জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে: উপদেষ্টা ফারুক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক ই আজম বলেছেন জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে। টি আর, কাবিখা বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য সহ এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানা প্রকল্পে আগে কি ধরণের কাজ হয়েছে সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে।পাশাপাশি জবাবদিহিতার জন্য আগের কর্মস্থলের তিন বছরের কাজের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পিআইও বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত সকল কর্মকর্তাগনের সাথে মতবিনিয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, এবার যে বরাদ্দ হয়েছে তা যথাযথভাবে করতে পারে এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার ও ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনসহ ছয় জেলার জেলা প্রশাসক এবং ৪২ প্রকল্প কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।পিএম
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না: মাহফুজ আলম
আওয়ামী লীগ ফেরত আসলে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আর নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশপন্থিরাই এদেশে রাজনীতি করবে। এই দেশে আর কোনো বাকশালের সুযোগ দেয়া হবে না। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাওয়ার পথে হাজিগঞ্জ বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ন্যূনতম সংস্কার না করে নির্বাচন নয় জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে। ন্যূনতম সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে জনগণ তাদের অধিকার পাবে না। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন কোনোভাবেই এই দেশে করতে দেয়া হবে না। এ দেশ বাংলাদেশপন্থিদের হাতে থাকবে। বাংলাদেশে দিল্লিপন্থিদের আর স্থান হবে না।একই দিন বিকেলে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠে মাহফুজ আলমকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।এবি
জাতীয়
সব দেখুন
জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে: উপদেষ্টা ফারুক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক ই আজম বলেছেন জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে। টি আর, কাবিখা বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য সহ এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানা প্রকল্পে আগে কি ধরণের কাজ হয়েছে সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে।পাশাপাশি জবাবদিহিতার জন্য আগের কর্মস্থলের তিন বছরের কাজের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পিআইও বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত সকল কর্মকর্তাগনের সাথে মতবিনিয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, এবার যে বরাদ্দ হয়েছে তা যথাযথভাবে করতে পারে এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার ও ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনসহ ছয় জেলার জেলা প্রশাসক এবং ৪২ প্রকল্প কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।পিএম
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না: মাহফুজ আলম
আওয়ামী লীগ ফেরত আসলে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আর নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশপন্থিরাই এদেশে রাজনীতি করবে। এই দেশে আর কোনো বাকশালের সুযোগ দেয়া হবে না। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাওয়ার পথে হাজিগঞ্জ বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ন্যূনতম সংস্কার না করে নির্বাচন নয় জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে। ন্যূনতম সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে জনগণ তাদের অধিকার পাবে না। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন কোনোভাবেই এই দেশে করতে দেয়া হবে না। এ দেশ বাংলাদেশপন্থিদের হাতে থাকবে। বাংলাদেশে দিল্লিপন্থিদের আর স্থান হবে না।একই দিন বিকেলে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠে মাহফুজ আলমকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।এবি
যান্ত্রিক ত্রুটিতে সাময়িক বন্ধ মেট্রোরেল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে কোনো স্টেশন থেকে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে ওঠতে পারছেন না। তবে একঘণ্টার মধ্যে মতিঝিল থেকে পল্লবী স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এমআরটি লাইন-৬ এর বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি পড়ে। এছাড়াও শনিবার ট্রেনগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। অধিক যাত্রীর চাপে সকালের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ মিনিট মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।তারা আরও জানায়ে, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট থেকে আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে। এখনও তা (২টা ১৩ মিনিট) চালু হয়নি। কাজ চলমান আছে। অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশন (এটিএস) ফল করেছে।
আসাদুজ্জামান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক পেইজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশিত গণহত্যার পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচার এবং ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ।”এতে আরও বলা হয়, “ভারতে আত্মগোপনে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য যাচাই না করেই তার মিথ্যাচার প্রচার করেছে।”আসাদুজ্জামান খান কামাল তার সাক্ষাৎকারে বলেন, “গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র পুলিশ স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, থানা থেকে মোট ৫,৭৫০টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট লুট করা হয়। তবে এরই মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্রের ৪ হাজার ৩৫৮টি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এছাড়া বাকিগুলো উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় মোট ১১৪টি থানায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৫৬টি থানা ভাঙচুর করা হয়েছে, সব থানাই এখন কার্যকর।প্রেস উইং বিবৃতিতে আরও বলেছে, “আসাদুজ্জান খান কামাল তার সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি আরও প্রমাণ করে যে, শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা ও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আহত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার হাসিনা তার সহযোগী এবং তার দলের এখনও কোনও অনুশোচনা নেই।”বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে কামাল বাংলাদেশের আদালতে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং হাসিনা ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে তারই প্রমাণ।”কামাল দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি হওয়ার পর খুনের শিকার ৫৪ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। তার তবে এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কোনও সরকারি বা স্বাধীন সূত্র দ্বারা যাচাই করা ছাড়াই এটি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।কামাল দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের ‘গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে।’তবে প্রেস উইং বিবৃতিতে দাবি করেছে, “এটি একটি অত্যন্ত ভুল বক্তব্য। কারণ ২০২৪ এর ৮ আগস্টের পর থেকে কোনও স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনও সরকারি সংস্থার দ্বারা কোনও বাধার সম্মুখীন হয়নি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।”
সুইজারল্যান্ড থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ড ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯:৫০ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে গত ২১ জানুয়ারি দাভোসে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এক তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছেন, অধ্যাপক ইউনূস ডব্লিউইএফ শীর্ষ সম্মেলনের সময় মোট ৪৭টি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি চারজন সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান, চারজন মন্ত্রী পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি, জাতিসংঘ/সদৃশ সংস্থার ১০ জন প্রধান বা শীর্ষ নির্বাহী, ১০ জন সিইও/উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব, ৯ আয়োজিত অনুষ্ঠান (আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ এবং মধ্যাহ্নভোজ-০৪), ৮টি মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং আরও দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘বিজিবি মহাপরিচালকের ভারত সফর নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই’
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর ভারত সফর নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের কিছু গণমাধ্যমে ‘বিজিবি প্রধানের ভারত সফর নিয়ে গোপনীয়তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু গণমাধ্যমে এমন সংবাদ সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীটির ভাবমূর্তি বিনষ্টের পাশাপাশি জনমনেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’‘এ পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত ২৭ ডিসেম্বর বিজিবির নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে পোস্ট দেওয়া হয়। এই ফেসবুক পোস্টের ওপর ভিত্তি করে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও উক্ত সম্মেলনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক একাধিক প্রেস ব্রিফিংয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকন্তু, বর্তমানে সীমান্তে জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিজিবি যে ভূমিকা পালন করছে ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের নেতিবাচক পোস্টসমূহের কারণে সবার মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।’‘উল্লেখ্য, আগামী ১৭-২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিজিবি ছাড়াও দেশের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণও অংশগ্রহণ করবেন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই এবং বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো গোপনীয়তার চেষ্টাও করা হয়নি। অনুগ্রহপূর্বক বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করা কিংবা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।’আরইউ
আমরা সবাই ভালো ও নিজ নিজ জায়গায় আছি: আসিফ নজরুল
গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সরকারের সবাই ভালো আছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এসব কথা লেখেন তিনি।ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, ‘পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসবে কান দেবেন না। আমরা সবাই ভালো আছি। নিজ নিজ জায়গায় আছি।আলহামদুলিল্লাহ।’উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের অনেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভুয়া পদত্যাগপত্রও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়।এফএস
হাসপাতাল ছেড়ে আজ ছেলের বাসায় যাবেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল ছেড়ে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার লন্ডন সময় রাত ৯টায় দ্য লন্ডন ক্লিনিক থেকে বাসায় নেওয়া হবে তাকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে ছুটি দিয়েছে। তাই তিনি ছেলের বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ‘এক ছাতার নিচে’ অর্থাৎ ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ করার সিদ্ধান্ত নেন লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা।গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে এক চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শরীরে নতুন যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটা কেটেছে। বলা যায়, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তার শারীরিক এই অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। এটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, স্বাস্থ্যের অনেক দিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল থাকলেও অনেক জটিলতা রয়ে গেছে। বয়সও বড় ফ্যাক্টর। তিনি বলেন, শারীরিক সক্ষমতা যখন ভালো ছিল, তখন বিদেশে নেওয়া গেলে একটা সুযোগ থাকত। অর্থাৎ এভারকেয়ার হাসপাতালে যখন চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন মেডিকেল বোর্ড বারবার তাগাদা দিয়েছিল উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠাতে। সেটি সম্ভব হয়নি।ওই চিকিৎসক বলেন, লিভার প্রতিস্থাপনের বিকল্প হিসেবে হিউম্যান সিরাম অ্যালবুমিন দেওয়া হবে। এটি মানুষের রক্তের প্লাজমায় সর্বাধিক প্রোটিন গঠন করে। এটি দেওয়ার পর লিভারের ওপর চাপ পড়বে না। মেডিকেল বোর্ড নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। রিপোর্ট অনুয়ায়ী চিকিৎসায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নাও নেওয়া হতে পারে। লন্ডন ক্লিনিকেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে। লন্ডনে প্রচণ্ড ঠান্ডা চলছে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সবারই একটু কষ্ট হচ্ছে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও নাতনিরা নিয়মিত হাসপাতালে আসছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়ায়ী বাসা থেকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তরফ থেকে বিভিন্ন মজসিদে দোয়ারও আয়োজন করা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।এফএস
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
জনস্রোতে পাল্লা ভারি নয়নের
'নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় একাত্মতা প্রকাশ করেছেন চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সমর্থিত সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী। প্রথমবারের মতো ভোলা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলবদ্ধ হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক।' এসব কথা বলেছেন চরফ্যাসন পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সোহেল।খাইরুল ইসলাম সোহেল আরও বলেন, 'স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার হটাতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের সংগ্রামী ভুমিকা সর্বজন প্রসংশনীয় হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে তার প্রতি আস্থা বেড়েছে জনগণের।'চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক কামাল গোলদার বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সুসংগঠিত। ভোলা-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম এর জনসমর্থন না থাকায় তার নেতৃত্ব ভাটা পড়েছে। ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তার পাল্লা খালি হয়ে নুরুল ইসলাম নয়নের পাল্লা ভারি হচ্ছে।'দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসন-মনপুরা তথা ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর আগমন উপলক্ষে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে চরফ্যাসন-মনপুরাবাসি। ২৭ জানুয়ারি চরফ্যাসন ও ২৮ জানুয়ারি মনপুরায় সফর করবেন এ যুবনেতা। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠন। আয়োজিত গণসংবর্ধনা সফল করতে নেতা-কর্মীরা প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছেন চরফ্যাসন উপজেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে।এদিকে ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এবং তার সান্নিধ্যে পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। ইতোমধ্যে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।চরফ্যাসন পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু বকর ছিদ্দিক মিলটন বলেন, 'মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের শুভাগমন উপলক্ষে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছে। নয়ন ভাই বাংলাদেশের যুব নেতৃত্বের আইডল। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন-মনপুরার মানুষের ভালোবাসা নিয়েই যুবনেতা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাই এগিয়ে যাবে এবং তার শুভাগমন উপলক্ষে আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।'পিএম
জনস্রোতে পাল্লা ভারি নয়নের
'নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় একাত্মতা প্রকাশ করেছেন চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সমর্থিত সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী। প্রথমবারের মতো ভোলা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলবদ্ধ হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক।' এসব কথা বলেছেন চরফ্যাসন পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সোহেল।খাইরুল ইসলাম সোহেল আরও বলেন, 'স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার হটাতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের সংগ্রামী ভুমিকা সর্বজন প্রসংশনীয় হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে তার প্রতি আস্থা বেড়েছে জনগণের।'চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক কামাল গোলদার বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সুসংগঠিত। ভোলা-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম এর জনসমর্থন না থাকায় তার নেতৃত্ব ভাটা পড়েছে। ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তার পাল্লা খালি হয়ে নুরুল ইসলাম নয়নের পাল্লা ভারি হচ্ছে।'দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসন-মনপুরা তথা ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর আগমন উপলক্ষে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে চরফ্যাসন-মনপুরাবাসি। ২৭ জানুয়ারি চরফ্যাসন ও ২৮ জানুয়ারি মনপুরায় সফর করবেন এ যুবনেতা। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠন। আয়োজিত গণসংবর্ধনা সফল করতে নেতা-কর্মীরা প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছেন চরফ্যাসন উপজেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে।এদিকে ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এবং তার সান্নিধ্যে পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। ইতোমধ্যে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।চরফ্যাসন পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু বকর ছিদ্দিক মিলটন বলেন, 'মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের শুভাগমন উপলক্ষে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছে। নয়ন ভাই বাংলাদেশের যুব নেতৃত্বের আইডল। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন-মনপুরার মানুষের ভালোবাসা নিয়েই যুবনেতা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাই এগিয়ে যাবে এবং তার শুভাগমন উপলক্ষে আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।'পিএম
দেশকে নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেব না: রফিকুল ইসলাম খাঁন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী আমলে ২ কোটি ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে। কিন্তু এ জোড়াতালির ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হবে না। নতুন করে ভোটার তালিকা করে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে। মানুষ জীবন দিযেছে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখার জন্য নয়। ২০০৮ সালে ছিল সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ বিনা ভোটে, ২০১৮ রাতের ভোটে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতায় যায় আওয়ামী লীগ।তিনি আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাংতে হবে। সরকারকে বলবো, আপনারা না পারলে সিন্ডিকেট কারা করছে, জনগণের হাতে সপর্দ করুন। তারাই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেবে।দেশটা কারো বাপের না। দেশটা কোনো দলের না। এই দেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সবদল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সন্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবেচয়ে ভাল থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।তিনি বলেন, যেনতেন নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয় নাই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংস্কার শেষে কবে নির্বাচন হবে তার একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করা যাবে না।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে খেলতে দেয়া হবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চাই। যে রাষ্ট্র কারও প্রভুত্ব মেনে নেবে না।প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানবো না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপন মানবো না। এদেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগন কারও প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পূরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামীলীগ। বিনা দোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডান্ডাবেরি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে যারাই সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বাচরে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তুু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।এদেশের মানুষ গণশত্রুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ তুলেছিল। জুলাই আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। একজন বিচারপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসি দিয়ে আস্ফালন করে বলেছিলেন "আজকে সাঈদিকে ফাঁসি দিয়ে আসলাম"। কিন্তুু তাদের পরিনতি কি হয়েছে তা সারা পৃথিবী দেখেছে। তিনি বলেন, অহংকার ভালো নয়, যারা অহংকার করে কথা বলতেন তারা এখন কোথায়। তারা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আলী মূর্তজার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.মাওলানা আব্দুস সামাদ,সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন। পিএম
যারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভালো না: আমীর খসরু
যারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।আমীর খসরু বলেন, যারা বিএনপির বিরোধিতা করছে তারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করেছে। বিএনপি কখনো জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা জিয়াউর রহমানকে কোনোদিন মহামানব বানাইনি। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কখনো জিয়াউর রহমানের মূর্তি বানিয়ে রাস্তায় বসাইনি। কোনো বিশিষ্ট জায়গায় জিয়াউর রহমানের পোস্টার টানাইনি। জিয়াউর রহমানকে আমরা দলীয় চর্চার মধ্যে রেখে তার জিনিসগুলো আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় থাকতে আমরা জিয়াউর রহমানকে মূলধন করে রাজনীতি করিনি। তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের জন্য। বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়েছে। বাংলাদেশের যত ধরনের সংস্কার হয়েছে, সেটির ৯০ শতাংশ সংস্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু, এখন আমাদেরকে অনেকে সংস্কারের সবক দিচ্ছে। ৬ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন টুয়েন্টি-থার্টির মাধ্যমে যে সংস্কারের কথা বলেছেন, যে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, এগুলো ৬ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। শেখ হাসিনা পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছেন। এই সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে।তিনি আরো বলেন, প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যারা আজকে সরকার গঠিত হয়েছেন, আমরা পুরো জাতি, সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে এ সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়ে যাব। কারণ, এ সরকারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতায় আসবে। এজন্যই আমরা সবাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করে সহযোগিতা করছি। এর বাইরে তো আর কিছু নয়। সুতরাং যারা সরকার পরিচালনা করছেন, তাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে, প্রত্যেকটি কথাবার্তা বলার আগে এই কথাগুলো মাথায় রাখবেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের মালিকানার, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে যদি অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকে গণতন্ত্রের বাইরে, সেটা বোধহয় ভালো হবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু, এর বাইরে কিছু করতে চাইলে সমর্থন বেশিদিন থাকার কথা না।বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে, এখান থেকে যদি বের হতে হয় তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য আমাদেরকে গঠিত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে এই গর্ত থেকে বের করতে হবে।আমীর খসরু বলেন, অনির্বাচিত সরকার যত বেশি দেশ পরিচালনা করবে, তত বেশি গণবিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে থাকবে। সেজন্য নির্বাচনকে বাদ দিয়ে কোনো গণতন্ত্র আসবে না।জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।এবি
সরকারকে যতটা সম্ভব সংস্কার করতে বললেন জামায়াত আমির
জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো সংস্কারে হাত দিয়েছে। আপনারা যতটা যম্ভব সংস্কার করুন। তবে গত ৫৩ বছরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর অত্যাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিন। কারণ নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এটি প্রকাশ সম্ভব নয়।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদীদের মতো জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ চলছে। জামায়াত ইসলামী বা ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মী এসবের সাথে জড়িত হয়নি। এ সময় লুটপাট ও জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, বিগত উন্নয়নের নামে দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখেছিলো। তারা রডের বদলে বাঁশ এবং সিমেন্টের বদলে ছাঁই দিয়ে উন্নয়নের কাজ চালিয়েছে। ক্ষমতা হারালে পাঁচ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী খুন হবে বলে ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে পাঁচজন নেতাকর্মীও খুন হয়নি। কারণ এই দেশের মানুষ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ধৈর্য ধরতে জানে।বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সরকার বিচারকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। এজন্যই বিচারপতিরা বলেছিল তারা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় আইনজীবীদেরও হেনস্তা করা হয়েছিল।এবি
হাসপাতাল ছেড়ে তারেক রহমানের বাসায় খালেদা জিয়া
লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ছেলে তারেক রহমান তার বাসায় ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার বাসায় থেকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া।চিকিৎসকদের পরামর্শে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা) খালেদা জিয়াকে তারেক রহমান তার বাসায় নিয়ে যান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ক্লিনিকের সামনে সংবাদকর্মীদের ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তার বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপর বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে ওষুধের মাধ্যমে যে চিকিৎসাপদ্ধতি চলছে সে ব্যাপারে লন্ডন ক্লিনিক ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা একমত হয়েছেন।লন্ডনের কিংস কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার ফল এলে শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যেতে পারেন।জাহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন।৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডন যান। ওইদিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে সেখানকার বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গণ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা না করলে আমলাতন্ত্র ভাঙা সম্ভব নয়: ফরহাদ মজহার
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, দেশের প্রকৃত শাসনক্ষমতা এখন আমলাদের হাতে। শেখ হাসিনার সবচেয়ে প্রিয় ছিল আমলারা। গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা না করলে আমলাতন্ত্র ভাঙা সম্ভব নয়। ছাত্ররা রাজনীতি করবে না-এ ধরনের ননসেন্স কথা বলবেন না।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহিদ সুভাষ হলে অনুষ্ঠিত ’গণ সার্বভৌমত্ব ও নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী গঠন: প্রেক্ষাপট বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি’ শীর্ষক মুক্ত সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।ফরহাদ মজহার বলেন, ৭২-এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। এতে সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গণতন্ত্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। দিল্লির পক্ষে ইসলাম নির্মূলের উদ্দেশ্যে এই সংবিধান রচিত হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। এটি বাতিল করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ৭২-এর সংবিধানের পক্ষে যারা, তারা দিল্লির পক্ষের। আর যারা বিরোধী, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, আপনারা জিয়াউর রহমানের বিরোধী রাজনীতি করছেন। যারা সত্যিকারের বিএনপি, তারা দিল্লির দালাল নয়। আপনাদের উচিত সংবিধান বাতিলের দাবি তোলা।তিনি আরও বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান সফল হতো না যদি খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন—এই নীতিতে অটল না থাকতেন। বিএনপি যদি খালেদা জিয়াকে সম্মান করে, তবে আজ ছাত্রদের সঙ্গে এসে দাঁড়ানো উচিত।ফরহাদ মজহার বলেন, সেনাবাহিনী এখন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কারণ, ১/১১ এর অভিজ্ঞতা ছিল খুবই খারাপ। সেনাবাহিনী পুলিশের কাজ করতে চায় না; তারা ব্যারাকে ফিরতে চায়।জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আওয়ামী লীগ, দিল্লি ও বিএনপির বক্তব্য এখন এক হয়ে গেছে। দিল্লি ছয় মাস আগেও বাংলাদেশে নির্বাচন চায়নি। অথচ এখন তারা নির্বাচনের জন্য উতলা। দিল্লি কোনোভাবেই এখানে গণতন্ত্র চায় না।তিনি আরও বলেন, বিএনপি এমন এক ফাঁদে পা দিচ্ছে- যার পরিণতি তারা এখনও বুঝতে পারছে না। দিল্লির অন্তরে আওয়ামী লীগ, মুখে বিএনপি। এটি বিএনপিকে বুঝতে হবে।কক্সবাজার কমিউনিটি এলায়েন্সের সংগঠক মুহিব্বুল মুক্তাদিল তানিম বলেন, বাংলাদেশ কেবল নদীমাতৃক নয়, এটি সমুদ্রতীরবর্তী দেশও। বঙ্গোপসাগরের নাম যে দেশের নামে, সেই দেশ এক সময় সমুদ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আজ আমরা সমুদ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার কথা বলছি।জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, লবণ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি সুরক্ষা ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সঠিক নীতিমালা, গবেষণা ও ভূরাজনৈতিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে লবণ শিল্পকে রপ্তানিমুখী খাতে রূপান্তর করা সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিশা আনবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- এবি পার্টির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর কাসেম, শহর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মেজর (অব.) মো. আহমেদ ফেরদৌস, ভাব বৈঠকীর মুখ্য সংগঠক মো. রুমেল প্রমুখ।ভাব বৈঠকীর সংগঠক জাহিন ফারুক আমিনের তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন তাজওয়ার কাসেম। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ভাব বৈঠকী পাঠচক্র সংগঠন। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল কক্সবাজার কমিউনিটি এলায়েন্স এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি, কক্সবাজার।সেমিনারে বক্তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নতুন রাজনৈতিক ধারার প্রাসঙ্গিকতা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি এবং লবণ শিল্পের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।পিএম
কে নির্বাচিত হলো তা নিয়ে সমস্যা নেই, নির্বাচন হোক: মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারের কিছু কিছু বিষয়ে মনে হচ্ছে তারা নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে নির্বাচিত হলো তা নিয়ে সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা রকম প্রত্যাশা আছে মানুষের। কিন্তু সেরকম কোনো ইঙ্গিত এই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।ফখরুল বলেন, ‘গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হবে। এর কারণ আছে। বর্তমান সরকারের কিছু কিছু বিষয়ে মনে হচ্ছে তারা নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না৷ বিএনপির আশা নিরপেক্ষতা পালন করবেন ড. ইউনূসের সরকার। দেশের সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করবেন।’নানা রকম তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পট পরিবর্তনের পর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় দেশের জনগণ৷ মৌলিক অধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই তারা চান। নির্বাচন দ্রুত হোক। কেন না ১৫ বছর দেশের মানুষ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত। এখন তারা ভোট দিতে চান।’ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের কথা বলছে, তাহলে কি চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করবো? তাহলে তো জনগণ ভোট থেকে বঞ্চিত হবে।’
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত
আগামী মার্চ মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে আন্দোলন করা মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তারা এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ৩ টা ১৮ মিনিটে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে আন্দোলন কারীদের উদ্দেশ্যে মাইনুদ্দিন বাবু বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আমরা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন যাদের ম্যানপাওয়ার ও ই-ভিসা আছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে আগামী মার্চের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। স্যার আরও বলেছেন যাদের ই-ভিসা কিংবা ম্যানপাওয়ার হয়নি তাদেরকে এজেন্সি থেকে টাকা এবং পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। স্যার আমাদেরকে বলেছেন উনাদের ওপর আশ্বাস রাখার জন্য। তিনি আরও বলেছেন আমরা যদি মালয়েশিয়া নাও যেতে পারি তাহলে অন্য কোনো দেশে প্রবাসী পাঠানো হলে তাহলে সবার আগে আমাদেরকে পাঠাবেন। আমরা মনে করছি আমাদের কথা কাজে আমরা মিল পাবো। সেজন্য তাদের আশ্বাসে আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করে আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আর আমাদের মধ্যে যাদের ই-ভিসা কিংবা ম্যানপাওয়ার কোনোটাই হয়নি তারা এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট দেখে নিবেন। যদি তারা টাকা ও পাসপোর্ট না দেয় তাহলে আপনারা থানা পুলিশের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিবেন।আন্দোলন স্থগিত করে যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীরা আরেকটি ঘোষণা দিয়ে যান। যদি সরকার আশ্বাস অনুযায়ী কথা না রাখে তাহলে তারা আবারও রাস্তায় নামবেন এবং তীব্র আন্দোলন করবেন।এবি
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে আন্দোলনকারীরা, চলছে আলোচনা
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা এখন রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে। সাময়িক সময়ের জন্য অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং তারা তাতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ১২টার দিকে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন তারা।এর আগে, সকাল ৯টা থেকে চার দাবি নিয়ে কারওয়ান বাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তারা।এসময় আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের কারওয়ান বাজার অবস্থান করতে দেয়া হয়নি। তাই আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবো। সেখানে আমাদের দাবিগুলো ফের উপস্থাপন করা হবে।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বন্ধের পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পথ খোলে। দেশটিতে গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পৌনে পাঁচ লক্ষ কর্মী পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। তবে টিকিট জটিলতার কারণে যেতে পারেনি প্রায় আঠারো হাজারের বেশি কর্মী।মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা এসব শ্রমিকদের দাবি, টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এখনও রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থও ফেরত পাননি। তাই মালয়েশিয়া যেতে না পারলেও অন্তত তারা তাদের অর্থ ফেরত চান।এবি
ঢাবিতে মেহগনি গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মেহগনি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে ৯টায় দিকে পথচারীরা গাছের আবডালে একটি ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিমকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।প্রত্যক্ষদর্শী এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সকালে ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। এ সময় দেখি কিছু মানুষ জটলা হয়ে উপরে তাকিয়ে আছে। পরে গিয়ে দেখি একটা লাশ ঝুলছে। কারেন্টের খুটিরও অনেক উপরে লাশটি ঝুলে ছিল।গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্শেদ আলম শফিক বলেন, কিছুক্ষণ আগেই লাশ নামানো হয়েছে। লাশটি কোনো ভবগুড়ে ব্যক্তির হতে পারে। হয়তো নিচেই ফুটপাতে সে ঘুমাতো। কাপড়-চোপড় সবকিছু ফুটপাতেই পড়ে ছিল।মরদেহ উদ্ধার করতে আসা ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বলেন, ঢাবির জিমনেসিয়াম এলাকায় গাছে ঝুলে থাকা অজ্ঞাত লাশটি বয়স্ক কোনো একজন ভবঘুরে মানুষের। তার বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। লাশ নামিয়ে ঢামেক মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ থেকে তার মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতেই। মানসিক সমস্যাও ছিল তার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় সে ওই গাছের চূড়ায় উঠে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এবি
কারওয়ান বাজার থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ
টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।গত ৩১ মে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন মালয়েশি যেতে না পারা কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দীন বাবু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের একেকজনের পরিবারের এমন অবস্থা যে, তারা এখন বাড়িতেও ফিরতে পারবে না। কিন্তু পুলিশ আমাদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন এখান থেকে শাহবাগ যাব এবং সেখানে অবস্থান নিব। তবু আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো।এবি
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের কারওয়ান বাজারে অবস্থান
টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে অবস্থান নেন তারা।আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৩১ মে মালয়েশিয়া প্রবেশের শেষ সময় হলেও— এজেন্সি অজানা কারণে তাদের সে দেশে পাঠাতে পারেনি। এর মধ্যে একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও অনেকেই টাকা ফেরত পায়নি। অভিযোগ জানানোর পরও এর কোনো সুরাহা হয়নি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।রাকিবুল ইসলাম নামক এক শ্রমিক বলেন, টাকা দিয়ে দুই বছর সময় পার করেও মালয়েশিয়া যেতে পারিনি, আমরা আর মালয়েশিয়া যেতে চাই না, আমাদের টাকা ফেরত চাই। সিন্ডিকেটের ১০০ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে মালিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং বিদেশে পলাতক মালিকদের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে হবে।আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টাকা ফেরত চাওয়াসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে– কর্মীদের সমস্যার সমাধান না করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখা, রিক্রুটিং এজেন্সির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা ট্রাভেল এজেন্ট, সাব এজেন্ট ও দালালদের অবিলম্বে গ্রেফতার, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটিতে অভিযোগ করার ৩-৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিষ্পত্তি না হওয়ার ব্যাখ্যা, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় সরকারি কোনো ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ আদায় করে না দিতে পারলে সরকারকে ব্যর্থতার দায়গ্রহণ এবং সরকারি খরচে প্রত্যেককে মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে বিনাখরচে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দীন বাবু বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের আরও কর্মী আসছে। কিছুক্ষণ পর আমরা সড়ক অবরোধ করবো।এবি
সাতক্ষীরায় তারুণ্যের উৎসবে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
'এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই: এই স্লোগানকে সামনে রেখে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। সাতক্ষীরা সড়কের এ দৌড় প্রতিযোগিতায় ১২ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫৮ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। এসময়, ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাড়িঘর থেকে স্থানীয় লোকজন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে যায় এবং জনসাধারণ দৌড় প্রতিযোগিতাটি উপভোগ করেন। ব্যাপক মানুষের ঢল নামলে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থানা পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিএনসিসি’র শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেন। ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অফস) আমিনুর রহমান, সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন বিশ্বাস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ আবুল হাশেম, জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাক্তার আবুল কালাম বাবলা, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম প্রমূখ।ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার যুবক নাহিদ হাসান প্রথম, কামানগর এলাকার যুবক মিলন ঢালী দ্বিতীয় এবং আমতলা এলাকার যুবক ইসান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।এমআর
পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসককে মারধর
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি রোগী নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর স্বজনদের বিরুদ্ধে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম যশোর শহরের বারান্দীপাড়া বউ বাজার এলাকার মৃত বাবু মিয়ার ছেলে। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মারধরের শিকার চিকিৎসক ইফতে খায়রুল আলম শুভ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন নজরুল ইসলাম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। ভর্তির পর থেকে রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছিলো।এদিকে নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার ছেলে ইমরান হোসেনসহ অন্য স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ইফতে খায়রুল আলম শুভর ওপর চড়াও হন। এসময় তাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়। পরে অন্য রোগীর স্বজনরা ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। মৃত রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, পেটে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে নজরুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অন্য কোন জটিলতা ছিলো না। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বজলুর রশিদ টুলু বলেন, ঘটনাটি জানার সাথেই তিনি হাসপাতালে যান। রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা অন্যায়ভাবে একজন ইনটার্ন চিকিৎসকে মারধর করেছে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে পারতেন। যা ঘটেছে তা রীতিমতো দুঃখজনক। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকার জানান, মেডিসিন ওয়ার্ডে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনরা দায়িত্বরত একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকে মারধর করেছে বলে শুনেছেন৷ রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করবেন কিভাবে। পিএম
সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক আটক
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন সুজন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবিব অয়নকে আটক করেছে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের বকচরা মোড়ের ইসমাইল মিষ্টি হাউজ থেকে ডিবি পুলিশ তাদেরকে আটক করেন!সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নিজাম উদ্দীন মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'তাদেরকে আটক করে সাতক্ষীরা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'পিএম
সাতক্ষীরার ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জাল দলিল তৈরি এবং দলিল নষ্ট করার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন (৫৫)সহ ৫ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নকলনবীশ অনল কৃষ্ণ রায় (৩৮), কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে কাজী আবুল বাশার (৬৫), কালিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবু জাফর গাজীর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত শাওন (৩৫), কাটিয়া এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে এম এম শাহজাহান (৫৫)।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত দলিল নং ৩০৭৭/১৯৯৩, ৪৫২০/১৯৯৩ এবং ৩৭৬১/১৯৯৫-এর জাল সার্টিফাইড কপি তৈরি করেন। এসব জাল দলিল মূল দলিল হিসেবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে বালাম বই থেকে পাতা ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়।বিষয়টি ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘটনাটি ধরা পড়ে। নকলনবীশ আবু বাশারত বিষয়টি সন্দেহ করে সহকর্মীদের জানান। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দোষ স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাহিদ ফজল বলেন, 'ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন আমাদের কমিশন ছিল না। থানায় অভিযোগ যাওয়ার পর তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে দেখা যায় এটি দুদকের সিডিউলভুক্ত অপরাধ। এ কারণে মামলাটি দুদকের হেড অফিসে পাঠানো হয়। হেড অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা মামলা করেছি।'এমআর
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দুদকের অভিযান
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে দুদক কর্মকর্তা।বৃহষ্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে অভিযান চালায়।দুদকের দলটি তাদের প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।এদিন সকাল থেকে প্রথমে ছদ্মবেশে দুদকের সদস্যগন বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং প্রাথমিক ভাবে বেশকিছু অভিযোগের সত্যতা পান।এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দারকে তার এখতিয়ারভূক্ত বেশ কিছু অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহণ এবং বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জানান।অভিযোগের মধ্যে সরকারী ঔষধ বিক্রয়, ডাক্তার নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণ,যথা সময়ে হাসপাতালে ডিউটিতে না আসা, রান্না করা খাবারে অনিয়ম, বর্জ্যব্যবস্হাপনার অনিয়ম, হাসপাতালে বিভিন্ন টেষ্ট এর সুযোগ থাকা স্বত্তেও রোগীদেরকে সিটিল্যাব নামক একটি বিশেষ ল্যাবে টেষ্ট করতে বাধ্য করা সহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা জানান দুদক বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।পিএম
খুলশীতে ভুয়া গোয়েন্দা দলের দুঃসাহস, ১১ ডাকাত পুলিশের জালে
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকায় ডিজিএফআইয়ের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি রাতেই নিশ্চিত করেছেন সিএমপি খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. ওয়াজেদ (৩৬), মো. হোসাইন (৪২), রুবেল হোসেন (২৫), মহি উদ্দিন (৪৫), আবদুস সবুর (৩৭), মো. ইয়াকুব (৩৫), মোজাহের আলম (৫৫), মো. রোমেল (৪১), ওসমান (২৪), আবদুল মান্নান (৩৫) ও শওকত আকবর (২৮)।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ১৩ জনের একটি দল একটি মাইক্রোবাসে করে খুলশীর ৩ নম্বর রোডের একটি বহুতল ভবনে আসে। ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দেয়। এরপর ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের আটকে রেখে তারা অষ্টম তলায় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। ওই সময় গিয়াস উদ্দিন বাসায় না থাকায় দলটি দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে এবং জিনিসপত্র তছনছ করে। ভবনের অন্য বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।খুলশী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ১১ জনকে আটক করে। অভিযানের সময় আরও দুজন পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল এবং ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।গিয়াস উদ্দিনের ভাই জালাল উদ্দিন আনসারী জানান, ঘটনার সময় তাঁর ভাইয়ের পরিবারের কেউ বাসায় ছিলেন না। তারা বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে দলটি দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে এবং তছনছ করে।সিএমপি মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহমেদ বলেন, '১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন। বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।' পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।এমআর
মিয়ানমারে পাচারকালে নাফ নদী থেকে পণ্যবাহী ট্রলার জব্দ
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা দিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে নিত্যপণ্য বহনকারী একটি ট্রলার জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ট্রলার জব্দ করা হয়। এ অভিযানে কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া বেড়িবাঁধের সৈকত পয়েন্ট সাগর দিয়ে মিয়ানমারে নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল পাচারের খবর পায় কোস্টগার্ড। এর পর অভিযান চালিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কোস্টগার্ড সদস্যরা তা থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পাচারকারীরা মালামালসহ ট্রলারটি সাগরের গোলারচর পয়েন্টে ফেলে পালিয়ে যায়।’লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব আরও বলেন, ‘ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ বস্তা আলু, ৩৫ বস্তা পেঁয়াজ, ১৪ বস্তা রঁসুন, ৩০ বস্তা পেরেক (লোহা), ১৫ কার্টুন টিনের পেরেক, ৭৭টি টিন ও ৩৪ কেজি চা পাতা পাওয়া যায়। উদ্ধার করা মালামাল ও ট্রলার টেকনাফের কাস্টমস কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।পিএম
রোহিঙ্গা-মাদক কারবারির হাতে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি
বুধবার মধ্যরাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কক্সবাজার জেলা যুবদল। অনুমোদিত কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে উপজেলাজুড়ে। কমিটিতে দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি, রোহিঙ্গা, ট্রাক ড্রাইভার থেকে কোটিপতি হওয়া লোকজনকে স্থান দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি, যুবদল-ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, উখিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব এই কমিটি ঘিরে যেন টাকা ইনকামের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। তারাই মুলত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা, মাদক কারবারিদের হাতে কমিটি তুলে দিয়েছেন। যে টাকার একটি অংশ জেলা কমিটির কাছেও পৌঁছেছে। এমন অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীসহ পদবঞ্চিতদের।জানা গেছে, বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে জেলা যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিয়াজির স্বাক্ষরিত প্যাডে শাহ আলমকে সভাপতি, মোহাম্মদ হোছন মনুকে সাধারণ সম্পাদক ও আবুল ফয়েজকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও শাহ আলমগীর বাহাদুরকে সিনিয়র সহ সভাপতি, আব্দু সালামকে সহ-সভাপতি, মোহাম্মদ রুবেলকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রায়হানুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনীত করা হয়েছে।এতে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসানের নির্দেশক্রমে উখিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম. সাইফুর রহমান সিকদার ও সদস্য সচিব খাইরুল আমিন নতুন এই কমিটির অনুমোদন দেন বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোছন মনুর বাবা আবদুল করিমের রোহিঙ্গা পরিচিতি (এনভিসি) কার্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নানা মহলে চলছে নানা গুঞ্জন।ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আলম বলেন, ‘সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোছন মনুর বাবা আবদুল করিম একজন রোহিঙ্গা। তার মা জুলেখা বেগমকে বিয়ে করার পর স্থায়ীভাবে ক্যাম্পে বসবাস শুরু করেন। এখনো তারা রোহিঙ্গা হিসেবে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও এই দম্পতির ছেলে মনু অল্প দিনে মাদক কারবারে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। সে একজন দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি হলেও একটা খাবার হোটেলকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে মাদক কারবারে আয় করা টাকা ছিটিয়ে এই পদটি ভাগিয়ে নিয়েছেন।’স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, নব নির্বাচিত সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনুর পারিবারিক ব্যবসা হলো মাদক ব্যবসা। তারা মাদক মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এখনো তারা মাদক কারবারের সাথে জড়িত রয়েছেন। এমন মাদক মাফিরা কিভাবে যুবদলের সভাপতি সম্পাদক হয় বিষয়টা বুঝে আসে না।পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও সভাপতি প্রার্থী পদবঞ্চিত সরওয়ার সিকদার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় যুবদল কিংবা তারেক রহমান মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও হাইব্রিডমুক্ত যুবদলের যে নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব তার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। যুবদলের এমন আকাল পড়েনি যে রোহিঙ্গা এবং মাদক ব্যবসায়ী দিয়ে কমিটি করতে হবে। এদের চাইতে আরো যোগ্য ও ত্যাগী নেতা ছিল যাদেরকে দিয়ে কমিটি করা যেত। আওয়ামী সরকারের আমলে এক প্রভাবশালীর নেতার ছত্রছায়ায় তিনি মাদক ব্যবসা করে গেছেন। এখন ব্যবসা চালিয়ে যেতে মনু যুবদলের দলের পদ কিনেছেন।’এই কমিটিতে প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আ.লীগের দুঃশাসন আমলে বাড়িতে থাকতে পারিনি। এখন টাকা খেয়ে একজন রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গাকে সাধারণ সম্পাদক ও আরেকজন ট্রাক ভাইভার থেকে কোটিপতি হওয়া ব্যক্তিকে সভাপতি করেছে। এরা মুলত মাদক কারবারি। একারণে আমার পুরো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’ এছাড়া টাকার বিনিময়ে বিতর্কিতদের দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।এই অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোছন মনু বলেন, ‘আমি মাদক ব্যবসায়ী নয়। আমার বাবা রোহিঙ্গাও নয়। যারা অভিযোগ করছেন তারা পদ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন।’ প্রতিবেদকের হাতে আসা তার বাবার রোহিঙ্গা কার্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।এইসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকটা সাধারণ সম্পাদক মনুর পক্ষেই সাফাই গাইলেন উখিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম. সাইফুর রহমান সিকদার। তিনি বলেন, ‘মনু মাদক ব্যবসায়ী নয়। তাকে একটি মাদক মামলায় ফরওয়ার্ডিং আসামি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা যুবদলের নির্দেশে তাদের নেতা বানানো হয়েছে।’ একজন রোহিঙ্গাকে কেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি তেমন কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।এবিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।পিএম
নোয়াখালীতে পিস্তল ঠেকিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, পৃথক ঘটনায় ৪ দোকানে চুরি
নোয়াখালীর সেনবাগে পিস্তল ঠেকিয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, জেলা শহর মাইজদীতে ৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোররাতের দিকে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের কৈইয়াজলা গ্রামের ছিদ্দিক আহমদ কোম্পানীর বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একই দিন ভোর রাতের দিকে জেলা শহর মাইজদীর বড় মসজিদ মোড় সংলগ্ন এনএস প্লাজায় চুরির ঘটনা ঘটে।বাড়ির মালিক সিদ্দিক উল্লা কোম্পানির শ্যালক মহিন উদ্দিন বলেন, শনিবার ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে ৮-১০ জনের ডাকাতদল প্রথমে বাসার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়। এসময় তারা ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত নগদ ৩ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণাংলকার ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।মহিন উদ্দিন আরও বলেন, বাড়ির মালিক ছিদ্দিক কোম্পানী চট্টগ্রামে ব্যবসা করে। এ বাড়িতে তার মেজো বোন কহিনুর বেগম পরিবার নিয়ে গত ২০ বছর বসবাস করে আসছে। তার ছেলে মিলন বিদেশ যাওয়ার জন্য দোকান বিক্রি করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করে রাখে। পার্শ্ববর্তী একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ডাকাত দলে ৮ জন সদস্য ছিল।এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে জেলা শহর মাইজদীর বড় মসজিদ মোড় সংলগ্ন এনএস প্লাজার তিনতলা ভবনের তালা ভেঙে ৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময়ে চোরের দল নগদ ৮২ হাজার টাকাসহ ৪০ হাজার টাকার কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়।যোগাযোগ করা হলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান উভয়েই বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পিএম
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণের সময় নথি ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ ২৩ জানুয়ারি এ নির্দেশ দেন।অন্য আসামিরা হলেন- কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজ উল্লাহ জানান, জালিয়াতি-সংক্রান্ত দুদকের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন গত ১ জুলাই জেলার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক-পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাতারবাড়ীর বাসিন্দা কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার পরপরই ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। কিন্তু মামলা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পর একই আদালতে আবার মামলা করেন কায়সারুল ইসলাম। সে মামলায় জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। সেই মামলার তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় দুদক।এ ক্ষেত্রে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতিতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে দুই আসামিকে। তারা হলেন- কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।প্রতিবেদনে দুদক জানায়, কায়সারুল ইসলামের মামলাটি ফৌজদারি দরখাস্ত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধের সময় জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ মোট আসামি ছিলেন ২৮ জন। কিন্তু তিনটি পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করে এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়া হয়। ২ নম্বর আসামি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমকে করা হয় এক নম্বর আসামি। এতে বাদীর জাল স্বাক্ষরও দেওয়া হয়। পুরো নথিতে কাটাছেঁড়া ও লেখা ঘষামাজা করে দুদকে পাঠানো হয়েছিল। বাদীর জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি সিআইডির হস্তলিপিবিশারদের মাধ্যমে প্রমাণিত।দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে মনগড়া ২৫টি চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের ৪৬ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, শুরুতে চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছিল। পরে তিনটি চেক বাতিল করা হয়। এরপর অবশিষ্ট ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার টাকা যারা নিয়েছেন এবং দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে, তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তবে বর্তমানে রুহুল আমিন জামিনে আছেন। একই মামলায় ৯ মে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলম, ৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহর থেকে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুর মোহাম্মদ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।এবি
বিয়ে একজনের, বর সেজে এলেন ২০ জন
বিয়ে একজনের তবে বর সেজে কনে বাড়িতে হাজির হলেন ২০ জন যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের ঘটনায় বর দেখতে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় এলাকার শতশত উৎসুক শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামে।বরযাত্রীদের মধ্যে শেরওয়ানী পড়ে বিয়ে বাড়ির গেইটে ২০ বর হাজির হওয়ায় কে আসল বর, সেটি না বুঝেই গেট আটকাতেই বিপাকে পড়ে কনে পক্ষ। ঘটনাটি এলাকায় বেশ আলোচনায় পরিণত হয়েছিলো। সবাই এই অনন্দঘন মজার কৌতুকের বিষয়টি উপভোগ করেছেন।জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের কাজী পাড়া বাসিন্দা বর্তমানে ভৈরব শহরের বঙ্গবন্ধু সরণির বিসমিল্লাহ টাওয়ার নিবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের এ্যাসিস্টেন্ট পিআর আল আমিন মাহমুদ শিপনের ছেলে ছাব্বির হোসেন সজীবের সাথে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার মেয়ে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় পারিবারিকভাবে। এ বিয়েতে শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে শেরওয়ানি আর পাগড়ি পড়ে একসঙ্গে ২০ জন বর হাজির হয় কনের বাড়িতে। এক বরযাত্রীতে এত বর দেখে অবাক কনে বাড়ির লোকজনসহ আগত অতিথিরা। ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতায় বিয়ের আয়োজনে সামিলদের আনন্দের মাত্রা ছিল বহুগুণ। ২০ বরের উপস্থিতি ঘিরে দিনভর উল্লাসিত বিয়েবাড়ি। বরের বন্ধু আল আমিন বলেন, জীবনে তো আমরা অনেক বরযাত্রী গেছি, আজকে আমার বন্ধুর বিয়েতে এমনভাবে আসছি, আমাদের বন্ধু ব্যতীত আমরা আরও ২০ জন বর সেজে এসেছি। ভীষণ ভালো লাগছে। তার বিয়ের সময়ও এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান।বরের ছোটভাই জানান, তার বাবা ও পরিবারের ইচ্ছে ছিল বড় ভাই সজীবের বিয়েতে ২০ জন বর সেজে যাবে। এই বিয়েতে ছোট ভাই হয়েও বর সেজে যাওয়াটা অন্য রকম একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিয়েটাকে স্মরণীয় রাখার জন্যই এই আয়োজন।বরের বাবা আল আমিন মাহমুদ শিপন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ নিয়ে থাকে। আমার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলের বিয়েতে একটু ব্যতিক্রমভাবে আনন্দ দেয়ার জন্য এই আয়োজন করেছি। এমন আয়োজনে বরযাত্রী ও কনে পক্ষের সবাই অনেক আনন্দিত। তিনি বর ও কনের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।স্থানীয় বাসিন্দা মিলাদ হোসেন অপু জানান, আশ্চর্যজনক ঘটনা এক বিয়েতে ২০ জন বর আসতে আগে কখনো দেখিনি। অনেক মজা লেগেছে বিষয়টা। প্রথমে আমরা একটু বিব্রতবোধ করলেও পরে সবাই জেনেছিলাম বরের বন্ধুরা বিয়ের পরিবেশটাকে একটু ব্যতিক্রমী করতেই এই আয়োজন করেছিলো।বর ছাব্বির হোসেন সজীব বলেন, তার বিয়েতে বন্ধুরা মিলে বরযাত্রী হিসেবে ২০ জন বর সেজে যান। এতে বিয়ের আনন্দটা অনেক বেড়ে যায়।কনে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণা বলেন, শুনেছি বরের সাথে আরো বিশজন বর সেজে এসেছেন। ব্যতিক্রমী এই বরযাত্রার কথা শুনে খুবই ভালো লাগছে।এমআর
গজারিয়ায় কৃষি কাজে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কৃষি কাজে নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঘরের কাজের পাশাপাশি কৃষি কাজেও পুরুষের সাথে সমানতালে শ্রম দিচ্ছেন নারীরা। তবুও পারিশ্রমিকের দিক বিবেচনায় এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা।সূত্রমতে, পূর্বে গ্রামীণ জনপদে শুধু পুরুষরাই মাঠে কৃষি কাজ এবং নারীরা রান্নাবান্না আর সন্তান লালনপালন নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে পুরুষের সমান মাঠে কৃষিকাজে এগিয়ে এসেছেন নারীরা। তারা পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফসলের ক্ষেতে ধানের বীজ রোপণ করা থেকে শুরু করে সার দেওয়া, আগাছা দমন, কীটনাশক ছিটানো, ধান কাটা ও মাড়াইর,রবিশস্য উৎপাদন কাজ করছেন নারী শ্রমিকরা। অনেকেই আবার বাড়ির পাশে বা উঠানে অনাবাদি জায়গায় শাক-সবজি, ফল-ফলাদির আবাদ করে সংসারে বাড়তি রোজগারের পথ খুঁজে নিয়েছেন। তবে এসব নারী শ্রমিকদের দাবি, এখনো তারা পারিশ্রমিকসহ বিভিন্নভাবে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। সরকারীভাবে কৃষি উপকরণ, সারবীজ, কৃষক কার্ড ও ঋণের বেশিরভাগ সুবিধা পুরুষ কৃষক পেলেও বঞ্ছিত হচ্ছেন নারী কৃষকরা। উপজেলার বড় ভাটের চর গ্রামের চার নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানাযায় তারা সকাল আটটায় কাজ শুরু করে বিকাল চারটা পর্যন্ত কাজ করে অথচ সেখানে পুরুষ শ্রমিকের মজুরী ৫০০ টাকা হলেও আমরা নারীরা পাচ্ছি ৩০০ টাকা।নারী শ্রমিক জান্নাত আরা (৪৫) বলেন, আমরা বড়ুইকান্দি ভাটেরচর ভাড়া থাকি খুব সকালে কাজের জন্য বেরিয়ে পড়ি। কৃষি কাজে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা পুরুষের সাথে সাথে সব রকমের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। তবে আমাদের তাদের সমান মজুরি দেয় না, তারপরও আমরা যখন যেখানে যেই কাজ পাই তা করছি। নারী শ্রমিকদের কাজের বিষয়ে মহাজন ইসহাক আলী বলেন মহিলারা কাজে ফাঁকি দেয় না এদেরকে কাজের বিষয় ভালো করে বুঝিয়ে দিলে তারা ভালো কাজ করতে দেখা যায়। বর্তমানে আমাদের এলাকায় পুরুষ শ্রমিক তেমন পাওয়া যাচ্ছে না এঁরা আছে বলে কৃষি কাজে সমস্যা হচ্ছে না নতুবা কৃষি কাজে সমস্যা হতো । নারীর সমঅধিকার ও সমমূল্যায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।এফএস
রাজবাড়ীতে মাইক্রোবাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের গান্ধিমারা এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় মোকারোম হোসেন (৫৫) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহি নিহত হয়েছে।শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে থানা পুলিশ।সে রাজবাড়ী জেলা কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের বিকয়া গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে।পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি হারুন অর রশীদ জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ী গামী একটি মাইক্রোবাস বিকাল ৫টার দিকে গান্ধিমারা এলাকায় পিছন থেকে মোটরসাইকেল আরোহি মোকারোম হোসেনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে পালিয়েছে গাড়িসহ চালক।এফএস
শিবচরে ফজিলাতুন্নেছা হত্যার স্বীকারোক্তি
মাদারীপুরের শিবচরে নিখোঁজ ফজিলাতুন্নেছা (৭০) কে হত্যা করেছেন, বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেকে জড়িয়ে আসামীর স্বীকার উক্তি। হত্যাকান্ডের রহস্য ২৪ ঘন্টায় উম্মোচন করেন শুক্রবার রাতে মাদারীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, গত ১২ জানুয়ারী দুপুরে নিজ বাড়ী থেকে ছোট ছেলেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে ছোট কুতুবপুর বাজারে যায়। ৭০ বছর বয়সী ফজিলাতুন্নেছা। এর পরে তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় জিডি করে তার পরিবার।নিখোঁজের ১১ দিনপর গত ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই এলাকার একটি বাগান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।ক্লুলেস হত্যার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই গ্রামের পিতা মফিজ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিহতের মোবাইল, সিম, স্বর্ণের কানের দুল, স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করে শিবচর থানা পুলিশ। এরপর বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় ওই যুবক।আদালতে আসামী নিজে ফজিলাতুন্নেছাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এমআর
তাড়াইলে দোকানের সাইনবোর্ডে ছাত্রলীগের ফিরে আসার বার্তা
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বন্ধু মেডিকেল হলের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে উঠে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ফিরে আসার বার্তা।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঔষধ বিক্রির দোকানের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে ওঠে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’।প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাজু আহমেদের ঔষধ বিক্রির দোকানের ডিজিটাল সাইনবোর্ড হ্যাক হয়ে যায়। হ্যাক হওয়ার পর সাইনবোর্ডে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ফিরে আসার বার্তা ভেসে উঠে। তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ২টার দিকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বন্ধু মেডিকেল হলের ডিজিটাল সাইনবোর্ড হ্যাক যায়। এরপর ছাত্রলীগ ফিরে আসার বার্তা ভেসে উঠে। হ্যাক হয়ে যাওয়ায় ডিজিটাল সাইনবোর্ড টি বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। পিএম
নির্বাচনের আগে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : গোলাম পরওয়ার
নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। এতে যতটুকু সময় লাগে জামায়াতে ইসলামী রাজি আছে। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার দেখতে চায় জনগন " অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বলেছি, আমরাও সংস্কার চাই। বিগত স্বৈরচারী সরকারের সময়ে রাষ্ট্রের সব বিভাগ রাজনৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রের এতগুলো বিভাগ অল্প সময়ে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে যারা জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসবে, বাকীটা তারা করবে।তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছে। বলে সংস্কার দরকার নাই, সংস্কার হলো কন্টিনিউয়াস প্রসেস। সংস্কার আর নির্বাচন একসঙ্গে হবে। এ কথার মধ্যে আমরা অন্য গন্ধ পাই। ওই ডামি আমি আর মামুর নির্বাচনের মতো তোমরাও মনে হয় কেটে-কুটে বাক্স ভর্তি করতে চাও। আমাদের জামায়াতে ইসলামীর টাকাও নাই, মাস্তানও নাই। আমরা তো ব্যালট কাটতে পারব না, কেন্দ্রও দখল করতে পারব না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই আমাদের লাভ। বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর বারবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে তো ষড়যন্ত্র হচ্ছেই, নতুন করে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আবার আওয়ামী ভাষায় কথা বলছেন। ফ্যাসিবাদের লোকেরা যে ভাষায় আমাদের সমালোচনা করত, নির্মূল করতে চাইত, ওনাদের মুখেও সেই ফ্যাসিবাদের গন্ধ পাওয়া যায়। আমরা বলি এই পথ ভালো না, এই পথ সর্বনাশের পথ।এ সময় অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার ভোলার গ্যাস ভোলায় ব্যবহারে জন্য বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ, ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিক্যাল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান।জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মদ জাকির সোসাইনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাযী।এছাড়াও জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।এফএস
জনস্রোতে পাল্লা ভারি নয়নের
'নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় একাত্মতা প্রকাশ করেছেন চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সমর্থিত সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী। প্রথমবারের মতো ভোলা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলবদ্ধ হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক।' এসব কথা বলেছেন চরফ্যাসন পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সোহেল।খাইরুল ইসলাম সোহেল আরও বলেন, 'স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার হটাতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের সংগ্রামী ভুমিকা সর্বজন প্রসংশনীয় হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে তার প্রতি আস্থা বেড়েছে জনগণের।'চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক কামাল গোলদার বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপি সুসংগঠিত। ভোলা-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম এর জনসমর্থন না থাকায় তার নেতৃত্ব ভাটা পড়েছে। ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তার পাল্লা খালি হয়ে নুরুল ইসলাম নয়নের পাল্লা ভারি হচ্ছে।'দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসন-মনপুরা তথা ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর আগমন উপলক্ষে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে চরফ্যাসন-মনপুরাবাসি। ২৭ জানুয়ারি চরফ্যাসন ও ২৮ জানুয়ারি মনপুরায় সফর করবেন এ যুবনেতা। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠন। আয়োজিত গণসংবর্ধনা সফল করতে নেতা-কর্মীরা প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছেন চরফ্যাসন উপজেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে।এদিকে ভোলা-৪ আসনে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এবং তার সান্নিধ্যে পেতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। ইতোমধ্যে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।চরফ্যাসন পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু বকর ছিদ্দিক মিলটন বলেন, 'মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের শুভাগমন উপলক্ষে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছে। নয়ন ভাই বাংলাদেশের যুব নেতৃত্বের আইডল। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসন-মনপুরার মানুষের ভালোবাসা নিয়েই যুবনেতা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ভাই এগিয়ে যাবে এবং তার শুভাগমন উপলক্ষে আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।'পিএম
বাউফলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালীর বাউফলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সরফরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, গ্রাহক হয়রানি, অধিনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার অনিয়ম দুর্ণীতির বিভাগীয় তদন্ত ও বদলী দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে বদলি করা হলেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে তার বদলি আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগ ও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করে সরফরাজ। তার বাড়ি উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে। তারা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোসারেফ হোসেন খানের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক ছিল। দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বেপরোয়া হয়ে উঠেন এ কর্মকর্তা। সমিতির গ্রাহকের মারধর, নিয়মিত সদস্য হওয়ার পরে লোন ও সঞ্চয় আটকে রেখে হয়রানি, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে অসদাচণ করেন তিনি। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল মো. আছাদুল হক নামে এক সদস্য ও একই বছরের ২ ডিসেম্বর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে ৫ জানুয়ারি তাকে দশমিনা উপজেলায় বদলির আদেশ দেন সিনিয়র প্রিন্সপাল অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম। ১২ জানুয়ারি দশমিনায় যোগদান করার কথা থাকলেও ১১জানুয়ারি যোগদানের সময় ৪মাস বৃদ্ধি করিয়ে নেন প্রভাবশালী এ কর্মকর্তা। রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. আছাদুল হক বলেন,‘ আমি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিয়মিত সদস্য । দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাংকে লেনদেন করে আসছি। বর্তমান শাখা ব্যাবস্থাপক সরফরাজের অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারে আমরা সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তিনি আমাদের পাশবই আটকে রাখেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করার পরেও ঋণ পাশ করেন না এবং অনেকে জমাকৃত সঞ্চয় আটকে রেখে হয়রানি করে থাকেন। শৌলা গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহবুব গাজী জানান, তিনি ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ নেওয়ার পরে মাঠ কর্মী নিয়মিত কিস্তি নিতে না আসায় কয়েকটি কিস্তি বাদ পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে অফিসে তুলে নিয়ে হেনস্থা করেন।রিজিয়া নামে আরেক সদস্য বলেন, তার প্রায় ৭ হাজার সঞ্চয় টাকা জমা রয়েছে। সঞ্চয়ের টাকা তুলতে একাধিক বার অফিসে গেলেও কর্মকর্তা তার টাকা উত্তোলন পাশ করেনি।পৌর শহরের ব্যাটারি ব্যবসায়ী মো. সিদ্দিক কাজী , আমি আগেও লোন নিয়েছি। এখন আবারও লোন আনতে গেলে কর্মকর্তা আমাকে লোন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। নিয়মিত লোন পরিশোধ করার পরেও তিনি আমাকে লোন দেয়নি।শৌলা গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহবুব গাজী জানান, তিনি ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ নেওয়ার পরে মাঠ কর্মী নিয়মিত কিস্তি নিতে না আসায় কয়েকটি কিস্তি বাদ পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে অফিসে তুলে নিয়ে হেনস্থা করেন।রিজিয়া নামে আরেক সদস্য বলেন, তার প্রায় ৭ হাজার সঞ্চয় টাকা জমা রয়েছে। সঞ্চয়ের টাকা তুলতে একাধিক বার অফিসে গেলেও কর্মকর্তা তার টাকা উত্তোলন পাশ করেনি।পৌর শহরের ব্যাটারি ব্যবসায়ী মো. সিদ্দিক কাজী , আমি আগেও লোন নিয়েছি। এখন আবারও লোন আনতে গেলে কর্মকর্তা আমাকে লোন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। নিয়মিত লোন পরিশোধ করার পরেও তিনি আমাকে লোন দেয়নি।উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপলে মাহমুদ ফিরোজ বলেন,‘ তিনি ( ব্যাংক কর্মকর্তা) আওয়ামী লীগের দোসর। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া কাউকে লোন দেয়নি। এখনো তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিএনপি পন্থি মানুষদের তিনি লোন দেন না। এছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে তার বাবা শাহজাহান হাওলাদারের নামে দুস্থ কৃষকের নামে বরাদ্দ হওয়া বিনামূল্যে সার, বীজ ও কিটনাশকসহ কৃষি উপকরণ নিয়েছেন এ কর্মকর্তা।এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সরফরাজ হোসেন বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট। যারা লোন নিয়ে পরিশোধ করেন না, তারা আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’এবিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা (আঞ্চলিক) কর্মকর্তা প্রদিপ কুমার বলেন,‘ অভিযোগের সুনিদিষ্ট প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’পিএম
জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে: উপদেষ্টা ফারুক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক ই আজম বলেছেন জন সম্পৃক্ত এবং গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প নিতে হবে। টি আর, কাবিখা বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য সহ এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানা প্রকল্পে আগে কি ধরণের কাজ হয়েছে সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে।পাশাপাশি জবাবদিহিতার জন্য আগের কর্মস্থলের তিন বছরের কাজের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পিআইও বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত সকল কর্মকর্তাগনের সাথে মতবিনিয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, এবার যে বরাদ্দ হয়েছে তা যথাযথভাবে করতে পারে এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার ও ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনসহ ছয় জেলার জেলা প্রশাসক এবং ৪২ প্রকল্প কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।পিএম
রাব্বি হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম অন্যথায় থানা ঘেরাও
বরিশালের বাবুগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজে ওই কর্মসুচি পালন করছেন নিহতের পরিবার ও কয়েক হাজার এলাকাবাসী। এসময় ঘন্টা খানেক মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার। তিনি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক ছাড়তে রাজি হয় নি। পরবর্তীতে তিনি মাইকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে সড়ক ছেড়ে দেয় জনতা।এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার না করলে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন নিহত রাব্বির ভাই জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমান। এসময় নিহত রাব্বির বোন লামিয়া আক্তার বলেন, আমরা ২ নম্বর আসামী রেজাউল কে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলেও তারা ছেড়ে দেয়। নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের ৭ দিন পার হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমার ভাইয়ের হত্যাকারিদের গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসি চাই।জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকন বলেন, রাব্বি স্কুল ছাত্র হলেও ছাত্রদলের সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করতো। রাব্বি ছাত্র দলের সক্রিয় কর্মী ছিল। আমরা রাব্বি হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার চাই এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।উল্লেখ্য যে, রাব্বি হাওলাদার( ১৮) নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় চার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।বুধবার বিকালে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় নিহতের বড় ভাই সাব্বির রহমান বাদী হয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- বাবুগঞ্জ উপজেলার বকশির চর গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সেন্টু হাওলাদার (৪৭), পূর্ব রহমতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে রেজাউল খান (২৮), একই গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে সাকিব (২৭) ও হাকিম খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার (২৮)। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিখোঁজের চার দিন পর গত বুধবার সকালে পূর্ব রহমতপুর গোডাউন এলাকায় বাচ্চু হাওলাদারের ছোট ছেলে রাব্বি হাওলাদার (১৮) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় শনিবার সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।এবি
সরিষাবাড়ীতে গাছের নিচে চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গাছ কাটার সময় কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে আব্দুল মজিদ (৫৫) নামে এক করাতি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার গেন্দারপাড়া এলাকার মজিবর রহমান মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মজিদ তারাকান্দি গ্রামের মৃত লেফাসু মণ্ডলের ছেলে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া আনু মন্ডলের বাড়িতে একটি কদম গাছ কাটতে যান করাতি আব্দুল মজিদ ও তার লোকজন। গাছটি যাতে বৈদ্যুতিক তারের উপর না পড়ে সে জন্য রশি দিয়ে একদিকে টেনে ধরেন। একপর্যায়ে গাছটি অসাবধানতায় আব্দুল মজিদ এর মাথার উপর পড়ে। বিষয়টি নিহত আব্দুল মজিদের ছেলে আতিক করে বলেন, ‘সকালে বাবা গাছ কাঁটার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। পরে লোকজনের কাছে বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবার মরদেহ দেখতে পাই। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাঁদ মিয়া জানান, এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবি
স্বামীর মৃত্যুর শোকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু
স্বামীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা পৌর শহরের পশ্চিম সাতপাই এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৃত নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ফকির (৫৫) কুনিয়া এলাকায় দুইজন শ্রমিক নিয়ে সেচ দেওয়ার জন্য ফিসারীতে যান। রাত আটটার সময় ফিসারীতে সেচ দেওয়া শেষ হলে সেচের পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তখন সাথে যাওয়া শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ও তার ছেলে মাজারুল ইসলাম সানি (৩২) রাত সাড়ে ১০টায় লাশ নিয়ে পশ্চিম সাতপাই এলাকায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। বাড়ির উঠানে রাখা স্বামীর লাশ দেখতে এসে স্ত্রী রিনা পারভীন (৪৮) শোকে কাতর হয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন রিনা পারভীনকে নিয়ে বাসার ভিতরে যাওয়ার পর তিনি হার্ড অ্যাটাক করেন।মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন রিনা পারভীনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রিনা পারভীন এর মৃত্যু ঘটে।স্থানীয় লোকজন ও এলাকায়বাসী বলছে, এটি একটি বিরল ঘটনা এরকম স্বামী স্ত্রীর একসাথে মৃত্যু কখনো দেখিনি। স্বামী স্ত্রী একজনের প্রতি আরেকজনের এতটাই প্রেম ছিল যে একজনের মৃত্যু আরেকজন সইতে না পারায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। এবং একই সাথে একই দিনে একই স্থানে তাদের জন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।পিএম
শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের ৯ হাজার বই জব্দ, আটক ১
শেরপুরে সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই জব্দ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধাতিয়াপাড়া এলাকা থেকে বইগুলো জব্দ করা হয়।অভিযানের সময় ঢাকাগামী একটি পিকআপে তল্লাশী চালানো হয়। এ সময় পিকআপটিতে থেকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ৯ হাজার বই উদ্ধার করে পুলিশ। পরে চালকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়।পুলিশ জানায়, বইগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রামের রৌমারি থেকে ঢাকা নেয়া হচ্ছিল। এরইমধ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। জব্দকৃত বইগুলো বর্তমানে সদর থানায় রাখা হয়েছে।এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান জানান, এ বইগুলো শেরপুর জেলার বরাদ্দকৃত বই নয়। অন্য কোনো জেলার বই হতে পারে।বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।পিএম
বকশীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলায় স্বেচ্ছাবেক লীগের নেতা সহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে জাকির হোসেন ও এরশাদ মিয়া নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন মেরুর চর ইউনিয়নের আইরমারী নতুন পাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে এবং এরশাদ মিয়া একই গ্রামের আ: ছালামের ছেলে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, একটি নাশকতার মামলায় মেরুরচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এরশাদ হোসেনকে জব্বারগঞ্জ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে জাকির হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুইজনকে জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পিএম
চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে এলজিইডি কর্মচারীর আত্মহত্যা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে সানোয়ার হায়দার (৩৬) নামে এক এলজিইডি কর্মচারী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সাড়ে ১০টার দিকে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহত সানোয়ার হায়দার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে। সে সৈয়দপুর পৌরসভার নয়াটোলা জমিলালেন এলাকার বাসিন্দা।সানোয়ার সরিষাবাড়ী উপজেলায় (এলজিইডি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ভুয়াপুরগামী ৩৭নং ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনটি যখন সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনে প্রবেশে করছিল। এ সময় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয় সানোয়ার হায়দার। পরে চলন্ত ট্রেনে তার দেহটি কেটে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী রিয়া আক্তার জানান, নিহত ব্যক্তি ট্রেন আসার পূর্বে রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং বুক চেপে কানাকাটি করছিলেন। ঠিক যখন ট্রেনটি আসে তখন সে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, নিহত ব্যক্তি পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণার কারণেই সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন উপজেলা বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী ছিলেন। তিনি দুই বছর যাবত এখানে কর্মরত আছেন। তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক। বিষয়টি তার পরিবারকে অবগত করা হয়েছে।এ ব্যাপারে সরিষাবাডী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র দে বলেন, রেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ মাস ধরে গৃহহীন ‘নাজু’
ভাঙ্গা ঘড়ির কাঁটা থেমে রয়েছে সোয়া ছয় টার ঘরে, পড়ার টেবিলের বইগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যত্রতত্র, কোরআন শরিফটিও পড়ে রয়েছে ভাঙ্গা সোকেশের ওপরের এক কোনায় আর বাড়ির মালিক গালে হাত রেখে বসে রয়েছেন ভাঙ্গা চালের বারান্দায়। ছবির গল্পটি ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের বেকামনি গ্রামের মৃত মজিবরের স্ত্রী ৬০ বছর বয়ষ্কা বৃদ্ধা নাজু বেগমের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্টে সৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। সেই সাথে পতন হয়েছে সৈরাচার সরকারের অনুসারী ও মদত দাতাদেরও। গত ৫ আগষ্টের পর সারাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে ঘটেছে রাজনৈতিক দখল ও লুটপাটের মত ঘটনা। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে একটি স্বার্থান্বেশি মহল। ঠাকুরগাঁও রুহিয়ার বৃদ্ধা নাজুর সাথেও ঘটেছে ঠিক তাই। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে গত ২৪ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সমর্থক তকমা লাগিয়ে তার বাড়ি এবং ভিটা লুটপাট, ভাংচুড় ও দখল করে তাকে করা হয় ভিটে ছাড়া । জানাযায়, ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের বেকামি গ্রামের মৃত মজিবরের স্ত্রী বৃদ্ধা নাজু বেগমের সাথে একই গ্রামের খলিল রহমান ও তার ছেলে রুহুল আমিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ সংক্রান্ত একটি মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে। বিরোধীয় জমির ওপরে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ২৪ আগষ্ট সে জমি এবং বৃদ্ধা নাজুর বাড়িটিও দখল করে নেয় অভিযুক্ত রুহুল আমিন। আর এ কাজে তিনি নাজু বেগমের পরিবারকে আওয়ামীলীগ সমর্থকের তকমা লাগিয়ে দখলে ব্যবহার করেন ভারাটে ছেলেপেলে সহ বিএনপির কিছু সমর্থকদের। সে সময় মারপিটে আহত করা হয় নাজু ও তার বিবাহযোগ্যা কন্যা এবং কৃষি কাজ করা একমাত্র ছেলেকে। তাদের বের করে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের বাড়িতে ঢোকার একমাত্র প্রবেশ পথটিও। এর পর থেকেই সন্তানদের নিয়ে অন্যে বাড়িতে আশ্রিত রয়েছেন বৃদ্ধা নাজু।নাজু জানান, আমাদের সাথে একটি জমি নিয়ে খলিল ও তার ছেলে রুহুলের ঝামেলা হয়েছিলো। মামলাও চলছে বিষয়টি নিয়ে। আদালত যা রায় দিবে আমরা তাই মাথা পেতে নেবো। তা না করে এবং আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে তারা আমাকে আর আমার সন্তানদের বের করে দেয়। আমি সন্তানদের নিয়ে এ বয়সে অন্যের বাসায় আশ্রিত রয়েছি। বাড়িতে ঢুকতে গেলে তারা বাধা দেয় প্রতিবারই এবং বাড়িতে ঢোকার রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয়। তালাবদ্ধ ঘরের নানা আসবাবপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। লোকমুখে শুনছি আমি এবং আমার ছেলে-মেয়ে বাসায় গেলে তারা আমাদের মারপিট করবে। আমার শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। নাজুর ছেলে রাজু হোসেন জানান, বাবা মারা যাবার পর আমাকে সংসারের হাল ধরতে কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। আমি আর পরিারকে আওয়ামীলীগ সমর্থক বানিয়ে তারা আমাদের বাড়ি ও ভিটা জবরদখল করে আমার মা বোনের গায়ে হাত তুলে বের করে দেয়। আমিও প্রাণের ভয়ে সে এলাকায় আর যেতে পারিনা। জানিনা আমরা কিভাবে আবার নিজেদের বাড়িতে যেতে পারবো। নাজু বেগমের প্রতিবেশিরা জানান, দখল করতে তারা এত বেশি লোকজন নিয়ে আসছিলো যে আমাদের নিরব দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা। নাজু আর তার পরিবারের ওপর তারা যে অত্যাচার করেছে তা অন্যায়। আদালত যদি নাজু আর তার পরিবারকে উচ্ছেদের নির্দেশ দিতো, তখন না হয় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতো। নাজুর বাড়ির রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয়ায় তারা আর বাড়িতেও ঢুকতে পারেনা। এটা অমানবিক । আমরা প্রতিবেশিরা আশা করছি সকল সমস্যা কাটিয়ে নাজু তার পরিবার নিয়ে আবারো নিজ বাড়িতে বসবাস করবে। অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বাবা খলিল রহমান বলেন “নাজু বেগমরা একসময় আমাদের জমিতেই আশ্রিত ছিলো। তারাই আমাদের জমি দখল করে এতদিন ছিলো।” তবে বাড়ি ভিটা জবর দখল এবং নাজু ও তার পরিবারের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্ত্বোর দিতে পারেননি। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তবে নতুন করে বাসার মালামাল লুট বা চুরির বিষয়ে জানিনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পিএম
পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা
পঞ্চগড়ে আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি থাকলে আজ তা নেমে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামলে ওই এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে দু’দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে।মাঘের এই তীব্র শীতের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। রিকশা-ভ্যানের চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের বেশি দুর্ভোগ দেখা গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা।কৃষকরা জানান, গত দুইদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আমাদের সকালেই সবজি ক্ষেত থেকে শাক সবজি বাজারে তুলতে হয়। কুয়াশার কারণে ১০ হাত দূরের কিছুও দেখা যায় না।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মেঘলা আকাশে হালকা কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এমন আবহাওয়া আরও ২/৩ দিন থাকতে পারে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ কমতে পারে।
পলাশবাড়ীতে অপহৃত স্কুল ছাত্রী তৃষ্ণাকে ফিরে পাবার আকুতি মা-বাবার
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তৃষ্ণা রানী সরকার (১৬) অপহরণের প্রায় ৩ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়েকে ফিরে পাবার আকুতি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা।শুক্রবার (২৪ জানুৃযারি) বিকেলে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফিরে পাবার আকুতি জানান তৃষ্ণার বাবা অসীম চন্দ্র সরকার ও মা বিথি রাণী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তাদের বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের আমলাগাছী গ্রামে। তাদের মেয়ে তৃষ্ণা রাণী স্থানীয় আমলাগাছী দবির উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্রী। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেটে যাবার পথে অপহরণকারী দলের সদস্য জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (২৭), আব্দুল গণির ছেলে শিহাব (২৬), খোকা মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২৬) তাদের সহায়তায় তৃষ্ণাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে এ ঘটনায় অপহরণে জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রায় ৩ মাসেও মামলার ২ নং আসামি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের আশঙ্কা অপহরণকারীরা তৃষ্ণা রাণীকে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় মেয়েকে ফিরে ফেতে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এ দম্পতি।পিএম
আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের ওপর জুলুম করেছে: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের ওপর জুলুম করেছে। মানুষ খুন করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। ফ্যাসিস্টরা যেন পুনরায় ফিরে না আসে এবং আমরা যেন তাদের আশ্রয়-প্রশয় না দেই। যত মানুষকে খুন করা হয়েছে তার প্রত্যকটির বিচার চাই।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মী সম্মেলন করা হয়। তিনি আরও বলেন, এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না যাতে আমাদের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়। চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। অটুট থেকে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। সেই ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় আর বাংলার মাটিতে হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সংঘটিত সব হত্যার বিচার চাই। মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই যুদ্ধ চলবে।জেলা শাখার আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কার্য পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জামায়ােত ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার সালেহীন, অধ্যাপক আজিজুর রহমান স্বপন প্রমুখ।দীর্ঘ ২১ বছর পর কুড়িগ্রামে জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলন ঘিরে কুড়িগ্রাম নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর এ বছরের ৫ জুলাই প্রকাশ্যে কর্মসূচি দেয় জামায়াত। তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মী সম্মেলন।এফএস
মাহফিল থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল শিশুর
নীলফামারীর ডোমারে ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মো. রাকিব ইসলাম (১২) নামের এক পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডোমার উপজেলার আন্ধারুর মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিহত রাকিব ইসলাম ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোট রাউতা জোড়াপাখুরী এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে এবং ছোট রাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়াজ মাহফিল থেকে সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে পঞ্চগড় থেকে জলঢাকাগামী দ্রুত গতির বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী ট্রাকের সাথে সাইকেলের ধাক্কা লাগলে, সেখানেই রাকিব গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় ও তার পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের লোকজন কোন অভিযোগ না করায়, কোন মামলা রুজু করা হয়নি।’পিএম
ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল, সম্পাদক বুরুজ
দীর্ঘ এক যুগ পর পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইদুল ইসলাম বুরুজ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মোতালেব হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।এতে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের মোট ৫৬৭ জন কাউন্সিলরের (ভোটার) মধ্যে ৫৪৪ জন ভোট প্রদান করেন।রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমান।জানা গেছে, সভাপতি পদে মো. রফিকুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪১৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আশরাফুল আলম স্বপন পেয়েছেন ১৩১ ভোট। এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ছাইদুল ইসলাম বুরুজ ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. শাহিনুর রহমান শাহিন পেয়েছেন ২২৫ ভোট।অন্যদিকে, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মোতালেব হোসেন ২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. মধু সরকার পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। অপর দুই প্রার্থী মো. আব্দুস সালাম নূর পেয়েছেন ৮৪ ভোট ও মো. আব্দুল আলীম পেয়েছেন ৫০ ভোট।এর আগে সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব ও পাবনা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। এসময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।এমআর
জামায়াত-শিবির দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল: মাও. রফিকুল
জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল, একথা বলেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া পৌর জামায়াতের আয়োজনে পৌর উন্মুক্ত মঞ্চে কর্মী ও সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিলো ফখরুদ্দিন, মঈন উদ্দিন এবং ভারতের `র' এর ভোট কারচুপির নির্বাচন। সে সময় উল্লাপাড়ায় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন,তবে রাতে ফলাফল পরিবর্তন করে তাকে পরাজিত করা হয়। আওয়ামী দুঃশাসনে উল্লাপাড়ায় তাদের নেতাকর্মীর উপর জুলুম নির্যাতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া হামলা মামলা সহ জামায়াতের ৩ জন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন আওয়ামী পুলিশ।বাংলাদেশের জামায়াত-শিবির সবচেয়ে বড় মজলুমের দল। তারা হাজার নির্যাতন সহ্য করেও কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। তারা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতেও ভয় পায়নি। জামায়াতের এই নেতা বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন,সকল গনহত্যার বিচার করতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে যারা দূর্নীতি ও চাঁদাবাজী করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলেও তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।কর্মীও সূধী সমাবেশে পৌর জামায়াতের আমীর আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও আব্দুল বারী'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী,সাধারাণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম, আব্দুস ছামাদ মিয়া,উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম মোত্তালিব,রফিকুল ইসলাম প্রধান,অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসাইন মিন্টু,ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মন্ডল আরো অনেকে।এমআর
দেশকে নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেব না: রফিকুল ইসলাম খাঁন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী আমলে ২ কোটি ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে। কিন্তু এ জোড়াতালির ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হবে না। নতুন করে ভোটার তালিকা করে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে। মানুষ জীবন দিযেছে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখার জন্য নয়। ২০০৮ সালে ছিল সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ বিনা ভোটে, ২০১৮ রাতের ভোটে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতায় যায় আওয়ামী লীগ।তিনি আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাংতে হবে। সরকারকে বলবো, আপনারা না পারলে সিন্ডিকেট কারা করছে, জনগণের হাতে সপর্দ করুন। তারাই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেবে।দেশটা কারো বাপের না। দেশটা কোনো দলের না। এই দেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সবদল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সন্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবেচয়ে ভাল থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।তিনি বলেন, যেনতেন নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয় নাই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংস্কার শেষে কবে নির্বাচন হবে তার একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করা যাবে না।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে খেলতে দেয়া হবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চাই। যে রাষ্ট্র কারও প্রভুত্ব মেনে নেবে না।প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানবো না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপন মানবো না। এদেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগন কারও প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পূরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামীলীগ। বিনা দোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডান্ডাবেরি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে যারাই সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বাচরে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তুু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।এদেশের মানুষ গণশত্রুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ তুলেছিল। জুলাই আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। একজন বিচারপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসি দিয়ে আস্ফালন করে বলেছিলেন "আজকে সাঈদিকে ফাঁসি দিয়ে আসলাম"। কিন্তুু তাদের পরিনতি কি হয়েছে তা সারা পৃথিবী দেখেছে। তিনি বলেন, অহংকার ভালো নয়, যারা অহংকার করে কথা বলতেন তারা এখন কোথায়। তারা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আলী মূর্তজার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.মাওলানা আব্দুস সামাদ,সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন। পিএম
সিরাজগঞ্জে জ্বীন দিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ
আপনজন ও স্বজনদের অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন সহজ সরল মানুষের আবেগ কে জিম্মি করে জ্বীনের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন হোসনে আরা নামের এক মহিলা। কথিত জ্বিন অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে না পারলেও হোসনে আরাকে রাতারাতি হয়েছেন কোটিপতি। প্রতারণার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তিনি কয়েক কোটি টাকার সম্পদ, কোটি টাকার বাড়ি ও কয়েক কোটি টাকা নগদসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের চর নরিনা পূর্ব পাড়ায় প্রশাসন এবং সচেতন মহলের নাকের ডগায় ৮/১০ বছর যাবত প্রতিদিন শত শত মানুষের সাথে এভাবেই প্রতারণা করে চলেছেন বাংলা ও আরবি জ্ঞান না থাকা হোসনে আরা বেগম। আর এভাবেই শুন্য থেকে রাতারাতি প্রায় শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা দরিদ্র ফরহাদ মন্ডলের স্ত্রী।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভুয়া কবিরাজ হোসনেয়ারার বাড়িতে শতাধিক মানুষ ভিড় করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় উপস্থিত মানুষদের মধ্যে অনেকেই নতুন এসেছেন আবার অনেকেই দীর্ঘদিনেও সুস্থ না হয়ে এসেছেন। তারা জানায়, কবিরাজের কাছে নালিশ দিতে প্রথমে ১০ টাকার সিরিয়াল ক্রয় করতে হয়।দুপুর দেড়টা থেকে কবিরাজ তার আসনে বসে জ্বিনের মাধ্যমে রোগীদের আচরণ বলে দেয় এবং বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই, নষ্ট করা হয়েছে এবং সে বেশিদিন বাঁচবে না বলে জানায়। সহজ সরল মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে তার কাছে সমাধান চাইলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা জেনে চলে দর কষাকষি। ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এর মধ্যে যদি কোন ধনীর সন্তানের বিষয় হয় তখন লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হয়।পরে কথিত জ্বিনের কবিরাজ হোসনেয়ারার প্রতারণার চিত্র ধারণ করতে গেলে তিনি ও তার লোকজন সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয়। পরে একটি দোকানের লাইসেন্স ধরিয়ে দিয়ে বলেন এটা তাঁকে কবিরাজী করার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। লাইসেন্সটি লক্ষ করে দেখা যায় এটা একটি দোকানের লাইসেন্স, পরে কবিরাজকে বলা হয় এই লাইসেন্স দিয়ে চিকিৎসা চালাতে পারবেন না। তখন আবারও কথিত কবিরাজ হোসনেয়ারা উত্তেজিত হয়ে বলেন আমার টাকার দরকার আমি এই কাজ করছি আপনি পারলে আমার ব্যবসা বন্ধ করেন। ইউএনও ও ওসির কাছে যান, এখানে পুলিশ নিয়মিত এসে দেখা সাক্ষাৎ করে যায়।চিকিৎসার নামে প্রতারণার শিকার উপস্থিত কয়েকজন ভুক্তভোগী জানায়, সন্তানদের চিকিৎসার আশ্বাসে কিউ ৫ হাজার, কেউ ১০ হাজার আবার কেউ তার চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন কাজ না হওয়ায় তারা কথিত কবিরাজ হোসনেয়ারার কাছে তাগাদা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু সে তাদের সাথে কথা না বলেই তারিয়ে দেন।পরে কথিত কবিরাজ বাহিনীর এক সদস্যও বাইরে এসে তাকে ভন্ড ও কুফরী বলে সাংবাদিকদের জানায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতির কথা ছড়িয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ যোগাযোগ করে প্রতারিত হওয়ার তথ্য দেয়। তারা ভন্ড কবিরাজ হোসনেয়ারাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন। এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, এতো বছর ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা চালিয়ে গেলেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আগে তার স্বামী মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর এই কাজ করে হোসনেয়ারা আলিশান বাড়ি করেছেন, গরুর খামার ও মাঠে মাঠে ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমির মালিক। এছাড়াও তার কাছে কয়েক কোটি টাকা নগদ রয়েছে।এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আলম বলেন, এই নারী নিয়মিত মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। এটা ভোক্তা অধিকারে দণ্ডনীয়, তাছাড়া তার কোন রকম শিক্ষা নেই, সে অবৈধভাবে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছে। এতে মানুষ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এবং এতে করে তাদের প্রাণহানিও ঘটতে পারে। এই বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহিলা লীগ নেত্রী পাখি গ্রেফতার
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে একটি বিস্ফোরক মামলায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার রাতে চাটমোহর পৌর শহরের একটি বাসা থেকে পাবনা ডিবি পুলিশের সহায়তায় চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনজুরুল আলম বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে এই আওয়ামী লীগ নেত্রী চাটমোহরে আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা ডিবি পুলিশের সহায়তায় চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে আটক করে। সে হান্ডিয়ালে বিস্ফোরক মামলার আসামী ছিল। শনিবার সকালে কোর্টের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। এবি
হাঁড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে হবিগঞ্জ জেলা খেটে খাওয়া মানুষ
জেলায় গত দু-তিন দিন ধরেই দেখা দিয়েছে বাড়তি তীব্র শীত। হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জন-জীবন। এতে সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও অন্যান্য শ্রমজীবি লোকজন। এছাড়াও ঠান্ডার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। ফলে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদিকে, মাঘের মাঝা-মাঝিতে এসে হঠাৎ শীত বাড়ায় বেড়ে গেছে গরম কাপড়ের দাম। কাপড়ের দোকানে দোকানে দেখা গেছে শীতার্থ মানুষের ভীড়।জেলা শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক কারনেই শীতের কাঁপুনি বেশি। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জন্য শীত বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দূর্ভোগ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরমুখি হয়ে পড়েছেন গ্রামের অনেক সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ঠিকমত কাজ করতে না পারায় তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে। সংসার চালাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শায়েস্তানগরের হকার্স মাকের্টে দেখা যায়, জেলার শহরসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক ক্রেতা শীতের কাপড় ক্রয় করছেন। জ্যাকেট, চাঁদর, মাফলার, কম্বল ও শীতের টুপি কিনতে ভীড় করছেন অনেকেই। আবার অনেক মহিলা ক্রেতাদেরকে জাম্পাটসহ শীতের গরম কাপড় ক্রয় করতে দেখা যায়। তবে দু-তিন ধরে কাপড়ের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে বলে জানান তারা।বিক্রেতারা বলেন, ‘শীত আসলেও তেমন একটা বেচা-কেনা হয়নি। গত ৩-৪ দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বেচা-কেনা বাড়ছে। মার্কেটে পুরুষের চেয়ে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। শিশুদের পোষাক, জ্যাকেট, কম্বল, জাম্পাট ও টুপির চাহিদা বেশি’।কাঁচামাল ফেরিওয়ালা আলফু মিয়া বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে দুই দিন ধরে কাজে বের হতে পারিনি। বিকালের দিকে বের হলেও তখন তেমন ক্রেতা মিলে না। তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কোনও মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এতে করে বেচা-কেনা একদম কমে গেছে’।ইটভাটার শ্রমিক ছালেক মিয়া জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা থাকার কারণে সকালে কাজে যোগ দিতে পারেন না তিনি। রৌদ্র দেখার সাথে সাথে সকাল শেষের দিকে কাজ শুরু করতে হয় তাকে। এতে সারাদিন শেষে ৩ থেকে ৪শ টাকার কাজ করতে পারেন। এর আগে তিনি প্রতিদিন ৫ থেকে ৬শ টাকার কাজ করতেন। শীতের কারনে তার আয় কমে গেছে। ফলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাকে।হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার দেবাশীষ দাস জানান, শীতে বেশিরভাগ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দেয়। যে কারণে অনেক ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। শীতের তীব্রতার কারণে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে সাধারণ রোগির চেয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা তিন গুন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।এবি
সাবেক এমপি আবু জাহির ও তার পরিবারের সম্পদ ক্রোকের আদেশ
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত সম্পদ ক্রোক ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।আদালতে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আবু জাহিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়।সাবেক এই সাংসদের নামে ঢাকার গুলশানে এপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮শ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১শ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬ লাখ ৫০ হাজার ১শ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২শ ২১ টাকার সম্পদ।এছাড়াও আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জীপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬ লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪, ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বীমা রয়েছে।দুদক আদালতকে আরো জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পত্তি। অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির পূর্বে বর্নিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরী।দুদকের হবিগঞ্জের পিপি এডভোকেট শামসুল হক আবু জাহিরের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।পিএম
ধর্মপাশার সুখাইড় রাজাপুরে কৃষক সমাবেশ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষে সারাদেশে তিন মাসব্যাপী কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুরে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষকদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক এবং সিলেট বিভাগীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক।প্রধান অতিথি বক্তব্যে আনিসুল হক প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে তারেক রহমানের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের ৩১ দফার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত এই বাংলাদেশকে আত্মনির্ভর করতে কৃষকদের ভূমিকা অপরিসীম। আগামীর বাংলাদেশকে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কী কী পদক্ষেপ নিলে প্রান্তিক কৃষক সমাজের জীবনমানের উন্নয়ন হবে সর্বোপরি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে তার একটি ধারণা এই সমাবেশ তারেক রহমানের দিক নির্দেশনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে অচিরেই এই অবহেলিত জনপদকে আত্মনির্ভরশীল জনপদে পরিণত করা হবে জানান তিনি।ধর্মপাশা উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিলন মজুমদার কবিরের সঞ্চালনায় কৃষক সমাবেশে কৃষক সমাবেশ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জে মাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চকবাজার (বউবাজারে) মঙ্গলবার মাছ বিক্রি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুইপক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে বউবাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাছ বিক্রি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। পশ্চিম টুকেরগাঁও ও নয়াগাঙ্গেরপাড়, গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়। পরে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করেন স্থানীয় মুরব্বিরা।এর জের ধরে আজ ২১ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সিলেট ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে জড়ো হতে থাকে উভয়পক্ষের লোকজন। দুপক্ষের লোকজন ইট, পাথর নিক্ষেপ করে। এসময় সিলেট ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় এখন পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাস্তার উভয়পাশে শত শত পর্যটক ও যাত্রীবাহি যানবাহন আটকা পরে। বেলা ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান, সময়ের কণ্ঠস্বর কে জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এবি
সুনামগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর আহসান এর জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
সুনামগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আহসান জামিল আনাছকে জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি)জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহসান জামিলের আইনজীবী রবিউল লেইস রোকেস। আহসান জামিল সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।সকালে সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চায়। পরে আদালতের বিচারক রোকন উদ্দিন কবির জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি তিনি। গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত জহুর আলী ভাই জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা বাসিন্দা হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জের সাবেক দুজন সংসদ সদস্যসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও ১৫০ থেকে ২০০জন।এবি
অনলাইন ভোট
সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আপনি কি তার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
অবশেষে ৪ ইসরায়েলি নারী জিম্মি মুক্তি দিয়েছে হামাস
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসের কাছে জিম্মি ৪ ইসরায়েলি নারীকে দাতব্য সংস্থা রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, রেড ক্রস বর্তমানে জিম্মিদের গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে আইডিএফ ও শিন বেট বাহিনীর কাছে নিয়ে এসেছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন কারিনা আরিয়েভ, লিরি আলবাগ, নামা লেভি এবং গাই গিলবোয়া-দালাল।ইসরায়েল আশা করছে যে আজকে হামাস তাদের কাছে জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণির বন্দীদের সম্পূর্ণ তালিকা হস্তান্তর করবে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুমান অনুসারে, ৩৩ জন বন্দীর মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন এখনো বেঁচে আছেন।এবি
গাজার ৫০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ সরাতেই সময় লাগবে ২১ বছর
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) কর্তৃক হামলায় গাজায় সৃষ্ট ৫০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লাগবে প্রায় ২১ বছর। এতে খরচ হবে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ যুদ্ধের কারনে গাজা উপত্যকাটির আগামী ৬৯ বছরের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা থমকে গিয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দীর্ঘদিন পর ঘরে ফেরার আনন্দ থাকলেও মনে শান্তি নেই গাজাবাসীর। কারণ, ইসরায়েলি বর্বরতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। তবে এর মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার বাসিন্দারা।যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে নেমেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তারা বলছেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শহরের প্রধান রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করা। যান চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। আপাতত শুধু ধ্বংসাবশেষ সরানো কাজ চলছে, কিন্তু রাস্তা পুরোপুরি পরিষ্কার হচ্ছে না। ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়া কাজ করা অসম্ভব।এবি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃহৎ এলএনজি চুক্তি করলো বাংলাদেশ
গ্যাস সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সাথে বড় ধরণের একটি নন-বাইন্ডিং জ্বালানি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি।চুক্তি অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা দখলের পর দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের এটিই গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি।কোম্পানিটি লুইজিয়ানায় বছরে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতার একটি অবকাঠামো গড়ে তুলছে । বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই প্রকল্প শেষ হলে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাস বিক্রি করবে তারা।এবি
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছে ২৮ বছর ওই বয়সী বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন এবং গত বৃহস্পতিবার(২৩ জানুয়ারি) বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্জন এলাকায় তার মরদেহ আবিষ্কার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত নারী একজন বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন সন্তানসহ শহরে বসবাস করতেন।এক পুলিশ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই নারী বাংলাদেশি নাগরিক এবং গত ছয় বছর ধরে এখানে বসবাস করছিলেন। তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসা ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন যে, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে আগে চলে যেতে বলেন। তবে রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মাথায় বড় পাথরের আঘাতসহ তার মরদেহ পাওয়া যায়। সম্ভবত কোনো তর্ক-বিতর্কের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিএনএস ধারা ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা)-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর পূর্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ১১২ নম্বরে কল পেয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থানে এক নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ মুক্তি পাচ্ছে ৪ ইসরায়েলি জিম্মি
গাজা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আজ বিকেলে চার ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন কারিনা আরিয়েভ, লিরি আলবাগ, নামা লেভি এবং গাই গিলবোয়া-দালাল। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দা এই তথ্য জানিয়েছে।ইসরাইলি গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনথ জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের চারজনই নারী। তাদেরকে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে মুক্তিপ্রাপ্তদের পৌঁছিয়ে দেবে।ইসরায়েল আশা করছে যে আজকে হামাস তাদের কাছে জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণির বন্দীদের সম্পূর্ণ তালিকা হস্তান্তর করবে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুমান অনুসারে, ৩৩ জন বন্দীর মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন এখনো বেঁচে আছেন।এবি
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ ১৩টি অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ ১৩টি অঞ্চলজুড়ে রাতভর বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এর মধ্যে ১২১টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতভর ইউক্রেনের একটি বড় ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। এ সময়ে ১২১টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, যা রাজধানী মস্কোসহ ১৩টি অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল।মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, রাজধানী শহরসহ পুরো মস্কো অঞ্চলে ৭টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যান্য ড্রোনগুলো সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো কুরস্কের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।এছাড়া রিয়াজান অঞ্চলে ২০টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ মন্ত্রণালয়। রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, জরুরি সেবা সংস্থাগুলো হামলার পর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করছে।টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে বড় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দেখা গেছে। ব্লগারদের দাবি, রাশিয়ার একটি তেলের স্টোরেজ ডিপো ও পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এদিকে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, রাজধানীর চারটি স্থানে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব মস্কোর কোলোমনা ও রামেনস্কয়ে এলাকায় ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে। তবে সেখানে কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি।এছাড়াও ব্রায়ানস্ক, বেলগোরোদ এবং অধিকৃত ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার অন্যান্য সীমান্ত অঞ্চলেও ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। সারাাটভ, রোস্তভ, ভরোনেজ, তুলা, ওরিওল এবং লিপেটস্ক অঞ্চলগুলোও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।এই আক্রমণের ফলে কিছু সময়ের জন্য মস্কোর দুটি প্রধান বিমানবন্দর- ভনুকোভো এবং ডোমোডেডোভো বন্ধ ছিল। ইউক্রেনের পালটা প্রতিক্রিয়াএদিকে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ৫৮টি ড্রোনের মধ্যে ২৫টি গুলি করে ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড্রোন ধ্বংসের সময় কিয়েভ অঞ্চলে এক নারীসহ তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স
ভারতকে মরণ জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প, যেকোন সময় হতে পারে দেউলিয়া!
ভারতের কপালের ভাঁজ শুরুতেই চওড়া করেছিলেন খ্যাপাটে বিশ্ব নেতা হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দাওয়াত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই দাওয়াতে জিনপিং সায় দিতে পারবেন না বুঝেই হয়তো তার সাথে ফোনে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ না হতে চাইলেও আপাতত বৈরীতা বাড়াতে চাইছেন না তিনি। সেই আভাসই দিয়েছেন টিকটকের উপর দিয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে।ট্রাম্পের এমন চীন ঘনিষ্ঠতা নিশ্চয়ই ভারতের বুকে মরণ জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। কারণ বর্তমানে আবারো চীনের সাথে ভারতের বৈরিতা শুরু হয়েছে নতুন করে। সীমান্তে সেনা সামন্ত আর মহড়ার সংখ্যা বাড়িয়েছে জিনপিংয়ের দেশ।ঠিক এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগের মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে গলায় গলায় ভাব জমানো ট্রাম্প এবার তাকে শপথ অনুষ্ঠানেই ডাকলেন না, দিলেন না কোন ফোনও। এমনকি ভারতের জন্যও কোন আশ্বাস বাণীও এখন পর্যন্ত দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। এমন ঘোর সময়ে আরও অন্ধকার ঘনিয়ে এল ভারতের দরজায়। ট্রাম্প সাম্রাজ্য থেকে এলো বড় দুঃসংবাদ। এবার বহু ভারতীয়কে আমেরিকা ছাড়া করবেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে পূর্ণ উদ্যমে কাজও শুরু হয়ে গেছে। বিনা নথিতে অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের এবার বের করেই ছাড়বেন ট্রাম্প।সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রায় আঠারো হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে ভারতে পাঠানোর কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। তবে আঠারো হাজারেই ক্ষান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মার্কিন মুলুকে লাখ লাখ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী আছেন। ফলে ফেরত পাঠানোর তালিকায় থাকা ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয়রা।প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় বিনা অনুমতিতে আমেরিকায় বসবাস করছেন। যদি এই পরিমাণ ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়, তবে নয়াদিল্লির অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ডলারে টান পড়লে ভারতের রিজার্ভ ধসে যেতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার খবরের পর থেকে তরতর করে কমছে ভারতীয় রুপির দাম। বিদেশি বিনিয়োগও রয়েছে তলানির দিকে। এশিয়ায় আধিপত্য খাটাতে মরিয়া মোদি রাজ্যের জন্য এটা মোটেও সুসংবাদ নয়। এমনকি জোট বেঁধে ক্ষমতায় গার্ড ধরে রাখা মোদির গদিতে আঘাত লাগতে পারে।তাই তড়িঘড়ি করে ট্রাম্পের নীতির সাথে সুর মিলিয়েছে মোদি সরকারও। দিল্লির প্রথম ধাপে শনাক্ত হওয়া এই অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত আনতে চায়। রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অল্পের মধ্যে ধাক্কা সামলাতেই দিল্লি কোনো কথা খরচ না করে ট্রাম্পের এই মতে সায় দিয়েছে। সেই সাথে ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে নয়া মার্কিন সম্রাটকে বাগে আনতে চাইছে মোদি প্রশাসন। কারণ ট্রাম্প বেঁকে বসলে কেবল অবৈধ অভিবাসী নয়, ভারতের ওপর বহু নিষেধাজ্ঞার বোঝাও চাপানো হতে পারে। বড় ট্রাম্প অ্যাটাক ঠেকাতে আগে থেকেই রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়েছে ভারত।এরই মধ্যে আগামী মাসে ওয়াশিংটনে মোদি ও ট্রাম্পের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই বৈঠকে চীনকে মোকাবেলা করার আর বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের সহজে দক্ষ কর্মী ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।এফএস
ভারতে সমরাস্ত্র কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৮
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি সমরাস্ত্র তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাগপুরের ভান্ডারা জেলার জওহরনগর এলাকায় অস্ত্র কারখানাটির এলটিপি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে কারখানার ছাদ উড়ে গেছে।নাগপুরের ভান্ডারা জেলা প্রশাসক সঞ্জয় কোলতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও চিকিৎসাকর্মীরা সেখানে রয়েছেন। এ ঘটনায় কারখানার এলটিপি বিভাগে ১৫ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় একজনকে মৃত এবং তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. বিস্ফোরণের আওয়াজ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা গেছে। দূর থেকে ধারণ করা ভিডিওতে কারখানা থেকে ঘন ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে খননযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখান থেকে পাঁচজনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাভিস। তিনি বলেন, নাগপুর থেকে একটি উদ্ধারকারী দল সেখানে গেছে। মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রয়েছে।খবর-এনডিটিভি এফএস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আগামী বছর বিদায় নেবে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। একইসঙ্গে ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংস্থাটির কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দিন সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও থেকে তার দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংস্থাটিতে মার্কিন সরকারের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও-এর ভূমিকার কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সোমবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য আমাদের ঠকিয়েছে।’ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা আগেও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি ডব্লিউএইচওর ওপর চীনের প্রভাব থাকার অভিযোগ তুলে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে।নতুন নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প তার দেশের সরকারি সংস্থাগুলোকে ডব্লিউএইচও-কে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অর্থ, সহায়তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এএফপি জানায়, একক দেশ হিসেবে ডব্লিউএইচও-এর সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে ডব্লিউএইচও-তে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে সীমিত হয়ে যেতে পারে সংস্থাটির কার্যক্রম। ডব্লিউএইচওকে বছরে আনুমানিক ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ডব্লিউএইচও থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির তারিখ ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি। নিয়ম অনুসারে, এক বছর পর ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের নোটিশ কার্যকর হবে।এফএস
যুদ্ধ বন্ধ না করলে পুতিনকে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়া আরও উচ্চ হারে কর, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর এ হুমকি দিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক আছে। কিন্তু জলদিই একটি চুক্তি না হলে অর্থনৈতিক দিক থেকে রাশিয়াকে নতুন করে শাস্তি দেবেন তিনি।ট্রাম্পের এই হুমকির পর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ক্রেমলিনের জানা দরকার যুদ্ধ অবসানের চুক্তিতে ট্রাম্প কী কী চান। তারপরই রাশিয়া চুক্তির পথে এগুবে।বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পলিয়ানস্কি বলেন, “এটি নিছক যুদ্ধ অবসানের প্রশ্ন নয়। সবচেয়ে প্রথমে এবং সর্বাগ্রে এটি হচ্ছে ইউক্রেইন সংকটের মূল কারণের দিকে নজর দেয়ার প্রশ্ন। সুতরাং, আমাদেরকে দেখতে হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচারবুদ্ধিতে এই চুক্তির মানে কী।”পারিপার্শ্বিক কিছু পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালিয়েছিল এবং তারপর দেশটির একটি অংশ, ক্রিমিয়া উপদ্বীপ, ২০১৪ সালে নিজেদের ভূখন্ডের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে। তারপর ২০২২ সালে ইউক্রেইনে পূর্ণ -মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
খেলা
সব দেখুন- পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারাল ৯ বছরের বাংলাদেশি মুগ্ধ
- চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
- জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশের টাইগ্রেসরা
- চট্টগ্রামে গিয়েই উজ্জ্বল তামিম, ঢাকার বিপক্ষে বড় জয় বরিশালের
- বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস
বিনোদন
সব দেখুন
হেফাজত ইসলামীর বাঁধায় টাঙ্গাইলে আসতে পারলেন না পরীমনি!
টাঙ্গাইলের কালিহাতীর অথেনটিক প্রোডাক্ট হারল্যানের স্টোর উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির আসার কথা ছিল। এ খবরে তার ভক্ত-অনুরাগীরা অপেক্ষার প্রহরও গুনছিলেন। তার এ আগমন ঘিরে বিপরীতমুখী অবস্থান নেন হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় মুসুল্লিরা। সপ্তাহ দুয়েক ধরে বিষয়টি নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। একপর্যায়ে পরীমণির এ সফরকে ঠেকাতে প্রস্তুতি নেন স্থানীয় মহল।এ অবস্থায় চাপের মুখে পড়ে অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস শপ হারল্যান স্টোরটির এলেঙ্গার শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটে শোরুমটির উদ্বোধনের কথা ছিল।স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে এলেঙ্গায় টিন মার্কেটে অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস শপ ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পরীমণি উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গত দুই-তিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পরীমণিকে ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা করছিলেন। পরীমণিকে যাতে এলেঙ্গার মাটিতে না আসতে পারে সে ব্যাপারে আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীমণির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলের ব্যাপারে থানা পুলিশ ও শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কয়েকজন মুসল্লি। এদিকে শোরুমটির উদ্বোধনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল, এলেঙ্গায় ততই উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। একপর্যায়ে শোরুম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চাপের মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন।শোরুমটির মালিক মীর মাসুদ রানা জানান , ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরীমণির থাকার কথা ছিল। এখানে কিছু ঝামেলা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল। ওনারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলেন। পরীমণি আসলে নাকি সমস্যা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করেছিলেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে থানা পুলিশ আমাদের আপাতত অনুষ্ঠানটি করতে নিষেধ করেছে। পরে কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের (ধর্মপ্রাণ মুসল্লি) প্রতি সম্মান জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। পরে ফেসবুকে দেখেছি তাদের কর্মসূচিটিও বাতিল করেছে।’,‘১০-১২ দিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করেছি। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছি।’ এদিকে, গত (শুক্রবার) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুব বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কালিহাতী উপজেলার সভাপতি মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন ‘এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে হারলেন শোরুম উদ্বোধন করার জন্য একজন চিত্রশিল্পী (পরীমণি) আসার কথা ছিল। এ বিষয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে ব্যাপক নেতিবাচক আলোচনা হওয়ায় স্থানীয় ইমাম, আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ কিছু ভাই আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করেন। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে স্থানীয় ওলামায়ে কেরামসহ আমি শোরুমের মালিক মাসউদ (মাসুদ) ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। মাসউদ ভাই সবার সম্মান রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শনিবারের প্রোগ্রাম স্থগিত করেন মর্মে আমাকে নিশ্চিত করেছেন। আমরা তার এই আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই বিষয় নিয়ে আর কোনও আলোচনা-সমালোচনা বা মজলিস কায়েম (কর্মসূচি) না করার জন্য সকল ইমাম, আলেম-ওলামা ও মুসল্লি ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি।’ কালিহাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, ‘হুজুররা ঝামেলা করেছিল। পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।এমআর
আইটেম গানে শুট করে বাসায় গিয়ে মার খেয়েছিলাম: চিত্রনায়িকা ববি
ঢাকাই চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শোবিজে পথচলা এই নায়িকার। শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও পরবর্তীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বড় পর্দায়। একটা সময় মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমা করে দর্শকের নজরে আসেন এই নায়িকা। বর্তমানে দর্শকদের কাছে ববির পরিচয় কখনো লেডি অ্যাকশন স্টার, আবার কখনো বিজলি। কিন্তু ববির ক্যারিয়ারে এমন অবস্থানে আসার পেছনের গল্প খুব একটা সুখকর ছিল না। যেমন- ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল নানান প্রতিকূলতা, আবার ছিল না কোনো পারিবারিক সহায়তাও। সব মিলিয়ে নিজের মতো করে, নিজের চেষ্টায় নিজের মাটি শক্ত করেছেন এই নায়িকা।সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার নিয়ে নানান আক্ষেপের কথা জানালেন ববি। নায়িকা জানালেন, তার বাবার পছন্দের কিছু ছবি করার ইচ্ছে রয়েছে তার। সেগুলো এখনো তিনি করেননি। তাই রয়েছে নানান আক্ষেপ ও ক্ষুধা। তবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আসাতে ঘোর আপত্তি ছিল ববির মায়ের। এই নায়িকার মা মনে করতেন, মেয়ে এভাবে সিনেমা করলে অভিভাবক হিসেবে সম্মানহানি হবে তার। ফলে দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্তও এক রকম নিয়ে ফেলেছিলেন ববির মা।ক্যারিয়ারে নিজের কাজের আক্ষেপ নিয়ে ববি বলেন, 'আমি বাবার সঙ্গে বেশ কিছু ছবি দেখে বড় হয়েছি। যেমন দীপু নম্বর টু, শাবানা আজমির আর্ট, উত্তম সুচিত্রার ছবি-যা বাবার খুব পছন্দ। আমি চাচ্ছি এখনো কিছু কাজ করব। অনেকে বলেন আমি সাকসেসফুল হিরোইন- এখন অন্যকিছুর চেষ্টা কর। কিন্তু আমার মনে যে খিদা রয়ে গেছে, আমি কিছু গল্প করতে চাই আমার বাবার জন্য। আমার ছবি অডিয়েন্স পছন্দ করেছে, আই রেস্পেক্ট দ্যাট। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিও ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে হয়, সেটা অনেক পরে বুঝেছি। আমি কাজ করেছি, চোখ মুখ বন্ধ করে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বাজে সময়ে এসেছি, তাই খুব গর্ব হয়। আবার তখন পরিবার থেকেও ১ শতাংশ সাপোর্ট পাইনি।' ক্যারিয়ার নিয়ে পরিবারে কতটা খারাপ সময় কেটেছে তার, তা তুলে ধরে এ নায়িকা বলেন, 'একটা সময় অনেক বাজে সময় আমি পার করেছি। মায়ের সঙ্গে আমার যে লড়াইটা চলেছে কাউকে ভাষায় বলার মতো না। আমার কিছু কোল্ড জুয়েলারি, ক্রেস্ট ও কিছু ক্যাশ আমি বাসায় এনে দিয়েছিলাম। আমার মা এসব দেখে ছুঁড়ে ফেলেন। বাইরেও পলিটিক্সের শিকার হয়েছি, বাসায় এসে চড়ও খেয়েছি, যেমন আমি দেহরক্ষী আইটেম গানে শুট করে বাসায় গিয়ে মার খেয়েছিলাম।'ববি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ সিনেমা 'ময়ূরাক্ষী'। গত বছরের ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। সিনেমাটি সেভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি। এ সিনেমা নিয়ে হতাশার কথাও গণমাধ্যমকে তখন জানিয়েছিলেন তিনি। সিনেমায় অভিনীত চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে হতাশ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ববি বলেছিলেন, 'শুধু আমি নই, দর্শকও হতাশ। অনেক দর্শকই বলেছেন আমার চরিত্রটির আরও ব্যাপ্তি প্রয়োজন ছিল। এটা তো একজন সিনেমার নায়িকার গল্প নিয়ে বানানো সিনেমা। অথচ সেই নায়িকার চরিত্রটিই ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলা হয়নি। গল্পটা যাকে নিয়ে, তাকেই যদি পর্দায় এস্টাবলিশ না করেন, তাহলে এর সার্থকতা কোথায়।' ছবির ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে নির্মাতার সঙ্গে দ্বন্ধেও জড়িয়ে ছিলেন এই নায়িকা।
সিনেমায় আর কখনো অভিনয় করব না: পড়শী
একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে গান গেয়ে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেন সাবরিনা পড়শী। এরপর একে একে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট গান। দেখতে দেখতে গানে গানে পেরিয়ে গেছে তার ১৬ বছর। বর্তমানে স্টেজ শো ও নতুন গান নিয়ে বেশ ব্যস্ততা তার। এদিকে, গানের পাশাপাশি অভিনয়েও দেখা যায় পড়শীকে। কাজ করেছেন বেশ কিছু নাটকে। শুধু তাই নয় শাকিব খানের সঙ্গে তাকে দেখা গিয়েছে বড় পর্দাতেও। সিনেমায় আবার কবে দেখা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, 'সিনেমায় আমি অভিনয় করেছি বিষয়টি কিন্তু তা নয়। আমি আসলে শাকিব ভাইয়ার সঙ্গে একটা ছবিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেটাকে পুরোপুরি সিনেমায় অভিনয় বলা যাবে না। আমার কাছে সেটাকে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের মতোই লেগেছে।' পড়শীর আরও বলেন, 'সিনেমায় আর কখনো অভিনয় করব না। কারণ সেখানে অভিনয় করতে অনেক দক্ষ হতে হয়, সঙ্গে লাগে প্যাশনও। আমার দুটির কোনোটিই তেমন নেই। আর একটা বিষয়- সিনেমা করতে অনেক সময় দরকার। সেটা পাঁচ-ছয় মাস বা এক বছর। এত সময় আমি দিতে পারব না। আমি যেহেতু গানের মানুষ, তাই গানেই বেশি থাকতে চাই।' গেল বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এই সংগীতশিল্পী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিলয়ের সঙ্গে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের এক বছর পর রবিবার (১২ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পড়শী।
আজ ঢাকা মাতাবে পাকিস্তানি ব্যান্ড কাভিশ, থাকছে দেশের ব্যান্ড ও শিল্পীরাও
বর্তমান সময়ে মনোমুগ্ধকর সুর ও কবিতাময় গানের জন্য পরিচিত পাকিস্তানি ব্যান্ড কাভিশ। 'নিন্দিয়া রে', 'বাচপন' এবং 'তেরে প্যায়ার ম্যা'সহ তাদের একাধিক জনপ্রিয় গান দক্ষিণ এশিয়ার সংগীতাঙ্গনে এক অন্যরকম উচ্চতা এনে দিয়েছে ব্যান্ডটি। শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) সেনাপ্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক জাদুকরী সন্ধ্যা। কারণ, পাকিস্তানের জনপ্রিয় এই ব্যান্ডটি প্রথবারের মতো দেশের মাটিতে পারফর্ম করবে। ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ব্যান্ডটি। 'ঢাকা ড্রিমস: কাভিশ লাইভ ইন কনসার্ট'র আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনস এমনটাই জানিয়েছে।তারা আরও জানায়, আমরা 'কাভিশ'কে ঢাকায় আনার সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দিত এবং এমন একটি সন্ধ্যার আয়োজন করছি যেখানে দেশি এবং আন্তর্জাতিক শিল্পীরা একসাথে সঙ্গীত উদযাপন করবেন। কাভিশের পাশাপাশি লেভেল ফাইভ, আরমীন মুসা, অর্ণব, সুনিধি নায়েক এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড শূন্য দর্শকদের মাতাবেন।আরও পড়ুন- ভালোবাসার সংজ্ঞা শরীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়: সেমন্তী সৌমি'ঢাকা ড্রিমস: কাবিশ লাইভ ইন কনসার্টটি'র ভেন্যুতে গেট খোলা হবে বিকেল ৩টায়। সন্ধ্যা ৬টার পর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।১৯৯৮ সালে জাফর জায়েদি এবং মাআজ মাওদুদ-এর হাত ধরে গঠিত কাভিশ ব্যান্ড। তাদের সেমি-ক্ল্যাসিকাল স্টাইল ও সমসাময়িক মিউজিকের অনন্য মিশ্রণের জন্য বিখ্যাত। দলটির প্রথম অ্যালবাম 'গুনকালি', যা প্রকাশ পেয়েছিল ২০০৯ সালে। ব্যান্ডটির পরিচিত গানের মধ্যে রয়েছে 'মোরে সাইয়া', 'নিন্দিয়া রে', 'ফাসলে' ইত্যাদি।
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
ফের বেড়েছে সোনার দাম
চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। যা এতদিন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬১ টাকায় বিক্রি করা হবে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।এফএস
সমালোচনার মুখে ওষুধ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন
ওষুধ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবাসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও অংশীজনের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর জনস্বার্থে এসব পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার এবং সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করেছে এনবিআর।যেসব পণ্য ও সেবায় আরোপিত ভ্যাট কমিয়েছে এনবিআরওষুধ: সব জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবাকে আরও সহজতর করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বলবৎ রাখা হয়েছে। ফলে ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা: দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বিনির্মাণ এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম অথবা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার উপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত অথবা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বৃদ্ধি পাবে না।রেস্তোরাঁ: দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভমূল্যে রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণের সুবিধার্থে থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ স্টার হোটেল ব্যতীত অন্য সব রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ আগের মূল্যেই এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে এ সংশ্লিষ্ট সেবায় মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।অন্যান্য: একই বিবেচনায় নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।এবি
দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থায়নের ক্ষেত্রে দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি ব্যাংকটির ঋণ কমসূচিতে বৈচিত্র্য আনার নির্দেশনা দেন। বলেন, তদারকির আওতায় রাখতে হবে ঋণ কার্যক্রম।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংককে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ থাকবে। জেনারেল ব্যাংকে রূপান্তর করলে লক্ষ্য থেকেও বিচ্যুত হবে কর্মসংস্থান ব্যাংক।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো গেলে সমাজে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রভাব আরও বাড়ানো সম্ভব। বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কিছু অর্থ এ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনবল স্বল্পতার সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলেও মনে করেন গভর্নর।এবি
অবশেষে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে ফের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পুনঃতফশিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এই সুযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের অনেক শিল্প কলকারখানা। এতে উৎপদন বন্ধসহ নানা জটিলতায় খেলাপি হয়ে পড়ছে অনেকে। আছে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাব এই কমিটি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ব্যাংকগুলো প্রথমে পর্যালোচনা করে সুপারিশ কমিটিতে পাঠাবে। সুপারিশ কমিটি তখন সেগুলো পর্যালোচনা করবে। তবে এখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপি এই পর্যালোচনার মধ্যে আসবে না। ২০১৯ সালেও খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এই সুযোগ পেয়েছিলো ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা। নতুন এই কমিটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমলে না নিয়ে নির্মোহভাবে কাজ করলে সুফল মিলবে বলে মনে করছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। আর ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। চলতি মাসে এ নিয়ে নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি
‘স্বপ্ন’তে মাত্র ৯৯ টাকার মিলছে এক ঝুড়ি শীতের সবজি
চেইন সুপারশপ 'স্বপ্ন' এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে শীতের সবজির মিক্স কম্বোর সাশ্রয়ী অফার। আজ শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে। 'স্বপ্ন' কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে এক ঝুড়ি সবজি দিয়ে কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে পাওয়া যাবে ফুলকপি, লাউ, আলু, শিম, টমেটো, লেবু, শসা, বেগুন, গাজর ও পেঁয়াজের কলি। যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা। অফারটি চালু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।এর আগে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস ও ১০০ গ্রাম আলুর কম্বো প্যাক বিক্রি শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে যায়। এরপর আরও বেশকিছু কম্বো প্যাক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি।
ভ্যাট বাড়ছে না মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর
তীব্র সমালোচনার মুখে বাড়তি ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত আবারো পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমানো হচ্ছে মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এরই মধ্যে জাতীয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন ভ্যাট হারের আদেশ জারি হবে শিগগিরিই। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। যাতে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয় মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক। আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ শতাংশ করা হয়। যার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। দেয়া হয় কর্মসূচিও।এনবিআর সূত্র থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দেয়। টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ করে আদায় করতে হবে। একই সঙ্গে আইএমএফ শর্ত দেয় যে, বকেয়া আদায় বা মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করলে চলবে না, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে বাজেট পদক্ষেপের মাধ্যমে। অর্থাৎ কর হার বাড়িয়ে-কমিয়ে। এ অবস্থায় এনবিআর ভ্যাটহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারি প্রায় শতাধিক পণ্যের ভ্যাট- সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। এ তালিকায় ছিল-জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট। নতুন আদেশ অনুযায়ী, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। এ কারণে ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এনবিআরকে জানানো হয়। একইভাবে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। এ নিয়ে সব মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবি
বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান শ্রমিক-কর্মচারীরা
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি চেয়ে বন্ধ কারখানাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা। বন্ধ থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১টি কারখানা ‘মানবিক কারণে’ সচল রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বেক্সিমকোর তৈরি পোশাক কারখানা ও টেক্সটাইল বিভাগের কর্মী ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানিয়েছেন।বেক্সিমকো গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ বলেছেন, আমরা শ্রমিক-অফিসাররা পেটের দায়ে আপনাদের কছে এসেছি। সরকারের কাছে অনুনয়, বিনয় করে বলতে চাই, সরকার বেক্সিমকোতে হস্তক্ষেপ করুক। কারখানা খুলে দিয়ে আমাদের চাকরি বাঁচান।এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের একদল কর্মী। তাদের বক্তব্য, মালিকপক্ষকে জানিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন।সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ অবিলম্বে তাদের কারখানাগুলো খুলে দিয়ে ‘৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ১০ লক্ষ মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।তিনি প্রধানত তিনটি দাবির কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো:অবিলম্বে লে অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর সকল কারখানা খুলে দিতে হবে, রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশ থেকে কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে বন্ধ রাখা ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি অবিলম্বে দিতে হবে, কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সকল বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায় দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।এনাম উল্লাহ বলেন, সরকার যেভাবে চাইবে, প্রতিষ্ঠান সেভাবে চালাক। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিক। কারখানা চালু থাকলে ধীরে ধীরে সবার পাওনা দিতে পারবে।গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অধিকাংশ কারখানা।আরইউ
ফের বেড়েছে সোনার দাম
চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। যা এতদিন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬১ টাকায় বিক্রি করা হবে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।এফএস
সমালোচনার মুখে ওষুধ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন
ওষুধ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবাসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও অংশীজনের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর জনস্বার্থে এসব পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার এবং সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করেছে এনবিআর।যেসব পণ্য ও সেবায় আরোপিত ভ্যাট কমিয়েছে এনবিআরওষুধ: সব জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবাকে আরও সহজতর করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বলবৎ রাখা হয়েছে। ফলে ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা: দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বিনির্মাণ এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম অথবা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার উপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত অথবা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বৃদ্ধি পাবে না।রেস্তোরাঁ: দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভমূল্যে রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণের সুবিধার্থে থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ স্টার হোটেল ব্যতীত অন্য সব রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ আগের মূল্যেই এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে এ সংশ্লিষ্ট সেবায় মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।অন্যান্য: একই বিবেচনায় নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।এবি
দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থায়নের ক্ষেত্রে দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি ব্যাংকটির ঋণ কমসূচিতে বৈচিত্র্য আনার নির্দেশনা দেন। বলেন, তদারকির আওতায় রাখতে হবে ঋণ কার্যক্রম।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংককে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ থাকবে। জেনারেল ব্যাংকে রূপান্তর করলে লক্ষ্য থেকেও বিচ্যুত হবে কর্মসংস্থান ব্যাংক।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো গেলে সমাজে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রভাব আরও বাড়ানো সম্ভব। বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কিছু অর্থ এ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনবল স্বল্পতার সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলেও মনে করেন গভর্নর।এবি
অবশেষে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে ফের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ পুনঃতফশিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এই সুযোগ পাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের অনেক শিল্প কলকারখানা। এতে উৎপদন বন্ধসহ নানা জটিলতায় খেলাপি হয়ে পড়ছে অনেকে। আছে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ঋণ পুনঃতফশিলে আবারও বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণের প্রস্তাব এই কমিটি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ব্যাংকগুলো প্রথমে পর্যালোচনা করে সুপারিশ কমিটিতে পাঠাবে। সুপারিশ কমিটি তখন সেগুলো পর্যালোচনা করবে। তবে এখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপি এই পর্যালোচনার মধ্যে আসবে না। ২০১৯ সালেও খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এই সুযোগ পেয়েছিলো ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা। নতুন এই কমিটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমলে না নিয়ে নির্মোহভাবে কাজ করলে সুফল মিলবে বলে মনে করছেন ব্যাংক নির্বাহীরা। আর ঋণ পুনঃতফসিল হলেও ঋণের মান পরিবর্তনের বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। চলতি মাসে এ নিয়ে নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি
‘স্বপ্ন’তে মাত্র ৯৯ টাকার মিলছে এক ঝুড়ি শীতের সবজি
চেইন সুপারশপ 'স্বপ্ন' এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে শীতের সবজির মিক্স কম্বোর সাশ্রয়ী অফার। আজ শনিবার ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে। 'স্বপ্ন' কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে এক ঝুড়ি সবজি দিয়ে কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে পাওয়া যাবে ফুলকপি, লাউ, আলু, শিম, টমেটো, লেবু, শসা, বেগুন, গাজর ও পেঁয়াজের কলি। যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা। অফারটি চালু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।এর আগে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস ও ১০০ গ্রাম আলুর কম্বো প্যাক বিক্রি শুরু করে স্বপ্ন সুপার শপ। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে যায়। এরপর আরও বেশকিছু কম্বো প্যাক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
কৃষি গুচ্ছ থেকে বের না হওয়ার কারণ জানালেন বাকৃবি উপাচার্য
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া জানান, আমাদের ইচ্ছা ছিল কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। তবে দেশের সামগ্রিক অবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়নি। আগামী বছর অবশ্যই চেষ্টা করব কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মতো আলাদা আলাদা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।” শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।উপাচার্য আরও বলেন, “কৃষি গুচ্ছ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা কম খরচে এবং কম কষ্টে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে পরীক্ষার তারিখ বিলম্ব হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায়, যার ফলে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার কিছুটা কমে যায়। তবে যারা কৃষিবিদ হতে চায়, তারা অবশ্যই পরীক্ষায় অংশ নেয়।এফএস
শিক্ষকদের অবহেলায় বন্ধ ক্লাশ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি), প্রস্তাবিত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিভিন্ন বিভাগের পিঠার স্টল দেখা গেলেও এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি), প্রস্তাবিত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত স্টলে দেখা যায় একটি সাদা ব্যানারে লাল রঙের লেখায় অর্থাৎ রক্তাক্ত লেখায় 'আমাদেরও অধিকার ছিল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করার'।জানা যায়, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও পিঠা উৎসবে উদযাপন থেকে বঞ্চিত করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিনব প্রতিবাদের মাধ্যমে নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করার অধিকার আমাদেরও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন হচ্ছে অথচ আমরা উক্ত আয়োজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আমরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অধিকার সবটাই আমাদের ছিল। কিন্তু সেই অধিকার থেকেও শিক্ষকরা আমাদের বঞ্চিত করেছেন।ভিসি স্যারের কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়ে ক্লাসে ফিরলেও বিভাগের শিক্ষকদের নাটকীয় দাবি শুরু হয়। যার জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দফায় দফায় আমরা ক্লাসে ফেরার জন্য চেষ্টা করি, কিন্তু স্যাররা আমাদের ক্লাসে ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আমরা চেয়েছিলাম ক্লাসে ফিরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদযাপন করব। কিন্তু উক্ত উদযাপনের বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।শিক্ষকরা আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেছে, যা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের জীবন নিয়ে আতঙ্কিত।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে এপিপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, 'ডিপার্টমেন্টের নাম ও সাটিফিকেট পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডে প্রায় সমাধান হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য বিভাগের একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেন। তবে এপিপিটি বিভাগের স্টলে শিক্ষার্থীদের লাগানো বিষয়ে আমি অবগত নই।'তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অংশগ্রহণের জন্য কোনো শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে বিষয়ে ওই শিক্ষকের নাম উল্লেখ করেননি।উল্লেখ্য, ডিগ্রি-সংক্রান্ত জটিলতায় গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৮ ডিসেম্বর ডিগ্রি ও বিভাগের নাম ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং করার আশ্বাসে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা জানায়,জানুয়ারি থেকে ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও একদিন ক্লাস নিয়ে আন্দোলনের জন্য মাফ চাওয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীরা মৌখিকভাবে মাফ চাইলেও নিজেদের নিরপরাধ এবং অধিকার আদায়ের জন্য এ আন্দোলন ছিল বলে লিখিত মাফ চাওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়। যার ফলে ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।এফএস
নানা আয়োজনে যবিপ্রবির জন্মদিন পালিত
বর্ণিল পথ আল্পনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন উড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জাতীয় পতাকা এবং মাননীয় কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ১০.৩০ মিনিটে প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য।উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ মহোদয়সহ আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারী নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরণ, বাহারী আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।দুপুর ১ টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্ঠায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ আরোও বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদের রক্ত এখনো শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করে যাবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হোসাইন আল মামুন বলেন, অতি সম্প্রতি শীর্ষে আরোহন করা বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি অবদান বিশে^র উপর প্রভাব পড়বে, সেই অগ্রযাত্রায় যবিপ্রবি শামিল হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরোও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ জাফিরুল ইসলাম, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এইচ. এম শাহারিয়ার। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে ২৭ টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।এফএস
বাকৃবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার উপস্থিতি শতকরা ৯৩.৮ শতাংশ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২ টায় পরীক্ষা শেষ হয়। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার বাকৃবি কেন্দ্রে ৯৩.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন।ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার সুবিধার্থে বাকৃবি কেন্দ্রে আসন বিন্যাস মোট ১৮ টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৮ হাজার ২ শত ৭১ জন।ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেছেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহীদুল হক , রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো হেলাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড.মো আরিফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ।বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক এবং ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলে শতকরা ৯৩.৮ শতাংশ।ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাকৃবি কেন্দ্রে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্যে প্রতিটি কেন্দ্রেই সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুন্দর ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করে যেনো নিজেদের ভর্তি নিশ্চিত করতে পারে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।এফএস
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
ফেরেশতাদের শব্দ রেকর্ড করলো নাসা!
মহাকাশ নাকি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ-এটাই এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল! কিন্তু নাসার গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য! মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা এক রহস্যময় ধ্বনি রেকর্ড করেছে নাসা, যা শুনে গবেষকরা অবাক! তাদের মতে, এটি যেন কোটি কোটি মানুষের একসঙ্গে কোনো মন্ত্র বা সংগীত গাওয়ার মতো শোনাচ্ছে! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই শব্দ কি সত্যিই শুধুই বৈজ্ঞানিক কম্পন, নাকি ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি? ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আকাশের প্রতিটি অংশে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত! তাহলে কি এবার সেই সত্যের প্রমাণ পেল বিজ্ঞান?সাহীহ মুসলিম হাদিস আবু দার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন সাহাবারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আকাশে কী দেখেছেন? কী শুনেছেন?”জবাবে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখতে পাও না। আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শুনতে পাও না। আকাশজুড়ে প্রচণ্ড কম্পনের শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর এর পেছনে রয়েছে এক গভীর রহস্য! আকাশের প্রতিটি অংশে, এমনকি চার আঙুল পরিমাণ জায়গাও খালি নেই-সেখানে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর জিকিরে মশগুল।”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মতো শব্দ হচ্ছে। অতীতে ধারণা করা হতো যে, মহাকাশ একটি সম্পূর্ণ বায়ুশূন্য পরিবেশ, যেখানে শব্দের সৃষ্টি অসম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাসার একাধিক গবেষণা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা ও কম্পনের ফলে বিশেষ ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।নাসার “আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট” এবং “লিসেন টু দ্য ইউনিভার্স” শীর্ষক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে মহাকাশে শব্দের সৃষ্টি হয়। সংস্থাটির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও গবেষণা সরঞ্জামের মাধ্যমে এসব মহাকাশীয় শব্দ শনাক্ত ও রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রের তোলা ছবিগুলোর তিনটি নতুন সোনিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি নতুন এক ডকুমেন্টারি NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করে।সোনিফিকেশন হলো তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। চন্দ্র এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রগুলো মহাকাশ থেকে যে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে, তা সাধারণত ডিজিটাল সংকেত আকারে থাকে এবং পরে চিত্র আকারে রূপান্তরিত করা হয়। সোনিফিকেশন প্রকল্প সেই তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করে, যা নতুন এক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে।নাসার নতুন ডকুমেন্টারি "Listen to the Universe" NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এটি দেখায় কীভাবে সোনিফিকেশন তৈরি করা হয় এবং এই প্রকল্পের পিছনের গবেষণা দল কিভাবে কাজ করে।২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য মহাকাশের তথ্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যায়।নাসার চন্দ্র প্রোগ্রামের ভিজুয়ালাইজেশন ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞানী কিম্বারলি আরক্যান্ড বলেছেন, আমরা NASA+ এবং SYSTEM Sounds-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই গল্পটি বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। দুর্দান্ত বিষয় হলো এই প্রকল্পটি দারুণভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং অনেক মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।গবেষকদের মতে, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রের বিকিরণের ফলে কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়, যা থেকেই এসব শব্দের উৎপত্তি ঘটে। মূলত, এসব শব্দ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ হিসেবে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৪০০ বছর আগেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির মতো শব্দ হয়।নাসা বর্তমানে বলছে, এই শব্দগুলি কাঁপুনির কারণে সৃষ্টি হয়। এমনকি গবেষণার সাথে যুক্ত একজন বিজ্ঞানী মন্তব্য করেছেন, যে শব্দ শুনে তার মনে হয়েছে যেন একত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হলো খ্রিস্টানদের একধরনের ধর্মীয় সঙ্গীত, যা একসঙ্গে গাওয়া হয়। তবে, ১৪০০ বছর আগে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন।নাসা মহাকাশে যে শব্দ আবিষ্কার করেছে, তার পেছনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে, যেমন নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র বা প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ। তবে, এই শব্দের বর্ণনা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি ১৪০০ বছর আগে বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন। যদিও নাসা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে এই শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি কিনা, তা কেবল আল্লাহই জানেন।এফএস
নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি, ‘নবীজির ঘর মোবারক’ শীর্ষক শিরোনামে দুটি ছবির একটি কোলাজ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে৷রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের নয় বরং প্রথম ছবিটি তাঁর ঘরের আদলে করা একটি অ্যানিমেশনের এবং দ্বিতীয় ছবিটি ভারতের একটি রাজপ্রাসাদের অন্দরের ছবি৷ এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Devlet-i Aliyye-i Turkiya নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘[3D] The Inside of The Prophet Muhammad’s House and His Belongings (Replica)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি হাদিসের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘর ও ঘরের জিনিসপত্রের প্রতিরূপ। এই প্রদর্শনীটি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রথম ছবিটি ব্যবহার করে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের আসবাবপত্র’ শীর্ষক শিরোনামে একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।অন্যদিকে, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মিডিয়া স্টক ওয়েবসাইট Shutterstock এ ‘Ancient Kitchen Utensils’ শিরোনামে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্ত করা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের দ্বিতীয় ছবিটির মিল রয়েছে৷ এফএস
অ্যালেক্সায় আসছে এআই
অ্যালেক্সা অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম। একাকী জীবনে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছিল অ্যালেক্সা। কিন্তু এআইয়ের দাপটে কিছুটা স্তিমিত ছিলো। তবে এবার নতুন উদ্যমে তাকে শক্তিশালী করে তুলছে অ্যামাজন। এবার অ্যালেক্সার মস্তিষ্কে যুক্ত হচ্ছে এআই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যালেক্সা নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। গত দুবছর ধরেই অ্যালেক্সাকে ঢেলে সাজাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে অ্যামাজন। তবে সংস্থার আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা রোহিত প্রসাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও সময় আসেনি। আপাতত আরো নানা প্রযুক্তিগত বাধা পেরতে হবে অ্যালেক্সাকে। তারপরই তাকে উন্মুক্ত করা হবে।যেসব বাধা এখন অ্যালেক্সার চ্যালেঞ্জএর মধ্যে রয়েছে হ্যালুসিনেশন অর্থাৎ নকল জবাব। এছাড়াও সাড়া দেয়ার গতি ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারার মতো বিষয়গুলোতেও আরো নিখুঁত করা হচ্ছে অ্যালেক্সাকে। এখনও অ্যালেক্সাকে খুব সহজ কাজ দেয়া হয়। যেমন, অ্যালার্ম দেয়া কিংবা গান বাজানো। নতুন করে সে ভালো রেস্তোরাঁ খুঁজে দিতে পারবে কিংবা ব্যবহারকারীর ঘুমের রুটিন মেনে বেডরুমের আলোর দিকটা খেয়ালে রাখবে।ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিট আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। মাইক্রোসফট, গুগল, মেটা ও অন্য সংস্থাগুলো দ্রুত নিজস্ব এআই মডেল বাজারে আনলেও তাড়াহুড়া করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন। সেই সময় থেকেই তারা ব্যস্ত অ্যালেক্সাকে আরো নিখুঁত করে তুলতে। কয়েক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যালেক্সা। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে অ্যামাজনের এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি। এইচএ
গেমিংয়ে চমক দিতে বাংলাদেশে আসছে নতুন এলজি এআই মনিটর
গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য একটি চমৎকার খবর! গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশে নিয়ে আসছে এলজি ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক গেমিং মনিটর আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W। ২০২৫ সালের মার্চের দিকে এটি দেশের বাজারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। গেমিং, এন্টারটেইনমেন্ট এবং পেশাদার কাজের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে একটি গেম-চেঞ্জার।এলজির নিজস্ব সিস্টেম ওয়েব ওএস উইথ এআই সমর্থিত মনিটর এটি যা একে স্মার্ট টিভির মতো কার্যকর করে তোলে। কোনো অতিরিক্ত ডিভাইস ছাড়াই আপনি সরাসরি ইউটিউব, নেটফ্লিক্স এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উপভোগ করতে পারবেন। নতুন এই মনিটরে আছে এআই পিকচার, ডাইনামিক টোন ম্যাপিং, এআই পার্সোনালাইজড পিকচার উইজার্ড, এবং এআই সাউন্ড—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। স্পেশাল ফিচারস হিসেবে রয়েছে রিমোট সাপোর্ট, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। এই বৈশিষ্ট্য গুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য দারুণ কার্যকর হবে।গেমারদের জন্য বিশেষভাবে এই মনিটরকে ডিজাইন করা হয়েছে। ৩২ ইঞ্চির বিশাল ইউএইচডি ৪কে স্ক্রিন সাথে ১০বিট কালার আপনার গেমপ্লে করবে আরও প্রাণবন্ত। ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম গেমিং অভিজ্ঞতাকে স্মুথ ও ফাস্ট করে তুলবে। এটি এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক ও এএমডি ফ্রি-সিঙ্ক প্রিমিয়াম কম্পাটিবল। হোক অ্যাকশন গেম বা রেসিং, প্রতিটি মুভমেন্ট হবে ঝকঝকে এবং ল্যাগ-ফ্রি। এছাড়া এইচডিআর১০ প্রযুক্তির মাধ্যমে গেমিং ও সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্পষ্ট ও জীবন্ত হয়ে উঠবে। আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, ডিজাইনেও অনন্য। ইউনিটি হেক্সাগনাল স্ট্যান্ডের অভিনব ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকেন্দ্রিক সুবিধা এটিকে অসাধারণ করে তুলেছে।কবে এবং কোথায় পাওয়া যাবে?যারা প্রি-অর্ডার করতে চান, মার্চের মাঝামাঝি সময় তাদের জন্য দ্রুত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। দাম সম্পর্কেও গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি থেকে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যার সীমা তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহক। পাশাপাশি অপারেটররা গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে।রোববার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা নির্দেশিকায় প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো।এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্দেশিকায়, মোবাইল গ্রাহকদের ৭, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ টি ডাটা প্যাকেজ অফারের সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। যা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা।নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। নিয়মিত প্যাকেজ, যে প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকে; গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ—গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য; রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ বাজার যাচাই–বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে যে প্যাকেজ গ্রাহকদের দেওয়া হবে।নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে। এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন অর্থাৎ আনলিমিটেড প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে।অবশ্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা-মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেয়া যাবে না।কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।এফএস
ভাঙা ব্রিজে ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের লাখো মানুষ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর আমতলী এলাকায় ২০০৫ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার ফলে উলিপুর উপজেলার তবকপুর, ধামশ্রেনী ও চিলমারী উপজেলার থানাহাট, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা পোক্ত হয়। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বন্যার পানির তোড়ে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে বিজ্রের একাংশ দেবে যায়। সে সময় পানির স্রোতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ছিড়ে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও জনগণের চলাচলের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুকনো মৌসুমে অন্যের জমি দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। স্থানীয়রা চাঁদা তুলে কখনও বাঁশের সাঁকো, আবার কখনও প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা তৈরি করে যাতায়াত করছে। সেটিও টেকসই নয়। ফলে চুনিয়ার পাড়, আকন্দ পাড়া, তামাকু পাড়া, কবিরাজ পাড়া, বান্দার ঘাট, বানু কিষামত পাড়া, হিন্দু পাড়া, রাজারঘাট, বিষ্ণু বল্লভ, খামার তবকপুর, পাগলার ঘাট, বড়ুয়া তবকপুর, আমতলীসহ ২০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সেতুর অভাবে চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন।কলেজ শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন জানান, ব্রিজটি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন রিকশা, অটোরিকশা, জেএসসহ ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করতো। এখন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটে কষ্ট করে যাতায়াত করছেন লোকজন। স্থানীয় রিপন মিয়া, আব্দুর রশিদ, সেকেন্দার আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখানে গলা পানি হয়। তখন প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা দিয়ে পার হতে হয়। সাত বছর ধরে এই ভোগান্তি। ব্রিজটির কারণে এ এলাকার হাজারো মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এখন পানি না থাকায় অন্যের জমি দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। জমির মালিকরা আর কত দিন হাটতে দেবে? দ্রুত সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষের চলাচলে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, সড়কটি পাকা হওয়ায় মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাগব হয়েছিল। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ২০ গ্রামের মানুষ আবারও সেই কষ্টে পড়েছে। আমি নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, সেখানে পুনরায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।এমআর
আইন-আদালত
সব দেখুন
আপিলের অনুমতি পেল চ্যানেল ওয়ান
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আপিল দায়েরের অনুমতি পেয়েছে চ্যানেল ওয়ান। বৃহস্পতিবার এই অনুমতি দেন চেম্বার জজ। এই আদেশের ফলে চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ ১৬ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর তৎকালীন সরকার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করেন।পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। চ্যানেল ওয়ান এর লিগ্যাল অফিসার মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন। ফলে দীর্ঘ বছর ১৬ বছর পর আবারও চ্যানেল ওয়ান দর্শকদের সামনে আসবে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।আদালতের এমন আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বলেন, অন্যায়ভাবে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালত ন্যায় করেছেন।চ্যানেল ওয়ান এর পক্ষে আইনি লড়াই করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, পলাশ চন্দ্র রায়, কাজী আখতার হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।এফএস
প্রবাস
সব দেখুন
মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার অন্তত ১০টি স্থানে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এসময় ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে ৫০২ ধরনের নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।বাংলাদেশি ভুয়া এই চিকিৎসকরা শুধু প্রবাসী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন বলে জানান ইমিগ্রেশন প্রধান।তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নজর এড়াতে রেস্টুরেন্ট বা দোকানে বসে ছদ্মবেশে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন গ্রেপ্তাররা। চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রির জন্য প্রতিটি বাংলাদেশি গ্রাহকের জন্য ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত চার্জ করা হতো। এই অবৈধ কার্যক্রম তারা প্রায় এক বছর ধরে চালিয়ে আসছিলেন।ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫২ এর ধারা ১৩(ক), বিষ (সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) রেগুলেশন ১৯৮৯ এর রেগুলেশন ৩(১) এবং ১৯৮৪ সালের প্রবিধান ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস কন্ট্রোলের রেগুলেশন ৭(১) এর অধীনে ওই ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। সূত্র: দ্য স্টার অনলাইনএবি
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
আজ ২২ জানুয়ারি, রাশিফলে কী আছে জেনে নিন
প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)মেষ হল কাল পুরুষের প্রথম রাশিচক্র। মেষ রাশি একটি অস্থির রাশিচক্র সাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি আগুনের উপাদানের লক্ষণ। এই রাশির প্রতীক হল ভেড়া। অশ্বিনী ও ভরনি নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং কৃত্তিকা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব এই রাশিচক্রের অধীনে আসে। মেষ রাশির চরিত্র ক্ষত্রিয়। মঙ্গলকে মেষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। শারীরিক গঠনে এরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শত্রু থেকে সাবধান। কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাহায্যে উন্নতি লাভ। সম্পত্তির ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। অম্বল-জাতীয় সমস্যা বাড়তে পারে। পিতার জন্য ভাল কিছু ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। নিজের অভিজ্ঞতা বেশি প্রকাশ না করাই মঙ্গলজনক। পড়াশোনার দিক থেকে দিনটি উপযুক্ত। স্ত্রীর খারাপ ব্যবহারে মনঃকষ্ট। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বৃষ রাশিকে একটি স্থির রাশিচক্রের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি পৃথিবীর উপাদান চিহ্ন। এই রাশির প্রতীক ষাঁড় অর্থাৎ বৃষ। এই রাশিচক্রের অধীনে কৃত্তিকা নক্ষত্রের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্ব, রোহিণী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং মৃগাশিরা নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আসে। বৃষ রাশির চরিত্র বৈশ্য। শুক্রকে বৃষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। ভাস্য চতুর্মুখী। শারীরিক গঠনে এঁরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।অনেক দিনের আশা পূরণে বাধা। ডায়াবিটিস নিয়ে কষ্ট বৃদ্ধি। কর্মস্থানে উৎকণ্ঠা বাড়তে পারে। বাড়ির কাছে ভ্রমণ হতে পারে। কাজের ভাল সুযোগ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। কুচিন্তার কারণে মনঃকষ্ট। লটারি থেকে কিছু আয় হতে পারে। প্রবাসীদের জন্য কাজের ভাল সুযোগ আসতে পারে। পাওনা আদায়ে অশান্তি বৃদ্ধি। মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)মিথুনকে দ্বৈত প্রকৃতির রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক যমজ মুখ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বুধ। মিথুন রাশির দিক পশ্চিম। মৃগাশিরা, অর্দ্র ও পুনর্বাসু নক্ষত্রে রয়েছে এই রাশি। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। মিথুন একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন, এটি দিনের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন। শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। কর্মস্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অকারণে কোনও তর্কে জড়াতে পারেন। স্ত্রীর জন্য বিবাদ বাধতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা। সামাজিক সুনাম লাভের যোগ। ব্যবসার ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ হতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য দুশ্চিন্তা। চাকরির স্থানে চাপ বাড়তে পারে। মনের মতো মানুষের দেখা পাবেন। গৃহে বা কর্মস্থানে মাথা ঠান্ডা রেখে চলতে হবে, পরিস্থিতি বিরুদ্ধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত কথার জন্য ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে। মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কর্কট একটি পরিবর্তনশীল রাশিচক্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির প্রতীক কাঁকড়া। এই রাশির শাসক গ্রহ হল চাঁদ। কর্কট রাশির দিক উত্তর দিকে। এই রাশির পুনর্বাসু নক্ষত্রের প্রথম পর্ব হল পুষ্য ও অশ্লেষা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। কর্কট একটি মহিলা রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ দেখা দিতে পারে।শরীরের ক্ষত থেকে জ্বালা-যন্ত্রণা বাড়তে পারে। পাওনা আদায়ে অশান্তি হতে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জন্য মর্মপীড়া। পড়াশোনায় শুভ পরিবর্তন। ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে। পড়াশোনা নিয়ে উদ্বেগ খুব বেশি থাকবে এবং তাতে সফল হবেন। বাড়তি ব্যবসার দিক থেকে দিনটি উপযুক্ত। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)সিংহ রাশিকে একটি স্থিতিশীল রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশির প্রতীক সিংহ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল সূর্য। সিংহ রাশির দিকটি পূর্ব। মাঘ ও পুর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের সকল পর্বের পাশাপাশি এটি উত্তরা ফাল্গুনীর প্রথম পর্ব। এটি একটি অগ্নি উপাদান চিহ্ন। সিংহ রাশি একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন। তাদের অনুকূল রং লাল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ দেখাবেন না। শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।সন্তানের জন্য অর্থদণ্ড দিতে হতে পারে। কাজের জন্য সুনাম বাড়তে পারে। প্রবাসী বন্ধুর জন্য মনখারাপ। ব্যবসায় খরচ বৃদ্ধি। একাধিক পথে উপার্জন করতে গিয়ে বিপদের আশঙ্কা। কাজের ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়বে। খেলাধুলার জন্য পুরস্কার পেতে পারেন। ক্রোধ বাড়তে দেবেন না। পেটের পুরনো রোগ বাড়তে পারে। কর্মচারীদের জন্য ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসতে পারে। অতিরিক্ত হঠকারিতার জন্য শরীরে আঘাত লাগতে পারে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কন্যা রাশিকে প্রকৃতি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল একটি মেয়ে তার হাতে একটি ফুলের ডাল ধরে। এই রাশির অধিপতি বুধ। কন্যা রাশির দিক দক্ষিণ। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। এর শুভ রং সবুজ। ভাগ্যবান সংখ্যা ৫। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে। বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি এবং ভাল সুযোগ হারানোর যোগ।আর্থিক সাহায্য মেলার সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে দেরি হতে পারে। চর্মরোগ বাড়তে পারে। নিজের বুদ্ধিতে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। প্রেমের ক্ষেত্রে আনন্দ লাভ। চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। কর্মস্থানে আপনাকে কারও কথা মতো চলতে হতে পারে। আত্মীয়দের কাছ থেকে আপনি ভাল সাহায্য পাবেন। অর্থ অপচয়ের জন্য সংসারে বিবাদ। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)তুলা রাশিকে রাশিচক্রের সপ্তম রাশি বলে মনে করা হয়। তুলা একটি রাশিচক্রের চিহ্ন যা বায়ু উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর শাসক গ্রহ শুক্র। তুলা রাশির দিক পশ্চিম। চিত্রা নক্ষত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়, স্বাতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং বিশাখা নক্ষত্রের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় রয়েছে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে। সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।শিক্ষকদের জন্য শুভ পরিবর্তন। প্রেমের ব্যাপারে চাপ নিয়ে দুশ্চিন্তা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। নতুন বন্ধুর জন্য আনন্দ লাভ। স্ত্রীর কোনও কাজে শান্তি পাবেন। আর্থিক চাপ থাকবে। কর্মস্থানে বাধা নিয়ে চিন্তা। চাকরির স্থানে কাজের চাপ বাড়তে পারে। মায়ের শরীর নিয়ে চিন্তা। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)বৃশ্চিক রাশিচক্রের অষ্টম রাশি। এটি একটি মহিলা রাশিচক্র সাইন। এর প্রতীক বিছে। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির দিকটি উত্তর। এই রাশিচক্রে বিশাখা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব, অনুরাধা এবং জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই রাশির শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। রক্তহীনতা দেখা দিতে পারে। কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।ব্যবসায় ভাল কিছু আশা করবেন না। চাকরির স্থানে উন্নতির যোগ। ব্যয় বাড়তে পারে। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবেন। আইনি কাজের ভাল সুযোগ আসতে পারে। কোনও বন্ধুর কারণে ক্রোধ বাড়তে পারে। আশাপূরণের জন্য আনন্দ লাভ। পিতার চিকিৎসায় খরচ বাড়তে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কাল পুরুষের রাশিফলের নবম রাশি হল ধনু। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল তীরন্দাজ, যার পিছনে একটি ঘোড়ার শরীর। এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। ধনু রাশির দিকটি পূর্ব। এই রাশির রাশিগুলি হল মুল এবং পূর্বাষাধা নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং উত্তরাষাধা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব। এটি অগ্নি উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে। বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট। ব্যবসায় একটু শান্তি পেতে পারেন। বিয়ে সংক্রান্ত যোগাযোগে লাভের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। একটু সাবধানে থাকুন, কোনও বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে থাকায় আনন্দ লাভ। দাম্পত্য জীবনে সুখবর আসতে পারে। পিতার জন্য চিন্তা বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে কারও সঙ্গে তর্ক হতে পারে।মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মকর হল কাল পুরুষের রাশিফলের দশম রাশি। এই রাশির চিহ্ন হল ছাগল, এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। মকর রাশির দিক দক্ষিণ। এই রাশির বর্ণগুলি হল ভো, জা, জি, খি, খু, খে, খো, গা, গি। এই রাশির রাশিগুলি হল উত্তরাষাধা নক্ষত্রের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শ্রাবণ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ। সন্তানের জন্য সম্মানহানির আশঙ্কা।সারা দিন কোনও কাজে ব্যস্ত হতে হবে। চাকরির শুভ যোগাযোগ কাজে লাগান। পিতার সঙ্গে তর্ক হওয়ায় মনখারাপ। ভ্রমণে বাধা নিয়ে দুশ্চিন্তা। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। পরিবারে খরচ বৃদ্ধি। ব্যবসায় চুরি থেকে সাবধান। প্রেমের নতুন যোগাযোগ আসতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। বাইরের অশান্তি ঘরে আসতে পারে। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কুম্ভ হল কাল পুরুষের রাশিচক্রের একাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক একটি কলস। এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। কুম্ভ রাশির দিক পশ্চিম। এই রাশির বর্ণগুলি হল গু, গে, গো, সা, সি, সু, সে, সো, দা। এই রাশিচক্রের নক্ষত্রগুলি হল ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শতভিষা নক্ষত্রের চারটি পর্যায়, পূর্বাভাদ্রপদ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্র।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন। মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে। ব্যবসায় শুভ যোগাযোগ। দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে চাপ বৃদ্ধি। অপরের উপকারের জন্য খরচ বৃদ্ধি। অংশীদারি ব্যবসায় উন্নতি। চাকরির স্থানে জটিলতা বৃদ্ধি। ভ্রমণের জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। ভুল কাজের জন্য অনুশোচনা হতে পারে। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মীন হল কালপুরুষের রাশিফলের দ্বাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক হল একজোড়া মাছ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। মীন রাশির দিক উত্তর। এই রাশির বর্ণগুলি হল দি, দু, থা, ঝা, এন, দে, দো, চা, চি। এই রাশিচক্রের নক্ষত্র হল পূর্বাভাদ্রপদের চতুর্থ পর্ব এবং উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায়। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে। বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি। ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক। বাড়িতে বন্ধুসমাগম হবে। শরীর নিয়ে কষ্টভোগ। বুদ্ধির জোরে শত্রুজয়। ভাই-বোনে সম্পত্তির ব্যাপারে বিবাদ। সম্মান নিয়ে টানাটানি হতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে, তবে দুপুরের পরে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে থাকার জন্য আনন্দ লাভ। কোনও কিছু চুরি যেতে পারে। ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সঞ্চয় কম হবে। এমআর