়া জান্নাত বলেন, "আমরা মাস্টার্সের জন্য এপ্লাই করবো, আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় ছয় মাস, কিন্তু এখনও ফলাফল পাইনি। এর ফলে আমরা পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। সেশনজট আমাদের ক্যারিয়ারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ও সেশনজট নিরসনের দাবি জানাই।”পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। ড. হুদা জানান, "আজকের মধ্যেই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং আগামী রবিবারের (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ট্রান্সক্রিপ্ট ও মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।" এছাড়া, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও সেশনজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।পিএম
কাওয়ালী ঝড়ে কাঁপছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের স্মরণে এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা'র সূরের মূর্ছনায় বিমোহিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আজকের এই সন্ধ্যাকে ইবির ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্ধ্যা বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও মেইন গেটের মধ্যবর্তী স্থানে এই কাওয়ালী আসরের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া কাওয়ালী আসরে কবিতা, কাওয়ালী ও বিদ্রোহী গানের পরিবেশনা উপস্থাপন করছে ক্যাম্পাসের ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক জোট এবং জাগ্রত মঞ্চের শিল্পীরা।কাওয়ালী সন্ধ্যার এই আসরে কুন ফায়া কুন, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, কারার ঐ লৌহ কপাট, মন আমার দেহ ঘড়ি, দামাদাম মাসকালান্দার, আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু, ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা, স্বাধীনতা তুমি সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গান এবং আমি মানতে পারবো না কবিতা ও 'কাউয়া কাদের' চরিত্রের অভিনয় পরিবেশন করেন শিল্পীরা। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে যেকোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।কাওয়ালী সন্ধ্যায় উপভোগ করা শিক্ষার্থী সামি আল সাদ বলেন, অনেকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিলো। কাওয়ালী সন্ধ্যার মাধ্যমে এ নিষ্প্রাণ ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। উপরন্তু ক্যাম্পাস জীবনের কয়েক বছরে এমন আয়োজন দেখিনি। সবাই যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে।আরেক শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সকল শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলোনা। এতে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী আহত এবং নিহত হয়। ক্যাম্পাসেও একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় যেন এই মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন সবার মাঝে উদ্দীপনা ফিরিয়ে দিয়েছে।ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল আজকের এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আমরা এতদিন এক ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম। আমরা সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি কিন্তু আমাদের যুদ্ধে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। আগামী দিনে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে সকল মতের, সকল ধর্মের এক উর্বর ভূমি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এই কাওয়ালী মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। বাঙালি মুসলিম কবিরা অজস্র কবিতা ও গান রচনা করেছেন। এই সকল কিছুই আমাদের সমাজের প্রাণ, এই প্রাণকে জাগিয়ে তোলার জন্যেই আজাদী মঞ্চের এই কাওয়ালী সন্ধ্যা। আমাদের মুসলিম কবিদের সৃষ্টিকে আমরা কাওয়ালির মাধ্যামে জাগিয়ে তুলব এবং বারবার আমরা উজ্জীবিত হব।এফএস
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগ, লাপাত্তা প্রোভিসি-কোষাধ্যক্ষ
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ১৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ। পরদিন ১৬ আগস্ট থেকে অফিসে আসেন না উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সবশেষ ২২ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরও।ভিসির পদত্যাগ, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা হওয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দেশের প্রায় ১৫০০ মাদরাসা। এসব মাদরাসার বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকার বসিলায় অবস্থিত ক্যাম্পাসে এসেও ফিরে যাচ্ছেন।এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক শূন্যতা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রায় ১৫০০ মাদরাসার প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অনুপস্থিত। ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও কোনো অধ্যাপকও নেই। ফলে ‘জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব’ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০১৩ ধারা ১১(৩) অনুযায়ী জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বারবার উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হলেও তারা আসেননি। মন্ত্রণালয়ের পত্র অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বলা হলেও তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।এ অবস্থায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কার্যক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত মাদরাসা পরিচালনার জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলেও অফিসে আসেন না। ফলে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা নানান কাজে ঢাকা এসেও ফিরে যান। এভাবে কতদিন ফেরানো যায়। এজন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’বিষয়টি নিয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। উপ-উপাচার্যের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। কোষাধ্যক্ষের নম্বরে কল ঢুকলেও তিনি রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি বেশ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকও নেই। যেগুলোতে এমন পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে দ্রুত ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইডেন-তিতুমীরসহ ২১ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ
শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব ও দুই সদস্যসহ প্রভাবশালী সাত কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর ইডেন, তিতুমীর, ঢাকার বাইরের বিএম ও ভিক্টোরিয়াসহ ২১টি বড় সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকেও।আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন।বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আমিনুল হককে ওএসডি করা হয়েছে। বিএম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ভূঞা। ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ফেনী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন বগুড়ার শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ কে এম আমিনুল হক।রাজধানীর তিতুমীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডল ও উপাধ্যক্ষ পদে খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহসিন কবীরকে ওএসডি করা হয়েছে।ইডেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার। আর ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে।রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগমকে ওএসডি করা হয়েছে। ঢাকার বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন টাঙ্গাইল সা’দাত কলেজের অধ্যাপক তামান্না বেগম।ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুল হাসানকে পদায়ন করা হয়েছে। সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে বদলি করা হয়েছে। ওএসডি থাকা অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামানকে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়েছে। যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির। আর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুল হক খানকে ওএসডি করা হয়েছে।খুলনার সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ওএসডি থাকা অধ্যাপক ড. মো. শাহিদুর রহমান। আর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলকে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বদলি করা হয়েছে। খুলনার ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সাতক্ষীরার তালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরকে পদায়ন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সরকারি সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া। আর সা’দাত কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত নন্দীকে টাঙ্গাইলের আশেক মাহমুদ কলেজে বদলি করা হয়েছে।রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজর অধ্যক্ষ হিসেবে ড. খান মো. মাইনুল হককে পদায়ন করা হয়েছে। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনারুল হক প্রাং। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেককে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।দিনাজপুর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম মো. আল আবদুল্লাহ। আর দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু বকর সিদ্দিককে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈকে ঝিনাইদহের কেশবচন্দ্র সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রমা সাহাকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন একই কলেজের উপাধ্যক্ষ এস এম আবদুল হালিম। সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে একই কলেজের অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। আর সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টি এম সোহেলকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যাপক মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান। আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহাবুবুল করিমকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে বদলি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র দাসকে চাঁদপুর সরকারি কলেজে, মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হীরাকে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুব সরফরাজকে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে, মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামান মিয়াকে ওএসডি, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল বাসেতকে গুরুদয়াল কলেজে, তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষ জীবন কৃষ্ণকে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।এছাড়া এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ মো. খোরশেদ আলমকে সরকারি তোলারাম কলেজের উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এসএফ
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
লাইসেন্স ফেরত চায় সিটিসেল
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়েছে। অপারেটিং ও রেডিও ইক্যুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে তারা। ১ সেপ্টেম্বর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো চিঠিতে সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম এই আবেদন করেছে।এতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এজন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছে তারা। পরবর্তীকালে আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়। যদিও তখন বিটিআরসি জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ৫জিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর। এ বিষয়ে প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, তাদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে দাবি করে তিনি এর প্রতিকার চান। দেশে সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল সিটিসেল। ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়।এফএস
বিটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী
মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী তিন বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমদাদ উল বারীকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন ক্যাটাগরিতে বিটিআরসির কমিশনার পদে নিয়োগপূর্বক চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হলো।এমদাদ উল বারী আগে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।১৪ আগস্ট বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখন বিটিআরসির চেয়ারম্যান পদে এমদাদ উল বারীকে নিয়োগ দেওয়া হলো।এসএফ
আইফোন ১৬ সিরিজ লঞ্চ হচ্ছে আজ
আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল আজ তাদের আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল কুপারটিনো পার্কে আয়োজিত ‘ইটস গ্লোটাইম’ ইভেন্টের মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়েছে। অ্যাপলের ইভেন্টটি আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় শুরু হবে। আইফোন ১৬ সিরিজের লঞ্চ ইভেন্ট লাইভ দেখা যাবে অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপল টিভি অ্যাপ থেকে। এছাড়া এই ইভেন্ট অ্যাপলের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও সম্প্রচার করা হবে। পাশাপাশি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০, অ্যাপল এয়ারপড ৪ সহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট লঞ্চ হবে। এদিকে এদিন অ্যাপল, আইওএস ১৮, আইপ্যাডওএস ১৮, টিভিওস ১৮, ওয়াটওএস ১১, ভিশনওএস ২ এবং ম্যাকওএস সিক্রুইয়া সফটওয়্যারের নতুন ভার্সন উন্মোচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।আইফোনের প্রত্যেক সিরিজের মতো এই সিরিজেও মোট ৪টি মডেল থাকবে। সেগুলো হলো- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। প্রতিবারের মতো আপগ্রেড হচ্ছে প্রসেসরও। আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসে থাকবে বায়োনিক এ১৮ চিপ আর ১৬ প্রো, ১৬ প্রো ম্যাক্সে বায়োনিক এ ১৮ প্রো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ চারটি মডেলে থাকবে অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স। ব্যাটারির ক্ষমতা সামান্য বাড়ছে। সঙ্গে প্রো মডেল দু’টিতে ৪০ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট, ২০ ওয়াটের ম্যাগসেফ চার্জিং তো থাকছেই। নন প্রো মডেলে থাকছে যথাক্রমে ২৭ ওয়াট আর ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট। তবে সবচেয়ে বড় চমক হল, এই নতুন সিরিজের চারটি মডেলেই থাকছে ‘ক্যাপচার’ বোতাম। অর্থাৎ ফোনের লক না খুলেও, শুধু এই বোতাম টিপেই খুব সহজে ক্যামেরা খুলে ছবি তোলা যাবে।অ্যাপল আইফোন ছাড়াও এই ইভেন্টে ওয়াচ আল্ট্রা ৩ এর সাথে ওয়াচ সিরিজ ১০ লঞ্চ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সংস্থাটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের তৃতীয় প্রজন্মের অ্যাপল ওয়াচ এসই নিয়ে আসতে পারে।এসএফ
পলকেই হ্যাক হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
প্রতিদিন প্রায় ২শ’ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপে প্ল্যাটফর্মটি। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত মেসেজ, ছবি, ভিডিও, ফাইল আদান-প্রদান চলছে অ্যাপটিতে। জরুরি এই প্ল্যাটফর্মটি মুহূর্তেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। সর্বাধিক ব্যাবহৃত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় হ্যাকাররাও এর উপর নজর রাখে। শিকারের খোঁজে ফাঁদ পাতে স্ক্যামাররা। ইউজারকে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলে।ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। ইউজারের বন্ধু সেজে আড্ডা জমায় হ্যাকাররা। চলে মেসেজ আদানপ্রদান। এই করতে করতেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেয়। আবার ম্যালওয়্যার লিঙ্ক পাঠাইয়েও আইডি হ্যাক করে নেয় ব্যবহারকারীরা।হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লুকিয়ে থাকছে হ্যাকাররাঅনেকেই ভাবতে পারেন কীভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকার। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে শুধু একটা ফোন নম্বর লাগে। আর কিছু নয়। প্রথমে যে ইউজারকে তারা টার্গেট করেছে তাদের নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে। সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড বা এসএমএস যায়। হ্যাকাররা সেটাই হাতানোর চেষ্টা করে। ভেরিফিকেশন কোড পাওয়ার জন্য সবকিছু করতে পারে হ্যাকাররা। প্রথমে চ্যাটে নানা কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এতে কাজ না হলে হ্যাকার নিজেকে ব্যাংক বা টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কোড জানার চেষ্টা করে তারা।হ্যাকাররা কখনই অন্য ব্যবহারকারীদের ভেরিফিকেশন কোড পেতে পারে না। যতক্ষণ না সেই ব্যবহারকারী তাকে ভেরিফিকেশন কোড দিচ্ছেন। মাথায় রাখতে হবে, ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে দিলেই অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে।এই ভুল করলে চলবে না। সাধারণত এসএমএসের মাধ্যমেই ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। এই কোড অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করলেই বিপদ। তখন হ্যাকারদের হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
বাজারে আসছে তিন ভাঁজ করা ফোন, থাকছে যেসব ফিচার
হুয়াওয়ের বহুল প্রতীক্ষিত ট্রাই-ফোল্ডিং ‘মেইট এক্সটি’- স্মার্টফোনটির ‘টিজার’ প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। চীনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবো-তে হুয়াওয়ের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত টিজারটিতে ‘একটু দেখাবো, পুরোটা নয়’ পথেই হেঁটেছে চীনের এই টেক জায়ান্ট।মেইট এক্সটি ফোনটির ৩৯ সেকেন্ডের এই টিজারটিতে বড় অংশ জুড়ে আছেন চীনের জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক অ্যান্ডি লউ। টিজারটির শুরুতে লউ-কে একটি সিনেমা আর্কাইভ রুমে পুরোনো সিনেমার রিল বের করে আনতে দেখা যায়। আবার টিজারটির শেষ দিকে লউ-কে সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়, যেখানে একটি সিনেমা প্রজেক্টরে কাউন্টডাউনের মাধ্যমে শেষ হয় টিজারটি।টিজার থেকে ফিচার সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছেটিজারটিতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্মার্টফোনটিকে ভাঁজ (ফোল্ড) করা অবস্থায়, আবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য খোলা (আনফোল্ড) অবস্থায় দেখা যায়। তবে খোলা অবস্থায় ফোনটির অংশ বিশেষই দেখানো হয়েছে, পুরোটা নয়। আবার ভাঁজ করা অবস্থায় ফোনটির ব্যাক সাইড বা পেছনের অংশই দেখানো হয়েছে, সামনের অংশ নয়। ফলে টিজার দেখে মেইট এক্সটি-র ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয় এমনটা বলার সুযোগ নেই। ভাঁজ করা অবস্থায় হুয়াওয়ের এই ফোনটিকে স্ট্যান্ডার্ড ট্যাবলেটের মতোই মনে হয়েছে। যেহেতু এটি ট্রাই-ফোল্ড হ্যান্ডসেট তাই এর পুরুত্ব (থিকনেস) যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে এখানে। বিশেষ করে ফোল্ড বা ভাঁজ করা অবস্থায় ফোনটি কতটা পুরু হবে তা বড় একটি প্রশ্ন- কেননা ব্যবহারকারীরা চাইবেন ফোনটি যাতে ভাঁজ করে পকেটে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করা যায়। টিজার দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যে ফোনটি বেশ পাতলাই হবে তবে ট্রাই-ফোল্ডিং সেট হিসেবে সাধারণ স্মার্টফোনের তুলনায় একটু বেশি পুরুতো হবেই। এছাড়া খোলা অবস্থায় ফোনটির ডিসপ্লে সাইজ আড়াআড়িভাবে ১০ ইঞ্চি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, যদিও স্পেসিফিকেশন ও ফিচার সম্পর্কে এখনও কোনো অফিশিয়াল ঘোষণা আসেনি। এইচএ
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: সহজেই রাখা যাবে চ্যাট ব্যাকআপ
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন। আপনিও হয়তো প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে।তবে এতো এতো চ্যাট করলেও কখনো হয়তো চ্যাট ব্যাকআপ নেননি। এতে পরবর্তিতে কোনো চ্যাট দেখতে চাইলে দেখতে পারেন না। এখন চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ নিতে পারবেন। এছাড়াও আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।উচ্চস্তরের এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সবাই ঠিক মতো পারে না। এবার এই প্রক্রিয়াটিকেই সহজ করার কাজে হাত দিল হোয়াটসঅ্যাপ।নতুন ফিচারের মাধ্যমে যে কেউ চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারবেন। এর জন্য প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকলেও চলবে। ভুল হওয়ার ভয়ও থাকবে না।অনেকেই আবার পাসওয়ার্ড ভুলে যান। বারবার বদল করেন। তাদের জন্য ব্যাক আপ চ্যাটের পাসকি অপশন নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ।পাসকি বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহার করে। ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার পড়ে না। আইফোনে যেমন ফেস আইডি কিংবা অ্যানড্রয়েডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাক আপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সাপোর্ট করে, তবে সেটা ইউজারকে ম্যানুয়ালি করতে হবে।সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যানড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২৪.১৮.১৩-এ পাসকি-এর মাধ্যমে ব্যাক আপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে টেক বিশেষজ্ঞরাও একমত। তবে এই ফিচারের উপর এখনও কাজ চলছে।জানা যায়, আগামী সপ্তাহে বিটা টেস্টারদের কাছে তা পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাক আপ সেটিংসে এই ফিচার থাকবে। ইউজাররা ম্যানুয়ালি চালু করতে পারবেন।পরিসংখ্যান বলছে, সব হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা চ্যাট ব্যাক আপ ব্যবহার করেন না। যারা গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং ব্যক্তিগত চ্যাট সংরক্ষণ করতে চান, তারাই তারা যে এনক্রিপশন আপগ্রেডকে দুই হাত তুলে স্বাগত জানাবেন তাতে সন্দেহ নেই।এখানেই শেষ নয়। আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।এআর-এর মাধ্যমে কলিং অজ্ঞিতাও অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াবেটাইনফো। তারা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে শিগগিরই এই ফিচার চালু হবে। নতুন ফিচার আইওএস বিটা সংস্করণ ২৪.১৫.১০.৭০–এ পরীক্ষা করা হচ্ছে।ওয়াবেটাইনফো আরও জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘টাচ আপ’ এবং ‘লো লাইট’ নামে দুইটি মোড থাকবে। ইনস্টাগ্রামে যেমন ফেসিয়াল ফিল্টার থাকে, টাচ আপ কাজ করবে সেরকমভাবে। আর কম আলোতেও যাতে পরিস্কারভাবে মুখ দেখা যায়, তার জন্য থাকবে ‘লো লাইট’ মোড ফিচার।এসএফ
আইন-আদালত
সব দেখুন
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া এ অভিযোগ দাখিল করেন।এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে এ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।গত ১৮ জুলাই ধানমন্ডিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেলে কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ। সে সময় সন্তান খুনের বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তার মা নাজিয়া খান।সন্তানের মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে ফায়াজের মা নাজিয়া খান লিখেছিলেন, ‘দিস ইজ মাই ফারহান ফাইয়াজ। হি ইজ ডেড নাও। আই ওয়ান্ট জাস্টিস (এই আমার ফারহান আইয়াজ। সে এখন মৃত। আমি ন্যায়বিচার চাই)।’ওই দিনই আরেক পোস্টে নাজিয়া লিখেছিলেন, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তার বয়স এখনও ১৮ বছরও হয়নি। সে ২০০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্ম নিয়েছে। আমি চাই আপনারা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী আওয়াজ তুলুন। আমি এর বিচার চাই।ফারহান ফায়াজের পুরো নাম মো. ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া। তার বয়স ছিল ১৮ বছরেরও কম। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।এসএফ
প্রবাস
সব দেখুন
সুইজারল্যান্ডের ইয়ুংফ্রাউ ম্যারাথনে দৌড়ালেন বাংলাদেশি শিব শংকর
সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর পর্বতমালা ইন্টারলাকেনে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪ হাজার ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক ম্যারাথনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইয়ুংফ্রাউ ম্যারাথন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ৪২.২ কিলোমিটার পাহাড় পর্বত ও উঁচুনিচু পথ বেয়ে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ফিনিশিং লাইন শেষ করেছেন শিব শংকর। এটি তার ব্যক্তিগত ১৩০তম আন্তর্জাতিক ম্যারাথন।জার্মানির প্রতিবেশী দেশ সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালার অন্যতম একটি উচ্চতম পর্বত হলো ইয়ুংফ্রাউ। যার উচ্চতা ৪ হাজার মিটারেরও বেশি। ম্যারাথনটি লাউটারব্রুনেন থেকে শুরু করে আইগারগ্লেটশার নামক স্থানে এসে শেষ করতে শিব শংকর সময় নিয়েছেন প্রায় চার ঘণ্টা।দৌড় শেষে শিব শংকর পাল বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে অসাধারণ পর্বতমালার একটি এই ইয়ুংফ্রাউ পর্বত। এখানে লাল সবুজের পতাকা হাতে প্রতিবছরই দৌড়াই। ভীষণ ভালো লাগে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই আনন্দ দেশের নতুন প্রজন্মের অ্যাথলেটদের দিতে চাই।ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্ম নেওয়া ৫৯ বছর বয়সী শিব শংকর পাল জার্মানির মিউনিখ শহরের একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ম্যারাথনগুলোতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা তুলে ধরেন। শিব শংকরই একমাত্র বাংলাদেশি যিনি আন্তর্জাতিক নানা ম্যারাথনে শতাধিকবার অংশ নিয়ে গৌরবের সঙ্গে শেষ করেছেন।এখন তার লক্ষ্য একটিই, দেশের পতাকা হাতে কমপক্ষে ১৫০ ম্যারাথনের মাইলফলক অর্জন করা।এসএফ
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
বক্তব্যে জড়তা কাটানোর প্র্যাক্টিক্যাল টিপস
মানুষ সৃষ্টিজগতের সেরা জীব। অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। মানুষের এত বৈশিষ্ট্যের মাঝে যোগাযোগ দক্ষতা একেবারেই স্বতন্ত্র। যোগাযোগেরই এক মাধ্যম কথা বলা কিংবা বক্তব্য/বক্তৃতা দেওয়া। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরাআনুল কারীমে সূরা আর রাহমানে বলেছেন, عَلَّمَہُ الۡبَیَان অর্থঃ তিনিই শিখিয়েছেন বাক কৌশল। (সূরা আর রহমান, আয়াত: আয়াত ০৪) মানুষের বাক কৌশল একটি বিশেষায়িত গুন যা স্বতন্ত্রভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উল্লেখ করেছেন। আমাদের অনেকের চিন্তা করার শক্তি বেশ প্রখর কিন্তু সেই চিন্তার বহিঃপ্রকাশের জন্য গুছিয়ে কথা বলতে গেলে খুব কষ্ট হয়। একধরনের ভীতি কাজ করে। মানুষের সামনে কিছু বলতে গেলেই বুক কাঁপে অথবা কথায় আড়ষ্টভাব পরিলক্ষিত হয়। অথচ সেই মানুষটিই হয়ত তার পরিবারে কিংবা বন্ধুমহলে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারে। কারও যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে চলুন প্র্যািক্টিক্যাল কয়েকটা টিপস শেয়ার করি যা আপনাকে এই সোশ্যাল ফোবিয়া বা এংজাইটি থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। প্রথম ধাপ- দুয়া করা: আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দুয়া করুন যেন তিনি আপনাকে অন্যের সামনে ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করেন। নবী মূসা আলাইহিস সালামের দুয়াটি বেশি বেশি পড়তে পারেন।رَبِّ اشْرَحْ لِيْ صَدْرِيْ وَيَسِّرْ لِيْ أَمْرِيْ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّنْ لِّسَانِيْ يَفْقَهُوْا قَوْلِي (হে আমার প্রতিপালক, আমার হৃদয় প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহ্ববার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ২৫-২৮)নবী মূসা আলাইহিস সালাম যখন তার ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে সাথে নিয়ে ফিরাউনকে দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন তার আগে এই দুয়া করেছিলেন। দোর্দন্ড প্রতাপশালী ফিরাউনের সামনে কথা বলতেও সমস্যা হয়নি নবী আলাইহিস সালামের। আর আপনি যাদের সামনে কথা বলবেন তারা কেউই ওরকম ক্ষমতা আর দাপটের অধিকারি নন। দ্বিতীয় ধাপ- বক্তৃতা/বক্তব্য শোনা: বলা হয় যে, যদি কেউ একপাতা লিখতে চায় তাহলে সে যেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটা বই পড়ে, আর যে কিছু বলতে চায় বা বক্তৃতা দিতে চায়, সে যেন অনেক বেশি বক্তৃতা শোনে। একদম বাস্তবসম্মত পরামর্শ বা উপদেশ। মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য এমন যে, সে যেমন পরিবেশে বেড়ে উঠে তেমনিভাবে চিন্তা করতে শেখে, বলতে শেখে আর তার আচরণ প্রভাবিত হয় সেই পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা। তাই যে মানুষের সামনে কথা বলতে চায়, বক্তৃতা দিতে চায়, তার জন্য বক্তব্য শোনা খুব জরুরী। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববরেণ্য অনেক বক্তার বক্তব্য ইউটিউবে খুব সহজলভ্য। বাংলা ভাষায় সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন এমন অনেকেই রয়েছেন এপার বাংলা ও ওপার বাংলায়। কষ্ট করে ইউটিউবে থেকে খুঁজে নিতে হবে। অবশ্যই যারা ক্ল্যাসিকাল ধাঁচে বক্তব্য দেন কিংবা কথা বলেন তাদের কথা শুনবেন। যারা সাবলীল গতিতে লেকচার ধাঁচে কথা বলেন তাদের কথা শুনবেন। ইংরেজিতে সাবলীল বক্তব্য দেওয়ার জন্য আপনি Oxford Union এর বিতর্ক কিংবা বক্তব্য শুনতে পারেন। এছাড়াও যখন বাসায় অলস সময় কাটাচ্ছেন তখন BBC কিংবা CNN টিভি চ্যানেল চালু করে রাখবেন। খুব বেশি মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বুঝতে চেষ্টা করবেন কি বলা হচ্ছে। কিছুদিন পরেই দেখবেন ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।Public Speaking: Practice and Ethics বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে এ বিষয়ে চমৎকার আলাপ তুলে ধরেছেন আমেরিকার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক Jason et al.“আপনি অন্যদের মনোযোগ দিয়ে শোনার ফলে আরও বেশি করে বুঝতে শুরু করেন কিভাবে লোকেরা যুক্তি তৈরি করে এবং তথ্য উপস্থাপন করে। এর ফলে, কার্যকর ও অকার্যকর বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি বিশ্লেষণ করতে পারেন, ফলশ্রুতিতে আপনার নিজের বক্তব্যগুলো উন্নত করতে পারেন” তৃতীয় ধাপ- অডিও রেকর্ডিং: আমাদের সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন আছে। যা একটি চমৎকার টুলস হিসেবে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। আপনার চিন্তায়র্যো বিষয়গুলো আসছে সেগুলো একটু গুছিয়ে নিন। হাতের কাছে স্মার্টফোনের অডিও রেকর্ডিং অপশন চালু করে কথা বলতে শুরু করুন।নিজে একা একা অডিও রেকর্ড করুন। লাগাতার এক সপ্তাহ প্রতিদিন যেকোন বিষয়ে একটা বা দুইটা অডিও রেকর্ড করবেন। এক্ষেত্রে চাইলে কোন বিষয় বই থেকে দেখে নিতে পারেন পূর্বে অথবা মুখস্থ বিষয় ও না দেখে বক্তৃতার ধাঁচে রেকর্ড করবেন। সপ্তাহ পরে সেগুলো প্রথমটা থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে পরেরগুলো শুনবেন। এই ধাপে আরও একটা কাজ খুব সচেতনতার সাথে করতে হবে আর তা হল - মূল্যায়ন। অডিও শুনবেন ও খাতা কলম নিয়ে লিখতে থাকবেন যে, নিজের কাছে কোথাও কোন ঘাটতি মনে হচ্ছে কি না? প্রথম দিনের চেয়ে পরের অডিওগুলোতে নিজে কোন উন্নতি বুঝতে পারছেন কি না? এভাবে কিছুদিন অডিও রেকর্ডিং ও স্বনির্ধারনী মূল্যায়নের মাধ্যমে নিজেকে অনেকটা ভালো অবস্থানে খুঁজে পাবেন। Alsyouf 2021 সালে উনার এক গবেষণায় প্রমান করেন যে, বক্তৃতার ক্ষেত্রে অডিও/ভয়েস রেকর্ডিং নিম্নোক্ত উপায়ে একজন বক্তাকে উপকৃত করে থাকে - (ক) শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করে ও কথা বলায় সাবলীল গতি আনয়ন করে। (খ) বক্তব্য প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধি করে ও উদ্যম বাড়াতে সহায়তা করে। (গ) শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। চতুর্থ ধাপ- ভিডিও রেকর্ডিং: তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ অডিও রেকর্ডিং করে ও মূল্যায়নের মাধ্যমে কিছুটা ধাতস্থ হলে পরবর্তীতে স্মার্টফোনের ভিডিও রেকর্ডিং অপশন চালু করে ভিডিও করবেন। এবং আগের ধাপে যেভাবে স্বনির্ধারনী মূল্যায়ন পদ্ধতির কথা বলেছি সেভাবেই অনুসরণ করবেন। আর প্রতিদিনের ভিডিও সেইদিন দেখবেন না। তাহলে আপনি আগ্রহ হারাবেন। একাদিক্রমে এক সপ্তাহ ভিডিও করার পরে একদিন বসে বসে সেগুলো দেখবেন ও মূল্যায়ন করে দূর্বলতা ও উন্নতি চিহ্নিত করবেন। রেকর্ডেড ভিডিওতে আপনার শারীরিক ভঙি, কথা বলার শরীরি ভাষা ও গলার কন্ঠস্বরের উঠানামা খেয়াল করবেন। আরও কি করলে ভাল হত সেগুলো নিজেই বুঝতে পারবেন। বিজ্ঞানী Cheng and Chau 2009 সালের এক গবেষণায় প্রমান করেন যে সাবলীল বক্তব্য দেওয়ার অভ্যাস করতে ভিডিও রেকর্ডিং চমৎকার ও কার্যকরী একটা মাধ্যম যার শিক্ষার্থীগণ তাদের বক্তব্যের গুনগত মান যাচাই করতে সম্ভব হয় ও উন্নতির চেষ্টা করতে পারে। পঞ্চম ও শেষ ধাপ- আয়নার সামনে কথা বলা: যদিও এইটা সবশেষে লিখছি কিন্তু উপস্থাপনা কিংবা বক্তৃতা অভ্যাসের জন্য এইটিই প্রাচীনতম পদ্ধতি। যারা শিখে বক্তব্য বা বক্তৃতা করতে চান তারা প্রায় সকলেই এই পদ্ধতিতে নিজেকে যাচাই করে নিয়েছেন এ কথা বলাই যায়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়েই কথা বলবেন যত লম্বা সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারেন। ভাববেন যে, একটা বক্তব্য দিচ্ছেন। নিজের মুখভঙ্গি , শারীরিক অঙ্গভঙ্গিও খেয়াল রাখবেন। পূর্বে রেকর্ডেড ভিডিও করে ও মূল্যায়ন করে যেসকল বিষয় উন্নতির কথা ভেবেছিলেন এখন আয়নার সামনে কথা বলতে সেগুলো শুধরিয়ে নিয়েছেন কিনা খেয়াল করবেন। এছাড়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গেলে আপনি পুরো শরীরের ভাষা তাৎক্ষণিক অনুধাবন করতে পারবেন। অনেকেই বক্তব্যের মাঝে এতবেশি হাত নাড়াতে থাকেন যা দর্শকদের জন্য বিরক্তির উদ্রেক করে। আবার মূর্তিমান হয়ে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে থেকে হাত দুটো শরীরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে কথা বলেন যা মোটেও একজন ভাল বক্তার পরিচয় বহন করে না, দেখেই মনে হয় যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। আবার কেউ একটা হাত একইভাবে একটু উপরে তুলে শুধু একইভাবে সামনে পিছনে করতে থাকেন যেইটা পুতুলের মত বা পাপেট সদৃশ মনে হয়। আয়নায় নিজের চোখের দিকেই নিজে তাকিয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। তাহলে দর্শকের দিকে বিভিন্নজনকে দৃষ্টি সংযোগে আনতে সুবিধা হবে। আপাতত কথা বলার সময় সোশাল এংজাইটি কিংবা ফিয়ারনেস কাটানোর ব্যাপারে প্রাথমিক তবে খুব বাস্তবধর্মী কিছু পরামর্শ রইলো। সফলতার কোন সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই। যেকোন বিষয়ে সফল হতে হলে সাধনার বিকল্প নেই। তাই লেগে থাকুন। উপরোক্ত ধাপগুলো ক্রমান্বয়ে অনুসরণ করুন। আশা করা যায় আপনিই একদিন নিজেকে অনন্য বক্তা হিসেবে মেলে ধরতে পারবেন দেশ ও দেশের বাইরে। ইনশাআল্লাহ। রেফারেন্সঃ (১) আল কুরআনঃ সূরা ৫৭ ও আয়াত ০৪; (২) আল কুরআনঃ সূরা ২০ ও আয়াত ২৫-২৮; (৩) Jason et al. Public Speaking: Practice and Ethics, p. 76; (৪) Alayoif 2021, The effect of voice recording as a tool to improve speaking skills, Runas Journal of Education and Culture,, vol. 5, 2021. লেখক: এস.এম. আবু নাছের (ব্যাংকার, গবেষক ও লেখক)