এইমাত্র
  • নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন মেয়র তাপস
  • পুলিশ অবতারে নীরব, রহস্যময়ী বুবলি
  • রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এলো ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা
  • বরগুনায় ১০ লাখ পিস গলদা চিংড়ি রেণুসহ আটক ৪
  • চুনারুঘাটে গাভীর দুধের নামে বিক্রি হচ্ছে পাউডার মিশ্রিত দুধ
  • ১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত
  • নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • রাজধানীতে শনিবার যেসব মার্কেট-দর্শনীয় স্থান বন্ধ
  • ঢাকায় পৌঁছেছে আফগান ক্রিকেট টিম
  • বোম্বে স্টাইলে নিশোর সঙ্গী নুসরাত ফারিয়া
  • আজ শনিবার, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ | ১০ জুন, ২০২৩
    বঙ্গবন্ধু সেতু‌ পূর্ব এলাকায় ১৪ কিলোমিটার যানজটে ভোগান্তি
    ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু‌ মহাসড়কের পূর্বপাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) ভোর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও সড়ক দুর্ঘটনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনগুলো।এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি জাহিদ হাসান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মহাসড়কের কামাক্ষা মোড় এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। সেই পিকআপ ভ্যানটি সরাতে প্রায় ১ ঘন্টার মতো সময় লেগে যায়। এছাড়াও মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা সড়কে দায়িত্বপালন করছি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।এদিকে যানজটের ফলে ঢাকামুখী যানগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর হয়ে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক দিয়ে সড়কে চলাচল করেছে।উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের প্রায় ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮/২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। ঈদসহ যেকোন উৎসবের ছুটিতে এর সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে যায়। এআই 
    বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আশার প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি: কাদের
    গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা পাল্টা আলোচনা চলছে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে সংলাপ নিয়ে। তবে আজ এ বিষয়ে নতুন মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আশার প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি।শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ হবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে, এখনই সংলাপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।এফএস

    জাতীয়

    সব দেখুন
    নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন মেয়র তাপস
    মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের আইনজীবীরা।শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর কাওরানবাজারে বিএসইসি ভবনে অবস্থিত লেক্স কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মলনে তার আইনজীবীরা এ ঘোষণা দেন।ডেইলি স্টার তাদের প্রিন্ট সংস্করণ ও অনলাইন সংস্করণে 'কাটিং ট্রিজ টু মেক ওয়ে ফর এয়ার' শিরোনামে একটি 'কলাম' প্রকাশ করে। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ডেইলি স্টারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।তাপসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, নোটিশে আমরা বলেছিলাম, মেয়র তাপসকে নিয়ে মানহানিকর লেখা অনলাইন থেকে রিমুভ করতে হবে। একইসঙ্গে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নোটিশে থাকা অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা ক্ষমা চেয়ে রিপোর্ট প্রকাশ এবং ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান না করলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে মামলা করা হবে।তিনি বলেন, "গত ৮ জুন এই আইনি নোটিসের জবাব তাদের পত্রিকায় দিয়েছে। আমাদের আইনি নোটিসের জবাবে ডেইলি স্টার একটি জবাব দিয়েছে। সেখানে তারা তাদের লেখাটা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন। তারা বলেছেন, ‘উন্নত বিশ্বে এ ধরনের স্যাটায়ার ম্যাগাজিনে অনেক লেখা ছাপা হয়, তারপরও এই লেখা কাউকে আঘাত করে থাকলে আমরা দুঃখিত’।”ডেইলি স্টার তাদের অনলাইন ভার্সন থেকে ওই লেখাটি সরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারা যে প্রতিকার চেয়েছিলেন, তার একটি কেবল ডেইলি স্টার বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন করা এবং ক্ষতিপূরণের ১০০ কোটি টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। তাই মামলা করতে যাচ্ছেন তারা।“ডেইলি স্টারে যে লেখা ছাপা হয়েছে, সেটা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে হেয় করে সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে তারা। ওই লিগ্যাল নোটিস তারা পেয়েছেন ৬ জুন। এরমধ্যে তারা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হোক বা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে হোক, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ নিব না। যদি তা না হয় আমরা দেওয়ানি এবং ফৌজদারি উভয় কোর্টে মামলা করব। আমাকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
    বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আশার প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি: কাদের
    গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা পাল্টা আলোচনা চলছে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে সংলাপ নিয়ে। তবে আজ এ বিষয়ে নতুন মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আশার প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি।শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ হবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে, এখনই সংলাপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।এফএস
    ঢাকা-১৭ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন আরাফাত
    ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য।শুক্রবার (৯ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন বোর্ড সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।সভায় নৌকার মাঝি হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে চূড়ান্ত করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এক বিফ্রিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা জানিয়েছেন।এর আগে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে গত ৩ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এসময় ২২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ জুলাই। এই ভোট হবে ব্যালটে। গত ১৫ মে এই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
    স্থানীয় খেলাধুলার ওপর আরও গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মকান্ডে তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা বাড়াতে স্থানীয় খেলাধুলার ব্যাপক প্রসারের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, খেলাধুলা এবং শারীরিক ব্যায়াম আত্মবিশ্বাস ও দেশের জন্য দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, “স্থানীয় খেলাধুলার ওপর আরও গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন যাতে এসব খেলাধুলার চর্চা বৃদ্ধি পায়।  আমি চাই আমাদের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকুক।” রাজধানীর বনানী এলাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, "খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম এবং সাংস্কৃতিক চর্চা আত্মবিশ্বাস, দেশের প্রতি ভালবাসা এবং দেশের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি জনগণকে হাসি-খুশি রাখে।"শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সারাদেশে (উপজেলা) মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে যাতে সারা বছর সেখানে বিভিন্ন খেলাধুলা করা যায়।তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেবে সরকার।তিনি বলেন, “এখন পূর্বাচলে ক্রিকেটের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার জন্য এর কাছাকাছি আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। "প্রধানমন্ত্রী এর আগে স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে ইউনিয়ন ব্যাংক।তিনি চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার আপ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও প্রাইজমানি বিতরণ করেন।চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা এবং রানার্স আপ দলকে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩০ লাখ টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০ লাখ টাকা পেয়েছে। বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) কর্তৃক আয়োজিত প্রথম “শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩” গত ১৩ মে মোট ৩৪টি ব্যাংক দলের অংশগ্রহণে শুরু হয়।সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পিএম
    বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
    ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন। তার জন্য ভারতের গোহাটি বাংলাদেশ মিশনে ট্রাভেল পাস ইস্যু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতিক শাখার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান, সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরার বিষয়ে কাজ করছে।রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার আবেদন মঞ্জুর করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।সালাহউদ্দিন কবে দেশে ফিরতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তিনি শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পান।
    বাংলাদেশে বাণিজ্য সহায়তা বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
    বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সহায়তা বৃদ্ধি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৭ জুন) এক ব্রিফিংয়ে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। খবর ইউএনবির।ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা বেদান্ত প্যাটেল জানান, গত বছর আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছি এবং চলতি ২০২৩ সালে আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও গভীর ও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।তিনি আরও জানান, জলবায়ুসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। তবে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা সহযোগিতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন বেদান্ত প্যাটেল।চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ মে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।ঘোষণায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে মার্কিন সরকার।এই ঘোষণার পর থেকে নতুন করে ফের আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক।এআর
    এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট, রুটিন প্রকাশ
    চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ তারিখ নির্ধারণ ছাড়াও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী ১৭ আগস্ট থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। আর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সময়সূচির জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই নিজ আসনে বসতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহু নির্বাচনি এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং সৃজনশীল/বহু নির্বাচনি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এবং বহুনির্বাচনি পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে চলবে।  
    বাংলাদেশে তেল-গ্যাস খাতে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
    যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান। হাইকমিশনার বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে   রাষ্ট্রপতি  বলেন,  "ব্রিটেন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি উন্নয়নে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমেই যুক্তরাজ্যে পদার্পণ করলে তাঁকে ব্যাপক সম্মান দেয়ায় রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বৃটেনের জনগণের প্রতি  গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সেই থেকেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের  একসাথে পথ চলা শুরু এবং কালের পরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ  দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন  বাসসকে জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে অভিনন্দন জানান।হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই অব্যাহত উন্নয়নে তার দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হাই কমিশনার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির  সহযোগিতা কামনা করেন ।এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া,  সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত)  মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    ১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত
    অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজধানীতে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। প্রথমত কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার, দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয়, পুরানা পল্টনে মহানগর কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলো অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।এর আগে ৫ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াত। ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। অনুমতি চাইতে গেলে দলের চার আইনজীবীনেতাকে আটক করা হয়। অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলেছিল, সাপ্তাহিক কর্মদিবসে সমাবেশ করলে যানজটসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। পরে জামায়াত কর্মসূচি স্থগিত করে ১০ জুন (শনিবার) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করে। পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুমতি দেয়।দ্বিতীয় দফায় ডিএমপি কার্যালয়ে যাওয়া প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, পুলিশের প্রস্তাব মে‌নে নি‌য়ে‌ই জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। পু‌লিশই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টি‌টিউশন মিলানায়ত‌নে সমাবেশ করার ব্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছে।এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন বলেন, ৫ জুন ছিল সোমবার। সেদিন কর্মদিবস অজুহাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কৌশলগত দিক বিবেচনায় আমরা ১০ জুন সমাবেশের ঘোষণা দিই। আমরাও দেখতে চেয়েছি পুলিশ অনুমতি দেয় কিনা।তিনি বলেন, আমরা বার বার অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু আমাদের আবেদন বার বারই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১০ বছর পর এবারই প্রথম অনুমতি পেলাম। আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সমাবেশ করতে চাই।
    ১০ বছর পর ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত
    অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজধানীতে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। প্রথমত কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার, দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয়, পুরানা পল্টনে মহানগর কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলো অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।এর আগে ৫ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াত। ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। অনুমতি চাইতে গেলে দলের চার আইনজীবীনেতাকে আটক করা হয়। অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলেছিল, সাপ্তাহিক কর্মদিবসে সমাবেশ করলে যানজটসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। পরে জামায়াত কর্মসূচি স্থগিত করে ১০ জুন (শনিবার) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করে। পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুমতি দেয়।দ্বিতীয় দফায় ডিএমপি কার্যালয়ে যাওয়া প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, পুলিশের প্রস্তাব মে‌নে নি‌য়ে‌ই জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। পু‌লিশই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টি‌টিউশন মিলানায়ত‌নে সমাবেশ করার ব্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছে।এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন বলেন, ৫ জুন ছিল সোমবার। সেদিন কর্মদিবস অজুহাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কৌশলগত দিক বিবেচনায় আমরা ১০ জুন সমাবেশের ঘোষণা দিই। আমরাও দেখতে চেয়েছি পুলিশ অনুমতি দেয় কিনা।তিনি বলেন, আমরা বার বার অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু আমাদের আবেদন বার বারই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১০ বছর পর এবারই প্রথম অনুমতি পেলাম। আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সমাবেশ করতে চাই।
    ‘যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়’ : তথ্যমন্ত্রী
    ‘যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ নয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ, যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায় প্রতিহত করতে চায়, তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফায়দা নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপের বিষয়ে আমির হোসেন আমু যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা তার ব্যক্তিগত অভিমত। আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের অভিমত এক নয়।’সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিদ্যুৎ সংকট নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে পণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছাপ পড়লেও পণ্যের সংকট সৃষ্টি হয়নি।’ বিদ্যুৎ সংকটের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি ১৫-২০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এসময় জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।এআর
    চলে গেলেন রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল
    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান আর নেই। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. রুবেল হাওলাদার জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।  গত ১ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৬ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।সিরাজুল আলম খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুর হক মনির সঙ্গে তার মতভেদ তৈরি হয় এবং তিনি ছাত্রলীগ থেকে সরে যান।পরবর্তীতে তার অগ্রণী ভূমিকায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জাসদ প্রতিষ্ঠায় তিনি নেতৃত্ব দিলেও তিনি দলটির নেতৃত্বে আসেননি।  তবে তার দিকনির্দেশনায়ই স্বাধীনতার পর জাসদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। জাসদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান।এআর
    স্মার্ট লুটপাটের বাজেট দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
    'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর নামে ক্ষমতাসীনেরা এবার স্মার্ট লুটপাটের বাজেট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, এ সরকার ভোট চুরি, ব্যাংক চুরি, অর্থ চুরিতে স্মার্ট। তাই স্মার্টলি লাখো কোটি টাকা দুর্নীতির, জনগণের সম্পদ লুটের এবং সিন্ডিকেট পরিচালনার বন্দোবস্ত করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপি আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। ১ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বাজেট উপস্থাপন করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, এই বাজেটে দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ফলে এই বাজেট ক্ষমতাসীনদের বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের অনুকূলে কোনো ভূমিকা রাখবে না। তিনি এই বাজেটকে 'বাস্তবতাবিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোকদেখানো' বাজেট বলে আখ্যা দেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার শিক্ষার কথা বলে, অথচ দাম বাড়ায় কলমের। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলে দাম বাড়ায় ল্যাপটপ-মোবাইল ফোনের। গরিবের কথা বলে অথচ পরোক্ষ কর আরোপ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর। এটি স্পষ্টতই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তা অর্জনযোগ্য নয়।বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রয়োজন ছিল দল-মত ও ব্যক্তির স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে সাহসী ও বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন। কিন্তু মোটাদাগে এই বাজেট আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) শর্ত বাস্তবায়ন এবং বিগত অর্থবছরের বাজেটের ১৪-১৫ শতাংশ বর্ধিত অবস্থা ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট ঘাটতি, রাজস্বপ্রাপ্তি, আয়বৈষম্য, করারোপে বৈষম্য, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের বোঝা, বাজেট বাস্তবায়নের অসম্ভাব্যতা, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে বরাদ্দের সঙ্গে বাস্তবতার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে বাজেটে বরাদ্দ কমানোর কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাজেট ও জিডিপির অনুপাতে এই খাতে বরাদ্দ কমেছে। বরাদ্দ বেশি দেখানোর কৌশল হিসেবে এই খাতে এমন কিছু কর্মসূচি দেখানো হয়েছে, যা বাস্তবে সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কর্মসূচি নয়। এ ছাড়া কৃষি খাতে ভর্তুকি, সঞ্চয়পত্রের সুদ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রণোদনার টাকাকেও সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দ হিসেবে দেখানো হয়েছে বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা মাত্র ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকায় প্রতিবন্ধীরা বিক্ষোভ করেছেন, পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে সরকারের জবাবদিহি থাকে না। দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতামূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার একমাত্র পথ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।বিএনপির মহাসচিব বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের সংকটের মূল কারণটাই হচ্ছে দুর্নীতি-লুটপাট। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে আদানি পর্যন্ত পুরোটাই হচ্ছে লুটপাট। এই খাতকে তারা (সরকার) বেছে নিয়েছে যে সর্বোচ্চ দুর্নীতি করা হবে বিদ্যুৎ খাত থেকে।এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ত্রাহি অবস্থা। অথচ উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের ফেরি করে বিক্রি করতে হবে বলে সংসদে অহমিকা করেছিল সরকার। বিদ্যুতের এই সংকটের মূল কারণটাই হচ্ছে দুর্নীতি–লুটপাট। এই খাতকে পুরোপুরি প্রাইভেট সেক্টরে প্রায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা সবাই সরকারের সঙ্গে জড়িত।স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'সাধারণ মানুষ তো তাদের বিদ্যুতের বিল দিয়েই যাচ্ছে এবং উচ্চ মূল্যে দিচ্ছে। তাহলে কেন কয়লার জন্য এলসি খুলতে পারছে না, কেন গ্যাসের এলসি খুলতে পারছে না, কেন তেলের জন্য এলসি খুলতে পারছে না। টাকাও নাই, ডলারও নাই। এই টাকা কোথায় গেছে, আমরা সবাই জানি।' সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
    বিএনপি ভোট চোর নয়, ভোট ডাকাত: শেখ হাসিনা
    বিএনপি ভোট চোর নয়, ভোট ডাকাত বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগই জনগণের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেবে।বুধবার (০৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনও পরাজিত হয় না। কেউ ভোটাধিকার কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, খালেদা জিয়া তার প্রমাণ।২০১৩-১৪’র মতো বিএনপি যেন আর জ্বালাও-পোড়াও না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে অগ্নি সন্ত্রাস করলে বিএনপি মার্কিন ভিসা পাবে না।তিনি আরও বলেন, বিদেশি যতই চাপ আসুক, দেশের মানুষ নতি স্বীকার করবে না।সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের এক দফা দাবি পরিণত হয়।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
    বিএনপির সাথে আলোচনার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: কাদের
    বিএনপির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনও নেই নাই। আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।’আজ বুধবার (০৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব।বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কি হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।’
    বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
    সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা কোথায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে তার সুরাহা করা যেতে পারে- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি।বুধবার (০৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ড. হাছান বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।  

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    শাহজালালে ১১ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

    রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ হাজার ৮০০ গ্রাম কোকেনসহ এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।


    গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। জব্দ করা কোকেনের বাজারমূল্য ১১ কোটি টাকা।


    শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটার পর মরক্কো থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইট আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ফ্লাইটের যাত্রী ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে দেড় কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।


    শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এই পরিদর্শক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কোকেনসহ গ্রেপ্তার ওই ভারতীয় নাগরিক আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য।

    শাহরিয়ার কবিরের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর (৪১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


    গত বুধবার(০৭ জুন) রাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকার বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতেই তার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়।


    বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।


    তিনি বলেন, মহাখালীর আমতলী এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।


    শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তিনি কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।


    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্ত্রী হারান শাহরিয়ার কবির। মায়ের মৃত্যুতে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন অর্পিতা শাহরিয়ার কবির। এরপর থেকে তিনি দেশেই বসবাস করছিলেন।

    মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় হায়েনার কামড়ে শিশুর হাত বিচ্ছিন্ন

    বাবা মা আত্মীয় স্বজনদের সাথে বেড়াতে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় চিত্রা হায়েনার হামলায় হাতের কব্জি হারালো সাহিদ (২) নামের এক নিষ্পাপ শিশু দর্শনার্থী। ঘটনাটি গোটা মিরপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    আহত শিশু সাহিদের নানী কবিতা বেগম জানান, সাহিদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর শাহাপুর গ্রামের শিউলি-সুমন মিয়া দম্পতির একমাত্র সন্তান। শিশু সাহিদের বাবা সুমন মিয়া একটি গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে সাভারের জিরানী বাজারের বটতলা মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। মা শিউলি বেগম একজন গৃহিণী। শিশু সাহিদের নানা-নানি গাজিপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার একটি গ্রামে।

    কবিতা বেগম আরো জানান, ঘটনার দিন ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) দাদা বাড়ির আত্মীয়রা গাজিপুর চৌরাস্তার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকেই শিশু সাহিদের দাদা বাড়ি ও নানা বাড়ির উভয় পরিবারের মা-নানীসহ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে শিশু সাহিদ। চিড়িয়াখানায় সংরক্ষিত বিভিন্ন পশুপাখি দেখতে দেখতে বেলা আনুমানিক বারোটার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার চিত্রা হায়েনার একটি খাঁচার সামনে পৌছে তার আত্মীয় স্বজন।

    এসময় শিশু সাহিদ তার মায়ের কোল থেকে নেমে দৌড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে চিত্রা হায়েনার খাঁচার একেবারে কাছে পৌছে যায়। কিন্ত অসাবধানতা বশতঃ হঠাৎ শিশুটি হায়েনার খাঁচাটির ভেতরে তার কচি হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। এসময় আত্মীয়স্বজন কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই আকস্মিক খাঁচার ভেতরে সামান্য দূরে থাকা একটি হায়না এক লাফে শিশু সিয়ামের হাতের উপরে হামলে পড়ে।

    এসময় হায়নাটির অব্যর্থ আক্রমনে শিশু সাহিদের আঙ্গুল কামড়ে ধরে ভেতরের দিকে টানাটানি শুরু করে। উপস্থিত সকলে দৌড়ে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার হাতটি হায়েনাটির মুখ থেকে কনুইয়ের নিচের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে মূহুর্তেই উদরস্থ করে ফেলে।

    এদিকে শিশু সাহিদ ও তার আত্মীয় স্বজনদের ডাক চিৎকারে আশপাশের অন্যান্য অসংখ্য দর্শনার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) নিয়ে যান।

    ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মুজিবুর রহমান বলেন,জাতীয় চিড়িয়াখানায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্যে খুব হতাশাজনক একটি বিষয়। এ ঘটনায় আহত শিশুর চিকিৎসা ও পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মফিজুর রহমান পলাশ বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে যেহেতু মাত্র দুবছরের একটি নিষ্পাপ শিশু আহত হয়েছে। সকল কিছুর আগে প্রয়োজন তার উন্নত চিকিৎসা। খুব শিগগিরই এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তেজগাঁওয়ে প্রাইভেটকারে নারী-পুরুষের নগ্ন মরদেহ

    রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গাড়ি থেকে দুই নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) সকালে তেজগাঁও থানার এলেনবাড়ি এলাকায় বিবস্ত্র অবস্থায় প্রাইভেটকার থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটি এলেনবাড়ি এসএসএফ স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে ছিল। 


    নিহত পুরুষের নাম- দেলোয়ার হোসেন (৫৩)। তার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়ায়। আর নারীর নাম- মৌসুমী আক্তার রানী (৪২)। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় তার বাড়ি।


    তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহ আলম বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া খবরে আমরা তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ি এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাইভেটকারটি মৃত দেলোয়ারের। এসএসএফ কোয়ার্টারে থাকতেন দেলোয়ার। দুজনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি।


    স্পষ্ট মৃত্যুর কোনো আলামত নেই কিন্তু একই জায়গায় কাছাকাছি সময় দুজনের মৃত্যু রহস্য কি হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা দেখে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, প্রাইভেটকারে তারা হয় অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন অথবা উত্তেজক কিছু সেবন করেছিলেন। নারীর ব্যাগে কনডম পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।


    যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে দুজনই উত্তেজক কিছু সেবন করে থাকতে পারেন। তাছাড়া প্রাইভেটকারে তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে। 


    তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশের পক্ষে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

    রাজধানীতে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ৪০

    রাজধানীজুড়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।



    শনিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে রোববার (১০ মার্চ) একই সময় পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালিত হয়।


    অভিযানে গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫৬ পিস ইয়াবা, ১৪ কেজি ৮৭০ গ্রাম গাঁজা, ৫৩ গ্রাম হেরোইন ছাড়াও ৯ বোতল ফেনসিডিল ও এক বোতল দেশীয় তৈরি মদ জব্দ করা হয়েছে।



    এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক ২৯টি মামলা করা হয়েছে।

    যশোরে ভোগান্তি ও খরচ দুটোই বেড়েছে ব্যবসায়ীদের

    সারা দেশের ন্যায় যশোরেও চলছে ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। রাত-দিন সমানতালে করা হচ্ছে লোডশেডিং। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণে শহরে ৪-৫ ঘণ্টা এবং গ্রামে থাকছেনা ১০-১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ। আর একারণে বেড়েছে জ্বালানি তেলের ব্যবহার। বিসিকসহ শহরের স্বচ্ছল ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবস্থায় জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। আবার বাসা বাড়িতেও করা হচ্ছে জেনারেটর। এতে বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার। অনেকে কিনছেন আইপিএস।

    এদিকে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে যশোর ওজোপাডিকোর। ঘাটতি ছিল ১৯ মেগাওয়াট, লোড ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো কোনো এলাকায় একাধিকবার, কিছু এলাকায় এক ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গরমে ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছে না।

    করোনা পরবর্তী চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি, জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি বেড়েছে। বর্তমানে ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারার কারণে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে বেড়েছে লোডশেডিং।

    বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, লোডশেডিং বাড়ার কারণে স্বচ্ছল ব্যবসায়ীরা দোকান বা অফিসে জেনারেটর ব্যবহার করে থাকেন। ছোট জেনারেটরে পেট্রোল ও বড় জেনারেটরে ডিজেল ব্যবহার হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি বিক্রি বেড়েছে।

    যশোর পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সহসভাপতি ও যাত্রীক পেট্রোল পাম্পের মালিক আতিকুর রহমান টিকু জানান, আমাদের পাম্পে প্রতিদিন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার লিটার। আর পেট্রোল-অকটেনের আড়াই হাজার লিটার। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ডিজেল ও পেট্রোলের বিক্রি বেড়েছে। যা খোঁজ পাচ্ছি সেটি হলো সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাড়িতে এসব জ্বালানি ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।

    যশোর পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নির্বাহী সদস্য হাসানুল কবির হাসান বলেন, গত ৭-৮ দিন ধরে সব পাম্পে জ্বালানি বিক্রি বেড়েছে। এভাবে লোডশেডিং হলে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।

    শহরের এইচ এমএম রোডের লেদার ফেয়ারের মালিক আমিনুল মজিদ তুষার জানান, লোডশেডিং হলে এঅঞ্চলের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জেনারেটর ব্যবহার করছেন। অনেকের নিজস্ব আবার অনেকে ভাড়ায় জেনারেটর লাইন ব্যবহার করছেন। এতে আমাদের ব্যয় বাড়ছে। কেননা এক ঘণ্টায় দুই লিটার জ্বালানি পুড়ছে।

    এইচ এম ক্লথ স্টোরের মালিক রাফিউল আলম বাবু বলেন, এখানে বিভিন্ন খাতের হাজারো ব্যবসায়ী রয়েছেন। এরমধ্যে ছিট কাপড়ের ৪০টি দোকান আছে। যাদের সবাই লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ব্যবহার করছেন।

    একই অবস্থা যশোরের বিসিকে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এমইউ সিইএ ফুডসের স্বত্ত্বাধিকারী শ্যামল দাস বলেন, দেশের রপ্তানি খাতকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা উচিত। কেননা লোডশেডিং হলে আমাদের জ্বালানি খরচ অনেক বৃদ্ধি পায়। যেখানে আগে জেনারেটরে একদিনে ২০ লিটার ডিজেল। লোডশেডিং শুরু হবার কারণে এখন দিনে লাগছে ৬০ লিটার।

    এব্যাপারে যশোর ওজোপাডিকো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রওশন আলী জানান, আমরা নিয়মানুযায়ী লোডশেডিং করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬০ মেগাওয়ার্ট। সেখানে সরবরাহ পাচ্ছি ৪০-৪২ মেগাওয়াট।

    পিএম

    ভোগান্তি ও খরচ দুটোই বেড়েছে ব্যবসায়ীদের

    সারা দেশের ন্যায় যশোরেও চলছে ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। রাত-দিন সমানতালে করা হচ্ছে লোডশেডিং। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণে শহরে ৪-৫ ঘণ্টা এবং গ্রামে থাকছেনা ১০-১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ। আর একারণে বেড়েছে জ্বালানি তেলের ব্যবহার। বিসিকসহ শহরের স্বচ্ছল ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবস্থায় জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। আবার বাসা বাড়িতেও ব্যবহার করা হচ্ছে জেনারেটর। এতে বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার। অনেকে কিনছেন আইপিএস।


    এদিকে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে যশোর ওজোপাডিকোর। ঘাটতি ছিল ১৯ মেগাওয়াট, লোড ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো কোনো এলাকায় একাধিকবার, কিছু এলাকায় এক ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গরমে ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছে না।


    করোনা পরবর্তী চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি, জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি বেড়েছে। বর্তমানে ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারার কারণে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে বেড়েছে লোডশেডিং।


    বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, লোডশেডিং বাড়ার কারণে স্বচ্ছল ব্যবসায়ীরা দোকান বা অফিসে জেনারেটর ব্যবহার করে থাকেন। ছোট জেনারেটরে পেট্রোল ও বড় জেনারেটরে ডিজেল ব্যবহার হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি বিক্রি বেড়েছে।


    যশোর পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও যাত্রীক পেট্রোল পাম্পের মালিক আতিকুর রহমান টিকু জানান, আমাদের পাম্পে প্রতিদিন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার লিটার। আর পেট্রোল-অকটেনের আড়াই হাজার লিটার। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ডিজেল ও পেট্রোলের বিক্রি বেড়েছে। যা খোঁজ পাচ্ছি সেটি হলো সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাড়িতে এসব জ্বালানি ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।


    যশোর পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নির্বাহী সদস্য হাসানুল কবির হাসান বলেন, গত ৭-৮ দিন ধরে সব পাম্পে জ্বালানি বিক্রি বেড়েছে। এভাবে লোডশেডিং হলে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।


    শহরের এইচ এমএম রোডের লেদার ফেয়ারের মালিক আমিনুল মজিদ তুষার জানান, লোডশেডিং হলে এঅঞ্চলের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জেনারেটর ব্যবহার করছেন। অনেকের নিজস্ব আবার অনেকে ভাড়ায় জেনারেটর লাইন ব্যবহার করছেন। এতে আমাদের ব্যয় বাড়ছে। কেননা এক ঘণ্টায় দুই লিটার জ্বালানি পুড়ছে।


    এইচ এম ক্লথ স্টোরের মালিক রাফিউল আলম বাবু বলেন, এখানে বিভিন্ন খাতের হাজারো ব্যবসায়ী রয়েছেন। এরমধ্যে ছিট কাপড়ের ৪০টি দোকান আছে। যাদের সবাই লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ব্যবহার করছেন।


    একই অবস্থা যশোরের বিসিকে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এমইউ সিইএ ফুডসের স্বত্ত্বাধিকারী শ্যামল দাস বলেন, দেশের রপ্তানি খাতকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা উচিত। কেননা লোডশেডিং হলে আমাদের জ্বালানি খরচ অনেক বৃদ্ধি পায়। যেখানে আগে জেনারেটরে একদিনে ২০ লিটার ডিজেল। লোডশেডিং শুরু হবার কারণে এখন দিনে লাগছে ৬০ লিটার।


    এব্যাপারে যশোর ওজোপাডিকো'র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রওশন আলী জানান, আমরা নিয়মানুযায়ী লোডশেডিং করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬০ মেগাওয়ার্ট। সেখানে সরবরাহ পাচ্ছি ৪০-৪২ মেগাওয়াট।

    চুয়াডাঙ্গায় মাঝরা‌তে ফল ব্যবসা‌য়ি‌কে কু‌পি‌য়ে হত্যা

    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপ‌জেলার দর্শনা থানার ধান্যঘরা গ্রা‌মে বাবর আলী (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 


    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিনগত রাত সা‌ড়ে ১২ টার দি‌কে এই ঘটনা ঘটে।


    নিহত বাবর আলী ওই গ্রা‌মের ছাত্তার আলির ছেলে।


    দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফের‌দৌস ওয়া‌হিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবর আলী প্রতিদিনের মতো এদিন রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবর আলী রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বাব‌রের চিৎকার ও গুংরা‌নি‌তে স্বজনরা দ্রুত ছু‌টে এ‌সে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


    হত্যা রহস্য উদঘাটনে পু‌লিশ কাজ শুরু করছে। দ্রুত সম‌য়ের ম‌ধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে জানান ও‌সি।


    ত‌বে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লে ময়নাতদন্তর জন্য রাখা হ‌য়ে‌ছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


    নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান, একজনের কাছে লিচুর বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা ছিল বাবর আলীর। সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলেই অপরাধী শনাক্ত হবে


    চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, মধ্যরাতে বাব আলীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে।


    হাসপাতেলর জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, বাবর আলীর গলায় কোপের আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। 

    প্রধান শিক্ষককে মারপিট করা কৃষকলীগ নেত্রী 'রাঙ্গা ভা‌বি' গ্রেপ্তার

    চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সাবেক কৃষক লীগের সভানেত্রী ও সা‌বেক প্যা‌নেল মেয়র সামসাদ রানু ওর‌ফে রাঙ্গা ভা‌বি‌কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার এরশাদপুর চাতাল মোড় থেকে তা‌কে আটক করে পুলিশ।

    জানাযায়, বুধবার (০৭ জ‌ুন) সকালে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পর্যন্ত ছাত্রদের অর্ধবার্ষিকী পরিক্ষা চলছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষার দিন ছিল। অর্ধবার্ষিকী পরিক্ষার জন্য সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। সে সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। এরমধ্যে রাঙ্গা ভাবির ছেলে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ক ছিল। তার গায়ে রোদ লাগার কারণে সে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কিলঘুষিসহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে শিক্ষককে মারপিট করে। ভুক্তভোগী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেল ৫টায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

    সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, বুধবার বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার প্রথম দিন ছিল। এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষার দিন ছিল। প্রথম পরিক্ষায় বিভিন্ন ঝামেলা থাকেই, এজন্য মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। সেই সময় পরীক্ষার্থীরা মাঠে অবস্থান করছিল। এর মধ্যে সামশাদ রানুর ছেলেও ছিল। তিনি রাগান্বিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে ধাক্কা ধাক্কি করেছে এবং কিছুটা মারধর ও করেছে।

    ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে আমি স্কুলে ঢুকছি এসময় বিদ্যালয়ের মধ্যেই সবার সামনে সামশাদ রানু ওর‌ফে রাঙ্গা ভা‌বি আমার উপর হামলা করে মারধর করেছেন। স্কুলের সকল ছাত্রই আমার সন্তানের মত। তার একার সন্তান না ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর সকল ছাত্রই সেখা‌নে ছিল। ওরা সবাই গাছের ছায়ায় ছিল। আমি স্কুলের প্রধান হয়ে কোন ছাত্র রোদে কষ্ট করুক এটা আমি চাইব না। আমিতো তার কোন ক্ষতি করিনি, সে কেন আমাকে মারধর করল?

    অভিযুক্ত সামসাদ রানু রাঙ্গা ভা‌বি বলেন, আমার ছেলে ঐ স্কুলে পড়ে। আমি ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাই, স্কুলের কক্ষ খোলা না থাকায় রোদের মধ্যে প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর অন্যান্য অভিভাবকদের অনুরোধে সাড়ে ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে কক্ষের তালা খোলার কথা বলি। তিনি তালা খুল‌তে অস্বীকৃতি জানান এবং ব‌লেন পরীক্ষা কখন শুরু হবে সেটা আপনাদের ব্যাপার। তারপরও আ‌মি তিনা‌কে ব‌লি শিক্ষার্থীরা কেন এই গরমের মধ্যে মাঠে থাকবে, শ্রেণিকক্ষ খুলে দিলেই তো তারা সেখানে থাকতে পারত। এই তীব্র গরমে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থও হয়ে যেতে পারে। আমি ৮০০ শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে বলেছি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আপনাকে কক্ষ খুলতে হবে। এরপরই আমি তার জামার কলার ধরে টেনে নিয়ে কক্ষের তালা খুলিয়েছি।

    আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি আলম নূর বলেন, সাবেক প্যানেল মেয়র সামসাদ রানু আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের উপর চড়াও হয়ে চড় থাপ্পড় ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। যা অত্যন্ত জঘন্য কাজ হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনা ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সামসাদ রানুকে সরকা‌রি কা‌জে বাধা প্রদান মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) দুপু‌রে তা‌কে আদাল‌তের মাধ্য‌মে জেল হাজতে পাঠানো হয়ে‌ছে।


    চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামে জাহানারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে  মৃত্যু হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা জাহানারা বেগম উপজেলার নাস্তিপুর পুর্বপাড়ার আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রী।

    পরিবার সুত্রে জানাযায়, আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নাস্তিপুর পুর্বপাড়ার আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রী জাহানারা বেগম অতিরিক্ত গরমের জন্য প্রতিদিন নিজ বাড়ির ছাদের উপর ঘুমায়। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রা‌তেও ঘুমিয়ে ছিল। বৃহস্প‌তিবার ভো‌রে নামাজ পড়ার জন্য ছাদ হতে নিচে নামার সময় অসাবধানতা বসত পড়ে যান তি‌নি। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দি‌কে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    এ বিষয়ে দর্শনা থানার এসআই তাইফুর বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটা অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

    বেপরোয়া রামু থানার ওসি, অবৈধ গরুর বৈধতা দিচ্ছেন ২ হাজার টাকায়!

    কক্সবাজারের রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হুসাইন। জায়গা-জমির বিচার, জিডি থেকে শুরু করে পারিবারিক সালিশ, সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ থাকে তার। গ্রেপ্তার বাণিজ্যসহ সবকিছু থেকেই তার ঘুষ নেয়া এখন ওপেন সিক্রেট। যে কোন মামলা নথিভুক্ত করতে গেলেই ভুক্তভোগীকে গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা।

    এসব বিষয়ে একের পর এক অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ওসির ঘুষ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবশেষ চোরাই পথে মায়ানমার থেকে আসা অবৈধ গরু যেন তার ঘুষের বাজার আরও জমজমাট করে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে।

    অভিযোগ আছে, রামু থানার ওসি এক ডিআইজির আত্মীয় দাবি করে নিজেকে জমিদার মনে করেন, সাধারণ মানুষসহ সেবাপ্রার্থীদের সাথে জমিদারের মতো আচরণ করেন।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টাকা না পেলে কোন মামলা নথিভুক্ত করেনা রামু থানা পুলিশ। যেকোন জায়গা-জমির বিষয়ে নিজেরাই বিচার বসায় থানার সামনের গোলঘরে। সমঝোতার নামে দু'পক্ষ থেকেই দালালের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

    শুধু তাই নয়, নানা কারণে নাগরিকদের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রয়োজন পড়ে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘চা-পানি’র ব্যবস্থা অর্থাৎ টাকা ছাড়া জিডি করা সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শুধু জিডি করতে থানায় যেতে চান না।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি হয়ে কক্সবাজার রামু উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রবেশ করে কয়েকশো অবৈধ গরু। এসব অবৈধ গরু বিক্রির বৈধতা দিয়ে ক্রয় রশিদে বিশেষ সীলের মাধ্যমে গরু প্রতি দুই হাজার টাকা করে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির বিরুদ্ধে। 

    কয়েকজন গরু ব্যাবসায়ীর অভিযোগ, রামুর বিভিন্ন বাজার থেকে অবৈধ গরুগুলো ক্রয় করতে ইজরাদার, ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে টাকা দিয়ে ক্রয় রশিদে সীল নিতে হয়। রশিদে দুই হাজার টাকা দিয়ে পুলিশের বিশেষ সীল নেওয়া না হলে বিভিন্ন সময় গরু আটক করে নিলামে তোলেন রামু থানার ওসি। 

    যদিও ক্রয় রশিদে বিশেষ সীলের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা ও রামু থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হুসাইন।

    জানা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি হয়ে কক্সবাজার রামুর কয়েকটি বাজারে প্রতিদিন শত শত গরু জড়ো করা হয়। এসব অবৈধ গরু গুলোকে বৈধতা দিয়ে রশিদ, বিশেষ সীল ও টোকেনের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধি, ইজারাদার ও রামু থানা পুলিশ। বাজার থেকে গরু ক্রয় করে ইজারাদারের রশিদে পুলিশকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বিশেষ সীল না নিলে আটক করা হয় ক্রয়কৃত গরু। এরপর দেওয়া হয় নিলাম। এভাবে টাকার জন্য রামু থানা পুলিশ গরু ব্যাবসায়ীদের জিম্মি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন একাধিক গরু ব্যাবসায়ী। 

    আব্দুর রহিম নামের এক গরু ব্যাবসায়ীর দাবী, তিনি  প্রতি গর্জনিয়া বাজার থেকে দুই থেকে তিনটি গরু ক্রয় করে বাইরে বিক্রি করেন। গর্জনিয়া বাজার থেকে ক্রয় রশিদের মাধ্যমে প্রতিবারেই পুলিশকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় রশিদে বিশেষ সীল মেরে গরুগুলো বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বা বাইরে বিক্রি করা হয়। তবে এইবারে তিনটি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় টাকা বাচাতে পুলিশের সীল মারা হয়নি। তাই পুলিশ টাকা না পেয়ে তার গরুগুলো আটক করে রামু থানায় নিয়ে যায়। এবং নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    গর্জনিয়া বাজারের দেলোয়ার হোসেন নামের এক গরু ব্যাবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গর্জনিয়া বাজার থেকে গরু কিনে বাইরে বিক্রি করেন। সর্বশেষ তিনটি গরু কিনে বাজারের ইজারাদারের কাছ থেকে ক্রয় রশিদ সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে ২ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় রশিদের উপর একটি বিশেষ সীল নিতে হয়। সেই সীল না নেওয়ায় তার তিনটি গরু আটকিয়ে রামু থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরবর্তীতে তাদের কষ্টের টাকায় ক্রয় করা গরু গুলোর ক্রয় রশিদ থাকলেও পুলিশ নিলামে তুলছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রামু গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইলে কথা বলতে রাজি হননি। এবং বক্তব্য নিতে হলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে দেখা করতে হবে বলে জানান প্রতিবেদককে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আনোয়ারুল হোসাইন জানান, অবৈধ গরু পাচারের সংবাদে  বিভিন্ন সময় অবৈধ গরু আটক করা হয়। সর্বশেষ ৭টি গরু আটক করে এবং সেগুলো যথাযথ নিয়মে নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির বিশেষ সীলের মাধ্যমে টাকা না পাওয়ায় গরু আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, চোরাকারবারিরা সবসময় পুলিশের বিরুদ্ধে বলবে এটাই স্বাভিক।

    পিএম

    ‘ভোট ডাকাতি’র বক্তব্য দেওয়া ইমরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির চিঠি

    কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি করে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করে আনার’ বক্তব্য দেওয়া উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদরে শহরের আটটি ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সারুল হক জুয়েলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতিপ্রার্থী ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

    মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব রহমানের সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় যুবলীগ নেতা ইমরুল এমন মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়।

    সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে শহরের তারাবনিয়ারছড়ায় এক সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস।

    এদিকে ২০১৯ সালের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল বাতিল এবং ওই নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে আটজনকে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান খান।

    তারা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, কায়সারুল হক জুয়েল ও ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

    লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির বক্তব্যের মাধ্যমে ইমরুল কায়েস নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংগঠিত অনিয়ম, নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন সম্পর্কে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান বিতর্ক এবং নির্বাচনী অনিয়মের বিষয়ে এটি একটি তথ্যভিত্তিক স্বীকারোক্তি।

    তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে ওই নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং তার বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট ওই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাই অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা নির্বাচনী বিধিমালার পরিষ্কার লঙ্ঘন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কায়সারুল হক জুয়েলকে বিজয়ী করার জন্য ইমরুল কায়েস নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং তা গণমাধ্যমেও এসেছে। ওই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

    প্রসঙ্গত, কায়সারুল হক জুয়েল বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একে এম মোজ্জাম্মেল হকের কনিষ্ঠ ছেলে। তার বড় ভাই সদস্য বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মাসেদুল হক রাশেদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে কক্সবাজার পৌরসভায় মেয়র পদ নির্বাচন করছেন।

    এদিকে যুবলীগ নেতা ইমরুলের এ বক্তব্যের ফলে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কারণ কায়সারুল হক জুয়েল ২০১৯ সালে প্রথম ইভিএম পদ্ধতির ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ইমরুল কায়েস চৌধুরী কর্তৃক সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রক্রিয়া দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র জুনিয়র অসংখ্য নেতা কর্মীরাও।

    উখিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ইমরুল কায়েস চৌধুরী ভোট ডাকাতি করে জয় নিশ্চিত করার বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল ও পৌর মেয়র পদের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ ইমরুল কায়েসের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে দাবি করেছেন।

    তবে, যুবলীগ নেতা ইমরুলের বক্তব্যের দায় নিবে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা সভাপতি এড. ফরিদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কারো উদ্ভট ও ব্যক্তিগত বক্তব্যের দায় আওয়ামী লীগ নিবে না। বর্তমান সরকারের আমলে সবসময় নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছেন বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।

    ভোট ডাকাতির বিষয়ে যুবলীগ নেতার বক্তব্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস. এম. শাহাদাত হোসেন।

    দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

    দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। 


    বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন স্থানে আলাদাভাবে ‘দ্রুত প্রত্যাবাসন’ ক্যাম্পেইন শেষে একত্রিত হন রোহিঙ্গারা। এসময় রোহিঙ্গারা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া, নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোকজন যেভাবে অবাধে চলাফেরা করে তেমন স্বাধীনতাসহ চার দাবি তুলে ধরে মোনাজাতে দোয়া চান।


    সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করে বলে দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন।


    সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ উপলক্ষে টেকনাফের লেদা, জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেয়। এছাড়া কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়ায়ও এ ধরনের সমাবেশ হয়েছে। সেখানে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন।


    সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী সৈয়দউল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের দেশ, অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।’


    প্রত্যাবাসনে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন মহল থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই, আমরা তাদের অনুরোধ করছি দয়া করে প্রত্যাবাসনে বাধা দেবেন না।’


    এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল বলে জানিয়ে টেকনাফের ১৬-এপিবিএনের পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ‘তিন ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। সেটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’


    দ্রুত স্বদেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দাবি করে টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, ‘আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না। দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, চলাচলের স্বাধীনতাসহ নিজ গ্রামে ভিটেমাটি ফেরত দিলে এই মুহূর্তে চলে যাব মিয়ানমারে।’


    জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া দাবি জানিয়ে রোহিঙ্গারা কয়েকটি দাবি তোলেন।’ 


    আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। সামনের দিনগুলোতে আমরাও আমাদের জন্মভূমি আরাকানে জীবনযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দেশে ফেরার ব্যাপারে যেন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়।’


    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা। গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসন শুরুর আলোচনা চলছে।


    প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমারে যেতে রাজি হওয়া ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্যসহায়তা গত সোমবার (০৫ জুন) ইউএনএইচসিআর বন্ধ করলেও পরদিন মঙ্গলবার থেকে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে জানিয়ে পুনরায় খাদ্য দেওয়া শুরু করে সংস্থাটি।


    ধারণা করা হচ্ছে, সব ঠিকমতো থাকলে চলতি মাসেই ১১৭৬ জন রোহিঙ্গা দিয়ে শুরু হতে পারে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া।

    এআই 

    সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত

    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সতর্কবার্তা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


    এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।


    এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

     

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

    মাঠ দখলে রাখা ঠিকাদারের ভাষ্য, এমপি সব জানে!

    কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থান পেকুয়া ক্রীড়া কমপ্লেক্স। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে এলাকার ক্রীড়ামোদী লোকজন ও এলাকাবাসী খেলাধূলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। প্রায় ৪ একর ভূমিতে নির্মিত এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স সারা বছর ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। ইনডোরে রয়েছে বাস্কেটবল ও ব্যাটমিন্টন কোর্ট। খেলোয়াড়দের শরীর চর্চার জন্য রয়েছে নানাবিধ সরঞ্জাম। যা পেকুয়ার খেলোয়াড়দের শরীর চর্চা ও অনুশীলনের উপযুক্ত স্থান।

    সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সবুজ ঘাসের মাঠের উপর মজুদ করা হয়েছে ইট বালুর বিশাল বিশাল স্তুপ। সমগ্র মাঠে ইট ভাঙ্গছে শতাধিক শ্রমিক। ফুটবল গ্রউন্ডের দুই গোলবারের উপড়ে ফেলা হয়েছে। ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে বড় বড় ক্রেনে ইটপাথর ও বালু স্থানান্তর করা হয়েছে। মাঠে রাখা হয়েছে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত ২০-৩০টি বড় ট্রাক। মাঠের সীমানা প্রাচীর ঘেষে নির্মাণ করা হচ্ছে শ্রমিক বসবাসের শেড। ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ইন্ডোরে বাস্কেটবল কোর্টের রিম গুটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে এক পাশে। সেখানে বসবাস করছে শ্রমিকরা। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে ব্যবহৃত হচ্ছে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বাসস্থান ও কার্যালয় হিসেবে। কৌতূহলী শ্রমিকরা ব্যবহার করছে জিমনেশিয়ামের নানা উপকরণ। সঠিক পন্থায় ব্যবহার না করা নষ্ট হচ্ছে এসব মূল্যবান যন্ত্রপাতি।

    স্থানীয় ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অভিযোগ, সারাবছর যেখানে খেলাধুলার একটা পরিবেশ থাকে বিগত ৩ বছর যাবৎ তা দখলে চলে গেছে মেসার্স মো. জামিল ইকবাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবন ও মাঠে সড়ক সংস্কারের মালামাল মজুদ করার ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পেকুয়া ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার সকল খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন ক্রিকেট, ফুটবলসহ ক্রীড়া একাডেমির কার্যক্রম। কিছু ক্রীড়া একাডেমি তাদের অনুশীলন কার্যক্রম পেকুয়া কলেজের মাঠে স্থানান্তরিত করলেও বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের অনুশীলন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরইতলী-মগনামা সড়কের সংস্কার কাজে সরবরাহের জন্য নানা কাঁচামালের স্তুপ করা হয়েছে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে। এতে পেকুয়ার সকল খেলোয়াড় তাঁদের অনুশীলন ও শরীর চর্চার একমাত্র ভেন্যুটি হারিয়েছে। যা খেলোয়াড়দের শরীর চর্চা ও স্কিল ঠিক রাখার অন্তরায়।

    জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা ফুটবল একাডেমির এক কর্মকর্তা বলেন, পেকুয়ার খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও শরীর চর্চার জন্য উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স খুবই উপযোগী একটা স্থান। এতে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে সরকারিভাবে সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। বর্তমানে তা বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে খেলোয়াড়দের অনুশীলন বন্ধ হয়ে গেছে। যা খেলোয়াড় উঠে আসার ক্ষেত্রে অন্তরায়। পাশাপাশি নিয়মিত খেলার মধ্যে যেসকল খেলোয়াড় রয়েছে তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটা বড় বাধা।

    পেকুয়া ক্রিকেট একাডেমির সদস্য মো. মুস্তাকিম বলেন, ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ ইট, বালুতে ঢাকা পড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠটি ছাড়া উপজেলায় ক্রিকেট খেলা অনুশীলনের কোন মাঠ নেই। আমরা চাইবো সড়ক সংস্কারের কাঁচামাল গুলো যেন শীঘ্রই অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। আগের মতো সে মাঠে আমরা ক্রিকেট অনুশীলন করতে পারি।

    এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের অনুমতি নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভবন ও মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

    খেলার মাঠ দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, আমার পক্ষ থেকে ক্রীড়া কমপ্লেক্স ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে পূর্বের দায়িত্বরত ইউএনও অনুমতি দিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।

    পিএম

    শরীয়তপুরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ, ও‌সি ক্লোজ

    শরীয়তপুরের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে রেখে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

    মঙ্গলবার (৬ জুন) ভুক্তভোগীর বড় ভাই পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (০৯ জুন) এ ঘটনায় পদ্মা দ‌ক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তা‌ফিজুর রহমান‌কে ক্লোজ ক‌রে পু‌লিশ লাই‌ন্সে সংযুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া ন‌ড়িয়া সা‌র্কেল অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার রা‌সেল ম‌নির‌ স্বপ‌দে বহাল র‌য়ে‌ছেন।

    পুলিশ, ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানায়, গত ২৩ মে দ্রুত বিচার আইনে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। মামলায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা আহম্মেদ চোকদার কান্দি এলাকার সাদ্দাম চোকদার, বকুল চোকদারসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় ২৯ মে সাদ্দাম, বকুল ও সাইদুল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে নেন। জামিনে আসার পর ৩০ মে রাতে তারা এ মামলার আরেক আসামি আনোয়ারকে নিয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ সাদ্দামের বন্ধু আলমগীর চোকদারের বাসায় যান। ওইদিন রাতে তথ্য পেয়ে সেই বাসায় হাজির হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারীসহ ১০/১২ পুলিশ সদস্য।

    অভিযোগে বলা হয়, এ সময় সাদ্দাম তাদের জামিনের কাগজ দেখালে তা ছিঁড়ে ফেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরে পুলিশ সাদ্দাম ও বকুলকে লাথি, কিল-ঘুষি, চড়থাপ্পড়সহ পুলিশের লাঠি (ডান্ডা) দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়। সাদ্দাম পানি পান করতে চাইলে ছোট ভাই বকুলকে দাঁড় করিয়ে মুখে প্রস্রাব করতে বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির। পরে সাদ্দামের শরীরে প্রস্রাব করেন বকুল। এমন নির্যাতন চলে রাত ১টা থেকে পরদিন ৩১ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত।

    অভিযোগ সূ‌ত্রে আ‌রো জানা যায়, কিছুক্ষণ পর ওই চারজনকে গামছা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর নিচে আনা হয়। পরে সাদ্দাম ও বকুল এবং সাইদুল ও আনোয়ারকে পৃথক দুই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি সাদ্দাম-বকুলকে বলেন, সাইদুল-আনোয়ারকে ক্রসফায়ার দিয়ে দিয়েছি। তোরা ৭২ লাখ টাকা দিবি, তা না হলে তোদেরও ক্রসফায়ার দিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে সারাদিন রেখে রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় এনে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে বেত ও কাঠ লাঠি দিয়ে আবার বেধড়ক মারা হয় সাদ্দাম ও বকুলকে। সারারাত চলে এমন বর্বর নির্যাতন। এরপর টাকার জন্য বকুলের স্ত্রী সানজিদা, দুই বছরের সন্তান, বাবা রশিদ চোকদার, মা রমেলা ও চাচাতো ভাই আবু জাফর ঠান্ডুকে থানায় এনে সারারাত আটকে রাখা হয় এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

    অভিযোগে আ‌রো উ‌ল্লেখ করা হয়, ঘটনার পরে আত্মীয়-স্বজনরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসির কাছে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা দিলে নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলে সাদ্দাম ও বকুলের। এরপর ১ জুন বিকেলে সাদ্দাম ও বকুলসহ চারজনকে শরীয়তপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিমান্ড না মঞ্জুর করেন এবং ৬ জুন সাদ্দাম ও বকুলসহ চারজনই আদালত থেকে জামিনে মু‌ক্তি পায়।

    ছিনতাই মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মে দুপুরে পদ্মা সেতু জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা এলাকার বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সোহাগ পরিবহন থেকে জাজিরা উপজেলার বাসিন্দা শাহীন আলম শেখ (২০) ও সেকেন্দার মাদবরকে (৫১) জোরপূর্বক নামিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা বিদেশি ডলার, মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায় স্থানীয় সাদ্দাম চোকদার, বকুল চোকদারসহ ১০/১১ জন। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ ১৫ হাজার ২৫০ টাকা ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ মে শাহীন আলম শেখ বাদী হয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় সাদ্দাম, বকুলসহ নয়জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ/ছয়জনকে আসামি করে একটি ছিনতাই মামলা করেন।

    তবে শাহীন আলম শেখ ও সাদ্দাম চোকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শত্রুতা রয়েছে বলে জানান ভুক্তভুগীরা।

    আসামী সাদ্দাম চোকদার ও বকুল চোকদার বলেন, আমাদের আটজনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। সেই মামলায় আমরা তিনজন হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসি। তবুও আমাদের থানায় ও একটি বাড়িতে আটকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। আমাদের বেধড়ক মারধর করেন তারা। শুধু তাই নয় প্লাস দিয়ে হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলেন তারা। তখন আমরা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম। তবু মায়া হয়নি তাদের। ৩০ ঘণ্টা নির্যাতন করলেও কোন খাবার বা ওষুধ দেয়নি তারা। পরে বড় ভাই ঠান্ডু চোকদারের কাছে দুটি ঘর বিক্রি করতে বাধ্য হই। ঠান্ডু চোকদার তার চাচা রশিদ চোকদারের মাধ্যমে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসিকে।

    ঠান্ডু চোকদার বলেন, ছিনতাই মামলার ঘটনায় ৩১ মে বকুলদের বাড়িতে দুই পক্ষ সালিসে বসে। দরবারে সিদ্ধান্ত হয় ২১ লাখ টাকা বাদীকে দিয়ে দেবে বিবাদীরা। কিন্তু এটা মেনে নেয়নি বাদীপক্ষ। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। আমার অপরাধ আমি বলেছিলাম মামলায় উল্লেখিত ২১ লাখ টাকা দেওয়া হবে বাদীকে। কিন্তু তাদের দাবি ছিল ৭২ লাখ টাকা। দরবার শেষে যখন বাড়ি যাই, তখন পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি তদন্ত সরুজ, এসআই ফিরোজ আল মামুনসহ সাত-আটজন আমাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ওসির রুমে নিয়ে রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আমাকে মারধর করে। আমি চিৎকার করলে চোখ খুলে দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল রাসেল মনির বলেন, তুই ৭২ লাখ টাকা দিয়ে সাদ্দাম ও বকুলকে ছাড়িয়ে নিবি। তখন রাজি হলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে ছোট ভাই সাদ্দাম ও বকুলকে বাঁচাতে আমার চাচা রশিদ চোকদারের মাধ্যমে পাঁচটি চেকে ৭২ লাখ টাকার চেক দিই ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে।

    এ ঘটনায় পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অ‌ভি‌যো‌গের বিষয় অস্বীকার করে মু‌ঠোফোনে বলেন, ছিনতাই মামলার বাদীপক্ষ তাদের মারধর করেছে। এ বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। চেক বিষয়েও আমার জানা নেই। এসব অ‌ভি‌যোগ মিথ্যা।

    এ ব্যাপারে নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরের সা‌থে বারবার যোগা‌যো‌গের চেষ্টা করা হ‌লেও তা‌কে পাওয়া যায়‌নি। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও সে রি‌সিভ ক‌রে‌নি।

    শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, গত ২৩ মে পদ্মা দক্ষিণ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে পরবর্তী কিছু ঘটনা ঘটেছে ব‌লে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট তিন কার্যদিবসে জমা দিতে বলা হয়েছে। ই‌তোম‌ধ্যে ও‌সি‌কে ক্লোজ ক‌রে পু‌লিশ লাই‌ন্সে সংযুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে। তদন্ত রিপোর্টে তাদের সম্পৃক্ততা পেলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    পিএম

    নগরকান্দায় বিএনপির ১ হাজার নেতাকর্মীর আ'লীগে যোগদান

    ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বিএনপির অন্তত ১ হাজার নেতাকর্মী আ'লীগে যোগদান করেছেন।

    শুক্রবার (০৯ জুন) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়িতে এক যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। 

    সেখানে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়ার হাতে ফুল দিয়ে আ'লীগে যোগদান করেন।

    নগরকান্দা উপজেলার ৮ নং ডাঙ্গী ইউনিয়নের ইউনুস ফকির ও এরোন মাতুব্বরের নেতৃত্বে অন্তত এক হাজার নেতাকর্মী জামাল মিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করে। 

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও নগরকান্দা উপজেলা আ'লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশী-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। 

    তিনি ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের জনগণের উদ্দেশ্য বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বিএনপির জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। 

    জামাল হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি একটি চিঠির খাম হয়, বঙ্গবন্ধু তাঁর ঠিকানা। তাইতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ করি। নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আমাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাইতো সে যদি আমাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি ফরিদপুর-২ আসনের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে এই আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ। 

    জামাল হোসেন বলেন, "আমি যদি সরকারের অংশীদার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাই তাহলে সন্ত্রাস মুক্ত, মাদক মুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলবো এবং সারা জীবন আমার এলাকার জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাআল্লাহ।"

    নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে ও তালমা ইউনিয়ন আ'লীগের মো. সিরাজ খলিফার সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- নগরকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, নগরকান্দা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন মিয়া, তালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান, নগরকান্দা উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি রিক্তা আক্তার, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসিমা আক্তার, চরযোশরদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার, নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলামিন মীর, সাধারণ সম্পাদক কামরান হোসেন প্রমূখ।

    পিএম  

    ফরিদপুরে চুরির অপবাদে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

    ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় টিউবওয়েল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাপলডাঙ্গা গ্রামে। 

    এ ঘটনায় নির্যাতনের একটি ভিডিও গত বুধবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। শিশু নির্যাতনের দায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ভাই নজরুল শেখ নামে একজনকে পুলিশ আটক করে বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) দুপুরে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে।  

    জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল শেখের বড় ভাই নজরুল শেখের একটি টিউবয়েল সম্প্রতি চুরি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ইউপি সদস্য মো. নাজমুল শেখ (৩৯), তার ভাই নজরুল শেখ (৪৩) ও একই গ্রামের হাসান খন্দকার (৩৫) নামে তিন ব্যক্তি স্যালোমেশিনের টিউবওয়েল চুরির অপবাদে সুমন শেখ (৯) এবং সৌরভ আলী (১০) নামে দুইটি শিশুকে পায়ে শিকল বেঁধে গত মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে স্থানীয় নাজমুল মেম্বারের উত্যপ্ত ধানের চাতালে কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি দিয়ে শুইয়ে বেধড়ক পিটানোর ঘটনা ঘটে। সুমন শেখ ওই ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামের খাঁ পাড়া এলাকার দরিদ্র রিক্সাচালক মিন্টু শেখের ছেলে। সুমনের বাবা মিন্টু শেখ ঢাকায় রিক্সা চালায়। নির্যাতিত সুমন গ্রামের বাড়িতেই দাদা-দাদির সাথে বসবাস করে।

    অপর শিশু সৌরভ আলী একই ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের কৃষক আলীবর শেখের ছেলে। তবে নির্যাতনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না ভুক্তভোগী ওই পরিবার। এমনকি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে ভয় পাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

    নির্যাতিত সুমন শেখের চাচা মিরাজ শেখ জানান, নাজমুল মেম্বারের ভাইয়ের স্যালোমেশিনের টিউবওয়েল চুরির ঘটনায় রাস্তা থেকে সুমন ও সৌরভকে ধরে নিয়ে দুপুরে তীব্র রোদে পায়ে শেকল বেঁধে গরম চাতালের মেঝেতে খালি গায়ে শুইয়ে রেখে নির্যাতন করেছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভয়ে চুরির কথা স্বীকার করে ওই দুই শিশু। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমার বাবা সিরাজ সেখ ও সৌরভের বাবা আলিবর শেখ গিয়ে শিশু দুটিকে নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করে। মেম্বারের ভাই প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কিছু করা যাবে না। তাই অভিযোগ দেয়নি! 

    ভুক্তভোগী সুমন শেখ জানায়, প্রতিবেশী একজনের সাথে জাম বিক্রির জন্য বোয়ালমারী বাজারে যাচ্ছিলাম। এসময় নাজমুল মেম্বারের ভাই নজরুল ভ্যান থেকে আমাকে নামিয়ে তাদের বাড়ির ধানের চাতালে নিয়ে পায়ে শিকল বেঁধে শোয়াইয়া রাখে। এ সময় আমার পায়ের তলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন চালায় তারা। এক পর্যায়ে আমাদের দুইজনের গলায় ফাড়া বাঁশ দিয়ে চেপে ধরে রাখে। ভয়ে আমরা দুইজনই চুরির কথা স্বীকার করতে বাধ্য হই।

    নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য মো. নাজমুল শেখের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপর নির্যাতনকারী চাপলডাঙ্গা গ্রামের আইয়ুব খন্দকারের ছেলে হাসান খন্দকারের বাড়িতে গিয়ে না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের কথা শুনে তিনি ফোনটি কেটে দেন। 

    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে এ ব্যাপারে গুনবহা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম জানান, কিছুদিন ধরেই ওই এলাকার কিছু বাড়ি ও মাঠ থেকে টিউবয়েল হারিয়ে যাচ্ছে। গত দুইদিন আগে নাজমুল মেম্বরের ভাইয়ের একটি টিউবয়েল চুরি হয়। শুনেছি ওই ছেলে দুটিই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের কাছ থেকে টিউবয়েলের হাতল উদ্ধার করা হয়। মেম্বরের ভাই শিশু দুটিকে ধরে এনেছিলো। পরবর্তীতে শিশুর অবিভাবকরা শাসন করে নিয়ে তাদের নিয়ে গেছে। 

    জানতে চাইলে বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, 'এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছিলো। কিন্তু কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মামলা হয়নি। শিশুদের অভিভাবকদের কোন অভিযোগ না থাকায় ধর্তব্য অপরাধ সংঘঠনের দায়ে আটককৃত ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

    পিএম

    নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো সুযোগ নেই: শাজাহান খান

    নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো সুযোগ নেই, সংবিধানে নেই আর বিশ্বের কোথাও নেই। নির্বাচন যথারিতি যথাসময়ে সংবিধান অনুসারেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি। 

    শুক্রবার সকালে মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    এসময় তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক পন্থায় যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও একই পন্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এবং নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। 

    আওয়ামী লীগের এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি ভেবেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আওয়ামী লীগের উপর খুব চাপ সৃষ্টি করবে। কিন্তু সেই চাপ যে বিএনপির উপরেও পড়বে তা তারা ভাবেবি। তাদের আশায় এখন গুড়ে বালি। 

    মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম,  মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ, মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( আইসিটি) শামিমা সরমিন, মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জামাল মিয়া, মাদারীপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তাহের আলীসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

    পিএম

    মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অপুর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক অপু শেখের নেতৃত্বে শোডাউন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    এসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিশির আহমেদ বিপ্লব, যুগ্ম-আহ্বায়ক সজিব হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাইস, সোহেল, জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শহিদুর রহমান লাবু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক মাসুম রানা মাসুম, উপজেলা আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান কনক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে এরআগে বুধবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে শরিফুল ইসলাম শরিফ, খন্দকার রাসেল, মোবারক হোসেন ও একাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে তারিফ আহমেদ সোহাগের স্থলে নতুন করে ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক অপু শেখকে আহ্বায়ক মনোনীত করার বিষয়টি অগঠনতান্ত্রিক দাবি করে এর বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

    জানা যায়, গত ৩০ মে মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভাসহ গত তিন মাসের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না থাকায় আহ্বায়ক তারিফ আহম্মেদ সোহাগকে তার পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ৭ যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ১১ সদস্য স্বাক্ষরিত লিখিত কপি জেলা ও কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ শ্যামল গোস্বামী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অপু শেখকে আহ্বায়ক অনুমোদন দেয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর দুই দফায় তারিফ আহম্মেদ সোহাগকে আহ্বায়ক  ও ৭ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

    এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। যাইহোক সব সমস্যার সুন্দর সমাধানের জন্য এ মাসের ২০ তারিখ আমরা মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    পটুয়াখালীতে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেয়া সেই গৃহবধুর মৃত্যু

    পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেয়া গৃহবধু হালিমা আক্তার মীম মারা গেছেন। 

    শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মীমের মামা ওমর ফারুক হাওলাদার, স্বামী প্রিন্সের ফুপা লাল মিয়া হাওলাদার এবং দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নূতন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় মীমের হাত, পা, মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় বোরখা পরিহিত দুই দুর্বৃত্ত। 

    আগুনে ওই গৃহবধুর হাত বুক, পেটসহ শরীরের আশি শতাংশ দগ্ধ হয়। ঝলসে যায় তার শিশু সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের হাত মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান।  স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকারে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য তাদের প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি হতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন তারা। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মীম।

    মীম উপজেলার দুমকী সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশী নতুন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানী বন্ধ দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ  মিমকে হাত, পা, মুখ বাঁধা ও জিসানকে আগুনে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করে তারা পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে পাঠান।

    দুমকি অফিসার ইনচার্জ আবুল বশার জানান,  মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে শুক্রবার দুপুরে মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে, ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে।

    পিএম

    পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসকের সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে সরকারী জমি দখল !

    পটুয়াখালীর রাংগাবালীর তক্তাবুনিয়া বাজারে সরকারের মুল্যবান খাস খতিয়ানভূক্ত জমি দখল করে তোলা হচ্ছে দোকানঘর। আর এ জমি দখলে উপড়ে ফেলা হয়েছে জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড। ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এসব দোকানঘর তোলা হচ্ছে। 

    সরেজমিনে (৯মে শুক্রবার) দেখা যায়, ৫-৭ জন কাঠমিস্ত্রি কাজে লাগিয়ে দ্রুত ঘর তুলছেন বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া বাজারের বাবলু হাওলাদারের ছেলে বিপ্লব হাওলাদার। এরই পাশে ঘর তোলার জন্য কাঠের সীমানা বাঊন্ডারী দিয়েছেন শুক্কুর আলী শিকদার। 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ২০মে জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড তুলে ঘর তোলা শুরু করে বিপ্লব হাওলাদার। স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর সহায়তায় এ ঘর তুলছে বিপ্লব। গণমাধ্যমকর্মীদের বাঁধার মুখে এদিন চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজ বন্ধ করে দেন। এবং উত্তোলন করা ঘর ভেংগে ফেলা হবে বলে তাদের আস্বস্তও করেন। কিন্তু অর্ধেক উত্তোলিত সে ঘর অপসারনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস।  

    এবিষয়ে জানতে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার তারেককে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাংগাবালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালেক মুহিদ ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

    জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান ঘর উত্তোলনের ছবিসহ বিস্তারিত ডকুমেন্টস তার হোয়াটআপে পাঠাতে বলে বলেন, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

    পিএম


    বরগুনায় এক বছরে ১২৪ জনের আত্মহত্যা

    দিন দিন বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। বিশেষ করে পরিবার, প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে কম বয়সী তরুণ-তরুণীরা বেশি আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছে। 


    বরগুনায় গত এক বছরে ১২৪ জন আত্মহত্যা করেছেন এদের মধ্যে প্রায় ৬২% নারী। তাঁদের মধ্য ৫৮ জনই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বরগুনা সদর হাসপাতালের গত এক বছরের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 


    বরগুনা সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরগুনায় মোট ১৪৯টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২৪ জনের রিপোর্ট এসেছে আত্মহত্যা। এর মধ্যে ৭৬ জনই নারী, বাকি ৪৮ জন পুরুষ। নারী ৭৬ জন এর মধ্যে ৪২ জনই কীটনাশক (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়ে এবং বাকি ২৪ জন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এসব নারীর বয়স ১৫ থেকে ৩২ বছর। আত্মহত্যাকারী ৪৮ জন পুরুষদের মধ্যে ৩২ জন গলায় ফাঁস এবং ১৬ জন কীটনাশক (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। 


    এদিকে হাসপাতালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বরগুনায় মোট ১৯টি অপমৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টিই আত্মহত্যা। বাকি ছয়জন রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 


    জেলার সচেতন নাগরিকেরা মনে করছেন, আত্মহত্যা রোধে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি কীটনাশকের সহজলভ্যতার কারণেও আত্মহত্যা প্রবণতা বেড়েছে। 


    বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন জাগো নারীর নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা হাসি বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এ বিষয়ে এখনই সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া জরুরি। গত কয়েক বছরে আমরা আত্মহত্যার যে প্রবণতা দেখছি, তা রীতিমতো ভয়াবহ ও শঙ্কাজনক পর্যায়ে।’


    সার্বিক বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। আমরা তদন্ত করে আদালতের কাছে প্রতিবেদন দেই। আমরা তদন্তে দেখেছি, বেশির ভাগ আত্মহত্যাই পারিবারিক কলহের জের, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, হতাশা, প্রতারণা ও আর্থসামাজিক কারণে হয়ে থাকে।


    বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলেন, বরগুনায় আত্মহত্যার হার বেড়েছে। এখানে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১০টিরও বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। আত্মহত্যা আসলে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক ব্যাধি। এর প্রতিরোধও সম্মিলিত সামাজিকভাবে করতে হবে। আমি বলব এটা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।

    এআই 

    বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

    বরগুনা তালতলীতে বাড়ির পাশে আঙিনায় মরিচ গাছে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাসির উদ্দিন নয়ন (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।


    বুধবার (০৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রাচরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নয়ন ওই এলাকার কাশেম হাওলাদারের ছেলে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির আঙিনায় মরিচ গাছে পানি দেওয়ার জন্য মটার চালু করতে গিয়ে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 


    তালতলী থানা ওসি সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর খবরটি পেয়েছি। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এআই

    অতিরিক্ত তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

    যুগ যুগ ধরে ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে আসছে আবহাওয়া। কিন্তু বিগত কিছু দিন ধরে প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। জৈষ্ঠ্যের শেষ প্রান্তে কিছুদিন পরে আষাঢ়ের শুরু। অথচ আষাঢ় মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়ার নেই কোন পরিবর্তন। 


    উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার নেই কোন বৃষ্টি, নেই কোন বাতাস, খর তাপে মাঠ ঘাট শুকিয়ে গেছে, প্রচণ্ড গরম, কাঠফাটা রোদ অব্যাহত তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। এই গরম আরও কয়েক দিন অব‍্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ও বাজার ঘাট যেন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে তীব্র গরমে অসংখ্য খেটে-খাওয়া মানুষগুলোর যেন আরও বেশি অসহনীয় অবস্থা তৈরি হচ্ছে। 


    বুধবার (০৭ জুন) জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় শহরে গরমের তাপমাত্রা ও ধুলাবালির কারণে শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের কাজকর্মে দেখা দিয়েছে অনীহা। তবুও বেঁচে থাকার এই জীবন যুদ্ধে ৩৮-৪০ ডিগ্রি° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রচণ্ড গরমেও মাথার ঘাম ফেলে জীবিকার তাগিদে তার কাজ যাচ্ছে। এই গরমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে।


    বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে গরম থেকে বাঁচতে এবং নিজেকে প্রশান্তি দিতে গোসল করার জন্য কিশোর থেকে বৃদ্ধ বিড় জমাচ্ছে নদীর পাড়ে। তারা বলেন প্রচন্ড গরমে বাড়ির পুকুরের পানিও গরম হয়ে গেছে তাই একটু ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে এসেছি ।


    রিকশা চালক সেন্টু মিয়া বলেন, সকাল থেকে রিকশা চালাচ্ছি ,গরমে হাঁপিয়ে যাচ্ছি তবুও কিছু করার নেই কারন সংসারের বউ, ছেলে-মেয়ে তাকিয়ে আছে কখন আমি বাজার নিয়ে যাব, তারপর রান্না করবে।


    শরবত বিক্রেতা নয়ন খান বলেন, প্রতিদিনই আমার বেচাকিনা ভালো হয়। তবে এতো গরম কোথাও দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। সব জায়গাতেই গরম আর গরম।


    সচেতন মহলের অনেকেই জানান, দিনভর প্রচণ্ড রোদ ও গরমে শ্রমজীবী মানুষের সাথে অনেক মানুষ সহনীয় আচরণ করে এবং শ্রমজীবী মানুষদের সময় মতো ন্যায্য বেতন পরিশোধ করাই কাম্য। তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো জন‍্য প্রচণ্ড গরমে বাধ্য হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নিশ্চয় এই সকল মানুষদের আমাদের সবার সম্মান করা উচিত।


    বরগুনা পৌর শহরের বাসিন্দা সমাজ কর্মী মহিউদ্দিন অপু বলেন, শহরে পানির সংকট দূরীভূত করার জন‍্য টিউবওয়েলের পানির আশা করা হয় কিন্তু বেশির ভাগ টিউবওয়েলগুলো নষ্ট। যা আছে সেগুলোতে পানি লবণাক্ততা, আর্সেনিক, যা খাওয়া ও ব‍্যবহারে অযোগ্য। সম্প্রতি সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার উদ্যোগে পানির ট‍্যাংক বেশি বেশি বিতরণ করা উচিত।


    বরগুনা পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, প্রচন্ড গরমে সকলের কর্মস্থলই বেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী আরো কিছু দিন এরকম তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও পেটের টানে সকলেই ছুটে চলছেন কর্মের টানে।


    তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে ১২০০-১৩০০ ফুট লেয়ারে বসানো যে কয়টি টিউবওয়েলে পানি উঠছে। পূর্বে ৭০০-৮০০ ফুট লেয়ারে বসানো হয়েছিল সেগুলোতে পানি উঠছে না, এই টিউবওয়েল গুলো পুরাই অচল হয়ে রয়েছে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন নলকূপের পানি খেয়ে ডায়রিয়ারসহ বিভিন্ন রোগবালাইতে জরিয়ে পরছেন। 


    এতে পৌর নাগরিকরা পুরাই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অতি দ্রুত আমি এগুলো পুনসংস্কারের করে দেওয়ার জন্য বলেছি কর্তৃপক্ষকে।

    এআই 

    শেরপুরে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মৃত্যু

    শেরপুরের নকলায় বজ্রপাতে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জুন শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণ খোলা দক্ষিণ গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ও গণপদ্দী ইউনিয়নের বরইতার গ্রামে ঘোড়ামারা নদীর পাড়ে ওই ঘটনা ঘটে।  

    বজ্রপাতে মৃতরা হচ্ছেন নারায়ণ খোলা দক্ষিণ গ্রামের দিনমজুর শফিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় কুটেরচর জোনাব আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাব্বির মিয়া (১৬) এবং বরইতার গ্রামের আতশ আলীর ছেলে কৃষক শিপন মিয়া (৪৫)।

    চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী জানান, ছাব্বির বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুদের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ফুটবল খেলছিল।

    ওইসময় অকস্মাৎ বজ্রপাত হলে ছাব্বির গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাব্বিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

    গণপদ্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুর রহমান আবুল জানান, বৃষ্টির মধ্যে শিপন গরু আনতে ঘোড়ামারা নদীর পাড়ে গেলে অকস্মাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শিপন বিবাহিত। তাঁর ৩ সন্তান রয়েছে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, ছাব্বির ও শিপনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  

    পিএম

    ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৪

    ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাতকে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।


    সোমবার (০৫ জুন) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ী লবন কোঠা এলাকায় পুষ্প কানন ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।ভালুকা মডেল থানার এস.আই আব্দুল করিমের নেতৃত্বে এ.এস.আই রাকিবুল ইসলাম, এ.এস.আই আমিনুল ইসলাম, এ.এস.আই আলমগীর তাদের আটক করেন।


    এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকাপ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।


    আটককৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকা নূর মোহাম্মদ ছেলে এরশাদুল (৩৫), উপজেলা মল্লিকবাড়ী এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলাম আতিক (৩৩), জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার গংঙ্গাদাসপুর এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে শাজাহান (৩২), জামালপুর সদর উপজেলার তুলশিপুর এলাকার মৃত্যু ছালামের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৩৪)।


    ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ জনকে আটক করা তাদের কাছ থেকে একটি পিকাপ গাড়ী জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।

    এআই 

    পরীক্ষার ফি জন্য বিদ্যালয় থেকে চাপ, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় লাভনী আক্তার নামে এক অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। 


    সোমবার (০৫ জুন) সকাল ১২টা দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার ওই এলাকার মো.লাল মিয়া মেয়ে। তিনি রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


    নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য স্কুল থেকে চাপ দিচ্ছিল এবং ফি না দেওয়ায় লাবনী আক্তার কে অপমান করেন শিক্ষক।


    তবে এঘটনায় পরিবারের সদস্যরা কোন আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে না, আইনি প্রক্রিয়ায় না যাওয়ায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দফানের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।


    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। নিহত শিক্ষার্থীর লাবনী আক্তারে পরীক্ষার ফি ২ হাজার ২শ টাকা হয়। নিহত শিক্ষার্থীরা পরিবারের দরিদ্র হওয়ায় সঠিক সময়ে দিতে পারেনি ফি। পরীক্ষার ফি কয়েকদিন পরে দিবে বলে দুইটা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি নিয়ে দুটি পরীক্ষা দেন নিহত শিক্ষার্থী।


    গতকাল পরীক্ষা চলার সময় নিহত শিক্ষার্থীকে ফি দেওয়ার জন্য চাপ দেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে লাবনী আক্তার কে অপমান করেন এক শিক্ষক।

     

    সোমবার সকাল ১০টা দিকে নিহত শিক্ষার্থীর বাবার ১১০০ টাকা লাবনীকে দিয়ে পরীক্ষার ফি দিতে বলেন। এসময় লাবনী অভিমানে ১১০০ টাকা না নিয়ে তার বাবাকে টাকা ফিরত দিয়ে বলেন পরীক্ষা দিতে হবে না। এ বলে ওই শিক্ষার্থী তাঁর থাকার ঘরে চলে আসেন। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ১২টা দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।


    রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ বলেন, পরীক্ষার জন্য কোন চাপ দেওয়া হয়নি‌। কি জন্য আত্মহত্যা করেছে এই বিষয়টি আমরা জানি না। 


    সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবির বলেন, বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি পরিবার দিতে না পারায় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বিদ্যালয় থেকে ফি জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বা অপমান করেছে এ অভিযোগ করেনি আমাদের কাছে নিহতের পরিবার। 


    ময়না তদন্তে ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করলে সেই প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

    এআই 

    সুদের টাকার দাবিতে রাতভর গাছে বেঁধে নির্যাতন

    শেরপুরে সুদের টাকার দাবিতে এক যুবককে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তবে ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলামের (২৩) দাবি, তিনি আগেই সুদের টাকা শোধ করেছেন। রোববার রাতে আসল ৬ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন।

    এদিকে, নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার (৫ জুন) সকালে ভাইরাল হলে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ৷

    ভুক্তভোগী সাইফুল শেরপুর সদর উপজেলার চক আন্ধারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় পরিবহন শ্রমিক৷

    আহত সাইফুল জানান, আমি ঢাকার কমলাপুরের ৬ নম্বর বাসে হেলপারের কাজ করি। বিপদে পরে স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে সুদে ৬ হাজার টাকা নেই চার মাস আগে।  প্রতিমাসে সুদের লাভ পরিশোধ করার পর রোববার সন্ধায় তার আসল ৬ হাজার টাকা ফেরত দেই। কিন্ত মালেক আমার কাছে লাভের অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। অতিরিক্ত টাকা দিতে আমি অস্বীকার করি। পরে স্থানীয় মনির ও জুয়েলের সহায়তায় আমাকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে মালেকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর তারা আমাকে নির্যাতন করে।

    শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, ভিডিও দেখে আমি ফোর্স পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    পিএম

     

    গৌরীপুরে টিসিবির কার্ড নিয়ে 'বাণিজ্য', পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রেখে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

    স্থানীয় লোকজনকে বিভ্রান্ত করে অনলাইনে তালিকাভুক্তির কথা বলে প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টিসিবির কার্ড জমা নেন জনপ্রতিনিধিরা। জমা নেয়া পুরোনো কার্ডের পরিবর্তে বর্তমানে তারা দিচ্ছেন নতুন কার্ড। এক্ষেত্রে যারা টাকা দিচ্ছেন তারা নতুন কার্ড পাচ্ছেন। আর টাকা না দিলে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীর নাম বাদ দিয়ে কার্ড দেয়া হচ্ছে অন্যজনকে। 


    ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় সরকারের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচীর স্বেচ্ছাচারিতার চিত্র এটি।


    টিসিবির তালিকাভুক্তদের নাম বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছে স্থানীয় লোকজন। 


    সোমবার (৫ জুন) সকালে গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে মেছিডেঙ্গী এলাকায় টিসিবি পণ্যবাহী একটি ট্রাক আটকে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী নারী-পুরুষরা। পরে মইলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরোনো তালিকা অনুযায়ী টিসিবি পণ্য বিক্রয়ের আশ্বাস দিলে ট্রাকটি ছেড়ে দেন তারা।


    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মইলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টিসিবি কার্ড বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাহাজাহান মিয়ার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফোজিয়া নাজনীন জানান, টিসিবি কার্ড জমা নেয়া, তালিকায় নাম পরিবর্তন বা কর্তনের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির কোন প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


    ঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের সংযোগ বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।


    স্থানীয় টিসিবি ডিলার ত্বোহা এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি জোবায়ের হোসেন জানান, পুরনো কার্ড জমা নিয়ে তালিকাভুক্তদের বাদ দিয়ে অন্যদের মাঝে নতুন কার্ড বিতরণ করায় স্থানীয় ভুক্তভোগী বিক্ষুব্দ লোকজন টিসিবি পণ্যবাহী ট্রাক আটক করে। 


    তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের হাতে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচী তদারকির দায়িত্ব দেয়ায় এ উপজেলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে।

    নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (০৯ জুন) এই ঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীডুবার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। 


    অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার শাহা আলমের ছেলে নয়ন ইসলাম ও আব্দুল বারেকের ছেলে কামাল হোসেন।


    মেয়েটির মা বলেন, গত রবিবার (৪ জুন) মেয়েটি তার মা এবং দুই ভাইসহ নানা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার (০৭ মে) বিকালে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এই সময় নয়ন ও কামাল মেয়েটিকে খেলার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির প্যান্ট খুলে নেয়। পরে কামাল ও নয়ন মেয়েটিকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ চেষ্টা করে।


    মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে নয়ন ও কামাল তাকে বিষয়টি বাসায় না জানাতে হুমকি দেয়। এতে মেয়েটি ভয় পেয়ে বাসায় কাউকে ঘটনার দিন কিছু বলেনি। শুক্রবার (০৯ জুন) মেয়েটির যৌনাঙ্গে ব্যাথা শুরু হলে তার মাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার বিবরণ শুনে মেয়েকে নিয়ে তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।


    জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. বনশ্রী রায় মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার করেন।


    সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমু বলেন, বিষয়টি শুনে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুক্তভোগীর সাথে দেখা করেছি। শিশুটি আমাকে ঘটনার বিবরণ জানালে তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই।


    দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল হোসেন বলেন, আমরা এজাহার পেয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

    এআই 

    গাইবান্ধায় গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা বাজারে তারা মিয়া ও জহুরুল ইসলাম রকেট এর নিকট কালো কাপড়ের গাটির ভিতরে থাকা পত্রিকা দিয়ে পেচানো দুটি বান্ডিলে পঞ্চাশটি বিভিন্ন রংয়ের দেশীয় তাতের শাড়ীর পত্রিকা দিয়ে পেচানো এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ কেজি শুকনা গাজা উদ্ধার করেছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ। 


    এবিষয়ে শুক্রবার (০৯ জুন) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রেস কনফারেন্স করে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান।


    প্রেস ব্রিফ্রিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, ৮ জুন বিকেলে এস আই আব্দুল মান্নান সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান করা কালে উক্ত স্থান হতে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার দ্বাবারিয়া এলাকার রহম আলী প্রামানিক এর পুত্র তারা মিয়া ও একই জেলার সেরখালি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে জহুরুল ইসলাম রকেট এর নিকট পৃথক দুটি বান্ডিলে পঞ্চাশটি বিভিন্ন রংয়ের দেশীয় তাতের শাড়ীর ভিতর পত্রিকা দিয়ে পেচানো তল্লাশী করে ১৫ কেজি শুকনা গাজা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।


    এসময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) শুভ্র দেব, সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে, এম আজমিরুজ্জামান, গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ থানা তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক।

    এআই 

    ঠাকুরগাঁওয়ে কাগজে-কলমে পাঠাগার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

    দেখে বাড়ির বেলকুনি মনে হলেও এটি একটি সরকারি নিবন্ধিত পাঠাগার। আশেপাশে নেই কোন সাইনবোর্ড কিংবা আলাদাভাবে চেনার উপায়। কাছে গিয়ে দেখা মিলে, বেলকুনির চারপাশে শুকাতে দেওয়া আছে ভেজা কাপড়। তার পাশে অনুদান পাওয়া দুটি বুকসেলফে কিছু বই, দুটি চেয়ার, একটি টেবিল৷ এ ছাড়া আর পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই৷ 

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের পূর্ব নারগুনে একটি বাড়ির বেলকুনিতে অবস্থিত গ্রামীণ পাঠাগারটি। অনুমোদনের নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য সাত বছর বয়স হওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে গড়ে দুই শতাধিক পাঠক হওয়ার কথা থাকলেও পাঠাগারটির নাম জানেন না এলাকাবাসী। এমনকি পাঠাগারের পরিচালকেরাও নাম বলতে হোচট খেয়েছেন কয়েক দফায়। অথচ নামে মাত্র এসব পাঠাগার গুলো কাগজে কলমে সচল পাঠাগার দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা।

    জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত পাঠাগারের সংখ্যা ১২ টি৷ যার মধ্যে অধিকাংশ পাঠাগার এখন শুধু নাম সর্বস্ব। কারো ঘরের বেলকুনি,কারো বেড রুম কিংবা কারো নেই কোন অস্তিত্ব। তবে নামে মাত্র হয়েও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪ টি পাঠাগার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ টি পাঠাগার  অনুদান পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ০৮ টি পাঠাগার পাচ্ছেন  পাঁচ লাখ সাতান্ন হাজার টাকা অনুদান৷ তার মধ্যে ২ টি 'গ' শ্রেণীর পাঠাগার পাচ্ছেন ৫৫,০০০ টাকা করে, আর "খ" শ্রেণীর ৬ টি পাঠাগার পাচ্ছেন ৪৭,৫০০ টাকা। 

    অনুদানের সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন কাগজে কলমে থাকা পাঠাগারের সভাপতি ও সম্পাদক। নিয়ম মেনে তদারকি করে অনুদান প্রদানের সাথে অর্থ আত্মসাৎ কারীদের বিচারের দাবি জানান সচেতন মহল। 

    স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কখনো গ্রামীণ পাঠাগার নামে কোন পাঠাগারের নাম শোনেননি৷ তাদের এলাকায় পাঠাগার হলে তারা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতেন৷ 

    গ্রামীণ পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, কাগজে কলমে আমাদের পাঠাগারটি ২০১৬ সালে দেখানো হয়েছে৷ আমরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাই৷ বিগত দুই অর্থ বছরে আমরা সরকারি অনুদান পেয়েছি৷ এবারেও আমরা সরকারি অনুদান পাব৷ বর্তমানে তেমন কোন কার্যক্রম নেই। আমরা সামনে একটি ঘর তৈরী করে পাঠাগারটি চালু করব। 

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৬ নং নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে গ্রামীণ পাঠাগার রয়েছে এটি আজ জানতে পারলাম। কখনো এর কোন কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। যারা পাঠাগারের নামে টাকা আত্মসাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবি জানাচ্ছি। 

    অফিসে কর্মকর্তা সংকট হওয়ায় এমন অবস্থা জানিয়ে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আম্বিয়া বেগম বলেন, পাঠাগার গুলোতে দুবছর আগে পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। পরে আর যাওয়া হয়ে উঠেনা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন৷ পরবর্তীতে আমরা তদারকি বাড়াব। 

    নামে সর্বস্ব পাঠাগার গুলো আর অনুদান পাবেনা বলে সাফ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, পাঠাগার সমাজের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। একটি সমাজকে জ্ঞান ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে। তবে পাঠাগারের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেন তাদের সে সুযোগ আর দেওয়া হবেনা। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনি কাজ শুরু করব। কার্যক্রম হীন পাঠাগার গুলো আর কোন ধরনের সরকারি অনুদান পাবেননা৷ 

    পিএম

    একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ১০ টাকা

    নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমূখী হলেও ঝাঁজ ছড়ায়নি পেঁয়াজ। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় উঠেছে।

    এখন খুচরা দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৬০ টাকা লাগছে ভোক্তাদের। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা কেজি দরে।

    শুক্রবার (৯ জুন) বিরামপুর পাইকারি নতুন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ শুক্র ও শনিবার আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেশি।

    বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ বাজার করতে আসা ক্রেতারা। পারভেজ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে গতকালকে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ টাকা, দাম কিছুটা কম ছিল। আজকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে, একদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেশি। সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।

    জানতে চাইলে নতুন বাজারের পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. জুয়েল বলেন, ‘ভারতীয় পেয়াঁজ শুক্র ও শনিবার আমদানি বন্ধ থাকায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একদিন আগে মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলাম ৩৫-৩৭ টাকা, সেটি এখন ৪২-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

    নবাবগঞ্জ মতিহারা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজুর রহমান (ফিজু) বলেন, ‘একদিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়েছে।

    বিরামপুর নতুন বাজারের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী মো.সুমন জানান, আজ পেঁয়াজ পাইকারি ৪২ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। খুচরা বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি। গত একদিন আগেও পেঁয়াজ পাইকারি ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং খুচরায় বিক্রি করেছি ৪০টাকা কেজি।

    পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শুকুর জানান, দুইদিন আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে রবিবার থেকে ভারতীয় পেয়াজ আমদানি হলে কমে যাবে দাম।

    কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায় মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকালেই পেয়াজ খুচরা বিক্রি করেছি ৫০ টাকা কেজি দরে। আজ বিক্রি করছি ৬০ টাকা দরে। আজ পাইকারী বাজারে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেশি বলে জানান।

    ফুলবাড়ীতে তীব্র তাপদাহে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তীব্র গরমে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বুধবার (০৭ জুন) দুপুর দুপুর ১টার দিকে উপজেলার উত্তর রাবাইতারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


    ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরল আমিন জানান, বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হেলেনা আক্তার (১৪) তীব্র গরমে জ্ঞান হারিয়ে পরীক্ষা কক্ষেই লুটিয়ে পড়ে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।


    অন্যদিকে নবম শ্রেণির অপর শিক্ষার্থী আবু হাসান (১৫) ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ করে দুপুর একটার দিকে বাড়ীতে ফিরেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তার পরিবারের লোকজন তাকেও দ্রুত নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা দুজনই নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


    নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা দুজনই শঙ্কামুক্ত।  

    এআই 

    শাহজাদপুরে প্রতিবেশীর বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ আফজাল ফকির (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া কাঠুরিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত ব্যক্তি উক্ত গ্রামের মৃত আবু তালেব ফকিরের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে তৈরি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত করিমন চালক ছিলেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন।

    স্থানীয় জানান, আফজাল ফকির সকাল ১১টার সময় মৃত জোদ্দার শেখের ছেলে প্রতিবেশী আফসার শেখের বাড়িতে ফ্রিজের লাইন মেরামত করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

    ঘটনার পর পরই তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আফজাল ফকিরের ঘরে স্ত্রী, ২ ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে।

    নিহত আফজাল ফকিরের স্ত্রী মোছাঃ সীমা খাতুন জানান, তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।

    খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর জাহান বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।

    ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আফজাল ফকিরের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

    আফজাল ফকিরের এরকম মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।



    পরিবেশ দিবসে 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ'র ব্যতিক্রম কার্যক্রম

    সোমবার (৫ জুন) ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস । এবারের প্রতিপাদ্য 'প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে', আর স্লোগান 'সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ।' 


    প্লাস্টিকের একক ব্যবহার বা ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্য পরিবেশের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ প্রায় প্রতিদিনই আমরা প্লাস্টিকের বোতল, কফির কাপ কিংবা প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম প্লেট ব্যবহার করছি। এগুলো সাধারণত একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়া হয়। পুনঃব্যবহারযোগ্য না হওয়ায় এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদন হয়। এতে পরিবেশ পড়ছে ঝুঁকিতে। ওয়ানটাইম ইউজ প্লাস্টিক ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে আমরা ব্যবহার করি প্লাস্টিকের পণ্য। আমাদের সচেতনতাই পারে প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে পরিবেশকে নিরাপদে রাখতে। 


    প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে সবার জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশের মতো সোমবার ৫ জুন বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিনটি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের একমাত্র পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ' এই দিবসটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে। দিনব্যাপী প্রায় ১৩ টি কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয় এই সংগঠনের কার্যক্রম। 


    জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের আয়োজনে দেড় শতাধিক সদস্য নিয়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত (জাতীয় সংসদ সদস্য, সিরাজগঞ্জ - ২)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল (বি পি এম পিপিএম বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুস সামাদ তালুকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ।


    আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিবেশগত দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয় এবং জনবান্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করায় পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ'কে পরিবেশ সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আশিক আহমেদ। 


    বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ' দিনব্যাপী কর্মসূচি এর পরবর্তী কার্যক্রম ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতাধিক ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ভেষজ বৃক্ষচারা বিতরণ। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ নুরুল হক। এদিন বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এবং ডিসি গার্ডেনে বৃক্ষরোপণ ও সন্ধ্যায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়ে তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়।


    এছাড়াও 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ'র প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ করে। দিনব্যাপী সংগঠনটি বাকি সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সফল হয়েছে বলে জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আশিক আহমেদ। সে সঙ্গে তিনি দজনুবাদ জানান সংগঠনটির অন্যতম সদস্য সামিনা ইসলাম নীলা, মেহেদী জামান, আব্দুর রহমান, আব্দুল বারি, রেদোয়ান আহমেদ, নূর, নিলয়, রহিম, রাফিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলামসহ উপস্থিত সকলকে। 


    উল্লেখ্য, 'ক্লিন সিরাজগঞ্জ গ্রীন সিরাজগঞ্জ' প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ৬ মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। এই কার্যক্রম টি চলমান থাকবে জুন থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বলে জানায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আশিক আহমেদ।

    বাবা-ছেলে হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলংজানি গ্রামে বাবা-ছেলে হত্যা মামলার ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।


    বুধবার (০৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিন শুনানী শেষে বিচারক বিল্লাল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।


    আসামিরা হলেন-  ঠান্ডু মোল্লা, চাঁদ মোল্লা, আনছার আলী ও রুহুল আমীন। এর আগে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গত ৫ এপ্রিল তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বুধবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।


    সিরাজগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহা: মোস্তফা কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


    উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল উল্লাপাড়ায় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলংজানি গ্রামের মসজিদের পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়ার্ড কৃষকলীগ নেতা জামাল উদ্দিন প্রামানিক নিহত হয়। এসময় নিহত জামাল উদ্দিন প্রামানিকের বাবা মসজিদের মোয়াজ্জিন মোশারফ প্রামানিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। গত ২৮ এপ্রিল বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোয়াজ্জিন মোশারফ প্রামানিকের মৃত্যু হয়।


    এ ঘটনায় নিহত মোয়াজ্জিন মোশারফ প্রামানিকের ছেলে ও মোহনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বাবলু হোসেন বাদি হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এআই 

    পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত

    পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। বুধবার (০৭ জুন) রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ে অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাহবুব আলম (৩০) ও তার ছেলে আব্দুর রহমান (২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। 


    এ সময় অটোরিকশার চালকসহ নিহত মাহবুব আলম এর স্ত্রী এবং কন্যা আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


    নিহত মাহবুব আলম পাবনা স্কয়ারে এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে চাকরি করতেন এবং শহরের কালাচাঁদপাড়ায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকতেন।


    পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল বলেন, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এআই 

    বগুড়ার প্রমত্তা করতোয়া এখন পচা নর্দমার ড্রেন

    উজানে পানি প্রবাহ কমে যাওয়া, দখল-দূষণ এবং গতিপথে মানুষের অবৈধ হস্তক্ষেপে বিপন্ন হচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদ-নদী। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নদী করতোয়াও এখন মৃতপ্রায়। 


    বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রধান তিনটি নদী পদ্মা মেঘনা যমুনা ছাড়াও সরকারি তথ্য মতে ছোট বড় মিলে ৪০৫টি নদীর হিসেব পাওয়া যায়। করতোয়া নদীর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বগুড়া অংশে। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা এককালের প্রমত্তা করতোয়া এখন মৃত নদী। উজান থেকে পানির প্রবাহ  নেই। তাই দখল আর আবর্জনার দূষণে এ নদী জর্জরিত। 


    অব্যাহত দখল, শহরের বাসা-বাড়ির বর্জ্য, খনন বা সংস্কার না হওয়া ও দূষণে পচা নর্দমার ড্রেন বা ক্যানেলে পরিণত হয়েছে। নদীর বুকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে দিনে শুকর-কুকুরদের অবাধ বিচরণ। শহর এলাকার মধ্যে দত্তবাড়ি ঘাট, কাজীখানা ঘাট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় করতোয়া নদীর তীরবর্তী ২৮টি স্পট দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ চললেও কেউ দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ অহরহ। একদিকে দীর্ঘদিন খনন না হওয়া ও অন্যদিকে দখল চলতে থাকায় বগুড়ার মানচিত্র থেকে প্রমত্তা ‘করতোয়া নদী’  হারিয়ে যেতে বসেছে।


    সনাতন ধর্মগ্রন্থে একটি পবিত্র নদী হিসেবে করতোয়ার কথা এর উল্লেখ আছে। নদীটি বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় দিয়ে প্রবাহমান। মহাভারতে বলা আছে, তিন দিন উপবাসের পর করতোয়া নদীতে ভ্রমণ করলে এক অশ্বমেধার সমান পুণ্যলাভ হয়। আরেকটি প্রাচীন শহর শ্রাবন্তী, সেটি মহাস্থানগড়ের উত্তরে করতোয়ার পাড়ে অবস্থিত ছিল বলে মহাভারতে উল্লেখ আছে। ‘কর’ অর্থ হাত, আর তোয়া অর্থ ধোঁয়া জল, অর্থ্যাৎ হাত ধোয়া জল, হিন্দু ধর্মীয় দেবতা হিমালয়ে ধ্যানমগ্ন শিব পার্বতীকে বিয়ে করার সময় শিবের হাত ধোঁয়া জল থেকেই করতোয়া নদীর উৎপত্তি। 


    তাছাড়া বিশিষ্ঠ ইতিহাসবিদ প্রভাত চন্দ্র সেন ‘বগুড়ার ইতিহাস’ গ্রন্থেও ভারতের হিমালয় পাদদেশ থেকে করতোয়া নদীর উৎপত্তির উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে এই নদী চারটি আলাদা ভাগে বিভক্ত। উত্তরের অংশ দিনাজপুর-করতোয়া হচ্ছে আত্রাই নদীর প্রধান উৎস। রংপুর-করতোয়ার উপরের অংশ জলপাইগুড়ি জেলা থেকে উৎপন্ন। এটি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত দিওনাই-যমুনেশ্বরী নামে পরিচিত। তৃতীয় শাখা যমুনেশ্বরী-করতোয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং প্রধান গতিপথটি কাটাখালি হয়ে বাঙ্গালি নদীতে গিয়ে পড়ে। এটিই বগুড়ার করতোয়া, যেটি হুরাসাগরে গিয়ে পড়েছে।


    মোট ৫৯৭ কিলোমিটার বা ৩৭৩ মাইল দৈর্ঘ্যের করতোয়া নদীতে আশির দশকে প্রচুর পানি থাকায় প্রমত্তা ছিল। “জনশ্রæতি আছে করতোয়া নদীতে সওদাগরী জাহাজ, লঞ্চ এবং বড় বড় নৌকা (বজরা) যেটা বলে সেটা যাতায়াত করতো। পণ্য পরিবহন হতো এবং ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পুর্ন্ড্রবর্ধন নগরী বগুড়া এবং করতোয়া নদীকে  কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে সভ্যতা গড়ে উঠেছে।


    বগুড়া শহরের শাহ্ ফতেহ আলীর (রহ.) মাজার সংলগ্ন এ নদীতে ঘাট ছিল। পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি থেকে বগুড়া পর্যন্ত প্রায় ৬০কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর দুই তীরে সেচ দেওয়া যেত। তীরে বসবাসকারীরা খাবার পানি সংগ্রহ ও প্রাত্যহিক কাজ করতেন এ নদীর পানি দিয়ে। খর¯্রােতা হওয়ায় পারাপার খুবই কষ্টসাধ্য ছিল।


    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্র্ড ১৯৮৮ সালে উজানে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খুলশিতে বাধ ও সুইসগেইট নির্মাণ করে। সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতার কারনে করতোয়ার পানি প্রবাহের গতিপথ সম্পূর্ণ বন্ধ ও ভরাট হয়ে গেছে। সে থেকেই প্রভাবশালীরা ধীরে ধীরে দখল-দূষণ নানা প্রাকৃতিক কারনে বন্যাজনিত ক্ষয়-ক্ষতি ও নদী সংস্কারের অভাবে করতোয়া পূর্বের সকল বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে। অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে দ্রুত নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি মানুষের অপরিনামদর্শী কর্মকান্ড প্রভাব ফেলেছে করতোয়া নদীর উপর।


    বর্তমানে বগুড়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের আবর্জনা, ড্রেনের পানি নদীর বুকে এসে পড়ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় ১৫-১৬ টন বর্জ্য নদীর পানিতে মিশছে আর নদীর পানি পচে কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। অপর্যাপ্ত পানি প্রবাহ ও দখলবাজদের অবৈধ দখলের কারণে ¯্রােতস্বীনি বেগমতি করতোয়া নদী এখন মৃতপ্রায়। সচল, সজিব, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতিক করতোয়া নদী এখন হয়ে উঠেছে শ্রীহীন, কঙ্কালসার, নিশ্চুপ ও স্থবির। স্বচ্ছ জলপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ার কারনে নদীতে দ্রুতহারে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে।


    এদিকে বগুড়ার স্থানীয় জনগণ করতোয়া নদী দখলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতাকে দায়ী করে অবিলম্বে প্রভাবশালীদের কবল থেকে নদীরক্ষা ও খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখা নদীরক্ষায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও শুরু করেছে।


    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, বগুড়াকে বাঁচাতে হলে ব্যাপক পরিবেশগত সচেতনতা ও স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে করতোয়া নদী সচল রাখতে হবে। 


    এ বিষয়ে বগুড়ার বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, পৌরসভা অনেক আগেই চিঠি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কাউন্সিলরদের নিয়ে কমিটি করে ময়লা যাতে করতোয়ায় না পড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।


    বগুড়া সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু এ প্রতিবেদককে জানান, পুর্ন্ড্রবর্ধন নগরী ছেদিত করতোয়া নদীই বগুড়ার ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। এ নদীকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।


    নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নদী ও খাল-বিলের পানি প্রবাহে বাধা সৃৃষ্টিকারী সব ধরনের স্থাপনা অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশনাসহ ডিসিকে জরুরি ভিত্তিতে এবিষয়ে লিখিত নির্দেশনা পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক নদীর অবৈধ জায়গা উদ্ধারে বগুড়ার করতোয়া নদীর নাম রয়েছে এই সরকারি তালিকায়।


    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক তন্ময় সান্যাল জানান, নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং পানির প্রবাহ অক্ষুন্ন রাখতে ২০১৫ সালের ২২ জুন জেলা প্রশাসকসহ ২১ জনকে বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট করে বেলা নামের সংগঠন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে জেলা প্রশাসন করতোয়া নদীর সীমানা দখল করে নির্মিত কিছু স্থাপনা অপসারণ করে। 


    বগুড়া জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, শহরের মধ্যে করতোয়া নদীর কয়েকটি স্থানে দখল হয়েছে। নদী দখল হয়ে যাওয়া স্থানে বাড়িঘর, ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। একাধিকবার করতোয়া নদী দখলের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন দখলদারের মধ্যে ২৮ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো মামলা রয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে দখলদারের তালিকা তৈরি হচ্ছে। নতুন দখলদারের বিরুদ্ধেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


    বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, করতোয়া নদী রক্ষায় বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়। সে সময় থেকে ‘করতোয়া নদী উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রস্তাব করা হয়। সম্প্রতি করতোয়া নদী উন্নয়ন প্রকল্পটি আবারো সমীক্ষার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেল (আইডবিউএম), বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিবিএস) ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যৌথভাবে এই সমীক্ষা করছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সমীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। করতোয়া নদী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে। তবে ২০১৯ সালের পর এটি বেশি জোরদার হয়। এ প্রকল্পটির সমীক্ষা করছে তিন প্রতিষ্ঠান। প্রথম ধাপ এ মাসেই শেষ হবে। সমীক্ষায় কমপোনেন্টগুলো (উপাদান) যাচাই শেষ হলে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হবে।


    তাছাড়া বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে করতোয়া নদীর পরিবেশ দূষণ বন্ধ, শহরের যানজট নিরসনে সড়ক নির্মাণ। করতোয়া নদীর বগুড়া জেলা অংশের শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তরের সীমানা থেকে শেরপুর উপজেলার দক্ষিণ সীমানা পর্যন্ত মোট ১২৩ কিলোমিটার এলাকা খনন। একই সঙ্গে খনন করা হবে সুবিল খাল ৩১ কিলোমিটার, ইছামতী নদী ৭২ কি.মি ও গজারিয়া খালের ৩৫ কিলোমিটার। নদীর দুই পাড়ের ২৭ কিলোমিটার এলাকায় ২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা ও ৬ ফুট ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মাস্টার ড্রেন নির্মাণকাজ, পানি নিয়ন্ত্রণে তিনটি অবকাঠামো নির্মাণ, নদীর দুই পাড়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, পানির ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণকাজ। প্রকল্পের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ থাকবে। এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার  কোটি টাকা। এখানে সুখবর হচ্ছে প্রস্তাবনাটি একনেকের সবুজ পাতাভুক্ত হয়ে আছে।


    সম্প্রতি বগুড়া সার্কিট হাউজে স্মার্ট বগুড়া’ বিনির্মাণে জেলা প্র্রশাসন ওই পরামর্শমূলক কর্মশালায় জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, করতোয়া নদী বগুড়ার প্রাণ। কিন্তু দখল-দূষণে করতোয়া নদীর প্রাণবৈচিত্র্য প্রায় নিঃশেষ। শহরের অংশে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীকেন্দ্রিক শহর ছিল একসময় বগুড়া। সভ্যতার বিবর্তনে করতোয়া এখন ধুঁকছে। স্মার্ট বগুড়া গড়ার অংশ হিসেবেই ‘স্মার্ট করতোয়া রিভার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে করতোয়া তার যেমন হারানো যৌবন ফিরে পাবে, তেমনি স্মার্ট বগুড়া গড়াও সহজ হবে।

    এআই 

    সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: দুই চালকের বিরুদ্ধে মামলা

    সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে।


    বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যান। মারা যাওয়া বাদশা (২২) নামের ওই যুবক দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে।


    এর আগে ৭ মে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া পিকআপে প্রায় ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৪ জন।


    দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাম মিয়া (২৬), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২) ও দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে বাদশা (২২)।


    নিহতের ঘটনায় দুই চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


    বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের ইজাজুল বাদী হয়ে  মামলাটি দায়ের করেছেন। দুই চালক পলাতক রয়েছেন। আইনি পক্রিয়া চলমান আছে।’


    জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। স্বজনরা জানান, নিহত সবাই নির্মাণ শ্রমিক। দৈনিক মজুরীতে তারা বাসার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ করতো। বুধবার ভোরেও তারা একটি বাসার ঢালাইকাজের জন্য সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।


    এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।


    সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন।

    এআই 

    বিএনপি ভাতের বদলে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল: আবু জাহির

    হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষকে ভাতের বদলে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তাঁরা ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি; উল্টো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে।


    তিনি বুধবার (০৭ জুন) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।


    এমপি আবু জাহির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত প্রায় ১৫ বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। বিএনপি মানুষকে ন্যায্যমূল্যেও সার দিতে পারেনি; সারের জন্য আন্দোলনে যাওয়া কৃষকদের তারা গুলি করে হত্যা করেছে।


    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশজুড়ে কৃষককে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে উন্নত কৃষিযন্ত্র ও বিনামূল্যে সার-বীজ দিচ্ছে। ফলে কৃষকের জমিতে ধানের বৈপ্লবিক ফলন হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।


    এ সময় আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে কাজ করার আহবান জানালে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী হাত তুলে তাঁর বক্তব্যের প্রতি একাত্মতা পোষণ করেন।


    সম্মেলনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ছায়েদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, নুরুজ্জামান চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জাকারিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির আহমেদ রনি প্রমুখ। 

    এআই 
    ছেলের জন্য পাত্রী দেখে রেখেছিলেন সৌরভের মা

    এক সপ্তাহ আগে বেড়ানোর কথা বলে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে সিলেটে এসেছিলেন সৌরভ মিয়া (২৭)। পরে বাড়ির লোকদের না জানিয়েই পরিচিতদের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লেগে যান।


    এদিকে বাড়িতে তার বিয়ের জন্য পাত্রী পছন্দ করে রেখেছিলেন মা আমিনা বেগম। এরইমধ্যে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে সৌরভের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আমিনা বেগম। 


    ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী সিরাজ মিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আসা আমিনা বেগম বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, “আমার পুতরে (ছেলে) বিয়া কারইতে আসলাম, মেয়ে দেখি রাখছিলাম গো। আমার পুতের কিতা হইল, তোমরা আমার পুতরে আনি দেও।’’


    শোকাহত এই মায়ের কান্না-আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালের পরিবেশ। তাকে ধরে রাখা স্বজনরাও সৌরভের বিভিন্ন কথা বলে-বলে কান্না করছেন। পাশে বসেই কান্না করছেন সিরাজ মিয়াও।


    সিরাজ মিয়া ও আমিনা বেগমের বাড়ি দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তাদের ছেলে সৌরভ মিয়া বেড়াতে এসে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় পরিচিতদের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার ভোরে উঠে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে যাওয়ার জন্য পিকআপে উঠেন সৌরভসহ ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক।


    পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমায় নাজিরবাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের বহনকারী পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে সৌরভসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০-১২ জন।


    বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হতাহতদের স্বজনের ভিড় বাড়তে থাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাই আমিনা বেগমের আশে-পাশে আরও অনেকে কান্নায়-আহাজারিতে স্বজন হারানোর শোক জানাচ্ছেন।

    ৩ মাসের ব্যবধানে দুই স্বামীকে হারালেন শারমিন!

    তিন মাসের ব্যবধানে দুই স্বামীকে হারালেন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শারমিন বেগম। প্রায় তিন মাস আগে তার স্বামী হেলাল আহমদ মারা যান।

    এরপর দুই সন্তান নিয়ে মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন হেলালের স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৫) বিয়ে দেন ছোট ভাই দেবর দুলাল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর কাজের জন্য সিলেটে আসেন দুলাল। থাকতেন আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকার ভাড়া বাসায়।


    কিন্তু বুধবার (০৭ জুন) সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নাজিরবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুলাল মিয়া (২৬)। তিন মাসের ব্যবধানে দুই স্বামীকে হারিয়ে শারমিন এখন পাগল প্রায়।


    দুপুরে লাশ হস্তান্তরকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আহত-নিহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ। হাসপাতালের হিমঘরের পাশে স্বজনদের ভিড় লেগে আছে। মাটিতে গড়াগড়ি করে কাঁদছেন তাদের অনেকে। হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন নিহত দুলাল মিয়ার ফুপাতো ভাই মো. শাহীন। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পাশে থাকা স্বজনরা।


    মো. শাহীন জানান, দুলালের বড় ভাই হেলাল আহমদ প্রায় তিন মাস আগে দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে যান। মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন হেলালের স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৫) বিয়ে দেন দুলাল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর কাজের জন্য সিলেটে আসেন দুলাল। থাকতেন আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকার ভাড়া বাসায়।


    এদিকে হিমঘরের পাশে পাশে মাটিতে বসে আহাজহারি করছিলেন মেহের মিয়ার স্ত্রী চাঁদনী বেগম। আহাজারি করে তিনি বলেন, সকালে ডিম রান্না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে না খেয়েই চলে যায়। এখন আমার বাচ্চাগুলো এতিম হয়ে গেলো। আমি টাকা চাই না। বাচ্চাদের বাবাকে চাই।


    কাঁদতে কাঁদতেই চাঁদনী বলেন, গরমে কাল রাতে ঘুম আসছিল না। রাত দুইটার দিকে সে আমারে ডাক দেয়। বলে তোর জন্য একটা ফ্যান কিনে দেবো। আমারে আ ফ্যান কিনে দিতে পারলো না।


    দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত সাজেদুরের ভাই শের ইসলাম (৫৫)। ভাইকে হারিয়ে আহাজারি করছেন শের ইসলাম। তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক আমাদের দিকে ছুটে এসে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আমাদের সবকিছু।


    একই তথ্য জানিয়ে দুর্ঘটনা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক এসে আঘাত করলে আমাদের পিকআপ উল্টে যায়। ট্রাকটি সড়কে তার ডানে চলে এসেছিল। দুর্ঘটনায় আমি আর বাবা আহত হলেও প্রাণে বেঁচে আছি। তবে আমার বড় চাচা আর নেই।

    এআই 
    নিহত স্বজনদের পাঁশে নৌ প্রতিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসনের নগদ অর্থ অনুদান

    সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (০৭ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 


    এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর ১১টার দিকে সিলেট সফররত নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হাসপাতালে ছুটে যান।


    তাঁরা নিহতদের স্বজনদের শান্তনা দেন ও আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করেন।

    পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ায় পর মারা যান আরো ৩ জন।  আহত ও নিহত সকলই নির্মান শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।


    নিহত ১৪ জন হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মো. সি‌জিল মিয়া (৫৫), এক‌লিম মিয়া (৫৫), হা‌রিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ ‌মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০) ও মেহের (২৫), সুনামগঞ্জের শা‌ন্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়‌া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।


    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশের ঝুপ-ঝাড়ে সন্ধান চালাচ্ছি, আর কোনো হতাহত পড়ে আছেন কি না দেখার জন্য।’


    জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    এআই 

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    ভারতকে নেটোয় যোগদানের আহ্বান, কোন পথে হাটবে নয়াদিল্লি
    নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা উত্তর অতলান্তিক চুক্তি সংগঠনের (সংক্ষেপে নেটো) পথ চলা শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নেটোর জন্ম। সদস্য দেশগুলিতে শান্তি রক্ষাই এই সংগঠনের উদ্দেশ্য।নেটোয় এখনও পর্যন্ত ৩১টি দেশ যুক্ত হয়েছে। এই ৩১টি সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি মতো শক্তিধর দেশ গুলো তবে এবার এই নেটোতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতকে।সম্প্রতি আমেরিকা-ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনে যুক্ত হওয়ার ডাক পেয়েছে নয়াদিল্লি। পরোক্ষ ভাবে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে এই সংগঠন থেকে ভারতকে নেটোয় যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।আমেরিকার সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নেটোয় যোগ দিয়ে তারা মিত্রতাকে খাতায়কলমে স্বীকৃতি এখনও দেয়নি।বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তিশালী দেশগুলির সঙ্গে ভারত সাধারণত সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে চলে। আমেরিকার সঙ্গে মিত্রতায় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক তিক্ত হতে পারে।এ ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে রাশিয়া। আমেরিকার পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক ভাল। ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও ভারত সরাসরি পুতিনের দেশের সমালোচনা করেনি।আমেরিকার ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত নেটোর ৩২তম সদস্য দেশ হবে কি না, তা নিয়ে তাই সংশয় রয়েছে। দোটানায় পড়েছে নয়াদিল্লি। বল এখন তাদেরই কোর্টে।এক দিকে, নেটোর ডাকে সাড়া না দিলে আমেরিকার বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কা। অন্য দিকে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের প্রেক্ষিতে নেটোর সদস্যপদ গ্রহণ দিল্লির কাছে খাল কেটে কুমির আনার সমান।ভারতকে আহ্বানের মধ্যে নেটো কিংবা আমেরিকার অন্য কোনও পরিকল্পনাও থাকতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। নেটোর ইতিহাস ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।এর আগে লিথুয়ানিয়া, এস্টোনিয়া, আজারবাইজানের মতো ছোট দেশগুলি নেটোর পাতা এমন ফাঁদেই পা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশও নেটোর ষড়যন্ত্রের শিকার বলে মনে করেন অনেকে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া এখনও নেটোতে যোগ দেয়নি।নেটোতে যোগ দেওয়ার জন্য এই দেশগুলির উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে দাবি। একই সঙ্গে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা হয় দেশগুলির মনে। এই নীতিতেই একাধিক দেশকে সদস্যপদ গ্রহণে বাধ্য করেছে নেটো।গত কয়েক বছরে ভারতকে সদস্য করার জন্য নেটোর তোড়জোড় চোখে পড়ছে। প্রকাশ্যে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের জন্য আহ্বান তো আছেই, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে নেটো সদস্যেরা।২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের সময় নেটোর অন্যতম সদস্য ফ্রান্স প্রকাশ্যেই ভারতের সাহায্যার্থে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারতকে খুশি করতে এমন একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকা-ঘনিষ্ঠ সংগঠনের তরফে।অনেকে বলেন, নেটোয় যোগ দিয়ে দেশগুলির আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং শান্তি রক্ষার কথা বলা হয় বটে, কিন্তু এর নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য উদ্দেশ্য।নেটোর মূল চালক দেশ, বিশেষত আমেরিকা ছোটখাটো দেশগুলিকে এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করে আসলে ওই দেশগুলির উপর ছড়ি ঘোরানোর পথ প্রশস্ত করে নেয়। ‘নিরপেক্ষ’ ভারতকেও তেমন ফাঁদে ফেলা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।নেটোর এই কূটনীতির সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসাবে ইউক্রেনের নাম করা হয়। রাশিয়ার প্রতিবেশী এই দেশটির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছিল নেটো। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর কিন্তু নেটোর থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন বা সাহায্য পাননি জ়েলেনস্কি।ভারতের কি নেটোকে প্রয়োজন আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই আসে ভারতের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। দেশ যত দিন সুরক্ষিত আছে, বহিরাগত শত্রুর হাত থেকে যত দিন ভারত আত্মরক্ষা করতে সক্ষম থাকবে, তত দিন নেটোর মতো সংগঠনকে প্রয়োজন নেই দিল্লির। অন্তত এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাট বড় অংশ।পাকিস্তান কিংবা চিন ছাড়া আর কোনও দেশের সঙ্গে ভারতের তেমন শত্রুতা নেই যা থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। নেটোয় যোগ দিলে এই দুই দেশ ভারত আক্রমণের আগে দশ বার ভাবতে বাধ্য হবে।নেটোয় যোগ দিলে পৃথিবীর অন্যতম অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারত। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ইতিবাচক মোড় ঘুরতে পারে নেটোর হাত ধরে।নেটোয় যোগদানের যাবতীয় ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলি বিবেচনা করে অত্যন্ত সন্তর্পণে পা ফেলতে হবে দিল্লিকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের একটি ভুল পদক্ষেপ দেশকে এক ধাক্কায় অনেকখানি পিছিয়ে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজের ‘নিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তি বজায় রাখাই ভারতের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ।পিএম
    ৪০ বছর ধরে ঘুমাননি, হননি কখনো অসুস্থ !
    পৃথিবীতে অনেক অলৌকিক ঘটনাই অহরহ ঘটে থাকে তবে এবার এক আশ্চর্যজনক এবং অকল্পনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছে সৌদিআরবের ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধ ।সৌদিআরবের আল বাহা শহরের সৌদ বিন মুহাম্মাদ আল-গামদি (৭০)নামের এক সৌদি নাগরিক গত ৪০ বছর যাবত ঘুমায়নি আর এর ফলে হয়নি কখনো অসুস্থও এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন সৌদিবাসী ।তথ্যে জানা যায়, সৌদ বিন মুহাম্মাদ আল-গামদি প্রবীণ ব্যক্তি যে কিনা টানা ৪০ বছর ধরে ঘুমাতে পারেনি,এবিষয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশ কয়েকবার শরণাপন্ন হয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এবং গিয়েছিলেন হসপিটালেও তাতেও হয়নি কোন লাভ ।কষ্টের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে সৌদ বিন মুহাম্মাদ আল-গামদি বলেন আমি মানসিকভাবে অসুস্থ, উন্মাদ বা জাদুগ্রস্ত নই, তবে আমি এমন একজন ব্যক্তি যে অন্য সব মানুষের মতো ঘুমায় না।আল-গামদি একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যেখানে ডাক্তাররা তার চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন,এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়নি, কারণ তিনি অস্বস্তি এবং উদ্বেগে ভুগছিলেন।তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তার অবস্থাকে মানসিক বিষণ্নতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।র্নিঘুম এতটা বছর পাড় করার পরেও তিনি সুস্থ জীবন যাবন উপভোগ করছেন এবং তার সকল কাজ সুন্দর ভাবে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।পিএম
    পবিত্র মক্কায় বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
    বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করতে যাওয়া এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে পবিত্র মক্কায় । গত শনিবার মো. আলী হোসেন (৬৭) নামে একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যু বরণ করেন । তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানায় । এযাবৎ বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়া হাজীদের মধ্যে আলী হোসেনসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে । এর আগে শফিকুল ইসলাম (৫৪), শাহানারা বেগম (৬৪) ও মো. আব্দুল ওয়াহেদের (৪৬) মৃত্যু হয়। নিহতদের সকল হাজী পবিত্র মক্কায় মৃত্যু বরণ করেন । শনিবার রাত পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার গিয়েছেন ৯ হাজার ৮৯ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গিয়েছেন ৪০ হাজার ৯২৫ জন। উল্লেখ্য,চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।পিএম
    আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ: কবে তৈরি হতে পারে, কোথায় আছড়ে পড়বে?
    মোখার পর এবার তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় তেজ। তৈরি হলে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে আরব সাগরের পাড়ে। তাণ্ডব চালাতে পারে ভারতের মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ এবং কেরালাতে। বিধ্বংসী আকার নিতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সোমবার আরব সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় তেজ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিত্রটা স্পষ্ট হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণ এই সময়। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরের তীরবর্তী রাজ্যগুলোতে এই ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। তারপর আরব সাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরতম নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুরু হবে প্রবল বৃষ্টিপাত। খবরে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তরদিকে অগ্রসর হতে পারে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমঘাটে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভাসতে পারে কেরালা। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বর্ষার পথে এই সাইক্লোন কোনওভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। ইতোমধ্যেই কেরালার আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। রবিবার কেরালায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফরকাস্ট এবং গ্লোবাল ফরকাস্ট সিস্টেমের তরফে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী ডি. শিবানন্দ পাইও বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছেন। এর প্রভাব বিধ্বংসী হতে পারে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। আরব সাগরে ৮ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তেজ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৭ জুনের মধ্যে একটি নিম্নচাপে তৈরি হবে আরব সাগরে। যা কেরালা উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে সেটি। পরবর্তীতে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার নাম হবে তেজ।
    ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি আহত
    ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার (০২ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৮৮ জন। আহত হয়েছেন ৯০০।দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের কটকের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা নিজেদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার পরিস্থিতিতে ছিলেন না।সেখানকার চিকিৎসক টি সুরেশ কুমার গুপ্তা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুইজন বাংলাদেশি যাত্রী এখানে ভর্তি হয়েছেন। যদিও তাদের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তাদের উভয়ের শরীরের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শরীরের ত্বকের অবস্থা ভালো না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কেই উড়িষ্যার কটকে শ্রী রামচন্দ্র ভঞ্জ (এসসিবি) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশিদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।বাংলাদেশী যাত্রীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা করে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কার্যালয় শুক্রবার রাতেই একটি বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনা কবলিত কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করেন। এই বিবেচনায় ওই দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন,।সাধারণত করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি করে প্রচুর বাংলাদেশি ভেলোরে যান চিকিৎসা করাতে। কলকাতা হয়ে যারা চেন্নাইতে চিকিৎসা করাতে যান, তাদের অন্যতম বাহন এই ট্রেনটি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু রোগীরও আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পড়াশোনার উদ্দেশ্যেও কলকাতা হয়ে চেন্নাইতে যান অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।এআই 
    ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত ৯০০
    ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮০ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।শুক্রবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছে।উড়িষ্যার ডিজিপি ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষ কর্মকর্তা সুধাংশু সারাঙ্গি জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮০।শুক্রবার বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি।জানা গেছে, সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক বগি। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি বগি বাদ দিয়ে ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে।রেল সূত্রে জানানো গেছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল কর্মকর্তা-কর্মীসহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সকাল ১০টায় ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড আকাশপথে উড়িষ্যার বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এআই 
    ভারতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১০০, বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা
    ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হ্ছে। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৬৭০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি। জানা গিয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক কামরা। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি কামরা বাদ দিয়ে ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে খবর।এফএস
    ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫০
    ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দেশটির রেল সূত্র জানিয়েছে। খবর দ্য হিন্দুর। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে ৩০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।জানা যায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ট্রেনটির সঙ্গে একটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেনটির প্রায় ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনের গতি বেশি থাকায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়।এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বাংলার অনেকে জখম হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে উদ্ধার কাজ চালাতে সেখানে একটি দল পাঠানো হচ্ছে।দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আদিত্য চৌধুরী বলেন, বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কিছু একটা হয়েছে। আমরা কোনোভাবে এখনো কিছু জানতে পারিনি। জানার চেষ্টা করছি। জানামাত্রই জানানো হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে। এর ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সব কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে।তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ।করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে হেল্পলাইন সার্ভিস চালু করেছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনের নম্বরগুলো হলো- হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২৬৩৮২২১৭; খড়গপুর স্টেশন ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯; বালেশ্বর স্টেশন ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২; শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৩৭০৭৪৬।এ দুর্ঘটনার পর ৫টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে দেশটির দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এফএস
    সৌদির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ প্রবাসী নাগরিক
    সৌদি আরবের বর্তমান জনসংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ২২ লাখের অধিক পৌঁছেছে। ২০২২ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জনসংখ্যা পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ।তথ্যে জানা যায়, সৌদির জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিক। বাকি ১ কোটি ৩৪ লাখ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা, যা মোট জনসংখ্যার ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ।আদম শুমারি অনুযায়ী, সৌদি আরবের লোকজনদের বর্তমান গড় বয়স ২৯ বছর করে। দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী ৬৩ শতাংশ।পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ (১ কোটি ৯৭ লাখ) পুরুষ। এবং নারীর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ শতাংশ।আদম শুমারির বিষয়ে সৌদির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকসের চেয়ারম্যান ফয়সাল আল-ইব্রাহিম জানিয়েছেন, ২০২২ সালের আদমশুমারি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প।এর ফল হবে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির উন্নয়ন, বিভিন্ন খাতের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা ।পিএম
    চিনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনে পা রাখছেন প্রথম কোন অসামরিক নাগরিক
    প্রথম কোনও অসামরিক নাগরিককে মহাকাশে পাঠানোর নজির গড়ল চিন। এর আগে তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে বহু মহাকাশচারীকে পাঠিয়েছে চিনা প্রশাসন। তবে তাঁরা সকলেই ছিলেন চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-র সদস্য।চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুই হাইচাও নামে এক ব্যক্তিকে আজ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। বছর ৩৬-এর গুই বেজিংয়ের এরোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন অধ্যাপক। আগামী ছ’মাস মহাকাশে থাকাকালীন গুইয়ের কাজ হবে ‘পেলোড’ বিশেষজ্ঞের। মহাকাশের পথে গুইয়ের সঙ্গী হচ্ছেন চিং হাইপেং ও জো ইয়াংচো নামে দুই বিজ্ঞানী। এঁরা দু’জনেই পিএলএ-র সদস্য। চিং এই নিয়ে চতুর্থ বার যাচ্ছেন মহাকাশে।কাল সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে গুই লিখেছিলেন, তিনি চিনের সাধারণ একটি পরিবারে বড় হয়েছেন। ২০০৩ সালে রেডিয়োতে একটি অনুষ্ঠানে শুনেছিলেন চিন থেকে মহাকাশে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি ইয়েং লিউয়ের নিজের মহাকাশ যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। সেই থেকে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর মনেও।২০১১ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল চিনকে। তার জবাবে তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনটি তৈরি করে তারা। সেটিকে আরও উন্নতমানের করে তুলতে ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে নিয়মিত ব্যবধানে তিন জন করে মহাকাশচারীকে সেখানে পাঠানো হয়। তেমনই একটি অভিযানে গেলেন গুই এবং সঙ্গীরা।পিএম

    বিনোদন

    সব দেখুন
    পুলিশ অবতারে নীরব, রহস্যময়ী বুবলি
    প্রায় দুই বছর আগে শুটিং শেষ হয়েছে 'ক্যাসিনো' সিনেমার শুটিং। শাকিব খানের বাইরের গিয়ে প্রথমবারের মত বুবলি এই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন নীরবের সঙ্গে। যদিও এর মধ্যে বুবলির অন্য নায়কদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। অবশেষে ২০১৯ সালে শুটিং শুরু হওয়া ছবিটি এবার মুক্তির আলো দেখতে যাচ্ছে। ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে।ঈদে মুক্তির অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ছবিটির টিজার। সে টিজারে কখনও আবেদনময়ী, কখনও রহস্যময়ী এক বুবলীকে দেখা গিয়েছে। এক মিনিটের টিজারের শেষ অংশে তার চোখ টিপ দেওয়া দর্শকদের ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে।অ্যাকশন প্রধান্য পাওয়া টিজারটিতে সিনেমার মূল বিষয়বস্তু ক্যাসিনোর অন্ধকার জগতও তুলে আনা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা নীরবের সঙ্গে টেক্কা দিয়েছেন তাসকিন রহমান।ক্যাসিনোর গল্প-চিত্রনাট্য লিখেছেন আসাদ জামান। এতে আরও অভিনয় করেছেন দোয়েল ম্যাশ, নিপা আহমেদ রিয়েলি প্রমুখ। সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজিত ছবিটি পরিবেশনা করবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির। 
    ওটা তেমন কোনো ঘটনাই ছিলনা, ভিডিও প্রসঙ্গে সুনেরাহ
    অভিনেত্রী তানজিন তিশা,নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের সঙ্গে 'আপত্তিকর' ছবি ও ভিডিও ক্লিপ মঙ্গলবার (৩০ মে) মধ্যরাতে আপলোড করা হয় চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ফেসবুক আইডি থেকে। যদিও কিছুক্ষণ পরই সেগুলো মুছে দেওয়া হয়।ভিডিওতে দেখা যায় 'অশ্লীল' শব্দের ব্যবহার। এগুলো নজরে আসতেই দেশজুড়ে সমালোচনার টেবিলের সুনেরাহ'র নাম।সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুনেরাহ বিনতে কামাল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, তাতে সিনেমার ওপর প্রভাব পড়বে না। কারণ ওটা তেমন কোনো ঘটনাই ছিলনা। বন্ধুদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণের একটি ভিডিও; যা আমার মাধ্যমে নয়, অন্য কেউ প্রকাশ করেছে। এ ধরনের ব্যক্তিগত ভিডিও যিনি প্রকাশ করেছেন, তিনি অন্যায় করেছেন। তারপরও ভিডিওতে বাজে কিছু শব্দ ব্যবহারের কারণে আমি দুঃখ প্রকাশও করেছি।'ইস্যুটি নিয়ে আপনার আর কিছু বলার আছে কি না প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, 'এ বিষয়ে আমি আর জড়াতেও চাই না, আর কথাও বলতে চাই না। আমার জায়গা যতটা ক্লিয়ার করা দরকার ছিল, আমি করেছি। আমার কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ বা কিছুই নেই। আমি এখন যে সিচুয়েশন দিয়ে যাচ্ছি এটি আমি ডিজার্ভ করি না। আমি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, পড়াশোনা করি, কাজকে ভালোবাসি। এর বাইরে সময় পেলে সিনেমা দেখি আর ঘুমাই। শুরুর দিকে আমি হয়তো একটু এলোমেলো ছিলাম। তবে এখন সব গুছিয়ে নিয়েছি।'
    নৌকার নমিনেশন না পেয়ে দুবাই গেলেন অভিনেতা সিদ্দিক!
    অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের ইন্তেকালের পর তার আসন (ঢাকা-১৭) মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন একাধিক তারকা। সেই তালিকায় ছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানও।মনোনয়ন সংগ্রহের পর ওইদিন ছোটপর্দার রম্য এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি এ আসনে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়ন করব।’কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে মনোনীত করা হয়। পরে গণভবনের বাইরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এদিকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের। এরপর গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য আমাকে সিলেকশন করেননি। সে কারণে একটু মন খারাপ।’‘কিন্তু মন খারাপ হলে মানুষ কী করে, মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। সেজন্য আমিও ‍ঘুরতে আসছি দুবাইয়ে এবং কেনাকাটা করতে। অনেকেই আছে যে মন খারাপ হলে ঘুরলে এবং কেনাকাটা করলে মন ভালো হয় আমারও তাই। আমি আওয়ামী লীগের লোক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের সৈনিক। নৌকার মানুষ আমি। আমি সেই জায়গা থেকে বলতে চাই ঢাকা-১৭ আসন থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে আমি সত্যিকার অর্থে মানুষটার পক্ষেই কাজ করব, নৌকার পক্ষে কাজ করব। কারণ, আমি নৌকার বাইরের মানুষ না। আমি আওয়ামী লীগের,’ বলেন এই অভিনেতা। ওই ভিডিও বার্তায় সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা যারা এই নৌকার মাঝি হওয়ার জন্য নমিনেশন পেপার উঠিয়েছিলেন আমি ছাড়াও ২১ জন। এই ২১ জনের মধ্যে আমার বাবার সমতুল্য মানুষও ছিল। আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই- দিনশেষে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে বাঁচতে চাই। সেজন্য আমি বলব, আসুন আমরা সবাই মিলে উন্নয়নের মার্কায়, নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সেগুলো করি।’ছোটপর্দার এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার কাণ্ডারী করে ঢাকা-১৭ আসনের জন্য নমিনেশন দিয়েছে আমরা সবাই যদি তার জন্য কাজ করি, আমার মনে হয় সেটা হবে সত্যিকারে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেওয়া। আমি আশা করব গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট এবং ভাষানটেক এলাকার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে নৌকাকে জয়ী করবে আগামী উপনির্বাচনে।’সিদ্দিকুর বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে হয়ত বা আমাদের কে দেখতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন যে তার যোগ্যতার মাপকাঠিতে আমরা আসলেই যোগ্যতা অর্জন করেছি তাহলে এখান থেকে আমাদের যে কারও একজনকে দেখতে পারেন এই ঢাকা-১৭ আসনের জন্য বা বাংলাদেশের অন্য একটা জায়গার জন্য। সর্বপরি সবাইকে বলব অচিরেই ফিরে আসব বাংলাদেশে। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারি।’
    প্রতারণার শিকার টাইগার শ্রফের মা
    মোটা অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলিউড তারকা টাইগার শ্রফের মা ও জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী আয়েষা শ্রফ। অর্ধকোটি রুপি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। এরইমধ্যে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন আয়েষা। প্রতারিত হয়ে ছুটে গেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ থানায়। প্রতারকের বিরুদ্ধে করেছেন অভিযোগ দায়ের। থানা থেকে জানানো হয়েছে, অর্থের পরিমাণ ৫৮ লক্ষ। আলান ফার্নান্ডেজ নামে জনৈক ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন তার সঙ্গে। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৪২০, ৪০৮, ৪৬৫, ৪৬৭ এবং ৪৬৮ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়। এরচেয়ে বেশি কিছু পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়নি সংবাদমাধ্যমকে।আয়েষার প্রতারিত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে আরও বড় অঙ্কের অর্থ খুইয়েছেন তিনি। আট বছর পূর্বে ৪ কোটি রুপি প্রতারণার শিকার হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেতা শাহিল খানের বিরুদ্ধে। এবার ফের অর্ধ কোটি রুপি হারালেন এই অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
    বাজারে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।রোববার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য, সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।এসআর
    কাল থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি: কৃষি মন্ত্রণালয়
    অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৫ই জুন) থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, আগামীকাল (সোমবার) থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পিয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।জানা গেছে, সারা দেশে পিয়াজের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি। মাসজুড়ে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক এই মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রী আমদানির আশ্বাস দিলেও বাজার পর্যবেক্ষণের নামে সময় নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করে অসাধু চক্র। গত এক মাসে ভোক্তার পকেট থেকে প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এপ্রিলের শেষ দিকে পিয়াজের কেজি ৪০ টাকা ছিল। হঠাৎ করে মে মাসের শুরুর দিকে এর দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি শুর হয়। ওই সময়ে চক্রটি কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজ ৪০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সুযোগ বুঝে অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ অসাধুরা যে কোনো অজুহাতে ভোক্তার পকেট কাটে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বছরে পিয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। পিয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।এফএস
    বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবে
    প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস, কৃষিপণ্যসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।দাম কমবেমাংস, বিস্কুট, কনটেইনার, ক্যানসারের ওষুধ, হট রোল, কোল্ড রোল, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, টার্বো ইঞ্জিন, ১৫ আসনের কম মাইক্রোবাস, কেক, হোমমেড বিস্কুট, ওপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মিষ্টি, কৃষি যন্ত্রপাতি, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়পার, ম্যালেরিয়া ও যক্ষা নিয়ন্ত্রণ ‍ওষুধ, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনের কাঁচামাল, সিলিকন টিউব।বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট, টানা ১৫তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
    বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
    'উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যেরকলমবলপয়েন্ট কলম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কলম উৎপাদনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে। দাম বাড়তে পারে কলমের।থালাবাসনপ্লাস্টিকের তৈরি থালা, বাটি ও অন্যান্য পণ্যের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। টিফিন বক্স ও পানির বোতলে ভ্যাট আগের মতো থাকবে। অ্যালুমিনিয়ামের থালাবাসন ও রান্নাঘরের সরঞ্জামের ভ্যাট একই হারে বাড়ানো হয়েছে।খেজুরখেজুরের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে বাজেটে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শুকনা খেজুরের ওপর এখন ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। তবে সাধারণ খেজুরের ওপর নেই। তাই দুই ক্ষেত্রেই ২৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। সঙ্গে থাকবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, খেজুর কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়।চশমা ও রোদচশমাচশমার ফ্রেমের ওপর আমদানি শুল্ক এখন ৫ শতাংশ। তৈরি চশমার ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে ফ্রেমের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। রোদচশমা বা সানগ্লাসের (প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত) ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ। নতুন হার সাড়ে ৭ শতাংশ।টিস্যুকিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু, পেপার টাওয়েল ইত্যাদির ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।মুঠোফোনদেশে মুঠোফোন উৎপাদনে বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাটের হার দুই থেকে আড়াই শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে মুঠোফোনের দাম বাড়তে পারে।গ্যাস সিলিন্ডারদেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ। সিলিন্ডার তৈরির দুটি কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) এবং ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এলপিজি সিলিন্ডারের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।সিগারেটসিগারেটের সব কটি মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য বিড়ির দাম না–ও বাড়তে পারে। কারণ, বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী। সিগারেটে কর বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বাড়তি ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।তরল নিকোটিনতামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিনের ওপর ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ভ্যাপোরাইজারের দাম বাড়বে। এটি সাধারণভাবে ভ্যাপ নামে পরিচিত।বাসমতী চালসাধারণ বাসমতী চালে এখন ভ্যাট নেই। তবে ফর্টিফায়েড বাসমতী চালে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। ফাঁকি রোধে সাধারণ বাসমতী চালেও ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।কাজুবাদামবিদেশি কাজুবাদামের মোট করভার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত কাজুবাদামকে সুরক্ষা দিতে এই উদ্যোগ।বাইসাইকেলবাইসাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ৫ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারী বাইসাইকেলের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে।আঠাআঠা (অ্যাডহেসিড/গ্লু) আমদানিতে ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে বিদেশি আঠার দাম বাড়বে।সিমেন্টসিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকারের আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ক্লিংকারে শুল্ক একই হারে বেড়ে ৯৫০ টাকা হবে।সাধারণ ইটযন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি সাধারণ ইটে ভ্যাট (নন-রিফ্লেকটরি বিল্ডিং ব্রিকস) প্রতি হাজারে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটা ‘ফেসিংয়ে’ ব্যবহৃত ইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।সফটওয়্যারসফটওয়্যার ও কাস্টমাইজেশন সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে এই সেবার মূল্য বাড়তে পারে। বিদেশি কিছু সফটওয়্যারের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। অন্য ক্ষেত্রে হারটি ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে হারটি সব ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাটও বসবে।বিদেশি লিফটদেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে লিফটের সরঞ্জামের আমদানিশুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদেশি লিফটের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হবে চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটর আমদানিতে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের টানা পঞ্চম বাজেট।এ বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২০ শতাংশের সমান। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।অনুদানসহ আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৪ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বিপরীতে ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। তাতে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।এছাড়া বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বৈদেশিক অনুদান ধরা হয় ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।
    আবারও বাড়লো ডলারের দাম
    রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে আবারও ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (১লা জুন) থেকে কার্যকর করা হবে।বুধবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা এক সভায় ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফেদা ও এবিবির নেতারা।গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো বাংলাদেশ ব্যাংক।তবে এতে সংকট কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।এরপর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।এফএস
    বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ৩ প্রতিষ্ঠানের আর্ন ওয়েজ সুদের ব্যবসা
    আর্নড ওয়েজ, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় অর্জিত মজুরি বা অর্জিত স্যালারি। আর এই অর্জিত মজুরি বা স্যালারির বিপরীতে ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে বিশ্বের উন্নত দেশের কর্মজীবি মানুষদের। উন্নত দেশগুলোতে এ ধরণের বৈধ আর্থিক সেবা বা টার্ম বহুল পরিচিত হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়গুলো একেবারেই নতুন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ছাড়া এ ধরণের কার্যক্রম চলমান থাকলে এটি দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।  জানা গেছে, দেশে অর্জিত মজুরির বিপরীতে তৃতীয় পক্ষের ঋণ সুবিধা প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমতি বা বৈধতা না থাকলেও ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা শুধু দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিই নই, বরং দেশের অর্থ পাচারের একটি মাধ্যমও হতে পারে আর্ন ওয়েজ ঋণ সুবিধা প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলো। সময়ের কণ্ঠস্বরের অনুসন্ধানে দেশের শিল্পকারখানায় অবৈধ ঋণ সুবিধা প্রদানকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম ওঠে এসেছে। যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে শ্রমজীবিদের ঋণ দিয়ে আসছেন। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ওয়েজলি (Wagely), মিত্র (MITRO), ইজেড ওয়েজ (EZ WAGE)। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বর্হিঃভূতভাবে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো লামসাম ফি বা মেম্বার ফির নামে একটি বাড়তি অর্থনৈতিক সুবিধাও গ্রহণ করছে তাদের সেবা গ্রহনকারীর কাছ থেকে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ মালিকানার শেয়ার বিদেশীদের হওয়ায় টাকা পাচার এবং হুন্ডি ব্যবসার একটি ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া চলমান এই তিন প্রতিষ্ঠানের সুদের হারও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বাৎসরিক সুদের হারের কয়েকগুণ বেশি।অন্যদিকে যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প কারখানায় তাদের সেবাটি চালু করেছে তাই তারা ইচ্ছে করলেই শিল্পকারখানার মালিকের যোগসাজশে হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে। অর্থনীতিবিদদের মতে, ওয়েজলি যে টাকাটা দেশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের প্রদান করল সেই টাকাটা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে না নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের যোগসাজসে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে সে দেশে ওয়েজলির শেয়ার হোল্ডার বরাবর গ্রহণ করে, তাহলে দেশের টাকা দেশে আসার সুযোগ থাকবে না। এতে করে হুন্ডি ব্যবসার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।  সময়ের কণ্ঠস্বরের অনুসন্ধানে আরও ওঠে আসে, উল্লেখিত তিনটি কোম্পানিই টেকনোলজি কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত, ফলে এ ধরণের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার তাদের কোন অনুমোদন নেই। তাছাড়া এই কোম্পানিসমূহের অধিকাংশ মালিকানা বাংলাদেশের বাহিরে।এ ধরণের লেনদেনের বিষয়ে আর্ন ওয়েজ বা অর্জিত বেতনের বিপরীতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েজলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুর এলাহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'তারা এ ধরণের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন না। মূলত তারা একটি আইটি প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আইটি নিয়ে কাজ করছেন এবং তারা মূলত শ্রমিকদের কে কতদিন কাজ করেছেন এবং কার কত টাকা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা সে বিষয়টি অ্যাপের মাধ্যমে যেকোন প্রতিষ্ঠানের এইচআরকে সহযোগিতা করে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ ঋণ সুবিধা নিতে চাইলে এইচআর ডিভিশন তাদের অ্যাপের মাধ্যমে তাদের কর্মঘন্টার বিপরীতে মাস শেষ না হলেও অগ্রিম অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে পারেন।'তবে বাস্তবচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। কয়েক ব্যক্তির লেনদেনের স্ক্রিনশট সময়ের কণ্ঠস্বরের কাছে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে একজনকে ১০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করেছেন এবং এই সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে মেম্বারশীপ ফি বাবদ ১০০ টাকা কেটে নিয়েছে ওয়েজলি। একই ব্যক্তিকে গতবছরের মে মাসে আবারও ১০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি, যার বিপরীতে আবারও ১০০ টাকা মেম্বারশীপ ফি বাবদ নিয়েছেন। সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তি গতবছরের জুলাই মাসের ১৭ তারিখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ আবারও ঋণ সুবিধা গ্রহণ করায় ওয়েজলি তার কাছ থেকে ১০০ এবং ১২৫ টাকা মেম্বারশীপ ফি নিয়েছেন। এতে দেখা যাচ্ছে বার বার মেম্বারশীপ ফি এর নাম করে এক প্রকার আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে ওয়েজলি। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের নীতিমালা নিয়ম বর্হিভূত। ওয়েজলি এই সুবিধা প্রদান করছেন মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমের। এ বিষয়ে বিকাশের আরএমজি পেরোল আসাদুন নবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'ওয়েজলির সাথে আমাদের কোনপ্রকার পার্টনারশীপ চুক্তি হয়নি, আমরা তাদের সাথে কাষ্টমার শেয়ারিং করে থাকি।' চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য যে ধরণের কাগজপত্র লাগে সেগুলো তাদের না থাকায় ওয়েজলির সাথে বিকাশ অফিসিয়ালভাবে পার্টনাশীপ চুক্তি করেনি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এদিকে অর্জিত মজুরি বা স্যালারির বিপরীতে ঋণ সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান 'মিত্রের' ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিশোয়ারের কাছে তাদের কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঋণ দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরণের সেবা চালু আছে। আমরা প্রাথমিকভাবে শুরু করে সাড়া পাচ্ছি।' যাদেরকে এই সেবার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছে এই টাকা প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে নাকি আপনারা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আমরা দিচ্ছি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে। এই সেবা প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ‘না’ বলেন।অন্যদিকে আরেক প্রতিষ্ঠান 'ইজেড ওয়েজ'র হেড অব অপারেশন শিউলী আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, তারা বর্তমানে অর্জিত মজুরি বা স্যালারির বিপরীতে ঋণ সুবিধা দিচ্ছেন। অ্যাপের মাধ্যমে তারা যে প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ঋণ সুবিধা দিচ্ছেন সেই টাকা প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে নাকি আপনারা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তারা দিচ্ছেন, পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ধরণের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারা কোনো অনুমোদন নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বলেন, এ বিষয়ে বলতে হলে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলবো। আপনাকে জানাবো কেন আমার অনুমতি আছে কিনা।  সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জি এম রফিকুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, চাকরিজীবীরা তার নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত মজুরীর বিপরীতে ঋণ সুবিধা নিতে পারলেও তৃতীয় পক্ষের কেউ সেই প্রতিষ্ঠানে অর্জিত মজুরীর বিপরীতে ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না। উল্লেখিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ মালিকানা দেশের বাহিরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সেক্ষেত্রে মানি লন্ডারিংয়ের কোন সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অব্যশই আছে। তিনি অভিযোগ পেলে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান।
    বাজারে বেড়েছে সোনার দাম
    দেশের বাজারে বেড়েছে সোনার দাম। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বেড়েছে। এতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা; যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার(৮ জুন) থেকে কার্যকর হবে।বুধবার (৭ জুন) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এমএ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বেড়ে যাওয়ায় এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।  ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়েছে।এর আগে ২ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম উঠে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা হয়; যা ছিল দেশের বাজারে রেকর্ড।তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে। 
    আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
    বাজারে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।রোববার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য, সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।এসআর
    কাল থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি: কৃষি মন্ত্রণালয়
    অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৫ই জুন) থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, আগামীকাল (সোমবার) থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পিয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।জানা গেছে, সারা দেশে পিয়াজের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি। মাসজুড়ে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক এই মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রী আমদানির আশ্বাস দিলেও বাজার পর্যবেক্ষণের নামে সময় নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করে অসাধু চক্র। গত এক মাসে ভোক্তার পকেট থেকে প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এপ্রিলের শেষ দিকে পিয়াজের কেজি ৪০ টাকা ছিল। হঠাৎ করে মে মাসের শুরুর দিকে এর দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি শুর হয়। ওই সময়ে চক্রটি কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজ ৪০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সুযোগ বুঝে অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ অসাধুরা যে কোনো অজুহাতে ভোক্তার পকেট কাটে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বছরে পিয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। পিয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।এফএস
    বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবে
    প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস, কৃষিপণ্যসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।দাম কমবেমাংস, বিস্কুট, কনটেইনার, ক্যানসারের ওষুধ, হট রোল, কোল্ড রোল, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, টার্বো ইঞ্জিন, ১৫ আসনের কম মাইক্রোবাস, কেক, হোমমেড বিস্কুট, ওপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মিষ্টি, কৃষি যন্ত্রপাতি, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়পার, ম্যালেরিয়া ও যক্ষা নিয়ন্ত্রণ ‍ওষুধ, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনের কাঁচামাল, সিলিকন টিউব।বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট, টানা ১৫তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
    বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
    'উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যেরকলমবলপয়েন্ট কলম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কলম উৎপাদনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে। দাম বাড়তে পারে কলমের।থালাবাসনপ্লাস্টিকের তৈরি থালা, বাটি ও অন্যান্য পণ্যের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। টিফিন বক্স ও পানির বোতলে ভ্যাট আগের মতো থাকবে। অ্যালুমিনিয়ামের থালাবাসন ও রান্নাঘরের সরঞ্জামের ভ্যাট একই হারে বাড়ানো হয়েছে।খেজুরখেজুরের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে বাজেটে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শুকনা খেজুরের ওপর এখন ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। তবে সাধারণ খেজুরের ওপর নেই। তাই দুই ক্ষেত্রেই ২৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। সঙ্গে থাকবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, খেজুর কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়।চশমা ও রোদচশমাচশমার ফ্রেমের ওপর আমদানি শুল্ক এখন ৫ শতাংশ। তৈরি চশমার ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে ফ্রেমের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। রোদচশমা বা সানগ্লাসের (প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত) ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ। নতুন হার সাড়ে ৭ শতাংশ।টিস্যুকিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু, পেপার টাওয়েল ইত্যাদির ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।মুঠোফোনদেশে মুঠোফোন উৎপাদনে বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাটের হার দুই থেকে আড়াই শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে মুঠোফোনের দাম বাড়তে পারে।গ্যাস সিলিন্ডারদেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ। সিলিন্ডার তৈরির দুটি কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) এবং ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এলপিজি সিলিন্ডারের ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।সিগারেটসিগারেটের সব কটি মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য বিড়ির দাম না–ও বাড়তে পারে। কারণ, বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী। সিগারেটে কর বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বাড়তি ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।তরল নিকোটিনতামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিনের ওপর ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ভ্যাপোরাইজারের দাম বাড়বে। এটি সাধারণভাবে ভ্যাপ নামে পরিচিত।বাসমতী চালসাধারণ বাসমতী চালে এখন ভ্যাট নেই। তবে ফর্টিফায়েড বাসমতী চালে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। ফাঁকি রোধে সাধারণ বাসমতী চালেও ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।কাজুবাদামবিদেশি কাজুবাদামের মোট করভার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত কাজুবাদামকে সুরক্ষা দিতে এই উদ্যোগ।বাইসাইকেলবাইসাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ৫ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারী বাইসাইকেলের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে।আঠাআঠা (অ্যাডহেসিড/গ্লু) আমদানিতে ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে বিদেশি আঠার দাম বাড়বে।সিমেন্টসিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকারের আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ক্লিংকারে শুল্ক একই হারে বেড়ে ৯৫০ টাকা হবে।সাধারণ ইটযন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি সাধারণ ইটে ভ্যাট (নন-রিফ্লেকটরি বিল্ডিং ব্রিকস) প্রতি হাজারে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটা ‘ফেসিংয়ে’ ব্যবহৃত ইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।সফটওয়্যারসফটওয়্যার ও কাস্টমাইজেশন সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে এই সেবার মূল্য বাড়তে পারে। বিদেশি কিছু সফটওয়্যারের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। অন্য ক্ষেত্রে হারটি ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে হারটি সব ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাটও বসবে।বিদেশি লিফটদেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে লিফটের সরঞ্জামের আমদানিশুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদেশি লিফটের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হবে চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটর আমদানিতে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের টানা পঞ্চম বাজেট।এ বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২০ শতাংশের সমান। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।অনুদানসহ আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৪ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বিপরীতে ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। তাতে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।এছাড়া বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বৈদেশিক অনুদান ধরা হয় ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।
    আবারও বাড়লো ডলারের দাম
    রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে আবারও ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (১লা জুন) থেকে কার্যকর করা হবে।বুধবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা এক সভায় ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফেদা ও এবিবির নেতারা।গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো বাংলাদেশ ব্যাংক।তবে এতে সংকট কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।এরপর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।এফএস

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট, রুটিন প্রকাশ
    চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ তারিখ নির্ধারণ ছাড়াও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী ১৭ আগস্ট থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। আর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সময়সূচির জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই নিজ আসনে বসতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহু নির্বাচনি এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং সৃজনশীল/বহু নির্বাচনি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এবং বহুনির্বাচনি পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে চলবে।  
    জাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা তোপের মুখে উপাচার্য
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করাসহ তিনদফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।তবে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পাল করেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন বামপন্থী শিক্ষার্থী আহত হন বলেও জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার সুযোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী বের হয়ে আসেন। এরপর তারা অনশনরত শিক্ষার্থীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বিছানা-বালিশে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনা হয়। একপর্যায়ে অনশনরত শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীকে মারধর করা হয়। এছাড়া মাশিয়াত সৃষ্টি, মনিকা নকরেক এবং শারমিন সুর নামে তিন নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয়।সুত্র জানায়, সামিউলের দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার(৬ জুন) সন্ধ্যায় মীর মোশররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আলম হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকদের নিয়ে অছাত্রদের তালিকা করতে যান। তার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এছাড়া হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব প্রদানকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা গেছে।হামলার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপস্বী রাবেয়া বলেন, 'সামিউলের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরা সেখানে অবস্থান করি। যখন রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন আমাদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। আমরা যারা নারী শিক্ষার্থী ছিলাম, তাদেরকে বিভিন্ন গালিগালাজও করা হয়। অনশনকারী শিক্ষার্থীকে জোর করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়, এরপর আবার সেই অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরও করা হয়।'বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. কামাল বলেন, 'আমি মেডিকেলে ডাক্তারের মাধ্যমে জানতে পারি, মীর মশাররফ হলের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ। এ সময় আমি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসার পথে হলের শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে।'বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিছুর রহমান বলেন, 'মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে আনা হয়। তখন অনশনকারী শিক্ষার্থী আমাকে জানায় তাকে জোর করে তুলে মেডিকেলে আনা হয়েছে এবং সে চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।' এদিকে হামলার একঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। তিনি বলেন, 'ঘটনা শুনে এসেছি। এখানে যেসব শিক্ষার্থী হামলা করেছে তাদেরকে আমরা শনাক্ত করতে পারেনি। তারা ছাত্রলীগ করে কিনা এটাও জানিনা। কারা হামলা করেছে আমরা তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নেব।'এদিকে হামলার ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন তারা। পরে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। উপাচার্যের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন।দাবিগুলো হল- মীর মশাররফ হোসেন হলের সব অবৈধ ছাত্রদের রাতের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বাধ্য করা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বাদী হয়ে মামলা করা, প্রক্টর এবং প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেওয়া, গণরুম এবং গেস্টরুম সংস্কৃতি শেষ করা ও প্রথমবর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হলে আসনের ব্যবস্থা করা।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, 'যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা নাম দেন সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'এদিকে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, 'অনশনরত শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত না। যদি কোনোভাবে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুধবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় শৃঙ্খলা কমিটির সভা ডাকা হয়। সভায় সামিউলের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বেলা তিনটায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এ সময় উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। 
    প্রচণ্ড গরমের কারণে এবার মাধ্যমিক স্কুলও বন্ধ ঘোষণা
    তীব্র দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর এবার দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একদিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সবমিলিয়ে টানা তিনদিন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।বুধবার (৭ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে জানানো হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা বিজ্ঞপ্তিতে আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু, মাঝারি এবং তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এই সতর্ক বার্তার কারণে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৮ জুন থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।এর আগে, গত ৪ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এ ৪ দিন শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে না।
    দু'হাত নেই, পা দিয়ে লিখে আলেম হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন হাবিব
    জন্মগত প্রতিবন্ধকতায় দমে না যেয়ে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ও অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে পা দিয়ে লিখে ইতোমধ্যে পাশ করেছেন দাখিল ও আলিম। এবার ভর্তিচ্ছু হাবিব অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায়। স্বপ্নবাজ তরুণ হাবিবুরের স্বপ্ন আকাশচুম্বী। যদিও জন্ম থেকেই নেই দুই হাত। তবুও তিনি স্বপ্ন দেখেন আলেম হওয়ার। বা-পায়ের সহায়তায় স্বপ্ন বুনছেন স্বপ্নবাজ এই তরুণ। হাবিবুরের বাসা রাজবাড়ী জেলায়।সোমবার (০৫ জুন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিবন্ধকতার সাথে হার না মানা এই শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ১০৩ নম্বর কক্ষে পরিক্ষা সম্পন্ন করেন। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরিক্ষা অংশ নেন এই শিক্ষার্থী। হাবিবুর রহমান একই মাদ্রাসা থেকে ২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ এবং ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।এই স্বপ্নবাজ তরুণের সাথে সময়ের কন্ঠস্বর একান্তে কথা বলেছেন। সময়ের কন্ঠস্বরের ইবি প্রতিনিধিকে হাবিবুর রহমান বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে এ পর্যায়ে আসার জন্য। স্কুল, কলেজ কোনো জায়গায় আমি প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয় নি। সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। স্বপ্নটা দেখেছেন আলেম হওয়ার। স্বপ্নযুদ্ধা এই তরুণ বলেন, আমার আলিম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই সবাই বলতেছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ইউনিটে পরীক্ষা দিতে। সাথে আমারও ইচ্ছে ছিলো। ভবিষ্যতে আমি আলেম হতে চাই।হাবিব প্রতিন্ধকতার শিকার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার মতো যারা এরকম নানা সমস্যায় সমুক্ষীণ তাদেরকে এইটা বলতে চাই যে হীনমন্যতায় ভােগা যাবে না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্বব না। চেষ্টা করলে মানুষ অনেক কিছুই পায়। কষ্ট হবে বিপদ আসবে সংগ্রামের সাথে এটিকে জয় করতে হবে।পড়াশোনা করতে কোন সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে পা দিয়ে লিখতে সমস্যা হয়। কলম পড়ে যায়।পরিক্ষার হলে স্যার-ম্যামরা অনেক সহযোগিতা করেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আমি সেট কোড লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম পরে ম্যাম আমার সেট কোডটি লিখে দিয়েছে।এবিষয়ে ইবি কেন্দ্রে আসা হাবিবুর রহমানের দূরসম্পর্কের এক কাকা আজমাল হোসেন জানান, হাবিব যে এতদূর এগিয়েছে এতে এলাকার লোকও খুশি আমরাও খুশি। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। এ প্রসঙ্গে ঐ পরিক্ষা কক্ষটিই দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ছেলেটি একজন অদম্য জীবন যোদ্ধা। আমরা পরীক্ষা হলে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছি। এআই

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ২৫ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান করল টুইটার
    নির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যেই চলতে হয় সব সোশ্যাল মিডিয়াকে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলেই হারাতে হয় অ্যাকাউন্ট। টুইটার তার প্ল্যাটফর্মে ভুল জিনিস প্রচার বা পোস্ট করার জন্য চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে।ওই সকল অ্যাকাউন্ট থেকে শিশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কিত তথ্য এবং নগ্ন ছবি আপলোড হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটার মোট ২৫,৫৩,৮৮১টি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। ১৫৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আপিলের পর ৩টি অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।টুইটারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত থেকে প্রাপ্ত বেশিরভাগ অভিযোগই অপব্যবহার বা হয়রানি (৮৩টি), সংবেদনশীল প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রী (৪১টি), ঘৃণ্য আচরণ (১৯টি) এবং মানহানি (১২টি) আইন দ্বারা ব্যান করা হয়েছে।টুইটারে থাকতে চাইলে তাদের নিয়ম মেনেই চলতে হবে। অ্যাকাউন্টগুলো ব্যান করার মাধ্যমে যা বুঝিয়ে দিলো ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠান।এদিকে শুক্রবার (০২ জুন) টুইটার ছাড়লেন শীর্ষস্থানীয় এক নারী কর্মকর্তা। তার নাম এলা আরউইন। তিনি সংস্থাটির হেড অব ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি ছেড়ে যাওয়ার কথা তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের হেড অব ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি এলা আরউইন বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন।রয়টার্স বলছে, আরউইন ২০২২ সালের জুন মাসে টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন। একই বছরের নভেম্বরে সংস্থাটির ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। মূলত পূর্ববর্তী প্রধান ইয়োয়েল রথ পদত্যাগ করার পর আরউইন এই দায়িত্বে এসেছিলেন।জনপ্রিয় এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের আপলোড করা কনটেন্ট পর্যালোচনা এবং নিরীক্ষণের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করতেন এলা আরউইন।এআই 
    টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে আওয়ামীলীগ, ফলো করার আহ্বান
    ফেসবুক ও ইউটিউবের পর এবার জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।শুক্রবার দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তাদের টিকটক পেজে যুক্ত হতে আহ্বান জানানো হয়।পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সঙ্গে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।ফেসবুক পোস্টটিতে আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্টের লিংক (https://www.tiktok.com/@albdofficial) যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কিউআর কোডও দেওয়া হয়েছে।এদিকে টিকটকে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল টিকটক অ্যাকাউন্টটিতে যুক্ত হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।অ্যাকাউন্টটিতে গত দুই দিনে চারটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ ওয়েব টিম (ALBD Web Team) এর সমন্বয়ক প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, 'এটা আমাদের সোস্যাল মিডিয়ার অ্যাকটিভিটিজের একটি অংশ। আমরা মূলত ফেসবুক, ইউটিউবে দলের প্রচার প্রচারণায় বেশি অ্যাকটিভ। তবে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন চক্র টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে আওয়ামী লীগ বিরোধী নানা অপপ্রচার এবং গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। যেহেতু নতুন প্রজন্মের অনেকেই, বিশেষ করে টিনেজাররা টিকটকের দিকে আকৃষ্ট, আমরা তাই এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউবের পাশাপাশি প্রচার প্রচারণা করব ও সক্রিয় থাকব।'
    প্যান্টের জিপ খুললেই নোটিফিকেশন যাবে স্ত্রীর ফোনে
    সাধারণ অনেক জিনিসও এখন স্মার্ট হয়ে যাচ্ছে। গ্যাজেটের পাশাপাশি সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে জামা-কাপড়ও। সম্প্রতি বাজারে এমন একটি প্যান্ট এসেছে, যা দেখলে আপনার অবাক হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।এক ব্যক্তি স্মার্ট প্যান্ট তৈরি করেছেন। স্মার্ট প্যান্ট কেন বলা হচ্ছে? এই স্মার্ট প্যান্টের চেইন খুললেই সঙ্গে সঙ্গে ফোনে নোটিফিকেশন চলে আসবে। যদি আপনার স্ত্রীর ফোনে সেই নোটিফিকেশন সেট করে দেন, তাহলে প্যান্টের চেইন খুললেই বুঝতে পারবেন!গাই ডুপন্ট নামে এক ব্যবহারকারী টুইটারে স্মার্ট প্যান্টের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্যান্টের জিপ খোলা হলেই মোবাইলে পুশ নোটিফিকেশন পান ওই ব্যক্তি। টুইটে তিনি জানান, তিনি তার বন্ধুর অনুরোধে এই স্মার্ট প্যান্টগুলো তৈরি করেছেন। তার বন্ধু এমন একটি প্যান্ট চেয়েছিলেন, যার জিপ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার সময় জানা যাবে। এমনকি কখন জিপ খোলা হচ্ছে, কখন বন্ধ করা হচ্ছে। এমনকি কতক্ষণের জন্য খোলা হয়েছে, তার সব তথ্য মোবাইলে থাকবে।একটি টুইটে গাই ডুপন্ট জানিয়েছেন, ডুপন্ট হল ইফেক্ট সেন্সর সহ এক জোড়া জিন্সের সঙ্গে কিছু সুরক্ষা পিন কানেক্ট করেছেন এবং জিপারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী চুম্বকও সংযুক্ত করেছেন। এই প্রক্রিয়াটিতে কিছু তারেরও প্রয়োজন পড়েছে, যা ESP-32-এর সঙ্গে কানেক্ট করা আছে। ফলে যখনই জিপ খোলা হয়, তখন ইফেক্ট সেন্সর কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন হয়ে যায়। তার তারপরেই ফোনে একটি নোটিফিকেশন যায়।সাধারণ প্যান্টের মতো এটি ধোয়া যাবে না। কারণ এতে সেন্সর লাগানো আছে। এছাড়াও, মোবাইলের সঙ্গে সেন্সর সবসময় সংযুক্ত থাকায়, এটি ফোনের বেশি ব্যাটারি খরচ করে।
    ইসরায়েলের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্সের সাইবার হামলা
    সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ফিলিস্তিনের উপর অন্যায়ভাবে দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সাইবার হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স নামক হ্যাকার কমিউনিটি।চলতি সপ্তাহে ইজরায়েলি ৫টি সরকারি ওয়েবসাইট ডাউনসহ ১৪টি ওয়েবসাইট ও দেশটির ৭০০ নাগরিকের ইউজড কম্পিউটার দখল ও ইজরায়েলের সাবমেরিন সিইস্টেম হ্যাক করে লাইভ ভিডিও বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স।বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্সের পরিচালক আদিল হাসান সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স ফিলিস্তিনি নাগরিকদের স্বাধীনতার পক্ষে আছে। মূলত ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধের জবাব দিতেই এই সাইবার হামলা চালিয়েছেন তারা।আদিল হাসান বলেন, দেশের সাইবার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স গত ৪ বছর থেকে কাজ করে আসছে। বহিরাগত কোনো দেশ থেকে যদি বাংলাদেশের সাইবারে আক্রমণ করে বা দেশের সাইবার প্লাটফর্মের একটা গভঃ সাইটও যদি হ্যাক করার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত সাইবার হামলাকারি দেশের ট্যাকনোলজিকে চ্যালেঞ্জ এবং ঘোষণা দিয়ে উক্ত দেশের সাইবারে কাউন্টার হামলায় অংশ নিবে বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স।দেশের যেকোনো অসময়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা, সচেতনতা ও গুজব প্রতিরোধেও নাগরিকদের সঙ্গে আছে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য, বাংলাদেশি যেকোনো সোশ্যাল মাধ্যম হ্যাক বা দখল হলে সেটি উদ্ধার করার চেষ্টা করে থাকে বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্স। এখন পর্যন্ত হ্যাক হয়ে যাওয়া ১৩ হাজার সোশ্যাল মাধ্যম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে সেলিব্রেটি ও সাধারণ নাগরিকদের সোশ্যাল প্লাটফর্মও রয়েছে।জানা যায়, অনেক সময় বাহিরের দেশের হ্যাকাররা বাংলাদেশি নাগরিকদের টার্গেট করে তাদের মোবাইল ফোন/কম্পিউটারে ম্যালওয়ার ছড়িয়ে মোবাইল/কম্পিউটার দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এছাড়াও বাংলাদেশি নাগরিকদের থেকে পরিচালিত বাহিরের দেশের হ্যাকাররা অনেক সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল দখলের চেষ্টা করে সেক্ষত্রেও বাংলাদেশি নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সিভিলিয়ান ফোর্সকে জানালে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা দিতে কাজ করেন। আরআই
    মেটাকে ১৪ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করলো ইইউ
    ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের অভিযোগে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে ১৩০ কোটি ডলার (প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেটা সুরক্ষা বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ড। সোমবার (২২ মে) ইইউ-এর ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত আইন জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) আওতায় এ জরিমানা আদেশ জারি করে ডেটা প্রটেকশন বোর্ড। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাস ফেসবুকের ইউরোপীয় সেবা গ্রহীতাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের দাবি, মেটা এই ভাবে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। এদিকে মেটা এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসার পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এর আগে ডেটা চুরির ঘটনায় অ্যামাজনকে ৬,৬৮৮ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন কর্তৃক আরোপিত মেটার জরিমানা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শাস্তি। এই জরিমানা শুধুমাত্র ফেসবুকের জন্য, যা মেটাতে এবং ডেটা ট্রান্সফার বন্ধ করতে মেটাকে পাঁচ মাস সময় দিয়েছে বোর্ড। এদিকে মেটা আবার জরিমানার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করার কথা বলেছে।এর আগে পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চান মার্ক জুকারবার্গ।এবারের জরিমানার ঘটনাকে মেটা কর্তৃপক্ষ অন্যায্য এবং অপ্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছে। মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ জানিয়েছেন, তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।এআই 
    কম্পিউটার পণ্যে ৪০% পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক
    ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, মনিটর, স্পিকারসহ বিভিন্ন কম্পিউটার এক্সেসরিজ কেনায় নিশ্চিত সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, অনলাইনে ওয়ালটন ই-প্লাজা বা ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ওয়েবসাইট থেকে ‘কম্পিউটার সামার ফেস্ট’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এতে রাইজেন প্রসেসর সমৃদ্ধ এভিয়েন সিরিজের ডেক্সটপে রয়েছে ১৭,৫১০ টাকা এবং ল্যাপটপে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। রয়েছে ৬ মাসের ইএমআই সুবিধা।ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, ওয়ালটন সবসময়ই ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কম্পিউটার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে এই বিশেষ ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন কম্পিউটারের এসব সুবিধা চলছে ১০ মে, ২০২৩ থেকে। গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা থাকছে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য কম্পিউটার এক্সেসরিজ পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মডেলের অ্যাকসেস কন্ট্রোল, ক্যাবল এন্ড কনভার্টার, কার্টিজ, সিসিটিভি, কুলার, হাব, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, রাউটার, স্মার্ট ওয়াচ, ট্যাবলেট, ওয়েইট স্কেল, পাওয়ার ব্যাংক, মেমোরি কার্ড, র‌্যাম, এসএসডি ড্রাইভ, মাউস, পেন ড্রাইভ, হেডফোন, ওয়াই-ফাই রাউটার, ইউএসবি ক্যাবল, স্পিকার, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ইউপিএস ইত্যাদি।কম্পিউটার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ওয়েবসাইট ওয়ালটন ডিজিটেক ডটকম (https://waltondigitech.com) থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ অন্যান্য আইটি পণ্য ও এক্সেসরিজ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাচ্ছেন গ্রাাহক। থাকছে ঘরে বসেই এই ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনার সুবিধা। ডিজি-টেক ওয়েবসাইট থেকে পণ্য অর্ডার করতে সরাসরি ভিজিট করার যাবে- https://cutt.ly/g6syoVo এ লিঙ্কের মাধ্যমে।পাশাপাশি অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য অর্ডার করতে ভিজিট করা যাবে এই লিঙ্কে-   https://cutt.ly/V6st79d। এ ছাড়া এই অফার সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রয়েছে ওয়ালটনের হেল্পলাইন নাম্বার ১৬২৬৭।পিএম

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া চাঁদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানায় এই করা হয়েছে।আরএমপির মুখপাত্র, অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরমান হোসেন বাদী হয়ে আবু সাঈদ চাঁদসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।এর আগে গত ১৯ মে বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।এই বক্তব্যের ভিডিও গতকাল রোববার বিকালে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সোমবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। এর আগে রোববার দিবাগত মধ্যরাতেই রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম আজাদ চাঁদের বিরুদ্ধে থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।এদিকে, গতকাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চাঁদ লাপাত্তা হয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আজ জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। তখন হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।এফএস

    প্রবাস

    সব দেখুন
    ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সমিতির যাত্রা শুরু
    ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপি এবং প্রবন্ধের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি গত ৭ জুন ২০২৩ তারিখে ইতালীয় সিনেটের ঐতিহাসিক সালা (হল রুম) এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইতালির সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিক, আইএসআইএ (ইটালিয়ান ইনস্টিটিউট ফর এশিয়া) এর সদস্যবৃন্দ, ইতালিতে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রোমে মোঃ শামীম আহসান, ইতালি, মন্টিনিগ্রো এবং সার্বিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন এবং মিঃ মার্কো লাকারা, সংসদীয় গ্রুপ অব ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইতালি (পিডি) এর মাননীয় সদস্য ইতালীয় পক্ষ থেকে সভাপতি হিসাবে নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। মারিও মরগোনি, আইএসআইএ-এর সভাপতি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইঞ্জি. আইএসআইএর মহাসচিব ডমেনিকো পালমিরি অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অ্যাসোসিয়েশনের সূচনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং এর সফল ও সুষ্ঠু কার্যক্রমের জন্য কামনা করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশের অভিনব চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন যাত্রার বর্ণনা দেওয়ার সময় তিনি বলেন যে, অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সফর করতে পারে, যা দুটি দেশের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করার জন্য ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে সহায়তা করবে। ISIA-কে তাদের উদ্যোগ ও সমর্থনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানোর সময়, রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান মনে করেন যে এমন একটি সমিতি গঠনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রচার ও সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগের পরিপূরক হিসেবে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সংসদ সদস্য লাকাররা বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের জন্য গভীরভাবে প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার ও প্রসারিত করার জন্য জোরালোভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।আশা করা যায় যে অ্যাসোসিয়েশন দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং তাদের জনগণকে কাছাকাছি আসতে এবং বিশেষ করে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, জনগণের সাথে মানুষের যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে সহায়তা করবে। এটি একটি সাধারণ হিসাবেও কাজ করবে। বাংলাদেশ ও ইতালির প্ল্যাটফর্ম এমন এক সময়ে চূড়ান্ত হলো যখন বাংলাদেশ ও ইতালি সবেমাত্র কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।সংবিধি অনুযায়ী, সমিতির নেতৃত্বে থাকবেন দুইজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি এবং একজন পরিচালক এবং মোট ১১ জন বোর্ড সদস্য।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিশাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ককে স্থায়ী ভিত্তি ও উন্নয়নের মডেলের মাঝে দাঁড় করানোর জন্য দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে এমন সমিতি গঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।এআই 

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    এসির বিল কমানোর ৭ উপায়
    এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) দীর্ঘ ব্যবহার সঙ্গে করে নিয়ে আসে উচ্চ ইলেকট্রিসিটি বিল। তবে এসির বিল কমিয়ে পকেটের ওপর চাপ কমানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তাই এই তীব্র গরমে বিলের কথা চিন্তা করে মাথা না ঘামিয়ে, নিশ্চিন্তে আরাম উপভোগ করতে জেনে নিন এসির বিল কম রাখার ৭টি উপায় সম্পর্কে। এসির সঙ্গে ফ্যানের ব্যবহারআপনার এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও ব্যবহার করুন। এতে করে সারা ঘরে শীতল বাতাস তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়বে। একই সময়ে এসি এবং সিলিং ফ্যান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি অটো অবস্থায় এসির তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন। যা এসির একা শীতল করার কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে দেবে। তবে আপনার ফ্যানটি যেন ঘড়ির কাঁটার দিকে চলে সেটি নিশ্চিত করুন। এতে করে সিলিং ফ্যান ঠান্ডা বাতাসকে নিচের দিকে ঠেলে দেবে। প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটআপনার এসির জন্য একটি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট স্থাপন করুন। এটি আপনার ইলেকট্রিসিটি বিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে আনবে।প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলো পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি চাইলে এর মাধ্যমে সয়ংক্রিয়ভাবে দিনের বেলা যখন গরম বেশি তখন বাড়ির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে রাখতে পারবেন এবং রাত ১২টার পর থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে ২৫ ডিগ্রি এবং সকাল ৭টায় আবার ২০ ডিগ্রিতে নিয়ে আসতে পারবেন। আপনাকে এর জন্য বার বার তাপমাত্রা ম্যানুয়ালি নির্ধারণ করতে হবে না। এমনকি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলোর মাধ্যমে আপনার পছন্দমতো সময়ে এসি সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধও করা যাবে।তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা রাখলে আপনি আরও বেশি খরচ বাঁচাতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন থার্মোস্ট্যাটে তাপমাত্রা যেন বেশিরভাগ সময় ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে। তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণআপনার এসির থার্মোস্ট্যাট থেকে ল্যাম্প, কম্পিউটার এবং টেলিভিশনের মতো তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতিগুলো দূরে রাখুন। এগুলোর থেকে উৎপন্ন তাপ থার্মোস্ট্যাটকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং এসিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে প্ররোচিত করতে পারে।এসির সামনের এলাকা পরিষ্কার রাখুনআপনার এসির ভেন্টের সামনের জায়গাটি যেন বিভিন্ন আসবাবপত্র বা অন্যান্য বাধা দ্বারা অবরুদ্ধ না থাকে সেটি নিশ্চিত করুন। কারণ আপনি অবশ্যই আপনার আসবাবপত্র ঠান্ডা রাখার জন্য অর্থ প্রদান করতে চাইবেন না। বেশি বাধা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা কম লাগবে এবং আপনি সেজন্য তাপমাত্রা কমাবেন। যার ফলে আপনার বেশি টাকা খরচ হবে। তাই ভেন্ট এবং আপনার অবস্থানের মধ্যে ফাঁকা রাখুন। ফাঁকফোকর বন্ধ করুনরুমে ফাঁকফোকর থাকলে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে যায় এবং যার কারণে এসিকে আরও বেশি শক্তি খরচ করে কাজ করতে হয়। যা বেশি বিল উঠার পিছনে দায়ী। তাই আপনার অর্থের বিনিময়ে পাওয়া শীতল বাতাস আপনার রুমেই রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য ড্রায়ার ভেন্ট, ঘরে প্রবেশ করা পাইপ, বৈদ্যুতিক আউটলেট, জানালা এবং দরজাগুলো ভালোমত সিল বা বন্ধ করুন। এতে গরম কালের ঠান্ডা বাতাস ছাড়াও শীতকালের উষ্ণ বাতাসও ভেতরেই থাকবে।ভেন্ট সিলিংয়ের দিকে তাক করুনআপনার এসির ভেন্টগুলোকে রুমের সিলিংয়ের দিকে তাক করুন। এতে করে ঠান্ডা বাতাস উপর থেকে নিচে আপনার কাছে ভেসে আসবে। শুধু একটি জায়গায় ভেন্টগুলো নিবদ্ধ না রেখে উপর থেকে নিচের দিকে রুমটিকে ঠান্ডা করা উচিত। কারণ এতে করে ঠান্ডা বাতাস নিচের দিকে চলতে থাকে এবং বায়ু সঞ্চালন আরও ভালো হয়।ফিল্টার পরিষ্কার রাখুনফিল্টারে অতিরিক্ত ময়লা জমে গেলে রুম ঠান্ডা করার জন্য এসিকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে ইলেকট্রিসিটি বিলে। তাই, মাসে অন্তত একবার ফিল্টারটি বের করে ওয়াশক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করুন।এআই 

    Loading…