

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার শারজায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনকে ছাড়াই আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন লিটন দাস। আজ শুরু থেকেই আরব আমিরাত বোলারদের নাজেহাল করে তোলেন তামিম। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ।পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ২৫ বলে ফিফটি করেন তামিম। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে আউট হন তিনি।ওয়ান ডাউনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন শান্ত। ১৯ বলে করেছেন ২৭ রান। একই পথে হেটেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। ২৪ বলে ৪৫ রান করেছেন তিনি।লিটন দাস খেলেছেন দায়িত্ব নিয়ে। ৩২ বলে ৪০ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ ছাড়া দারুণ খেলেছেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি। ৬ বলে ১৮ রান করেছেন তিনি। এফএস

আসিফ মাহমুদের হয়ে যে হুঙ্কার দিলেন হাসনাত
প্রয়োজন হলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আবার রাজপথে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।ফেসবুকে হাসনাত লেখেন, ‘আসিফ মাহমুদের রক্তঝরা সংগ্রামের দিন আছে, হাসিনা-শাহীর গদি কাঁপানো স্লোগান আছে, ফ্যাসিস্ট পতনের বীরোচিত ইতিহাস আছে। আবার যদি দেশের প্রয়োজনে দরকার হয়, আসিফ মাহমুদ আবারও রাজপথে আসবে, স্লোগানে কন্ঠ মিলাবে।’হুঙ্কার দিয়ে হাসনাত আরও লেখেন, ‘তাকে অপদস্ত কইরেন না, অন্যায্যতা চাপিয়ে দিয়েন না, বেইনসাফি কইরেন না। অপদস্ত কইরা, রক্ত ঝরায়া পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই, আপনারাও অপরাজনীতি কইরেন না।প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই নগর ভবনে আন্দোলন চলছে। নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন। এফএস
জাতীয়
সব দেখুন
একযোগে ১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।সোমবার (১৯ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।এর মধ্যে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম নাসিরুদ্দিনকে ডিএমপিতে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের এ কে এম জহিরুল ইসলামকে ডিএমপিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের ড. মাসুরা বেগমকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ১৩ এপিবিএনের আবদুল্লাহ আল মামুনকে ডিএমপিতে, সিএমপির মাহমুদা বেগমকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার, পুলিশ সদর দপ্তরের খালেদা বেগমকে এপিবিএনে পুলিশ সুপার, আরএমপির এস এম শফিকুল ইসলামকে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মো. জান্নাতুল হাসানকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পাকশি রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহাব উদ্দীনকে রাজশাহী রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি আতিয়া হুসনাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলামকে রংপুর রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ডিএমপির উপ-কমিশনার আ স ম শামসুর রহমান ভূঁঞাকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), এসবির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীনকে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার খন্দকার নুর রেজওয়ানা পারভীনকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে এবং এসবির পুলিশ সুপার এ কে এম আক্তারজ্জামানকে এসবিতেই পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে হিসেবে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।এমআর

ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস আজ
আজ ২০ মে ঐতিহাসিক চা শ্রমিক বা মুল্লুকে চলো দিবস। সিলেটসহ সারাদেশের চা বাগানগুলোতে নানা আয়োজনে পালিত হবে দিবসটি।১৯২১ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিনটি।চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া চা বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেসময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িশা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়। ‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসাব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচার তো ছিলই।তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পণ্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পণ্ডিত দেওসরণ ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে ব্রিটিশ গোর্খা সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদের পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। পায়নি তারা ভূমির অধিকার। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।এমআর
আসিফ মাহমুদের হয়ে যে হুঙ্কার দিলেন হাসনাত
প্রয়োজন হলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আবার রাজপথে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।ফেসবুকে হাসনাত লেখেন, ‘আসিফ মাহমুদের রক্তঝরা সংগ্রামের দিন আছে, হাসিনা-শাহীর গদি কাঁপানো স্লোগান আছে, ফ্যাসিস্ট পতনের বীরোচিত ইতিহাস আছে। আবার যদি দেশের প্রয়োজনে দরকার হয়, আসিফ মাহমুদ আবারও রাজপথে আসবে, স্লোগানে কন্ঠ মিলাবে।’হুঙ্কার দিয়ে হাসনাত আরও লেখেন, ‘তাকে অপদস্ত কইরেন না, অন্যায্যতা চাপিয়ে দিয়েন না, বেইনসাফি কইরেন না। অপদস্ত কইরা, রক্ত ঝরায়া পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই, আপনারাও অপরাজনীতি কইরেন না।প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই নগর ভবনে আন্দোলন চলছে। নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন। এফএস
দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি সম্ভব: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।সোমবার (১৯ মে) বিকেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাথে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন তিনি।আলী রীয়াজ জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক পর্বের আলোচনা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।অন্যদিকে সংলাপ শেষে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অনেক বিষয়ে ঘোর দ্বিমত আছে, তবুও সৌহার্দ্যমূলক আলোচনা হয়েছে— এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই ধারায় পুরো দেশবাসীকে নিয়ে আসতে পারলে গণতন্ত্রের আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে।তিনি আরও বলেন, শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই হবে না, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা দরকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরে না আসার আকাঙ্ক্ষা বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।এমআর-২
দ্বৈত এনআইডিধারীর প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল: ডিজি
যাদের একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল, তাদের প্রথমটি কার্যকর রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি এ কথা জানান।ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ৫৮৬ জনকে শনাক্ত করেছিলাম, তাদেরকে আমরা নিষ্কৃতি দিয়েছি। যেহেতু দুটো ছিল, তাই লক ছিল; তারা কোনোভাবে নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না। যেহেতু প্রথমটা রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছে, এখন তাদের প্রথম এনআইডি ওপেন হয়ে গেছে। তারা এখন নাগরিক সেবা পাবেন।’তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তির দুটি এনআইডি বা ভোটার তালিকায় দুটি তথ্য রয়েছে-ইসির সিদ্ধান্তক্রমে প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছি। এ মুহুর্তে আমাদের জানামতে দুটি এনআইডি আর কারও নেই।’সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসির এনআইডি ডেটাবেজে। এ তথ্যভাণ্ডার থেকে কখনও কখনও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি রোধে এখন সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাস ডিজি হুমায়ুন কবীর।ডিজি বলেন, ‘আমাদের ডেটা সেন্টার যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, এটা মাঝে মাঝে আমরা একটু বন্ধ করি, আবার চালু করি। মেইনটেইনেন্সের জন্য যেমন পরশুদিনও (শনিবারও) আমরা করেছিলাম, ৪ ঘণ্টা পর চালু করতে পেরেছি। এরকম রেগুলার মেইনটেইন্স হিসেবে আমরা কাজ করি।’তিনি আরও বলেন, ‘মেইনটেইন্সের ধারাবাহিকতায় ডেটা সেন্টার নিজস্ব জলবল দিয়ে চেক করা হয়েছিল। কোনো সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে কি না, আপডেটেড রয়েছে কি না। আমাদের অবস্থান থেকে যতগুলো ইনোশিয়েটিভ নেওয়া দরকার, সে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। এখন আমাদের এ ডেটা সেন্টার পরিপূর্ণ নিরাপদ।’এমআর-২
কম বয়সী হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন শাকিল
কম বয়সী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। পায়ে হেঁটে ৮৪ দিনে কক্সবাজার থেকে এভারেস্টের শিখরে পৌঁছান তিনি। সোমবার (১৯ মে) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটির চূড়ায় পৌঁছে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান ইকরামুল হাসান শাকিল।ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ইকরামুল হাসান শাকিলের অভিযান সমন্বয়কেরা জানান, ‘এইমাত্র খবর পেলাম শাকিল সামিট করেছে এবং সুস্থ আছে। ক্যাম্প ৪–এ নেমে এসেছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখন দেয়া যাচ্ছে না।’এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। তিনি পায়ে হেঁটে নিজের এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘সি টু সামিট’।ইকরামুল হাসান পর্বতারোহণের প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে। হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ ও ‘হিমলুং’, ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গ আরোহণ করেছেন সফলভাবে।এর আগে, ২০২৩ সালে ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার মধ্য দিয়ে নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যাওয়া ১ হাজার ৭শ’ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্গম পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ইকরামুল।এমআর-২
লুটের টাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করা হবে: প্রেস সচিব
লুটের টাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।সোমবার (১৯ মে) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, লুটের টাকা ম্যানেজমেন্টে একটি ফান্ড গঠনের জন্য। এই অর্থ ডিপোজিটর এবং একইসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হবে।’প্রেস সচিব বলেন, ‘লুটের অর্থের পরিমাণ অনেক। এটি বাজেট বা অন্য কোনো খাতে না এনে পুরোপুরি দরিদ্র জনগণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’এছাড়াও বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।প্রসঙ্গত, পতিত আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার ও লুট হওয়া অর্থ ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরইমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে লুট ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। আর দেশে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আর সেই অর্থই এবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার কথা জানাল সরকার।এমআর-২
কুয়েতের ভিসা নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এক পোস্টে জানান, কুয়েতের ভিসা সুবিধার বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।উপদেষ্টা বলেন, গেল এক সপ্তাহ ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও বাংলাদেশিরা ভিসা পাচ্ছেন বিশেষ অনুমতি ছাড়াই। ভিসা নিয়ে প্রতারণা না করার ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করেন রাষ্ট্রদূত।উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পেজে অপর এক পোস্টে বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় বিভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ও চার্জ এবং অতিরিক্ত সার্ভিস ফি বা কমিশন নিচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে নিরুৎসাহিত হন গ্রাহকরা।তিনি বলেন, এ কারণে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।এবি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
জাতীয়’র আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন সারজিস, জানালেন কারণও
জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এই দাবি জানান তিনি। পাঠকদের জন্য সারজিস আলমের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:‘‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।**বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। **জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর, প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।**ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশাকরি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।NB: আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।''এমআর
জাতীয়’র আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন সারজিস, জানালেন কারণও
জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এই দাবি জানান তিনি। পাঠকদের জন্য সারজিস আলমের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:‘‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।**বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। **জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর, প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।**ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশাকরি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।NB: আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।''এমআর

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে।সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে এনসিপি। দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।এনসিপি বলেছে, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেফতার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গতকাল রোববার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এনসিপি মনে করে, এ ধরনের ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে। অথচ আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চলতি মাসে কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদ ও এর সমর্থকেরা এখনো জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেফতার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে। বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এ ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়নে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি।এনসিপি আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে আশু ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাই আমরা।’এ ছাড়াও হরেদরে মামলা এবং মামলা–বাণিজ্যের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।এবি

নগর ভবনের সামনে কাল অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা ইশরাক সমর্থকদের
নগর ভবনের সামনে কাল অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা ইশরাক সমর্থকদেরইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নগর ভবন ঘিরে লাগাতার কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামীকাল মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার (১৯ মে) কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান। এ সময় তিনি এখনও নগরবাসীর এই দাবি কেন মেনে নেয়া হচ্ছে না প্রশ্ন রাখেন এবং সরকারের হঠকারিতা করছে বলে অভিযোগ করে চরম নিন্দা প্রকাশ করেন। মশিউর রহমান জানান, ‘যদি আগামীকালের মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে।’ যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন তিনি।এর আগে আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে নগরভবন এবং এর আশপাশের এলাকায় ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টায় কর্মসূচির শুরুর আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গ মার্কেট এলাকা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।কার্যত সকাল থেকেই নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকায় অচলবস্থা বিরাজ করেছে। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ সোমবার ৫ম দিনের মতো নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকাবাসী। এর আগে গত শনিবার ও রবিবার সচিবালয় অভিমুখে হাজার হাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন আন্দোলনকারীরা।এমআর-২

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কেউ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর গুলশানে ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।বিনিয়োগ ছাড়া কোনো দেশ আগাতে পারে না জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, এই সরকার গত ১০ মাসেও দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সেখানে অংশগ্রহণকারী সবার একটা কমন প্রশ্ন ছিল, সেটা হচ্ছে আগামী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে? নির্বাচন না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কেউ বিনিয়োগ করবেন না। যার প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা অনুধাবন করতে পারছে না।বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সামগ্রিকভাবে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে দেশের অর্থনীতি কখনোই আগাবে না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে তা এই মুহূর্তে দেশের জনগণ কেউ জানে না। দেশটা একটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। এই সরকার তা অনুধাবন করতে পারছে না। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’ আমীর খসরু বলেন, ‘এই পরিস্থিতি উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে যাওয়া দরকার। নির্বাচনী রোডম্যাপের মাধ্যমে শিগগিরই নির্বাচন দিয়ে আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা একের পর এক ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে।’তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতেই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। ভুল তথ্যের ওপর বাজেট প্রণীত হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।’মায়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়া এ সরকারের কাজ নয় জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘করিডর একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এগুলো এ সরকার কেন করবে? এগুলো তো রাজনৈতিক সরকারের কাজ। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের সরকার। এই সরকারের জনগণের কোনো ম্যান্ডেড নেই। দেশের আপামর জনসাধারণের পালস বোঝার ক্ষমতাও এই সরকারের নেই।’এমআর-২

অবৈধ নির্বাচনের মেয়র হতে চাইলে সেটা কি বৈধ হয়, প্রশ্ন সারজিসের
যে নির্বাচন অবৈধ, সেই নির্বাচনের মেয়র আমি কীভাবে হতে চাই? সেটা কীভাবে বৈধ হয়? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে উদ্দেশ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন সারজিস। যেখানে তিনি এই প্রশ্নগুলো রাখেন।ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন– ইশরাক ভাইকে আমি চিনতাম সাদেক হোসেন খোকার ছেলে হিসেবে। যেদিন হাসিনার পুলিশের হাত থেকে বুক চিতিয়ে নিজের কর্মীকে ছিনিয়ে আনলেন, সেদিন থেকে ইশরাক ভাইকে আমি তার পরিচয়ে চিনি, রাজনীতিবিদ হিসেবে চিনি। তার সাথে একাধিকবার কথা হয়েছে। গতানুগতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলের অন্য দশজন নেতার মতো গতানুগতিক চিন্তাধারার মনে হয়নি।তিনি (ইশরাক) অনেক ক্ষেত্রেই সত্যটাকে অকপটে স্বীকার করেছেন, ইভেন সেটা দলের বক্তব্যের সাথে না মিললেও। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে এই প্রজন্মের যারা আছেন, তাদের থেকে সময়ের, জনগণের ও আমাদের প্রত্যাশাটা অন্যদের তুলনায় বেশি। ইশরাক ভাই তাদের মধ্যে অন্যতম।তিনি আরও বলেন– বিএনপি তাদের জায়গা থেকে অসংখ্যবার বলেছে এবং এটাই সত্য যে বিগত তিনটা জাতীয় নির্বাচন এবং অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনগুলো ছিল একপাক্ষিক, প্রশ্নবিদ্ধ এবং অবৈধ। যে নির্বাচন অবৈধ, সেই নির্বাচনের মেয়র আমি কীভাবে হতে চাই? সেটা কীভাবে বৈধ হয়? তাহলে তো সেই নির্বাচনকে আমি বৈধতা দিয়ে দিচ্ছি!তাহলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) শুধু ইশরাক ভাই কেন, সকল জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড ও সংসদীয় আসনে সবাইকে তাদের জায়গা ফিরিয়ে দেয়া উচিত। মেয়র হয়ে সাময়িক ক্ষমতার ব্যবহার করা, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা; এসবের দিকে তাকিয়ে সামান্য কয়েক দিনের জন্য একটা চেয়ারে বসে অবৈধ নির্বাচনগুলোকে ইশরাক ভাই যদি বৈধতা দেন, তাহলে এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একটি কালো দাগ হয়ে থাকবে।সারজিস বলেন– আমি বিশ্বাস করি, তিনি তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় এই মাইলস্টোনগুলো ধীরে ধীরে অর্জন করে নিতে পারবেন। কিন্তু সাময়িক প্রাপ্তির আশায় অবৈধ নির্বাচনের সো-কল্ড বৈধ মেয়র হিসেবে বসে তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এতো বড় একটি দাগ লাগাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নেয়া উচিত।একটি বিষয় বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় থাকাকালীন স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে নগর ভবনের সামনে এর চেয়ে কয়েকগুণ বড় বিক্ষোভ কিংবা অবস্থান কর্মসূচি এখন যেমন করছেন, আগামীতেও তিনি করতে পারবেন। সেই তুমুল জনপ্রিয়তা তার আছে। কিন্তু এই জনপ্রিয়তাকে তিনি অপরাধের বৈধতা উৎপাদনে ব্যবহার করতে পারেন না। তার সাথে এটা যায় না।জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা উল্লেখ করেন– উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কথা চিন্তা করে না হোক, অভ্যুত্থানের সামনের সারির আপোষহীন একজন নেতৃত্ব ও যোদ্ধার কথা চিন্তা করে হলেও তার স্থানীয় কিছু কর্মীদের মাধ্যমে তিনি আসিফ মাহমুদকে এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাতে পারেন না, অপমানিত করাতে পারেন না, গালিগালাজ করাতে পারেন না, বাবা-মা তুলে কথা বলাতে পারেন না। এটা কখনোই রাজনৈতিক শিষ্টাচারপন্থী না। পরোক্ষভাবে এই দায় তার ওপরেও বর্তায়।সারজিস বলেন– যারা আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি, তারাই যদি বিগত অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়ার জন্য নিজেদের সক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিক্রমায় ঐতিহাসিক দায় তৈরি করবে। ইশরাক ভাই সেই দায় সারাজীবনের জন্য বহন করবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা তাকে ব্যক্তিত্বের আনকম্প্রোমাইজের জায়গা থেকে যে উচ্চতায় প্রত্যাশা করি, এসব গতানুগতিক কালচার পলিটিক্সের কারণে সেটা তিনি নির্দ্বিধায় হারাবেন। রাজনৈতিক দীর্ঘ পথ চলার প্রারম্ভেই ক্ষমতার সাথে নীতির নেগোসিয়েশন- সাদেক হোসেন খোকার উত্তরসূরির মানায় না, ইশরাক ভাইয়ের মানায় না।প্রসঙ্গত, ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে চার দিন ধরে আন্দোলন করছে ইশরাকের সমর্থকরা। আজ নগর ভবন ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে তারা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।আন্দোলনকারীরা জানান, ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেন শপথ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।আজ দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন ইশরাক হোসেন। সেখানে তিনি বলেন, মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় বাক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।এবি

এগুলো বিচার নয়, হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন: হাসনাত
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেন, সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। তিনি আরও বলেন, ইন্টেরিম, ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়? ৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে বোঝাতে চাচ্ছেন আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।প্রসঙ্গত, ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সময় রোববার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর ভাটারা থানায় এক হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।নুসরাত ফারিয়া মডেল এবং উপস্থাপক হিসেবেও সবার নজর কেড়েছেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড়পর্দায় যাত্রা শুরু হয়। প্রথম সিনেমায় সাফল্যের পর তিনি ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা-দ্য ডন’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’ ও ‘বস ২: ব্যক টু রুল’ সিনেমার মতো আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।২০২৩ সালে নুসরাত ফারিয়া শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘বিবাহ অভিযান’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘যদি কিন্তু তবুও’ প্রভৃতি।এমআর-২

বেঁচে থাকতে আ.লীগের সঙ্গে আপস নয়: নজরুল ইসলাম
বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনও আপস নয় বরং তাদের কেউ পুনর্বাসন করতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। খুন-গুম কিছুই বাদ রাখেনি। সংস্কারে জন্য যতটুকু প্রয়োজন, অধ্যাদেশ জারি করে তা এখনই করে ফেলা যায়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার কোনও বাধা নেই।তিনি আরও বলেন, সরকার ডিসেম্বরের পর নির্বাচন নিতে চাইলে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখা দিতে হবে। কোন দলকে শক্তিশালী বা জোট করার সুবিধা দিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলেও দাবি করেন নজরুল ইসলাম খান।এমআর-২
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এতে চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৮ মে) বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা।অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছির রয়েছেন।এছাড়া ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।এমআর-২
উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার
রাজধানীর আশকোনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় কেএম মুনসুর আলী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। মুনসুর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।রাজধানীর উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় কে এম মুনসুর আলী সুমন (৪০) নামে এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ মে) রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা রেলওয়ে থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন এ তথৗ জানান।তিনি বলেন, সুমন খান দক্ষিণখান থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। রবিবার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমন খানের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়।পল্লবী হাজি মার্কেট এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনা। তাঁর স্ত্রী শিল্পি খাতুনও এসআই পদে গুলশান থানায় কর্মরত।এআই

মতিঝিলে ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর মতিঝিলে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে।শনিবার (১৭ মে) ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তালহা বিন জসিম জানান, মতিঝিলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পাশের তৃতীয় তলা ভবনের ৩ তলায় আগুন লেগেছে। আমরা ৬টা ১৭ মিনিটে আগুনের সংবাদ পাই। পরে ৬টা ২৮ মিনিটে সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমান ৪টি ইউনিট কাজ করছে।তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।এমআর-২

খিলগাঁওয়ে দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ রিভলবার ও গুলি উদ্ধার
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের চৌধুরীপাড়া এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ম্যাগাজিন, গুলি, কার্তুজ ও রাবার বুলেট উদ্ধার করেছে ডিএমপির রামপুরা থানা পুলিশ।শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৫টার দিকে খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।রামপুরা থানা পুলিশের বরাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া এলাকায় আবর্জনার মধ্যে সাদা শপিং ব্যাগের ভেতরে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র-গুলি পড়ে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৫টার দিকে সেখান থেকে অস্ত্র-গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলির মধ্যে রয়েছে, তিনটি খালি ম্যাগাজিনসহ ৭.০৫ বোরের দুইটি বিদেশি পিস্তল যার গায়ে ‘Made in USA’ লেখা, দুইটি তাজাগুলি ও একটি কার্তুজসহ একটি রিভলবার, একটি চার্জারসহ ৭.৬২ বোরের চায়নিজ রাইফেলের ১০ রাউন্ড গুলি ও শটগানের সাতটি রাবার বুলেট। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এবি

ধানমন্ডিতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আলভী নামে (২৭) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম (২৬) নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছে। নিহত আলভি ধানমন্ডির ডক্টর মালেকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।শুক্রবার (১৬ মে) রাত সোয়া আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাদের দুজনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আশরাফুলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।নিহত শিক্ষার্থী আলভীর বাবার নাম মশিউর খান পাপ্পু এবং আহত শিক্ষার্থী আশরাফুলের বাবার নাম মোহাম্মদ মাসুদ। তারা উভয়েই হাজারীবাগের বিজিবি ৫ নং গেট এলাকায় থাকেন।নিহত শিক্ষার্থী আলভীর মামি মাহি বেগম জানান, আজ রাত সোয়া আটটার দিকে আলভী ও আশরাফুল জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল আলভী ও আশরাফুল। এ সময় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে জাপান একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার ভাগিনা আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আলভীর বন্ধু আশরাফুল জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, রাতের দিকে ওই দুই যুবককে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মধ্যে আলভী নামের এক শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত শিক্ষার্থী আশরাফুলের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।এমআর
মোংলায় ভিটিআরটি ও বাঘবন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ
সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার জয়মনি এলাকায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও বাঘবন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) সকাল ৯টায় চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি ওয়াইল্ডটিম কনজারভেশন বায়োলজি সেন্টারে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। উপজেলার ১৪ জন বাঘবন্ধু ও ভিটিআরটি ৭৬ জন সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। প্রশিক্ষণের মূল বিষয় ছিল বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করা, বন আইন, প্লাস্টিক দূষণ, সুন্দরবনের বায়োডাইভারসিটি বর্তমান পরিস্থিতি, ভিটিআরটির প্রয়োজনীয়তা,পাবলিক স্পিকিং, মানুষ এবং বন্যপ্রাণী দন্দ নিরাসন সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক খেলার প্রতিযোগিতা।এসময় মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী,চাঁদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা মিল্টন রয়, এসিসট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর ওয়াইল্ডটিম মোঃ আবু জাফর, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, চিলা ইউপি সদস্য মোঃ নাজমুল হাওলাদার সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।এমআর
দিনে-দুপুরে সাবেক স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর
যশোরে দিনে দুপুরে সাবেক স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগা রাস্তা থেকে তাকে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে গভীর রাতে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতের নাম শিরিন শিলা (২৭)। তিনি যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়ার বলরামপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে ও খলশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা৷ আহত শিরিন শিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বাঘারপাড়া উপজেলার মেজবাউর রহমানের ছেলে ফিরাজুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পার হতেই কারণে-অকারণে প্রায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। সাংসারিক অশান্তির কারণে গত ডিসেম্বর মাসে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে ফিয়াজুল তাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শিরিন শিলা জানান, রোববার (১৮ মে) দুপুরে নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসে করে তিনি যশোরে আসছিলেন। পথিমধ্যে ধলগা রাস্তার মোড়ে বাস দাঁড়ালে সাবেক স্বামী ফিয়াজুল ও তার দুলাভাই বায়জিদ বাস থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে আনেন। এরপর মাইক্রোবাস করে তুলে নিয়ে যায় নড়াইলের পুলুম গ্রামের হোসনে আরার বাড়ি। সেখানে তাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করে ফিয়াজুল। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও সোনার গহনা কেড়ে নেয়া হয়। খবর পেয়ে খালাতো ভাই তৌহিদুর রহমানসহ অন্য স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শিরিন শিলা আরও জানান, বাঘারপাড়ার দশপাখিয়া গ্রামের প্রভাবশালী বায়জিদের সহায়তায় তার সাবেক স্বামী ফিয়াজুল তাকে তুলে নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, আহত শিরিন শিলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান জানান, ফিয়াজুল ও শারমিন শিলা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। শিলা চাকরি পাওয়ার পর ফিয়াজুলকে তালাক দেয়। ফিয়াজুল তার কাছে কিছু টাকাও পাবে। এই নিয়ে রোববার সাবেক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে জানতে পারি। ফিয়াজুল তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যায়। পরে শুনেছি শারমিন শিলাকে তুলে নিয়ে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসকে/আরআই

ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক
ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসসহ কয়েক প্রকার পণ্যের শতাধিক ট্রাক। এর আগে তাদের নিষেধাজ্ঞায় সড়ক পথে বন্ধ হয় ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পোশাক রপ্তানি। তবে স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কলকাতা ও নবসেবা সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে।এদিকে দু‘দিন পার হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে রপ্তানিকারকসহ ট্রাক চালকরা। রপ্তানিকারকদের দাবি যে সমস্ত পণ্য রপ্তানির জন্য আইজিএম করা আছে সেগুলো ভারতে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হোক। এসব পণ্যবাহী ট্রাক যদি ভারতে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া হয় তবে ঢাকায় ফেরত নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এর ফলে ট্রাকের ভাড়া ও ডেমারেজ বাবদ রপ্তানিকারককে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে।এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পণ্য পরিবহন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দু‘দেশের ব্যবসায়ীরা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাণিজ্য স্বাভাবিকের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াড়িং এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াড়িং এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। যে সকল পণ্যের এলসি/টিটি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে সে সকল পণ্য যাতে ভারতে রপ্তানি করা যায় তার জন্য ভারতীয় কাস্টমসে আলোচনা চলছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লীতে। আমরাও অপেক্ষায় আছি।বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য হয় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাকে থাকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাক। তবে হঠাৎ করে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শনিবার একটি প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাক, সুতা, প্লাাস্টিক, কাঠের তৈরি আসবাবপত্র এবং ফল ও ফল জাতীয় পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে বেনাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে এসব পণ্য। ভারতের নবসেবা ও কলকাতা বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির সুযোগ রাখলেও ওইসব বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন ও ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ কমেছে। গত বছর (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।বছরে ১০ থেকে ১৮ হাজারকোটিটাকারবিভিন্নধরনেরপণ্য রপ্তানিহয়ভারতে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজহওয়ায় বেশিরভাগআমদানিকারকেরা বেনাপোলবন্দরব্যবহারেআগ্রহী। এ পথে রফতানিপণ্যেরমধ্যে রয়েছেপ্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পাট, পাটের তৈরিপণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কাঠেরআসবাবপত্র, কেমিকেল, বসুন্ধারাটিসু, মেলামাইন, মাছউল্লেখ্যযোগ্য।বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা বলেন, ‘আগের পণ্য রপ্তানির সুযোগ থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। নতুন করে বন্দরে আসা গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ট্রাক আটকা পড়েছি। শেষ পর্যন্ত কী হবে জানি না।রপ্তানিকারক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘কলকাতা ও নবসেবা সমুদ্র বন্দর দিয়ে রপ্তানি কঠিন ও ব্যয়বহুল। আটকে পড়া রপ্তানি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’ হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সৌহার্দ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এত ক্ষতির শিকার দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘শনিবার (১৭ মে) ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গার্মেন্টস, তুলা, সুতির বর্জ্য, কার্ড ও প্লাস্টিক ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, ফল জাতীয় পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর বেনাপোল বন্দরে শতাধিক রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। ভারত সরকারকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাণিজ্য সহজ করার দাবি জানাচ্ছি।’বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, ‘ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর শনিবার সকাল থেকে কোন গার্মেন্টস শিল্পের পণ্য ভারতে ঢোকেনি। তবে বেশ কিছু ট্রাক বন্দর ও বন্দর সড়কে দাঁড়িয়ে আছে জানতে পেরেছি।এসআর

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে ইজিবাইক চালক আবু রোহান মোল্যাকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছেন বিচারক। সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইল সদর উপজেলার হবখালি ইউনিয়নের কোমখালী গ্রামের মো. মুনজুর শেখের ছেলে মো. শাহিন শেখ (২৪) ও একই গ্রামের মো. আজিবার খাঁর ছেলে মো. রমজান খাঁ (২৯)। রায় ঘোষনার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগোড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম আব্দুল হক সময়ের কন্ঠস্বরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলার ডাঙ্গা সিঙ্গিয়া গ্রামের মো. চান মিয়া মোল্যার ছেলে ইজিবাইক চালক মো. আবু রোহান মোল্যা (২০) ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুইজন যাত্রী নিয়ে সিঙ্গিয়া বাজার থেকে মাইজপাড়ার দিকে যায়। রাতে আবু রোহান বাড়িতে ফিরে না আসায় পরের দিন (২৫ নভেম্বর) সকালে সদর থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন রোহানের পিতা চান মিয়া। জিডি দায়েরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ মাইজপাড়া-গাবতলা সড়কের বামনহাট এলাকায় পাকা রাস্তার পাশে জমিতে পড়ে থাকা অবস্থায় আবু রোহানের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত শেষে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনের নামে চার্জশীট আদালতে দাখিল করে। এ মামলায় ১৪ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি মো. শাহিন শেখ ও মো. রমজান খাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। এ মামলার অপর আসামি মো. মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।এআই

ভারতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বেনাপোলে গ্রেফতার
চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক জামিল আহম্মেদ (৪২) কে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার পাসপোর্ট নম্বর-অঙ, ৩৫৬৬৫৩৯। গ্রেফতারকৃত জামিল আহম্মেদ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শ্রীপতিপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।সোমবার (১৯ মে) দুপুরের দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ভারত গমনের উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দিলে, তার পাসপোর্টে স্টপ লিস্ট থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জ থানায় (মামলা নং- নং-৯/৪০৭ ) মামলা থাকায় তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশে করে বহির্গমন সিল মারার জন্য ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দিলে অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিকে ভারতে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ায় সীমান্ত পথে অনেকেই পালাচ্ছেন ওপারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এদের কেউ কেউ ধরা পড়লেও অধিকাংশই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাড়ি জমাচ্ছেন ভারতে।এআই
ভুতুড়ে পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা, অব্যবস্থাপনায় ভুগছে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট না থাকলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। চিকিৎসক ও নার্সদের দায়িত্বে গাফিলতি, সময়মতো হাসপাতালে না থাকা এবং প্রাইভেট চেম্বারকেন্দ্রিক মনোযোগকেই এ অবস্থার জন্য দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারজানা বিথি হাসপাতালের সরকারি বাসায় থাকেন না। রোগীদের দিনে দুইবার ভিজিট করার নিয়ম থাকলেও তিনি ভিজিট করেন কেবল একবার। সকাল ১০টায় দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও সাধারণত আসেন ১১টার দিকে, তাও রোগী দেখেন মাত্র এক-দুই মিনিট করে। অভিযোগ রয়েছে, টিএইচও ও আরএমও উভয়েই স্থানীয় একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নিয়মিত চেম্বার করেন। হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকই দেরিতে এসে দুপুর ১টার আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের সরকারি ওষুধ না দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়ছে দরিদ্র ও অসহায় জনগণ।হাসপাতালের আবাসিক ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশের চিত্রও অত্যন্ত ভয়াবহ। অনেক কক্ষে স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ, নষ্ট ফ্যান, অপরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি সব মিলিয়ে রোগীদের থাকা দায়। করোনাকালে বিত্তবানদের দেওয়া এসি ও ফ্যান থাকলেও তা ব্যবহৃত হচ্ছে টিএইচও, আরএমও ও অফিস কক্ষগুলোতে। রোগীদের ওয়ার্ডে বেশিরভাগ ফ্যান অচল অবস্থায় রয়েছে।জেনারেটর থাকলেও তা কেবল একবার চালানো হয়, বিদ্যুৎ চলে গেলে দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। ইসিজি মেশিন থাকলেও তা সচল থাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। অপারেটর হাসান বিকাল ৪টার পর থাকেন না, ফলে পরে আর ইসিজি সেবা পাওয়া যায় না। এতে অনেক গুরুতর রোগীকে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিতে হয়। চাতরী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জসীম অভিযোগ করেন, যখন হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে যাই, বহিঃবিভাগের সেসব চিকিৎসক ভালোমতো রোগী দেখেনই না। প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে পাঠিয়ে দেন। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ভুল চিকিৎসায় ইফতেখার (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা এ চিত্রকে আরও প্রকট করে তোলে। অভিযোগ অনুযায়ী, চিকিৎসকের বদলে নার্স ইনজেকশন দেন, যা থেকে শিশুটি খিচুনিতে আক্রান্ত হয়। অক্সিজেন না দেওয়ায় ও নার্সদের অবহেলায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটে।হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। রোগীদের ইনজেকশন বা সেবা প্রয়োজন হলে নার্সরা রুম থেকে বেরিয়ে আসেন না; বরং রোগীকেই তাদের কাছে যেতে বলা হয়। রোগীদের তথ্য অনুযায়ী, নার্সদের আড্ডা ও দায়িত্বহীন আচরণ সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আরও অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের টিএইচও ও আরএমও স্থানীয় ‘শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার’এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তারা সেখানে রোগী দেখেন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্নভাবে বিশেষ সুবিধা দেন। লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি শর্ত পূরণ ছাড়াই সুবিধা পায়। অন্য ডায়াগনস্টিক মালিকরা বিষয়টিকে পক্ষপাতমূলক ও অনিয়ম হিসেবে দেখছেন।এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ডাক্তারদের সংখ্যা এখন অনেক ভালো। কেউ যদি অফিস শেষে প্রাইভেট চেম্বার করেন, সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গাফিলতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ খুব একটা হয় না। কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা প্রস্তুত থাকি। পূর্বেও হাসপাতালের প্রকল্প অনুমোদন দ্রুত দিয়েছি।এমআর
কমলনগরে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।সোমবার (১৯ মে) বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজারে " কমলনগরে সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে" অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষুব্ধ জনতা পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন,উপজেলার বিভিন্ন এলাকাকে অন্ধকারে রেখে এক কিলোমিটার এলাকায় ভিআইপি লাইনের নামে বৈষম্য করা হচ্ছে। যেই এক কিলোমিটার ভিআইপি লাইন বলে চব্বিশ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে,ওই লাইনে কোন ভিআইপি নেই। অসৎ উদ্দেশ্য এই ধরনের বৈষম্য করছে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা।বক্তারা এসব বৈষম্য বন্ধ করে পুরো কমলনগরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।এসময় বক্তব্য রাখেন কমলনগর প্রেসক্লাবের সদস্য মো: এমরান হোসেন, ইউনুছ হাওলাদার,ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, ওমর ফারুক ও সৈয়দ আইয়ুব আলী প্রমুখ।জানা যায়,গত এক মাস ধরে কমলনগরে পল্লী বিদ্যুতের বেপরোয়া লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। দিনরাত সবমিলিয়ে গড়ে ৭-৮ ঘন্টাও বিদ্যুৎ দিতে পারছেনা বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক ফোঁসে উঠেন। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।পল্লী বিদ্যুৎ কমলনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম নিতীশ শাহা বলেন, আমরা তো বিদ্যুৎ উৎপাদন করিনা। যতটুকু বরাদ্দ পাচ্ছি,ততটুকু বিলিবন্টন করছি।এনআই

ঈদুল আজহা ঘিরে কক্সবাজারে ৯৪ টি পশুর হাট
কক্সবাজারে কোরবানির ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর বাজার। জেলার ৮টি উপজেলায় এবার বসছে মোট ৯৪টি পশুর হাট, যার মধ্যে ৪৮টি স্থায়ী এবং ৪৬টি অস্থায়ী। হাটগুলোতে ইতোমধ্যেই দেশীয় গরু-মহিষের বিপুল সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় মিয়ানমার থেকে আসা চোরাই পশুর প্রবেশ ও বাজারে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নজরদারি ব্যবস্থা।জেলার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাজারগুলো ঈদ উপলক্ষে ধীরে ধীরে জমে উঠছে। প্রশাসনিক অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে, সদরে ১৪টি, রামুতে ১৩টি, চকরিয়ায় ১৬টি, পেকুয়ায়, ৮টি, উখিয়া, ৮টি, টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৬টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি।তবে বেসরকারি হিসাবে বাজারের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অনেক জায়গায় গ্রামীণ উদ্যোগে গড়ে উঠছে হাট।এবারের বাজারে দেশীয় খামারিদের প্রস্তুতি লক্ষণীয়। খরুলিয়া, ঈদগাঁও, কলঘর, রুমখাঁ, কাটির রাস্তা, জুমছড়িসহ বিভিন্ন বাজারে দামি দেশি গরু ও মহিষের ভিড়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, মাঝারি দামের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, ফলে এই শ্রেণির পশুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে।খরুলিয়া বাজারের ইজারাদার বলেন, “এ বছর চাহিদা অনুযায়ী গরুর সরবরাহ ভালো। তবে সাইজ ও মান অনুযায়ী দামও তুলনামূলক বেশি।”রামুর গর্জনিয়া বাজার, যা মিয়ানমার থেকে আসা চোরাই গরুর জন্য কুখ্যাত, সেখানে সোমবার হাটে একটিও গরু দেখা যায়নি। প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও সম্ভাব্য অভিযান ঠেকাতে ব্যবসায়ীরা পশু আনতেই সাহস করেননি। ফলে প্রকৃত খামারিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, প্রতিটি বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মোতায়েন থাকবে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। গরুর স্বাস্থ্যের ছাড়পত্র ছাড়া বিক্রি হবে না। জাল নোট সনাক্তকরণে থাকছে স্পেশাল স্ক্যানিং মেশিন, আর ছিনতাই রোধে মোতায়েন থাকবে পুলিশের মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা।কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ জানিয়েছেন, “আমরা পৌর এলাকায় একটি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে উপযুক্ত স্থানে বাজার চালু করব, যেখানে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত থাকবে।”বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগের সপ্তাহেই বাজারে বিক্রির চূড়ান্ত চাপ তৈরি হবে। সদরের ঈদগাঁও বাজার, পিএমখালী, মিঠাছড়ি, রুমখাঁ, কলঘর, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফসহ সর্বত্র তখন জমজমাট হাটের চিত্র দেখা যাবে।এবারের কোরবানির মৌসুমে কক্সবাজারের বাজারগুলোতে দেশীয় গরুর সরবরাহ আশাব্যঞ্জক। তবে চোরাই গরুর আগমন ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর। বাজারে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় নজিরবিহীন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা- সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন একটি কোরবানির পশু হাট মৌসুমের।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন জানান, “সাধারণ মানুষ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য প্রতিটি হাটে নজরদারি চালানো হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এনআই

কক্সবাজারে ২০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা
কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে সরকারি খাসজমিতে গড়ে ওঠা প্যারাবন ধ্বংস করে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাতটি নতুন চিংড়িঘের। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের এ মহোৎসবে এবার মামলা হয়েছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ-সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।অভিযোগ উঠেছে, যাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ও ছত্রছায়ায় সোনাদিয়ার প্যারাবন ধ্বংস করে ঘের নির্মাণ হয়েছে, তাদের অনেকেই এজাহারে নামই ওঠেনি। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক যোগসাজশ এবং টাকার প্রভাবেই মূল হোতারা থেকে গেলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।মামলায় নাম থাকা কিছু লোককে ‘বালি ঢাকতে সোহাগা’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। অর্থাৎ মামলার মাধ্যমে যেন জনমত শান্ত করা ও মিডিয়াকে ঠান্ডা রাখার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এতে করে মামলাটি প্রকৃতপক্ষে আইনি প্রদর্শনীতে রূপ নিয়েছে- যার উদ্দেশ্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনা নয়, বরং দায়সারা একটা বার্তা দেওয়া যে, "কিছু একটা করা হয়েছে"।দীর্ঘদিন ধরে সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Critical Area - ECA) হিসেবে চিহ্নিত সোনাদিয়া দ্বীপে অব্যাহতভাবে প্যারাবন ধ্বংস করে চলছে জমি দখল ও চিংড়িঘের বানানোর উৎসব। সবশেষ তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস হয়েছে প্রায় এক হাজার একর কেওড়া ও বাইনগাছের বন।গত বৃহস্পতিবার একাধিক গণমাধ্যমে ‘প্যারাবন পুড়িয়ে নতুন চিংড়িঘের’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. আবদুছ ছালাম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলায় যেসব নাম রয়েছে, তারা কেউ বিএনপির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক, কেউ চেয়ারম্যান, কেউ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের স্থানীয় নেতা। মোট ২০ জন এজাহারভুক্ত এবং আরও ২৫-৩০ জন অজ্ঞাতনামা।আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি নেতা আলমগীর চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা এডভোকেট শেখ কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, আজিজুল হক, মোস্তফা আনোয়ার, সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের ফুপাতো ভাই শমসের উল্লাহসহ আরও অনেকে।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই মামলায় প্রকৃত প্রভাবশালীদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। মামলাটি যেন লোকদেখানো আইনি পদক্ষেপ হয়ে না যায় সেই শঙ্কা রয়েই গেছে।স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশ-সচেতন মহলের কণ্ঠে একই সুর- এই মামলায় প্রকৃত গডফাদাররা নিরাপদ। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, "যদি সত্যিকারের তদন্ত হয়, তাহলে দেখা যাবে যারা বাদ পড়েছে তারাই এই চিংড়িঘের সিন্ডিকেটের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু তারা এমন উচ্চপর্যায়ের ছায়ায় রয়েছে, যেখানে প্রশাসনের হাত পৌঁছায় না।"এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনমনের প্রশ্ন- “আইন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? পরিবেশ রক্ষা আইন কি ক্ষমতাবানদের ক্ষেত্রে অকার্যকর?” এই মামলার ভবিষ্যৎ কি হবে, তা সময় বলবে। তবে একটি কথা স্পষ্ট, প্যারাবনের আগুন যেমন গাছপালা পুড়িয়েছে, তেমনি বিশ্বাসও পুড়িয়েছে- নির্বিকার প্রশাসনিক নীরবতায়।প্রধান আসামি আলমগীর চৌধুরী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “সোনাদিয়ায় আমার কোনো জমি নেই, কোনো চিংড়িঘের নেই। মূল দখলবাজদের আড়াল করতে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে।”স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “প্যারাবন দখলের রাজনীতি মহেশখালীতে ওপেন সিক্রেট! দলে দলে নেতারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত, মামলা হলেও রক্ষা পেয়ে যায় বড় মাথারা।”জানা গেছে, বর্তমানে সোনাদিয়া দ্বীপে চিংড়িঘেরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪টি। সরকারি হিসেবে আগে থেকেই ৩৭টি ঘের ছিল, এখন যুক্ত হয়েছে আরও ৭টি। অথচ পরিবেশ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এ ঘেরগুলো উচ্ছেদে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. জমির উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আশ্বাস দেন, প্রভাবশালী হলেও দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।যেখানে জীববৈচিত্র্যের অভয়ারণ্য ছিল একসময়, সেখানে এখন গাছ নেই, পশুপাখি নেই, কেবলই বাঁধ আর ঘেরের শাসন। মামলা হয়েছে, প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু পেছনের সেই ‘অদৃশ্য হাতগুলো’ এখনও অধরাই রয়ে গেছে। এমন অভিমত সচেতন মহলের। এমআর

এনবিআর বিলুপ্তি ইস্যুতে কাস্টম হাউস অচল, বিপর্যস্ত বন্দর কার্যক্রম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রস্তাবনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, শুল্কায়ন ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় দেশের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি এবং বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার আমদানি এবং পাঁচ হাজার রপ্তানি বিল দাখিল হয়। কিন্তু চলমান কর্মবিরতির ফলে এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। বন্দর ইয়ার্ডে বর্তমানে আটকে আছে শত শত কনটেইনার, যেগুলো যথাসময়ে খালাস না হওয়ায় পচনশীল ও জরুরি পণ্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বর-কে জানান, “আমরা কেবল রপ্তানি এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। আমদানি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম কর্মবিরতির আওতায় রয়েছে।”কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাস্তবে রপ্তানিও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চট্টগ্রামের একজন সিএন্ডএফ এজেন্ট বাপ্পু দাশ বলেন, “তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় সেগুলো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শিপমেন্ট অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”চট্টগ্রাম আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্দরে কনটেইনার জট আরও বাড়বে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। এর ফলে বাজারে পণ্যের সংকট, মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের ভোগান্তি অনিবার্য হয়ে উঠবে। তারা দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, “কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য বন্দরে আটকে আছে। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের ক্ষতি প্রতিদিন বাড়ছে। সময়মতো ডেলিভারি না দিলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে।”চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমদানি কার্যক্রম একদম বন্ধ। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে পারে।” তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে সরকারের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে।চলমান সংকটের প্রভাব ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। সামনে ঈদুল আজহা—এ সময়ে পণ্যের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। কিন্তু কাস্টম হাউসের অচলাবস্থার কারণে নিত্যপণ্যের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রবণতা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।এমআর
রাতের মধ্যে দেশের ১৯ জেলায় ঝড়ের আভাস
রাতের মধ্যে দেশের ১৯ জেলায় ঝড়ের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।সোমবার (১৯ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের পূর্বাভাস এবং বজ্রপাতের পৃথক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাত ১টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পরবর্তী ২ থেকে ৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, চাঁদপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, ফেনী এবং নোয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা এর অধিক গতিবেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।এসময় বজ্রপাত থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো- বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকা; জানালা ও দরজা বন্ধ রাখা; সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলা; নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়া; গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়া; বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো খুলে রাখা। এছাড়াও জলাশয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ওঠে আসা, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকা এবং শিলাবৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।এনআই
সাভারে প্রকাশ্যে গুলি করে যুবককে হত্যা
ঢাকার সাভারে প্রকাশ্যে গুলি করে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ ইয়ামিন চত্বরের অদূরে ব্যাংক কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ বলেছে, নিহতের নাম শাহীন (৩০)। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার খাদগড় গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রংমিস্ত্রি। এক সন্তানের জনক শাহীন সাভারে রেডিও কলোনি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাসার সামনে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরপর দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। আতঙ্কে জনবহুল এলাকার লোকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন তারা।কারা কি উদ্দেশ্যে জনকল এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।ঘটনাস্থলে থাকা র্যাবের একজন সদস্য জানান, খুব কাছ থেকে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া। এফএস

ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং প্রক্টর-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।সোমবার (১৯ মে) রাতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি ভিসির বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়।এ সময় সাম্য হত্যায় ৩ জনকে আটকের নাটক করা হয়েছে অভিযোগ করে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ৬ দিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সাম্যের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার করা হয়নি। অথচ একটি মব সৃষ্টিকারী মহল সাম্য হত্যা নিয়ে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করা হচ্ছে। অবিলম্বে সাম্য হত্যাকণ্ডের জড়িতদের শনাক্তে করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে সাম্যের হত্যাকে ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।এর আগে, ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য প্রাণ হারান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।এ ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে নিহত শাহরিয়ারের ভাই শরীফুল আলম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।এনআই

সিদ্ধিরগঞ্জে জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে যুবলীগ নেতার অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা
নারায়ণগঞ্জের সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবৈধ ড্রোজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ট সহযোগী দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া। পদ্মা জ্বালানি তেল ডিপো সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে তারা জালকুড়ি দশপাইপ এলাকায় নাল জমি ভরাট করছে। এতে ড্রেজারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।জানা গেছে, গোদনাইল পদ্মা ডিপো সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়েছে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া। সেখান থেকে ড্রেজারের পাইপ নিয়েছে জালকুড়ি দশপাইপ এলাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে ড্রেজারের পাইপ লিক থাকায় পানিতে তলিয়ে যায় বাসা-বাড়ি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব বাড়ির বাসিন্দাদের। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় গোদনাইল এলাকার একবৃদ্ধ ড্রেজারের পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তাদের ড্রেজারের গর্তে পরে আদর কাজী(৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জুলাই-আগস্ট ঘটনায় দায়ের করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার হওয়া মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ট সহযোগী। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষনীয়।সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইলের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল বলেন, জেলার জনপ্রিয় নেতা সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবসা চালাচ্ছে। এতে জাকির খান ও বিএনপির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় লোকজন। তাই এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্চি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ড্রেজারের বৈধতা আছে। আমরা অবৈধভাবে কিছু করছিনা। ড্রেজারের কারণে মানুষের দুর্ভোগ নয় বরং উপকার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কিংবা মতি আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে আমি কখনো অংশ গ্রহণ করিনি।এমআর

সোনারগাঁ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থী
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌর এলাকার সোনারগাঁ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হঠাৎ করে ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরেছে। সোমবার(১৯ মে) সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী হঠাৎ শ্রেণি কক্ষে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে শিক্ষাকরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিসা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শিক্ষকরা দুজনকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে দুপুরের দিকে দশম শ্রেণিতে একই রকম ভাবে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ভীড় করতে শুরু করে।এক পর্যায়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকিদেরকে বিভিন্ন স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আকসারা, তাইয়েবা, তারিকা করিম, রাজিয়া, হাফসা, লিজা ও সাদিয়া। বাকিদের নাম জানা যায়নি।শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর ক্লাস চলাকালীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী প্রথমে অসুস্থ হয়। পরে দশম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী একের পর এক অসুস্থ হতে থাকে। এতে পুরো স্কুলে আতংক ছড়িয়ে পরে।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ক্লাস চলাকালীন প্রথমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে একই ভাবে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পরে। কি কারণে এভাবে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পরেছে তার কোন কারণ জানা নেই বলে তিনি জানান।দশম শ্রেণির অসুস্থ এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক দুলাল মিয়া জানান, তার ভাস্তি বিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হয়। খবর পেয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছেন কোন ধরনের ভীতির কারণে শিক্ষার্থীদের এমন অসুস্থতা হতে পারে।সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আহমেদ তিথি বলেন, সকাল ১১টার দিকে প্রথমে দুইজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে দুপুরের দিকে আরো ৬জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের সাবার মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। সবাই প্রচন্ড শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত ছিল। তাদের অবস্থার অবনতি দেখে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে এই অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।এনআই
তিন শিক্ষকের জন্য ৪০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!
পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেননি বরিশাল নার্সিং কলেজের আন্দোলনরত পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে শেষদিনেও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারেননি।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শাটডাউন কর্মসূচিতে হামলাকারী তিন শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত এবং প্রবেশ করতে না দেওয়ায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার দিকে।সোমবার (১৯ মে) সকালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, ফরম পূরণের দাবিতে তারা গত ১৮ মে সংবাদ সম্মেলন করেও কোন সুফল পাননি।নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে গত ১৬ মে নার্সিং কলেজে চলমান শাটডাউন কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ইন্সট্রাক্টর আলী আজগর, ফরিদা বেগম ও সাইফ হোসেন রনি মোল্লার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মসূচি শিথিলসহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়টি তারা কলেজ অধ্যক্ষকে গত ১৬ ও ১৭ মে জানিয়েছেন। পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখার অনুরোধ করেছেন। তবে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা তিন শিক্ষককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, আমাদের কলেজে ৩২ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে তিনজন বাদ দিয়ে বাকি ২৯ জনকে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এতে শিক্ষকরা রাজি হননি। তারা ওই তিনজনকে নিয়েই কলেজে প্রবেশ করতে চান।এমনকি গত ১৬ মে থেকে ফরম পূরণের বিষয়ে অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকদের একাধিকবার বলা সত্বেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ১৮ মে দুপুরে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন কলেজ অধ্যক্ষ ওই তিন শিক্ষককে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা তিন শিক্ষককে নিয়েই দুপুর আড়াইটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ।এনিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। পরে শিক্ষকরা ফরম পূরণ না করেই ফিরে যান। শিক্ষার্থীরা বলেন, যেখানে মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির বিষয়টি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের সাথে অবিচার করছে। ১৮ মে শেষদিনেও আমাদের চারশ’ শিক্ষার্থীর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ করা হয়নি।ফলে আমাদের শিক্ষাজীবন এখন অনিশ্চিত। এ বিষয়ে বরিশাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা আক্তার রুমি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের ফরম পূরণের জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তাই বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছি।পিএম
কীর্তনখোলা নদীর তীরের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, হুমকিতে বেড়িবাঁধ
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ইতোমধ্যে অনেক ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজ শুরু করেছেন মালিকরা। তাই নদী তীরের ফসলি জমি ও নদীর চরের মাটি প্রকাশ্যে ইট ভাটায় বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। আর এ সকল ইট ভাটার মালিকরা মাটি সংগ্রহ করছে ফসলি জমি ক্রয় করে কিংবা অবৈধভাবে নদীর চরের মাটি কেটে। এভাবে মাসের পর মাস নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ায় হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার বেড়িবাঁধসহ আশেপাশের ঘর-বাড়ি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, ফুজি ব্রিকস, সিগমা ব্রিকস, সিকো ব্রিকসসহ একাধিক ইটভাটার জন্য কীর্তনখোলা নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।সূত্রে আরও জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিত্বে নদী পাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পাড়ে বেড়িবাঁধসহ আশেপাশের ঘর-বাড়ি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে ওই স্থানের নদীর কিনারা থেকে মাটি কেটে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। যেকারণে স্থানীয়দের ফসলি জমি ভাঙনের কবলে পড়তে থাকে। এবারও বর্ষার শুরুতে মাটি কেনাবেচা শুরু হয়েছে।সূত্রমতে, গত কয়েকদিন থেকে ওই স্থান থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর মাটি কেটে ট্রলারে করে চরমোনাই ও চরকাউয়া এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।এ ব্যাপারে ফুজি ব্রিকসসের মালিক নুরু মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ওইসব জমি কিনে সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। তবে নদী পাড়ের জমি থেকে মাটি কাটা কতটুকু যৌক্তিক সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদূত্তর না দিয়ে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।সার্বিক বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, নদী পাড়ের জমি থেকে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। আর কেউ যদি এমনটা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসআর

অপরিপক্ব ফলে সয়লাব বরিশালের বাজার, নজরদারি নেই প্রশাসনের
জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় ‘মধু মাস’। এই সময়েই বাজার ভরে ওঠে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা রসালো মৌসুমি ফলে। তবে বরিশালের বাজারে এখন যে ফল পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর বেশিরভাগই অপরিপক্ব এবং রাসায়নিক দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো। ভোক্তারা বলছেন, ফল কাটার পরই বোঝা যায় এগুলো পরিপক্ব নয়। আবার স্বাদেও নেই কাঙ্ক্ষিত মিষ্টতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ফল খাওয়ার মাধ্যমে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই তেমন কোনো তৎপরতা বা নজরদারি।বরিশাল জেলাজুড়ে প্রতিদিনই আসছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন জাতের ফল। কোনোটার রঙ গাঢ় হলুদ, কোনোটা আবার টকটকে লাল। বিক্রির জন্য ফলগুলোকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাজারের দোকানে দোকানে। এই ফল দেখে আকৃষ্ট হয়ে ক্রেতারা প্রতিদিন কিনে বাড়ি ফিরছেন হাসিমুখে। কিন্তু কাটার পর মুখে দিতেই বোঝা যায় রসালো ফলটি অপরিপক্ক, কৃত্রিমভাবে পাকানো।শুধু আম নয়, মৌসুমি প্রায় সব অপরিপক্ক ফলই এখন বিষে ভরা। কাঁঠাল, কলা, পেঁপেসহ বেশিরভাগ ফলেই মেশানো হচ্ছে কেমিক্যাল। বিশেষ করে বাজারে আসতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার আম হিমসাগর আম। খাওয়ার উপযোগী না হলেও দৃষ্টিনন্দন রঙের মোহে প্রতিদিন ক্রেতারা যেন বিষ কিনে নিয়ে যান প্রিয়জনের জন্য।বরিশাল নগরীর পোর্ট রোর্ড ফলের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, রঙ-বেরঙের ফল দেখে মনে হয় এ এক ফলের রাজ্য। দোকানের টুকরিতে সাজানো টসটসে লাল রঙের আম ধরলেই হাতে উঠে আসে সাদা রংয়ের পাউডার। কেমিক্যালসহ বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল দিয়ে প্লাস্টিকের ঝুড়িতে টনকে টন আম সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এই আম প্রতিদিন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে।অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে কৃত্রিম উপায়ে ফল পাকানোর কাজটি এমন কৌশলে করেন যেন ক্রেতারা বুঝতে না পারেন। রাসায়নিক মেশানোর পর একদিনের মধ্যে ফল পেকে যায় বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।ফল ব্যবসায়ী বাবুল জানান, স্বাভাবিকভাবে ফল পাকতে দিলে বিক্রির জন্য অপেক্ষমান সময়ে অর্ধেকের বেশি ফল নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় কিনে আনা ফল পাকানোর জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়। এই পদ্ধতি দেশের সব জায়গাই আছে।ফলপট্টির এক ফল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, মৌসুমি ফল বাজারে এলে প্রথম দিকে দামটা একটু বেশি থাকে। এখন যে ফল বিক্রি করছি প্রায় সব আমে কেমিক্যাল মেশানো হয়। ক্রেতা ধরে রাখতে বাধ্য হয়ে এভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে।নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল শিকদার বলেন, আমের স্বাদ ও লোভনীয় ঘ্রাণ মুগ্ধ করে সবাইকে। বাজারে ফলের দোকানে, রাস্তার ধারে হকারের ডালায় সাজানো থাকে আম। কিন্তু এই আম খেতে গেলেই মানুষের মনে একটা আতঙ্ক কাজ করে ‘রাসায়নিকে পাকানো নয় তো!’ বাস্তবতা হচ্ছে, অধিক মুনাফার আশায় গাছ থেকে অপরিপক্ব আম পেড়ে কার্বাইড বা ওই জাতীয় রাসায়নিক প্রয়োগ করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে আম পেকে সুন্দর রঙ ধারণ করলেও এই আম খেতে মোটেও সুস্বাদু নয়।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, আম পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়। আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে এটি অ্যাসিটিলিন নামক গ্যাস ছড়ায়। এতে আম দ্রুত পাকে। এটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। ত্বকের জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আবার ফল ব্যবসায়ীরাও আম ও অন্যন্য ফল পাকাতে ‘ইথিলিন ট্রিটমেন্ট’ ব্যবহার করেন। এ সময় ফলকে ইথিলিন গ্যাসের সংস্পর্শে আনা হয়। আমের মাধ্যমে এসব রাসায়নিক উপাদান শরীরে গেলে ত্বকের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকাচ্ছে বিষয়টি শুনে যাচ্ছি। তবে ফলে কেমিক্যাল দেওয়া হচ্ছে কিনা এটা পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের। তবে শিগগিরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিষয়টি নিয়ে অভিযানে নামবে।তবে মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল বিষযুক্ত কেমিক্যাল দেওয়া হচ্ছে বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানালেন বরিশাল বিভাগীয় বিএসটিআই অফিসের উপপরিচালক (মেট্রোলজি) ও অফিস প্রধান মো. আব্দুল হান্নান।তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর পাকা আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই কেমিক্যালযুক্ত আম বাজারে নেই বলেই চলে। তবে ফলে বিষযুক্ত কেমিক্যাল দেওয়া হচ্ছে কিনা এটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। এটা দেখার দায়িত্ব হলো কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের।অন্যদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বরিশাল কার্যলয়ের উপ-পরিচালক এস এম মাহাবুব আলম বলেন, আমাদের দপ্তরে ফল টেস্ট করার মত কোন যন্ত্র অথবা দক্ষলোক নেই। আমাদের কোন কৃষিবিদ অথবা প্রশাসনিক ক্ষমতাও নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে আলাপ করবো। এটা দেখার দায়িত্ব হলো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের।জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বরিশাল জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার গোলাম রাব্বি বলেন, আমাদের দপ্তরে ফল টেস্ট করার মত কোন যন্ত্র বা কীড নেই। তাই আমাদের ফলের ক্ষেত্রে সতর্ক করা ছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এসকে/আরআই

ভোলায় দুই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ভোলার লালমোহন উপজেলায় লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১টায় লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে এই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সাথে সাধারণ জনতা ও প্রাক্তন ছাত্রদেরকেও যোগ দিতে দেখা যায়।বিক্ষোভকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সরকারি বিদ্যালয় হওয়ার পরেও বেসরকারি বিদ্যালয় গুলোর চেয়ে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ল্যাব ও অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় সামগ্রীও বিক্রি করে ফেলেছেন ওই দুই শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি এবং লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।জানা যায়, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব চাচাতো বোন জামাই। সেই সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি, বাজারের কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন ওই দুই শিক্ষক।এদিকে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনরোশের ভয়ে পলাতক হন ওই দুই শিক্ষক। দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় এর আগেও তাদের অপসারণের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে ফোন করা হলে তিনি জানান, তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এসব অভিযোগের সত্যাতা নেই। সাংবাদিকের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনের সংযোগ বিভিন্ন করে দেন।অপর সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের কাছে জানতে তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এবিষয়ে কথা বলবো যাতে দ্রুততম সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় এবং তদন্তে অনিয়ম প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।এআই

গৌরনদীতে সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা এলাকায় সরকারি খালের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৮ মে) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় অভিযোগের ভিত্তিতে ধানডোবা গ্রামের মৃত রহমান হাওলাদারের ছেলে সরোয়ার হাওলাদারের নির্মিত স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার গয়নাঘাটা পুরনো ব্রীজ দখল করে থাকা ব্যবসায়ীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
ফুলপুরে ভাঙছে নদীর পাড়, বিলীন হওয়ার পথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের তালুকদানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মালিঝি নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নদীর ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই শঙ্কার মধ্যে ক্লাস করছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে নদী অনেক দূরে ছিল। কিন্তু এখন ভাঙনের কারণে নদীটা আমাদের স্কুলের একেবারে কাছে চলে এসেছে।আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি। অভিভাবকদের মধ্যে নুরুল আলম খান আলম বলেন আমাদের বাচ্চারা খুব ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে, যে কোন সময় হতে পারে দুর্ঘটনা। তালুকদানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন,বিদ্যালয়ের খুব কাছাকাছি নদী হওয়াতে বিশেষ করে বর্ষাকালে আমরা সব সময় ঝুঁকিরমধ্যে থাকি যদি নদীগর্ভে এই বিদ্যালয়টি চলে যায়, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না।’এলাকাবাসী এ স্কুলকর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন এখানে যেন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন।তা হলে হয়তো বিদ্যালয়টি রক্ষা পাবে এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।’এনআই
টোল আদায়ে অনিয়ম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বাজারে টোল আদায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। বাজারটির বর্তমান ইজারাদার ও ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌসিফ ইবনে মান্নানের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়, ব্যবসায়ীদের হয়রানি, দুর্নীতি ও প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।সোমবার (১৯ মে) দুপুরে পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘ফুলবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ফুলবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস কবির হোসেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আজহারুল আলম রিপন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, বিল্লাল হোসেন, কৃষকদলের সদস্য সচিব ফখরুদ্দিন মাসুম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খসরু, পরিবেশক সংগঠনের তানভীর এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমান আলী প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ফুলবাড়িয়া বাজার ইজারার নামে একটি চক্র অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পেতেছে। তারা দাবি করেন, বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বর্তমান ইজারাদার তৌসিফ ইবনে মান্নান টোল আদায়ের হার কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় পরিবেশক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম শমসের আলীর সঙ্গে আঁতাত করে বর্তমান ইজারাদার রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নিরব ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন তারা। বক্তারা বলেন, ইজারা বাতিল না হলে ফুলবাড়িয়ার বাজার ব্যবস্থা আরও নষ্ট হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনস্বার্থ।মানববন্ধন শেষে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, যেখানে অবিলম্বে ইজারা বাতিলের দাবিও জানানো হয়।এমআর

নান্দাইলে ২৫ বছর ধরে অব্যবহৃত কোটি টাকার সেতু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২৫ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে কোটি টাকার সেতু। একপাশের রাস্তা না থাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কোনো কাজে আসছে না। উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের বলদা বিল সংলগ্ন দাতারাটিয়া (পুতলাকান্দা) গ্রামে দুপারের মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি বড় খালের উপর ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের পর থেকে ২৫ বছর যাবত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। সরেজমিনে জানা গেছে, ২০০১ সালে ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ পাকা ব্রিজটি প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শুকনো মৌসুমে বলদা বিলে ধান আবাদ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে আশপাশের গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সহজ রাস্তা হিসেবে এ ব্রিজ পাড় হতে হয়। খালটি ঝালুয়া বাজারের পাশ দিয়ে লংগাড় পাড় হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ব্রিজের দক্ষিণ পাশে দাতারাটিয়া গ্রাম।সেখানে আঁকাবাঁকা আইলের মত রাস্তা থাকলেও ছোটখাট যানবাহন দূরে থাক, এ পথে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। অথচ এ পথেই আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নান্দাইল উপজেলা সদরসহ ঝালুয়া বাজারের সঙ্গে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে। সেতুটির দক্ষিণপাশ ছাড়া অন্যপাশে কাছাকাছি কোনো বসতি নেই। উত্তর পাশে নিচু মাটির রাস্তা থেকে সেতুর অবস্থান অনেক উপরে। সেতুর দক্ষিণ পাশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নাই। কোনো যানবাহন চলাচল দূরে থাক পথচারীদের হেঁটে সেতু পার হওয়া খুবই কষ্টকর। কাটলীপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলী জানান, রাস্তা না থাকায় লোকজন এ পথে না এসে ভিন্নপথে চলাচল করে। দাতারাটিয়া গ্রামের সদুত মিয়া জানান, সাবেক মন্ত্রী চেষ্টা করেছিলেন একটি রাস্তার তৈরি করার জন্য। কিন্তু আশপাশের জমির মালিকরা জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় আর রাস্তা তৈরি করা যায়নি। নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, দুই যুগ আগে নির্মিত সেতুর কাগজপত্র জেলা অফিসে জমা আছে। তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দু-একদিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেবেন।এইচএ
-68290d92766af.webp)
পাঁচ ঘন্টা পর চালু হলো ময়মনসিংহ মোহনগঞ্জ রেল যোগাযোগ
পাঁচ ঘন্টা পর চালু হলো ময়মনসিংহ মোহনগঞ্জ রেল যোগাযোগ। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের ইঞ্জিনের পেছনে খাবারের বগির সংযোগ স্প্রিং ভেঙে যাওয়ায় বাকি বগি রেখেই চলে যায় লোকোমোটিভ। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় মোহনগঞ্জ ময়মনসিংহ রেল চলাচল। ৫ ঘন্টা পর ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি লোকোমোটি আটকে থাকা বগি গুলো শরীয়ে নিয়ে যায় নেত্রকোনা রেলস্টেশনে। যার ফলে পুনরায় চালু হয় রেল যোগাযোগ। ট্টেনের যাত্রীরা জানায়, শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ রেললাইনের চল্লিশার মগড়া নদীর ব্রিজের উপর লোকোমোটিভের পেছনের খাবার বগির সাথে বাকি বগির সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটে। ফলে লোকোমোটিভ এবং খাবারের বগি নেত্রকোনা স্টেশনে চলে গেলেও ট্রেনের যাত্রীবাহী মোট ১১ টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে রেললাইনের উপরেই। পরবর্তীতে রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে আসা লোকোমেটিকের সহযোগিতায় রেললাইন থেকে বগিগুলো সরিয়ে নেত্রকোনা স্টেশনে আনা হয় এবং রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, নেত্রকোনা শহরের যাত্রীরা নেমে বিভিন্ন ভাবে চলে আসতে পারলেও বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জগামী যাত্রীদের বসেই থাকতে হয়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে রিলিফ ট্রেন এবং নেত্রকোনায় চলে আসা ট্রেনের লোকোমোটিভ গিয়ে ট্রেন নিয়ে নেত্রকোনা স্টেশনে পৌঁছে রাত পৌনে বারোটায়। এদিকে এই সময়ে নেত্রকোনা ছেড়ে ঢাকার উদ্যেশ্য রওয়ানা দেয়ার কথা থাকলেও সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এতে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের পাশাপাশি ঢাকাগামী যাত্রীরাও বিপদে পড়েন।নেত্রকোনার সাতপাই রেলস্টেশন বুকিং সহকারী নজরুল ইসলাম জানান, আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচল ৎসিডিউল পাঁচ ঘন্টার বিপর্যয় ঘটেছে। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল সিডিউল ঠিক হয়ে যাবে। পিএম

আটপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুম, সম্পাদক রফিক
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নেত্রকোনার আটপাড়ায় উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।সভাপতি পদে আলহাজ্ব মো. মাসুম চৌধুরী ছাতা প্রতীকে ৩৩৭ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম রফিক মাছ প্রতীকে ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০০৮ সালে আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরমধ্যে ২০১৯ সালে আহবায়ক কমিটি হলেও আর কোনো সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবার উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সম্পূর্ণ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ৪৮৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।নির্বাচনে সভাপতি পদে মাসুম চৌধুরী (ছাতা), খায়রুল কবীর তালুকদার (চেয়ার), সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম রফিক (মাছ), খসরু আহমেদ (তালা) ও মুর্শেদ হাবিব ভূইয়া জুয়েল (ফুটবল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এদের মধ্যে সভাপতি পদে ছাতা প্রতীকে ৩৩৭ ভোট পেয়ে মাসুম চৌধুরী বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খায়রুল কবীর তালুকদার চেয়ার প্রতীকে পান ১৫০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম রফিক মাছ প্রতীকে ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খসরু আহমেদ তালা প্রতীকে ১৫৪ ভোট ও মুর্শেদ হাবিব ভূঁইয়া জুয়েল ফুটবল প্রতীকে ৮০ ভোট পান।এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে প্রথম অধিবেশনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডা. আনোয়ারুল হক। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শরিফুল আলম।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, আব্দুল ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।এমআর
অসুস্থ সন্তানকে বাঁচাতে গরীব অসহায় বাবা-মায়ের আকুতি
মাষ্টাস পাশ করা অসুস্থ মেধাবী সন্তানকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের কাছে গরীব অসহায় বাবা-মা আকুতি জানিয়েছেন। তাদের একমাত্র সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী মুকুল চন্দ্র রায় গত দশ মাস ধরে প্যানক্রিয়াস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সন্ধিকটে দিন পাড় করেছেন।বর্তমানে অসুস্থ শিক্ষার্থী প্যানক্রিয়াস রোগটি গুটি গুটি আকারে পানি জমে ইনফেকশন হয়ে খাদ্যনালী ফুলে গেছে। এছাড়াও তিনি লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতদরিদ্র পরিবারটি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে রংপুর ও ঢাকার পুপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল) এর পেট লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রাক্তন অধ্যাপক, চেয়ারম্যান প্রসেসর এ.এস.এম.এ.রায়হানের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলেও অর্থের অভাবে সঠিকভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেনি দরিদ্র পরিবারটি।তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন তার উন্নত চিকিৎসা করা খুবই জরুরি। রোগীর উন্নত চিকিৎসা দেশে কিংবা ভারতে চিকিৎসা করালেই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেশি।অসুস্থ মেধাবী মুকুল চন্দ্র রায়ের উন্নত চিকিৎসা করাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। তার এই চিকিৎসার ব্যয় গত দরিদ্র বাবা-মায়ের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে ধার-দেনা করে রংপুর ও ঢাকাতে চিকিৎসা করাতে দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা খচর হয়েছে। মুকুলের চিকিৎসা করার টাকা জোগাড় করা ওই পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একমাত্র সন্তানের সুচিকিৎসা করাতে না পেরে বাবা-মা চরম চিন্তায় পড়েছে। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিষামত শিমুলবাড়ী গ্রামে অসুস্থ মেধাবী শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মরণব্যাধী রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থী মুকুল চন্দ্র রায় একটি জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে বিছানায় বসে শুয়ে দিন পাড় করেছেন। বাড়িতে কেউ নেই। তার বাবা-মা কোথায় গেছে জানতে চাইলে, অসুস্থ শিক্ষার্থী মুকুল হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলেন, কি বলবো, আমাদের পোড়া কপাল, ভাগ্যও খারাপ। আমার বাবা দিন মজুরের কাজে গেছেন। আমার মা তিনিও পাশের একটি বাড়িতে কাজ করছেন। কি বলবো, বলার ভাষা নেই, আমার বাবা মানুষের খেতে খামারে রোদ-বৃষ্টিতে হাঁড় ভাঙা পরিশ্রম করে আমার পড়াশুনা খরচ চালিয়েছেন। মাও প্রত্যেকটা দিনও রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করেন। বাবা-মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের টাকায় আমার পড়াশুনার খরচ জোগান দিয়েছে। পড়াশুনা শেষে সরকারি চাকুরী করে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পুরণ করবো। এই লক্ষ্যে অনেক কষ্টে মাঝে মধ্যে প্রাইভেট ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় ২০১১ নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসএসসিতে জিপি-এ ৪.৫৬, ২০১৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এইচ এসসিতে ৪.৪৯, ২০২৭ সালে রংপুর সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্সে সিজিপি-এ ২.৭২ ও ২০২৮ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিভাগের মাষ্টাসে সিজিপি-এ ২.৬৩ উত্তীর্ণ হয়েছি। মাষ্টাস পাশ করার পর বাবা-মা স্বপ্ন পুরণের জন্য ঢাকায় চার বছর ছিলাম। ঢাকার একটি বেসরকারী স্কুলে স্বল্প বেতনে চাকুরী করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরীর পড়াশুনা ও আবেদনও করেছি। ২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহ দুইটি সরকারি চাকুরী পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছি এবং ভাইবা পরীক্ষাও ভালোই দিয়েছি। আমার চাকুরী হবে আমি খুবই আশাবাদীও ছিলাম। কিন্তু কপাল পোড়া আমার ভাগ্যে চাকুরী জোটেনি। তাই আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পুরণ করতে পারিনি। এরপর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আমি প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার পরেও আমার জ্বর ভালো হয়নি। কিছু টাকা জোগাড় করে রংপুরে ভালো ডাক্তার দেখাই। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার করার পর প্যানক্রিয়াস রোগ ধরে পড়ে। অসুস্থ থাকলেও কোন না কোন ভাবে আমি আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পুরণ করতে পারতাম। কিন্তু ঈশ্বর যে রোগ দিয়েছে। এই রোগের চিকিৎসা করাতে ডাক্তার বলেছে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা লাগবে। এতোগুলো টাকা আমার বাবার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সুস্থ হবো কি না জানি না। বাবার এক ছটাকো জমি নেই। এভাবে বলতে বলতে স্বজোড়ে কান্না ভেঙে পড়েন মুকুল। এ সময় কান্না জড়িত কন্ঠে মুকুল চন্দ্র রায় তার চিকিৎসার খরচ সরকারসহ বিত্তবানদের আকুতি জানিয়েছেন। মানুষ মানুষের জন্য, আপনাদের সবার সহযোগিতায় একজন মনুষ্য রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে।অসুস্থ শিক্ষার্থী মুকুল চন্দ্র রায়কে সহযোগিতা করতে বা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই নাম্বারে যোগাযোগ করবেন- ০১৫৫১০৫৪১২৩ (বিকাশ) ও ০১৩১৭৩১৯১১৫। মুকুলের মা মোহনী বালা কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রতিবেদক জানান, ঘরে একটা টাকাও নেই। যে কয়টাকা ছিল সব খরচ হয়ে গেছে। এখন আর পারছি না। ধারদেনাও হয়েছে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এমন অবস্থায় যদি কেউ এগিয়ে আসতেন তাহলে একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করাতে পারতাম। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশু আরও বলেন, একটা আশা ছিল একদিন ছেলেটা একটা সরকারি চাকুরী করে আমাদের দু:খ কষ্টে দুর করবে। এখন আর কোনো আশা নেই। এখন শুধু আমার ছেলেটি ভালো হয়ে যাক। চোখের সামনে ছেলেটির কষ্ট দেখলে আর সহ্য হয় না বাহে। তার মুখের দিকে তাকালেই কান্না চলে আসে। আমি আমার ছেলেটিকে বাঁচাতে চাই। যদি কেউ আমার এই অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেন তার কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।মুকুলের বাবা শুশীল চন্দ্র রায় জানান, কি বলবো, চোখের সামনে ছেলেটার কষ্ট আর সইতে পারছি না। ১০ মাস ধরে সন্তানের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব তিনি। এখন টাকার অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা করাতেও পারছেন না। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান আমার বাড়ী শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মরানদী এলাকায় ছিল। সেখানে আমাদের যেটুকু জমিজমা ছিল সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে ধরলা নদী। সেখানে সব হারিয়ে প্রায় ৩০ বছর আগে এখানে আমার (শ্বশুর) বাড়ির পাশে পাঁচ জমি নিয়ে বসবাস করছি। এক ছেলে ও এক মেয়ে। অনেক কষ্টে মেযেটার বিয়ে দিয়েছি। ছেলের পড়াশুনা ও মেয়ের বিয়েসহ জীবন জীবিকা নির্বাহ ছিল খুবই করুন। না খেয়ে কতদিন গেছে বলে শেষ করতে পারবো না। তারপরও একমাত্র সন্তানকে অনার্স, মাষ্টাস পাশ করেছি। ছেলের পড়াশুনাসহ পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে করতে বাড়ি চালা পাঁচ শতক জমি এখনো নিজের নামে নিতে পারিনি। যদি জমিটুকু নিজের নামে থাকতো তাহলে বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাতাম। কপাল খারাপ বাহে। তিনি ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও দেশ-বিদেশ থাকা বিত্তবানদের কাছে কড়ো জোড়ে আকুকি জানিয়ে।কিষামত শিমুলবাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্ট করে একমাত্র সন্তানকে খেয়ে না খেয়ে মানুষ করেছেন। ভাগ্যের কি নিমর্ম পরিহাস একমাত্র সন্তান বাবা-মায়ের সামনে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতাড়াচ্ছেন। যে সংসারে নুন আন্তে পানতা ফুড়ায়, সেই পরিবার থেকে চিকিৎসার খরচ জোগানো একেবারে অসাধ্য। তাকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এই মুহূর্তে তাকে সহযোগিতা করার মতো বরাদ্দ নেই। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্যসহ একটি আবেদন করার পরামর্শ দেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ আসলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন ইউএনও।এনআই
পঞ্চগড়ে বিদেশি মদসহ গ্রেফতার ১
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার নতুন বন্দরের ধরধরা এলাকা থেকে ১২ বোতল বিদেশি মদসহ এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) বিকাল চারটার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সামেরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে সুমন ইসলাম।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এসআই জামিউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালায়। অভিযানকালে সুমনের কাছ থেকে নয় লিটার বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক (থ্রি হুইলার) জব্দ করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করে, তিনি নাসির নামের একজন ব্যক্তির কাছে এসব মদ পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় এসআই জামিউর রহমান বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানিয়েছেন, আটক সুমনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।এনআই

কুড়িগ্রামে ঋণের চাপে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর আত্মহত্যা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঋনের টাকা ফেরত দেওয়ার চাপে বাদশা মিয়া (৪০) নামের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (নৈশপ্রহরী) আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১৯ মে) সকালে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত বাদশ মিয়া ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা চোত্তাবাড়ী এলাকার ইমাম আলীর ছেলে উত্তর কুটিচন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (নৈশপ্রহরী)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তর কুটিচন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম হীরু। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক ঋনসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা ঋন হয়েছে। এসব ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পাড়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন বাদশা মিয়া। এনিয়ে তার পরিবারের মাঝেও দেখা দিয়েছে অশান্তি।ঋনের এতোগুলো টাকা পরিশোধ করার দুচিন্তায় বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে ঋনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পরিবারের অজান্তে রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইঁদুর মারার বিষের ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই লালমনিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় তিনি মারা যান।ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।এসআর

ঝড়ে গাছ ভেঙে বিধ্বস্ত কলেজ, খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস
ঝড়ে গাছ ভেঙে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচ'টি ক্লাস রুম ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। প্রবল ঝড়ে বিধ্বস্ত পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। তাই খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান চলছে কলেজের শিক্ষার্থীদের। অথচ আর মাত্র কয়েক দিন পরই প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। এ অবস্থায় দ্রুত কলেজের রুমগুলো সংস্কার কাজ করা না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে পরীক্ষা কার্যক্রম। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দু'দিনে ঝড়ে কলেজের পুরাতন টিনশেড ভবনের উপর থাকা ইউক্লিপটাস গাছ ভেঙে পড়লে কলেজের পাঁচটি রুম ভেঙে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে রুমগুলোতে পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় ভবনের সামনের আঙিনায় সারি সারি বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। একসঙ্গে দুটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ায় হইচই শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। শিক্ষকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাস নিতে।কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিখা আক্তার বলেন, ঝড়ে গাছ পরে কলেজের রুমগুলো ভেঙে যাওয়ায় আমাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। গাছের নিচে বসে ক্লাস করতেও ভালো লাগছে না।একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী নবিউল ইসলাম জানান, এখন বর্ষামাস বাইরে ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হয়। কখন জানি বৃষ্টি আসে, আমাদের বই খাতা ভিজিয়ে যায়।এক জায়গায় বসে দুই-তিনটা ক্লাস একসাথে নেওয়ার কারণে হৈ-হুল্লোড় বেশি। পড়াশোনা করা যায় না। আমরা চাই, আমাদের কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামত করা হোক।প্রভাষক নুর আলম প্রামানিক (পদার্থ বিজ্ঞান) জানান, খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকে না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব হাসান বলেন, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। গত ১৭ মে রাতে প্রবল ঝড়ে কলেজের ৫টি টিনশেড রুম ভেঙে হয়ে যায়। ৭০০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজের আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম বেঘাত ঘটছে। তিনি বলেন, সামনে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত ভবনটি মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। না হলে কলেজের পরীক্ষা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।এসআর

দেবীগঞ্জে ভূমি কর্পোরেট সেবা চালু, এক কক্ষে মিলবে সব সেবা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভূমি-সংক্রান্ত জটিলতা ও হয়রানির অবসান ঘটাতে চালু হলো ‘ভূমি কর্পোরেট সেবা’। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।নতুন এ ব্যবস্থায় সেবা গ্রহণকারীরা হেল্প ডেস্কে তথ্য দিয়ে এক কক্ষে ঘুরেই সম্পন্ন করতে পারবেন জমির খারিজ, নামজারি, রেকর্ড সংশোধনসহ অন্যান্য কাজ। এতে সেবা হবে দ্রুত, স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত। কর্তব্যরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজ ডেস্ক থেকেই এই কার্যক্রম তদারকি করতে পারবেন, বাড়বে জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুল হাসানসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।পঞ্চগড় সদর ও বোদার পর দেবীগঞ্জ উপজেলাও যুক্ত হলো এই কর্পোরেট সেবা কার্যক্রমে। জেলা প্রশাসক জানান, পর্যায়ক্রমে জেলার পাঁচটি উপজেলাতেই চালু হবে এ সেবা।সেবাপ্রার্থীরা জানান, আগে একটি কাজের জন্য বারবার অফিসে ঘুরতে হতো, সময় ও অর্থ নষ্ট হতো। এখন এক কক্ষে সব সেবা মেলায় তারা খুশি। সব থেকে বড় সুবিধা হলো সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কক্ষ থেক সরাসরি মনিটরিং করা সম্ভব হবে। এতে সেবা প্রাপ্তিতে গতি আসবে, কমে আসবে হয়রানি।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, আমরা পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলার ভূমি অফিসগুলোকে পর্যায়ক্রমে কর্পোরেট সার্ভিস সিস্টেমের আওতায় আনছি। উন্নত বিশ্বের মতো বস ও অধীনস্থ কর্মকর্তারা একসঙ্গে বসে কাজ করলে দায়িত্ববোধ বাড়ে, সেবার মানও বৃদ্ধি পায়। এতে স্বচ্ছতা ও গতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।এসআর
পুঠিয়ায় পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর (ঋষিপাড়া) থেকে উদ্ধার করা অবিস্ফোরিত একটি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোম ডিসপোজাল দল।সোমবার (১৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার গাওপাড়া এলাকার ম্যাচপাড়া বিলে উদ্ধারকৃত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাতটার দিকেজিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর (ঋষিপাড়া) গ্রামে মৃত. নিরেন দাসের ছেলে সুমন তার বাড়ির পার্শে খালের ধারে লোহার তৈরি জং ধরা একটি মর্টার শেল সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান। বস্তুটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭ ইঞ্চি এবং তাতে 6POF5/61 মডেল নম্বর খোদাই করে লিখা ছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে এক ব্যক্তি পুলিশকে খবর দেই।খবর পেয়ে পুঠিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (নিঃ) আব্দুল মান্নান সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টার শেলটি শনাক্ত করে এবং সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকৈ আরএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই (এবি) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি বিশেষ দল ও আরএমপি CRT- এর ৯ সদস্যের একটি টিম উদ্ধারকৃত একটি মর্টার শেল নিরাপদভাবে নিষ্ক্রিয় করেছেন।এনআই
রাজশাহীতে 'নাবিল গ্রুপে'র বর্জ্যে হুমকির মুখে পরিবেশ
রাজশাহী বিভাগের গ্রামীণ জনপদ এখন আর শুধু ফসলের মাঠ নয়, বিষের ভাগাড়ে রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে নাবিল গ্রুপের মালিকানাধীন "নাবা পোল্ট্রি অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম" এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চরম অব্যবস্থাপনা গত দুই দশকে রাজশাহীর পরিবেশকে করছে ভয়াবহভাবে দূষিত। খোলা আকাশের নিচে ফেলা হচ্ছে মুরগির বিষ্ঠা ও গবাদিপশুর মলমূত্র। এর ফলে শুধুমাত্র গন্ধ নয়, পানির উৎসও হয়ে পড়ছে বিষাক্ত। মানুষ হারাচ্ছে স্বাস্থ্য, প্রাণ হারাচ্ছে পরিবেশ।সাম্প্রতিক সময়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভার গড়গড়া গ্রামে নাবিল গ্রুপের মুরগির খামারের বর্জ্য প্রতিদিন খোলা খাড়িতে ফেলা হচ্ছে। কোনো প্রকার প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই ফেলা এসব বিষ্ঠা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। কৃষিজমি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে, খাড়ির পানি কৃষিকাজে অনুপযুক্ত। এলাকার শিশুরা ভুগছে শ্বাসকষ্টে, বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ত্বক ও অন্ত্রের রোগে।২০০৬ সালে রাজশাহীর ভেরাপোড়া বাজারে শিমুল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নাবিল গ্রুপ। পরবর্তীতে ২০১০ সালের মধ্যে তারা অটো রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিল, ফিড মিল, ডাল মিল, কোল্ড স্টোরেজ এবং নাবিল ট্রান্সপোর্ট প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে নাবিল গ্রুপের অধীনে ৯টি সহায়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।রাজশাহী বিভাগের পবা, গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘা, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা এবং নওগাঁর নিয়ামতপুর, মান্দা, সাপাহার, চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুরসহ অন্তত ১৫টি উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে নাবিল গ্রুপের পোল্ট্রি ও ডেইরি খামার। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিক মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ সত্ত্বেও তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।নাবিল গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) মো. বেলাল হোসেন দাবি করেন, “আমরা নিজেরা বর্জ্য ফেলি না, বরং থার্ড পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।” তবে বাস্তবতা হলো, সেই ‘থার্ড পার্টি’ কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই খামারের বিষ্ঠা খোলা স্থানে ফেলছে। গভীর রাতে ট্রাকে করে বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। এটি শুধু দায়িত্ব এড়ানোর কৌশলই নয়, বরং পরিবেশ বিধির সরাসরি লঙ্ঘন।রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” কিন্তু স্থানীয়দের মতে, গত ১০ বছরে অন্তত ১২ বার অভিযোগ করা হলেও, কোনো কার্যকর শাস্তির উদাহরণ নেই। এমনকি রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার নিকটবর্তী খামারগুলো থেকেও অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলে হুজুরীপাড়া, বুলনপুর, কাদিরগঞ্জ এলাকার খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মুরগির খামার দৈনিক ১৫০-২০০ গ্রাম বিষ্ঠা তৈরি করে। একটি বড় খামারে প্রতিদিন তৈরি হয় কয়েক হাজার কেজি বর্জ্য। এসব বর্জ্য কম্পোস্টিং, বায়োগ্যাস প্লান্ট বা নির্ধারিত ল্যান্ডফিলে প্রক্রিয়াজাত করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, “বর্জ্য পচে বায়ুবাহিত জীবাণু ছড়ায়। শিশু, বৃদ্ধ, এমনকি গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।”এ অঞ্চলের খাড়ি, বিল ও ছোট নদীগুলোতে পাখি, মাছ, ব্যাঙ, শামুকসহ বহু প্রাণী বাস করত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব বর্জ্যের কারণে এসব জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। পুকুরে মাছ চাষে দেখা দিচ্ছে সমস্য। বিষ্ঠা-পানিতে মাছের পচন ও বিষক্রিয়া বাড়ছে, মানুষের খাদ্যচক্রে ঢুকছে এসব দূষণ।বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, অননুমোদিতভাবে বর্জ্য ফেলা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নাবিল গ্রুপের মতো প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের অনাগ্রহ স্পষ্ট। পরিবেশ আদালতের অনুমতি ছাড়াই বহু খামার নির্মাণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে।নাবিল গ্রুপের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব শুধু মুনাফা নয়, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা করাও তাদের সামাজিক দায়। গত দুই দশকে শুধু রাজশাহী নয়, গোটা বিভাগের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এই প্রতিষ্ঠানের খারাপ প্রভাব স্পষ্ট। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই জনপদের বাতাস, পানি, মাটি—সবই হয়ে উঠবে বিষাক্ত।সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং নাবিল গ্রুপকে এখনই কঠোর নজরদারি, বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। নয়তো রাজশাহীর মানুষ শ্বাস নিতে পারবে না, কৃষক ফসল ফলাতে পারবে না, আর শিশু জন্ম নেবে এক বিষাক্ত ভবিষ্যতের দিকে। এমনটি প্রত্যাশা করছে সুশীল সমাজ।এমআর

সিরাজগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এক ট্রাক ভর্তি ১০ টন নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমান তন্বী। জব্দকৃত পলিথিনের মালিক আসাদুল ইসলাম রংপুর পীরগাছা উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে। তিনি ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দ্যেশ্যে ট্রাক ভর্তি পলিথিন নিয়ে যাচ্ছিলেন। সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ট্রাক ভর্তি ১০ টন নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ ও মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ ও আইন শূঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন । এনআই

বেঁচে আছেন চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সেই ব্যক্তি
ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলে রয়েছেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ট্রেনের ভেতর থেকে কেউ তাঁর হাত ধরে রেখেছেন। প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছিলেন লোকটি। একপর্যায়ে ভেতর থেকে হাত ছেড়ে দিলে লোকটিকে রেললাইনে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার (১৮ মে) বেলা দেড়টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর রেলস্টেশন এলাকায়। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৫২)। তিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান একজন আদম ব্যবসায়ী। তাঁর মাধ্যমে দুই বছর আগে সজীব নামের এক যুবক সৌদি আরবে যান। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ইকামা (কাজের সুপারিশ সনদ) না পাওয়ায় সজীবের পরিবারের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে সজীবের নির্দেশে কয়েকজন যুবক গতকাল মতিউর রহমানকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। সজীবের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তালসন গ্রামে।মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব বলেন, ‘বাবা গতকাল দুপুরে বগুড়া থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে সান্তাহারে আসতেছিলেন। আসার পথে নসরতপুর রেলস্টেশনে আসার আগে বাবার কামরায় থাকা ১০ থেকে ১২ যুবক বাবাকে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে তাঁরা বাবাকে নিচে ফেলে দেন। ট্রেন থেকে রেললাইনে পড়ে গেলেও ভাগ্য বলে ট্রেনের চাকা তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে যায়নি। তবে আঘাত লেগে একটা পা ভেঙে গেছে।’আহসান হাবিব আরো জানান, তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর মতিউর রহমান এখন বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে দাবি করে আহসান হাবিব বলেন, আদমদীঘি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সান্তাহার জিআরপি পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করতে বলে। গতকাল রাতে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ স্টেশনে গেলে সেখানেও কোনো মামলা নেওয়া হয়নি।পূর্ব শত্রুতার জেরে ট্রেন থেকে মতিউরকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৌদি প্রবাসী সজিবের চাচা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার ভাতিজা সজিব মতিউরের মাধ্যমে সৌদিতে গেছে। কিন্তু মতিউর আমার ভাতিজার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সৌদিতে যে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য পাঠাইছে তাঁরা এখনো ইকামা দেয়নি। কিন্তু মতিউর আমার ভাতিজাকে ইকামা পাইয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখনো ইকামা দেওয়ার কথা বলে নানা তালবাহানা করতেছে। এটা নিয়ে মতিউরের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলতেছে। তবে তাঁকে ট্রেনে মারধর ও ফেলে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই।’বিষয়টি নিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের জিআরপি পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে আমরাও দেখেছি। তবে এ ঘটনায় জিআরপি পুলিশ স্টেশনে কেউ কোনো অভিযোগ দিতে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’পিএম

বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২, নিহত ১
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকায় একটি সনি বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।নিহত হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ী জামতলা গ্রামের শান্ত ইসলাম (২৪), আহতরা হলেন স্ত্রী জামিউন বেগম (২৩) এবং তাদের পাঁচ বছর বয়সী কন্যা তুরায়ফা ইয়াসমিন। জানা গেছে, জামিউন বেগম অন্তঃসত্ত্বা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্ত ইসলাম প্রতিদিনের মতো তার মেয়েকে বাঘা উপজেলার বাঘা গ্রীন হ্যাভেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন বিশেষ কাজে স্ত্রী জামিউন বেগমও তাদের সঙ্গে ছিলেন। বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা গামী একটি সনি বাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে ইটের স্তূপ থাকায় শান্ত ইসলাম বামদিকে জায়গা না পাওয়াই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান রাস্তার ধার দিয়ে এমনকি রাস্তার উপরেও বিভিন্ন ধরনের ফসল-ফলাদী বিস্তার করে রাখা হয় যেটার কারণে রাস্তায় চলাচলে দুর্ঘটনার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় শান্ত ইসলাম ও তার কন্যা তুরায়ফা ইয়াসমিনের ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জামিউন বেগমের ডান হাত ও কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দীর্ঘ সময় শান্ত ইসলামকে আইসিইউতে রাখার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসটিকে আটক করলেও বাসচালক পালিয়ে যায়, পরে বাঘা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বাসটি থানায় নিয়ে গেছে।বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে বাস এবং আহত পরিবারের মোটরসাইকেলটি থানায় আনা হয়েছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।পিএম
শায়েস্তাগঞ্জ আওয়ামী নেতা গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামী হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম শিবলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের দাউদনগর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিবল মিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়চর গ্রামের মরহুম মুন্সি আব্দুল ছাত্তারের ছেলে। রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- আবুল কাশেম শিবলু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামী। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।এনআই
বাহুবলে দুর্ঘটনায় দুই বাসের চালক নিহত, আহত ১০
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালক নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) বিকেল বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন- ভারীবর্ষণের সময় সিলেট থেকে ঢাকামুখী রিয়েল কোচ সার্ভিসের একটি বাসের সাথে বিপরীতমুখী শামীম এন্টারপ্রাইজের অপর বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় উভয় বাসের চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হয় ১০ যাত্রী।খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।ওসি আরও জানান, নিহত দুই চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।এনআই

‘বিএনপির কি আকাল পড়েছে, আ.লীগ থেকে লোক আমদানি করতে হবে?’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, 'বিএনপির কি এতই আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যে আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র নেই, তাদের কেন বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বান জানাতে হবে?'সোমবার (১৯ মে) বিকালে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই দেশের প্রতিটি ধূলি কণাকে বিএনপি ধারণ ও লালন করে। অফিসিয়ালি দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটির কথা বলা হলেও, প্রকৃত সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হতো না, বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। তারা ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকারী, রাজনৈতিকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোনও অনুশোচনা বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণ অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যায়িত করছে। তারা কীভাবে বাংলাদেশ রাজনীতি করতে পারবে? সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২৩ সালেই রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম, একদিন নিষ্ঠুরভাবে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। যারা দেশের জনগণকে হত্যা, পঙ্গু, গুম, অপহরণ করেছে তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোনও দিন আর স্বৈরশাসকের বা ফ্যাসিবাদের উৎপাদন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।এসকে/আরআই

শায়েস্তাগঞ্জে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতি
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানির ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্লান্টের ভেতরে নিরাপত্তা কর্মীদের হাত-পা বেঁধে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার নাসিম আহমদ।শুক্রবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৭টার থেকে শনিবার (১৭ মে) ভোর সকাল পর্যন্ত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুর এলাকায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার নাসিম আহমদ জানান- পাওয়ার প্লান্টে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে একদল ডাকাত প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে আবুল কাশেম, আব্দুল মালেক, রাসেল মিয়া ও সজল মিয়া নামের ৪জন নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে প্লান্টের ভেতরে ডাইনিং রুমে আটকে রাখে। পরে তারা ১২ থেকে ১৩টি সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে। রাতভর ডাকাতরা ২৪টি ব্যাটারি, ৬টি পুরাতন মটর ও তামার তারসহ মূল্যবান মালামাল কেটে নিয়ে গেছে। শনিবার সকালে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকেরা এসে নিরাপত্তাকর্মীদেরকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ এপ্রিল থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সেখানে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ছিলেন না। নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়মিত দেখভাল করে আসছিলেন। এ ঘটনার সুবিচারের স্বার্থে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল হক মুন্সিসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ বলেন- ঠিক কত টাকার মালামাল দুষ্কৃতিকারীরা নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমআর

অভিযান শুরু হোক দুদকের ভূয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীনের পর একটা বাহিনীর উদ্ভব ঘটলো ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার। ৫ আগস্টের পর আরেকটার উদ্ভব ঘটলো ভূয়া সমন্বয়কের। চলুন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি এই ভূয়া দিয়ে। প্রথমটা শুরু হোক দুদকের ভূয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এমনকি দুদকের প্রকৃত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাকেও ধরবেন।রবিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে গণশুনানীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।তিনি বলেন, মিথ্যাচার থেকে দুর্নীতির শুরু। আমাদের জনবল খুব কম। এখন দাবি উঠে জনবল বাড়ানোর। জনবল না বাড়ালে কিভাবে আমরা দুর্নীতি কমাবো। আমাদের জনবল যত বাড়বে, আমাদের বেতন তত বাড়বে, আপনাদের ট্যাক্সও বাড়বে। আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে বড় করবো না, দুর্নীতি কমাবো? দুর্নীতি যত কমবে, আমাদের বেতন তত কমে আসবে।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আজকের গণশুনানির উদ্দেশ্য কোন ভাবেই কাউকে খাটো করা বা বড় করা নয়। সেটা অস্বীকার আমরা করি না, আমাদের মধ্যে কমবেশি দুর্নীতি রয়েছে। ঘুষ, জ্ঞাত-অজ্ঞাতে, কেউ দ্রব্যে গ্রহণ করে থাকি।দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতির দুইটি দিক রয়েছে। একটি ডিমান্ড সাইট অপরটি সাপ্লাই সাইট। ডিমান্ড সাইট বলবে আমাকে কিছু ঘুষ দিতে হবে আর সাপ্লাই সাইট বলবে আমি কিছু ঘুষ দেব আমাকে কাজটা করে দেন। সবার আগে সাপ্লাই সাইটটা বন্ধ করতে হবে। সাপ্লাই সাইট বন্ধ হয়ে গেলে ডিমান্ড সাইট বন্ধ না হয়ে কোন উপায় নেই। আর দুর্নীতি বৈষ্যমের সৃষ্টি করে। দুর্নীতি যত কমবে বৈষম্য তত কমবে।আবদুল মোমেন বলেন, আপনার অফিসে, আমার অফিসে দুই একজন দুর্নীতিবাজ যে নেই তা আমরা অস্বীকার করবো না। সেই দুর্নীতিবাজদের কারণে আমরা সেবাগ্রহীতার কাছে নিন্দনীয় হবো। বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আর প্রতিটি অফিসে সপ্তাহে না হলেও মাসে একবার গণশুনানীর আয়োজন করেন। এই গণশুনানীর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।জেলা প্রশাসক মো. ইসরাঈল হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুদকের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন, পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া।গণশুনানীতে পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল, ভূমি অফিস সহ বেশ কিছু সরকারি অফিসের দূর্ভোগের কথা তুলে ধরেন ভূক্তভোগীরা। এসময় তার জবাব দেন অফিস প্রধানরা এবং কিছু ঘটনায় ভুল স্বীকার করে তার প্রতিকার করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তারা।এইচএ
অনলাইন ভোট

সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের এখন সরকার থেকে পদত্যাগ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আপনিও কি তাই মনে করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ২ ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৫টায় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এ ফোনালাপ হয়েছে বলে ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া কাজ করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। সে অনুযায়ী দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হতে পারে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুতিন জানিয়েছেন আলোচনা গঠনমূলক, খোলামেলা ও অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করছেন তিনি। যুদ্ধ থামানোর পক্ষে তার দেশ। তবে সব পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য ও সমঝোতা প্রয়োজন।ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনায় ফিরেছে। একইসঙ্গে রাশিয়া একটি যুদ্ধবিরতির স্মারক প্রস্তাব তৈরিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। দুজনের আলাপ ‘চমৎকার’ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, একটি যুদ্ধবিরতির জন্য শিগগিরই ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনা শুরু করবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো তারা এই যুদ্ধের ইতি টানবে।ট্রাম্প আরও লিখেছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হবে। কারণ, অন্য যে কারো চেয়ে এ আলোচনার বিষয়ে ভালো জানে তারা। এ নিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং এরপর ন্যাটো নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এমআর

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা
ভারতীয় বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় এসব সংস্থা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে।স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স এবং ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।যারা সচেতনভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতীয় এসব ভ্রমণ সংস্থার মালিক, নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এ ধরনের মানবপাচার চক্র ভেঙে দিতে ভবিষ্যতেও ওয়াশিংটনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের অভিবাসন নীতি কেবল বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই নয়, বরং যেসব ব্যক্তি এ আইন লঙ্ঘন করে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে। এর মধ্যে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আমাদের অভিবাসন আইন এবং নীতির বাস্তবায়ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ ছাড়া এ ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক এবং এমনকি যারা সাধারণত ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় পড়েন, তারাও অর্ন্তভুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।সেই তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়রাও। কিছুদিন আগে হাতে ও কোমরে রশি বেঁধে বিমানে তুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠায় মার্কিন প্রশাসন।সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।এফএস

এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে দিতে হবে ৫ শতাংশ কর
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠাতে ৫ শতাংশ কর পরিশোধের নতুন আইন পাস হয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নামে প্রস্তাবটি করেন। রোববার মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট কমিটিতে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে তা পাস হয়েছে। এই বিলে কর হ্রাস, সরকারি ব্যয় হ্রাস এবং সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য দেশে অর্থ স্থানান্তরের (রেমিট্যান্স) উপর ৫ শতাংশ নতুন কর আরোপ করা। খবর এনডিটিভির।ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট-এ বলা হয়েছে, সমস্ত রেমিট্যান্সের উপর ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। কর সংগ্রহ করবে মার্কিন ব্যাঙ্ক বা পরিষেবা প্রদানকারীরা। তারাই এ কর সংগ্রহ করে সরকারকে দেবে। যদি স্থানান্তরের সময় কর পরিশোধ না করা হয়, তাহলেও পরিষেবা প্রদানকারী দায়ী থাকবে।মার্কিন নাগরিক এবং দেশেই যাদের জন্ম তারা এ করের আওতাভূক্ত থাকছেন না। তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে হবে এবং মার্কিন কোষাগারের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করতে হবে। প্রেরিত অর্থের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এ বিলে কোনও কর ছাড় দেওয়া হয়নি। এর অর্থ হল প্রেরক যদি মার্কিন নাগরিক না হন তবে ছোট স্থানান্তরের উপরও কর আরোপ করা হবে।এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে ভারত। কারণ ভারত আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পায়। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ১১৮.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিল। এর ২৭.৭ শতাংশ এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই রেমিট্যান্সের বেশিরভাগই আসে H1B এবং L1 ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয়দের কাছ থেকে। প্রকৃতপক্ষে, গত বছরে জারি করা H-1B ভিসার ৭০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয় কর্মীদের থেকেই গিয়েছে।বিলটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পূর্ণাঙ্গ ভোটের অপেক্ষায়। পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয় এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে বড় প্রভাব পড়তে পারে।এবি

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটির সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেবে।টেলিগ্রামে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘লড়াই তীব্র হচ্ছে, আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি পুরো গাজা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।’এদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা আগে তাৎক্ষণিকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।ইসরায়েলকে অবরোধ শিথিল করতে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই প্রায় ৮০ দিন ধরে চলা কঠোর অবরোধের পর গাজায় বসবাসরত ২৪ লাখ মানুষের জন্য কেবল ৯টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল।এদিকে, ইসরায়েলের চরমপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির মানবিক সহায়তা বিরোধী অবস্থান নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের জিম্মিরা কোনো সাহায্য পাচ্ছে না।’গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে চলা অভিযানে ৩,১৯৩ জন নিহত হয়েছে, যুদ্ধে মোট মৃত্যু ৫৩,৩৩৯ ছাড়িয়েছে।এবি
১ হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনামূল্যে হজের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে আত্মীয় হারানো ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনামূল্যে হজ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সুযোগ পাবেন আহত বা ইসরায়েলি কারাগারে আটক ব্যক্তির পরিবারও বলে জানিয়েছে দেশটির হজ কর্তৃপক্ষ।আমন্ত্রিতরা বিশেষ ভিসা পাবেন এবং সৌদি সরকার তাদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া সব খরচ বহন করবে। প্রধানত আমন্ত্রিত ফিলিস্তিনিদের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে নির্বাচন করা হয়েছে।ফিলিস্তিনি এক পরিবার জানান, ‘এই হজ আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত। যুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে আমি ভেঙে পড়েছিলাম।’হামাস ও ফাতাহ উভয়ই সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানালেও, ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির মন্তব্য করেছেন ‘সৌদি আরব সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে।’সৌদি আরবের এই উদ্যোগকে ‘মানবিক সংহতি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের কৌশল বলছেন।এর আগে, ২০২২ সালে সৌদি আরব ২,০০০ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে বিনামূল্যে হজ করিয়েছিল। এছাড়াও গত বছর কাশ্মিরি পরিবারদের জন্য অনুরূপ ব্যবস্থা করা হয়।এমআর-২
পরমাণু আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলো ইরান
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখদরাবাঞ্চির বরাত দিয়ে সোমবার (১৯ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তেহেরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে তাহলে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে তা কার্যত ব্যর্থ হতে পারে। খবর রয়টার্সযুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ রোববার জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যেকোনো নতুন চুক্তিতে তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হবে। কারণ এটি পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাব্য পথ হতে পারে। তবে তেহরান বলছে, তাদের পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।তাখদরাবাঞ্চি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা বার বার বলে আসছি, এটা আমাদের জাতীয় অর্জন, তাই এ থেকে আমরা পিছু হটব না।গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, একটি চুক্তি স্বাক্ষরের খুব কাছাকাছি রয়েছি। তবে বছরের পর বছর ধরে চলা সংকট সমাধানে ইরানকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বৈঠকে যে বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছে তার পরিবর্তে অন্য বিষয় প্রকাশ করে ওয়াশিংটন সমঝোতার বিষয়টিকে জটিল করে তুলছে।ইসমাইল বাগেই বলেন, ‘আমরা আমেরিকানদের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শোনার পরও আলোচনায় অংশ নিচ্ছি।’ এদিকে ইরানের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, চলতি সপ্তাহে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পঞ্চম ধাপের আলোচনা রোমে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৫ সালে পরাশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান যে চুক্তি করে, সেই চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে ২০১৭ সালে বের করে নিয়ে যান ট্রাম্প। ওই চুক্তির ফলে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত করণের মাধ্যমে তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু ২০১৫ সালের চুক্তিকে ট্রাম্প তার ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে একপাক্ষিক বলে আখ্যায়িত করে ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর জবাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে।এবি
ভারতে পাকিস্তানের পতাকা বেচাকেনায় কড়া নজরদারির নির্দেশ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়ে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে সতর্ক করলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। এবার থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের ওপর কড়া নজর চালানো হবে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পহেলগাম হামলা কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে, তা পাকিস্তানি জাতীয় পতাকার কারণে আরও বৃদ্ধি না পায় তার জন্যই এই আগাম সতর্কতা।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্ন সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফলে পাকিস্তানের পতাকা ব্যবহার করে কেউ যাতে কোনো রকম উত্তেজনা সৃষ্টি না করতে পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানাকেও নির্দিষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে, পতাকা তৈরি বা ছাপার কাজ যারা করেন তারা যাতে লোকাল থানা-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেন।কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, যারা পাকিস্তানের পতাকা কিনছেন, তারা কারা, কোথায় থাকেন, ওই পতাকা নিয়েই তারা কী করবেন সেসব তথ্য কলকাতা পুলিশকে দিতে হবে।প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ জন নিহত হন। এরপর অপরেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। যদিও এখন উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অপারেশন সিঁদুর এখনো চলছে।এমআর-২
নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মন্ত্রীকে আদালতের হুঁশিয়ারি
ভারতের মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ সম্প্রতি পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যে এক নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন। পরে এজন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। তবে তা খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি নতুন আইপিএস অফিসারদের দল গঠন করতে হবে। এ দলে একজন নারী অফিসার থাকা বাধ্যতামূলক এবং তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৮ মে’র মধ্যে জমা দিতে হবে।সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন আদালতে বিচারপতি সূর্য কান্ত মন্তব্য করেন, বিজয় শাহের (মন্ত্রী) ক্ষমা চাওয়া ‘সত্যিকারের অনুশোচনামূলক নয়’ এবং তিনি যেন কেবল আদালতের নির্দেশেই ক্ষমা চেয়েছেন- এমনটা বোঝাতে চাইছেন।বিচারপতি সূর্য কান্তের ভাষায়, ‘এই ক্ষমা কিসের জন্য? এটা কেমন ধরনের ক্ষমা? ক্ষমার তো একটা মানে থাকে। অনেক সময় লোকেরা নরম ভাষা ব্যবহার করে মামলা থেকে বাঁচতে চায়, আবার কেউ কুমিরের অশ্রু ঝরায়। আপনার ক্ষমা কোন ধরনের? আপনি এমন একটা চিত্র তুলে ধরতে চাইছেন, যেন আদালত আপনাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। আপনি আপনার কুৎসিত মন্তব্যের জন্য এখনো পর্যন্ত কেন আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাননি?’তিনি আরও বলেন, এই ইস্যুটি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আবেগঘন হওয়ায় একজন মন্ত্রীর আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তিন সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করতে হবে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বিজয় শাহকে আপাতত গ্রেফতার থেকে রেহাই দিলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘তাকে পরিণতি ভোগ করতেই হবে’। একইসঙ্গে আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বলেছে, ‘আমরা খুব কাছ থেকে নজর রাখব। এটা আপনাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা’।বিজয় শাহের বিতর্কিত সেই বক্তব্য সম্প্রতি পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে আক্রমণ চালায়। ওই সময় বিজয় শাহ এক জনসভায় বলেন, ‘পাকিস্তানে যারা থাকেন, সেই সম্প্রদায়ের এক নারীকে পাঠানো হয়েছে দেশকে নগ্ন করতে’।এমনকি তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তোমরা যারা বিধবা বোন হয়ে বসে আছো, এবার তোমাদের সম্প্রদায়ের এক বোন তোমাদের নগ্ন করে ছাড়বে’।তিনি আরও বলেন, ‘মোদিজি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তোমাদের সম্প্রদায়ের কন্যাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে প্রতিশোধ নেওয়া যায়’।যদিও তিনি এ সময় কারো নাম উল্লেখ করেননি। তবুও সবাই ধরে নেয় যে তিনি কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে উদ্দেশ্য করেই এসব বলেছিলেন। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ছিলেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম মুখপাত্র। তাকে নিয়ে অমন মন্তব্য ভারতজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, বিরোধীদের নিন্দা, সাবেক সেনা সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ এবং এমনকি বিজেপির ভেতরেও সমালোচনার ঝড় তোলে।এদিকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মন্তব্য করে, ‘দেশের একমাত্র অবিচল প্রতিষ্ঠান, যা সততা, শৃঙ্খলা, আত্মত্যাগ ও নির্ভীকতার প্রতীক— সেই সশস্ত্র বাহিনীকে বিজয় শাহ নর্দমার ভাষায় আক্রমণ করেছেন’। সেই সঙ্গে বিজয় শাহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত।বিজয় শাহের প্রতিক্রিয়া ও ক্ষমাএ প্রেক্ষিতে বিজয় শাহ প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, তার মন্তব্যকে ‘প্রসঙ্গ থেকে ছেঁটে’ দেখানো হচ্ছে। পরে তিনি বলেন, ‘বোন সোফিয়া জাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন... আমরা স্বপ্নেও তাকে অসম্মান করার কথা ভাবতে পারি না। তবুও যদি আমার কথায় সমাজ বা ধর্ম আহত হয়ে থাকে, আমি দশবার ক্ষমা চাইতে রাজি আছি’। তবে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে, তার এই বক্তব্য যথেষ্ট নয়।এবি
সোমালিয়ায় সেনা ক্যাম্পে বোমা হামলা, নিহত ১৩
সোমালিয়ার মোগাদিসুতে একটি সেনা নিয়োগ কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে।রোববার (১৮ মে) দামানিয়ো সেনাঘাঁটির প্রাঙ্গণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।ঘাঁটির বাইরে নিয়োগের অপেক্ষায় দাঁড়ানো তরুণ সেনাদের সারিতে দাঁড়িয়ে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকট বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধোয়ায় ঢেকে যায় এলাকাটি। চারদিকে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় অন্তত ৩০ জন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায় ৬ জন।তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে আল-শাবাব সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। কেননা, আগের দিন শনিবার হিরান অঞ্চলে ব্যাটালিয়ন ২৬-এর কমান্ডার কর্নেল আব্দিরাহমান হুজালে বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল শাবাব জঙ্গিরা।আল-শাবাব প্রায় দুই দশক ধরে সোমালি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে এবং প্রায়শই সরকারি কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।এর আগে, ২০২৩ সালে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল মোগাদিসুর জালে সিয়াদ ঘাঁটিতে। ওই ঘটনায় একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ২৫ জন সৈন্যকে হত্যা করেছিল।এমআর-২
ভারতের বিশাল পরিমাণ আমের চালান ফিরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র
ভারত থেকে রপ্তানি করা আমের অন্তত ১৫টি চালান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাগজপত্রে অনিয়মের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও আটলান্টা শহরের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে এসব আমের চালান বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এসব চালান বাতিল করায় ভারতীয় রপ্তানিকারকদের আম ধ্বংস অথবা দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পচনশীল এসব আম ফিরিয়ে আনার খরচ বেশি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রেই স্থানীয়ভাবে আমগুলো ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রপ্তানিকারকরা।ভারতীয় আমের রপ্তানির প্রাথমিক গন্তব্যের শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে আমের চালান বাতিলের এই ঘটনা ২ দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। পচনশীল আমের বিপুল এই চালান বাতিলের ঘটনায় ভারতীয় রপ্তানিকারকরা অন্তত ৫ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন।সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ ও ৯ মে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে আমগুলোতে প্রয়োজনীয় বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা এই বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে অসঙ্গতি পেয়েছেন। সাধারণত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মাত্রার বিকিরণ প্রয়োগ করে ফলের পোকামাকড় ধ্বংস ও সংরক্ষণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আমে কোনও ধরনের পোকা ছিল না। বরং পোকা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাগজপত্রে প্রশাসনিক ভুলের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তর (ইউএসডিএ) থেকে ভারতীয় এক রপ্তানিকারকের কাছে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ ‘‘ভুলভাবে ইস্যু করা পিপিকিউ২০৩’’-র কারণে আম আমদানির অনুমতি দেয়নি। এতে বলা হয়েছে, চালানটি ‘‘পুনরায় রপ্তানি অথবা ধ্বংস করে ফেলতে হবে’’ এবং এক্ষেত্রে এই চালানের কোনও ব্যয়ই যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বহন করবে না।ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের নবী মুম্বাইয়ে অবস্থিত একটি কেন্দ্রে ওই বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের একজন প্রতিনিধি পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করেছিলেন। মার্কিন ওই প্রতিনিধি পিপিকিউ২০৩ ফর্ম যাচাই ও অনুমোদন দেন; যা যুক্তরাষ্ট্রে আম রপ্তানির জন্য বাধ্যতামূলক। মুম্বাইয়ের একজন রপ্তানিকারক বলেন, ‘‘আমরা সেই কেন্দ্রের ভুলের জন্য শাস্তি ভোগ করছি।’’দেশটির অপর এক রপ্তানিকারক জানান, তার আমের চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বিকিরণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত শর্ত পূরণ করা হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে। এই রপ্তানিকারক বলেন, তার পাঠানো আমের চালান গত ৯ থেকে ১১ মে পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দরে আটকা ছিল। পরবর্তীতে তা ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়।তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আমে বিকিরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং ওই প্রক্রিয়া শেষেই পিপিকিউ২০৩ ফর্ম ইস্যু করা হয়। প্রক্রিয়া ছাড়া এই ফর্ম পাওয়া সম্ভব নয়। আর ইউএসডিএর প্রতিনিধির ইস্যু করা ওই ফর্ম ছাড়া মুম্বাই বিমানবন্দর থেকেই আম রপ্তানি করা সম্ভব নয়।’’এমআর-২
খেলা
সব দেখুন- ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১২০ বছরের আক্ষেপ ঘোঁচাল ক্রিস্টাল প্যালেস
- কোহলির অবসর আমাকে অবাক করেছে: সৌরভ গাঙ্গুলি
- পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরিতে শারজাহতে বাংলাদেশের প্রথম জয়
- অগ্নি দুর্ঘটনায় আইসিইউতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি বিশ্বকাপ জয়ী লুসিও
- ২২ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মেডামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
- দুর্নীতির অভিযোগে আবারও তদন্তে বিসিবিতে দুদক
বিনোদন
সব দেখুন
পরীমণির মৃত্যুর গুজব, লাইভে এসে বললেন ‘আমি বেঁচে আছি’
নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। এবার তাকে ঘিরে ছড়িয়েছে মৃত্যুর গুজব।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে—‘পরীমণির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার’—শিরোনামের একটি ভুয়া খবর। বিভ্রান্তিকর সেই তথ্যে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।গুজবের জবাবে সোমবার (১৯ মে) রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন পরীমণি। লাইভে এসে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি।’ লাইভের ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘মৃত মানুষকে কখনও লাইভে আসতে দেখেছো?’তিনি লাইভে বলেন, ‘আমি বডির শুট করছিলাম এরপর ফোন যখন হাতে নিলাম তখন, ফোন কলের থেকে এসএমএস বেশি। আপনি ভাবেন আপনি মরে গেছেন ধরেন আপনাকে কেউ বললো আপনার এক আত্মীয় মারা গেছে।’পরীর কথায়, ‘সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন আপনি কী বেঁচে আছেন না মারা গেছেন কখন মারা গেছেন তো এরকম একটা ব্যাপার। কোনো এক পোস্টে বলা হয়েছে আমার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তো আমার কথা হচ্ছে কতটা শকিং আমার জন্য।’এর আগে দুপুরে পরীমণি তার ব্যক্তিগত আইডিতে আঞ্চলিক ভাষায় একটি স্ট্যাটাস দেন। লেখেন, 'কথা হচ্ছে, কোনো কালেই কথা বলতে পারবা না মনু। ঘুমাও ঘুমাও। ঘুমই উত্তম।' এসকে/আরআই

নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার (১৮ মে) রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।এর আগে রোববার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।পরে থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা রয়েছে। মামলায় তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।এফএস

দীর্ঘ ১৭ বছর পর লাল গালিচায় হাঁটলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা। লালগালিচা এলাকা তীব্র অপেক্ষায়। চারদিকে শত শত ক্যামেরার চোখ। যে চোখ অপেক্ষায় তাঁর জন্য। নিরাপত্তাবলয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন হাজার হাজার দর্শক। কারও হাতে মোবাইল, কারও হাতে অটোগ্রাফ নেওয়ার খাতা কিংবা প্রিয় তারকার ছবি। মৃদু শব্দে বেজে চলছে ফরাসি শিল্পীর কণ্ঠে গান। যে গানের সুর অন্যরকম আবেশ সৃষ্টি করছে। এমন সময় ঘোষণা এলো লালগালিচায় আসছেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জমে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এর ৭৮তম আসর। আর সেখানেই দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রত্যাবর্তন ঘটল হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির; হাঁটলেন লাল গালিচায়, চমকে দিলেন সবাইকে। শুক্রবার (১৬ মে) পরিচালক আরি অ্যাস্টারের নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’-এর প্রিমিয়ার উপলক্ষে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় ১৭ বছর পর দেখা গেল অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। এবার উৎসবের ৭৮তম এ আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবি ‘এডিংটন’-এ তিনি অভিনয় করছেন সম্মানজনক ভূমিকা শপার্ড ট্রফির মেরিন বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। কান উৎসবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই প্রত্যাবর্তন শুধু গ্ল্যামারেই নয়, ইতিহাসেও অনন্য। কারণ, ২০০৮ সালে তিনি শেষবারের মতো এই লালগালিচায় হেঁটেছিলেন। তাও ছিলেন তাঁর যমজ সন্তান নক্স ও ভিভিয়েনকে গর্ভে ধারণ করে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন ব্র্যাড পিট। পরেছিলেন ফরাসি ব্র্যান্ড জেরার দারে’র ডিজাইন করা একটি পিস্টাচিও-সবুজ গাউন। তাঁর এবারের উপস্থিতি যেন সেই স্মরণীয় মুহূর্তেরই এক গৌরবময় পুনরাবৃত্তি। এবার তিনি এলেন নিজের বলিষ্ঠ উপস্থিতি, নিজের ইতিহাস আর নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়ে। এদিন অভিনেত্রী হাজির হয়েছিলেন এক অপূর্ব চ্যাম্পেইন রঙের অফ-শোল্ডার বাস্টিয়ার গাউনে, যার কাট ছিল হালকা ঘেরযুক্ত ও সূক্ষ্ম সূচিকর্মে সজ্জিত। শপার্ডের হীরার গয়না তার সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। এবি

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে তোলা হবে সোমবার
গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।সোমবার (১৯ মে) অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।পুলিশের উপকমিশনার সংবাদমাধ্যমকে জানান, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। এ কারণে বিদেশে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবিতে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।এর আগে রবিবার (১৮ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় নুসরাত ফারিয়াকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের নামে ভুক্তভোগী এনামুলকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এনামুল হক আদালতের আদেশে ভাটারা থানায় মামলা করেন। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়—অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে। তাছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শজনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এজাহারনামায় আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ জোগান দিয়েছেন। এ সময় অন্য আসামিদের ছোড়া গুলি বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।এমআর-২
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে।রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার (১৯ মে) তিনি এ কথা বলেন।আহসান এইচ মনসুর বলেন, পলাতক পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্যে ফান্ড তৈরি করা হবে।গভর্নর বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।এবি

এনবিআর ২ ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ২ ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। আলোচনা ব্যতিরেকে পেশাজীবীদের জায়গা সংকুচিত ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে যেটা করা করা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। এখন ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।সোমবার (১৯ মে) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬ : নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে এ কথা বলেন তিনি।ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এনবিআর নিয়ে বর্তমানের যে আলোচনা চলছেন সে বিষয়ে বলতে বলব, দুই ভাগ করা ঠিক আছে। এটা আমাদের শ্বেতপত্রে সুপারিশে ছিল। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। আলোচনা ব্যতিরেকে, পেশাজীবীদের জায়গা সংকুচিত ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে করা হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি। এটাকে এখন ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আমরা পরিসংখ্যান দেখি তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমেছে, ঋণপ্রবাহ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, এডিআই কমেছে ও পুঁজিবাজারের সব সূচক নিম্নমুখী। এই অবস্থায় কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? বেকারত্বে হার বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি, অর্থাৎ তাদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে। তাহলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এটা এখন জোর দিয়ে বলতে পারছি না। জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের নিচে আছে। এটা বাড়াতে হবে। আগামী অর্থবছরেও ১০ এর নিচে থাকছে। পরোক্ষ করের বৃদ্ধির হার বেশি। তার মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরই করের বোঝা বাড়ছে।বাজেটে ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজস্ব ব্যয়ের দুটি খাত সবচেয়ে বেশি হচ্ছে- প্রথমটি সুদ ব্যয় আর দ্বিতীয়টি ভর্তুকি। সরকারের অর্থনীতি পরিচালনা কোনো ঘোষিত নীতিমালার আলোকে হচ্ছে না, তা চলছে এডহক ভিত্তিতে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার দুর্বলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রানীতি এখনও প্রতিফলিত হয়নি। ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে এলে আমরা একটা সিগন্যাল পাব। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যুব দারিদ্র্য বাড়ছে এটা বলা বাহুল্য।তিনি আরও বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারের বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়টি আমাদের নজরে রেখেছেন। টাস্কফোর্স থেকে বলেছি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করা দরকার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার আসলেও তারা অর্থনৈতিক বৈষম্য মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারে নাই। যে ফিসক্যাল পলিসি নিয়ে কাজ হচ্ছে, সেটাও কিন্তু গত সরকারের। পুরানো যে কাঠামো রয়েছে সেটাকেই ধুয়ে-মুছে কাজ করা হচ্ছে, সেটা আমাদের পছন্দ হয়নি। টাস্কফোর্সের যে সুপারিশ ছিল, সেটা ধরে যে গতি আসার কথা ছিল, তা আমরা দেখতে পাইনি। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার দিয়ে জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, একইভাবে বৈষয়িক অর্থনীতির পরিস্থিতিও খুবই জটিল। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা খুবই সংকটের মধ্যে আছে। এই সংকটের মধ্যেই আগামীর বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার।দেশের আমলাতন্ত্র আরও শক্তিশালী হচ্ছে জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চোরতন্ত্রে ছিলেন আমলারা, ব্যবসায়ীরা আর রাজনীতিবিদরা। এখন রাজনীতিবিদরা পালিয়ে গেছেন, ব্যবসায়ীরা ম্রিয়মাণ আর আমলারা পুরো শক্তি নিয়ে পুনরুজ্জীবিত আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এমআর-২

২৭ ব্যবসায় ডিজিটাল ভ্যাট চালান বাধ্যতামূলক
রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় ও জেলা শহরের ২৭ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) কিংবা ভ্যাট স্মার্ট চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। রবিবার (১৮ মে) এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ও সমজাতীয় চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেগুলো হলো- আবাসিক হোটেল, সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, তৈরি পোশাক বিপণন,ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, ইলেকট্রনিক/ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্র, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, শপিং সেন্টার/মল/মার্কেট এর সব ব্যবসায়ী, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ভ্যাটযোগ্য পণ্য ক্রয়/বিক্রয় কমিউনিটি সেন্টার, ডিপার্টমেন্টাল ফার্মেসি (দেশে উৎপাদিত ওষুধ ব্যতীত), মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জেনারেল স্টোর/সুপারশপ এবং স্বর্ণকার, রৌপ্যকার, স্বর্ণের-রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাইকারি। এছাড়া অন্যান্য বড় ও মাঝারি (পাইকারি ও খুচরা) ব্যবসায়ী, আসবাবপত্রের বিপণন কেন্দ্র, যান্ত্রিক লন্ড্রি, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, সিকিউরিটি সার্ভিস, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, ভিসা প্রসেসিং/অনলাইন অ্যাডমিশন প্রসেসিং সেন্টার, ভ্যাটের আওতাভুক্ত অন্যান্য পণ্য ও সেবা এবং বোর্ড বা কমিশনার নির্বাচিত যে কোনো ব্যবসায়ী এই বাধ্যতামূলক ডিজিটাল চালানের আওতাধীন। এনবিআর জানায়, ইএফডি/এসডিসি/পিকেআই পিওএস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে। এতে ভ্যাট ফাঁকির সুযোগ কমবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। ভ্যাট ফাঁকি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।শ্লিষ্ট সফটওয়্যার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এনবিআর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ঈদের আগে বাড়ছে প্রবাসী আয়, ১৭ দিনে এলো ১৬১ কোটি ডলার
আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ উল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু কেনাসহ পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে ঈদ ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার পৌঁছাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশ থেকে অর্থপাচার কমেছে। কমেছে হুন্ডির দৌরাত্ম্য। যে কারণে বাড়ছে রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) গতিপ্রবাহ। এর ধারাবাহিকতায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চ মাসে। এপ্রিলেও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে দেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে, আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।এবি

এবার বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের যে বাজেট আসছে, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। বাজেটের ছোট হলেও এবার বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রোববার (১৮ মে) শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এ বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার চেষ্টা থাকবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টাও আমরা করছি। টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব না পড়লেও কিছুদিন পরে তা মূল্যস্ফীতির ওপর কিছু প্রভাব পড়ে। বেতন বৃদ্ধি করলেও মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়ে। এবার দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হচ্ছে না।তিনি বলেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে এমন প্রকল্প নেওয়া হবে না। তবে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণে হবে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পে জাপান স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। আমরা বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হবে। বাজেটের নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা ফেরানো হবে। টাকার অঙ্কে ছোট হলেও বাস্তবসম্মত বাজেট হবে। গতবারের থেকে এবার বাজেট ছোট হলেও কার্যকরী। বাজেট বাস্তব সম্মত করছি, ছোট নয়। আমরা আশা করবো, দ্রুততার সঙ্গে সব কিছু বাস্তবায়ন করবো। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি তবে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোথাও ডাক্তার নাই। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে পরিচালন ব্যয় মেটানো হবে। উন্নয়ন বাজেটে এই খাতে নজর দেওয়া হবে। স্কুলের সমস্যা, বাচ্চাদের স্কুলে অনেক সমস্যা হচ্ছে।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এডিপিতে যত প্রকল্প আছে সবই চলমান প্রকল্প। কিছু আছে যা ধুঁকে ধুঁকে খুড়াচ্ছে। অত্যাধিক প্রকল্পের বিড়ম্বনা দেখা দিচ্ছে। কিছু প্রকল্প আছে তা গিলতেও পারি না ফেলতেও পারি না। সুপরিকল্পিত প্রকল্প নয় এগুলো। কর্ণফুলী টানেল দিয়ে কোথায় যাবো জানি না। এটা কেন বানানো হলো। টানেল পার হয়েই ধু ধু মরুভূমি। এটা প্রকল্প না শুধু রিসোর্টে যাওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প ৩ হাজার কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হলো। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ কাজ শেষ। তবে বাকি কাজ বাস্তবায়ন করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে।তিনি আরও বলেন, নিজের বাড়ির লিফট নষ্ট হয়, ঠিক করা হয় না, সুতরাং এই প্রকল্পের লিফট কীভাবে ঠিক হবে। বাসগুলো কেনা হয়নি। কোরিয়া থেকে আনা হবে। বাসগুলো স্পেশাল অর্ডার দিয়ে আনতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। সামন ঈদ আছে, র্যাপিড বাস ট্রানজিট ভুলে যান, সবকিছু খুলে দেন। যাতে করে এই রুটে ঈদে জটলা তৈরি না হয়।এমআর-২

দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে বরাবরের মতো এবারও বড় ৫ খাতেই ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে শুধু পরিবহন ও যোগাযোগ খাতই ২৫ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।রোববার (১৮ মে) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করা হয়। এডিপির খসড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এনইসি সভা শেষে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা এক হাজার ১৪২ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে। মোট বরাদ্দের ২৫.৬৪ শতাংশ বা ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪.০৮ শতাংশ বা ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। ১২.৪২ শতাংশ বা ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ৯.৯০ শতাংশ বা ২২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। আর স্বাস্থ্য খাত পেয়েছে ৭.৮৯ শতাংশ বা ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ।এছাড়া স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৩ হাজার ৪৭২ কোটি, কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১০ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনীতিক সেবা খাতে ৫ হাজার ৩৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে ৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, সাধারণ সরকারি সেবা খাতে এক হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট মূল এডিপির তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো চাহিদা দিয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে সরকারের অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের অর্থায়ন কমে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে, আর বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে।এবি

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকালে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্টারলিংক রেসিডেন্স ও রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০।তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে বলেও জানান ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, এখানে কোন স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।ফয়েজ আহমদ বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।এমআর

পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে।রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার (১৯ মে) তিনি এ কথা বলেন।আহসান এইচ মনসুর বলেন, পলাতক পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্যে ফান্ড তৈরি করা হবে।গভর্নর বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।এবি

এনবিআর ২ ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ২ ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। আলোচনা ব্যতিরেকে পেশাজীবীদের জায়গা সংকুচিত ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে যেটা করা করা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। এখন ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।সোমবার (১৯ মে) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬ : নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে এ কথা বলেন তিনি।ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এনবিআর নিয়ে বর্তমানের যে আলোচনা চলছেন সে বিষয়ে বলতে বলব, দুই ভাগ করা ঠিক আছে। এটা আমাদের শ্বেতপত্রে সুপারিশে ছিল। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। আলোচনা ব্যতিরেকে, পেশাজীবীদের জায়গা সংকুচিত ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে করা হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি। এটাকে এখন ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আমরা পরিসংখ্যান দেখি তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমেছে, ঋণপ্রবাহ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, এডিআই কমেছে ও পুঁজিবাজারের সব সূচক নিম্নমুখী। এই অবস্থায় কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? বেকারত্বে হার বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি, অর্থাৎ তাদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে। তাহলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এটা এখন জোর দিয়ে বলতে পারছি না। জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের নিচে আছে। এটা বাড়াতে হবে। আগামী অর্থবছরেও ১০ এর নিচে থাকছে। পরোক্ষ করের বৃদ্ধির হার বেশি। তার মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরই করের বোঝা বাড়ছে।বাজেটে ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজস্ব ব্যয়ের দুটি খাত সবচেয়ে বেশি হচ্ছে- প্রথমটি সুদ ব্যয় আর দ্বিতীয়টি ভর্তুকি। সরকারের অর্থনীতি পরিচালনা কোনো ঘোষিত নীতিমালার আলোকে হচ্ছে না, তা চলছে এডহক ভিত্তিতে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার দুর্বলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রানীতি এখনও প্রতিফলিত হয়নি। ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে এলে আমরা একটা সিগন্যাল পাব। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যুব দারিদ্র্য বাড়ছে এটা বলা বাহুল্য।তিনি আরও বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারের বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়টি আমাদের নজরে রেখেছেন। টাস্কফোর্স থেকে বলেছি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করা দরকার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার আসলেও তারা অর্থনৈতিক বৈষম্য মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারে নাই। যে ফিসক্যাল পলিসি নিয়ে কাজ হচ্ছে, সেটাও কিন্তু গত সরকারের। পুরানো যে কাঠামো রয়েছে সেটাকেই ধুয়ে-মুছে কাজ করা হচ্ছে, সেটা আমাদের পছন্দ হয়নি। টাস্কফোর্সের যে সুপারিশ ছিল, সেটা ধরে যে গতি আসার কথা ছিল, তা আমরা দেখতে পাইনি। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার দিয়ে জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, একইভাবে বৈষয়িক অর্থনীতির পরিস্থিতিও খুবই জটিল। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা খুবই সংকটের মধ্যে আছে। এই সংকটের মধ্যেই আগামীর বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার।দেশের আমলাতন্ত্র আরও শক্তিশালী হচ্ছে জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চোরতন্ত্রে ছিলেন আমলারা, ব্যবসায়ীরা আর রাজনীতিবিদরা। এখন রাজনীতিবিদরা পালিয়ে গেছেন, ব্যবসায়ীরা ম্রিয়মাণ আর আমলারা পুরো শক্তি নিয়ে পুনরুজ্জীবিত আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এমআর-২

২৭ ব্যবসায় ডিজিটাল ভ্যাট চালান বাধ্যতামূলক
রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় ও জেলা শহরের ২৭ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) কিংবা ভ্যাট স্মার্ট চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। রবিবার (১৮ মে) এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ও সমজাতীয় চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেগুলো হলো- আবাসিক হোটেল, সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, তৈরি পোশাক বিপণন,ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, ইলেকট্রনিক/ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্র, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, শপিং সেন্টার/মল/মার্কেট এর সব ব্যবসায়ী, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ভ্যাটযোগ্য পণ্য ক্রয়/বিক্রয় কমিউনিটি সেন্টার, ডিপার্টমেন্টাল ফার্মেসি (দেশে উৎপাদিত ওষুধ ব্যতীত), মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জেনারেল স্টোর/সুপারশপ এবং স্বর্ণকার, রৌপ্যকার, স্বর্ণের-রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাইকারি। এছাড়া অন্যান্য বড় ও মাঝারি (পাইকারি ও খুচরা) ব্যবসায়ী, আসবাবপত্রের বিপণন কেন্দ্র, যান্ত্রিক লন্ড্রি, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, সিকিউরিটি সার্ভিস, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, ভিসা প্রসেসিং/অনলাইন অ্যাডমিশন প্রসেসিং সেন্টার, ভ্যাটের আওতাভুক্ত অন্যান্য পণ্য ও সেবা এবং বোর্ড বা কমিশনার নির্বাচিত যে কোনো ব্যবসায়ী এই বাধ্যতামূলক ডিজিটাল চালানের আওতাধীন। এনবিআর জানায়, ইএফডি/এসডিসি/পিকেআই পিওএস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে। এতে ভ্যাট ফাঁকির সুযোগ কমবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। ভ্যাট ফাঁকি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।শ্লিষ্ট সফটওয়্যার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এনবিআর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ঈদের আগে বাড়ছে প্রবাসী আয়, ১৭ দিনে এলো ১৬১ কোটি ডলার
আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ উল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু কেনাসহ পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে ঈদ ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার পৌঁছাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশ থেকে অর্থপাচার কমেছে। কমেছে হুন্ডির দৌরাত্ম্য। যে কারণে বাড়ছে রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) গতিপ্রবাহ। এর ধারাবাহিকতায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চ মাসে। এপ্রিলেও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে দেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে, আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।এবি

এবার বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের যে বাজেট আসছে, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। বাজেটের ছোট হলেও এবার বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রোববার (১৮ মে) শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এ বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার চেষ্টা থাকবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টাও আমরা করছি। টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব না পড়লেও কিছুদিন পরে তা মূল্যস্ফীতির ওপর কিছু প্রভাব পড়ে। বেতন বৃদ্ধি করলেও মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়ে। এবার দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হচ্ছে না।তিনি বলেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে এমন প্রকল্প নেওয়া হবে না। তবে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণে হবে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পে জাপান স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। আমরা বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হবে। বাজেটের নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা ফেরানো হবে। টাকার অঙ্কে ছোট হলেও বাস্তবসম্মত বাজেট হবে। গতবারের থেকে এবার বাজেট ছোট হলেও কার্যকরী। বাজেট বাস্তব সম্মত করছি, ছোট নয়। আমরা আশা করবো, দ্রুততার সঙ্গে সব কিছু বাস্তবায়ন করবো। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি তবে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোথাও ডাক্তার নাই। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে পরিচালন ব্যয় মেটানো হবে। উন্নয়ন বাজেটে এই খাতে নজর দেওয়া হবে। স্কুলের সমস্যা, বাচ্চাদের স্কুলে অনেক সমস্যা হচ্ছে।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এডিপিতে যত প্রকল্প আছে সবই চলমান প্রকল্প। কিছু আছে যা ধুঁকে ধুঁকে খুড়াচ্ছে। অত্যাধিক প্রকল্পের বিড়ম্বনা দেখা দিচ্ছে। কিছু প্রকল্প আছে তা গিলতেও পারি না ফেলতেও পারি না। সুপরিকল্পিত প্রকল্প নয় এগুলো। কর্ণফুলী টানেল দিয়ে কোথায় যাবো জানি না। এটা কেন বানানো হলো। টানেল পার হয়েই ধু ধু মরুভূমি। এটা প্রকল্প না শুধু রিসোর্টে যাওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প ৩ হাজার কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হলো। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ কাজ শেষ। তবে বাকি কাজ বাস্তবায়ন করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে।তিনি আরও বলেন, নিজের বাড়ির লিফট নষ্ট হয়, ঠিক করা হয় না, সুতরাং এই প্রকল্পের লিফট কীভাবে ঠিক হবে। বাসগুলো কেনা হয়নি। কোরিয়া থেকে আনা হবে। বাসগুলো স্পেশাল অর্ডার দিয়ে আনতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। সামন ঈদ আছে, র্যাপিড বাস ট্রানজিট ভুলে যান, সবকিছু খুলে দেন। যাতে করে এই রুটে ঈদে জটলা তৈরি না হয়।এমআর-২
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং প্রক্টর-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।সোমবার (১৯ মে) রাতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি ভিসির বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়।এ সময় সাম্য হত্যায় ৩ জনকে আটকের নাটক করা হয়েছে অভিযোগ করে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ৬ দিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত সাম্যের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার করা হয়নি। অথচ একটি মব সৃষ্টিকারী মহল সাম্য হত্যা নিয়ে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করা হচ্ছে। অবিলম্বে সাম্য হত্যাকণ্ডের জড়িতদের শনাক্তে করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে সাম্যের হত্যাকে ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।এর আগে, ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য প্রাণ হারান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।এ ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে নিহত শাহরিয়ারের ভাই শরীফুল আলম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।এনআই

নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে নেওয়া একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। আগামী ২২ জুন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নোবিপ্রবি রিসার্চ সেলের আয়োজনে এই রিসার্চ ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।মেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, যিনি সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টাও ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গবেষণা মেলায় থাকবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন:১. বিভাগীয় স্টল প্রদর্শনী: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের গবেষণা কার্যক্রম ও অর্জন প্রদর্শনের জন্য একটি করে স্টল স্থাপন করবে। ৩৩টি বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগকে “বেস্ট স্টল” হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে।২. বেস্ট রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড: ২০২০-২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে এবং প্রতিটি পদের (প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক) জন্য চারটি স্তরে মোট ১৬ জনকে “বেস্ট রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করা হবে।৩. ডিনস অ্যাওয়ার্ড: শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে “ডিনস অ্যাওয়ার্ড”। প্রত্যেক অনুষদ থেকে তিনজন করে এই পুরস্কার পাবেন। আবেদনের জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৭০।কিন্তু সমাজবিজ্ঞান ও কলা অনুষদের ক্ষেত্রে নূন্যতম রেজাল্ট ৩.৬০ নির্ধারণ করা হয়েছে।৪. ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড: গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হবে “ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড”। এর মধ্যে একটি সম্মাননা থাকবে “বেস্ট ওমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড”।নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত রিসার্চ ফেয়ার নিয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন,“এ ধরনের আয়োজন আমাদের জন্য ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক। বিভিন্ন বিভাগের গবেষণাধর্মী প্রজেক্ট এক জায়গায় দেখে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারছি। আমাদের নিজেদের গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন নতুন ধারণা তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি প্রতিবছর এ আয়োজন চালু রাখে, তাহলে আমরা আরও বেশি করে গবেষণামুখী হতে পারব এবং ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।”২০২০-২১ শিক্ষার্থী তানভীর হাসান বলেন," বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এমন ভিন্ন আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। রিসার্চ ফেয়ার নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লাইফের পাশাপাশি রিসার্চ একটিভিটির মতো কাজগুলাতে উৎসাহ দিবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা এধরনের কাজে মনোনিবেশ করবে।"নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা মেলা। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল কাইয়ুম মাসুদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। রিসার্চ ফেয়ারের মতো আয়োজন শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে। এ ধরনের আয়োজন শুধু একবারের জন্য নয়, প্রতিবছর নিয়মিতভাবে আয়োজন করা উচিত। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণায় অনুপ্রাণিত হবে এবং জ্ঞানচর্চায় আরও মনোনিবেশ করবে।”রিসার্চ সেলের পরিচালক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, "এ ধরনের আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা কার্যক্রমে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত হবেন, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।"তিনি আরও জানান, এবারের আয়োজনে ‘বেস্ট রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড’, ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে, যা গবেষণার প্রতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উৎসাহকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসাইন বলেন,"বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো। রিচার্স ফেয়ার আয়োজন হচ্ছে। যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে মনোনিবেশ করতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।" নোবিপ্রবির এই গবেষণা মেলা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাভিত্তিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে বলে প্রত্যাশা করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।এইচএ

ডিআইইউতে নকলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: ভিসি জাহিদুল
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) চলমান শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘নকলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম।সোমবার (১৯ মে) ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, "ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৎ, নৈতিক ও যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেজন্য পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণায় নকল বা কোনো ধরনের অনৈতিকতা একেবারেই বরদাশত করা হবে না।"তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও প্রশাসনিক শাখাকে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদেরও কঠোরভাবে নজরদারি বজায় রাখতে বলা হয়েছে যেন কোনো শিক্ষার্থী নকলের মাধ্যমে মূল্যায়নে অংশ নিতে না পারে।এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিয়ে বলেন, "সফলতা কেবল সনদে নয়, চরিত্র ও সততার মাধ্যমে অর্জিত হয়। আমরা চাই, ডিআইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী দেশ ও জাতির জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে উঠুক।"ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতির প্রশংসা করে উপাচার্য বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপূরক হিসেবে তোমরা কাজ করবে এবং সত্য তুলে ধরবে। তোমরা ভালো কাজ করছো। আমরা চাই ভবিষ্যতে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে তোমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করো এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সুন্দর করে তুলবে।"এইচএ

মাভাবিপ্রবিতে ফলভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষক কর্মশালা
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) আইকিউএসি -এর আয়োজনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে উক্ত বিভাগের সেমিনার হলে “ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন” শীর্ষক এক কর্মশালা সোমবার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি, মাভাবিপ্রবি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মতিউর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো নাজমুস সাদেকীন ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা। রিসোর্স পার্সন ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল হাকিম। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে Outcome Based Education বা ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনীতি বিভাগে এই শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। কারণ, শিক্ষার্থীদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন নয় — বরং তাদের দক্ষতা, আচরণ এবং নৈতিকতার উন্নয়ন নিশ্চিত করাই Outcome Based Education-এর মূল লক্ষ্য।আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের কী অর্জন হবে, তারা কীভাবে সমাজে অবদান রাখতে পারবে, সেই দিক নির্দেশনাগুলো নির্ধারণ করা হবে। সেই সঙ্গে পাঠ্যক্রম, মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং শিক্ষণ কৌশলকেও আধুনিকায়ন করা হবে। যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মান উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেন সময়োপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন শিক্ষার্থী তৈরি করা, যারা শুধু ভালো রেজাল্ট করবে না, বরং জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধে হবে সমৃদ্ধ। Outcome Based Education-এর মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।এসআর
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
বাংলাদেশের বাজারে লেনোভোর নতুন এলওকিউ এআই ল্যাপটপ
লেনোভোর অনুমোদিত পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন এআই পাওয়ারড লেনোভো এলওকিউ (83DV00VBLK) গেমিং ল্যাপটপ। আধুনিক প্রযুক্তি ও এআই অপটিমাইজেশন সমৃদ্ধ এই ল্যাপটপ গেমার, স্ট্রিমার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আদর্শ।১৩তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই সেভেন ১৩৬৫০HX প্রসেসর, ২৪ জিবি ডিডিআর৫এক্স র্যাম, এবং ৫১২ জিবি জেন ৪ এসএসডি ল্যাপটপটিতে রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করে দ্রুত কাজ করার অভিজ্ঞতা। ১৫.৬" ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে (১০০% এসআরজিবি, ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৩০০ নিটস), এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৩০৫০(৬ জিবি) গ্রাফিক্স কার্ড এবং জি-সিঙ্ক প্রযুক্তি নিশ্চিত করে চমৎকার ভিজ্যুয়াল ও স্মুথ গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স। পাশাপাশি ব্যবহারকারীর চোখকে সুরক্ষিত রাখতে ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে টিইউভি লো ব্লু লাইট ফিচার যা সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।অতিরিক্ত ফিচারের মধ্যে রয়েছে লেনোভোর নিজস্ব এআই চিপ এলএ১, নাহিমিক অডিও, ৭২০পি ক্যামেরা (ই-শাটারসহ), ওয়াইফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২, এবং মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন যা একে করে তোলে দীর্ঘদিন ব্যাবহারের উপযুক্ত। উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য রয়েছে আরজে৪৫ ইথারনেট পোর্ট।অফিসিয়াল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ হোম নিয়ে মাত্র ২.৩৮ কেজি ওজনের ল্যাপটপটি লুনা গ্রে রঙে ২ বছরের ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাচ্ছে গ্লোবাল ব্রান্ড পিএলসি - এর ওয়েবসাইট, সকল ব্রাঞ্চ এবং অনুমোদিত ডিলার হাউসে।

পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াবে ৫ টিপস
স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।তাই জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা: স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে।ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা: স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা: স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফটওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা: এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে।টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা: একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে।অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।এইচএ

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, ‘নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েও মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম কমাচ্ছে না। এখন দাম না কমালে সেবার মান এবং বকেয়া পাওনাসহ তাদের দেওয়া অন্যান্য সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।’রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটককে বাঁচাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘স্টারলিংকের পর এবার স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’তিনি বলেন, রাষ্ট্রের খরচ বাঁচাতে এবারের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত হবে।গতকাল বুধবার গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট থাকা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ‘গতকাল সারাদেশে ৪০ মিনিটের মতো গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট ছিল। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।এফএস

সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন দিচ্ছে বাংলালিংক
স্মার্টফোন কেনার ঝামেলা এখন অতীত। স্মার্টফোনকে আগের চেয়ে আরও সাশ্রয়ী ও সবার হাতের নাগালে আনতে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে “স্মার্টফোন অন ইনস্টলমেন্ট” (সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন) অফার। এই উদ্যোগের আওতায় গ্রাহকরা ব্যাংক কার্ড ছাড়াই বাংলালিংক সেন্টার থেকে সহজ কিস্তিতে ফোরজি স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই অথবা ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে আছে দেশের এমন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য ফোরজি স্মার্টফোন সহজলভ্য করছে বাংলালিংক। পামপে, জেনেক্স, এবং আইস্মার্টুর সঙ্গে বাংলালিংকের কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে স্মার্টফোন কেনার সুযোগ থাকছে, আর বাকি অর্থ ৯ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ফলে টুজি বা থ্রিজি ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই ফোরজি নেটওয়ার্কে আপগ্রেড করতে পারবেন।বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “আমরা স্মার্টফোন কেনার অর্থনৈতিক বাধা দূর করতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের ব্যাংকিং সুবিধা নেই, তারাও এখন সহজে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।”এই অফারের আওতায় স্মার্টফোন কিনলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন- ৩ মাসে ১৮ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি, অরেঞ্জ ক্লাব গোল্ড টিয়ারে আপগ্রেড ও মাইবিএল অ্যাপে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বোনাস।গ্রাহকরা সারাদেশে অবস্থিত যেকোনো বাংলালিংক সেন্টার থেকে আইটেল, টেকনো এবং ইনফিনিক্স ব্রান্ডের এর পছন্দের স্মার্টফোন কিস্তিতে কিনতে পারবেন। কিস্তিতে স্মার্টফোনে ক্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। পামপে অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে এবং মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। এইচএ

আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
আইফোন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও অন্যতম জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি। অনেকেই আবার এটিকে সামাজিক অবস্থান বা স্ট্যাটাসের প্রতীক মনে করেন। তবে মন খারাপ করার মতো খবর হলো, সম্প্রতি মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল আইফোনের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। সোমবার (১২ মে) মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।এতে বলা হয়, চলতি বছরের শরতে আইফোনের যে নতুন মডেলগুলো আসবে, সেগুলোর দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে অ্যাপল। দাম বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন আইফোনের ফিচার ও ডিজাইনেও পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। আর এই খবরে বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ে। প্রিমার্কেট ট্রেডিংয়ে অ্যাপলের শেয়ারের দাম প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইফোনের দাম বাড়ানো হলেও অ্যাপল চায় না কেউ মনে করুক-চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এই দাম বাড়ছে। যদিও অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য চীনে তৈরি, তবুও প্রতিষ্ঠানটি চাইছে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অন্য কারণ তুলে ধরতে। তবে রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও অ্যাপল কোনো মন্তব্য করেনি।এফএস

২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো মেটা
মেটা এবার ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করলো। সংস্থার অভিযোগ, এসব পেজ এবং অ্যাকাউন্টগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল। এদের টার্গেটে সবচেয়ে বেশি ছিল ভারত ও ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা।এই ধরনের পেজ ও অ্যাকাউন্টগুলো থেকে জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক কাজ করা হত। এই ধরনের পেজ ও অ্যাকাউন্টগুলো থেকে জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক কাজ করা হত। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেটা জানিয়েছে, এই ধরনের জালিয়াতরা ডিপফেক ব্যবহার করতেন, সঙ্গে আরও নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে নিজেদের প্রচার করতেন যেন তারা আদপে ভারত ও ব্রাজিলের কোনো জনপ্রিয় পার্সোনাল ফিনান্স কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্রিকেট খেলোয়াড়, বড় ব্যবসায়ী এবং এভাবেই তারা জালিয়াতির বিনিয়োগ স্কিম ও ভুয়া গ্যাম্বলিং ওয়েবসাইটের প্রচার করত।যেসব মানুষ এই জালিয়াতদের ফঁদে পা দিতেন, তাদের প্রথমে রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাওয়া হত একটি মেসেজিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মে যেখানে তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এমন কিছু ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হত রিডাইরেক্ট করে যা হুবহু গুগলের প্লে-স্টোর পেজের মত দেখতে। আর সেই ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে তাদের গ্যাম্বলিং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশ দিত।বিনিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতি মূলত এমন কিছু কিছু স্কিমের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে যার আদপে অস্তিত্বই নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি, রিয়েল এস্টেট, শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করে দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাত এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি। সমাজমাধ্যমে, ইমেলে, বা ফোনকলে কিংবা কোনো কোচিং গ্রুপ খুলে সেখানেও এই ধরনের এক্সক্লুসিভ বিনিয়োগের স্কিম সম্পর্কে তথ্য দিত এই অ্যাকাউন্টগুলো।টেক জায়ান্ট মেটা আবার ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সেলার প্ল্যাটফর্ম থেকেও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। বেশিরভাগ সময় এই ধরনের জালিয়াতরা কোনো পণ্য কেনার সময় ইচ্ছে করে বেশি টাকা দিয়ে দিত, তারপর রিফান্ড চাইত সেলারের কাছ থেকে। আর তখনই সাইবার জালিয়াতির শিকার হতেন সেই সেলার।মেটা ব্যবহারকারীদের বিভিন্নভাবে সতর্ক করে থাকে। তারা জানিয়েছে, কোনো পণ্য কেনার সময় যখনই আগাম টাকা দেওয়ার কথা বলা হবে, তখনই সতর্ক হতে হবে। আর এই ধরনের অ্যাকাউন্টকেই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।এইচএ
আইন-আদালত
সব দেখুন
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এক আসামির আপিল
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি মো. মোর্শেদ খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।সোমবার (১৯ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু।এর আগে গত ১৬ মার্চ বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় অপরিবর্তিত রেখে সব আসামির (২০ জন) মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশও বহাল রাখা হয়।বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন ও নূর মোহাম্মদ আজমী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন।আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আদালতকক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সেস, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন– বুয়েট ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।এমআর-২
প্রবাস
সব দেখুন
মালয়েশিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ১৩৪ জন আটক
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (IDM) কুয়ালালামপুর শহরের একটি শপিং মলে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ১৪৩ জন অবৈধ অভিবাসী আটক করেছে। শনিবার (১৭ মে) দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইমিগ্রেশনের উপমহাপরিচালক (অপারেশনস), তুয়ান জাফরি বিন এমবোক তাহা, পুত্রাজায়ার IDM সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন পদের ১০৬ জন কর্মকর্তা। মোট ৯৬৪ জন ব্যক্তিকে চেক করে বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের জড়িত থাকায় মোট ১৪৩ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, সিরিয়া, নেপাল, আফগানিস্তান এবং চীনের নাগরিকরা রয়েছেন যাদের বয়স ২২ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় আটককৃতদের দেশটিতে থাকার অনুমতি (ভিসা) নেই, অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে অবস্থান করাসহ ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছে। তদন্ত এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক সমস্ত অভিবাসী-লকে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী বিদেশীদের সনাক্ত, গ্রেপ্তার, বিচার এবং বহিষ্কারের জন্য ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে যাবে। নিয়োগকর্তাদের অবৈধ অভিবাসীদের-কে নিয়োগ, সুরক্ষা বা তথ্য গোপন না করার জন্য হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয় ইমিগ্রেশন আইন 1959/63 এবং ব্যক্তি পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইন 2007 (ATIPSOM) এর অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এআই
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
আজ ২০ মে, রাশিফলে কী আছে জেনে নিন
প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)মেষ হল কাল পুরুষের প্রথম রাশিচক্র। মেষ রাশি একটি অস্থির রাশিচক্র সাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি আগুনের উপাদানের লক্ষণ। এই রাশির প্রতীক হল ভেড়া। অশ্বিনী ও ভরনি নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং কৃত্তিকা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব এই রাশিচক্রের অধীনে আসে। মেষ রাশির চরিত্র ক্ষত্রিয়। মঙ্গলকে মেষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। শারীরিক গঠনে এরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ। সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে। চাকরির শুভ যোগাযোগ কাজে লাগান। পিতার সঙ্গে তর্ক হওয়ায় মনখারাপ। ভ্রমণে বাধা নিয়ে দুশ্চিন্তা। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। পরিবারে খরচ বৃদ্ধি। ব্যবসায় চুরি থেকে সাবধান। প্রেমের নতুন যোগাযোগ আসতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হতে পারে। বাইরের অশান্তি ঘরে আসতে পারে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বৃষ রাশিকে একটি স্থির রাশিচক্রের চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি পৃথিবীর উপাদান চিহ্ন। এই রাশির প্রতীক ষাঁড় অর্থাৎ বৃষ। এই রাশিচক্রের অধীনে কৃত্তিকা নক্ষত্রের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্ব, রোহিণী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং মৃগাশিরা নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আসে। বৃষ রাশির চরিত্র বৈশ্য। শুক্রকে বৃষ রাশির শাসক গ্রহ বলে মনে করা হয়। ভাস্য চতুর্মুখী। শারীরিক গঠনে এঁরা সাধারণত মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন। মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে।ব্যবসায় শুভ যোগাযোগ। দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে চাপ বৃদ্ধি। অপরের উপকারের জন্য খরচ বৃদ্ধি। অংশীদারি ব্যবসায় উন্নতি। চাকরির স্থানে জটিলতা বৃদ্ধি। ভ্রমণের জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। কোনও ভুল কাজের জন্য অনুশোচনা হতে পারে। মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)মিথুনকে দ্বৈত প্রকৃতির রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক যমজ মুখ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বুধ। মিথুন রাশির দিক পশ্চিম। মৃগাশিরা, অর্দ্র ও পুনর্বাসু নক্ষত্রে রয়েছে এই রাশি। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। মিথুন একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন, এটি দিনের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে। বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক। বাড়িতে বন্ধুদের আগমন হবে। শরীর নিয়ে কষ্ট। বুদ্ধির জোরে শত্রুজয়। ভাই-বোনে সম্পত্তির ব্যাপারে বিবাদ। সম্মান নিয়ে টানাটানি হতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে, তবে দুপুরের পরে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে থাকার জন্য আনন্দ লাভ। কোনও কিছু চুরি যেতে পারে। ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সঞ্চয় কম হবে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কর্কট একটি পরিবর্তনশীল রাশিচক্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির প্রতীক কাঁকড়া। এই রাশির শাসক গ্রহ হল চাঁদ। কর্কট রাশির দিক উত্তর দিকে। এই রাশির পুনর্বাসু নক্ষত্রের প্রথম পর্ব হল পুষ্য ও অশ্লেষা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। কর্কট একটি মহিলা রাশিচক্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শত্রু থেকে সাবধান। কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাহায্যে উন্নতি লাভ। সম্পত্তির ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। অম্বল-জাতীয় সমস্যা বাড়তে পারে। পিতার জন্য ভাল কিছু ব্যবস্থা। নিজের অভিজ্ঞতা বেশি প্রকাশ না করাই মঙ্গলজনক। পড়াশোনার দিক থেকে দিনটি উপযুক্ত। স্ত্রীর খারাপ ব্যবহারে মনঃকষ্ট। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)সিংহ রাশিকে একটি স্থিতিশীল রাশি বলে মনে করা হয়। এই রাশির প্রতীক সিংহ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল সূর্য। সিংহ রাশির দিকটি পূর্ব। মাঘ ও পুর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের সকল পর্বের পাশাপাশি এটি উত্তরা ফাল্গুনীর প্রথম পর্ব। এটি একটি অগ্নি উপাদান চিহ্ন। সিংহ রাশি একটি পুরুষ রাশিচক্রের চিহ্ন। তাদের অনুকূল রং লাল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।অনেক দিনের আশা পূরণে বাধা। ডায়াবিটিস নিয়ে কষ্ট বৃদ্ধি। কর্মস্থানে উৎকণ্ঠা বাড়তে পারে। বাড়ির কাছে ভ্রমণ হতে পারে। কাজের ভাল সুযোগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কুচিন্তার কারণে মনঃকষ্ট। লটারি থেকে কিছু আয় হতে পারে। প্রবাসীদের জন্য ভাল সুযোগ আসতে পারে। পাওনা আদায়ে অশান্তি বৃদ্ধি।কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কন্যা রাশিকে প্রকৃতি বলে মনে করা হয়। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল একটি মেয়ে তার হাতে একটি ফুলের ডাল ধরে। এই রাশির অধিপতি বুধ। কন্যা রাশির দিক দক্ষিণ। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন। এর শুভ রং সবুজ। ভাগ্যবান সংখ্যা ৫। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন। শরীরে ব্যথা বৃদ্ধি পাবে। কর্মস্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অকারণে তর্কে জড়াতে পারেন। স্ত্রীর জন্য বিবাদ বাধতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা। সামাজিক সুনাম লাভের যোগ। ব্যবসার ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ। বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা। চাকরির স্থানে চাপ বাড়তে পারে। মনের মতো মানুষের দেখা পাবেন। গৃহে বা কর্মস্থানে মাথা ঠান্ডা রেখে চলতে হবে, পরিস্থিতি বিরুদ্ধে যাওয়ার আশঙ্কা। অতিরিক্ত কথার জন্য ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে। মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)তুলা রাশিকে রাশিচক্রের সপ্তম রাশি বলে মনে করা হয়। তুলা একটি রাশিচক্রের চিহ্ন যা বায়ু উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর শাসক গ্রহ শুক্র। তুলা রাশির দিক পশ্চিম। চিত্রা নক্ষত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়, স্বাতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং বিশাখা নক্ষত্রের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় রয়েছে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। প্রেমের প্রতি ঘৃণা বোধ হতে পারে।শরীরের কোনও ক্ষত থেকে জ্বালা-যন্ত্রণা বাড়তে পারে। পাওনা আদায়ে অশান্তি হতে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জন্য মর্মপীড়া। পড়াশোনায় শুভ পরিবর্তন। ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে। পড়াশোনা নিয়ে উদ্বেগ খুব বেশি থাকবে এবং তাতে সফল হবেন। বাড়তি ব্যবসার দিক থেকে দিনটি উপযুক্ত।বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)বৃশ্চিক রাশিচক্রের অষ্টম রাশি। এটি একটি মহিলা রাশিচক্র সাইন। এর প্রতীক বিছে। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির দিকটি উত্তর। এই রাশিচক্রে বিশাখা নক্ষত্রের চতুর্থ পর্ব, অনুরাধা এবং জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই রাশির শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন। শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।সন্তানের জন্য অর্থদণ্ড দিতে হতে পারে। কাজের জন্য সুনাম বাড়তে পারে। বিদেশে বাসরত বন্ধুর জন্য মনখারাপ। ব্যবসায় খরচ বৃদ্ধি। একাধিক পথে উপায় করতে গিয়ে বিপদের আশঙ্কা। কাজের ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়বে। খেলাধুলার জন্য উপহার পেতে পারেন। ক্রোধ বাড়তে দেবেন না। পেটের পুরনো রোগ নতুন করে দেখা দিতে পারে। কর্মচারীর জন্য ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসতে পারে। অতিরিক্ত হঠকারিতার জন্য শরীরে আঘাত লাগতে পারে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি হতে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কাল পুরুষের রাশিফলের নবম রাশি হল ধনু। এই রাশিচক্রের প্রতীক হল তীরন্দাজ, যার পিছনে একটি ঘোড়ার শরীর। এই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। ধনু রাশির দিকটি পূর্ব। এই রাশির রাশিগুলি হল মুল এবং পূর্বাষাধা নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং উত্তরাষাধা নক্ষত্রের প্রথম পর্ব। এটি অগ্নি উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে। বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।ব্যবসায় ভাল সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারবেন না। আর্থিক সাহায্য মেলার সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে দেরি হতে পারে। চর্মরোগ বাড়তে পারে। নিজের বুদ্ধিতে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার। প্রেমের জন্য আনন্দ লাভ। সন্দেহজনক চরিত্রের মহিলা থেকে সাবধান থাকুন। চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। কর্মস্থানে আপনাকে কারও কথা মতো চলতে হতে পারে। আত্মীয়দের কাছ থেকে আপনি ভাল সাহায্য পাবেন। অর্থ অপচয়ের জন্য সংসারে বিবাদ। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মকর হল কাল পুরুষের রাশিফলের দশম রাশি। এই রাশির চিহ্ন হল ছাগল, এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। মকর রাশির দিক দক্ষিণ। এই রাশির বর্ণগুলি হল ভো, জা, জি, খি, খু, খে, খো, গা, গি। এই রাশির রাশিগুলি হল উত্তরাষাধা নক্ষত্রের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শ্রাবণ নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায় এবং ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব। এটি পৃথিবীর উপাদানের রাশিচক্রের চিহ্ন।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে। সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।শিক্ষকদের জন্য শুভ পরিবর্তন। প্রেমের ব্যাপারে সারা দিন দুশ্চিন্তা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। নতুন কোনও বন্ধুর জন্য আনন্দ লাভ। স্ত্রীর কোনও কাজে শান্তি পাবেন। আর্থিক চাপ থাকবে। কর্মস্থানে বাধা নিয়ে চিন্তা। চাকরির স্থানে কাজের চাপ বাড়তে পারে। মায়ের শরীর নিয়ে চিন্তা। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কুম্ভ হল কাল পুরুষের রাশিচক্রের একাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক একটি কলস। এই রাশির শাসক গ্রহ হল শনি। কুম্ভ রাশির দিক পশ্চিম। এই রাশির বর্ণগুলি হল গু, গে, গো, সা, সি, সু, সে, সো, দা। এই রাশিচক্রের নক্ষত্রগুলি হল ধনিষ্ঠ নক্ষত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়, শতভিষা নক্ষত্রের চারটি পর্যায়, পূর্বাভাদ্রপদ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব। এটি বায়ু উপাদানের রাশিচক্র।চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে।রক্তহীনতা বাড়তে পারে। কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ। ব্যবসায় ভাল কিছু আশা করবেন না। চাকরির স্থানে উন্নতির যোগাযোগ। ব্যয় বাড়তে পারে। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবে। আইনি কাজের ভাল সুযোগ আসতে পারে। কোনও বন্ধুর কারণে ক্রোধ বাড়তে পারে। আশা পূরণের জন্য আনন্দ। পিতার চিকিৎসায় খরচ বাড়তে পারে। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মীন হল কালপুরুষের রাশিফলের দ্বাদশ রাশি। এই রাশির প্রতীক হল একজোড়া মাছ। এই রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। মীন রাশির দিক উত্তর। এই রাশির বর্ণগুলি হল দি, দু, থা, ঝা, এন, দে, দো, চা, চি। এই রাশিচক্রের নক্ষত্র হল পূর্বাভাদ্রপদের চতুর্থ পর্ব এবং উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের সমস্ত পর্যায়। এটি জলের উপাদানের রাশিচক্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের দিনে কী হতে যাচ্ছে আপনার সাথে। বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে। বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট। ব্যবসায় একটু শান্তি পেতে পারেন। বিবাহ সংক্রান্ত যোগাযোগ আসার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। একটু সাবধানে থাকুন, কোনও বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে থাকায় আনন্দ লাভ। দাম্পত্য জীবনে সুখবর আসতে পারে। পিতার জন্য চিন্তা বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে কারও সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে। এমআর