জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামি গালিফকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান।
গ্রেপ্তার গালিফ খিলক্ষেত থানা এলাকার আহম্মদ মোক্তাদির আরিফ ওরফে সুমনের ছেলে।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি (২১)। পরে মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল চৌরাস্তার জান্নাতি আই অপটিকস দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত আসামি রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এর আগে মামলার এজাহারে ভিকটিম অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শো-রুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি সানি ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত গেলে আসামিরা একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করে। এরই একপর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
এআই
পুরান ঢাকার আরমানিটোলা কসাইটুলি বাংলা স্কুলের সামনে বিসমিল্লাহ খাশি-গরু সাপ্লাইয়ের দোকানে নয়ন আহমেদ ৫৮০ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করছেন।
এর আগে গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করে আলোচনায় আসেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। এবার তার চেয়েও কম দামে মাংস বিক্রি করছেন পুরান ঢাকার মাংস ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ। যেখানে খলিলুর রহমান মাংস বিক্রি করছেন ৫৯৫ টাকায় সেখানে তার চেয়েও কম দামে ৫৮০ টাকায় প্রতিকেজি মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন নয়ন।
রবিবার (১৭ মার্চ) ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ কমদামে মাংস বিক্রির ঘোষণার পরপরই দোকানে ভিড় করতে দেখা যায় সাধারণ ক্রেতাদের।
মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা কম দামে ভালো মাংস পায়ে বলেন, এই সময় নয়নের মতো ব্যবসায়ী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। সব ব্যবসায়ীরা যদি নয়নের মত হত তবে দেশটা অনেক আগেই পরিবর্তন হয়ে যেত। তিনি মাংসে কোনো সমস্যা দেখছি না মানসম্মত এবং হালাল মাংস বিক্রি করছেন। রোজার মাসে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ক্রেতারা সাধুবাদ জানিয়েছে নয়নকে।
রাজধানীর মাংসের বাজারে ইতোমধ্যেই আলোচিত হয়ে উঠেছেন খলিলুর রহমান। এবার তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন নয়ন আহমেদ। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন।
এবারের রোজায় এই ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংসের পাশাপাশি ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংসও বিক্রি করছেন৷
এআই
রাজধানীর মিরপুরে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. রাসেল (২৫)। এতে আহত হয়েছেন রাশেদ (২২) নামের আরেক যুবক।
শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর সাড়ে ১১ এর আধুনিকের মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত রাশেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর সাড়ে ১১ আধুনিকের মোড়ের কিছুটা সামনে আসলে আমাদের দুজনকে ১০-১২ জন মিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওই এলাকার তানজিলা ও তার স্বামী কালু, ভাই শাহিনের সঙ্গে রাসেলের পূর্বশত্রুতা ছিল। তারাই আজকে এ হামলা করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত রাশেদের অবস্থাও গুরুতর। রাশেদকেও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর রাসেলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
এ দিকে পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) মোকলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মিরপুর ই-ব্লকে বিহারিদের নিজেদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনায় এক যুবক মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা এতটুকু জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।
এআই
পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টি এলাকার একটি প্রেসে আগুন আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত পৌনে ১০ টার দিকে এই সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নিয়েছে সদরঘাট, সূত্রাপুর এবং সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট।
এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
অভিষেক মল্লিক/পিএম
রাজধানীর বাংলাবাজার-সদরঘাট চৌরাস্তার মোড় পদচারী সেতুটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পথচারীদের ব্যবহারে কোনো আগ্রহ না থাকায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জনসন রোড, বাংলাবাজার, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও ইসলামপুর রোডের সংযোগস্থলে পথচারীদের পারাপারে ১৯৯৭ সালে পদচারী-সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা আর সেতুতে মাদকসেবী ভবঘুরেদের বসবাসের ফলে চতুর্মুখী সেতুতে ওঠার প্রতিটি পথেই প্রতিবন্ধকতা চলে আসে। এতে পথচারীদের সেতু ব্যবহার প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউই উঠেনা এই পদচারী সেতুতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর পর মাদক,নেশাখোরদের অবাধে আড্ডা, অব্যবস্হাপনায় ভরে উঠে। ফলে অতিরিক্ত যানজট থাকলেও যাতায়াতে সেতুটি ব্যবহার করেননা মানুষজন। পদচারী-সেতুর আশপাশে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বাজার বইয়ের মার্কেট, সদরঘাট নৌ- টার্মিনাল, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুমনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই পথে। কিন্তু রাস্তা পারাপারে কেউ পদচারী-সেতু ব্যবহারে আগ্রহী নয়।
দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা পদচারী-সেতুর চারটি প্রবেশপথেই ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। এর মধ্যে সেতুর দক্ষিণ-পূর্ব প্রবেশপথে গড়ে উঠেছিল পুরোনো বইয়ের বাজার। উত্তর-পূর্ব প্রবেশপথে ফলের দোকান। দক্ষিণ- পশ্চিম প্রবেশপথে চা-নাশতার টং দোকান। পাশেই ঘোড়ার গাড়ি ও লেগুনার কারণে সড়কে লেগে থাকতো তীব্র যানজট। আর উত্তর-পশ্চিমের প্রবেশপথে জুতা, স্যান্ডেল, রকমারি জিনিসপত্রের হকারদের পসরা। ব্রিজের নিচের সড়কে রাখা ময়লার কনটেইনারের আবর্জনা চারপাশে ছড়িয়ে থাকতো। সেতুর নিচেই পুলিশ বক্সে সার্বক্ষণিক সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশ অবস্থান করলেও কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কাউকে।
দায়িত্বরত (পুলিশ বক্সে) নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, মানুষ ব্রিজটা ব্যবহার করেনা। গত কয়েকদিন ধরে দেখতেছি সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসে ভাঙার কাজ শুরু করেছে।
ব্যস্ততম একটা জায়গায় ফুটওভার ব্রিজটি ভাঙন সম্পর্কে অবহিত করে, ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, এটা নিয়ে আমি নিজেই বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়ার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র মহোদয় মৌখিক ভাবে এটাকে (ফুটওভার) কে ভেঙে ফেলার অনুমতি দেন। পরবর্তীতে মেয়র আবার এসে দেখে যান এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার (০৮ মার্চ) থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
পথচারীদের ভোগান্তি লাঘবের কথায় মাথায় রেখে মিয়াজী বলেন, এ রাস্তা প্রতিদিন লাখ লাখ লোকজন আসা-যাওয়া করে। বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় জনগনের ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে রাতের বেলায় এই ভাঙার কাজ চলে। চলাচলের কোন অসুবিধা যেন না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে ভাঙা অংশ গুলো সিটি করপোরেশন দিনের শুরুতে নিয়ে যায়। আশা করছি জনগনের যাতায়াতে এর প্রভাব পড়বেনা।
পিএম
যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ৩ কেজি ৩শ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দু’ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দু’জনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেটকারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেটকার নিউ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বের কোন মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি সীমান্ত থেকে ২৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ সুমন রহমান (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। আটক সুমন রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি পশ্চিমপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
যশোর র্যাব-৬ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের জনৈক শহিদুল্লাহ এর বাড়িতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ভারতীয় ফেনসিডিল বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে সুমন রহমানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে ওই বাড়ির সিড়ির মাঝে রাখা খড়ের গাদার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় দুইটি বস্তায় বিশেষভাবে রাখা ২৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামী আরো জানায়, তার নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য না রেখে তার চাচাতো ভাই শহিদুল্লাহর বাড়িতে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য মজুদ করে আসছিল। যেহেতু শহিদুল্লাহ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে, তাই তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য রাখলে কেউ সন্দেহ করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের তথ্য পাবে না বলে আটক আসামীর বিশ্বাস ছিল।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক আসামী সুমন রহমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইাট ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এমআর
‘টিসিবির জিনিসের দাম একটু কম। যে কয়টা জিনিস দেয় তাতে ভালোই লাভ হয়। ভেবেছিলাম রোজা শুরুর আগেই এগুলো নিতে পারবো। তাহলে কিছু টাকা বাঁচবে। কিন্তু তা আর হলো কই! টিসিবির জিনিস না পেয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। রোজাতো, এ কারণে না কিনে পারা যায়নি।’
এসব কথা বলছিলেন রিকশাচালক আলতাফ হোসেন। তার মতো বক্তব্য শ’ শ’ কার্ডধারীর। যারা নিয়মিত টিসিবির পণ্য কেনেন, কেনার অপেক্ষায় থাকেন, তাদের অপেক্ষা শেষ হবে কবে? পুরো রোজার মাস ধরে কি বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে।
রোজার আগে টিসিবির ভর্তুকি পণ্য পাওয়ার আশায় ছিলেন যশোরের ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ জন কার্ডধারী। এসব কার্ডধারীর মধ্যে কেশবপুরে ১৪ হাজার ৪৪৫, শার্শায় ১৮ হাজার ৪৩৮, অভয়নগরে ১২ হাজার ১৭২, বাঘারপাড়ায় ১১ হাজার ৮২০, চৌগাছায় ১১ হাজার ৫৮১, মণিরামপুরে ২১ হাজার ৬২৬, ঝিকরগাছায় ১৩ হাজার ২৫৫ ও সদর উপজেলায় ৩৪ হাজার ১০২ জন রয়েছেন। তারা আশা করেছিলেন রোজার মধ্যে কমপক্ষে দু’বার সরকারি এই সুবিধা নিতে পারবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। দু’বারতো দূরের কথা, এখনো পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য-ই পাননি কার্ডধারীরা। তাহলে মার্চ মাসের পণ্য পাবেন কী করে?
টিসিবির একাধিক ডিলার জানিয়েছেন, আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ফেব্রুয়ারি শেষ করে মার্চ মাসের পণ্য বিতরণ চলছে। সেখানে যশোরে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্যই এখনো আসেনি। না আসার কারণ সম্পর্কে তাদের অভিমত, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। টিসিবির পণ্য আসুক আর না আসুক তাতে তাদের কিছুই ‘এসে যায় না’। এ কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কমমূল্যের এসব পণ্য কবে আসবে সেই খবরও কেউ দিতে পারছেন না।
ডিলাররা জানিয়েছেন, রোজার মধ্যে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীরা পাঁচ ধরনের পণ্য পাবেন বলে তাদের জানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ছোলা এক কেজি, চিনি এক কেজি, তেল দু’লিটার, ডাল দু’কেজি ও চাল পাঁচ কেজি। টিসিবির প্রতি কেজি ছোলার দাম ৫৫, চিনি ৭০, ডাল ৬৫, চাল ৩০ ও তেল ১০০ টাকা লিটার। সেই হিসেবে এই প্যাকেজের দাম পড়বে ৬০৫ টাকা।
এই পণ্যগুলো বাজার থেকে কিনতে একজন মানুষকে গুণতে হবে এক হাজার ৮০ টাকা। তার মানে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের বাড়তি ব্যয় করতে হবে ৪৭৫ টাকা। এই দুর্মূল্যের বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৪৭৫ টাকা ‘অনেক বেশি’ বলে মনে করছেন টিসিবির পণ্য ক্রেতারা। তারা যেকোনোভাবেই বাড়তি ৪৭৫ টাকা সেইফ করতে চান। কিন্তু সময়মতো সেটি পারছেন না।
সালেহা বেগম নামে সুবিধাভোগী পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। দু’পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করি। এ কারণে টিসিবির জিনিসপত্র কেনার অপেক্ষায় থাকি। বাড়িতে ওইসব জিনিস ফুরায়ে গেলেও দোকান থেকে না কেনার চেষ্টা করি। যখন আর পারি না তখন কিনি। মনে করেছিলাম রোজার আগে টিসিবি থেকে জিনিস কিনতে পারবো। কিন্তু সেটি হয়নি। ছয় রোজা চলে গেছে। আজ ৭ রোজা চলছে এখনো পেলাম না। এ কারণে দোকান থেকে বেশি দামের জিনিস অল্প করে কিনেছি। এখনো তাকিয়ে আছি টিসিবির দিকে।’
এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল আলম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে চারটি জেলার পণ্য সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে পণ্য আসতে দেরি হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ শুরু হবে শার্শা থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় বিতরণ করা হবে।’
তবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ডিলাররা। তারা জানিয়েছেন, যশোরে যে পরিমাণ পণ্য এসেছে তা কেবল শার্শাতে বিতরণ করা যাবে। বাকি সাতটি উপজেলার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো মালামাল আসেনি। কবে নাগাদ আসবে সেটি কেউ বলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে এমন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা।
যশোরের আট উপজেলায় সর্বমোট ১৭৯ জন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫, মণিরামপুরে ২২, শার্শায় ১২, কেশবপুরে ৩৮, অভয়নগরে ২৩, বাঘারপাড়ায় ১০, চৌগাছায় ১২ ও ঝিকরগাছায় ৭ জন রয়েছেন।
এমআর
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাটে 'কমলার দোহা' নামক বিলের মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থী লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এতে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের তিনজন ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে গাইটঘাট গ্রামের কমলার দোহাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্বজিৎ সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই তার লোকজন হাট-ঘাট আর বিল বাউড় দখল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। এখন তার লোকজন বিভিন্ন ইসু নিয়ে প্রতিপক্ষের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দনের লোকজনের সাথে মারামারি আর গ্যাঞ্জাম করছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দনের পক্ষর আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইটঘাট গ্রামের ইলাহি বক্সের দুই ছেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও মিকাইল ইসলাম (৪৫)। অপর নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ এর পক্ষের আহত একই গ্রামের মোস্তাফার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫)।
আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, কমলার দোহা বিলে আমার ভাই মতিয়ারের ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামীগীগের সভাপতি ও বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তার কর্মী পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের জাফরকে দিয়ে আমার ভাই সহ বিলের অন্যান্য পার্টনারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এরই জের ধরে ঘটনা দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জাফর, গাইটঘাট গ্রামের জালাল, নুরুল ও রাসেল ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। আমাকে আমার হাতে ও বুকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়। আমার ভাইকেও মারধর করে তারা। এ বিষয়ে আমি আজ সোমবান মামলা দায়ের করেছি।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দন অভিযোগ করে বলেন, কমলার দোহা বিলে মাছ নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহার উস্কানিতে আমার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ঘটনার পরই আহতদের খোজখবর নিতে সদর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। মূলত দুদিন আগে কমলা দোহা বিলে মারা যাওয়া মাছ পচে এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। এ নিয়ে আমার কর্মী জাফর উচ্চস্বরে তাদেরকে মাছগুলো সরাতে বললে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরপরই জাফরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মোবাইলে অভিযোগ করেন তারা। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাছগুলো বিল থেকে সরানোর জন্য বলে। এরই জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কর্মী জালালকে মারধর ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় না। আর আমার লোকজন কোনো হাট-ঘাট দখলের পায়তারাও করছে না। আমি জনতার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিরোধী পক্ষ এটা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি কমলার দোহার বিলে মরা মাছ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো যাবে।
এমআর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বােধন করা হয়েছে।
সােমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে আশা সংস্থার জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর শাখা কার্যালয়ে এ ক্যাম্পের উদ্বােধন করা হয়। আশা সংস্থার কাজীপুর শাখা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশা সংস্থার কাজীপুর শাখার ব্যবস্থাপক ইমরান হােসেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বালিয়াঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মাে. সাহাবুদ্দীন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম,কাজীপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদ আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেএসএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আশরাফুল আলম, সমাজ সেবক মাওলানা মুফতি আল-আমীন। আশার কাজীপুর শাখার সহকারি -ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দীন, আশার সেলথ সেন্টার ইনচার্চ সামাদুর রহমান, কাজীপুর ইউপি সদস্য ফারুক হােসেন ও সমাজ সেবক গােলাম মােস্তফা।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন পীরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল হাদি। আশার কাজীপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইমরান হােসেন জানান, এ ক্যাম্পের মাধ্যমে এ এলাকার মানুষের বিনামূল্যে বিভিন্ন রােগের চিকিৎসাসহ ডায়াবেটিস পরীক্ষা, প্রেসার মাপা, ওজন মাপার সুযােগ রয়েছে।
পিএম
নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের শহর সোনাপুর এলাকায় নেই আগের সেই চিরচেনা যানজট। নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে নগরবাসী।
সোনাপুর রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন রুটের সিএনজি ও বাস স্টেশন হওয়ার কারণে এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত। যে কারণে সোনাপুর জিরো পয়েন্টের প্রধান সড়কে বিগত কয়েক বছর থেকেই যানজটে মহাদুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।
দীর্ঘদিনের সেই দুর্দশা থেকে এবার পরিত্রাণ মিলেছে পুলিশ সুপারের বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তায় সময়োপযোগী উদ্যোগে এবং জেলা ট্রাফিক বিভাগের নিরলস পরিশ্রমের কারণে সফলতা মিলছে যানজট নিরসনে।
সম্প্রতি সিএনজি ও বাসসহ গণপরিবহন গুলোর যাত্রী উঠানামায় স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে ট্রাফিক বিভাগ তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় যানজট সমস্যা অনেকটাই নিরসন হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।
হোন্ডা আরোহী আব্দুল মুকিত জানান, আগে সোনাপুরের যানজটের কবলে পড়লে দীর্ঘ সময় এখানে আটকে থাকা লাগতো কিন্তু এখন মোটামুটি স্বস্তিতে বেরিয়ে যেতে পারছি।
সিএনজি চালক শামসু মিয়া বলেন, আগে সোনাপুরের যানজটে আমাদের দীর্ঘ কর্মঘন্টা নষ্ট হতো। আল্লাহর রহমতে এখন মোটামুটি খুব সহজেই আমরা সোনাপুর জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে যাচ্ছি।
জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক সিরাজ উদ দৌলা সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক যানজট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সোনাপুর এলাকার জন্য বিশেষভাবে আমাদের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে আশানুরূপ সুফলও পাচ্ছি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যানজটে জনদুর্ভোগ কমাতে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতায় সমন্বিত ভাবে আমরা নিত্য নতুন কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে যানজট নিরশনে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সাথে চালক, যাত্রী ও পথচারী সকলকে সচেতন ভাবে সহযোগী হয়ে থাকতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এমআর
রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের সফল প্রচেষ্টায় ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মাসে ৩২টি সহ সর্বমোট ২৭৪টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলনে কক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ৩২টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল কর্তৃক উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মারুফ আহমেদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মহোদয়।
এ সময় তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গঠিত জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, ক্লুলেস মামলা ডিটেকশনের পাশাপাশি অদ্যবধি ২৭৪টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৫ লক্ষ টাকা।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মালিকগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং পুলিশ সুপার মহোদয়সহ রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের ইনচার্জ এসআই (নিরস্ত্র) জনাব মাসুদ রানাসহ সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এআইচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত হরিণা খাল (৪ কিমি) পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার ভূজপুরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বউপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প চটগ্রামের বিএডিসির বাস্তবায়নে এই খাল খননের উদ্বোধন করেন সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার।
এর পূর্বে এক সংক্ষপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাতেমা আক্তার, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম এইচ শাহাজাহান চৌধুরী শিপন, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী নুরুল আলম, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ভূজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পুসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
এআইফেনী পৌর শহরের মিজান রোড়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে স্থাপিত হয়েছে আল্লাহর ৯৯টি নাম সম্বলিত একটি নান্দনিক ভাস্কর্য। রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানটির নাম শান্তি চত্বর রাখা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদিন লিটন হাজারী, পৌর কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, কাউন্সিলর হারুন মজুমদার, কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, কাউন্সিলর কহিনুর আলম, কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, কাউন্সিলর খালেদ খান, ফেনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল্লাহ, কোর্ট মসজিদেন খতিব মাওলানা মীর হোসেন, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন পরবর্তী সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, মিজান ময়দানে জেলার সব বড় বড় প্রোগ্রাম হয়। এখানে ঈদের জামাতসহ আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন হয়। সে ময়দানের সম্মুখে আল্লাহর নাম সম্বলিত এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমাদের জন্য এসব আবেগের। ফেনীর মানুষ শান্তিতে বিশ্বাসী আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ফেনী পৌরসভার অর্থায়নে ইসলামিক এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলিম দেশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন নিদর্শন, আল্লাহ ও রাসূলের নাম মানুষের সামনে উপস্থাপন করা মুসলমান হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে এ ভাস্কার্যটি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এগুলো দেখে মানুষ যাতে আল্লাহ ও রাসূলের এবং ধর্মের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।
মেয়র আরো বলেন, ফেনী পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইসলামিক ভাস্কর্যের মাধ্যমে শহরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আশা করছি শহরের আরও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ইসলামিক নিদর্শন স্থাপনের মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্রের পরিচিতি এখান থেকে আরও বেশি উন্মোচিত হবে। এছাড়াও ভাস্কর্যটি উপরে চারটি এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, বিভিন্ন ইসলামিক প্রোগ্রাম ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, দুই মাসে এর কাজ সমাপ্তি করেন নিউ স্মার্ট জেনারেল সার্ভিস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, এই ভাস্কার্যটিতে ৭ হাজার এলইডি লাইট রয়েছে।
এফএস
কক্সবাজার-টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে,ইয়াবার চালানসহ তিন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গোপন সংবাদে কোস্টগার্ড অভিযানিক দল জানতে পারে মায়ানমার হতে একটি মাদকের চালান টেকনাফ সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ হয়ে বাংলাদেশ উপকুলে প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী,
রবিবার বেলা ২টার দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপে কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যদের একটি দল দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এরপর অভিযান চলাকালীন শাহপরীর দ্বীপের গোলাপাড়া ঝাউবন এলাকা থেকে সন্দেহজনক ছোট আকারের একটি ফিশিং ট্রলারকে আটক করার পর তল্লাশি করে ৩৩ হাজার,৪ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক পাচারে জড়িত ট্রলারে থাকা তিন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ধৃত ব্যাক্তিরা হচ্ছে-টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (১৭),মাজেদ হোসেন (২৩), মোস্তফা কামাল (১৬)।
ইয়াবার চালানসহ আটক তিন মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য, টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস
মাদারীপুরের শিবচরে অভিযান চালিয়ে বাজার থেকে ১শ' ২০ কেজি জাটকা এবং ১০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে উপজেলা মৎস অফিস।
সোমবার(১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য অফিস। জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে শিবচরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে মৎস অফিস।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান কালে ১শ' ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
এছাড়াও ১০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাটে ইলিশের সাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা বিক্রি করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন মৎস কর্মকর্তা। পরে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অপরদিকে জেলিযুক্ত চিংড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
শিবচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন,'সোমবার উপজেলার মাদবরেরচর হাটে অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। একই সাথে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে অন্য ব্যবসায়িদের সতর্কও করা হয়েছে।
এমআর
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের শিবনাথ সাহা তালুকদার বাড়িটি একাধিকবার পাক বাহিনীর আক্রমনের শিকার হয়। টিকতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বাড়ির লোকজন। বাড়িটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কটিয়াদীর মানিকখালী রেল স্টেশন দিয়ে সহজেই পাক বাহিনী এই গ্রামে প্রবেস করতো৷ নির্বিচারে আতর্কিত গুলি করে অনেক মানুষকে হত্যা করে৷ লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে অনেক গ্রাম পুড়িয়ে দেয়৷
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শিবনাথ সাহার বাড়িতে প্রবেশ করতেই ঘাট বাঁধা বিশাল এক পুকুর। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই দুটো ভবন। তার একটি মন্দির অন্যটি শিবনাথ সাহার বাড়ি। মন্দিরের পিছনে সীমানা প্রাচীর ঘেরা আরো একটি পাকা ভবন। শিবনাথ সাহার তালুকদার বা জমিদার বাড়ি। বাড়িটি বিভিন্ন ধরনের নকশা করা কারুকাজে ভরা ।
বর্তমানে বাড়িতে বসবাস করা এক জেলে পরিবার। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এখানে স্বাধীনতার আগ থেকেই বসবাস করছে । স্বাধীনতা পর্যন্ত শিবনাথ সাহের পরিবার এখানে ছিলো কিন্তু যুদ্ধের সময় এই বাড়িতে কয়েকবার আক্রমণ করে পাক বাহিনী তখন এই ভীতিকর পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য শিবনাথ সাহার পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
জানা যায়, শিবনাথ সাহা এই বাড়িতে বসেই তার জমিদারি কাজ চালাতেন। তবে বাংলার অন্য জমিদারদের মতো তিনি অত্যাচারী ছিলেন না। প্রজাদেরকে তিনি ভালোবাসতেন, সুনজরে দেখতেন। তিনি ছিলেন উদার মনের মানুষ। বাংলা ১২৫৫ সালের ১৭ আষাঢ় ও ইংরাজি ১ জুলাই ১৮১৮ সালে উপজেলার কুড়িখাই গ্রামের একটি সনাতন পরিবারে শিবনাথ সাহার জন্ম। তার বাবার নাম কার্তিক চন্দ্র সাহা। দাদার নাম যাত্রাবর সাহা। শিবনাথ সাহার ছোট একটি ভাইও ছিলেন। নাম ছিল তার শম্ভুনাথ সাহা। শিবনাথ সাহার বাবার ও ঠাকুরদার আমলে তাদের জমিদারির অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তবে শিবনাথ সাহা জমিদারির দায়িত্ব পাওয়ার পর অর্থনৈতিক অবস্থার প্রসার ঘটে। তিনি বাজিতপুরের আলিয়াবাদে এক বনেদি সাহা পরিবারের মেয়ে কালী সুন্দরীকে বিয়ে করেন। কালী সুন্দরীও ছিলেন বেশ প্রজাবৎসল। তাদের ঘরে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি তার ভাই শম্ভুনাথ সাহার চতুর্থ ছেলে সুরেন্দ্রনাথ সাহাকে দত্তক নিয়েছিলেন।
স্ত্রীর নাম কালীসন্দুরী সাহা। তাঁর পারিবারিক উত্তরসূরীগণ (বর্তমানে কটিয়াদী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু দিলীপ কুমার সাহা, রতন কুমার সাহা, উত্তম সাহা, বিশ্বনাথ সাহা, কৃষ্ণ পদ সাহা প্রমূখ) মনে করেন এক মাহেন্দ্রক্ষণে মনুষ্য রুপী দুই দেব-দেবী কালি ও শিবের মিলন ঘটে। কিন্তু তাদের কোন পুত্র সন্তান হয়নি। বাবু শিবনাথ সাহা ও কালি সুন্দরীর ঘরে তিন কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। তাদের নাম বিদ্যাসুন্দরী সাহা, জগৎতারা সাহা ও জয়াদূর্গা সাহা। পুত্র সন্তানের জন্য হয়তো এই দম্পতির অন্তরে একটু দীর্ঘশ্বাস লুকানো ছিল।
বাবু শিবনাথ সাহা অনেক জনহিতকর কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্ত্রীর নামে বাজিতপুরে কালিতারা পাঠশালা, বনগ্রামে পিতার নামে কার্তিক চন্দ্র সাহা লাইব্রেরী, ধুলদিয়ায় শিবনগর, কামালপুরে পূজামন্ডপ এবং ইংরেজী ১৯১৮ সনে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন যা পরবরতীকালে সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় নাম ধারণ করে। তিনি ১৯২০ সনের ২০শে সেপ্টম্বর একটি ট্রাষ্ট গঠন করেন। এই শিক্ষানুরাগী শিবনাথ সাহা বাংলা ১৩৩১ সনের ১৭ই আষাঢ় নিজ বাসভবনে মৃত্যু বরণ করেন। তার বাড়ীর পাশেই নদীর পাড়ে শিবসাহা শ্মশানঘাট। সেখানেই দীর্ঘ উঁচু শিবসাহা মঠ আজো দেখা যায়।
পিএম
গজারিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৬জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৭ই মার্চ) বিকেল ৪ ঘটিকায় উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন এর নয়ানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিরোধপূর্ণ জায়গায় জোড়পূর্বক ঘর নির্মাণ করতে যায় নয়ানগর গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে জমির হোসেন ভূঁইয়া (৬৫)গং। এ সময় প্রতিবেশী শামীম ভূঁইয়াগং বাধা দিতে গেলে তাঁরা হামলার শিকার হন।
হামলায় আহত কামরুল হাসান রাসেলের (৩৪) পিতা নাসির উদ্দিন বলেন, বিরোধপূর্ণ এই জমিতে ১৪৪ধারা জারি ছিল, মামলার রায় আমাদের পক্ষে ছিল তাই তাদের জোরপূর্বক ঘর নির্মাণে আমরা বাধা প্রদান করায় বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
অন্যান্য আহত'রা হলেন তাসলিমা বেগম(৪০), তাহমিনা আক্তার (৩২), আমেনা খাতুন (৩৩),শাম্মী আক্তার(১৭), মহসিন ভূঁইয়া (৫০)।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো:রাজিব খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএম
রাজধানী ঢাকা যে বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল, সে ঢাকাই গিলে খাচ্ছে নদীটাকে। দখল-দূষণে এ নদীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। পাড়ে নেই সবুজের ছিটেফোঁটাও। বিপরীতে গত ৩০ বছরে ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে নিম্নভূমি ও জনবসতি। ৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৬ কিলোমিটারই ভরাট আর দখলে প্রবাহ শূন্য হয়ে পড়েছে বুড়িগঙ্গা। শুধু বর্ষা ও শরতে বুড়িগঙ্গায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে। বাকি চার ঋতুতে বেড়ে যায় নদীর তাপমাত্রা। হাজারীবাগের চামড়া কারখানা যখন ছিল, তখন দোষ পড়তো সেটার ঘাড়ে। কিন্তু চামড়া শিল্প তুলে নেওয়ার পরও বুড়িগঙ্গার একই হাল।
নদী রক্ষা কমিশনের পরিদর্শন বলছে, ঢাকার মধ্যে ধামরাই, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সাভার ও দোহারে মোট ১১০ কিলোমিটার নদী রয়েছে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা ৮ কিলোমিটার, তুরাগ ৪২ কিলোমিটার, বালু ২৭, ইছামতি ১১, ধলেশ্বরী ১২, বংশী ১০ কিলোমিটার। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর মধ্যে তারা যে পরিদর্শন করেছে, তাতে ২৩৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে। এর বাইরেও অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যেটার তালিকা তাদের কাছে নেই। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ইছামতিতে ৭৫, ধলেশ্বরীতে ১০০ আর বংশীতে ৬০টি স্থাপনার তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তালিকার পরও কেন উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না সে প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দখল-দূষণবাজের তালিকায় এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বেশ প্রভাবশালী। কিন্তু রাষ্ট্রের চেয়ে বড় প্রভাব নিশ্চয়ই তাদের নেই। তবু কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেটা চিন্তার বিষয়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান হাওলাদার বলেন, কমিশনের শুরুতেই দখলদারদের তালিকা করেছিলাম। কিছু উচ্ছেদও হয়েছিল। মূল সমস্যা হচ্ছে বড় ব্যবসায়ী এবং তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ। এ কাজে পানিসম্পদ এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী রক্ষা আইন সংশোধন করে সংসদে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীও চান নদীগুলো রক্ষা পাক। কিন্তু সুবিধাভোগী কিছু মানুষের কারণে দখলমুক্ত হচ্ছে না। আইন না হলে, মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা না পেলে এ কাজ একা কমিশনের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ বলছেন, ইদানীং এত পরিমাণ ময়লা হয়েছে যে নদীতে পারাপার হতেও কষ্ট হয়। নদী প্রচণ্ড গন্ধ। দুর্গন্ধ সহ্য করার মতো না।
একসময়ের স্রোতস্বিনী নদীটিকে একরকম গিলে খাচ্ছে কেবল দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা। সেই সঙ্গে সব জায়গায় আশপাশের কারখানার লাখো-কোটি টন বিষাক্ত বর্জ্য ফেলার চিত্র। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে সাজা নিশ্চিত করলেই বাঁচানো যাবে বুড়িগঙ্গা। এমনটাই দাবি পরিবেশকর্মীদের।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে অন্য নদ-নদীর পানিও বুড়িগঙ্গার মতোই ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়বে। বুড়িগঙ্গা বর্জ্য ফেলার ভাগাড় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত তিন দশক ধরে। দুই তীরে গড়ে ওঠা সব কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। বুড়িগঙ্গার দূষণ এখন আর এ নদীতে সীমাবদ্ধ নেই। তা ছড়িয়ে পড়ছে চাঁদপুর অঞ্চলের পদ্মা-মেঘনার মোহনায়ও। আড়িয়াল খাঁ, গোমতী, ধলেশ্বরী আর শীতলক্ষ্যার বিভিন্ন প্রান্তে অনুভূত হচ্ছে দূষণের থাবা।
এদিকে তিন দশকে বুড়িগঙ্গার দৈর্ঘ্য, দূষণ, দখল নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাতটি প্রতিষ্ঠান। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। পাঁচ'শ বছরের ঢাকা গড়ে ওঠে বুড়িগঙ্গা তীর ধরে। কিন্তু সময়ের স্রোতে বুড়িগঙ্গা হারিয়েছে গতিপথ, প্রবাহ। দখল দূষণে তিলে তিলে মেরে ফেলা হচ্ছে এই নদী। ধলেশ্বরীর কেরানীগঞ্জে হযরতপুর থেকে উৎপত্তি হয়ে কোন্ডা ইউনিয়নের জাজিরায় মিশেছে ৪১ কিলোমিটারের বুড়িগঙ্গা। অথচ গেল ত্রিশ বছরে এই উৎস মুখ থেকে ১৬ কিলোমিটারই দখল হয়। এখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক শিল্প কারখানা ও ১৭টি ইটভাটা।
এ নদীতে শুধু বর্ষা ও শরতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে ছয় মাত্রায়। বাকি চার ঋতুতে নদীর তাপমাত্রা থাকে ২০ ডিগ্রির ওপর। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ এক মাত্রায় নেমে আসে। অন্তত একশটি ড্রেন দিয়ে শিল্প ও নাগরিক বর্জ্য পড়ে নদীতে। এই গবেষণা কার্যক্রমের প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন দেশের নদ-নদী বিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’ এর মহাসচিব শেখ রোকন।
তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের চেষ্টা ছিল এই নদীর অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতি এবং কীভাবে পুনরুদ্ধার সম্ভব। মূলত এ থেকে ১৪টি প্রধান দিক উঠে এসেছে যার মধ্যে কয়েকটি দিক বুড়িগঙ্গা বিষয়ক গবেষণাগুলোতে কখনো উঠে আসেনি। গবেষক শেখ রোকন আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি নথিপত্র থেকে উইকিপিডিয়াসহ সব জায়গায় বুড়িগঙ্গার উৎপত্তি হিসেবে ‘তুরাগ’ নদীকে বলা হয়ে আসছে, যা মূলত ‘ধলেশ্বরী’ নদী হবে। আবার বুড়িগঙ্গার প্রকৃত দৈর্ঘ্য নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে ২৯ কিলোমিটার, বিআইডব্লিউটিএ’র হিসেবে ৪৫ কিলোমিটার, এবং পর্যটন করপোরেশনের হিসেবে ২৭ কিলোমিটার। এসবই ভুল! এই গবেষণায় জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত দৈর্ঘ্য নিরূপণ করা দেখা গেছে কেরানীগঞ্জের হযরতপুরের ধলেশ্বরীর উৎপত্তিস্থল থেকে কোন্ডা ইউনিয়নের জাজিরা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। গবেষণার ফল থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এই যে, ১৯৯০ সালে এর প্রায় ১৩ শতাংশ এলাকা জলাশয় বা জলাভূমি ছিল, যা ২০২০ সালে এসে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া জলাভূমিতে এখন দেখা যাচ্ছে শিল্প কারখানা, বৈদুতিক কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা ও বসতি। বুড়িগঙ্গার দুই তীরঘেঁষে রয়েছে ২৫০টি স্থাপনা, এরমধ্যে ১০৮টি কারখানা, ৪৩টি শিপইয়ার্ড, ২৩টি মিল, ২২টি শিল্প স্থাপনা, ১৯টি গুদাম এবং ১৭টি ইটভাটা। এছাড়া বুড়িগঙ্গা বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রকল্পে গত দুই দশকে অন্তত ৩ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তবে নদীটি পুনরুদ্ধারে এর প্রভাব দৃশ্যমান নয়।
পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ জানান, আমরা নদীকে নানা দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মাপি, কিউসেক দৃষ্টিভঙ্গিতে মাপি, তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে ভাবি, ভারত কিংবা বাংলাদেশ আমরা একটি জীবন্ত নদীকে কেটে ফেলতে চাই, কত কিউসেক পানি আমরা পেতে পারি। বনের গাছকে ঘনফুটে মাপি। অথচ এই নদী, প্রাণ- প্রকৃতি হলো এক একটি জীবন। সবার আগে সরকার ও রাষ্ট্রের এসব দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নদীতে, বনে-জঙ্গলে কত শতাংশ জায়গা আছে এসব হিসেব-নিকেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়ানোটা জরুরী এবং আমি মনে করি এই গবেষণা আমাদের এভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।
রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গাকে। রাজধানীর শ্বাসনালী পুনরুদ্ধারে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে বলে আহ্বান জানিয়ে পরিবেশবিদ ও বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের নদ-নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করা চলবে না। ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
বুড়িগঙ্গা নিরুদ্ধ নদী পুনরুদ্ধার সুপারিশ তুলে ধরে ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম জানান, বুড়িগঙ্গার ভরাট, দখল, শুকনো ও হারিয়ে যাওয়া অংশ দখল উচ্ছেদ ও খননের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে; প্রবহমান অংশের তীরবর্তী দখল উচ্ছেদের পর তা স্থায়ী করতে নজরদারি ও তদারকি প্রয়োজন; নাগরিক ও শিল্পবর্জ্যের উৎসগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে হয় বন্ধ, না হয় ইটিপি স্থাপন করতে হবে এবং জ্ঞান ও তথ্যভিত্তিক নদী আন্দোলন, সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রয়োজন। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গাসংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে; দক্ষতা, আন্তরিকতা, ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে বন্ধ খাল জীবিত করে সিএস ম্যাপে ভূমি উদ্ধার করতে হবে। পাড় থেকে সরাতে হবে কলকারখানা।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার আগে দূষণের কেন্দ্র ছিল নারায়ণগঞ্জ। এরপর হাজারীবাগের ট্যানারি। এখন ট্যানারি সাভারে গেছে। দূষণের কেন্দ্রও বদলেছে। তবে মাথায় রাখতে হবে দূষণের মূল কারণ কারখানা। কারখানা বন্ধ করতে বলছি না। পরিশোধন প্ল্যান্ট করার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি। আমাদের গবেষণায় বুড়িগঙ্গার পানিতে ক্যাডমিয়াম, সালফাইড ও অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি অনেক বেশি পেয়েছি। তিনি আরও জানান, আগে বর্ষায় দূষণের মাত্রা কম হতো। এ বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত জরিপে দেখা গেছে মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছি।
পিএম
কালিয়াকৈর উপজেলার বহুল পরিচিত কৃতি সন্তান সাবেক সচিব শফিউদ্দিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোর রাত আনুমানিক ৪টার সময় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি ২ ছেলে ৩ মেয়ে ও ৮ জন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বাদ জোহর ঢাকাস্থ বাসভবনে জানাজা হয়ে মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার ঢোল সমুদ্র স্কুল মাঠে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাযা শেষে মরহুমকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ছিলেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বেশ সুনাম করিয়েছে।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে এলাকায় নানামুখী সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন।
এআইপিরোজপুরের পাড়েরহাটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২জন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাসুম বিল্লাহ (৫০) ও মো. হাসিব (৩০)। এই ঘটনায় আহতরা হলেন- নুরু (৬০) ও আরিফ (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ির স্ট্যান্ডের সড়কে পিরোজপুর থেকে একটি মোটরসাইকেল পাড়েরহাটের দিকে যাচ্ছিল। অন্যটি ইন্দুরকানী থেকে পিরোজপুরে আসছিল। মল্লিকবাড়ি এলাকায় আসলে একজন পথচারীকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা দুই মোটরসাইকেলের ৪ জন আরোহীকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআই
পিরোজপুরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩টি গরু লুট করেছে ডাকাতদল।
রবিবার (১৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের রিয়াজ হাওলাদারের খামারের ১৩টি গরু লুট হয়।
ভুক্তভোগী রিয়াজ জানান, ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল ভোরে তার বাড়ির গোয়াল ঘরে গরু লুট করতে আসে। এসময় শব্দ পেয়ে তিনি ঘর থেকে বের হলে ডাকাত দল তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোয়াল ঘরে থাকা বিদেশি জাতের ১৩টি গরু লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়।গরুগুলোর মধ্যে সাতটি গরু প্রায় দুই মণ করে দুধ দিত। আর বাকি ছয়টি ষাঁড় গরু ও বকনা বাছুর। গরুগুলোর আনুমানিক দাম প্রায় ২২ লাখ টাকা।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সরদার কামরুজ্জামান চান বলেন, খবর পেয়ে রিয়াজের খামারে গিয়েছিলাম। গরুগুলো বিদেশি জাতের। ওই গরুই ছিল ওই খামারির একমাত্র আয়ের উৎস।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে খবর শুনে বাগেরহাটের কচুয়া ও সদর থানার উদ্যোগে লুট হওয়া গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এআই
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় শিশু দিবসে পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় শহরের সি অফিস চত্তরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কানাই লাল বিশ্বাস নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনীর উপর বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরন করা হয়।
এআই
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে চিত্রাঙ্গন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মহসিন কবির ,সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট কমল কৃষ্ণ মুখার্জি, উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান ফকির, কাউখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার প্রমুখ। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
পিএম
বরগুনার আমতলীতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সবজি, মাংস ও গ্যাস বিক্রি করায় চার ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পরে আমতলী উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন বরগুনার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস। এ সময় উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় ভোক্তাদেরকে সচেতন করা হয়।
বরগুনা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, আমতলীতে ২০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাজার তদারকির অভিযানকালে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সবজি, মাংস ও গ্যাস বিক্রি করায় চার প্রতিষ্ঠানকে নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এমআর
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ভারতীয় অবৈধ ৩৪০ বস্তা চিনিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার মধ্য বাজারে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। মালামাল জব্দসহ ও জুবায়েদ (১৬) নামের একজনকে আটকের বিষয়টি সোমবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ।
আটককৃত ব্যক্তি জুবায়েদ হোসেন কাভার্ডভ্যানের হেল্পার। কাভার্ডভ্যান হেল্পার জুবায়েদ নোয়াখালী জেলার কামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১১টার দিকে একটি কাভার্ডভ্যান দুর্গাপুর থেকে ভারতীয় অবৈধ চিনি নিয়ে যাচ্ছিল। দুর্গাপুর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৩৪০ বস্তা চিনি পায়। পরে পুলিশ সব মালামাল গাড়িসহ জব্দ করে। এ সময় কাভার্ডভ্যানের সাথে থাকা হেল্পার জুবায়েদ কে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে যায়।
দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ গোপন কাভার্ডভ্যানসহ ৩৪০ বস্তা অবৈধ চিনি জব্দ করে। এসময় ভ্যানের একজন হেল্পারকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআইজামালপুরের বকশীগঞ্জে এক বউ নিয়ে দুই স্বামী টানাটানি শুরু করেছে। দুই জনই দাবি করছে তারা বৈধ স্বামী।
রবিবার (১৭ মার্চ) এ নিয়ে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।
গ্রাম্য মাতাব্বরদের সামনে সেই আলোচিত মহিলা কথিত ২য় স্বামী দাবিদার শামীম তার নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে গ্রাম্য মাতাব্বরদের সামনে নিজ হেফাজতে নেওয়ার পরই শামীম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তার বাড়ী জনশূন্য।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ভাটিচারিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হৃদয় মিয়া দেড় বছর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সরিষা ইউনিয়নের সরিষা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ছালমা আক্তার মীম (২৫) কে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক অভিভাকদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন। দেড় বছরের সংসার জীবন তাদের শান্তিতেই চলছিলো। ৫ মার্চ ছালমা আক্তার মীম স্বামীর বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী হৃদয় মিয়া স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে খোঁজাখোজিঁ করতে থাকে।
১৫ মার্চ ছালমা আক্তার মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার মোবাইলে কল দিয়ে জানায় সে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার কাছে অবরুদ্ধ আছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছালমা আক্তার মীম এর স্বামী হৃদয় মিয়া তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ১৭ মার্চ বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে ছুটে যায়। সেই গ্রামের সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার বাড়ী থেকে ছালমা আক্তার মীমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ শহরে নিয়ে আসেন।
পরে এই নিয়ে বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বসে। সালিশে ছালমা আক্তার মীম সে তার স্বামী হৃদয় মিয়ার সাথে চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন। ওই সময় শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনকে একটি কাবিননামা দেখিয়ে জানায় ছালমা আক্তার মীম তার পূর্বের স্বামী হৃদয় মিয়াকে তালাক দিয়েছেন। তালাকের ৩ দিন পর ছালমা আক্তার মীমকে শামীম মিয়া বিয়ে করেছেন। তাই শামীম মিয়া দাবি করেন ছালমা আক্তার মীম তার বিবাহিত স্ত্রী। তবে ছালমা আক্তার মীম কর্তৃক দেয় তালাক নামার কোন কাগজ দেখাতে পারেনি ছালমা আক্তার মীমের ২য় স্বামী দাবিদার শামীম মিয়া।
বিচার শালিসর এক পর্যায়ে শামীম মিয়া উপস্থিত বিপুল সংখ্যক লোকজনের সামনেই প্রকাশ্যে ছালমা আক্তার মীম ও তার স্বামী হৃদয় মিয়াকে মারপিটের হুমকি দেয়। পরে উপস্থিত মাতাব্বরগনের সামনেই সালিশ থেকে ছালমা আক্তার মীমকে নিজ বাড়ী আওয়ালপাড়া গ্রামে নিয়ে যায় শামীম মিয়া।
ঘটনার খবর পেয়ে গণমাধ্যমের লোকজন শামীম মিয়ার বাড়ীতে গেলে গ্রামের উপস্থিত লোকজন জানায় শামীম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। বাড়ী ঘর জনশূন্য। ছালমা আক্তার মীম কোথায় কী অবস্থায় আছে কেউ জানেনা।
এব্যাপারে ছালাম আক্তার মীমের স্বামী হৃদয় মিয়া জানান, নান্দাইল থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার আওয়ালপাড়া গ্রামে যাওয়ার পর আমি স্ত্রীর সন্ধ্যান পাই এবং উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আসার পর কিছু লোকজন আমাদের গতিরোধ করে। পরে সালিশ বসিয়ে সালিশে উপস্থিত লোকজন আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে শামীম মিয়ার হাতে তুলে দেন। পরে প্রকাশ্যে শামীম মিয়া উপস্থিত বিপুল সংখ্যক লোকের সামনেই আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীমকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে চলে যায়। এখন আমার স্ত্রী ছালমা আক্তার মীম কোথায় কী অবস্থায় আছে তা আমি জানিনা। তারা যে কোন সময় আমার স্ত্রী মীমকে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নিবো।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি ভালো কিছু জানিনা। কেউ আমার কাছে বিচার নিয়ে আসলে আমি ন্যায় বিচার করতে বাধ্য। যদি আইনে আমাকে কভার না করে তাহলে থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।
এআই
নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১০৬ ক্যারেট আনার ফলসহ চোরাকারবারির এক সদ্যসকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) রাত দশটার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্য বাজারের পান মহল এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে চোরাই পণ্য আনারসহ একজনকে আটক করা হয়। তবে আটকৃত চোরাকারবারির নাম পরিচয় জানায়নি দুর্গাপুর থানার ওসি।
গোয়েন্দা এক সূত্রে জানা গেছে, চোরাই এই পণ্যের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম রকিবুল হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেছেন।
তবে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে পান মহল সংলগ্ন একটি গলির ফল আড়তের সামনে সারি সারি ক্যারেট পড়ে থাকায় সন্দেহ হলে এর উপরের প্লাস্টিক কাগজ সরালে ক্যাডেট ভর্তি আনার ফল পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এক পর্যায়ে আটককৃত প্রশাসনের কাছে ভারত থেকে চোরাই পথে এই ফল আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এআই
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী ভ্যানগাড়ীর উপর উল্টে পরে ভ্যানগাড়ীর চালক আলাল উদ্দিন(৫০) নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহত আলাল উদ্দিন ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের হদ্দেরভিটা গ্রামের ফকির বাড়ির শমশের আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম, একই ইউনিয়নের বালিয়ারপাড় গ্রামের ফজিলা খাতুন ও ত্রিশাল উপজেলার দরিল্লা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আকবর আলী।
এ তথ্য গুলো নিশ্চিত করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া আক্তার লিজা বলেন, আহত দু'জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ত্রিশাল ফায়ারসার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইভা ফিলিং স্টেশনের সামনে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে বালুবাহী ট্রাক উল্টে মহাসড়কের উপর পড়ায় মহাসড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশের চেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা পর মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন বলেন, নিহত আলাল উদ্দিনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাতক ট্রাক জব্দ করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে।
এফএস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু। নিম্ন আয়ের মানুষদের ন্যায্যমূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে শহরের ফৌজদারি মোড়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রির শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মো: আবুল কালাম আজাদ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, ডালসহ শাকসবজি, মাছ ও মাংসও পাওয়া যাবে ন্যায্যমূল্যে। সরকার নির্ধারিত দামেই ক্রয় করতে পারবেন এসব জিনিস ক্রেতারা। ন্যায্যমূল্যে এই পণ্যবিক্রয় চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পেরে নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে এক ধরণের স্বস্তি বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রশংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
এআই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাধারণ জেলেদের অজান্তে মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন, সরকারী জলাশয় ইজারা এবং ওই সমিতির সভাপতি সম্পাদক কর্তৃক ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় সভাপতি সম্পাদকসহ ২৬ জেলের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সভাপতি ও সম্পাদক বাঁধ দিয়ে ২৪ টি জেলে পরিবারের সদস্য সহ প্রায় দুই শতাধিক জেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ফুলবাড়ী টু নাগেশ্বরী সড়কের উপজেলা পরিষদ মুল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ক্ষীরোদ চন্দ্র বিশ্বাস, লক্ষী রানী বিশ্বাস, নয়ন বালা দেবী বিশ্বাস ও কামাক্ষা চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ । পরে মানববন্ধনকারীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ কুটিচন্দ্র খানা গ্রামের ২৪ জন জেলের অজান্তে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ওই গ্রামের ধরনী চন্দ্র বিশ্বাস ন্যাঙ্গা (সভাপতি) এবং কবিরমামুদ গ্রামের মজিদুল হক মফি (সাধারণ সম্পাদক) ফুলবাড়ী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নিবন্ধন করেন। এরপর ফুলবাড়ী উপজেলার সরকারী জলাশয় 'ফুলসাগর লেক' (বাংলা ১৪২৭ থেকে ২৪২৯) তিন বছরের জন্য ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নেন। কিন্তু ইজারা মেয়াদ শেষ হলেও ইজারা পাওনা বাবদ প্রাপ্য টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময়েও সরকারী বকেয়া পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা সকল সদস্যের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে ২ মার্চ নোটিশ প্রদান করে৷ নোটিশে জনপ্রতি ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়। নোটিশ পেয়ে সাধারণ জেলেরা জানতে পারেন যে মৎস্যজীবী সমিতিতে তারাও যুক্ত আছেন এবং বকেয়া টাকার দায় তাদেরকেই বহন করতে হবে।
এ ঘটনায় সাধারণ জেলেরা সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন সমাবেশ ও বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মৎস্যজীবী ক্ষীরোদ চন্দ্র বিশ্বাস, লক্ষী রানী বিশ্বাস, নয়ন বালা দেবী বিশ্বাস ও কামাক্ষা বিশ্বাস জানান, সাহায্য দেয়ার কথা বলে আমাদের ছবি ও ভোটার কার্ড নিয়ে প্রতারক ন্যাঙ্গা ও মফি সমিতি গঠন করে জলাশয় লিজ নিয়েছে। আমরা কিছুই জানিনা। তারা তিন বছর জলাশয়ের মাছ বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্নসাত করেছে। আর ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় আমাদের নামে মামলা হয়েছে। আমরা এ প্রতারণার উপযুক্ত বিচার চাই।
ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সস্পাদক মজিদুল হক মফি জানান, সঠিক সময়ে ইজারারের টাকা পরিশোধ না করায় আমিসহ ২৬ জন জেলের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার বিষয়ে আগামী ৫ এপ্রিল সার্টিফিকেট শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ধরণী কান্ত বিশ্বাস জানান, মোটা ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সময় মতো টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। আমি নামমাত্র সভাপতি ছিলাম। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। জানিনা আমাদের কি হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ জানান, ইজারা মুল্য পরিশোধ না করায় নিরীহ জেলেদের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়েরের ব্যাপারে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার তেমন করনীয় কিছুই নাই। কারন এটি আদালতের বিষয়। তারপরও জেলা প্রশাসক স্যার জানতে চাইলে তাকে প্রকৃত ঘটনা গুলো জানানো হবে।
এমআর
তথ্য প্রযুক্তিতে তরুন-তরুনীদের দক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ‘জয় SET Center’ বা জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার।
রোববার (১৭ মার্চ ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি উপস্থিত ছিলেন।
স্পীকার বলেন, পীরগঞ্জে ‘জয় সেট সেন্টার’ স্থাপিত হচ্ছে। এ সেন্টার থেকে তরুণ-তরুনীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে বাড়বে কর্মসংস্থান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারাদেশে মোট ৫৫৫টি “জয় SET Center” স্থাপিত হচ্ছে। এতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী-তরুন-যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে।
জয় SET Center”-এ ডিজিটাল ল্যাব, প্রশিক্ষণ রুম, স্টার্ট-আপ জোন, প্লাগ এন্ড প্লে জোনসহ জেলা ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাদের অফিস অবকাঠামো সুবিধা থাকবে। স্টার্ট-আপ জোনে ডিজিটাল ডিভাইস ও কানেক্টিভিটি সম্বলিত ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি থাকবে।
উপজেলা পর্যায়ে একত্রে ১০ জন উদ্যোক্তা বা ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কিং ফ্যাসিলিটি পাবেন এবং জেলা পর্যায়ে একত্রে ১৫ জন ওয়ার্কিং সুবিধা পাবেন। এছাড়া প্রতিটি প্লাগ এন্ড প্লে জোন থেকে বছরে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডিজিটাল সেবা পাবে। উপজেলা পর্যায়ে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষন এবং ওয়ার্কিং স্পেস পেলে নতুন উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই তরুনরা “জয় SET Center” এ ফ্রিল্যান্সিং করে ডলারে ইনকাম করতে পারবেন। একইসাথে, মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী সেবাসমূহ প্রদান আরও সহজ হবে এবং গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তানজিনা ইসলামসহ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর
পঞ্চগড়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রঞ্জু আহমেদের নেতৃত্বে পৌর সদরের করতোয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এসময় ২৭ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লি থানার লাউথুতি গ্রামের মোঃ মোজ্জামেল হক (৪৫) এবং তার স্ত্রী মোছাঃ রওশনআরা বেগম (৪০)।
মাদক ব্যবসায়ী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রঞ্জু আহমেদ বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এআই
রংপুরের হারাগাছে মসজিদের সীমানা প্রাচীর নিয়ে দু'গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মসজিদের টিনের বেড়া, আসবাবপত্র ও বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলে হামলাকারীরা। এঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মসজিদের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ একই এলাকার রফিকুল ও শরিফুল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হেলমেট পরে রফিকুল গ্রুপের কয়েকজন যুবককেও হামলায় অংশগ্রহণ করতে দেখা য়ায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল ওই দু'গ্রুপের মধ্যে।
হারাগাছ মেনহাজের পুল এলাকার বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে চলাচলের রাস্তার পাশে একটি দোকান নির্মাণ করে রফিকুলের ছোট ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের জমিদাতা ও সভাপতি শরিফুল সীমানা নির্ধারণের জন্য খুঁটি গাড়তে গেলে রফিকুল গ্রুপ হামলা চালায় শরিফুল ও তার ছেলেদের ওপর। এসময় মসজিদ ভাঙাসহ কেটে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি গাছ। মসজিদ ভাঙচুরের বিচার চান এলাকাবাসী।
ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদ সংলগ্ন ওই রাস্তাটি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল রফিকুল ও তার ভাইয়েরা। এরইমধ্যে মসজিদে নামাজ পড়াতে তাকে নিষেধও করা হয়েছে। রমজান মাসে রফিকুল ও তার ভাইদের এমন অমানবিক নৃশংস ঘটনায় মর্মাহত বলেও জানান তিনি।
এঘটনায় রফিকুল গ্রুপের বক্তব্য জানতে কাউকে পাওয়া না গেলেও তার বাবা আব্দুস সামদ জানান, মসজিদের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজের জমির ওপর চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ করে বিরোধে জড়ায় শরিফুল। প্রতিবাদ করলে আজ তার ছেলেদের ওপর হামলা চালায় তারা। ন্যায় বিচার চান তিনি।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আর মসজিদ কমিটির গ্রুপের শাহ আলম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত রফিকুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হারাগাছ থানার তদন্ত ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এআই
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে এই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আহজারুল ইসলাম। এসময় সহযোগিতা করেন র্যাব-১৩।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা যায়, শহরের বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকা না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে খাবারে রং মেশানোর দায়ে একটি হোটেলকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক আহজারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে’
এমআর
এক প্রবাসী নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নবীন তালুকদার (৩৭) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামের আবুল বাশার তালুকদারের ছেলে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাবনার বাসিন্দা এক প্রবাসী নারীর সাথে প্রতারক নবীন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সু কৌশলে ও ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অডিও/ভিডিও কলে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে কথা বলার ভিডিও স্ক্রিনশট দিয়ে রাখেন।
কিছুদিন পর এ সকল ছবি ও ভিডিও পুঁজি করে ওই প্রবাসী নারীর কাছে টাকা দাবী করেন নবীন তালুকদার। ভিকটিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উক্ত প্রতারক ভিকটিমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করবে বলে ভয় এবং হুমকি দেন।
কোনো কুল কিনারা না পেয়ে প্রবাসী নারী বাধ্য হয়ে নবীন তালুকদারকে বিভিন্ন সময়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী পাবনা র্যাবের কাছে অভিযোগ দেন। তার দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতারক নবীনকে তার বাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আটক নবীনকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব কমান্ডার।
বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আবির (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শিবগঞ্জ পৌরসভার বানাইল গ্রামে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবির রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শাহেন শাহ্’র ছেলে ও স্বপ্নসোপান কে.জি স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিবগঞ্জ থানা সংলগ্ন রাঙ্গামাটিয়া সড়কে একটি ট্রাক যাহার নং বগুড়া ড-১১-১১০০ পেছনের দিকে আসার সময় এবং ওই শিশুটি বাইসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় চালকের অসতর্কতার কারণে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণ করে ও মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা মামলার আসামি রুবেল মাল’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিপিসি-২, নাটোর- র্যাব-৫।
গ্রেফতারকৃত রুবেল মাল উপজেলার দেবোত্তার গরিলা এলাকার ফরিদুল ইসলাম মালের ছেলে।
র্যাব জানায়, রুবেল মাল ভুক্তভোগী সম্পর্কে দেবর ও প্রতিবেশী হয়। এর সুবাদে রুবেল মাল প্রেমের প্রস্তারসহ কু-প্রস্তাব দিলে ফিরিয়ে দেয় ভুক্তভোগী। কিন্তু চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়ীতে পোষা গরু-ছাগল দেখতে গেলে সুকৌশলে রুবেল ঘরের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে রুবেল শয়ন ঘরের চৌকির উপর উঠে ভুক্তভোগীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং সুকৌশলে আসামি তার মোবাইল ফোনে ধর্ষনের ও নগ্ন ছবিসহ যৌন উত্তেজনাকর ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে আসামি মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ভিডিও চিত্র ভুক্তভোগীকে দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয় এবং উক্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকী দেয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানায় ১৫ মার্চ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে গ্রেফতারের জন্য নাটোর, র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে।
পরে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি রুবেল মাল এর অবস্থান সনাক্ত করে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে একই উপজেলার বিন্দা বনপুর গ্রাম থেকে আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করে। আজ সকালে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এআইনওগাঁ জেলা কারাগারে সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।
নওগাঁর জেল সুপার মো: নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানার করা মাদক মামলায় কারাগারে আসে সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরেই তার মৃত্যু হয়।
জেল সুপার আরও জানান, হাজতির মৃতদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এআই
পাবনা সদর উপজেলাযর গয়েশপুরে চরমপন্থী দলের সাবেক এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে।
তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীর সাথে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবিহ নামাজ পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ওখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেল যোগে ৫/৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রাজ্জাক চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছিলেন। হয়ত পুর্ব বিরোধের জেরে তাকে এমনভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
এআই
সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ ও লেগুনা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে তামাবিল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের চিকনাগুল এলাকার যাত্রগোল (ঠাকুরের মাটি) গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলি পাত্র (৫৫), একই গ্রামের নন্ত পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রি পাত্র (৩৫), কুষ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র (৩৫) ও তার ৬ মাস বয়েসি মেয়েসন্তান বিজলী, সুভেন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৮) ও মৃত নিপেন্ত্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র (৫৫)।
আহতরা হলেন- সুভেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী প্রণতি পাত্র (৩৫), কুষ পাত্র (৪০) ও তার ২ ছেলে এবং লেগুনা চালক। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুরে তামাবিল সড়কে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে সিলেটগামী গরুবোঝাই পিকআপের (সিলেট-মেট্রো-ন ১১-২২৬৪) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লেগুনার (সিলেট-ছ ১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মঙ্গলি পাত্র, সুচিতা পাত্র, শিশু ঋতু পাত্র ও বিজলী মারা যান।
খবর পেয়ে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওসমানীতে নেওয়ার পর সাবিত্রি পাত্র ও শ্যামলা পাত্র মারা গেছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলি পাত্ররা লেগুনা করে একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট-তামাবিল সড়ক দিয়ে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত ৫ জন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
৬ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম)। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচারের সময় ২ কেজি গাঁজাসহ রাজু আহমেদ (৩৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রাজু আহমেদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার কবিরাজকান্দি এলাকার মৃত আ. মোতালিবের ছেলে।
রবিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজা মাদক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।
মাধবপুর থানার পুলিশ সদস্য শানস্-ই তাব্রীজ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাঞ্জাবি পরিধান করা এক যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর ওই যুবকে তল্লাশি করলে পুলিশসহ আশপাশের উপস্থিত জনগণ যুবকের শরীরে দেখতে পান বুক থেকে কোমর পর্যন্ত টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা গাঁজা।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এআই
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)।
জানা যায়, রবিবার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।
আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।
কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এআইচট্রগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের বাহির সিগন্যাল এলাকায় গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভবনে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পৌর এলাকার নজির হোসেন (৩৫) সহ জেলার বিভিন্ন স্হানের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন নজির হোসেন। এছাড়া একই হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নজির হোসেনের স্ত্রী দিপালী আক্তার৷ মৃত নজির হোসেন আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার শরীফ নগরের মৃত লালমণ মিয়ার পুত্র।
এর আগে গত ১১ মার্চ একই ঘঠণায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাসিন্দা ফজলুর রহমানের পুত্র লিমন (১৮) হবিগঞ্জের উমেদনগর এলাকার সামছুউদ্দিনের পুত্র হোসাইন (৬) মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়া নবীগঞ্জের রামপুরের বাসিন্দা আব্দুল জব্বারের পুত্র রাসেল (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ই মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
নজির হোসেনের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, জীবিকার তাগিদে নজির হোসেন পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের বাহির সিগনাল এলাকার টেকবাজারের উসমান গণি ভবনের তৃতীয় তলায় বাস করতেন।
গত ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত দেড়টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে ভবনটি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালুর ঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের সহায়তায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দগ্ধ হন নজির হোসেন (৩৫) তার স্ত্রী দিপালী আক্তার সহ ১১ জন।
ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা । পরদিন তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে নজির হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। নজিরের বড়ভাই নওশের মিয়া জানান, ৮ মার্চ দুপুরে খবর পেয়ে ঢাকা যাই। গতকাল শুক্রবার সকালে নজির হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
শুক্রবার রাত এগারোটায় নজির হোসেনের মরদেহ আজমিরীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। একইদিন রাত সাড়ে এগারোটায় পৌরসভার শরীফ নগর শাহী ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ শেষে শরীফনগর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এআইহবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোহনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি বাহুবল সদর ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন- পারভেজ আলম ও সাব্বির আহমেদ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম তার দুই বন্ধু পারভেজ আলম ও সাব্বির আহমেদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ইসলামাবাদ থেকে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি রাস্তায় পাশে গিয়ে ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরিফ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনসহ মোটরসাইকেলটি রাস্তা পাশে ছিটকে পড়ে। কয়েকজন মিলে তাদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিনা ফারহীন বলেন, সাইফুল নামে একজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই মারা যান। অপর গুরুতর আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এআই