এইমাত্র
  • প্রিয়জনের মান ভাঙাতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার
  • এক হালি লেবুর দাম ১০০ টাকা!
  • উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • চিত্রনায়ক রিয়াজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
  • নায়িকা সুচরিতা ও নায়ক রুবেলের সদস্যপদ বাতিল
  • ধ্বংসের পর নতুন করে গড়ার পক্ষে নায়িকা মাহি
  • আইপিএল'র আসরে দক্ষিণী তারকাদের জমজমাট আসর
  • মায়ের সঙ্গে সিয়াম নাসিরের জন্মদিন উদযাপন
  • প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
  • ঈদে শাকিব-বুবলীর সেঞ্চুরি
  • আজ রবিবার, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ | ২ এপ্রিল, ২০২৩
    প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক।তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলা সাধারণ কোনো ভুল নয় বরং এটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে, তাদের টার্গেট আগামী নির্বাচন।’শনিবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রথম আলো দেশে নৈরাজ্যের চেষ্টায় অপসাংবাদিকতা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনার দায় পত্রিকাটির সম্পাদক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অথচ ক্ষমা না চেয়ে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পত্রিকাটি। তরুণ প্রজন্মকে উসকানি দেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‘জনপ্রিয় সরকারকে হেও করার জন্য, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য, সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে প্রথম আলো। কিন্তু দেশের মানুষ তা সফল হতে দেবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’বিএনপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোলের বিষয়ে কাদের বলেন, ইফতারের দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপি। অথচ, তারা দোষ চাপায় আওয়ামী লীগের ওপর।এসময় বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা ছাড়া আন্দোলন হয় না, নেতা ছাড়া নির্বাচন হয় না।  কাদের বলেন, ব্লুমবার্গের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলছে শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বে যা করেছেন, আবারও ক্ষমতায় আসবেন।বাইরের এসব সংস্থার প্রশংসা সরকারের অর্জন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।  জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইফতার পার্টি বন্ধ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে জনগণের স্বার্থে। আ. লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে  সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে।যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতারাও ।  
    আবারো বেড়েছে ব্রয়লারের দাম
    ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের দাম প্রতিকেজি ২০০ -২১০ টাকা থেকে কিছুটা বেড়ে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গত ২৩ মার্চ ব্রয়লার সরবরাহকারীদের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালকের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে এর দাম প্রতিকেজি ২৬০-২৭০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়। সূত্র : ইউএনবিএ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও মধ্যস্বত্বভোগী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা দামে পড়েছে।ঢাকায় শুক্রবার সোনালী (মোরগ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর এক কেজির কম ওজনের পাকিস্তানি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়।তবে লেয়ার (মা) ব্রয়লার মুরগির দামও প্রতি কেজি ৩৩০-৩৪০ টাকায় স্থিতিশীল আছে এবং দেশী মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।শুক্রবার ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়।শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারে মানের ভিত্তিতে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় শুক্রবার দামি মাছের ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম।ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, বাসাবো, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুরগির দামের এসব তথ্য এই প্রতিবেদক।বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের দাম আগের মতোই রয়েছে।কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রতন হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে সব ধরনের সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বেশি।তিনি আরো বলেন, নতুন সবজি আসার সাথে সাথে দাম ধীরে ধীরে কমবে, তবে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিকেজি ৪০ টাকার নিচে নামবে না।এফএস

    জাতীয়

    সব দেখুন
    জায়নামাজে প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা সামাজিক মাধ্যমে
    পবিত্র মাহে রমজানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামাজ শেষে জায়নামাজে বসে ধর্মীয় আলোচনার একটি ছবি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) আয়েশা সোনিয়া নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী তার ফেসবুকে পোস্টে ছবিটি শেয়ার করেছেন।ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘সবার সাথে নামাজ আদায়ের পর জায়নামাজে বসে আমাদের আপা’; অদ্বিতীয়া তিনি; অনন্যা তিনি; ভালোবাসা’।ছবিতে দেখা যায়, নামাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী জায়নামাজে কয়েকজনের সঙ্গে বসে আলাপ করছেন।ছবিটি পোস্টের পর ব্যাপক প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা। নুরুল করিম নামে একজন তার কমেন্টে লিখেছেন, ‘আমাদের ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী, তিনি দীর্ঘজীবী হন।’মাহাবুর রহমান মিলন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক শ্রদ্ধা, আপনি দীর্ঘজীবী হন।’ এছাড়াও ছবিটি এরইমধ্যে অনেকেই তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ব্যস্ততার মধ্যেও ধর্মীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। তাহাজ্জুদ নামাজ থেকে শুরু করে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময় মতো আদায় করেন।প্রধানমন্ত্রী তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড শুরুর আগে সকালে নামাজ ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন। শুধু তাই নয়, সকালের চা তিনি নিজেই বানিয়ে খান।এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মাছ ধরার কয়েকটি ছবি নেটিজেনদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওই ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বরশিতে ধরা পড়ে মস্ত বড় একটি চিতল মাছ। সেই ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মন জয় করে।
    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হচ্ছে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হচ্ছে।শনিবার (১ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। তিনি জানান, শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। রাতে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সাধারণ সেলে বন্দি হিসেবে ছিলেন।তিনি আরও জানান, শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার -১ থেকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।তবে কী কারণে স্থানান্তর করা হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু বলেননি শাহজাহান।
    নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি রমজানে কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তা কমে এসেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভালো রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারকে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে নিত্যপণ্যের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে রংপুরে দুই দিনের সফরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।টিপু মুনশি বলেন, ভুটানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে। ভুটানের সড়ক ব্যবহার, তাদের দেশের পণ্য আমাদের দেশে আমদানি ও তাদের দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির আলোচনাও এগিয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হাইড্রোপাওয়ারের চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। আগামী মে মাসে সেই চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে অনেক আগ্রহী। ভুটানের রাজা বাংলাদেশ সফর করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রোজার প্রথম দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার চাপ তৈরি হয়। বর্তমানে সেই চাপ কমে গেছে। তাই ঢাকা শহরেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। দেশের কৃষকদের পেঁয়াজে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছি।
    জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ বদলে গেছে: তথ্য মন্ত্রী
    আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামে গঞ্জে মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে।তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। মূল সড়ক নয় এখন মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও পাকা হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।’ মন্ত্রী আজ বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তৃণমূলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘দলের রক্ত সঞ্চালন করেন আপনারাই। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আপনাদের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে টিকে আছে।’ ড. হাছান বলেন, গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম এমপি নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন একঘন্টায় যাতায়াত করা যায়। এসব উন্নয়ন আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা করেননি। এসব উন্নয়নের কথা গ্রামে-গঞ্জে হাট বাজারে সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘করোনা-বন্যাসহ কোন দুর্যোগে বিএনপিকে দেখা যায়নি। তারা কারো দড়জায় একমুঠো চাল নিয়ে যায়নি। কিন্তু ভোট আসলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে তাদের আবার এলাকায় দেখা যাবে। নির্বাচন সন্নিকটে, সাধারন মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার সরকার বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাল্লাহ।’    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আসি, শুধু রাঙ্গুনিয়ার  উন্নয়নের জন্য। রাঙ্গুনিয়ার এমন একটি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা নেই যেখানে নতুন বিল্ডিং হয়নি। এমন কোন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা নেই যেটি কয়েক দফা উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।তিনি বলেন, করোনাকালে বর্তমান সরকার বিনাপয়সায় টিকা দিয়েছে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে। আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌণে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগের এসব উন্নয়নের কথা সঠিকভাবে তুলে ধরলে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কা ছাড়া অন্যখানে ভোট দিবেনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ ও মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, মোহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, জহির আহমদ চৌধুরী, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, আবু তাহের, ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম, নুর উল্লাহ, মুজিবুল হক হিরু প্রমুখ।পিএম
    জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
    রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির  সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।বুধবার ভোর ৪টায় সাভারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় শামসুজ্জামানকে। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।এরপর বুধবার রাতে একই অভিযোগে রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাত ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।সংবাদটি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে দেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। শিশুটির বিষয়ে ভুল তথ্য, নাম পরিচয়ও ভুল দেওয়া হয়েছে।পরে শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে এ ছবি তুলেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন সংবাদ করেছে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক।
    সাংবাদিকতা নয়, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
    মিথ্যা তথ্যের জন্য প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নয়।আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মন্ত্রী।প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, যে মামলা করা হয়েছে- সেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক আমি স্বীকার করি।তিনি বলেন, ‘যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করেন, তাহলে কোনোমতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।’আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হয়েছে, সেখানে একটি ভিডিও ক্লিপের কথা আছে। সেখানে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে মামলাটি পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য ডিজিটাল সেলে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। এই মামলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যাবহার হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
    প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।বুধবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্য রাতে অ্যাডভোকেট আব্দুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করেছি।এর আগে, বুধবার (২৯ মার্চ) সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের একজন বাদি হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
    সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডেকেছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
    বিএনপিকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এসব কথা বলেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। চিঠির বিষয়ে সিইসি বলেন, 'আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন- এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম।'বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা যদি আসেন, কী আলোচনা হবে সেটা সেই সময় আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে। উনারা কী বললেন, আমরা কী বলবো। এই বিষয়ে আগাম কোনো বক্তব্য, আগাম কোনো ধারণা দিতে পারছি না।সিইসি আরও বলেন, 'আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করি নাই। সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানাইনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন।'তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চিঠিটা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। আমি ধরে নিচ্ছি উনারা চিঠিটা পেয়েছেন।  এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের কূটকৌশল। আমি জাতিকে অবহিত করতে চাই, এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম সংশ্রব নাই বা ছিল না। তিনি আরও বলেন, 'পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী নয়। এটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই যে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ আমরা করব। আমরা সরকারের আজ্ঞা বহন করিনি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটা ফুটে উঠেছে, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।'সিইসি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আলোচনার ফল ইতিবাচক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। প্রয়াস গ্রহণ করতে তো কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হলে বিএনপি ইসির সঙ্গে কথা বলবে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যেহেতু আমি চিঠি দিয়েছি। যেকোনো রেসপন্স আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে। গণমাধ্যমে অনেকের বক্তব্য শুনেছি সেই কারণে আমি বললাম, অনেকে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু আমরা বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছি, তাদের বক্তব্য চিঠির মাধ্যমে আসা কাঙ্ক্ষিত। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই মুখ্য। বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। সেই জন্য আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ, সংহত হোক এবং দেশে দলীয় চর্চা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আরও সংহত হোক। 

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক।তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলা সাধারণ কোনো ভুল নয় বরং এটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে, তাদের টার্গেট আগামী নির্বাচন।’শনিবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রথম আলো দেশে নৈরাজ্যের চেষ্টায় অপসাংবাদিকতা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনার দায় পত্রিকাটির সম্পাদক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অথচ ক্ষমা না চেয়ে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পত্রিকাটি। তরুণ প্রজন্মকে উসকানি দেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‘জনপ্রিয় সরকারকে হেও করার জন্য, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য, সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে প্রথম আলো। কিন্তু দেশের মানুষ তা সফল হতে দেবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’বিএনপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোলের বিষয়ে কাদের বলেন, ইফতারের দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপি। অথচ, তারা দোষ চাপায় আওয়ামী লীগের ওপর।এসময় বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা ছাড়া আন্দোলন হয় না, নেতা ছাড়া নির্বাচন হয় না।  কাদের বলেন, ব্লুমবার্গের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলছে শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বে যা করেছেন, আবারও ক্ষমতায় আসবেন।বাইরের এসব সংস্থার প্রশংসা সরকারের অর্জন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।  জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইফতার পার্টি বন্ধ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে জনগণের স্বার্থে। আ. লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে  সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে।যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতারাও ।  
    প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক।তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলা সাধারণ কোনো ভুল নয় বরং এটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে, তাদের টার্গেট আগামী নির্বাচন।’শনিবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রথম আলো দেশে নৈরাজ্যের চেষ্টায় অপসাংবাদিকতা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনার দায় পত্রিকাটির সম্পাদক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অথচ ক্ষমা না চেয়ে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পত্রিকাটি। তরুণ প্রজন্মকে উসকানি দেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‘জনপ্রিয় সরকারকে হেও করার জন্য, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য, সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে প্রথম আলো। কিন্তু দেশের মানুষ তা সফল হতে দেবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’বিএনপির ইফতার মাহফিলে হট্টগোলের বিষয়ে কাদের বলেন, ইফতারের দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপি। অথচ, তারা দোষ চাপায় আওয়ামী লীগের ওপর।এসময় বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা ছাড়া আন্দোলন হয় না, নেতা ছাড়া নির্বাচন হয় না।  কাদের বলেন, ব্লুমবার্গের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলছে শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বে যা করেছেন, আবারও ক্ষমতায় আসবেন।বাইরের এসব সংস্থার প্রশংসা সরকারের অর্জন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।  জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইফতার পার্টি বন্ধ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে জনগণের স্বার্থে। আ. লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে  সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে।যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতারাও ।  
    দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সকল সঙ্কট ও দুর্যোগ- দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওই বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে অভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোতি আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না।তিনি বলেন, অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন, তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে? বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাশে। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।তিনি বলেন, সরকার যখন বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশনের মত ঘৃন্য কাজকে নিলর্জ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।   
    জবি শিক্ষার্থীদের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, নীরব ভূমিকায় পুলিশ
    পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎধীন আছে। হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফায় ও ১১ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে রাত ১১ টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৫০-৬০ জন ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের উপরও আক্রমণ করে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ। পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলেও জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।  হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী  বলেন, আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেনো? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আ‌মি বিষয়‌টি জানার পর আহত‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য ব‌্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছি। সূত্রাপুর ও গেন্ডা‌রিয়া দুই থানার ও‌সির সা‌থেই কথা বলে‌ছি। থানাই অ‌ভি‌যোগ দি‌লে অ‌ভিযুক্ত‌দের বি‌রুদ্ধে ব‌্যবস্থা নি‌বে। আর পু‌লিশ‌ যে শিক্ষার্থী‌দের উপর হাত তু‌লে‌ছে সেই ভি‌ডিওটিও ও‌সি‌কে দি‌য়ে‌ছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে।  ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিম এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথায় থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা ভিকটিম আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আরআইআর
    রোজা রেখেও বিএনপি মিথ্যাচার করে কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
    আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সফলতা ভোগ করেও বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রোজা রেখেও বিএনপি নেতারা এত মিথ্যাচার কীভাবে করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।সোমবার (২৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির সময় রেখে যাওয়া ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমাদের সময় ৬ লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। তবুও তারা বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের সুফল নিয়ে ঠিকই তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু মাইকে সারাদিন মিথ্যাচার করছে। রোজা রেখে তারা কীভাবে পারে এত মিথ্যা কথা বলতে?' এ সময় বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না বলেই বিএনপি রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী দলের সদস্যদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আমরা তো তাদের মিছিল করতে দিচ্ছি। তারাতো আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতেই থাকতে দেয়নি। সড়কে নামলে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, বাড়িঘর দখল করেছে। হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল।' 'রমজানে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের কাছে কেউ নিরাপদ না’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'তারা যা করেছে, সে সবের এক ভাগ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা কেবল তাদের অন্যায়ের বিচার করছি।' বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আঁধার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের যে আস্থা-ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আজ বিএনপি দেশে-বিদেশে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। আবার ধারাবাহিক গণতন্ত্রও অনেক মোড়লদের পছন্দ নয়। সব মিলে ষড়যন্ত্র চলছে বিভিন্ন স্থান থেকে। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা যাতে আর ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।'  জিতবে না জেনেই বিএনপি বারবার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, '২০০৮ সালের পর তারা আর জিতবে না জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে বারবার। হেফাজত, অগ্নিসন্ত্রাসসহ বর্বর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দেশের মানুষ। ক্ষমতায় থাকতে তারা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি, কিন্তু নিয়েছে অনেক।' বিএনপি মানে লুটপাট সন্ত্রাস এবং আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'দেশের সম্পদ বিদেশিদের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি বলেই ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তবে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। বরং বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করেছে। লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে। তাদের সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে।'উন্নয়নের এ সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
    সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডেকেছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
    বিএনপিকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এসব কথা বলেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। চিঠির বিষয়ে সিইসি বলেন, 'আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন- এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম।'বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা যদি আসেন, কী আলোচনা হবে সেটা সেই সময় আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে। উনারা কী বললেন, আমরা কী বলবো। এই বিষয়ে আগাম কোনো বক্তব্য, আগাম কোনো ধারণা দিতে পারছি না।সিইসি আরও বলেন, 'আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করি নাই। সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানাইনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন।'তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চিঠিটা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। আমি ধরে নিচ্ছি উনারা চিঠিটা পেয়েছেন।  এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের কূটকৌশল। আমি জাতিকে অবহিত করতে চাই, এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম সংশ্রব নাই বা ছিল না। তিনি আরও বলেন, 'পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী নয়। এটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই যে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ আমরা করব। আমরা সরকারের আজ্ঞা বহন করিনি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটা ফুটে উঠেছে, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।'সিইসি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আলোচনার ফল ইতিবাচক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। প্রয়াস গ্রহণ করতে তো কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হলে বিএনপি ইসির সঙ্গে কথা বলবে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যেহেতু আমি চিঠি দিয়েছি। যেকোনো রেসপন্স আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে। গণমাধ্যমে অনেকের বক্তব্য শুনেছি সেই কারণে আমি বললাম, অনেকে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু আমরা বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছি, তাদের বক্তব্য চিঠির মাধ্যমে আসা কাঙ্ক্ষিত। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই মুখ্য। বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। সেই জন্য আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ, সংহত হোক এবং দেশে দলীয় চর্চা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আরও সংহত হোক। 
    স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
    স্বাধীনতার  পাঁচ দশক পরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে ৫২ বছর পরেও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে। আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে।রোববার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। এখানে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরা এই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছি। দেশনেত্রী বেগ খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।মির্জা ফখরুল বলেন, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন যে স্বপ্ন ছিল, আশা আকাঙ্খা ছিল, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কি দুর্ভাগ্য, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।তিনি বলেন, এই মহান দিনে, স্বাধীনতার শুভলগ্নে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করছি, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, চাল, ডাল তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য ও দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাবো।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল- তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’আগামীকাল রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের অপার সম্ভাবনাময় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে একটি জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।’তিনি বলেন, ‘বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। অথচ আজও বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।’মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শোষিত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    রাজধানী থেকে একসঙ্গে চার স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

    রাজধানীর মিরপুরে একসঙ্গে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া চার কিশোরী-শিক্ষার্থীর রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টিসহ বৃহত্তর মিরপুরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

    গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি বলে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীরা হলো- তারমিন আক্তার কল্পনা, সামিয়া, খুশি ও কুলসুম। এর মধ্যে তারমিন আক্তার কল্পনা স্থানীয় কাজী আবুল হোসেন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর খুশি, সামিয়া ও কুলসুম মিরপুর ১৩ নম্বরের আল জাহারা গার্লস একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

    এ ঘটনায় নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ ডিএমপির মিরপুর বিভাগের কাফরুল থানায় আলাদা আলাদা চারটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

    এ বিষয়ে কাফরুল থানা ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ ওই চার শিক্ষার্থীরা সবাই একে অপরের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তারা সকলেই কাফরুল থানাধীন মিরপুর -১৩ নম্বরের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও অপর তিনজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।

    নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক কাফরুল থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) উল্লেখ করেছেন, ‘গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে তার কিশোরী মেয়ে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরের পর খবর আসে সে মাদরাসায় যায়নি। সম্ভাব্য সকল জায়গাসহ আশেপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি, আমার মেয়ে একা নয়- তার আরো তিন বান্ধবী একইভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে তাদের কেউই আর বাসায় ফিরে আসেনি।’

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, একসাথে চার কিশোরী-শিক্ষার্থীর রহস্যজনক নিখোঁজের বিষয়টি অবশ্যই বেশ উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিখোঁজ ওই চার শিক্ষার্থীর মধ্যে দু’জনকে ঘটনার আগের দিন পড়াশোনা বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে পরিবারের লোকজন বকাবকি করেছিল। এ ঘটনায় অভিমানবশত তারা নিখোঁজ নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে সে বিষয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ওসি হাফিজুর রহমান আরো বলেন, ঘটনার দিন প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল সে বিষয়ে ধারণা পেতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ির আশপাশের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিখোঁজের দিন ওই শিক্ষার্থীরা সবাই একসঙ্গেই অবস্থানের এক পর্যায়ে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সিলেটের দিকে যেতে পারে। তবে নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীর কারো কাছেই মোবাইল ফোন না থাকায় তাদের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে দেশের সকল থানায় একসঙ্গে চার শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার বার্তা পৌছে দিয়েছি। পাশাপাশি সিলেট পুলিশকে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িওয়ালার হাতে খুন!

    রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মারামারির ঘটনায় আবদুল্লাহ আল সোহান (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। 



    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপবাগের মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দনপাড়া গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে।


    নিহত সোহানের চাচাতো ভাই সাগর মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে সোহান ও তার স্ত্রী মাসুমা সিদ্দিকা দোলার বাসায় যান। তখন দোলাদের বাসায় তাদের পরিবারের কেউ ছিলেন না। দোলার বাসার বাড়িওয়ালা ও স্থানীয়রা বিয়ের বিষয়ে জানতেন না। কারণ দুই বছর আগে আদালতের মাধ্যমে দোলাকে বিয়ে করেছিলেন সোহান। 


    তিনি বলেন, এ সময় বাড়িওয়ালা জামাল তাদেরকে জেরা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দোলা তাদের বিয়ের কাগজপত্র বাড়িওয়ালাকে দেখান। কিন্তু তারপরেও বাড়িওয়ালা দোলার কাছ থেকে সোহানকে ছিনিয়ে নিয়ে পাশের বাসার নিচে নিয়ে যায়। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহান অচেতন হয়ে পড়লে প্রথমে মনোয়ারা হাসপাতাল ও পরে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


    সাগর মিয়া বলেন, সোহানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সোহান। পিঠার ব্যবসা ছিল তার, বিভিন্ন দোকানে পাইকারি বিক্রি করতেন। বর্তমানে খিলগাঁও সি ব্লক আনসার ক্যাম্পে পেছনে ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার গোলাবাড়ি গ্রামে। এক ভাই এক বোনের মাঝে সোহান বড়। তার বাবার নাম ইউনুস খান।


    এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল আলম জানান, গতকাল রাতে মানিকনগর মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে আমরা খবর পেয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত সোহানের মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 


    তিনি আরও জানান, নিহতর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনার অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। 


    আরআইআর

    রমজানের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে তীব্র যানজট

    টানা তিন দিন ছুটির পর রমজান মাসে আজ প্রথম কার্যদিবস শুরু হয়েছে। আর কার্যদিবসের প্রথম দিনেই যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। গাড়ির জট লেগে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে।


    রোজা রেখে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী মানুষদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে শহরে যানজটের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি আটকে রয়েছে।


    রাজধানীর বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, বাড্ডা, মহাখালী, হাতিরঝিল, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী ও কালশী এলাকায় যানজট রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপও বাড়ছে বলে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে।


    রাজধানীজুড়ে যানজটের বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, তিন দিন ছুটি থাকার পর রমজানের প্রথম কর্মদিবসে একসঙ্গে সবাই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। 


    এদিকে ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকা শহরের যানজট প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এখন আর সকাল, বিকাল বা গভীররাত বলে কোন কথা নেই সব সময় যানজট। আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন পথও খোঁজা হচ্ছে না। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।


    ভিক্টর বাসের চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা নিরূপায়। রজমানের শুরুতেই যদি এমন হয় তাহলে সামনের দিনগুলো তাহলে আর কত যানজট হবে, ভাবতে পারি না।

    রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৯

    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।


    সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।


    এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা করা হয়েছে।


    ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ৭৭৬ পিস ইয়াবা, ১৫ কেজি ৪৫০ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ১৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।


    গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩২টি মামলা রুজু হয়েছে।

    লিফটে আটকা ৬ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

    রাজধানীর শাহবাগে আব্দুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোলরুমে লিফটে আটকা পড়া ৬ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেছে ‘দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী’। 

    ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ একটি কল আসে, এতে জানানো হয় রাজধানীর শাহবাগে আব্দুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোলরুমের লিফটে ৬ জন পুলিশ সদস্য আটকা পড়েছেন। এমন খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাসস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    উদ্ধার কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়। উদ্বারকৃতরা সকলেই পুলিশের কনস্টেবল।

    ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    খালেদা ইয়াসমিন জানান, ৬ পুলিশ সদস্য লিফটে আটকা পড়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

    তিনি জানান, পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নিচ তলায় মেশিনের সাহায্যে লিফটের দরজা খুলে আটকে পড়া ছয় পুলিশ সদস্যকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। লিফটে গোলযোগের কারণে দরজাটি লক হয়ে যাওয়ায় ৬ পুলিশ কনস্টেবল আটকে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    মোংলায় বিদেশি সিগারেটসহ আটক ১

    মোংলার কানাইনগর থেকে ২ কার্টুন বিদেশী সিগারেটসহ রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজন (২৮) নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। 


    শুক্রবার (৩১ মার্চ) গভীর রাতে মোংলার কানাইনগরের গুচ্ছগ্রাম পশুর নদীর বেড়ী বাধ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজন (২৮) কানাইনগর এলাকার কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে।


    মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মোংলার কানাইনগর গুচ্ছগ্রামের পশুর নদীর বেড়ী বাধের উপর নৌপথে বিদেশ থেকে কর ফাঁকি দিয়ে কিছু চোরকারবারী বিদেশী সিগারেট চোরাচালানের মাধ্যমে বিক্রি করবে। এমন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন কৌঁশলে পালানোর চেষ্টাকালে ঘটনাস্থল থেকে রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজনকে আটক করা হয়।


    এসময় তার কাছ থেকে বিদেশী সিগারেটের কার্টুন উদ্ধার করা হয়। পালাতকরা হলো কানাইনগর এলাকার মৃত সোবাহান হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৫৪) ও মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হাই (৪৭)। জব্দকৃত সিগারেটের মূল্য প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আটককৃতকে  বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    এআই 

    বাগেরহাটে ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

    বাগেরহাটের রামপালে ইসলাম ধর্ম ও মাহে রমজানের রোজা পালন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে তমাল পাল (১৯) নামের হিন্দু এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় মোঃ আখতার শেখ নামের এক ব্যক্তি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রামপাল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার ও অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই তমাল পালকে গ্রেফতার করে।

    এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের আজিবর শেখের পুত্র আখতার শেখ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় রামপাল উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়ক সংলগ্ন ভাগা বাজারের কামাল ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কামাল ফিলিং স্টেশনের সামনের বাসিন্দা রবিন পালের পুত্র তমাল পাল ইসলাম ধর্ম ও মাহে রমজানের রোজার তৎপর্য নিয়ে ধর্ম বিরোধী বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। তাকে নিষেধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি যা বলেছি ঠিক বলেছি। এ কথা কাউকে জানালে ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

    রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই প্রযুক্তির ব্যবহার ও অভিযান চালিয়ে দ্রুত তাকে খুলনা গ্রেফতার করি। তিনি মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।

    মাগুরায় দু'দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

    মাগুরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু'দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আতর আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর আগে গতকাল একই ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। 

    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধায় মাগুরা সদরের বেরইল পলিতা ইউনিয়নের মনিরামপুর মধ্যপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ১৫ টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। 

    জানা গেছে, মনিরামপুর গ্রামের মুরাদ মোল্লা এবং মান্নান মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সাহেব ফকির ও শহীদ ফকিরের জমি মাপাকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা জের ধরে বুধবার ইফতারের আগে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    ওই ঘটনার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  মান্নান মোল্লা গ্রুপের সমর্থক আতর আলীকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে মুরাদ মোল্লার লোকজন। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের ১৫টি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। 

    মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমউল্লাহ জানান, সামাজিক দলাদলি নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত ঘটনায় কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

    পিএম

    এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি সাতক্ষীরার আট খাদ্য গুদামে!

    সাতক্ষীরার সাত উপজেলার ৯টি সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪১২ মেট্রিক টন। তবে শুধুমাত্র কলারোয়া খাদ্য গুদামে ১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হলেও বাকি ৮টি খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি।

    সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ৭০৬৮ মেট্রিক টন চাউল এবং ৪৪১২ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭৩৪০ মেট্রিক টন চাউল সংগ্রহ হলেও গত ৭ মার্চ পর্যন্ত ১ মেট্রিক টনের বেশি ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ধান ও চাউল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছিল। ধান সংগ্রহ ৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ টাকা এবং চাউলের মূল্য ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

    সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী বলেন, ‘আমন মৌসুমের ধান বাড়ি থেকেই বিক্রি করেছিলাম। পাইকার এসে নিয়ে গিয়েছিল। সরকারী গুদামের চেয়ে পাইকাররা দাম বেশী দিয়েছিল।’

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান আবার ফেরত আনতে হয়। এছাড়া পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের মজুরীসহ আরো অনেক বাড়তি খরচ তো আছেই। তাছাড়া গুদামে ধান দিলে টাকা তুলতে সময় লাগে। সংসারের কাজ ছেড়ে টাকার জন্য অফিসে ঘোরার সময় নেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। এ বছর সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি ছিল। তাই এবছর ধান গুদামে না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটকেলঘাটা এলাকার এক মিল মালিক বলেন, ‘সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারেই ধান ও চাউলের মূল্য বেশি। আমন মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত ধানও ছিলনা। বেশি দামে ধান কিনে গুদামে কম দামে চাল সরবরাহ করবো কিভাবে?’

    কলারোয়া উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা মমতাজ পারভীন বলেন, ‘গত ২১ সিসেম্বর উদ্বোধনের দিন ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর আর কোনো ধান আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি। আমি কৃষকের সাথে কথা বলেছি। বাইরের বাজারে ধানের ধাম বেশী থাকায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে আগ্রহ দেখায়নি।’

    জেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বলেন, ‘প্রথমধামে আমরা যারা ধান ক্রয় করে চাউল বানিয়ে গুদামে দিয়েছিলাম তাদের লস হয়নি। তবে শেষে যারা গুদামে চাউল দিয়েছেন তাদের লস হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারী গুদামের চেয়ে বাইরে ধানের দাম বেশী পেয়েছে কৃষকরা। ফলে আমাদেরও এবছর ধান কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে। প্রতিবছর আমরা খাদ্য গুদামের সাথে চুক্তি করি। লসের কথা ভেবে যদি আমরা এবছর চাউল না দিতাম তবে পরবর্তীতে খাদ্য গুদাম আমাদের সাথে আর চুক্তি করতো না। এজন্য লস হলেও এ বছর অনেক মিল মালিক খাদ্য গুদামে চাউল দিয়েছে।’

    সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কমল চাকমা বলেন, ‘লক্ষমাত্রার চেয়ে আমরা ২৭২.৪৯ মেট্রিক টন চাউল বেশী সংগ্রহ করেছি। সাতক্ষীরা সদর গুদামে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫২৮ মেট্রিক টন চাউল সংগ্রহ হলেও অন্যান্য খাদ্য গুদামে লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। এছাড়া কলারোয়া খাদ্য গুদামে ১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হলেও অন্যান্য গোডাউনে এক কেজিও ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। কারণ সরকারী দামের চেয়ে খোলা বাজারেই ধানের ভালো দাম পেয়েছেন কৃষকরা।


    ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা খেল রোহিঙ্গা তরুণী

    বাগেরহাটে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে আমিনা আক্তার জিগার (১৫) নামের রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ওই তরুনীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে পাসপোর্ট অফিস।

    আটক আমিনা আক্তার জিগার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা ক্যাম্পে অবস্থান করা খোকন রাহামাতুল্লাহ‘র মেয়ে। তিনি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের মোঃ খোকন ও সাদিয়া বেগমের মেয়ে আমিনা আক্তার পরিচয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। তার কাছে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদত্ত জন্মনিবন্ধন সনদ রয়েছে।

    বাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক একে এম আবু সাইদ বলেন, সকালে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই তরুণী। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। এক পর্যায়ে বোঝা যায় ওই তরুণী বাংলাদেশী নাগরিক নন। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করে তরুণীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ ৪ জন, ২০২০ সালের ১২ মার্চ ১২ জন এবং ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৫ জন রোহিঙ্গাকে বাগেরহাট থেকে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

    অভাবের সংসারে উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক বাবা

    উঠানে চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ পর পর বুক চেপে ধরে কান্না করছিলেন ওমরাহ পালনে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আকাবা শারে এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হোছাইনের বৃদ্ধ বাবা কাদের হোসেন। 

    সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঘোনারপাড়া বাহারকাছা এলাকায় হোছাইনের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। তার স্বজনরা কেউই কান্না থামাতে পারছেন না। ছোট ভাই মাটিতে পড়ে আর্তনাদ করছেন। ছেলেকে হারিয়ে বাবা কাদের হোসেন যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাক হয়ে চেয়ে দেখছেন শুধু।

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘রোজার কয়েকদিন আগে বাজারের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সড়ক দুর্ঘনার দিন সকালে বলেছে এবার ঈদের জন্য সবার কেনাকাটার জন্য টাকা টাকা পাঠাবে।’

    তিনি বলেন, ‘ছেলেকে দেশে আনতে পারব কিনা কিছুই বলতে পারছি না। ছেলের মরদেহ দেশে আনার জন্য আমি সরকারের সহযোগিতা চাই।’

    স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে জীবিকার তাগিদে মোহাম্মদ হোছাইন সৌদি আরব যান। সেই থেকে পরিবারের অবস্থা ভালোই চলছিল। কিন্তু আকষ্মিক এ দুর্ঘটনায় পরিবারটির এখন বেহাল অবস্থা।

    উল্লেখ্য, ওমরাহ পালনে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আকাবাশারে এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি কক্সবাজারে। এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি মহেশখালীতে, আরেকজন রামু উপজেলার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার খবরের পর থেকে এ তিনজনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

    প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে নিহত হন বাসের ২৭ যাত্রী। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ১৮ জন।

    পিএম

    মতলব উত্তরে মায়ের চোখের সামনে শিশুর মৃত্যু

    বারবার খেই হারিয়ে ফেলছেন মা। চোখের সামনে নিজের সন্তানের মৃত্যু যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না মমতাময়ী মা। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুরে এই ঘটনা ঘটে।

    আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে প্রাইভেট কার চাপায় বিজয় (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত বিজয় তাতুয়াকান্দি ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চৌকিদার সৌরভ চন্দ্র দাসের ছেলে।

    স্বজনরা জানান, তার ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় বিজয়। আজ সকাল ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে সে বাড়ির সামনের বেরিবাধে সড়কের পাশে অবস্থান করছিলো। এ সময় দ্রুত গতির একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, সাদা রঙের দাড়িওয়ালা বয়স্ক একজন গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে ২/৩ জন মহিলা ছিলো এবং গাড়ির পিছনে মাকড়সা আকৃতির একটি লোগোও দেখা গেছে।

    মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় আনার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    পিএম

    উখিয়ায় পাহাড়ের মাটি ধসে ৩ রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ৩ মামলা

    কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কর্তনকালে মাটি ধসে ৩ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হওয়ার জের ধরে পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহতদের একজনের পিতা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

    অপরদিকে বন আদালতে বনবিভাগের দায়ের করা ২ টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে।

    বৃহস্পতিবার বিকালে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বুধবার রাতে নিহত ৩ জনের মধ্যে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের নুর কবিরের পিতা সুলতান আহমেদ বাদি হয়ে ৮ জনের নামে উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশে রাজী হননি তিনি।

    উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি মো. শফিউল আজম জানান, বুধবার এ মামলা ২ টি দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তা সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বনবিভাগের দায়ের করা ২ টি মামলার বাদি উখিয়ার বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। বন আইনে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের অভিযোগে এ ২ টি মামলার দায়ের করা হয়।

    যার একটি আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। এরা হলেন, উখিয়ার মুহুরী পাড়ার আলী আহমদের ছেলে নেচার আহমদ (৫০), মধুরছড়ার মীর আহমদের ছেলে মো. আলম (৩৮), শীলের ছড়ার মৃত আবুল বলির ছেলে নুর মোহাম্মদ বলি (৩৬), একই এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০), মুহুরী পাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭)।

    অপর মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ জনকে। এরা হলেন, মুহুরী পাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭), শীলের ছড়ার মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০)।

    বুধবার ভোরে উখিয়া সদরের মুহুরি পাড়া এলাকায় পাহাড় কর্তনকালে মাটি চাপায় নিহত হন উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহেদ হোসেন (২২), ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে নুর কবির (৩০), ১৯ নম্বর ক্যাম্পের মিন্টু হোসেনের ছেলে সৈয়দ আকবার (৩৩)।

    পিএম

    সৌদিতে নিহত আসিফ ও শেফায়েত উল্লাহর বাড়িতে শোকের মাতম

    পরিবারের সুখের আসায় মাত্র ছয় মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কাজ করতেন একটি হোটেলে। ১২ দিনের ছুটি পেয়ে অন্যদের সঙ্গে ওমরাহ করতে যান কক্সবাজারের মহেশখালীর নতুন বাজার গ্রামের মোহাম্মদ আসিফ (২২)।  কিন্তু পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ ২৪ জন নিহত হন।

    নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে কক্সবাজারের রয়েছেন তিনজন। তার মধ্যে দুজনের বাড়ি মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়নে। অপরজনের বাড়ি রামু উপজেলায়। 

    এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে একই ইউনিয়নের বড় ডেইল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ শেফায়েত উল্লাহ (২৪) এর বাড়িতে চলছে মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। কেউ কেউ তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেফায়েতের বাড়িতে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

    জানা গেছে, এখন নিহতদের বাড়ি সহ গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের স্বজনরা চান, দ্রুত তাদের মরদেহ যেন দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

    সৌদি আরবের মক্কা নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিমে মাহাইল এলাকায় বাস দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশি সহ ২৪ জন নিহত হয়েছে। নিহত বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জন কক্সবাজারের বাসিন্দা।

    বৃহস্পতিবার সকালে বড় মহেশখালীর নতুন বাজার গ্রামের গিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি মোহাম্মদ আসিফের পিতা আহমদ উল্লাহর সাথে। তিনি কাঁন্নায় নির্বাক হয়ে রয়েছেন।

    তবে কথা হয়, মোহাম্মদ আসিফের চাচাত ভাই সরওয়ার আলমের সাথে। তিনি জানান, পরিবারিক টানাপোড়নের কারণে ২ বছর ৪ মাস আগে সৌদি আবর যান। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে আয় করার ক্ষমতা ছিল কেবল আসিফের। ঋণ নিয়ে সৌদি আবর যাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করে সংসারে কিছুটা স্বচ্ছতা আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে বাস উল্টে আগুন লেগে মোহাম্মদ আসিফ মারা যাওয়ার খবর পিতা-মাতা সহ সকলেই শোকাহত।

    আসিফের মামা হাফেজ মতিউর রহমান জানান, আসিফের নিহতের খবর জানার পর তার বাবা-মাকে জানানো হয়নি। অনেক পরে জানানো হলেও একই কেউ কথা বলতে পারছেন না। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগি চেয়েছেন তিনি।

    পাশা-পাশি গ্রামের মোহাম্মদ শেফায়েত উল্লাহও নিহতের একজন। শেফায়েতের পিতা নুরুল ইসলাম জানান, আসিফ আর শেফায়েত ওই বাসে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন এ খবর তাদের জানা ছিল। ওখানে শেফায়েতের মৃত্যু বিষয়টি পরিবারেরর কাছে জানিয়েছেন সৌদি আরবে থাকা অপর দুই ছেলে।

    শেফায়েতের বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম জানান, তার অপর ২ ভাই সাইফুল ইসলাম, শাহজাহান ইসলাম শেফায়েতের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে শেফায়েতের নাম শেফায়েত উল্লাহ না শেফায়েত ইসলাম বলে জানান তিনি। 

    তিনি বলেন, যা হবার হয়েছে মরদেহ যেন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

    মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে সড়ক দূর্ঘটনায় মহেশখালীর দুই জন নিহত হবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে এখনো জানানো হয়নি।

    এদিকে, এ দূর্ঘটনায় কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রামু উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা বলে স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় বা অন্য কোন দপ্তর থেকে এখনও কোন কাগজ পত্র পাননি। মহেশখালী ২ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিহতের বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

    পিএম

    দিয়াজের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে তদন্তভার পেল পিবিআই

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে পুলিশের পর সিআইডি যে প্রতিবেদন দিয়েছিল; তা গ্রহণ না করে ফের অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 


    পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এএসপি পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদ।


    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। 


    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মামলার বাদী দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরীর অধিকতর তদন্ত চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ আসে আদালতের পক্ষ থেকে।


    দিয়াজ ইরফানের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নীপা বলেন, ‘আমাদের নারাজি আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। পিবিআইকে একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের মাধ্যমে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবদেন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’


    যদিও চবি ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ আত্মহত্যাই করেছেন, পুলিশের পর সিআইডিরও একই প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। সেই চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বাদী জাহেদা আমিন চৌধুরী।


    ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ।


    দিয়াজের মৃত্যুর তিন দিন পর ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।


    এতে আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের সেই সময়ের সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান।  যদিও সিআইডির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।


    তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে আসছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তখন দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    এখনও জমে ওঠেনি করটিয়ার কাপড়ের হাট, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

    আসন্ন ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী করটিয়া শাড়ি কাপড়ের হাটে বেচা-কেনা এখনও জমে ওঠেনি। ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় ঈদের কাছাকাছি সময়ে ব্যবসা জমবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।


    করোনাভাইরাস ও বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে টাঙ্গাইলের শাড়ির ব্যবসায়ে ধস নামে। সে ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁতিরা।


    ঈদকে সামনে রেখে লোকসান কাটিয়ে উঠতে আশাবাদী ছিলেন তাঁত মালিক ও শাড়ি ব্যবসায়ীরা। তবে রমজান শুরুর আগে শেষ হাটে আশানুরূপ কেনা-বিক্রি না হওয়ায় তাদের কপালে যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।


    সরেজমিনে করটিয়া শাড়ি কাপড়ের  হাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তৈরি  হস্তচালিত তাঁতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দামের সাধারণ তাঁতের শাড়িসহ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি তৈরি করে হাটে তুলেছেন তাঁতিরা।


    কথা হয় তাঁত মালিক শাড়ি ব্যবসায়ী ও করটিয়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান আনছারী সাথে। তিনি জানান, করটিয়ায় প্রতি সপ্তাহে (মঙ্গলবার ও বুধবার) দুদিন বসে এ শাড়ি কাপড়ের হাট। ঈদ মৌসুমে এ হাটে কয়েকশ কোটি টাকার শাড়ি কাপড় বেচা-কেনা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখানে আসেন শাড়ি কিনতে।


    সংকট কাটিয়ে উঠতে এবার ধার-দেনায় শাড়ি উৎপাদন করে হাটে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। আশানুরূপ বিক্রি না হলে আবারও লোকসান গুনতে হবে তাদের।


    রফিকুল ইসলাম নামের এক শাড়ি ব্যবসায়ী জানান, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগথি হওয়ায় মানুষের হাতে তেমন টাকা নেই। গত দুই ঈদেও তেমন বেচা-বিক্রি না হওয়ায় এবারও তেমন একটা শাড়ি কিনছেন না পাইকাররা।  


    করটিয়া হাটের শাড়ি ব্যবসায়ী কমল বসাক জানান, অনলাইনে শাড়ি বিক্রি করেন এমন কিছু ক্রেতা ছাড়া হাটে পাইকারদের উপস্থিতি খুবই কম। অথচ পাইকারী শাড়ি বিক্রির এখনই সময়। ঈদের আগে এই সময়টাতে হাটে সারা দেশের পাইকাররা চলে আসেন। কিন্তু এ বছর তেমন দেখা যাচ্ছে না।


    মানিকগঞ্জ থেকে করটিয়া হাটে শাড়ি কিনতে আসা ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান মামুন জানান, গত ঈদে কেনা সব শাড়ি এখনও বিক্রি হয়নি। তাই এবার খুব কম পরিমাণ শাড়ি কিনেছি। বেচা-কেনা বাড়লে আবার এসে কিনব।


    ঈদ উপলক্ষে এ হাটে শাড়ি কিনতে আসেন টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা এলাকার গৃহবধূ নুরজাহান বেগম। তিনি জানান,, ঈদে নিজের ও আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দিব বলে কয়েকটি শাড়ি কিনতে হাটে এসেছি। তবে যা দেখছি, তাতে এ বছর শাড়ির দাম বেশি, মানও তেমন একটা ভালো নয়।


    টাঙ্গাইল জেলা তাঁতি লীগের (একাংশের) সভাপতি  কালা চাঁদ বসাক জানান, এবার ঈদে আশানুরূপ শাড়ি বিক্রি হচ্ছে না। এছাড়াও পুঁজি সংকটে শাড়ির উৎপাদন কম। তবু আশা করছি শেষ মুহুর্তে ভাল বেচা-বিক্রি হবে।


    টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, তাঁতিরা যখন ন্যায্য মূল্য পায় না তখন শাড়ির মানও কমে যায়। রমজান শুরু হয়ে গেছে অথচ শাড়ি কিনতে পাইকাররা তেমন আসছেন না।


    শাড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায়, দক্ষ তাঁত শ্রমিকের অভাবে এবং তাঁত মালিকদের পুঁজির সংকটের কারণে এবার শাড়ির উৎপাদনও কম হয়েছে বলে জানান তিনি।

    ফরিদপুরে বিনা টিকেটে যাত্রীদের ভাড়া যাচ্ছে টিটির পকেটে

    ফরিদপুরে বিনা টিকেটে রেলে চড়া যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা আদায়ের পর দেয়া হচ্ছেনা কোন রশিদ। ফলে ওই টাকা ট্রেন টিকেট এক্সামিনার (ট্রেনে টিকিট পরীক্ষক) সংক্ষেপে টিটিই এর পকেটে যাচ্ছে।


    রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে চলাচলরত রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের নিকট থেকে এভাবে টাকা আদায় করতে দেখে অভিযোগ করেন একজন স্কুল শিক্ষক।


    নগরকান্দার চাঁদহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তালমার নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সকাল সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটের ট্রেনে উঠে তালমা স্টেশন থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।


    তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়ার পরে টিটিই এসে টিকেট চেক করার সময় দেখা গেলো অনেক যাত্রীরই টিকেট নেই। তবে টিটিই তাদের নিকট থেকে ভাড়ার টাকা আদায় করলেও তাদের কোন টিকেট বা রশিদ দেননি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই টাকা কি আদৌ জমা হবে কোষাগারে? অথচ টাকা দেয়া যাত্রীরাও কিছু বললেন না।


    এব্যাপারে তালমা রেল স্টেশনের টিকেট মাস্টার বলেন, টিটিই'র কাছে বিপিডি বই থাকে। ওই বইতে সে ৯০ টাকার নিচে টিকেট লিখতে পারবে না। তবে অনেক সময় ভাড়ার টাকা কম হলে চার পাঁচজনের টাকা এক টিকেটে লিখতে পারে। তিনি বলেন, ট্রেনের মধ্যে টিকেট নিয়ে যারা উঠেছে তাদের দ্বায়িত্ব আমার, আর টিকেট ছাড়া উঠেছে তার দ্বায়ভার টিটিই এর। তাদের দ্বায়ভার আমার না।


    জানা গেছে, জরিমানাসহ রেলের ভাড়া বেশি দিতে হয় বলে বিনা টিকিটের যাত্রীরা টিটির কাছে ধরা পড়ে শুধু ভাড়ার টাকা দিয়েই পাড় পেতে চায়। তারা জরিমানা দিতে চায়না এজন্য রশিদ নেয়া বরং তাদের জন্য বিপদের কারণ। আর অসাধু টিটিরা যাত্রীদের এই টাকা রেলে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করার সুযোগ পেয়ে যায়। 


    ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার তাকদির হোসেন বলেন, টিটি যদি যাত্রীদের নিকট থেকে কোন টাকা আদায় করে তাহলে অবশ্যই রশিদ বা ডকুমেন্ট দিবেন। আর যদি তা না দেন তাহলে যাত্রীদের নিকট থেকে অভিযোগ পেলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এআই 
    ফরিদপুরে ওষুধ ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কেটে দিল দুবৃর্ত্তরা

    ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মুক্তি রাম মন্ডলের (৫০) পায়ের রগ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার

    কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়ার হয়েছে বলে দাবী ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর।


    শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 


    আহত অবস্থায় মুক্তি রাম মন্ডলকে প্রথমে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করা হয়। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর কামারবাড়ি গ্রামে। তার এক ছেলে এক মেয়ে।


    এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সহস্রাইল বাজারের ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল ওই ব্যবসায়ী। বাড়ির সামনে

    পৌঁছালে ৫ থেকে ৬ জন দুবৃর্ত্তরা তার রাস্তা রোধ করে তার কাছে থাকা টাকা দিয়ে দিতে বলে। সে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার হাত পা বেঁধে মারধর করে এবং তার ডান পায়ের গুড়ালির রগ কেটে দিয়ে তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর পাঠানো হয়।


    আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হাসান বলেন, মুক্তি রাম মন্ডল নামের একজনকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাকে ফরিদপুর রিফার্ড করা হয়েছে। তার ডান পায়ের এ্যাঙ্কেল জয়েন্ট কাটা ছিল।


    বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কাটার বিষয়টি এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের জানায়নি। তবে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। আর এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এআই 

    মাদারীপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

    মাদারীপুরে ৩টি ফলের দোকান ও ১টি মাংসের দোকানে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে রাজৈর উপজেলার রাজৈর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।  


    জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, মাহে রমজান উপলক্ষে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার। এরই প্রেক্ষিতে রাজৈর উপজেলায় রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনা করা হয়। 


    এ সময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩টি ফলের দোকান ও একটি মাংসের দোকানে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এবং তাদেরকে সতর্ক করা হয়। 

     এআই 

    ফরিদপুরে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল এনজিও কর্মকর্তার মরদেহ

    ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল অধীর কুমার বিশ্বাস (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ। সে উপজেলার কামারখালী শাখার ব্র্যাক এনজিও, বিসিইউপি প্রকল্পে ম্যানেজার পদে চাকুরী করতেন।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর এলাকা থেকে ওই এনজিও কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    অধীর রাজবাড়ী জেলার লক্ষীনারায়পুর গ্রামের শ্রী মাখন লাল বিশ্বাসের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মধুখালী থানায় নিয়ে যায়।

    জানা গেছে, কামারখালী শাখার ব্র্যাক এনজিও, বিসিইউপি প্রকল্পে ম্যানেজার পদে চাকুরীর সুবাদে মছলন্দপুর হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রভাষ মিত্রের বাড়িতে ব্যাচেলর হিসেবে ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অফিসের কাজ শেষে ভাড়া বাসায় এসে রাত অনুমান ১১ টা পর্যন্ত অফিসের কাজকর্ম করেন। বাড়ির মালিক দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়তে বললে তিনি পরে দরজা বন্ধ করে দেন। পরেরদিন শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে বাড়ির মালিক অধীর কুমার বিশ্বাসের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান অধীর কুমার বিশ্বাস খাটের উপর প্লাস্টিকের চেয়ারের মাধ্যমে ঘরে থাকা সিলিং ফ্যানের আংটার সাথে নাইলনের রশি দেওয়া গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ১০ টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

    মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

    এফএস

    আমার পোড়া কপালে সেই সুখ আর সইলো না

    সাত বছরের প্রেম, অবশেষে পরিণয়ে রূপ নিয়েছে। বিয়ে হলেও, পরা হয়নি বেনারসি শাড়ি। কথা ছিল বাড়িতে এসে আমাকে বেনারসিতে বউ সাজিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু আমার পোড়া কপালে সেই সুখ আর সইলো না, আমার আর বেনারসি পরা হলো না। 


    এমনটা বলেই চিৎকার কাঁদছিলেন ওমরাহ শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাগর জোমাদ্দারের স্ত্রী শান্তা আক্তার। ওমরাহ শেষে ফেরার পথে দুই বাংলাদেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। একই পরিবারের দুজন সদস্যকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা, দিশেহারা স্বজনরা। 


    নিহত সাগরের স্ত্রী শান্তা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সাত বছর প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতে ভালোবাসার টানে বিয়ে করেন সাগর ও শান্তা। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি দেন স্বামী সাগর জোমাদ্দার। স্ত্রী শান্তা সাগরের বোনের বাড়িতেই থাকতেন।


    কথা ছিল প্রবাস থেকে ফিরে বেনারসি পরিয়ে বউয়ের সাজে সাগরের বাড়িতে নিয়ে যাবে। তবে সেই সুখ দেখার আগেই প্রবাস জীবনের বছর না ঘুরতেই স্বামীর অকালমৃত্যু সংবাদ। এ যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। এ দিকে স্বামীর লাশটিও শেষ বারের জন্য দেখতে পারবে কিনা সে অনিশ্চয়তা তো থাকছেই।


    ওমরাহ শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশি একই পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে শ্যালক দুলাভাই। বিগত ২৩ বছর পূর্বে কর্মের তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান নিহত মোজাম্মেল হোসাইন।


    পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে এক বছর আগে নিজ কর্মস্থলেই নিয়ে যান শ্যালক সাগর জোমাদ্দারকে। ওমরাহ হজের উদ্দেশ্যে সৌদির আলগাছিমের উনাইযা নামক স্থান থেকে তারা গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ)  মক্কায় রওনা হন। 


    ওমরাহ শেষ করে কর্মস্থলে ফেরার পথে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আল আরিয়ান নামক স্থানে পাথরের পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাংলাদেশি ওই দুই নাগরিক। বাংলাদেশি সময় শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮ টায় ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে থাকা আহত এক সফরসঙ্গী নিহত সাগর জোমাদ্দারের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে তারা নিশ্চিত হন। 


    আরআইআর

    ভোলায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু

    ভোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে  তারেক মাহমুদ বাবু (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার ৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর নন্দনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মৃত যুবক ওই গ্রামের মৃত হেলাল হাওলাদারের ছেলে।

    ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাসুদ জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে একই উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে মো. হেলাল মেম্বার ও আলাউদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। হেলাল ও আলাউদ্দিন সহোদর ভাই। এছাড়াও হেলাল শ্যামপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। হেলাল ও আলাউদ্দিন ব্যতীত কবির মঞ্জু নামে আরেকটি গ্রুপ রয়েছে।

    দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। এরই জের ধরে সোমবার রাতে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে আহত বাবুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাবুর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের আঘাত রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সোমবার মধ্যে রাত পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভোলায় দুই যুগেও সংস্কার হয়নি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

    দীর্ঘ দুই যুগেও সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউস। ঘরগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে থাকে। পলেস্তারা খসে পড়া সিমেন্টের খুঁটির উপর নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এখানকার ঘরগুলো। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যারাক হাউজটি নির্মিত হয়। প্রকল্পটির অবস্থান ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নায়ইবের পোল এলাকায়।

    প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুই একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউজ নির্মিত হয়। হতদরিদ্র ভিটাবাড়ি হারা ৪০টি পরিবারের জন্য এ প্রকল্পের ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে ৪০টি পরিবারের জন্য দুইটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। পরিবারগুলোর জন্য দুইটি নলকূপ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৬ বছর আগে নলকূপ, শৌচাগার ও ঘরসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ব্যারাকের প্রতিটি ঘর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অঝোরে পানি পড়বে। সেগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর ইট চাপা দেওয়া হয়। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগে। এসব দরজা-জানালা বন্ধ করার কাজ চালিয়ে নিচ্ছে চটের বস্তা টানিয়ে। শৌচাগারটির ভেঙে যাওয়া দরজা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে বাসিন্দারা। একটি নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে ৩৪টি পরিবারে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২শ' ২০জন বসবাস করেছেন। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন আশ্রয়হীন পরিবারগুলো। এমন দুর্ভোগের জীবন সহ্য করতে না পেরে কয়েক বছর আগে ৬টি পরিবার চলে গেছে।

    এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিত বৃদ্ধ আবুল কালাম ১৭ বছর আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে বাবার ভিটায় বসবাস করতেন। বাবা দেনার দায়ে বসত ভিটি বিক্রি করে দিলে বিচ্ছন্ন হয়ে পরে তার পরিবার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় মেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। ছেলেরা অন্যত্র চলে গেলেও বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন এ প্রকল্পের একটি ঘরে। কয়েক দশক মেরামাত না হওয়ায় জরাজীর্ণ ঘরে এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরায় মাথা গুজার শেষ ঠাঁইটুকু এখন কালো অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, 'আমাগো কষ্ট কেউ দেহেনা। বৃষ্টি আইলে চাল (ছাউনি) দিয়া পানি পইরা কাঁথা-বালিশ ভিইজ্যা (ভিজে) যায়। মাইনষ্যের (মানুষের) গরুঘরও এর চেয়ে ভালা থাহে।'

    তিন সন্তানের জননী বিউটি বেগম বলেন, 'বৃষ্টি আইলে রানদনের (রান্না) পাতিল নিয়া বইশ্যা থাকি। বৃষ্টির কোপে টিন ফুটা হইয়্যা বিছনায় পানি পড়ে সব ভিইজ্যা (ভিজে) যায়। আমাগ ঘরগুলা দশ বছর আগে ভাইংগা (ভেঙে) গেলেও ঠিক করে নাই। আমাগ (আমাদের) খোঁজ কেউ নেয় না। সরকারের কোন সহায়তা পাই নাই।'

    আশ্রিত ময়ফুল বেগম, শ্বাশুড়ি, স্বামী ও দুই সন্তান মিলে পাঁচজনের সংসার। আঠারো বছর ধরে দুই কক্ষের একটা ঘরে বসবাস করলেও প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি কক্ষের ছাউনির টিন মড়িচায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ওই চাউনির টিন না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে কক্ষটি। বৃষ্টি হলে ঘরের এক কোনে বসে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। তাই একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পাঁচজনের এই পরিবারটিকে।

    ব্যারাক হাউজের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'সামনে দুর্যোগ মৌসুম। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছে আশ্রিতরা। এসব জরাজীর্ণ ঘর ও টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা প্রয়োজন। আমরা সরকারিভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। নেই শিশুদের কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা। এবিষয়ে উপর মহলকে একাধিকার জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।'

    প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অনিছুর রহমান বলেন, 'আপাতত পুরানো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ নাই। সরকার উদ্যোগ নিলে সংস্কার হতে পারে।'

    উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, 'ইতিপূর্বে পুরানো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কার চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ হলে আশ্রীতদের বসবাসের অনুপযোগী ঘরগুলো মেরামত করা হবে।'

    ওমরাহ করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ বাংলাদেশির

    বরগুনা: ওমরাহ হজ করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


    নিহতরা হলেন- বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের মোতাহার জোমাদ্দারের ছেলে সাগর জোমাদ্দার (২৩) ও তার দুলাভাই মো. মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।


    রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে নিহত সাগর জোমাদ্দারের বড় ভাই উজ্জ্বল জোমাদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


    পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগর ও তার দুলাভাই মোজাম্মেল সৌদি আরব প্রবাসী। তারা সৌদি আরবের আলগাছিমের উনাইযা নামক স্থানে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার তারা ওমরাহ হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। ওমরা হজ পালন শেষে শনিবার কর্মস্থলে ফেরার পথে তাদের বহন করা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পাথরের পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।


    এদিকে একই পরিবারের দুইজন ব্যক্তির নিহতের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে।


    নিহত সাগরের বড় ভাই উজ্জ্বল জোমাদ্দার বলেন, তাদেরকে তো আর ফিরে পাব না, অন্তত কবর যেন বাড়িতে দিতে পারি। তাই আমার ভাইয়ের ও দুলাভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।


    এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন প্রবাসীর নিহতের খবর শুনেছি। নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে আনার ক্ষেত্রে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এআই 

    এমপির সামনে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

    বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদারের সামনে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি গ্ৰুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবালের বিরুদ্ধে একই কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদারকে (৪৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ইদ্রিস সরদারকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


    রোববার (২৬ মার্চ) সকালে উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।


    প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদার। সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে তার সঙ্গে উপস্থিত হন উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবাল এবং একই কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার।


    এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাংসদের সামনে ইদ্রিস সরদারকে কটূক্তি করে অশালীন ও অসংলগ্ন মন্তব্য করলে ইদ্রিস তার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান তাকে সাংসদের সামনে মারধর শুরু করেন।


    আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার করে বলেন, সংসদ সদস্যর সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করে। আমি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কথার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডার কাজী রিয়াজ (২৭), পলাশ তালুকদার (৩০) ও রুবেল হোসেন (২৫) ইদ্রিসসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমাকে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।


    অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মো. হাফিজুর রহমানকে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।


    এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    শেরপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

    শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে লোকালয় থেকে বিরল প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে ও পরে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার হাতিপাগার নাকুগাঁও বনে বানরটি অবমুক্ত করা হয়। মধুটিলা রেঞ্জের বনকর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানের বাড়ীর একটি গাছে অদ্ভুদ আকৃতির বন্যপ্রাণী দেখতে পান গ্রামের লোকজন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গাছের ঢাল থেকে বন্যপ্রাণীকে নামিয়ে খাঁচায় বন্ধি করে রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কেউ একজন তৎক্ষনাৎ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে রাতে থানা পুলিশ নাকুগাও স্থলবন্দরের চারআলী বাজার থেকে অক্ষত অবস্থায় বানরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।

    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বানরটিকে উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করার জন্য রাতেই বনবিভাগের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

    মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মূলত খাদ্যের সন্ধানে লজ্জাবতী বানরসহ নানা বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। মানুষ এসব বন্যপ্রাণীদের হঠাৎ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বা আমাদের ফোন করেন। আমরা গিয়ে এসব প্রাণীদের উদ্ধার করে এবং প্রয়োজনীয় সেবা-শুশ্রæষা করে পুনরায় বনে ছেড়ে দেই।

    তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া বানরটি স্বাভাবিক এবং সুস্থতা অবস্থায় সন্ধ্যায় এলাকাবাসির উপস্থিতিতে বনে অবমুক্ত করা হয়।

    শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় লজ্জাবতী বানরকে ‘বিপন্ন’ প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত প্রাণী।

    অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছেনা কিশোর গ্যাংয়ের আঘাতে আহত মমিনের

    অর্থের অভাবে বন্ধ হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত মমিনের (১৫) চিকিৎসা। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে দিনমজুরের ছেলে মমিন। মমিনের দু'পাশে বসে সারাক্ষণ শুধু চোখের জল ফেলছে মমিনের মা মমতা বেগম আর বাবা খোকন মিয়া। ঘটনার প্রায় ১৪ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আজো কথা বলতে পারছে না মমিন। 


    শুধু মা বাবার দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে কাঁদছে। কান্নায় যেন ওদের একমাত্র সান্তনা। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ মার্চ রাতে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া বাজারের ওয়াজ মাহফিল থেকে গড়খোলা গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে।


    সরেজমিন গেলে আহত মমিনের পরিবার, গ্রামবাসী, জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সাথে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য।


    জানা যায়, গড়খোলা গ্রামের খোকন মিয়া শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। তার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে মমিন এবার কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। কুড়িকাহনীয়া বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় গড়খোলা গ্রামে মমিনের বাড়ি। এ সুযোগে সব সময় কিশোর গ্যাংয়ের অশালীন আচরনের স্বীকার হতে হয় মমিনসহ গ্রামের সহপাঠীদের। কিশোর গ্যাংদের খারাপ কাজে সঙ্গ না দেয়ায় তাদের সাথে মানসিক দ্বন্দ শুরু হয়। গত চার মাস আগে মমিনের মা বাবা কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিনের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তার ছেলে যেন স্কুলে আসতে পারে। তবুও মানেনি। 


    গত ১৫ মার্চ বুধবার রাতে মমিন ও সহপাঠী শাকিল (১৫) কুড়িকাহনিয়া মাদ্রাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিল শুনে বাড়ি ফিরছিল। পথে ওত পেতে থাকা কোরবান ও আল আমিনসহ ১০/১২ জন ধারালো চাপাতি, লোহার রোড ও চেইন দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে মমিন ও শাকিলকে। পরে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। 


    এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মমিনকে প্রথমে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টানা ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয় মমিনকে।


    এদিকে ঘটনার রাতেই মমিনের দাদা আজিজুর রহমান (৭০) বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই কোরবান আলী (১৬), আল-আমিন (১৮), খুরশেদ আলী (২০),  এলাইজ মিয়াা (১৭), মাসুদ রানা (১৮) ও ইলিয়াস (১৮) কে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে পাঠালে আদালত তাদেরকে গাজীপুরের জাতীয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত সাজু মিয়া (১৮), সেলিম মিয়া (১৮). হালিম মিয়া (১৮) ও জুয়েল মিয়া (১৭) পলাতক রয়েছে।


    এখন টাকার অভাবে কয় দিন থেকে মমিনকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মমিন বাঁচতে চায়। ফিরতে চায় স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু বিধি বাম ! স্বাভাবিক জীবন তো দূরের কথা, টানা ১৪ দিন যাবৎ কথা বলছে না মমিন।


    যে মমিন বাবার অভাব ঘোচাঁবে বলে শান্তনা দিতো। আজ সে নিজেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে। হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারছেনা। শুধু ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকে। এ সময় ওর চোখে জল দেখে কাদঁতে থাকে ওর মা বাবা। ফুটে ওঠে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা।  


    খোকন মিয়া বলেন, ওরা আমার পোলাডারে মাইরা পুঙ্গু কইরা দিছে। আমি কামলা দিয়ে সংসারই চালামু, না চিকিৎসার খরচ দিমু? ১০/১২ দিন (ময়মনসিংহ-ঢাকা) দৌড় পাইরা দুই লাখ টাহার উপরে ঋণ অইছে। অহনও পোলাডা মরার মতো পইরা আছে। কার কাছে বিচার চাইমু?


    মমতা বেগম বলেন, স্বামী ইট ভাঙ্গার কাম করে। পুলাডার মুখের দিকে চাইয়া দুঃখ কে দুঃখ মনে করিনাই। দুই বেলা ভাত খাই। দুপুরের খাবারের টাহা বাচাঁয়ে পুলার পড়ালেখার খরচ জোগাই। এহন বাড়ি ভিটা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে অইবো। তবুও পোলাডা ভালা হোক। এডাই আমগোর শেষ ভরসা। পোলার কিছু অইলে আমরা কই যামু?


    স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম বলেন, ওরা কিশোর গ্যাং বানাইছে। দূর থেকে যারা আসে ওই সব ছেলেরা কথা না শুনলে মারধর করে। ওদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলারও সাহস পায়না। 


    কুড়িকাহনীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে এই কিশোর গ্যাং ভবিষ্যতে এলাকায় আরো অনেকের ক্ষতি করতে পারে।  


    শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনার দিনই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে। 


    কিশোরর গ্যাংদের হামলায় মৃত্যু শয্যায় মমিনের চিকিৎসায় এগিয়ে আসবে বিত্তবানরা। মমিন সুস্থ্য হয়ে আলোকিত করবে তাদের সংসার। অপরাধীরাও গ্রেফতার হবে দ্রুত। এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মানুষসহ সকলের।

    এআই 

    শেরপুরে বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু

    শেরপুরের একটি বাড়ি থেকে ছয়রা বেগম (৮০) ও তার স্বামী শামসুল হকের (৮২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় বসত ঘরের ভেতর থেকে একটি বিষের বোতল জব্দ করা হয়। বিষপান বা অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের চকসাহাব্দী ফকিরগঞ্জ বাজারের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। 

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাতে খাবার শেষে ঘুমাতে যান ছয়রা বেগম ও শামসুল হক। সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাদের নাতি ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দেন। এসময় তিনি ছয়রা বেগমকে বিছানায় এবং শামসুল হককে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

    শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করেছি। মারা যাওয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এই দম্পতির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আমাদের একাধিক ইউনিট এই বিষয়ে কাজ করছে।

    পিএম


    চোর ধরে লাখপতি মোশারফ

    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গুয়ারপাড় গ্রামে স্থানীয়দের কাছে আটক হওয়ার পর সকালে ওই চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সকালেই স্থানীয় মাহফুজ হাজী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

    এদিকে ট্রান্সফরমার চোর ধরিয়ে দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোকছেদুর রহমান লেবুর ঘোষণা অনুযায়ী লাখ টাকা পুরষ্কার পেতে যাচ্ছেন মোশারফ নামের এক ব্যাক্তি।

    গ্রেফতার হওয়া চোর চক্রের ওই সদস্যের নাম রাসেল মিয়া (৩৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রুহি পাগারিয়া গ্রামের মৃত কায়েশ মিয়ার ছেলে।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলায় আশঙ্কাজনকহারে ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের মোটর চুরি হচ্ছিল। পরে গত বছরের জুলাই মাসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু পরিষদের পক্ষ থেকে ট্রান্সফরমার চোর ধরতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। পরে মাঝে কিছুদিন ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধ থাকলেও চলতি বোরো মৌসুমে পুনরায় আশঙ্কাজনকহারে ট্রান্সফরমার ও মোটর চুরি বৃদ্ধি পায়। এতে গত এক বছরে অন্তত অর্ধশত ট্রান্সফরমার ও মোটর চুরি হয়ে যায়। গেল সপ্তাহেও উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে একরাতে ৯টি বৈদ্যুতিক মোটর চুরি হয়।

    পরে বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গুয়ারপাড় গ্রামের মাহফুজ হাজীর পুকুর সংলগ্ন বৈ্যুতিক খুঁটিতে উঠতে যায় চোর চক্রের সদস্য রাসেল। এসময় প্রতিবেশি মোশারফ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে এলে সে চোর দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শোনে রাসেল খুঁটি থেকে নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক মোশারফ চোরকে জাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গণধোলাই দিয়ে রাসেলকে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সকাল দশটার দিকে আহত রাসেলকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

    মোশারফ বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে খুঁটিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উঠতে দেখি। ফলে চিৎকার দিলে সে নিচে পড়ে পালাতে চেষ্টা করে। এসময় তাকে ধরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষ এসে তাকে আটক করে।

    উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, আশঙ্কাজনক হারে ট্রান্সফার চুরিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিলো। চোর ধরতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলাম। দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে মোশারফ নামের ওই ব্যাক্তিকে পুরষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

    জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ বলেন, আহত অবস্থায় চোর চক্রের সদস্য রাসেলকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷ চিকিৎসা শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

    ত্রিশালের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

    ময়মনসিংহের ত্রিশাল-বৈলর ফুলবাড়িয়া সড়কটি বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। ১২ বছর ধরে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও সড়কটির কোনো উন্নয়ন না হাওয়ায় কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় এই ব্যস্ততম সড়ক। 


    ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ত্রিশাল ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জনসাধারণ। সংস্কারের অভাবে যত দিন যাচ্ছে ততই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে সড়কটি। 


    সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। এক পর্যায়ে মানববন্ধনে অংশ কারীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর নামক স্থানে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে আটকা পড়ে হাজার হাজার যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার গাড়ির যাত্রীরা। পরে ত্রিশাল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন হস্তক্ষেপে জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। 


    উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৫ মাস যাবত রাস্তাটির কাজ বন্ধ আছে। নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।  

    এআই 

    রংপুরে ১ সপ্তাহে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ১৫৭

    গত ১ সপ্তাহে নিয়মিত মাদকবিরোধী ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযানে রংপুরের ৮ থানার ১৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (০১ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে এ তথ্য জানান রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতে খায়ের আলম।


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশ জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ২৫ মার্চ ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন, ২৬ মার্চ ৩৮ জন, ২৭ মার্চ ৩৯ জন, ২৮ মার্চ ২২ জন, ২৯ মার্চ ১৮ এবং ৩১ মার্চ ৩১ জনসহ ১ সপ্তাহে ১৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে গত ১ সপ্তাহে রংপুর কোতয়ালী থানা ৫ জন, গংগাচড়া থানা ১৬ জন, বদরগঞ্জ থানা ১৭ জন, মিঠাপুকুর থানা ৩২ জন, পীরগঞ্জ থানা, ৩২ জন, পীরগাছা থানা ১৭ জন, কাউনিয়া থানা ১০ জন এবং তারাগঞ্জ থানা ৪ জনসহ ১৩৩ জনকে গ্রেফতার করে। 


    বাকী ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ। তবে থানা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩২ জনকে করে গ্রেফতারে করেছে মিঠাপুকুর থানা পীরগঞ্জ থানা। গ্রেফতারের তালিকায় সর্বোনিম্ন কোতয়ালি থানা ৫ জন এবং তারাগঞ্জ থানা ৪ জন। 


    এ বিষয়ে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতে খায়ের আলম জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রংপুর জেলা পুলিশের রুটিন অনুযায়ী বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

    এআই 


    সকল যন্ত্রাংশ বিকল, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল

    অযত্ন আর অবহেলায় সকল যন্ত্রাংশ বিকল, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখন ভূতুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। নষ্ট হয়ে গেছে হাসপাতালের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি। 


    ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৩ উপজেলাসহ নগরীর ৬টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ। হাতের নাগালে হাসপাতাল থেকেও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এরই মধ্যে হাসপাতালের জায়গা বেদখল হওয়ার অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। 


    জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের আদিশহর রংপুরের মাহিগঞ্জে প্রায় শত বছর আগে তাজহাট জমিদার গোপাল লাল রায় বাহাদুর এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য চেরিট্যাবল হাসপাতাল তৈরী করেন। সেই সময় থেকে এ অঞ্চলের মানুষ বিনামূল্যে এ হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছিলেন। 


    দেশ স্বাধীনের পর নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মাহিগঞ্জ ল্যাবরেটরী সমিতির তত্ত্বাবধানে নাম-মাত্র মূল্যে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়ে আসছিল এ হাসপাতালের মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান (পরবর্তীতে প্রথম সিটি মেয়র) বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু এ হাসপাতালটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন। 


    বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি তৎকালীন নিজস্ব অর্থায়নে হাসপাতালটি ৩০ শয্যায় পরিণত করেন এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল হিসেবে নামকরণ করা হয়। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি কিনে এ হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। তৎকালীন রংপুর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ হাসপাতালটি ঠিকঠাক চললেও কিছুদিনের মধ্যেই হোচট খায় এর কার্যক্রম। এরপর সময়ের পরিবর্তনের সাথে এ হাসপাতালটি এনজিও, সূর্যের হাসি, ব্যক্তিগত ক্লিনিক, নগর মাতৃসদনসহ বিভিন্ন নামে পরিচালিত হয়।


    সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, মাহিগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ার হাসপাতালটি জনমানুষ শূন্য। হাসপাতালের সম্মুখে জানালার কাঁচগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। নিচ তলায় এক্সরে ঘর, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা’র নামে ওয়ার্ডসহ অন্যান্য ঘরে থাকা আসবাবপত্রে মোটা ধূলোর আস্তর পড়েছে। এক্সরে মেশিনের বিভিন্ন অংশে জং লেগে গেছে। ওয়ার্ডগুলোর চেয়ার-টেবিল, শয্যা, রোগীর ট্রলিগুলোর উপর মাকড়সা বাসা বেঁধেছে। নিচ তলার বীরমুক্তিযোদ্ধা বাদশা ওয়ার্ডের জানালার পাশে আগাছা জন্মেছে। 


    দোতলায় অপারেশন থিয়েটারে অনেক যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। অপারেশন থিয়েটারের বিপরীত পার্শ্বে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের বিছানা পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে। ওয়ার্ডের ছাদে ফ্যান ঝুলে থাকলেও পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এর পাশে টাইলস্ করা একটি ওয়ার্ড রয়েছে। ব্যবহার না করার কারণে ওই ওয়ার্ডের এসি ও বেডগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। মূল ভবনের পেছনে এ হাসপাতালের একটি টিনসেড ঘর রয়েছে। 


    সেখানেও জরাজীর্ন অবস্থা। সেখানে একটি ঘরে হাসপাতালের বিছানা, অপারেশন থিয়েটারের কিছু সরঞ্জাম পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতালের পেছনের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে বর্তমানে যে অবকাঠামো ও যন্ত্রাংশ রয়েছে তা চুরি হওয়ার শংঙ্কা রয়েছে। পুরো হাসপাতালটি দেখভাল করছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে নিযুক্ত একজন নৈশ্য প্রহরী।  

            

    নৈশ্য প্রহরী সাইফুল ইসলাম হৃদয় বলেন, আমি দুই বছর ধরে এ হাসপাতালের নৈশ্য প্রহরী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছি। আমি একাই পুরো হাসপাতাল দেখভাল করি। এখানে এক্সরে মেশিন, অপারেশন থিয়েটার, অনেকগুলো বেড, চেয়ার, টেবিল, এসি, জেনারেটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। 

       

    মাহিগঞ্জ ডিমলার বাসিন্দা শুভেন্দু চৌধুরী জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু নামটি হচ্ছে বাঙালি জাতির প্রাণের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুর নামে এ হাসপাতালটি বন্ধ রাখা মানে জাতির প্রাণের স্পন্দনকে বন্ধ করে রাখা। আমরা চাই হাসপাতালটি পূণরায় চালু করা হোক।


    স্থানীয় শিক্ষক ও সাংবাদিক হাসেম আলী বলেন, রংপুরের পুরাতন শহর মাহিগঞ্জের মানুষ যে অবহেলিত হয়ে আসছে এর বড় উদাহরণ এ হাসপাতালটি। এটি গরীব মানুষের চিকিৎসার জন্য বড় অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অদৃশ্য ষড়যন্ত্রণের কারণে আজ তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রাথমিকসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা আরও বড় কলেবরে নিশ্চিত করা হোক, এটা মাহিগঞ্জ বাসীর দাবী। 


    মাহিগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের সংগঠক শাহাদাত হোসেন লিখন বলেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালটি চালু থাকায় রংপুর জেলার পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুরসহ নগরীর ৬টি ওয়ার্ডের মানুষ স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা পেয়ে আসছিল। জাতির পিতার নামে এ হাসপাতালটি হলেও তা অবহেলায় পড়ে রয়েছে। 


    এ বিষয়ে রংপুর সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসককে দফায় দফায় অবহিত করা হয়েছে। হাসপাতাল চালুর দাবীতে নানা আন্দোলন কর্মসূচীও পালন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত চালুর কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আমরা আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে এ হাসপাতালটি প্রাণ ফিরে পাবে, এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।


    রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি ১৯৯৫ সালে দোতলা ভবন করে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালটির আধুনিকায় করেছিলাম। এখন এটি সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কি কারণে সিটি কর্পোরেশন এ হাসপাতালটি চালাতে পারছে না তা আমার জানা নেই। যেহেতু বন্ধ রয়েছে তাই বিশেষ পরিকল্পনা তৈরী করে এ হাসপাতালটি চালুর ব্যবস্থা করা উচিত। সরকারি বা বেসরকারিভাবে হোক হাসপাতালটি চালু করতে আমার কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি অবশ্যই করবো।

     

    রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এ হাসপাতালটি তৈরী করেছিলেন। তাঁরও প্রত্যাশা ছিল এ অঞ্চলের মানুষ যেন এখান থেকে চিকিৎসা সেবা পায়। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল চালু হোক এটা আমিও চাই। কিন্তু হাসপাতাল চালানোর মত সরঞ্জাম, জনবল, অর্থ সিটি কর্পোরেশনের কাছে নেই। 


    যদি কোন ব্যক্তি বা সংগঠন এ হাসপাতালটি জনস্বার্থে চালুর উদ্যোগ নেয় তবে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতাও করবো

    এআই 

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীসহ প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহার ও ঢাকার সাভারে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গ্রেফতার হওয়া প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান সামসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিকরা।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে ঘন্টাব্যাপী ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিকদের আয়োজনে শহরের চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক চাই এর ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি আবু মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বাবু, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টোর জিয়াউর রহমান বকুল, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মজিবর রহমান খান, ডেইলী স্টারের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি কামরুল হাসান রুবায়েদ, এটিএন নিউজের সাংবাদিক এম এ সামাদসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

    এসময় মানববন্ধনে তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সাংবাদিকদের নানাভাবে এই আইনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে, হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তাই দ্রুত এই কালো আইন বাতিল করে সরকারকে স্বাধীন সাংবাদিকতায় সহযোগিতার করার দাবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তারা।

    গাইবান্ধায় সোহেল হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার


    গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার  দক্ষিন সীচা (গাছবাড়ী) সাকিনস্থ  সোহেল  রানা (২৩) হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় আসামি মোঃ আব্দুল খালেক (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

    শুক্রবার  (৩১ মার্চ) র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ  র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানাধীন উত্তর শ্রীপুর (গাছবাড়ী), এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম সোহেল  রানা (২৩) হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মোঃ আব্দুল খালেক (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার খালেক সুন্দরগঞ্জ থানার উত্তর শ্রীপুর (গাছবাড়ী) গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

    ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে আত্নগোপন করিয়া বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করত। র‍্যাবের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি বলে স্বীকার করেছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি রমজানে কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তা কমে এসেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভালো রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারকে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে নিত্যপণ্যের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে রংপুরে দুই দিনের সফরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    টিপু মুনশি বলেন, ভুটানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে। ভুটানের সড়ক ব্যবহার, তাদের দেশের পণ্য আমাদের দেশে আমদানি ও তাদের দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির আলোচনাও এগিয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হাইড্রোপাওয়ারের চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। আগামী মে মাসে সেই চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে অনেক আগ্রহী। ভুটানের রাজা বাংলাদেশ সফর করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রোজার প্রথম দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার চাপ তৈরি হয়। বর্তমানে সেই চাপ কমে গেছে। তাই ঢাকা শহরেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। দেশের কৃষকদের পেঁয়াজে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছি।

    গরীবের অ্যাম্বুলেন্স এখন নিজেই রোগী হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে

    সঠিক তদারকি ও দেখভালের অভাবে নওগাঁর রাণীনগরের আটটি ইউনিয়নের গরীবের অ্যাম্বুলেন্সগুলো দীর্ঘদিন থেকে অকেজো অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদের অসহায় দরিদ্র রোগীদের জরুরী স্বাস্থ্য সেবা দিতে কেনা এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো নষ্ট হয়ে পরে থাকায় উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। 


    অ্যাম্বুলেন্সগুলো মেরামত কিংবা পুনরায় চালু করার কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় একদিকে যেমন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দ্যেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে অপরদিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা। 

    জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদের অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং মুর্মূষ রোগীদের মাত্র ৫০টাকার বিনিময়ে দ্রুত সেবা প্রদান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছে দেওয়ার লক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের দ্বিতীয় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-২) প্রকল্পের অর্থায়নে প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে ২লাখ ১০হাজার টাকা ব্যয় করে রিচার্জেবল ইজিবাইক দিয়ে রোগী বহনের উপযোগী করে তৈরী করা হয়। 


    প্রথম দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসুতি, শিশুসহ জরুরী রোগীদের দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৈরী কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স সেবা খুব দ্রুত মানুষের দ্বোর গোরায় পৌছে যাওয়ায় উপজেলার মানুষের কাছে গরীবের অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ঠাই করে নেয় অ্যাম্বুলেন্সগুলো। রিচার্জেবল ইজিবাইক দিয়ে রোগী বহনের উপযোগী করে তৈরি করা হয় কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স যা খুব স্বল্প সময়েই সাড়া ফেলেছিলো।


    কিন্তু চালুর কিছুদিন পর থেকে প্রয়োজনীয় সার্ভিসিং ও রক্ষানাবেক্ষণের অভাবে আস্তে আস্তে অচল হয়ে পড়ে। আর এখন কোন কোন ইউনিয়নে ছাঁদের নিচে আবার কোন কোন ইউনিয়নে খোলা আকাশের নিচে বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় রোদ আর বৃষ্টিতে পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশসহ গাড়ির সবকিছুই।  


    সরেজমিনে মিরাট ও কাশিমপুর ইউনিয়নের গিয়ে দেখা যায়, মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ধুলোবালির মাঝে অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। গাড়িটির চাকা, বডি, ব্যাটারীসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে বসেছে। অপরদিকে কাশিমপুর ইউপির অভ্যন্তরে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাটারী চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। 


    এরপর থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে গাড়িটি। ব্যাটারী কিনতে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার প্রয়োজন আর সেই টাকার কোন উৎস কিংবা সরকারি ভাবে বরাদ্দ না থাকায় অচল অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে গরীবের এই অ্যাম্বুলেন্সটি। এভাবেই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের এই কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্সগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হতে চলেছে। আবার অনেক ইউনিয়নের অ্যাম্বুলেন্স বছরের পর বছর গ্যারেজে ফেলে রাখা হয়েছে।


    কাশিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসানুর রহমান, মিরাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি মাল দড়িয়া মে ঢাল, বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও পুরোনো গাড়িগুলো মেরামত করে সেগুলো সাধারণ মানুষদের সেবায় নিয়োজিত করা হয় না। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো মেরামত করে নির্দিষ্ট একজন চালক নিয়োগ দিলে বিশেষ করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া গরীব, অসহায় ও নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য খুবই উপকার হতো। 


    কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাবু বলেন এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয়। খুব সহজেই যে কেউ এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যবহার করে জরুরী রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রকল্পের হওয়ার কারণে পরবর্তি সময়ে তা মেরামত করার জন্য কোন অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা না রাখায় আজ সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। আবার নির্দিষ্ট চালক না থাকার কারণে অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স তার সেবা দিতে পারতো না। 


    তিনি আরো বলেন যদি সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতো তাহলে তার সঙ্গে আামরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু অর্থ যোগ করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো মেরামত করে সেগুলোকে আবার পুরোদমে সচল করতে পারতাম। তাহলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো বরাদ্দ দিয়েছিলো তা শতভাগ সফল হতো।


    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ইতোমধ্যে ই-পত্র প্রেরণ করে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলোর সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তিতে গাড়িগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে সেগুলো পুনরায় মেরামত করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

    এআই 
    সিরাজগঞ্জে ৩৬ লক্ষ টাকার হেরোইনসহ মা-মেয়ে গ্রেফতার

    সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে ৩৬ লক্ষ টাকার হেরোইনসহ মা-মেয়েকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-১২ সদস্যরা।


    শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার বিদিরপুর বারমাইল এলাকার ইমরান আলীর স্ত্রী মোছাঃ শেফালী বেগম (৫০) ও তাদের মেয়ে মোছাঃ জেসমিন আক্তার সুরভী (২২)।


    র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম এলাকা দিয়ে মাদক হেরোইনের বড় একটি চালান পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে ৩৬ লক্ষ টাকার (৩৬৩ গ্রাম) হেরোইনসহ মা-মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এবং নগদ ৫০০০/- টাকা জব্দ করা হয়।


    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে সিরাজগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও উদ্ধারকৃত আলামতসহ সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এআই 

    মঞ্চে বসা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা!

    পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও বর্ধিত সভায় মঞ্চে বসা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় জেলার চাটমোহর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হন।

    জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কমিটি গঠন ও তৃণমূল পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষে ভাঙ্গুড়া সচেতন সাহিত্য সংস্কৃতিক পরিষদ চত্বরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এক বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এতে অংশ নিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভার মঞ্চে বসেন।

    কিছুক্ষণ পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা স্থলে প্রবেশ করেন । এসময় সভার মঞ্চে বসা নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই নেতার সমর্থকরা চেয়ার তুলে মারামারি শুরু করেন। এতে কুতুব উদ্দিন সহ কয়েকজন আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

    এদিকে সংঘর্ষ শেষে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বক্তব্যে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

    এছাড়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তানভীর আকতার শিপার সমাপনী বক্তব্যে জেলার নেতাদেরকে সংযমী হওয়ার আহবান জানান এবং পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটানোর জন্য অনুরোধ জানান।

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ গোলাম মোস্তফা বলেন, মঞ্চে বসা নিয়ে জেলার নেতারা এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আমারও হাত কেটেছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।

    এফএস

    নওগাঁর দুটি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে জনগণের দ্বোরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সারা দেশের ১২জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। নওগাঁর দুটি সরকারি হাসপাতালে এ সেবা চালু হয়েছে। এগুলো হলো ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 

    বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার। এ সময় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরীসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে একই সময় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকাার।

    প্রথম দিন বৈকালিক সেবা দেওয়ার জন্য তিনজন চিকিৎসক চেম্বারে বসেন। কিন্তু সরেজমিনে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ওই তিন চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে কোনো রোগীকে সেবা নিতে আসতে দেখা যায়নি। 

    এ বিষয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে বৈকালিক সেবা দিতে তারা আগ্রহী। কিন্তু প্রচারণার অভাবে রোগীরা এখনও এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন না। এজন্য প্রথম দিন কোনো রোগী আসেননি।

    পিএম

    শাহজাদপুরে অভিযান চালিয়ে জুয়ার ঘর পুড়িয়ে দিল পুলিশ

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পুলিশের জুয়া বিরোধী অভিযানে পৌর শহরের বাড়াবিল কুয়ার চরা নামক স্থানে জুয়ার ফর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে শাহজাদপুর পৌর শহরের কামরুদ্দীর এহিয়া ডিগ্রী কলেজের পেছনে বাড়াবিল কুয়ারচরা নামক স্থানে থানার এসআই আব্দুল আহাদ, এসআই শারফুল ও এএসআই ওবায়দুলের নেতত্বে থানা পুলিশের একটি দল জুয়া বিরোধী এই অভিযান চালায়।

    এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা জুয়ায় খেলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেয়।

    এই ঘটনায় এলাকাবাসী জানায়, পুলিশের জুয়া বিরোধী এই অভিযান নিয়মিত হলে জুয়া খেলা বন্ধ করা সম্ভব হবে। গত ৩ মাস পূর্বেও এধরণের একটি অভিযান এখানে হয়। তারপরের দিন থেকেই আবারও জুয়া খেলা শুরু হয়।

    এই বিষয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে পৌর শহরের বাড়াবিলের কুয়ারচরায় জুয়া খেলা হচ্ছে।

    পরবর্তীতে সেখানে থানা পুলিশের একটি দল সেখানে জুয়া বিরোধী অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়, তবে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জুয়া বিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    পিএম

    হবিগঞ্জে টমেটো চাষে লাভবান মামা-ভাগিনা

    হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের মামা-ভাগিনা। তারা হচ্ছেন- মো. সাইফুল ইসলাম সাজল (মামা) ও মো. এনামুল হক এনাম (ভাগিনা)। তারা প্রতিবেশীর কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন প্রায় ১০০ শতক জমি। এর মধ্যে তারা এ মৌসুমে প্রায় ৬০ শতক জমিতে নতুন জাতের বাহুবলী টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নেন। 


    তাদেরকে বগুড়া থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বাহুবলী টমেটো গাছের চারা সংগ্রহ করে দেন বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে টমেটো গাছের চারা রোপণের পরে তারা কঠোরভাবে পরিচর্যা করায় প্রায় ৭০দিনে গাছে গাছে ফুল আসে। ৯০ দিনের পর থেকে গাছের টমেটোগুলো খাবার উপযোগী হয়ে উঠে। সেই থেকে তারা প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ক্ষেত থেকে টমেটো উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন।

     

    সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে মামা-ভাগিনা শ্রমিক নিয়ে টমেটো সংগ্রহ করছেন। গাছ থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে রাখা হচ্ছে। ওই দিন তাদের ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে ১০টি প্লাস্টিকের ক্যারেটে ভর্তি করা হয়। প্রতিটি ক্যারেটে ২০ কেজি করে টমেটো ছিল। সে হিসেবে প্রায় ২০০ কেজি পর্যন্ত টমেটো মিলে।

     

    সাইফুল ইসলাম সাজল জানান, দুবাই ও ওমানে কয়েক বছর থেকে কাজ করেছেন। তেমন আয় করতে পারেননি। করোনার আগে দেশে আসেন। আর প্রবাসে যাওয়া হয়নি। মুদি মালের দোকান দেন। কিন্তু সফলতা আসছিল না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন এ ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজ করার। সাথে যুক্ত করেন তার ভাগ্নে এনামকে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে প্রায় ১ একর জমি লিজ নেন। কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম থেকে পরামর্শ নিয়ে চাষ শুরু করেন। 


    তিনি বলেন, বাহুবলী টমেটো আবাদে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। আর পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে টমেটো ক্ষেত বাঁচাতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। ৬০ শতক জমিতে টমেটো চাষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আর টমেটো ক্ষেত থেকে চলতি মার্চ ও আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত টমেটো বিক্রি করতে পারবেন। এতে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকার টমেটো বাজারে বিক্রির আশা রয়েছে।


    মো. এনামুল হক এনাম বলেন, মামা-ভাগিনা একসঙ্গে থাকলে আপদ বিপদ থাকে না। একসঙ্গে মিলে টমেটোর চাষ করায় ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি উভয়ই লাভবান হবো। চাষাবাদে কৃষি অফিসার শামীম স্যারের কাছ থেকে সার্বিক পরামর্শ পাচ্ছি। আমাদের চাষে সফলতা দেখে এলাকার অন্য চাষিরাও টমেটো চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।


    এলাকার চাষি তৌহিদ মিয়া বলেন, টমেটো চাষে তারা মামা-ভাগিনা চমক দেখিয়েছেন। বিশেষ করে তারা বিষমুক্ত টমেটো চাষ করছেন। আমার জমিতেও বারোমাসী ফসল চাষ করছি। কৃষিতে ব্যয় করে সফলতা পাচ্ছি।


    দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, মনের ইচ্ছা আর শ্রম ও মেধা কাজে লাগালে সফলতা আসে। বাহুবলী জাতের টমেটো চাষ করে তার প্রমাণ দিলেন সাইফুল ইসলাম সাজল ও এনামুল হক এনাম। তারা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন। আর আমি তাদের দিচ্ছি সুপরামর্শ। এ কারণে ক্ষেতে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রি চলছে তাদের উৎপাদিত টমেটো। আশা করছি তারা লাভবান হবেন। 

     

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, একসঙ্গে মিলে কাজ করলে সফলতা আসে। এর প্রমাণ দিলেন হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা মামা ও ভাগিনা। তারা মিলে জমি লিজ নিয়ে টমেটো চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। 


    আমরা তাদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। শুধু তাদের নয়, উপজেলার অন্যান্য চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। তাতে টমেটোসহ নানা জাতের ফসলের ব্যাপক ফলন হচ্ছে।

    এআই 

    সিলেটে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের আপত্তি, প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা

    সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির কর্মসূচিতে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। অবস্থান কর্মসূচির জন্য প্যান্ডেল নির্মাণেও পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে।


    কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছিলো সিলেট মহানগর বিএনপি। এ কর্মসূচি পালনে শুক্রবার মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে শুক্রবার বেলা ২টার পুলিশ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা দেয় এবং উন্মুক্ত স্থানে কর্মসূচি পালনে আপত্তি জানায়।


    মহানগর বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, এ কর্মসূচির ব্যাপারে ২৭ মার্চ লিখিতভাবে মহানগর পুলিশকে অবহিত করা হয়। তখন তারা কেউ আপত্তি জানাননি। কর্মসূচির আগের দিন হঠাৎ করে প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা দেওয়া হয়। বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।


    তবে মহানগর পুলিশ বলছে, শহীদ মিনারে বিএনপির কর্মসূচিতে প্রথমে আপত্তি না জানালেও এখন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের কোন ইনডোরে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে।


    পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা প্রদানের অভিযোগ জানিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। গত ২৭ মার্চ এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। তখন তারা কোন আপত্তি জানায়নি। এখন আমরা যখন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি তখন আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছেো।


    নাসিম বলেন, আমাদের একেবারে নীরিহ কর্মসূচি ছিলো। কেবল অবস্থান নেওয়া। অথচ শহীদ মিনারে আমাদের বসতেও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার রীতিমত মগের মুল্লুক সৃষ্টি করেছে।


    তিনি আরো বলেন, পুলিশ বাধা দিলেও আমরা কাল শহীদ মিনারে জড়ো হবে। শহীদ মিনার চত্বরের ভেতরে তারা বসতে না দিলে আমরা সামনে বসে পড়বো। এভাবে হঠাৎ করে তারা আমাদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না।


    তবে বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে কোন বাধা দেওয়া হয়নি দাবি করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, আমরা তাদেরকে ইনডোরে অনুষ্ঠান করতে বলেছি। যেকোন হল বা কমিউনিটি সেন্টারে তারা কর্মসূচি করতে পারেন। কেবল উন্মুক্ত স্থানে কর্মসূচির ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে।


    শেষ মূহূর্তে এসে আপত্তি জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইনডোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।


    বিএনপি নেতারা জানান, ১০ দফা দাবিতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ‘যুগপৎ আন্দোলন’ করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে শনিবার (০১ এপ্রিল) সারা দেশের জেলা ও মহানগর পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সিলেটে এ কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা। 


    সিলেট মহানগর বিএনপার কর্মসূচিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

    এআই 
    যুবলীগ নেতা লায়েক হত্যা: প্যানেল মেয়রসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সুনামগঞ্জের ছাতকেখুন হন উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া। হত্যার ঘটনার চারদিন পর শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ন'টায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন। 


    মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিকের ভাতিজা পৌর প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও জামায়াত নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷


    এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খান মাঈনুল জাকির।


    এদিকে লায়েক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে ছাতক উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। 


    মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা তানভীর রহমান, উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুছ শিবলু, ছাতক পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী (লায়েক মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী), যুবলীগ নেতা সাদমান মাহমুদ সানি, সাবেক জামাত নেতা আলা উদ্দিন, আবুল খয়ের টুটুল, তাজ উদ্দিন, মিজান মিয়া, আব্দুল মতিন, শামসুল ইসলাম, মিলন মিয়া, এশাদ আলী, সায়মন, মহসিন ও সৌরভকে আসামি করা হয়েছে। 


    সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, লায়েক মিয়া হত্যার ঘটনায় তার ভাইয়ের দায়ের করা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নম্বর ২৫)। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।


    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ছাতক থানা সংলগ্ন গনেশপুর খেয়াঘাটে একটির চায়ের দোকানে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লায়েক মিয়া। তিনি ছাতক পৌর শহরের মণ্ডলিভোগ আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।


    জানাযায়, জেলার ছাতকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন'টার সময় থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাটের একটি চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া। এসময় লায়েক মিয়াকে অতর্কিত এসে ছুরিকাঘাত করে ছাতক পৌর যুবলী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপ‌তি বঙ্গবন্ধু ছাত্র প‌রিষদ ছাতক উপ‌জেলার আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার কয়েকজন সহযোগিরা। 


    এ ঘটনার পরপর হত্যাকারীরা থানার সামনে দিয়ে দ্রুত সুরমা নদী পাড় হয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন খু‌নিদেরকে ধাওয়া করলেও আটক করতে পারেনি।


    আরও জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকার লাল মস‌জিদ ক‌মি‌টি নি‌য়ে লায়েক মিয়া ও একই গ্রামে তাজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল কদ্দুছ শিপলুর পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। 


    স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা অবনতি দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পু‌লিশ হত্যার সাথে জড়িত এরশাদ, তাজউদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করেছে। 


    এর পর বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত লায়েক মিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ১০ টায় ছাতক উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। 

    হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সোনিয়া আক্তার (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।


    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোনিয়া সিঙ্গার হবিগঞ্জ শো-রুমের ব্যবস্থাপক ফরিদুল হুদা নোমানের স্ত্রী বলে জানা গেছে।


    সিঙ্গারের এক কর্মকর্তা জানান, সোনিয়া ও তার স্বামী নোমান মোটরসাইকেলে হবিগঞ্জ শহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে মাধবপুর এলাকায় চলতি মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা সোনিয়া হঠাৎ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। 


    পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 


    তবে পুলিশ এ দুর্ঘটনার খবর পায়নি বলে জানিয়েছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

    চুনারুঘাট শিল্পবর্জ্যে কারণে পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের উসমানপুর এলাকায় প্রায় ৭ বছর আগে বিশাল পাহাড়ি জমি ক্রয় করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়। এখানে মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি মুরগীর বিষ্ঠা থেকে উপৎপাদন হচ্ছে সার।

     

    এই কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার খাল-বিল, নদী-নালার পানি, মাছ ও কৃষি জমি। উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দ্বারা আশেপাশের গ্রামের পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি প্রথমে ধলাজাই খালে প্রবেশ করে। পরে ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে কালো পানি প্রবেশ করছে। এমনকি কৃষকদের ধানের জমিতে এ পানি প্রবেশ করছে। 


    আলাপকালে ধলাজাই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, আব্দুল হামিদ, রহিমা খাতুন, জায়েদা খাতুনরা বলেন, কারখানা করার পূর্বে ওই পাহাড়ি জমিতে নানা ধরণের ফসল চাষ করা হতো। এখন ডিম ও সার উৎপাদন হচ্ছে। কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি বেরুচ্ছে। এ পানি ধলাজাই খাল, বিল থেকে আমাদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। 


    তারা বলেন, ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে প্রবেশ করছে বিষাক্ত পানি। কোম্পানির বিষাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য তৈরি করে। কৃষকরা এসব বর্জ্যের পানি থাকায় কৃষি জমিতে কাজ করতে পারছেন না। 


    তারা আরো বলেন, আমরা কৃষির উপর নির্ভর। কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার করা হত। বর্তমানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারখানার কালো পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে স্থানীয়রা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 


    প্রায় ৭ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষে প্রায় দুই বছর ধরে কারখানায় উৎপাদন চলছে। যত দিন যাচ্ছে কারখানা থেকে কালো পানি অধিকহারে বের হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্গন্ধ। শুধু তাই নয়, মশা ও মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। খাল থেকে কালো পানি জমিতে প্রবেশ করায় কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন। 


    স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, কালো পানির দুর্গন্ধের পাশাপাশি এর বাতাস লাগলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না। স্থানীয়রা দ্রুত এর প্রতিকার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে সাইনবোর্ডবিহীন ওই কারখানার ব্যবস্থাপক চঞ্চলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে মুরগী থেকে ডিম ও মুরগীর বিষ্ঠা থেকে জৈব সার উৎপাদন হয়। কালো পানির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। 


    তিনি বলেন, মিডিয়ার কাছে বক্তব্য দিতে হলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মুঠোফোন বা সারাসরি বক্তব্য দেই না। অভিযোগ করা হলে খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানও।

     

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লোকজনের বসবাসের আশপাশে কলকারখানা হয় না। নিয়মানুযায়ী বিষাক্ত বর্জ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে নির্গত করতে হয়। কিন্তু অনেক শিল্প কারখানা সেই নিয়ম অনুসরণ না করে বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল সরাসরি জলাভূমিতে ছেড়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।

    এআই 

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
    মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ) জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।‘১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশি নেতৃত্ব ও উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করে জুলিয়েটা বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ দরজা খুলে দেয়। দেশের মানুষও তাদের সাহায্যের হাত ও হৃদয় উন্মুক্ত করে দেয়।’শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জুলিয়েটা নয়েস সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা জোরদার করেছে। দুই দেশ অভিবাসী এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী। যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দাতাদেশ হওয়ায় তিনি গর্বিত। যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে তাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জানান।দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এবং মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে অকুণ্ঠ সমর্থন ও অঙ্গীকার করায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ইমরান।এফএস
    জাকাত নিতে গিয়ে পদদলনে ১১ নারী-শিশু নিহত
    পাকিস্তানের করাচির একটি ফ্যাক্টরিতে বিনামূল্যের পণ্য নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ওই ফ্যাক্টরির পণ্য বিতরণ কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর দ্য ডনের।সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতদের সবাই নারী। এদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারা জানিয়েছেন, পণ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে থাকা একটি নালাতে পড়ে যান নারী ও শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। তখন একে-অপরের ওপর চাপা পড়েন। এছাড়া একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ওই নালার ওপর একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।এ দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ করাচির বালদিয়া শহরের আব্বাসী শাহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাছে নয়টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরও ছয়জনকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।অপরদিকে দু’টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের সরকারি হাসপাতালে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, যে ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রতি বছর রমজান মাস উপলক্ষ্যে বিনামূল্যের পণ্য ও জাকাত বিতরণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে এবারো অসহায়দের ডাকা হয়েছিল।পুলিশ জানিয়েছে, জাকাত ও পণ্য নিতে সেখানে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন। ওই সময় ফ্যাক্টরির নালায় পড়ে যান অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে নালায় পড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।করাচির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।এফএস
    সৌদিতে বৈদ্যুতিক তার চুরির অপরাধে প্রবাসী বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
    সৌদিআরবের জেদ্দায় নির্মাণাধীন একটি প্রজেক্টের বৈদ্যুতিক তার চুরির অপরাধে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনী।তথ্যে জানা যায় জেদ্দা পুলিশ একটি নির্মাণাধীন প্রজেক্টের বৈদ্যুতিক তার চুরির অপরাধে একজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে যিনি বৈদ্যুতিক তার চুরি করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত প্রবাসীকে সৌদি আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।এফএস
    পূজা দিতে গিয়ে কুয়ায় পড়ে নিহত বেড়ে ৩৫
    ভারতের মধ্যপ্রদেশে রামনবমী উপলক্ষে পূজা দিতে গিয়ে কুয়ার ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। আজ শুক্রবার দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। খবর আল-জাজিরার।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যটির ইন্দোরে শ্রী বালেশ্বর মহাদেব মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।  ইন্দোরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা ১৮ জনকে উদ্ধার করেছি। ৩৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্ডারওয়াটার ক্যামেরায় কূপের ঘোলা পানিতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করা হয়।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, পূণ্যার্থীধের অতিরিক্ত ভিড়ে বালেশ্বর মহাদেব মন্দিরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আহতদের রশি ও মই বেয়ে কুয়া থেকে তোলা হয়েছে।মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, আহতদের উদ্ধারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি একটি অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত শোকাহত। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের প্রতি আমার প্রার্থনা রইল।এফএস
    সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু
    পবিত্র ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আকাবা শারেতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের এই তথ্য দিয়েছেন। নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানায়, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। ওই বাসের ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হন। আহত ১৬ বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সহায়তার জন্য সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে হতাহতদের পরিবারকে +966553026814 ও +966538643532 নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।এফএস
    মেক্সিকোর বন্দি শিবিরে আগুন, মৃত ৩
    মেক্সিকো সীমান্তবর্তী শহর শিউড্যাড হুয়ারেজ়ে শরণার্থীদের জন্য তৈরি এক বন্দি শিবিরে ভয়াবহ আগুন প্রাণ কাড়ল ৩৯ জনের।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আমেরিকা সীমান্তবর্তী মেক্সিকান শহর শিউড্যাড হুয়ারেজ়ের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউট-এ সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ ওই আগুন লাগে। সে সময়ে ওই শিবিরে মোট ৬৮ জন শরণার্থী ছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন শহরের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আমেরিকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মেক্সিকোর ওই সীমান্ত শহরে ভিড় জমানো ওই বন্দিদের মধ্যে এত জনের মৃত্যু সাড়া ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।শিবির কর্তৃপক্ষের তরফে মৃতের সংখ্যা ৩৯ দাবি করা হলেও আদতে তা আরও বেশি বলেই দাবি করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন। ওই শিবিরের বাইরে ব্যাগ বন্দি দেহের সংখ্যা সেই প্রমাণ আরও জোরালো করছে বলেই মত তাদের। মৃতদের পরিচয় জানতে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলির সঙ্গে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই ভেনেজ়ুয়েলার নাগরিক।কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউটের তরফে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, আগুন লাগার ঠিক আগে ওই শিবিরে একটি অশান্তির সূচনা হয়েছিল বলে জেনেছে তারা। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল। পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও।আমেরিকান সীমান্ত প্রদেশ টেক্সাসের এল পাসোর কাছে অবস্থিত বলে মেক্সিকোর এই শহরে প্রতি বছর ভিড় জমান বহু মানুষ। তাঁদের সকলের চোখে একটাই স্বপ্ন—আমেরিকায় ঠাঁই পাওয়া। যদিও কড়া অভিবাসন নীতির ফাঁদে পড়ে তাঁদের অধিকাংশের স্বপ্নেই দাঁড়ি পড়ে অকালেই। ঠিকানা হয় এই ধরনের বন্দি শিবিরগুলিতে। ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গ্যানাইজ়েশন ফর মাইগ্রেশন’ বা আইওএম-এর প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকায় ঢোকার স্বপ্নপূরণ করতে আসা কমপক্ষে ৭৬৬১ জন মানুষ নয় প্রাণ হারিয়েছেন বা উধাও হয়ে গিয়েছেন। আর বিশেষত দুর্ঘটনা বা অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পাচার হয়ে আসতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৮৮ জন।
    সৌদিতে ওমরাহ্‌ করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশিসহ ২০ নিহত
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওমরাহ্‌ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশিসহ ২০জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে।সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস উল্টে নিহত ২০ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।গতকাল আল-আসির প্রদেশ থেকে মক্কা আল মুকারামার পথে হজযাত্রীদের বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ঘটনাস্থলে ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত হন এদের মধ্যে অসংখ্য বাংলাদেশি ওমরাহ্‌ হজযাত্রীদের রয়েছে বলে জানা যায় তবে এখন পর্যন্ত আটজন বাংলাদেশির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গিয়েছে,এদের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে নিহতরা হলেন মুহাম্মদ আসিফ কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরাঘোনা গ্রামের আহম্মদ উল্লাহর সন্তান এবং কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার সেফায়েত।জানা যায়,ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এই দুর্ঘটনায আট জন বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।তথ্যে জানা যায় যে বাসটি ব্রেক নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা একটি সেতুর সাথে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বাসটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট ফায়ারসার্ভিস দলের সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়,এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতীয়তার রয়েছে বলে জানা যায় তবে এখনও সকলের নাম পরিচয় জানা যায়নি।এফএস
    সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস দুর্ঘটনায় ২০জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে।আল-আসির প্রদেশ থেকে মক্কা আল মুকারামার পথে হজযাত্রীদের বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ঘটনাস্থলে ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত হন।জানা যায়,ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি আল-এখবারিয়া জানিয়েছে, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।তথ্যে জানা যায় যে বাসটি ব্রেক নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা একটি সেতুর সাথে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বাসটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও জানা যায়নি।পিএম
    প্রবাসী কর্মীদের স্বামী বা স্ত্রীকেও কাজ দেবে সৌদি আরব
    সৌদি প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিল মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল  দেশ সৌদি আরব। দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী পুরুষ এবং নারী  কর্মীরা এখন থেকে সৌদিআরব নিয়ে যেতে পারবেন তাদের স্বামী অথবা স্ত্রীকেও।  সৌদির গেজেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে তাদের সঙ্গীদেরও নিয়োগ দেওয়ার একটি নতুন নীতি চালু করা হয়েছে। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করতে হবে।অ্যারাবিয়ান বিজনেসের এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, শুধু স্বামী বা স্ত্রী নয়, সৌদি প্রবাসী নারীদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দেরও একই সুবিধা দেবে সৌদিআরব । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রবাসী কর্মীদের জন্য এমন নীতির অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিকাশের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রবাসীদের সঙ্গীদের নিয়োগের জন্য পদ শূন্য থাকার পাশাপাশি অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।এজন্য তাদের  নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে । এফএস
    রমজানেই বৈঠকে বসার পরিকল্পনা সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
    সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক পুনর্মিলন চুক্তি বাস্তবায়নে পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই বৈঠকে বসার অঙ্গীকার করেছেন। সোমবার রিয়াদ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সৌদি যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান দ্বিতীয় দফায় টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময়ে উভয়ে অভিন্ন বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় দুদেশ আকস্মিক পুনর্মিলন চুক্তি ঘোষণা করে।সৌদি প্রেস এজেন্সি আরো জানিয়েছে, উভয় মন্ত্রী চলতি রমজান মাসেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে রমজাস মাস শেষ হচ্ছে। তবে বার্তা সংস্থাটির খবরে বৈঠকে তারিখ কিংবা স্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি।সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, সম্পর্ক ছিন্নের সাত বছর পর তা পুনরুদ্ধারে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এই্ বৈঠক।  শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল নিমরকে ২০১৬ সালে সৌদি আরব ফাঁসি দিলে ইরানীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালায়। এর জের ধরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে দুদেশ যে চুক্তি ঘোষণা করেছে তাতে দুমাসের মধ্যে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব দুমাসের মধ্যে তাদের দূতাবাসগুলো খুলবে। এছাড়া ২০ বছর আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।এদিকে ইরানের এক কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে ইরানী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে রিয়াদ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।

    বিনোদন

    সব দেখুন
    চিত্রনায়ক রিয়াজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
    এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। কাজ দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এবার এই নায়কের নামে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালক।এ প্রসঙ্গে শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন ওই নির্মাতা।হারুনুর রশীদের দাবি, তিনি এ্যাডপ্লাস বিজ্ঞাপন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রতিষ্ঠান থেকে রংপুর ক্যামিকেল লিঃ থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজ নেওয়া হয়। সেখানে চিত্রনায়ক রিয়াজকে শুধুমাত্র অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেন। কিন্তু রিয়াজ এই নির্মাতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের খেপিয়ে তোলেন। যার ফলে রংপুর ক্যামিকেল লিঃ প্রতিষ্ঠানের থেকে এ্যাডপ্লাস বিজ্ঞাপন সংস্থার চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।দুই পৃষ্ঠার লিখিত পত্রে হারুনুর রশীদ কাজল এই নায়কের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনেন।আরআইআর
    আইপিএল'র আসরে দক্ষিণী তারকাদের জমজমাট আসর
    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আসর মানে বলিউড তারকাদের আখরা। একে অপরের পরিপূরক ছিল বলিউড আর ক্রীড়া জগতের এই আসর। বিনোদন ও ক্রীড়া জগতের জমজমাট প্যাকেজে দর্শকের সামনে চোখ ধাঁধানো মোড়কে তুলে ধরা হত আইপিএলকে। তবে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ১৬তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলো বলতে গেলে একেবারেই বলিউডহীন। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, গত বছরটা বলিউডের জন্য ভাল কাটেনি। একমাত্র রণবীর কাপুরের 'ব্রহ্মাস্ত্র' ছাড়া আর কোনো বিগ বাজেট সিনেমায় বক্স অফিসে সারা ফেলতে পারেনি। অন্য দিকে, দক্ষিণী সিনেমাগুলো রমরমা চলেছে। এমনকি তেলেগু সিনেমা 'আরআরআর'-এর 'নাটু নাটু' গানটি এবছর অস্কার পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দক্ষিণী সিনেমার জয়জয়কার। আর তার ছাপ পড়েছে এ বছরের আইপিএলেও। ঝলমলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউডের উপস্থিতি বলতে শুধুই অরিজিৎ সিংয়ের গানে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং সুর ধরেছিলেন গুজরাতি গান দিয়ে। তারপর অবশ্য একের পর এক বলিউডের হিট গান গেয়ে মাতিয়ে দিলেন গোটা স্টেডিয়াম।  অনুষ্ঠানে বলিউডের অস্তিত্ব ওইটুকুই। তারপর মঞ্চে আসেন তামান্না ভাটিয়া এবং রাশমিকা মান্দানা।দুজনেই পারফর্ম করেন একের পর এক হিট দক্ষিণী সিনেমার গানের সঙ্গে। কিন্তু সে গানগুলোও বর্তমানে পুরো ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়। তাই অনুষ্ঠানে একটুও ছন্দপতন ঘটেনি। উল্টো মাঠের এনার্জি বেড়েছে।'পুষ্পা: দ্য রাইজ'-র দৌলতে 'সামি সামি' এবং 'ও অন্তভা'র মতো গান এখন গোটা দেশ মাতিয়ে রেখেছেন। শেষে রাশ্মিকা নাচলেন অস্কারজয়ী 'নাটু নাটু'-তেও। সঙ্গে নাচলেন গ্যালারির দর্শক! গত কয়েক বছরে পুরো ভারতেই দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাই এ বছর উদ্বোধনে শুধুই দক্ষিণী তারকা। বোঝাই যাচ্ছে, ভারতে দক্ষিণী তারকাদের কদর বাড়ছে। যেখানে সাম্প্রতিক কালে বলিউডের অনেক সিনেমাতেই গুরুত্ব পাচ্ছেন তারা, সেখানে আইপিএলের মঞ্চও যে তারাই আলো করছেন, তাতে কারও অবাক হওয়ার কথা নয়। আরআইআর
    মায়ের সঙ্গে সিয়াম নাসিরের জন্মদিন উদযাপন
    ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সিয়াম নাসির। ক্যারিয়ার শুরু থেকে নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন নিয়মিত। 'নাইন অ্যান্ড হাফ' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পরিচিত হয়ে উঠেন শোবিজ অঙ্গনে। অভিনয়ের দক্ষতা দেখিয়ে ইতোমধ্যেই তিনি দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছেন। আজ শনিবার (০১ মার্চ) এই অভিনেতার জন্মদিন। বাবা মারা যাওয়ার পর তার কাছে জন্মদিন বা কোন উৎসবই  ভাল লাগে না বলে জানান সময়ের কণ্ঠস্বরকে। এই অভিনেতা বলেন, 'শুটিং ছিল কিন্তু পেকাপ করেছি। সারাদিন আম্মার সাথে আজ কাটাব। বাবা মারা যাওয়ার পর কোনো উৎসব আমার কাছে উৎসব মনে হয় না।' জন্মদিনের প্ল্যান নিয়ে এই অভিনেতা সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'বাবার কবর জিয়ারত করতে যাব, সেই সাথে এতিমখানার বাচ্চাদের ইফতার করানোর প্ল্যান আছে। আর বাকিটা সময় মায়ের সঙ্গে কেটে যাবে।'   ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি টান অনুভব করেন সিয়াম নাসির। তারপর কলেজ জীবনে নাট্যসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে নাম লেখান টেলিভিশন নাটকে। অল্প সময়ের মধ্যে সবার নজর কাড়েন তিনি। তার বর্তমান অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, যা সিয়াম নাসির বহুবার স্বীকার করেছেন। আসন্ন ঈদুর ফিতরে প্রায় ৩০ টি নাটকে তাকে দেখা যাবে বলে জানা যায়। আরআইআর
    ঈদে শাকিব-বুবলীর সেঞ্চুরি
    ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। সিনেমাপ্রেমী থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার কাছে চাহিদার শীর্ষে তিনি। গত দেড়যুগ ধরে সিনেমা মুক্তির আগে হল বুকিং এর ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্টরা এই সুপারস্টারের ছবিই খোঁজেন! আসন্ন ঈদেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।চালু থাকা দুই তৃতাংশ হলে চলবে শাকিব খান অভিনীত ছবি 'লিডার আমিই বাংলাদেশ'। তপু খানের পরিচালনায় নির্মিত এই ছবি পরিবেশনা করছে এম এম মঞ্জুর রহমান।তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যাশা করছি, ১০০-এর বেশি হল পাবে ‘লিডার’। কারণ সারাবছর সিনেমা হলে শাকিবের ছবির চাহিদা অন্যরকম। তার নতুন ছবি না পাওয়ায় পুরাতন ছবি চালানো হয়। এক বছর পর হিরোর সিনেমা আসবে। সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রতিটি হল মালিকরা চাইবেন হিরোর ছবি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রত্যাশা রাখছি, ঈদে ‘লিডার’ ১০০-এর মতো হল পাবে"। তিনি আরও বলেন, 'গত ঈদে প্রায় দেড়'শ বন্ধ সিনেমা হল খুলেছিল। এবারও তেমন হবে। সেই হিসেবে প্রায় দুই শর মতো হলে ঈদের সবগুলো সিনেমা চলতে পারে। ঈদের অনেক বাকি। রমজানে ম্যাক্সিমাম হল বন্ধ। এর মধ্যে আমরা সম্প্রতি ছবিটির বুকিং নেওয়া শুরু করেছি।''লিডার: আমিই বাংলাদেশ' ছবির নির্মাতা তপু খান। এতে শাকিবের বিপরীতে আছেন শবনম বুবলী। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার স্টুডিওতে সিনেমাটির নাম ঘোষণা এবং শিল্পীদের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে শাকিব খান, শবনম বুবলী ও তপু খানের আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। সম্ভবত এটিই এ জুটির শেষ ছবি।আরআইআর

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    রমজানে নতুন সময়সূচীতে চলবে ব্যাংকে লেনদেন
    রমজান মাসের পুরো সময়টাতে নতুন সময়সূচীতের চলবে ব্যাংক গুলোতে লেনদেন।  প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই পাঁচ ঘণ্টা করে এই লেনদেন সেবা চালু থাকবে। সরকারি-বেসরকারি  সকল  ব্যাংকের জন্যেই এই নতুন সময়সূচী।  তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লেনদেন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে।গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সময়সূচি উল্লেখ করা হয়কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, রোজায় রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে। রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে অফিস সময়সূচি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।সাধারণ সময়ে সব ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজের জন্য অফিস খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রমজান মাস উপলক্ষে অফিস ও লেনদেন সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
    রমজান উপলক্ষে কাল থেকে অফিস-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
    রমজান মাসে নতুন সময়সূচিতে চলবে সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট নামাজের বিরতি থাকবে।গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রথম রোজা থেকে এই সময়সূচি চালু হয়। তবে এবার রমজান সরকারি ছুটির দিন (শুক্রবার) শুরু হয়। শুক্র-শনি সরকারি ছুটি শেষে আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে সব প্রতিষ্ঠান। এতে আগামীকাল সোমবার থেকে রমজানের নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।এফএস
    সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
    সারাদেশে একদরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন। আজ সকালে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বিইআরসি’র নির্ধারিত নতুন দামে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার ৪২২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে তা বিক্রি হচ্ছে। আর একেক এলাকায় একেক দরে তা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিইআরসি চেয়ারম্যান একদরে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।গণমাধ্যমে আলাপের সময় বিইআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলীরা।একটানা ১০ বছর জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে চাঁদপুরের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সম্প্রতি বেশকিছু যন্ত্রাংশ অচল হয়ে পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ডিসেম্বর পুরোপুরি বন্ধ করা হয় এ বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নুরুল আবছার জানিয়েছেন, তারা আবারও এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদনে ফিরতে কাজ করছেন। প্রকৌশলীরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এফএস
    স্বর্ণের রেকর্ড দাম, ভরি লাখ ছুঁই ছুঁই
    দে‌শের বাজা‌রে সোনার দা‌ম রেকর্ড প‌রিমাণ বে‌ড়ে‌ছে। এক লাফে প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকারও বেশি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের প্রতিভরি সোনা কিনতে খরচ হবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। আগামীকাল রোববার থেকে সোনার নতুন এই দাম কার্যকর হবে।আজ শ‌নিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ ক‌রেছিল বাজুস যা পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী শ‌নিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায়। সেই হিসেবে আজ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি টাকা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম।গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ভরি সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৮৭ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই দিন ১ হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে হয় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। এরপর ৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা এবং ১৪ জানুয়ারি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বেড়ে হয় রেকর্ড ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কিছুটা কমলেও সেটি ৯০ হাজারের ঘরে থেকে যায়।আজ এক লাফে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি সোনার দাম করা হলো ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে এটিই একবারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।এফএস
    পুরো রমজান মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ
    আসছে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে পুরো মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে ভোক্তা প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘সামনে রোজা। দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করব, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।ভোক্তা অধিকারের পরিচালক বলেন, ‘রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি একসঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চাই, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি- আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।চিনির বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলব।ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এফএস
    ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য পৃথক লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও নীতিমালা তৈরির দাবি
    বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা নীতিমালা ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন তৈরির দাবি করেছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) 'স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্স্যুরটেকের ভূমিকা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি করা হয়। আলোচনায় বলা হয়, দেশে এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক  ইন্স্যুরটেক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বীমা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু যেহেতু ইন্স্যুরটেক বিষয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা বা রেগুলেশন নেই, সেহেতু এই খাতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হচ্ছে না। বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানিগুলোই শুধুমাত্র ইন্সুরেন্স সেবা দিতে পারে, কিন্তু আমাদের আশেপাশের অনেক দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), আই-ও-টি (IOT), ডাটা-সাইন্স নির্ভর নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী বীমা সেবা বাজারে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নতুন প্রজন্মের ইন্স্যুরটেক ও ফিনটেক কোম্পানিগুলো। ইন্স্যুরটেক খাতে প্রচুর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশে, কিন্তু আমাদের দেশে  ইন্স্যুরটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আলাদা আইনগত স্বীকৃতি না থাকাতে এই খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে না। গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার মাত্র ৫% -এর কম বীমা সেবার আওয়তায় আছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই হার ২০-৩০% এর উপরে, কেননা সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলো বীমা বাজার তৈরী করার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মাদ জয়নুল বারী। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বীমা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখ। গোলটেবিল আলোচনাটি পরিচালনা করেন বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-আহবায়ক এবং আদর্শ প্রাণিসেবার প্রধান ফিদা হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বীমা কোম্পানিকে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের ২০টি শীর্ষস্থানী ইন্স্যুরটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ।  প্রধান অতিথি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষর প্রধান মোহাম্মাদ জয়নুল বারী বলেন, সরকার ব্যাপক সংখ্যক জনগণের মধ্যে বীমা সেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও আছে। যেকোনো ধরণের নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সহায়ক ও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে। নতুন ইন্স্যুরটেক নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি ইন্স্যুরটেক উদ্যোক্তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। গোলটেবিল  বৈঠকে বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান ফাহিম মাশরুর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দেশের বীমা খৎ উন্নয়নে মূল ধারার বীমা কোম্পানিগুলো ও ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিন থেকে ৫ বছরের জন্য স্থানীয় ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে বিদেশী কোম্পানিগুলি থেকে অসম প্রতিযোগিতার থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরীর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।  অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষে থেকে একটি খসড়া ইন্স্যুরটেক গাইডলাইন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    আবারো বেড়েছে ব্রয়লারের দাম
    ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের দাম প্রতিকেজি ২০০ -২১০ টাকা থেকে কিছুটা বেড়ে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গত ২৩ মার্চ ব্রয়লার সরবরাহকারীদের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালকের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে এর দাম প্রতিকেজি ২৬০-২৭০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়। সূত্র : ইউএনবিএ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও মধ্যস্বত্বভোগী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা দামে পড়েছে।ঢাকায় শুক্রবার সোনালী (মোরগ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর এক কেজির কম ওজনের পাকিস্তানি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়।তবে লেয়ার (মা) ব্রয়লার মুরগির দামও প্রতি কেজি ৩৩০-৩৪০ টাকায় স্থিতিশীল আছে এবং দেশী মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।শুক্রবার ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়।শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারে মানের ভিত্তিতে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় শুক্রবার দামি মাছের ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম।ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, বাসাবো, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুরগির দামের এসব তথ্য এই প্রতিবেদক।বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের দাম আগের মতোই রয়েছে।কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রতন হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে সব ধরনের সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বেশি।তিনি আরো বলেন, নতুন সবজি আসার সাথে সাথে দাম ধীরে ধীরে কমবে, তবে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিকেজি ৪০ টাকার নিচে নামবে না।এফএস
    রমজানে নতুন সময়সূচীতে চলবে ব্যাংকে লেনদেন
    রমজান মাসের পুরো সময়টাতে নতুন সময়সূচীতের চলবে ব্যাংক গুলোতে লেনদেন।  প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই পাঁচ ঘণ্টা করে এই লেনদেন সেবা চালু থাকবে। সরকারি-বেসরকারি  সকল  ব্যাংকের জন্যেই এই নতুন সময়সূচী।  তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লেনদেন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে।গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সময়সূচি উল্লেখ করা হয়কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, রোজায় রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে। রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে অফিস সময়সূচি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।সাধারণ সময়ে সব ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজের জন্য অফিস খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রমজান মাস উপলক্ষে অফিস ও লেনদেন সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
    রমজান উপলক্ষে কাল থেকে অফিস-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
    রমজান মাসে নতুন সময়সূচিতে চলবে সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট নামাজের বিরতি থাকবে।গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রথম রোজা থেকে এই সময়সূচি চালু হয়। তবে এবার রমজান সরকারি ছুটির দিন (শুক্রবার) শুরু হয়। শুক্র-শনি সরকারি ছুটি শেষে আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে সব প্রতিষ্ঠান। এতে আগামীকাল সোমবার থেকে রমজানের নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।এফএস
    সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
    সারাদেশে একদরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন। আজ সকালে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বিইআরসি’র নির্ধারিত নতুন দামে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার ৪২২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে তা বিক্রি হচ্ছে। আর একেক এলাকায় একেক দরে তা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিইআরসি চেয়ারম্যান একদরে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।গণমাধ্যমে আলাপের সময় বিইআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলীরা।একটানা ১০ বছর জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে চাঁদপুরের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সম্প্রতি বেশকিছু যন্ত্রাংশ অচল হয়ে পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ডিসেম্বর পুরোপুরি বন্ধ করা হয় এ বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নুরুল আবছার জানিয়েছেন, তারা আবারও এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদনে ফিরতে কাজ করছেন। প্রকৌশলীরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এফএস
    স্বর্ণের রেকর্ড দাম, ভরি লাখ ছুঁই ছুঁই
    দে‌শের বাজা‌রে সোনার দা‌ম রেকর্ড প‌রিমাণ বে‌ড়ে‌ছে। এক লাফে প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকারও বেশি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের প্রতিভরি সোনা কিনতে খরচ হবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। আগামীকাল রোববার থেকে সোনার নতুন এই দাম কার্যকর হবে।আজ শ‌নিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ ক‌রেছিল বাজুস যা পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী শ‌নিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায়। সেই হিসেবে আজ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি টাকা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম।গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ভরি সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৮৭ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই দিন ১ হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে হয় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। এরপর ৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা এবং ১৪ জানুয়ারি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বেড়ে হয় রেকর্ড ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কিছুটা কমলেও সেটি ৯০ হাজারের ঘরে থেকে যায়।আজ এক লাফে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি সোনার দাম করা হলো ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে এটিই একবারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।এফএস
    পুরো রমজান মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ
    আসছে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে পুরো মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে ভোক্তা প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘সামনে রোজা। দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করব, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।ভোক্তা অধিকারের পরিচালক বলেন, ‘রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি একসঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চাই, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি- আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।চিনির বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলব।ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এফএস

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    দুই শতাধিক সহচর নিয়ে জবি রোভারের ওয়ানডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
    গুনগত রোভারিং এর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপ কতৃক আয়োজিত ওয়ানডে ক্যাম্প ও ইফতার মাহফিল শুক্রবার (৩১ মার্চ) জবি রোভার ডেনে অনুষ্ঠিত হয়।দুইশত সাঁইত্রিশ জন সহচরের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ডে ক্যাম্প ২০২৩ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।ডে ক্যাম্পে রোভার স্কাউট লিডার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক এবং প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইনুল হোসেন মুন্না পিআরএস, আরিফুল ইসলাম, আহসান হাবীব, এনামুল হাসান কাওছার, কামরুল হাসান, আলগীর হোসেন, মোল্লা মামুন, আনোয়ার হোসেন-সহ প্রমুখ। ডে ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে ছিলেন, জবি রোভার-ইন-কাউন্সিল ২২-২৩ এর সভাপতি এস কে জামিরুল এবং ডেপুটি ইনচার্জ হিসেবে ছিলেন সাধারণ সম্পাদকহোসাইন মুহাম্মদ গোলাম রাজিক।ডে ক্যাম্পের সমপনী অনুষ্ঠান শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের দোয়া ও ইফতার আয়োজন করা হয়। প্রায় চার শতাধিক বর্তমান ও সাবেক রোভারবৃন্দ, বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভারের বিভিন্ন গ্রুপ সমূহের রোভারবৃন্দ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন জবি রোভার-ইন-কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. হেমায়েত হোসেন হিমু।এআই 
    গুচ্ছ পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে: ড. আইনুল ইসলাম
    গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ২ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন ও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।আজ ২৯ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষকদের এক সাধারণ সভা শেষে উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।লিখিত দাবিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়-ই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং ইতোমধ্যে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নও করেছে। এমতাবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ভর্তি কমিটি গঠনসহ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রদানেরও দাবি জানান শিক্ষকরা।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা আগের সিদ্ধান্তেই অনড় আছি। গুচ্ছ পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে৷ আমরা আজও মিটিং শেষে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থায় ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে দ্রুত মিটিং ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। যদি নির্ধারিত সময়ে দাবি বাস্তবায়িত না হয় আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিব।উল্লেখ্য, গত ১৫ই মার্চ অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতভাবে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।আরআইআর
    জবি ছাত্রীকে বুকে লাথি, গ্রেফতার ১
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কটুক্তি ও শারীরিক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। হেনস্তার শিকার ঐ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৫ টায় ওই শিক্ষার্থী টিউশনিতে যাওয়ার পথে নারিন্দা স্টার বেকারির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা উল্লেখ করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থী। জানা যায়, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম  উমর ফারুক সুমন (৫০)। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সুমন একাধিকবার বাজে মন্তব্য করলে প্রতিবাদ করে ওই নারী শিক্ষার্থী। এসময় প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে মারতে উদ্যত হন এবং শ্লীলতাহানি করেন তিনি। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ইট ফেলে ওই শিক্ষার্থীর বুকে লাথি দিয়ে পালায় যায় আসামী সুমন।পরবর্তীতে ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও স্থানীয়দের বর্ননায় অভিযুক্ত সুমনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেন ওয়ারী থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম।এঘটনায় আসামীর শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি এই কুলাঙ্গারের শাস্তি চাই। আমার সাথে যা হয়েছে তা কোন স্বাভাবিক ঘটনা না। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। এঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরপরই  তাৎক্ষণিকভাবে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেনস্তার ঘটনা জেনেছি। থানায় যোগাযোগ করেছি। আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে।"পিএম
    জবি শিক্ষার্থীদের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, নীরব ভূমিকায় পুলিশ
    পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎধীন আছে। হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফায় ও ১১ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে রাত ১১ টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৫০-৬০ জন ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের উপরও আক্রমণ করে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ। পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলেও জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।  হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী  বলেন, আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেনো? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আ‌মি বিষয়‌টি জানার পর আহত‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য ব‌্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছি। সূত্রাপুর ও গেন্ডা‌রিয়া দুই থানার ও‌সির সা‌থেই কথা বলে‌ছি। থানাই অ‌ভি‌যোগ দি‌লে অ‌ভিযুক্ত‌দের বি‌রুদ্ধে ব‌্যবস্থা নি‌বে। আর পু‌লিশ‌ যে শিক্ষার্থী‌দের উপর হাত তু‌লে‌ছে সেই ভি‌ডিওটিও ও‌সি‌কে দি‌য়ে‌ছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে।  ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিম এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথায় থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা ভিকটিম আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আরআইআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যে শতভাগ ক্যাশব্যাক অফার
    কম্পিউটার পণ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।‘ওয়ালটন কম্পিউটার ক্যাশব্যাক অফার’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘প্রযুক্তি পণ্য সবার জন্য’ স্লোগানে এই অফারে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। শতভাগ ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন অংকের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পেয়ে আনন্দে আপ্লুত অগণিত ক্রেতা।ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চীফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, বাংলাদেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সবার হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এরফলে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, মুক্ত পেশাজীবিসহ সবার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয় সহজ হয়েছে। দেশের প্রায় ৬০০ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ডিজিটাল ডিভাইসের অপ্রতুলতার মধ্যেও ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা দিতে ওয়ালটন কম্পিউটারের এই উদ্যোগ।তিনি জানান, বর্তমানে ৩২টি ব্র্যান্ড নামে ১৭টি ক্যাটাগরির ৪৪টি প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন কম্পিউটার। বছরব্যাপী মূল্যছাড়ের পাশাপাশি ইএমআই ও কিস্তি সুবিধা, এক্সচেঞ্জ অফারসহ ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজে নানান ক্রেতাসুবিধা দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুবিধা উপভোগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্লাজা থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের বারকোড রেজিস্ট্রেশনের সাথে সাথে এসএসএসের মাধ্যমে গ্রাহককে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। নগদ মূল্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক গ্রাহক তাক্ষণিকভাবে প্রদেয় মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন। জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা এই অফার পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে রয়েছে নানান মডেল ও ফিচারের ওয়ালটন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ট্যাব, মনিটর, প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে, প্রিন্টার, টোনার, ইউপিএস, সিসিটিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ওয়াই-ফাই রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ,স ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, স্পিকার, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি, এক্সটার্নাল এসএসডি, র‌্যাম, কুলার, পাওয়ার সাপ্লাই, পিসিবিএ, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ফিটনেস স্কেল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইউএসবি, টাইপ সি ও এইচডিএমআই ক্যাবল, কনভার্টার, ইলেকট্রিক বাইক ইত্যাদি।মডেলভেদে গ্রাহকরা ওয়ালটন ল্যাপটপে সর্বোচ্চ ২ বছর এবং ডেস্কটপে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।
    অর্থের বিনিময়ে ব্লু ব্যাজ দেওয়া শুরু করল ফেসবুক
    মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানি মেটা।  যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের পাশে এখন ব্লু ব্যাজ যুক্ত করতে পারছেন অর্থ খরচ করেই।শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংবাদ ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিত সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিজনেস।  গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঘোষণায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা যাবে বলে জানান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মাসিক নির্দিষ্ট একটি অংকের অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নামের পাশে ব্লু ব্যাজ চিহ্ন পাবেন ব্যবহারকারীরা।সিএনএন বলছে, শুক্রবার থেকে মেটা দু’টি সামাজিক নেটওয়ার্কের মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য পেইড ভেরিফায়েড কর্মসূচি পরীক্ষামূলক শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে এক ঘোষণায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কোম্পানিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক মার্কিন ব্যবহারকারীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ওয়েবে মেটা ভেরিফায়েড মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার আর আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।মেটা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন নামের চালু করা এই সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট যাচাই, ব্লু ব্যাজ, অতিরিক্ত সুরক্ষাসহ সরাসরি গ্রাহক সহায়তা সুবিধা পাওয়া যাবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশে অন্যের নামে ব্যবহার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষাও মিলবে এই গ্রাহক সেবায়।মেটার নতুন এই ফিচার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবাজুড়ে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন জুকারবার্গ।
    ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অমান্য করলেই বিপদ
    ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড স্টেপ বাই স্টেপ (বাংলায়) ** সহিংসতা এবং অপরাধমূলক আচরণ (১-৫) ১. সহিংসতা এবং উসকানি আমরা অনেক সময় মনের ক্ষোভে ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস দেই, "এসব মানুষের ক্ষতি হওয়ায় দরকার" বা "যারা সন্ত্রাসী তাদের মেরে ফেলা উচিত" বা "তাকে পাপের ফল ভোগ করতে হবে এবং সে পঙ্গু হয়ে যাবে" বা "যারা এগুলো করছে তাদের অচিরেই পাগলা গারদে পাঠানো উচিত" বা "তারা অপরাধী তাদের দেখা মাত্র গুলি করা উচিত" এই ধরণের স্ট্যাটাস অথবা গ্রাফিকাল কনটেন্টকে ফেইসবুক প্রথমে মুছে ফেলে, একাউন্ট disabled করে এবং দরকার পড়লে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কাজ করে। ২. বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংগঠন বাস্তব সম্মত আইন বিরোধী এবং নিজ উদ্যোগে নেওয়া সহিংস মিশন ঘোষণাকারীদের ফেসবুকে কোনো জায়গা নেই। সন্ত্রাসী হামলা, ঘৃণ্য ঘটনা, গণহত্যা বা গণহত্যার চেষ্টা, একাধিক খুন, বা ঘৃণ্য অপরাধকে সমর্থন করে এমন ব্যক্তি, পেজ, ইভেন্টকে ফেসবুক মুছে ফেলে। এছাড়া এ সকল ঘৃণ্য অপরাধকে যারা সংগঠিত করার চেষ্টা করে তাদের কেও ফেসবুক মুছে ফেলে। ৩. ক্ষতি সমন্বয় এবং অপরাধ প্রচার অফলাইনে ক্ষতি হয় এমন কাজ- যেমন ধরুন আমি অনলাইনে প্রচার করলাম যে, ABC প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে প্রোডাক্ট তৈরী করছে এবং বাজারজাত করছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা সঠিক নয় এমন প্রচারণা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। আবার আপনি আরেক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বা তাদের কোনো আচরণকে কপিক্যাট করে প্রচার করলে সেটাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এছাড়া মানুষ, ব্যবসা, সম্পত্তি বা পশুদের লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট অপরাধমূলক বা ক্ষতিকর ক্রিয়াকলাপে সহায়তা, সংগঠন, প্রচার বা স্বীকার করাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।   ৪. নিয়ন্ত্রিত পণ্য যে সকল পণ্য সেই দেশের সরকার প্রধান থেকে নিয়ন্ত্রিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে সেই সকল পণ্যের প্রচার করা যেমন ধরুন অ-চিকিৎসা ওষুধ, মারিজুয়ানা ক্রয়, বিক্রয়, আগ্নেয়াস্ত্রের যন্ত্রাংশ বা গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়, বিক্রয়, উপহার, বিনিময় এবং স্থানান্তর ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। ৫. প্রতারণা এবং প্রবঞ্চনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অর্থ বা সম্পত্তির জন্য ভুল উপস্থাপন করে প্রচারণার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ব্যবসা, কিংবা সমাজকে প্রতারণা বা শোষণ করার ক্রিয়াকলাপগুলোকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এখানে উল্লেখ যে, সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বাড়াতে এবং অন্যদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি এই ক্রিয়াকলাপগুলোর নিন্দা করার অনুমতি দেয় ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। ** নিরাপত্তা (৬-১১) ৬. আত্মহত্যা এবং স্ব-আঘাত ফেসবুক রক্ত পছন্দ করে না। কারো আত্মহত্যা ভিডিও কিংবা গ্রাফিক চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ যদি লাইভ এ এসে আত্মহত্যা করার হুমকি বা প্রচেষ্টার কথা বলে সে ক্ষেত্রে ফেসবুক স্থানীয় জরুরি পরিষেবাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে। যাইহোক, এই সামগ্রী দেখে অন্যদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য, ফেসবুক সেই প্রান্তে লাইভস্ট্রিম বন্ধ করে দেয়। স্ব-আঘাত অর্থাৎ নিজেই নিজেকে আঘাত করা এবং তার প্রচারণাকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।  এছাড়া আত্ম-আঘাতের শিকার বা বেঁচে থাকা ব্যক্তিদেরকে গুরুতরভাবে, হাস্যরসাত্মক বা অলঙ্কারিকভাবে চিহ্নিত করে প্রদর্শন করাকেও ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। ৭. শিশু যৌন শোষণ, অপব্যবহার এবং নগ্নতা এমন কোনো কনটেন্ট বা পোস্ট করা যাবে না, যা শিশুদের যৌন শোষণ অথবা শিশু শোষণ অথবা শিশু সুরক্ষাকে বিপন্ন করে। অনেক সময় বিচারের দাবিতে অথবা ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের সন্তানের নগ্ন ছবি শেয়ার করে থাকে কিন্তু সেই সকল ছবি অথবা ভিডিওচিত্র গুলো অন্যদের দ্বারা অপব্যবহারের সম্ভাবনার কারণে অথবা পুনরায় ব্যবহার এর সম্ভাবনা এড়াতে ফেইসবুক সেই সকল ছবি অথবা ভিডিও চিত্র মুছে ফেলে। এছাড়া এই ধরণের ছবি অথবা ভিডিও চিত্র সম্পর্কে ফেসবুক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) -কে রিপোর্ট করে থাকে। ফেসবুক ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচিত শিশু শোষণের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত রাখে। এছাড়া যখন পূর্ব পরিচিত নয় এমন ছবি আপলোড করা হয় তখন ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সেই সকল ছবিকে দ্রুত শনাক্ত করতে এবং সরিয়ে ফেলতে বা মুছে ফেলতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি ফেসবুক সেই সকল একাউন্ট কেও অপসারণ করে অথবা করতে পারে যার বা যাদের দ্বারা শিশুদের সাথে সম্ভাব্য অনুপযুক্ত মিথস্ক্রিয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া অ-যৌন বিষয় বস্তু যেমন শিশুদের গোসল করার সময়ের ছবি কেও ফেইসবুক অপসারণ করে থাকে যদিও আপাত দৃষ্টিতে তা অনেক সময় সৌম্য ছবি বলে বিবেচিত হয়। গড়ে প্রতি তিনমাসে ফেসবুক ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লক্ষ্য ছবি অপসারণ করে যার মধ্যে ৯৯ ভাগ অন্য কোনো ফেইসবুক একাউন্ট দ্বারা রিপোর্ট করার আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ৮. প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন শোষণ যৌন সহিংসতা এবং শোষণ নিয়ে আলোচনা ও মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে ফেসবুক। কিন্তু ছবি অথবা ভিডিও চিত্র শেয়ার করা এলাও করে না। যৌন সহিংসতা নিয়ে কথোপকথন এবং ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে দেয় কিন্তু কোনো ঘটনার বাস্তবচিত্র দিয়ে নয়। কিন্তু যৌন সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, বা যৌন শোষণকে চিত্রিত করে, হুমকি দেয় বা প্রচার করে এমন বিষয়গুলি সরিয়ে দেয় ফেসবুক।  ঘটনার শিকার এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য যৌন সহিংসতার ঘটনা এবং চিত্রিত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়াই শেয়ার করা অন্তরঙ্গ ছবিগুলোর সরিয়ে ফেলে ফেইসবুক। ৯. bullying এবং হয়রানি হুমকি দেওয়া অথবা হুমকি বার্তা পাঠানো এবং অবাঞ্ছিত দূষিত যোগাযোগ করা, এই ধরনের আচরণ ফেসবুক সহ্য করে না। পাবলিক ফিগার এবং প্রাইভেট ব্যাক্তিদের মধ্যে পার্থক্য থাকায় দুই ভাবে তাদের একাউন্ট এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফেসবুক। পাবলিক ফিগারের জন্য, bullying এবং হয়রানি আক্রমণগুলি ফেইসবুক সরিয়ে ফেলে এবং যেখানে পাবলিক ফিগার একাউন্টকে সরাসরি পোস্ট বা মন্তব্যে ট্যাগ করা হয় সেখান থেকেও। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য, ফেসবুকের সুরক্ষা আরও এক ধাপ এগিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য এমন সামগ্রী অপসারণ করা হয় যা অবমাননাকর বা লজ্জাজনক, উদাহরণস্বরূপ, কারো যৌন কার্যকলাপ সম্পর্কে দাবি সহ। ফেসবুক স্বীকার করে যে অপব্যবহার এবং হয়রানি অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরো বেশি মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে, যে কারণে ফেসবুক নীতি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে। ১০। মানুষের শোষণ মানব পাচার আর মানুষ কে শোষণ করে এমন কনটেন্ট ফেইসবুক সরাসরি সরিয়ে ফেলে। এখানে শোষণ বলতে ফেসবুক ইচ্ছার বিরুদ্ধে করানো শ্রম বা যৌন কার্যকলাপ কে বুঝিয়েছে। যেমন ধরুন প্রতারণা করে অথবা জোর করে অথবা জবরদস্তি করে কাউকে শোষণ করার চিত্রকর্ম অথবা ভিডিও চিত্র ফেসবুক ছেড়ে দেয়াটাকে ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট কে দ্রুত গতিতে মুছে ফেলে।  মানব চোরাচালান যা রাষ্ট্রীয় অপরাধ এবং মানব পাচার যা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সেই সকল ঘৃণ্য বিষয়ের কনটেন্টকে প্রতিহত করতে হবে। যৌনকাজে মানব পাচার, অবৈধভাবে দত্তক নেওয়ার জন্য শিশুদের বিক্রয়, এতিম শিশুদের পাচার এবং ক্রয়-বিক্রয়, জোর করে বিয়ে, জোর করে শ্রম নিবেশ, জোর করে ঘরোয়া দাসত্ব, মানব দেহের অঙ্গ পাচার, জোরপূর্বক অপরাধমূলক কার্যকলাপ যেমন জোরপূর্বক ভিক্ষা, জোরপূর্বক মাদক পাচার, জোর পূর্বক শিশু সৈনিক নিয়োগ অপরপাশে এই সকল কাজই জোর করে না করিয়ে যদি প্রলোভন, প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল করেও করানো হয় সেক্ষেত্রেও ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এসকল কনটেন্ট এর প্রচার, চিত্রায়ন বা ওকালতি কোনো ভাবেই সহ্য করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট পোস্ট করাকে সরাসরি নিষেধ করেছে ফেসবুক। তদোপরি সেই কনটেন্ট আপলোড করা একাউন্ট কেও রেড জোনে রাখে ফেইসবুক। ১১। গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ছবির গোপনীয়তা অধিকার গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ফেসবুকের নজরে মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং তার মূল্যবোধ রক্ষা করাতে তারা সর্বদা তৎপর। ফেসবুক আমাদেরকে আমাদের অথবা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য পোস্ট করার অনুমতি দেয় না। নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য পরিচয় যেমন:  ব্যক্তিগত পরিচয়: জাতিয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা পরিচয় পত্রের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, পাসপোর্ট নম্বর অথবা পাসপোর্টের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, জাতীয় বীমা/স্বাস্থ্য পরিষেবা নম্বর, ব্যক্তিগত করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর, আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের সরকারি আইডি, এছাড়া বেসরকারি ব্যক্তিগত আইডি নম্বর বা নিবন্ধন তথ্য এবং ব্যক্তির নাম নির্দেশ করে একজন ব্যক্তিকে সরাসরি সনাক্ত করা যায় এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে। এছাড়া নাগরিক রেজিস্ট্রি তথ্যের রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন (বিবাহ, জন্ম, মৃত্যু, নাম পরিবর্তন বা লিঙ্গ স্বীকৃতি ইত্যাদি); অভিবাসন এবং কাজের স্থিতি নথি (উদাহরণস্বরূপ, সবুজ কার্ড, ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা বা অভিবাসন কাগজপত্র); ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লাইসেন্স প্লেট; পাসওয়ার্ড সহ ইমেল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড সহ ডিজিটাল পরিচয়, ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য পাসওয়ার্ড, পিন বা কোড; অন্যের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য, যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ইমেল ঠিকানা; নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য, যেমন নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, লগইন বিশদ, নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির তথ্য; বৈধতার তারিখ বা নিরাপত্তা পিন বা কোড সহ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য; স্টক এক্সচেঞ্জ আর্থিক রেকর্ড বা বিবৃতির তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে। চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য যেমন অন্যদের চিকিৎসা, মনস্তাত্ত্বিক, বায়োমেট্রিক বা জেনেটিক বংশগত প্রদর্শনকারী রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন; হ্যাক করা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য; সংবাদযোগ্যতার সীমিত ক্ষেত্রে ছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পাবলিক ফিগার বা প্রাইভেট ব্যক্তি কিনা তা বিবেচনা না করেই হ্যাক করা সোর্স থেকে নিশ্চিত করা তথ্য; পেশা সম্পর্কিত তথ্য যা আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের গোপনীয় অবস্থা প্রকাশ করে যেমন: বিষয়বস্তুতে এজেন্টের পুরো নাম বা অন্য স্পষ্ট শনাক্তকরণ রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে তাদের গোপনীয় অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে এমন তথ্যচিত্র যা আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের মুখ চিহ্নিত করে এবং তাদের গোপন অবস্থার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে।   ** অবরোধযোগ্য বিষয়বস্তু (১২-১৫) ১২। ঘৃণাবাচক কথা ফেসবুক স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিদ্বেষ মূলক কথার অনুমতি দেয় না। কেননা বিদ্বেষমূলক কথা ভীতি প্রদর্শন করতে পারে এবং অনেক সময় এটা অফলাইন সহিংসতা তৈরি করতে পারে। যে বিষয়গুলোকে ফেসবুক সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য বলে তা হলো; জাতি, জাতীয় উৎপত্তি, অক্ষমতা, ধর্মীয় সম্পর্ক, বর্ণ, যৌন অভিমুখ, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় এবং গুরুতর রোগ। ঘৃণা মূলক কথা হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেয় না এমন কনটেন্ট হলো- ১। কোন ব্যক্তি বা জাতি কে উদ্দেশ্য করে কোন ঘৃণামূলক বা আক্রমনাত্মক লেখা পোস্ট করা। ২। সহিংসতামুলক কিছু লিখা বা সেটাকে সাপোর্ট করা। ৩। যেসব প্রাণী সাংস্কৃতিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক বা শারীরিকভাবে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত হয় এমন কনটেন্ট তৈরি করা। ৪। যৌন শিকারী। ৫। অমানবিকতা। ৬। হিংস্র এবং যৌন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পোস্ট করা। ৭। কালো মানুষদের নিয়ে বৈষম্যমূলক পোস্ট তৈরি করা। ৮। বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের ছোট করে পোস্ট করা। ৯। শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে উপহাস মূলক পোস্ট করা। এমন কনটেন্ট যা বর্ণনা করে বা নেতিবাচকভাবে মানুষকে অশ্লীলভাবে লক্ষ্য করে, যেখানে অশ্লীল শব্দগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা স্বভাবতই আপত্তিকর। এমন আরও কিছু বাড়তি কনটেন্ট আছে যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পোস্ট করতে দেয় না তা হল- কনটেন্ট স্পষ্টভাবে অফার করে এমন পণ্য বা পরিষেবা প্রদান করে যা মানুষের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বা লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তন করার লক্ষ্য রাখে। আক্রমণকারী বিষয়বস্তু, যা সেই সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্যের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আসন্ন শারীরিক ক্ষতি, ভয় দেখানো বা বৈষম্যের জন্য অবদান রাখতে পারে। এ সমস্ত কনটেন্ট পোস্ট করলে ফেসবুক সেগুলো সরাসরি মুছে ফেলে তাই এ ধরনের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। ১৩। সহিংস এবং গ্রাফিক সামগ্রী ফেসবুক গ্রাফিক কনটেন্ট (কিছু সীমাবদ্ধতা সহ) এর মাধ্যমে মানুষকে সমস্যা সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। গ্রাফিক এবং হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর ব্যাপারে মানুষের আলাদা সংবেদনশীলতা রয়েছে। সেই কারণে, ফেসবুক বিশেষ করে গ্রাফিক বা হিংসাত্মক বিষয়বস্তুতে একটি সতর্কতা লেবেল যোগ করেছে যাতে এটি আঠারো বছরের কম বয়সীদের জন্য উপলব্ধ না হয় এবং যাতে লোকেরা গ্রাফিক বা হিংসাত্মক স্বভাব সম্পর্কে সচেতন হয়। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- ১। মানুষের চিত্র: মৃতদেহের চিত্রিত করা ছবি। ২। দৃশ্যমান অভ্যন্তরীণ অঙ্গ: আংশিক পচনশীল দেহ, আত্মহত্যার ছবি, একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের চিত্র সরাসরি সম্প্রচার ইত্যাদি। নিচে উল্লিখিত কনটেন্ট গুলোর জন্য ফেসবুক কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে থাকে যার ফলে ওই কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষ সচেতন হতে পারে এবং ১৮ বছরের উপরে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সে বিষয়টি দেখার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়। কনটেন্ট গুলো হলো- ১। আহত বা মৃত মানুষের ছবি। ২। ছবি যা কোনো ব্যক্তি বা মানুষের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কাজ দেখায়। ৩। ছবি যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেখায় ৪। মানুষ পশুদের হত্যা করে এমন ভিডিওগুলি দেখায় ৫। পশু থেকে পশুর লড়াইয়ের চিত্র কিছু কিছু বিষয়বস্তুর জন্য ফেসবুক একটি লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন হয় যে বিষয়বস্তু সংবেদনশীল হতে পারে। সংবেদনশীল বিষয়বস্তুগুলো হলো- ১। ভ্রূণ এবং নবজাত শিশুদের চিত্র যা দেখায়। ২। জন্মের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান অভ্যন্তরের চিত্র। ৩। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে নন-মেডিকেল বিদেশী বস্তুর ছবি চামড়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেখানো হয়। ৪। একটি গর্ভপাত বা পরিত্যাগ প্রসঙ্গ পরিত্যক্ত প্রেক্ষাপটে নবজাত শিশুদের চিত্র ৫। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, কারো সংবেদনশীল মৃত্যুর ছবি বা ভিডিও আপলোড করা হলে আর সেটা অপসারণের জন্য যদি তার পরিবার অনুরোধ করে ফেসবুক সেই ছবি বা ভিডিও মুছে দেয়। ১৪। প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতা এবং যৌন কার্যকলাপ ফেসবুক নগ্নতা বা যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনকে সীমাবদ্ধ করে কারণ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কিছু লোক এই ধরনের কনটেন্টের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি ডিজিটালভাবে তৈরি সামগ্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ বা জন্মের পরের মুহূর্ত বা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে চিত্রিত করার জন্য ফেসবুক একটি সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন থাকে যে বিষয়বস্তুটি সংবেদনশীল হতে পারে।  তাছাড়া ফেসবুক পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পের ফটোগ্রাফকেও সতর্কতা লেবেল দিয়ে সচেতন করে দেয় যা নগ্ন ছবি প্রদর্শন করে। নগ্নতা জনিত বিষয় ফেসবুক পোস্ট করতে দেয় না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করা।  * কোনও পাবলিক ফিগারে ফটোশপ না করা নগ্ন ছবি। * স্তন্যপান, প্রসব এবং জন্মের পরের মুহূর্ত, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতি প্রদর্শন করা। * যেসব কাজ কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। * যৌন কার্যকলাপ যা যৌনতা প্রদর্শন করে। * যৌন খেলনার ব্যবহার। * যৌন কার্যকলাপের বর্ধিত অডিও ইত্যাদি এসব উল্লেখিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে পোস্ট করলে ফেসবুক তা সরাসরি মুছে দেয়। ১৫। যৌন আবেদন ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এর ধারা-৮ এ উল্লেখ করা হয়েছে, মানুষ যৌন সহিংসতা এবং শোষণের বিষয়ে আলোচনা এবং দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে। পাচার, জবরদস্তি এবং অসম্মতিপূর্ণ যৌনকর্ম জড়িত থাকতে পারে এমন লেনদেনের সুবিধা এড়াতে ফেসবুক কিছু সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফেসবুক যৌনভাবে স্পষ্ট ভাষাকেও সীমাবদ্ধ করে যা অনুরোধের কারণ হতে পারে কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু শ্রোতা এই ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে যা তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * প্রাপ্তবয়স্কদের বাণিজ্যিক যৌন সেবা বা পতিতাবৃত্তির ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। *  প্রাপ্তবয়স্ক যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য নিয়োগের প্রচেষ্টা। *  চিত্রিত যৌন কার্যকলাপ, পর্নোগ্রাফিক ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি। *  সুস্পষ্ট যৌন আবেদন। *  যৌন আড্ডা বা কথোপকথন। *  বহিরাগত পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ভাগ করা। উপরের আলোচিত বিষয়বস্তুগুলো পোস্ট করা হলে ফেসবুক তা মুছে দেয়।   ** সংহতি এবং প্রাসঙ্গিকতা (১৬-২২) ১৬। অ্যাকাউন্টের অখণ্ডতা এবং খাঁটি পরিচয় আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায় জুড়ে পরিচয় প্রকাশের বিভিন্ন উপায়ে অনুমতি দিতে চায় ফেসবুক, পাশাপাশি ছদ্মবেশ এবং পরিচয়ের ভুল উপস্থাপনাও রোধ করে ফেসবুক। এজন্যই ফেসবুক চায় যে লোকেরা দৈনন্দিন জীবনে যে নামটি ব্যবহার করে তা ফেসবুকে সংযুক্ত করতে। ফেসবুকের নীতিগুলি একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চায় যেখানে মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে এবং জবাবদিহি করতে পারে। একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষমতায়নের জন্য, ফেসবুক স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়াল সিস্টেমের সংমিশ্রণে সেসকল অ্যাকাউন্ট কে খুজে বের করে যা অবিরাম বা গুরুতরভাবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডগুলিকে অপব্যবহার করে থাকে এবং ফেসবুক সেই সকল অ্যাকাউন্ট কে ব্লক এবং অপসারণ করে থাকে। যদিও অ্যাকাউন্ট-স্তর অপসারণ একটি কঠোর পদক্ষেপ, যখনই সম্ভব, ফেসবুক আমাদের সম্প্রদায়কে তাদের নিয়মগুলো শিখতে এবং অনুসরণ করতে সুযোগ দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখে।  ক্রমাগত লঙ্ঘন, বারবার সতর্কতা এবং বিধিনিষেধ সত্ত্বেও লঙ্ঘন যা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে, এবং একটি অ্যাকাউন্ট অক্ষম করা হয়। ফেসবুক অনুমতি দেয় না এবং অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিও করে থাকে এমন কিছু বিষয় হলো-   ১। গুরুতরভাবে অথবা ক্রমাগত ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করলে।  ২। বিপজ্জনক ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করলে।  ৩। এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে বা ব্যবহার করলে যা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অভিপ্রায় প্রদর্শন করে।  ৪। একবার ওয়ার্নিং দেবার পর অ্যাকাউন্ট অক্ষম হয়েছে এবং পরবর্তীতে আবার একই কাজ করলে ওয়ার্নিং ছারাই অক্ষম করা হয়।  ৫। অন্যদের ছদ্মবেশ ধারণ করলে।  ৬। অন্যদের প্রতারিত করার স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের ছবি ব্যবহার করলে।  ৭। অন্য ব্যক্তি বা সত্তার হয়ে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে।  ৮। এমন একটি পৃষ্ঠা তৈরি করা যা অন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্তার কথা বলে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে যার জন্য ব্যবহারকারী তা করার জন্য অনুমোদিত নয়।  ৯। ১৩ বছরের কম বয়সী অ্যাকাউন্ট খুললে।  ১০। একজন দণ্ডিত যৌন অপরাধী হিসেবে অ্যাকাউন্ট খুললে।  ১১। প্রযোজ্য আইনের অধীনে আমাদের পণ্য, পরিষেবা বা সফটওয়্যার গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। ১৭। স্প্যাম ফেইসবুক স্প্যামের বিস্তার সীমাবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। অনেক সময় ফেসবুক ব্যবহারকারী তার প্রোফাইলের অথবা পেজের অথবা কোনো গ্রুপের কনটেন্ট এর বেশি বেশি প্রসার করানোর উদ্দেশে যেমন ভিডিও এর ভিউ বাড়ানোর জন্যে অন্যের কনটেন্টকে নিজের বলে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।  এতে তিনটি ঘটনা ঘটে বলে ফেইসবুক উল্লেখ করেছে। প্রথমত, যে বা যারা এরকম করে মানে অন্যের কনটেন্ট অথবা সেই কনটেন্ট এর কিছু অংশ নিজের বলে প্রকাশ করে তার প্রতি নেতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।  দ্বিতীয়ত, যারা সত্যিকার অর্থে সেই কনটেন্ট কে ভালোবেসে ফেলেছে তারাও সামনে সেই কনটেন্ট এর প্রতি জড়িত থাকা থেকে বিরত হয়ে পরে। আর তৃতীয়ত, ফেসবুক পরিষেবার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ব্যবহারযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ফেইসবুক সরাসরি করতে নিষেধ করেছে: ১। অনেক বেশি মাত্রায় যেকোনো কনটেন্ট এ পোস্ট করা, শেয়ার করা এবং এংগেজ হওয়া যাবে না। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে) ২। অনেক বেশি মাত্রায় একাউন্ট তৈরী করা, গ্রুপ তৈরী করা, পেজ তৈরী করা, ইভেন্ট তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে) ৩। ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট দ্বারা সংজ্ঞায়িত, স্পষ্টভাবে চিহ্নিত ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট ব্যতীত, সাইটের বিশেষাধিকার বা প্রোডাক্ট ফিচার, যেমন অ্যাকাউন্ট, অ্যাডমিন রোল, পোস্ট করার অনুমতি, পেজ, গ্রুপ, লাইক ইত্যাদির চেষ্টা বা সফলভাবে বিক্রয়, ক্রয় বা বিনিময় করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন। ৪। কোনো কনটেন্ট কারো কাছে ফেইসবুক এলগোরিদম দ্বারা পৌঁছানোর আগেই সেই ইউজার যদি লাইক এবং শেয়ার করে তাহলে তা ফেইসবুক এর নজরে স্প্যাম হিসেবে দেখা হয়। ৫। সরাসরি লাইক, শেয়ার, ফলো, ক্লিক করুন বলা যাবে না। আবার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক করানো যাবে না। যেমন ধরুন, ১০ টি শেয়ার করলেই আপনার একাউন্ট থেকে আপনি ডিজলাইক করার বাটন পাবেন। মিথ্যা ডিসকাউন্ট কোডের প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক বানানো যাবে না। আবার মিথ্যা প্লে বাটন দিয়েও ক্লিক আনা যাবে না। ৬। মিথ্যা টুল এর উপযোগিতা কে দেখিয়ে লিংক এর মাদ্ধমে ক্লিক করিয়ে ইউজার কে ফেইসবুক থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ৭। বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু যেমন বিষয়বস্তুতে এমন একটি লিঙ্ক রয়েছে যা এক ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু যথেষ্ট ভিন্ন কিছু সরবরাহ করে। যেমন প্রতারণামূলক পপ-আপ ওয়েবসাইট; ক্যাপচা, বিজ্ঞাপন দেখুন, এখানে ক্লিক করুন। ৮। অফ-ফেসবুক কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করার আগে কন্টেন্টের সাথে লাইক, শেয়ার বা অন্যথায় জড়িত থাকার প্রয়োজন অথবা অফার টি পেতে হলে ল্যান্ডিং পেজ কে ফলো, পপ-আপ/, ক্লিকজ্যাকিং ইত্যাদি করানো যাবে না। ৯। ছদ্মবেশ: একটি নাম, ডোমেইন বা টাইপ, ভুল বানান বা কন্টেন্ট বিশিষ্ট ব্র্যান্ড www.faceb00k.com, www.face_book.com, অনুরূপ ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করে অথবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এবং ওয়েবসাইটটি একটি নামী ব্র্যান্ড বা পরিষেবা হওয়ার ভান করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য অন্য একটি বিশ্বস্ত সাইটে নিয়ে যাওয়া এসকল কাজকে ফেইসবুক স্প্যাম বলে সংজ্ঞায়িত করে এবং সেই সকল ফেইসবুক একাউন্ট কে প্রতিহত করে। ১৮। সাইবার নিরাপত্তা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, অ্যাকাউন্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য ফেসবুক সত্ত্বার নিরাপত্তা যা তারা পরিচালনা করতে পারে। প্রতারণামূলক বা আক্রমণাত্মক পদ্ধতি দ্বারা সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজে বা অপব্যবহারে লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয় না। ফেসবুক যা করা যাবে না তা হলো-  * ফেসবুকের পণ্য বা পরিষেবার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক উপায়ে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসে জড়িত থাকার প্রচেষ্টা করা। * অন্য ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে লগইন করে সংবেদনশীল তথ্য পেতে অনুরোধ করার চেষ্টা করা স্পষ্ট প্রতারণামূলক কাজ বা ফিশিং। * ফেসবুক ব্যবহারকারী বা পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে ব্রাউজার এক্সটেনশন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ঝুঁকিতে ফেলে। * ওয়েব হোস্টিং সেবা, ডোমেইন নাম সিস্টেম সার্ভার এবং বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সহ অনলাইন অবকাঠামো প্রদান করা যা ঝুঁকিপূর্ণ লিঙ্কগুলিকে সক্ষম করে যেমন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে এই লিঙ্কগুলির অধিকাংশই কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের স্প্যাম বা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ লঙ্ঘন করে। * নিজের বা অন্যদের লগইন তথ্য প্রকাশ্যে ভাগ করা ইত্যাদি ফেসবুকে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। ১৯। অমানবিক আচরণ ফেসবুকে নিজেদেরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে, জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে, কৃত্রিমভাবে কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের অধীনে অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘন করতে দেয় না ফেসবুক। এই নীতি অবলম্বনের কারণ হলো সুরক্ষিতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করা এবং ফেসবুকের সেবা প্রদান করা যাতে করে এটি মানুষের বিশ্বস্ততার একটি জায়গা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে ফেসবুকে যা করা যাবে না তা হলো- * একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বা একাধিক মানুষের মধ্যে অ্যাকাউন্ট শেয়ার করা যাবে না। * মানুষকে হয়রানি করতে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম রিপোর্টিং সিস্টেমের অপব্যবহার করা যাবে না। * কোনো পেইজের উদ্দেশ্য গোপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। * ফেসবুককে বিভ্রান্ত করার জন্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা। অমানবিক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা: * পরিচয়, উদ্দেশ্য বা উৎপত্তি সম্পর্কে গোপন করা। * ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের সামগ্রীর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা। * কোনো শ্রোতা বা সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা। * কনটেন্টের উৎস বা উৎপত্তি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়া। * ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। একাধিক ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বা জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা যেখানে জাল অ্যাকাউন্টটি হয় কোনো বিদেশি অভিনেতার বা সরকারী হস্তক্ষেপের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের পরিচালিত অসত্য আচরণকে সমন্বিত করে। ২০। মিথ্যা খবর ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা কমানোর দায়িত্ব ফেসবুক গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে। ফেসবুক জনসাধারণের বক্তৃতা বন্ধ না করে মানুষকে অবগত থাকতে সাহায্য করে কোনটি মিথ্যা খবর আর কোনটি সঠিক খবর। যা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং স্পর্শকাতর বিষয়। মিথ্যা সংবাদ এবং ব্যঙ্গ বা মতামতের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে যার কারণে ফেসবুক মিথ্যা খবর অপসারণ করার চেয়ে বরং তা নিউজ ফিডে কম দেখায় এবং এর বিতরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে দেয়।  ফেসবুক আরো একটি সচেতন সম্প্রদায় গড়ে তুলতে এবং বিভিন্ন উপায়ে মিথ্যা সংবাদের বিস্তার কমাতে কাজ করছে।  যেমন- * মানুষের জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা, ভুল তথ্য প্রচারকারী পেজ এবং ডোমেইন ব্যাহত করার মাধ্যমে। * বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে, একটি মেশিন লার্নিং মডেলকে অবহিত করার জন্য যা কোন গল্প মিথ্যা হতে পারে তা পূর্বাভাস দেয়। * মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত কোনো কনটেন্ট বিতরণ হ্রাস করা। * মানুষকে সংবাদ সাক্ষরতার প্রচারের মাধ্যমে কী পড়বে, বিশ্বাস করবে এবং শেয়ার করবে তা নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়ন। * এই চ্যালেঞ্জিং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য আপনিও সহযোগিতা করুন। ২১। হেরফের করা মিডিয়া মিডিয়া বিভিন্নভাবে সম্পাদনা করা যায় যেমন- ছবি, অডিও, ভিডিওতে ফিল্টারের প্রভাব ব্যবহার করে। ফেসবুকের লক্ষ্য হলো ম্যানিপুলেটেড মিডিয়াগুলি সরিয়ে ফেলা। তাছাড়া ফেসবুক মিথ্যা সংবাদ ও ভুল তথ্যের বিতরণ কমাতে এবং সেইসাথে অনলাইনে যে কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষকে ভালোভাবে অবহিত করতে সাহায্য করতে পার্টনারশিপে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখে। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * ভিডিওর একটি বিষয় এমন শব্দ বলেছে যা তারা বলেনি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিং এর পণ্য সম্পর্কিত ভিডিও। * যে ভিডিওগুলি সম্পাদনা বা সংশ্লেষিত হয়েছে, স্বচ্ছতা বা গুণমানের সমন্বয়ের বাইরে এবং যা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। * কোনো ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট যা বর্জন করতে বলা হয়েছে এমন কিছু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। ২২। স্মারককরণ কেউ মারা গেলে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কেউ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি স্মরণীয় করে রাখতে অনুরোধ করে তাহলে ফেসবুক সেই অ্যাকাউন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল নামের উপরে "মনে রাখা" শব্দটি দিয়ে দেয়। এতে স্পষ্ট হয় যে অ্যাকাউন্টটি এখন একটি স্মারক সাইট এবং অ্যাকাউন্টটিতে লগইনের চেষ্টা করা বা প্রতারণামূলক ক্রিয়াকলাপ থেকে রক্ষা করার জন্যই মূলত এটা করা হয়। মৃত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানাতে ফেসবুক মৃত্যুর পর তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করে রাখে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর আগে যদি ওই‌ ব্যক্তি তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করার কোনো উত্তরাধিকারী নির্বাচন করে যায় তাহলে শোকাহত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীদের সমর্থন করতে ফেসবুক কিছু কনটেন্ট অপসারণ বা পরিবর্তন করে থাকে যদি উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে অনুরোধ করে এটি করার জন্য। খুন এবং আত্মহত্যাকারী বা মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল ফটো, কভার ফটো বা সাম্প্রতিক টাইমলাইন পোস্টগুলির মধ্যে যদি কোনো একটি উত্তরাধিকারী বা মৃতের পরিবারের সদস্যের অনুরোধের জন্য প্রদর্শিত হয় তবে ফেসবুক নিম্নলিখিত সামগ্রীগুলি সরিয়ে দেয়: * মৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে ব্যবহৃত বস্তুর ছবি বা ভিডিও। * মৃত ব্যক্তির কথিত হত্যাকারীর ছবি। * মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট। * মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে দোষী সাব্যস্ত বা কথিত হত্যাকারী রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে বা বন্ধুদের মধ্যে উল্লেখ করা থাকলে তাও সরিয়ে দেয় ফেসবুক। উত্তরাধিকারী যোগাযোগ বা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ফেসবুকের নজরে যে পোস্টগুলো এলে ফেসবুক সেটাকে স্মারক করে তাহলো- * একটি স্মারকযুক্ত প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী মন্তব্যগুলি সরানো হলে যা সাধারণত ব্যক্তিকে স্ব -প্রতিবেদন করতে হবে যাতে ফেসবুক জানতে পারে যে তারা অবাঞ্ছিত। * একটি স্মরণীয় প্রোফাইলে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু, রোগ বা ক্ষতির জন্য প্রশংসা বা সমর্থন সরানো হলে। * মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার্থে সেটিংস জনসাধারণ থেকে বন্ধুদের মধ্যে পরিবর্তন করুন যখন প্রোফাইলে কোনো ক্ষতিকারক সামগ্রী থাকে। * মৃত ব্যক্তির প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করুন। ** শ্রদ্ধাশীল বুদ্ধিজীবী সম্পত্তি (২৩) ২৩। মেধা সম্পত্তি ফেসবুক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখে। ফেসবুক মনে করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতপ্রকাশ, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের প্রচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফেসবুকে কোনো কন্টেন্ট শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার এটি পোস্ট বা শেয়ার করার অধিকার আছে‌ কি না। কেননা ফেসবুকে পোস্ট করা আপনার বিষয়গুলো ও তথ্যগুলোর মালিক এবং গোপনীয়তা রক্ষা এবং অ্যাপ্লিকেশন সেটিংসের মাধ্যমে এটি কীভাবে ভাগ করা হয় তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাছাড়া ফেসবুক অন্যদের কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং অন্যান্য আইনি অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে বলে থাকে। কারন ফেসবুক মানুষ এবং সংস্থাগুলোর মেধা সম্পত্তির অধিকার প্রচার ও সুরক্ষায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেসবুক পরিষেবার শর্তাবলী কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কসহ অন্য কারো মেধা সম্পত্তি অধিকার লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট পোস্ট করার অনুমতি দেয় না। ফেসবুক দ্বি-বার্ষিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে‌ থাকে। কারো অধিকার লঙ্ঘন করে এমন পোস্ট বা প্রতিবেদন ফেসবুক অপসারণ বা সীমাবদ্ধ করে থাকে। ** বিষয়বস্তু-সম্পর্কিত অনুরোধ এবং সিদ্ধান্ত (২৪-২৫) ২৪। ব্যবহারকারীর অনুরোধ    ১) ব্যবহারকারী তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ করলে। ২) পরিবারের সদস্য বা নির্বাহকের কাছ থেকে মৃত ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে। ৩) একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি থেকে একজন অক্ষম ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে। ২৫। অপ্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত সুরক্ষা। ১) একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ আসলে। ২) শিশু নির্যাতনের চিত্র অপসারণের জন্য সরকারি অনুরোধ, উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা মারধর করা বা একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা শ্বাসরোধ করা বা শ্বাসরোধ করা হলে।  ৩) আইনগত অভিভাবক যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে যাওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর হামলা চিত্র অপসারণের জন্য অনুরোধ করে সেক্ষেত্রে।
    তাকিওন ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের ই-বাইক আনলো ওয়ালটন
    নতুন মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়ালো শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকের নাম তাকিওন লিও (TAKYON Leo)। সাশ্রয়ী মূল্যের তাকিওন লিও মডেলটি বাজারে এসেছে ৩টি ভার্সনে। মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টা চার্জে এই বাইকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে মাত্র ১০ পয়সা। সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে তাকিওন লিও মডেলের নতুন ই-বাইকের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াসির আল ইমরান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ওয়ালটনের তাকিওন বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিআরটিএ অনুমোদিত ইলেকট্রিক বাইক। বর্তমানে ২ মডেলে ৪টি ভার্সনে ওয়ালটনের ই-বাইক পাওয়া যাচ্ছে। বাসার ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেয়া যাচ্ছে। শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত এই বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, চালানো সহজ ও নিরাপদ। নতুন আসা তাকিওন লিও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এন্ট্রি লেভেলের ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। এক চার্জে এই বাইকটি ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে। এর দাম ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা।  তাকিওন লিও ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে মাইলেজ মিলবে ৭০ কিলোমিটার। বাইকটির দাম ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও এর সর্বোচ্চ ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে। এতে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে। এটির দাম ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা। ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/e-bike) থেকে গ্রাহকরা বিনামূল্যে তাকিওন লিও (TAKYON Leo) মডেলটির ৩টি ভার্সনের প্রি-অর্ডার দিতে পারছেন। অন্যদিকে, তাকিওন ১.০০ (TAKYON 1.00) মডেলের হাইয়েস্ট ভার্সনের ই-বাইকটি দেশের সকল ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনের ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাচ্ছে। লাল, নীল এবং ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম ১২৭,৭৫০ টাকা।  তাকিওন লিও মডেলের উদ্বোধনের আগে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্য অতিথিরা ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন পণ্যে সাজানো ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা বিশ্বমানের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, পিসিবি-মাদারবোর্ড ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।  তাকিওন লিও ই-বাইকের উদ্বোধনের পর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন বাংলাদেশে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাদের অত্যাধুনিক হেডকোয়ার্টারে বিশ্বমানের নানান পণ্যের সর্বাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট দেখে আমি অভিভূত। ই-বাইক বর্তমান সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। অত্যন্ত অল্প খরচে যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষায় ই-বাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের এই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা। 
    প্রথম প্রজন্মের আইফোন নিলামে, ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলার
    প্রথম প্রজন্মের একটি আইফোন নিলামে তোলা হয়েছে। তৎকালীন অ্যাপল ইনকরপোরেশনের তৈরি এই ফোনটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে স্টিভ জবসের হাত ধরে বাজারে সেই আইফোনটি অবশ্য এখনো অব্যবহৃতই রয়ে গেছে। সম্প্রতি ডিভাইসটির মালিক এটিকে নিলামে তোলেন। চলতি ফেব্রুয়ারিতে আইফোন বাজারে আনার ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস। ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি পর্দার আইফোনটি যখন বাজারে আসে তখন এটির দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার। এতে ছিল ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং আইটিউনস। তবে এতে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ডিভাইসটি টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্কে চলত এবং শুধু এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহার করা যেত। ৪ গিগাবাইট (জিবি) এবং ৮ জিবি এই দুই মেমোরি স্টোরেজ ফিচারে এসেছিল প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন। নিলামে ওঠা আইফোনটির ৮ জিবি সংস্করণ উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন মেকআপ ট্যাটু শিল্পী ক্যারেন গ্রিন। তবে তিনি আইফোনের মোড়কটি কখনো খোলেননি। ২০১৯ সালে এক টিভি শোতে সর্বপ্রথম এটি জানিয়েছিলেন ক্যারেন। তখন একজন ডিভাইসটির মূল্য পাঁচ হাজার ডলার বলে জানিয়েছিলেন। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান এলসিজি অকশন ডিভাইসটি নিলামে উঠিয়েছে। গত অক্টোবরেও একই ধরনের আরেকটি আইফোন ৩৯ হাজার ডলারে নিলামে বিক্রি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যারেনের আইফোন নিলামে থাকবে।
    এক মাসেই বিশ্বব্যাপী চাকরি হারিয়েছেন ১ লাখ প্রযুক্তি কর্মী
    প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ মাস হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে চলতি বছরের জানুয়ারিকে। আমাজন, মাইক্রোসফ্ট, গুগল, সেলসফোর্সের মতো সংস্থাগুলোতে এসময় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ২৮৮ টিরও বেশি কোম্পানি গড়ে প্রতিদিন ৩,৩০০ জনের বেশি প্রযুক্তি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। অ্যাপল ছাড়া অন্য সব বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জানুয়ারিতে তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। আমাজন ১৮০০০, গুগল ১২০০০ এবং মাইক্রোসফট ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। তার আগের মাসের সেলসফোর্স ৭,০০০ আইবিএম ৩৯০০ এবং এসএপি ৩০০০ কর্মী ছাঁটাই এর ঘোষণা করেছিল। লে অফ ট্র্যাকিং সাইট 'লে-অফস ডট এফওয়াইআই'র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি ১,৫৪,৩৩৬ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২.৫ লাখের বেশি প্রযুক্তি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে এবং এই বিষয়ে তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনা মহামারী। ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই এর পর মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ জানান ২০২৩ সালকে তিনি দক্ষতার বছর হিসেবে দেখতে চান। বৈশ্বিক মন্দা ও মন্দার আশঙ্কার অংশ হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওএলএক্স গ্রুপ  ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০০ এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এডটেক কোম্পানি তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম থেকে আরও ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। জানা গেছে, নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর আরো ১,০০০ এর বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে বলা হয়েছে।

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
    রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির  সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।বুধবার ভোর ৪টায় সাভারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় শামসুজ্জামানকে। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।এরপর বুধবার রাতে একই অভিযোগে রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাত ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।সংবাদটি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে দেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। শিশুটির বিষয়ে ভুল তথ্য, নাম পরিচয়ও ভুল দেওয়া হয়েছে।পরে শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে এ ছবি তুলেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন সংবাদ করেছে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক।

    প্রবাস

    সব দেখুন
    সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন, মিলেছে নাম পরিচয়
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওমরাহ্‌ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস দুর্ঘটনায় ২৪ ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে। সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস উল্টে নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন।নিহত ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশিরা হলেন-  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার সবুজ হোসাইন, কক্সবাজার জেলার মো. আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুর জেলার রুকু মিয়া, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লা জেলার গিয়াস হামিদ, যশোর জেলার মোহাম্মদ নাজমুল এবং  রনি। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলা জেলার  আল আমিন ও বুরহান উদ্দিন, লক্ষীপুর জেলার  মিনহাজ ও রিয়াজ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার জুয়েল, মাগুরা জেলার  আফ্রিদি মোল্লা ও মিজানুর রহমান, নোয়াখালী জেলার  মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লা জেলার  ইয়ার হোসাইন ও জাহিদুল ইসলাম এবং যশোর জেলার  মোশাররফ হোসাইন।এছাড়া চিকিৎসা সেবা  নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী ও কুদ্দস।উল্লেখ্য যে, ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতীয়তার রয়েছে বলে জানা যায় ।

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    সেহরি ও ইফতারে যা যা খাওয়া উচিত
    সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। এ সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস পালন করা অত্যন্ত জরুরি। সারাদিন রোজা পালন শেষে ইফতারে অনেকেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। আবার সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে এই কথা চিন্তা করে অনেকেই সেহরিতে জোর করে অনেক বেশি খাবার খান। দুটোর কোনটিই ঠিক নয়। খাদ্য তালিকায় মুখরোচক ভাজাপোড়া নয় বরং পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে এবং পরিমিত আহার করতে হবে। শরীরের চাহিদার থেকে খাবারের পরিমাণ কম বা বেশি কোনোটিই ভালো নয়। চলুন জেনে নেই রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে- রোজার মাসে নিয়মিত জীবনযাপনে আসে পরিবর্তন। ভাজাপোড়া খাওয়া বাড়ে। পাল্টে যায় ঘুমের সময়। এই একমাসে  শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি।তীব্র গরমে সেহরির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার: রোজার মাসে সারাদিনের সংযম আর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর তেলে ভাজা, মসলাদার সুস্বাদু খাবারের সমারোহ। আর মাসটা শেষ হলেই ঈদ। প্রচুর মিষ্টি, সেমাই, পায়েসের ছড়াছড়ি। মন ভরে খাওয়া আর কদিন পরেই ওজন মেশিনের দিকে তাকিয়ে মুষড়ে পড়া। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সারা মাসের সংযমের ফলাফল ওজন বৃদ্ধি। চুল ও ত্বকে বাড়ে মলিনতা আর শরীরজুড়ে নেমে আসে অবসাদ। বেহিসেবি খাওয়া আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারাই এর কারণ। ইফতারে পুষ্টিকর খাবার:সারাদিনের তৃষ্ণার্ত শরীর পরিতৃপ্ত হয় শরবত পানের মধ্য দিয়ে। তাই এই পানিয় ঘরে বানানো তাজা ফলের হওয়া চাই। এখন যেহেতু মৌসুমি ফলের মাস তাই প্রায় প্রতিদিনই ঘরে তৈরি শরবত খাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।আম, কমলা, তরমুজ, বাঙ্গি, পেঁপে, লেবু-যে কোনো একটি ফলের রস দিয়েই শুরু করা যায় ইফতার। তবে শরবতে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করে মুখ মিষ্টি করার মতো চিনি ব্যবহারই ভালো।  রোজাতে শরীরে অতিরিক্ত পানির চাহিদা তৈরি হয়। তাই শরবতের পরই শশা, খেজুর এগুলো খাওয়া যেতে পারে। তবে খেজুর দু-তিনটির বেশি খাওয়া ঠিক না। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের বরাদ্দ কেবল দুটো। অঙ্কুর ওঠা কাঁচাছোলা ভিটামিন সি-র খুব ভালো উৎস। প্রতিদিনের ইফতারির মেন্যুতে কাঁচাছোলাটা তাই নিশ্চিত করুন। সারাদিনের অনাহারের পর ভাজাপোড়া, তেল-মসলা শরীরের জন্য একদমই ভালো না। তা খেতে যতই মুখরোচক হোক না কেন। ইফতারিতে একটু পেঁয়াজু, বেগুনি বা ছোলা না খেলে যদি অসম্পূর্ণ মনে হয়, তবে দই-চিড়া বা ফলাহারের পর সামান্য ভাজাপোড়া চলতে পারে। সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার:গরমকালে দীর্ঘ সময় রোজা রেখে সুস্থ থাকার জন্য চাই সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার। যেহেতু গরমকালে রোজা তাই শরীরের পানির চাহিদার প্রতি বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। শরীরের পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য তালিকায় সব ধরণের খাদ্য উপাদান যোগ করতে হবে। সেহেরিতে সুষম খাবার। খাদ্য তালিকায় খাবারের ছয়টি উপাদান- শর্করা, স্নেহ, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ ও পানি ইত্যাদি উপাদানগুলো প্রয়োজন মতো রাখতে হবে। যেহেতু সারাদিন কোনো কিছু খাওয়া হয় না তাই সেহেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেতে হবে।অনেকে মনে করেন যে, সারাদিন কিছু খাওয়া হবে না তাই সেহেরিতে বেশি করে খেতে হবে। এটা একটা ভুল ধারণা। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেহেরিতে আঁশ বহুল খাবার বা হজম দেরিতে হয় এমন খাবার খাওয়া ভালো। এতে ক্ষুধা দেরিতে লাগে। শরীর ঠিক রাখতে সেহেরিতে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি ইত্যাদি খেতে পারেন। এর সঙ্গে আমিষ ও স্নেহ পদার্থের চাহিদা মেটানোর জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া ভালো।

    Loading…