![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/harun db66361c2c18f75.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/pm66a3373ba60e7.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News166a340345738f.webp)
জাতীয়
সব দেখুন![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/harun db66361c2c18f75.webp)
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News166a340345738f.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/awami66a274ba067cf.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/566990a07a610a.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/kader 2n34m26698cafb04000.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news 748596697aa8804cc6.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/ mojammel66979855e3ac9.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News6669799b090652.webp)
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার মহাখালী ও নাখালপাড়া এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধের কারণে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মহাখালী ও নাখালপাড়া এলাকায় ট্রেন চলার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। এতে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। এ কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ।
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র অংশ হিসেবে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে এই আন্দোলন করছেন। এতে মেরুল বাড্ডা এলাকায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা রস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকশ শিক্ষার্থী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় মেরুল বাড্ডা এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তায় শত শত যানবাহন আটকে আছে। আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন।
ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের অবরোধের এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় প্রথমবার শিক্ষার্থীরা পিছু হটলেও পরে তারাও পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন, এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায়। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভেতরে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশ বিনা উস্কানিতে ব্র্যাকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এমনকি তারা ক্যাম্পাসের ভেতরেও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রহমান আবির নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবেই শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেছিল। হঠাৎ করেই পুলিশ এসে কিছু না বলেই আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তারা টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় শিক্ষার্থীরা ভেতর ঢুকে যায়। সেখানেও পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক পদক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
গতকাল রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শনির আখড়ায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে এবং তাদের হতাশ হতে হবে না।
এরপর দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলে জানানো হয়।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 522412421416698b2034117b.webp)
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুই পথচারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং পুলিশ আক্রমণ করলে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা অংশের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় দুই বছরের এক শিশুসহ অন্তত ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত হয়েছেন একজন।
পরে রাত সোয়া ৩টার দিকে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ টহলের পর যাত্রাবাড়ী-শনিরআখড়া এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এরপর আবার তা দখলে নেন আন্দোলনকারীরা। বর্তমানে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না এবং ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
পথচারীরা জানান, মহাসড়কের রায়েরবাগ অংশে ব্যারিকেড দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও রয়েছে। অপরপাশে মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় ব্যারিকেডের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 5453266988a44917f4.webp)
কোটা আন্দোলনকারীদের ঘোষিত দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউনকে’ কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসদস্যসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি আগামীকালকের কর্মসূচি সফল করুন।
এআই
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Breaking-News669813f124908.webp)
ঢাকা যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে সিয়াম (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মৃত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন কয়েকজন। পরে তার মরদেহ হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অটোরিকশায় করে নিয়ে চলে যান তারা।
সিয়ামের খালাতো ভাই রাসেল বলেন, সিয়াম গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী। রাতে বাসায় ফেরার পথে হানিফ ফ্লাওয়ারে সংঘর্ষ চলাকালে সে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলেও আমরা আর ভেতরে ঢুকিনি। মরদেহ অটোরিকশায় করে বাসায় চলে যাচ্ছি।
তিনি জানান, সিয়ামের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। বর্তমানে সে মাতুয়াইলে থাকতো।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভারে গুলিতে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে তারা বুঝতে পারেন যে, সিয়াম মারা গেছে। এ জন্য তারা আর হাসপাতালের ভেতরে না ঢুকে মরদেহ নিয়ে চলে যান।
এফএস
চুয়াডাঙ্গায় শিশু রুবেল হোসেনকে হত্যার দায়ে আসামী মো. সোহাগ হোসেনকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত রুবেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে এবং আসামী সোহাগ একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
মামলা
সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেলে আসামী সোহাগ কৌশলে রুবেলকে
পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের একটি খেজুর বাগানে নিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায়
নিহতের বাবা ইয়ামিন আলী পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোহাগের নামে হত্যা
মামলা দায়ের করেন। আসামী সোহাগ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী দেন। আলোচিত এ মামলায় ২১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের
স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের
কৌসূলী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম শরীফউদ্দিন হাসু জানান, বয়স
বিবেচনায় আসামীর বিরুদ্ধে আমৃত্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এই রায়ে
রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এফএস
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এলেও স্বস্তি মিলছে না ব্যবসায়ীদের মনে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের অনেক ব্যবসায়ীরা এই মুহুর্তে পণ্য খালাস করতে ও পণ্য নিজ কারখানা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে ভয় করছে। বন্দরে আছে নিরাপদে আছে এই মনোভাব নিয়ে তারা পণ্য খালাস নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, বন্দর, ব্যাংক, অফিস আদালতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। কাজ চলছে আগের মতো।
সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন, দুর্বৃত্তদের অগ্নি সংযোগ ও কারফিউয়ের কারণে ৫ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ খালাস প্রক্রিয়া। স্থবির হয়ে পড়ে বেনাপোল বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। গোটা বন্দর এলাকায় ছিল না কোন কোলাহল। বিশেষ ব্যবস্থায় পচনশীল পণ্য আমদানি হলেও তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে হিমসিম খায় ব্যবসায়ীরা। আইন শৃংখল বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ছিল গোটা বন্দর এলাকা।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। অটোমেশনে এদিন শুল্কায়ন করা হয়। এদিন প্রায় ৩’শ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়েছে। এর আগে কারফিউ চলাকালে গত ৫ দিন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। এ সময় ভারতের পেট্রাপোলে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা হাজারো ট্রাকের সারি কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হয়। বেনাপোলেও সৃষ্টি হয় ‘ট্রাকজট’।
এই ৫দিনে আমদানি খাতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। বেনাপোল সোনালী ব্যাংকে প্রতিদিন রাজস্ব খাতে জমা পড়ে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। তবে শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন সব কিছু স্বাভাবিক হলে রাজস্ব ঘাটতি থাকবে না।
ক্ষতি পোষাতে সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস হাউজ খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। এ ক্ষেত্রে বন্দরের ওভারটাইম চার্জ ও ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্বস্ব কর্তৃপক্ষকে।
সরকারের রাজস্ব আদায়ের ক্ষতির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কাঁচামালে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাসহ অন্যান্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার উপরে বলে তারা জানিয়েছেন। অগ্নি সংযোগ ও পরে কারফিউয়ের কারণে দুরপাল্লার পরিবহন চলাচল করতে না পারায় ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য বেনাপোল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে সাড়ে ৪ থেকে ৫শ‘ ট্রাক পণ্য লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। ৫দিন বন্দর ও কাস্টমস বন্ধ থাকায় তাদের ৫০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল হলে ও বন্দর খোলার পর বেনাপোল থেকে ট্রাক ভাড়া বাড়বে দ্বিগুন। ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় মালিকরা ট্রাক বের করতে চাইছেনা। এর ফলে ট্রাক সংকটও দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে বুধবার জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় কারফিউ শিথিল করে বেনাপোল বন্দর সচল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখাসহ অন্য জেলার সাথে সমন্বয় করে রাতের বেলায় পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একএম আতিকুজ্জামান সনি বলেন, বেনাপোল বন্দরে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মালামাল লোড আনলোড চলছে। এজন্য কারফিউ শিথিল করে বেনাপোল বন্দর এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনার সময় বাড়ানো উচিত। কারফিউয়ের আওতামুক্ত রাখতে এখানকার কর্মচারীদের কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। এখান থেকে যাতে নিরাপদে মালামাল সারাদেশে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বুধবার থেকে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ অটোমেশন পদ্ধতিতে পণ্য খালাস শুরু করেছে। যে কারণে ট্রাকগুলো বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে পারছে। তবে পেট্রাপোলে ও বেনাপোল বন্দরে ট্রাকজট রয়েছে অনেক।
এদিকে বেনাপোলের ওপারে ভারতের বনগাঁয় পেট্রাপোলে পণ্যবাহী ট্রাকে জট বাড়ছে। পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পদাক কার্তিক চক্রবর্ত্তী বলেন, বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা ট্রাকের সারি কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আজাহারুল ইসলাম জানান, গত ৩ দিনে এ পথে প্রায় ছয় হাজার যাত্রী পারাপার হয়েছেন। এর মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন চার হাজার ৯৬৭ পাসপোর্টধারী। ওপারে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম জানান, কারফিউ ও ইন্টারনেটে সমস্যার কারণে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি স্থবির হয়ে পড়েছিল। প্রতিদিন যেখানে সাড়ে ৩শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ১৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি করা হতো সেখানে গত তিনদিনে ৫৫ ট্রাক পচনশীল পণ্য খালাশ করা হয়েছিল। একই সাথে ভারত ফেরা পাসপোটযাত্রীরা পড়েছিলেন ভোগান্তিতে। ইন্টারনেট সার্ভার চালু না থাকার কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ৫ হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বুধবার থেকে ট্রাক চলাচল শুরু হলে অপেক্ষমান ট্রাকগুলো বন্দর ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। বুধবার থেকে অটোমেশনে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ৩শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে কাজ চলবে বন্দরে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, কারফিউ এর মধ্যে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তিনদিন ম্যানুয়ালি পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালানো হয়। তবে মঙ্গলবার বিকাল থেকে সার্ভার সিস্টেম ঠিক হয়েছে। বুধবার থেকে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলছে। এর আগে চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা হয়েছে।
এইচএ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Benapole-Import-Export-Open-0166a1d377d2e7b.webp)
ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। তবে ইন্টারনেট ধীর গতির কারণে তেমনভাবে কাজ করতে পারছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) কোনো মেইল পাঠাতে পারছেন না। অনেকে মেইল খুলতেও পারছেন না।
এর আগে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় শনিবার (২০ জুলাই) থেকে বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি এবং রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে দুই সীমান্তে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।
আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় টানা ৪ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ থাকে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে এ কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ইনটারনেট ধীর গতির কারণে তেমন কাজ করতে পারছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দরে পণ্য লোড আনলোড চলছে। যারা পণ্য খালাস নিতে চাচ্ছে তাদের জরুরি ভিত্তিতে খালাস দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় খালাস কম। বন্দরে ট্রাক সংকটও রয়েছে। বন্দরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, যেকোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এ আহবান জানান।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বেনাপোল স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যা যা করণীয় আমরা সেসব করবো। যেকোনো মূল্যে বেনাপোল স্থলবন্দর চালু রাখা হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এইচএ
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 5453242146698efefda0db.webp)
চুয়াডাঙ্গায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজার ও শহরের শহীদ আলাউল ইসলাম সড়কের কাঠপট্টি এলাকায় পৃথকভাবে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। দুটি আন্দোলনেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করছে শিক্ষার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করে। সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়ে তারা চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তারা বিভিন্ন স্লোগানসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা সরোজগঞ্জ বাজারের ওপর অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে নানা স্লোগান দিতে থাকে।
একই সময় একইস্থানে সরোজগঞ্জ বাজারের ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের অবস্থান কর্মসূচী ছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রলীগ লাঠি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, রড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছত্র ভঙ্গ হয়ে গেলেও তাদেরকে তেড়ে ধরে মারধরের চেষ্টা চালায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী লক্ষ্য করা যায়। এ সময়ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, একই সময় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ আলাউল ইসলাম সড়কের কাঠপট্টি এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। তবে সেখানে তারা ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে মাসুদ রানা (২১) নামে এক শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গা সদর উজেলায় চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উধ্বর্তন কর্মকর্তারাও মাঠে রয়েছে।
এআই![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 522574244124156698e6e979ed6.webp)
ঝিনাইদহে দাদার লাশ দেখে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে নাতি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটে।
নিহত শিশু সিয়াম (১২) ভাটই গ্রামের ভ্যান চালক বাদশা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শিশু সিয়াম ঝিনাইদহ শহরের একটি মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। বৃহস্পতিবার ভোরে শিশু সিয়ামের দাদা কিনার উদ্দিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সকালে মৃত দাদাকে দেখতে যায় শিশু সিয়াম। দেখে বাড়ি ফেরার পথে পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ভাটই আখ সেন্টারের সামনে পৌঁছালে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় সিয়াম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিশুটি মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো। সে সময় ট্রাকটি তাকে ধাক্কা দেয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এআই
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ফটিকছড়িতে যেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা না হয় সে জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলার হল রুমে প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে নাশকতা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ফটিকছড়িতে না হয় এবং কেউ যেন কাউকে উস্কানীমূলক কোন কিছু না বলে সে দিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তাছাড়া প্রশাসনকে নাশকতাকারীদের কোন ছাড় না দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দীন মুহুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ,ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানার ওসি, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, পৌর মেয়র, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আরইউ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নবীনগর উপজেলার বড় বাংগরা বাইতুন জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে সাব্বির (২২), নবীনগরের জিনোদপুর ইউনিয়নের জিনোদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বি (২১) ও মালাই গ্রামের কাদির চৌধুরীর ছেলে পিয়াস চৌধুরী (২৩)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে মুরাদনগরের সাব্বির মোটরসাইকেলে নবীনগরে আসার পথে উপজেলার বড় বাংগরা বাইতুন জামে মসজিদের সামনে বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাব্বির এবং কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর আহত রাব্বি ও পিয়াসের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লিখিত আবেদনে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবি
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/satkaniya66a1e9f242237.webp)
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আজ বৃহস্পতিবারও (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আবারও পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস কারফিউ শিথিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম জেলায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) ২ দিন দিনের বেলায় কারফিউ ৯ ঘণ্টা শিথিল করা হয়েছে। এরপর কোনো সময়ে কারফিউ শিথিল হবে এবং কোনো সময়ে কারফিউ চলবে তা নির্ভর করবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর।
এদিকে চলমান কারফিউ শিথিল করায় জনজীবনে এসেছে স্বস্তি। গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) সাতকানিয়ায় খুলেছে অফিস—আদালত ও ব্যাংক। উপজেলার কেরানীহাটসহ বিভিন্ন এলাকা আবারও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে সাতকানিয়া। তবে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি সচল না হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রয়েছে। চারদিন বন্ধ থাকার পর দোকানপাট খোলায় সকাল থেকে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল সব ধরনের দোকানপাট।
এছাড়া গতকাল অফিস ও ব্যাংকগুলো চলে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। ব্যাংকে দেখা গেছে গ্রাহকদের ভিড়। আজ বৃহস্পতিবারও সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে অফিস ও ব্যাংক।
তাছাড়া সড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। চট্টগ্রাম—কক্সবাজার মহাসড়ক ও কেরানীহাট—বান্দরবান মহাসড়কে বাসসহ অন্যান্য পরিবহন চলছে। তবে জননিরাপত্তায় পুলিশের নজরদারী ও টহল অব্যাহত আছে।
অপরদিকে, সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
সবজির বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দাবি করছেন, মাঠে পর্যাপ্ত সবজি উৎপাদন হলেও কারফিউ’র কারণে পর্যাপ্ত সবজি আসতে পারেনি। যার জন্য উৎপাদন ভালো থাকলেও সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
এইচএ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/katuali-thana66a1d9e98eba4.webp)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ২ দিনের ৭ মামলায় ১১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং এবং দাউদকান্দি থানায় পুলিশের দায়ের করা ৫টি মামলাসহ মোট ৭ মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
তিনি জানান, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হয় ৫ মামলা। এছাড়াও মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মুন ও যুবলীগ নেতা জালাল হোসেন একটি করে মামলা দায়ের করেন। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা সিটির জামায়াত পন্থি কাউন্সিলর ইকরামুল হক বাবু, আদর্শ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির নাসির আহমেদ মোল্লা, সদরের জগন্নাথপুর ইউপির জামায়াতের আমির মো. জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা সিটির ২৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি নাজমুল হাসান সাকিব, বিএনপির সহ সভাপতি দুলাল মিয়া, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি গাজী ফয়সাল। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ কাউসার, নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের জামাতের আমির মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
এইচএ
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 5453254166991ece530d8.webp)
'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি সফল করতে কুমিল্লায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অনবরত রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। জবাবে শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে বিকাল ৬টায় টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও থেকে থেমে সংঘর্ষ চলতে দেখা গেছে। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসে অন্তত ১০০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কের দুই লেনেই যানবাহন চলচলা বন্ধ রয়েছে। এসময় বিজিবিএ একটি ভারি যান, পুলিশের দুইটি ভ্যান জ্বালিয়ে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। পরে, বিকালে পুলিশের পাশাপাশি মহানগর ছাত্রলীগ বিক্ষোভকারীদের হটাতে ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেন।
এদিকে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিক্ষোভে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমি কে, তুমি কে, রাজাকার রাজাকার' ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত,' ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না,' আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,' ‘মেধা না কোটা, মেধা মেধা,' ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, আমরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি। পুলিশ নির্বিচারে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশের এতো বাধার পরও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। যত বাধাই আসুক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরও সরকার কোটা সংস্কার সমাধানের চেষ্টা করেনি। আমরা এর চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমরা চাই, অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
এর আগে মিছিল নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাসড়কের দিকে অগ্রসর হয় শিক্ষার্থীরা । এছাড়া বড় একটি মিছিল কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ সড়ক হয়ে মহাসড়কের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এদের মধ্যে ছাত্রী ও অল্পসংখ্যক ছাত্রকে পুলিশ সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেয়। বাকি ছাত্ররা জালুয়াপাড়া, ধনপুরসহ বিভিন্ন সড়ক হয়ে মহাসড়কের দিকে অগ্রসর হন।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহাসড়কে চলছে না দূরপাল্লার বাসসহ কোনো গাড়ি। স্বল্পপাল্লার কিছু মাইক্রোবাস মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, আন্দোলনের নামে কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে মহাসড়কে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখছে পুলিশ। আমাদের প্রায় ১০ জন পুলিশ আহত হয়েছে।
এআইমানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিক থেকে ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে দুজন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুই যুবককে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাদের উদ্ধারে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার দিকে উপজেলার কুসুন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর মো. মিলন (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সাটুরিয়ার কান্তা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
ট্রলারডুবির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, `ট্রলারে ৫৬ জন নদীতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ঘিওর এলাকায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতরে, অন্যদের সহায়তায় ৫৩ জন নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ থাকেন তিনজন। ফায়ার সার্ভিস কিশোর মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে। বাকি দুই যুবক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
এবি
সর্বাত্মক শাটডাউনে টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত স্থানীয় সাংবাদিক সহ ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জেলা সদর রোডে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের দিকে এগোতে থাকে। মিছিলটি শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের ছোঁড়া টিআর সেলের আঘাত ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে তিন সাংবাদিক ও পুলিশ সহ অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী হয়।
সাংবাদিকদের মধ্যে বিডি নিউজ টোয়েণ্টিফোর.কমের জেলা প্রতিনিধি মোল্লা তোফাজ্জল হোসেন ও রূপালী বাংলাদেশ.কমের মনিরুজ্জামান মনির ও আমাদের টাঙ্গাইল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মনির হাসান রয়েছেন।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপর আন্দোলনকারীরা শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষিপ্ত মিছিল করে। তারা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ অবস্থায় শহর জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলা শহরে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি অফিসের দরজা-জানালা বন্ধ করে ভেতরে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম করা হচ্ছে।
এদিকে সর্বাত্মক শাট ডাউনে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করলেও সংখ্যার দিক দিয়ে তা খুবই নগন্য। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ মহাসড়কে দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী বাস কিংবা ব্যক্তিগত কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো শিক্ষার্থী বা আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ারশেল বা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়নি। তবে সংঘর্ষে বেশ কিছু বহিরাগতদের দেখা যায়। তাদেরকে ফেরাতে টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 545324756699213bd5d2b.webp)
কিশোরগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজার থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা শহর জুড়ে। এ হামলার পর শহরে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। পরে পুলিশ এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে পুলিশ শতাধিক টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া দুই শতাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরে আহতরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কিশোরগঞ্জ-ঢাকা ও কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নিয়ে বাঁশ দিয়ে বেরিকেন্দ্র তৈরী করে সকল প্রকার যান-বাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে হাজার হাজার জন সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়ে।
আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পযর্ন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আমাদের ছয় ভাই ইতোমধ্যে শহীদ হয়েছে প্রয়োজনে আমরা আরও রক্ত দেব। কিন্তু দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 545324512166991d08151d4.webp)
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কটিয়াদী বাজারে এই ঘটনা ঘটছে৷ এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আতর্কিত হামলায় তাদের অন্তত অর্ধশত ছাত্র আহত হয়েছে৷ আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় তারা।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে কটিয়াদী সরকারি কলেজ গেইট থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন দাবি নিয়ে মিছিল বের করে৷ কলেজ রোড হয়ে বাজার ঘুরে উপজেলা পরিষদ রোডে যাওয়ার সময় আগে থেকেই অবস্থান করা ছাত্রলীগ, যুবলীগের সমর্থকরা তাদের ওপর আতর্কিত রামদা, কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়৷ এতে অর্ধশত ছাত্র আহত হয়েছে৷ এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মিছিল শুরুর পূর্বে শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের এক দফা দাবি কোটা সংস্কার, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী অবমানকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে তাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরে যতদিন না অব্দি কোটা সংস্কার হবে তাদের এক দফা দাবি মানা না হবে ততদিন তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুলিশের টহল রয়েছে বাজারে৷
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 5453224166990dc2b51a8.webp)
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ছররা গুলিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে শহরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি, পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলছিল।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান শহরের চাষাঢ়ার দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষার্থীরা সেটি ভাংচুর করে। পরে ভাংচুর করার পর গাড়িটি চাষাড়ায় গেলে শিক্ষার্থীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এসময় গাড়িতে চালক ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্য ছিল না। এরপর পৌনে একটার দিকে বৃষ্টির মতো টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। শুরু হয় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার চারদিক।
জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। এতে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর।
এআই
ভোলার চরফ্যাসনে নারিকেল গাছের চুড়ায় ঝুলে থাকা তোফাজ্জল হোসেন (৬৮) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেন চরফ্যাসন থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় চরফ্যাসন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তার নিজ বাড়ির ৪৫ ফিট লম্বা নারিকেল গাছের চুড়া থেকে তার মরদেহ নামানো হয়। তার বাড়ি একই ওয়ার্ডে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির কয়েকটি নারিকেল গাছের চুড়ায় জাল দিতে উঠেন। তিনটি গাছে জাল দেওয়া সম্পূর্ণ করে পরবর্তী আরেকটি নারিকেল গাছে উঠেন। প্রায় ৩ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর তার স্ত্রী দেখতে পান নারিকেল গাছের চুড়ায় তার স্বামী অচেতন অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, নারিকেল গাছের চুড়ায় এক ব্যক্তি ঝুলে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলমান অংশ হিসাবে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি তানভীর রায়হান ছাত্রলীগের পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন। তিনি পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা দেন তিনি।
তানভীর রায়হান ফেসবুকের লেখেন, "একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি হয়ে বলছি দয়া করে কোটা সংস্কার করে দিন এসব আর দেখা যাচ্ছে না। ব্যক্তি না নেতার চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ অনেক বড়। আমি তানভীর রায়হান সাংগঠনিক সম্পাদক সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রলীগ। আমি আমার এই পদ থেকে অব্যাহতি ঘোষনা করছি। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।"
পোষ্টের কমেন্টে শেখ মোহাম্মদ নবীন নামের একজন লিখেছে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতির পরিচয় দিলি বন্ধু! আমরা কেউই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চাচ্ছি না তবে কোটা সংস্কারের কথা বলেছিলাম বাট সরকারের উপরের পক্ষ থেকে হামলা না করে আলোচনা করতে পারতো তাহলে হয়ত আজকে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো।
এছাড়াও স্ট্যাটাসটিতে একাধিক ব্যক্তি শেয়ার, কমেন্ট ও লাইক দিয়ে তাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ নেগেটিভ মন্তব্যও করেছেন।
এআই![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/20240717_2025046697d6081b288.webp)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিজ ঘরের বিছানায় মৃত্যুর কারণ লেখা দুটি চিরকুটের পাশে ঝুলছিল মো. হাসিবুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবকের মরদেহ।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিবুল উপজেলার কুয়াকাটা এলাকার মেলাপাড়ার বাসিন্দা মো. হারিচ ঘরামীর ছেলে। গত দুই বছর আগে মহিপুর এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়ার মেয়ে আখির সাথে তাঁদের বিবাহ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ কলহ চলছিল। তাই তারা পার্শ্ববর্তী বিপিনপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার তারা স্বামী-স্ত্রী মেয়ের বাবার বাড়িতে যায়, রাতে হাসিবুল একা বাড়িতে আসে। বুধবার সকালে স্ত্রী আখি ওই ভাড়া বাসায় এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভীতরে ফ্যানের রটের সাথে ঝুলতে দেখে ডাকচিৎকার দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী দায়ী করেন, এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন অবহেলা করিত বলে চিরকুটে উল্লেখ করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ নামানো হয়েছে। ঝুলন্ত লাশের পাশ থেকে দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/176697cc6f43d3c.webp)
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) আলী আশরাফ ভূঞা ও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নতুল্লাবাদ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ডিসি আলী আশরাফ ভূঞা এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী আহত হন।
এসএফ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Russell-Hawlader6697938a4d335.webp)
পিরোজপুরের কাউখালীতে গাঁজাসহ এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলা সদরের কচুয়াকাটি বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ওষুধ ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদার (২৫) দাসেরকাঠি গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে।
কাউখালী থানা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে ওষুধ ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদারকে ৪০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেন। এসময় রাসেলের সহযোগী উঝিয়ালখান গ্রামের সাহেব আলী ছেলে সাব্বির হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। সাব্বির পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় বুধবার (১৭ জুলাই) বুধবার একটি মামলা হয়েছে।
কাউখালী থানার এসআই মো. সানি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় মামলা হয়েছে এবং পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা গডফাদারদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এইচএ
নেত্রকোনার আটপাড়ায় পুলিশকে গরু চুরের নাম বলায় অনিক মিয়া(১৭) নামের এক কিশোরকে পিঠিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের দাবি একাধিকবার পেটানোর জন্য অনিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার(১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় আটপাড়া উপজেলার মুনসুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অনিক মিয়া উপজেলার মুনসুরপুর গ্রামের শহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে পাশের বাড়ির শফিক মিয়ার একটি গরু বাড়ির পাশের একটি পাট খেতে চলে যায়। সেই সময় ইঞ্জিনিয়ার ইমন খন্দকার অনিককে ডেকে গরুটিকে নিয়ে কুয়ারে দিয়ে আসতে বলেন। গরুটিকে কুয়ারে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় সাকিবের সাথে দেখা হলে পেঁয়াজকান্দি গ্রামের সাকিব তাঁকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গরুটি রেকে চলে যেতে বলে। তখন অনিক গরু রেকে চলে যায়। পরে সাকিব পার্শ্ববর্তী এক বাজারে গরুটি বিক্রি করার জন্য দরদাম করছিল। তখন গরুর মালিক তা দেখতে পায়।
পরবর্তীতে গরুর মালিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ কাছে অনিক সাকিবের নাম স্বীকার করায়, সাকিব ও তার বন্ধু নাসির মিলে সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন মুনসুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের সামুনে অনিককে বাঁশ ও রট দিয়ে পিঠায়। পরবর্তীতে রাতে অনিক মারা যায়।
অনিকের বড় বোন হাফছা আক্তার মোহ জানায়, আমার ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী। তাকে টাকার লোভ দেখালে যে কোন কাজ করে। সাকিব আমার ভাইকে টাকার লোভ দেখালে গরুটি আমার ভাই শাকিবের কাছে রেকে চলে আসে। ওই গরুর মালিক বিষয়টি জানতে পারলে দুপুর বেলায় শাকিব আমার ভাইকে মারধর করে। পরবর্তীতে পুলিশের কাছে আমার ভাই সাকিবের নাম বলে দেওয়ায় সন্ধ্যায় আবার সাকিব ও নাসির অনিকে রট আর বাঁশ দিয়ে এলাকার লোকজনের সামনে স্কুলের ভেতরে পিঠায়। আমার ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী থাকায় তার শরীরে কি পরিমাণ আঘাত পেয়েছে সেটা বুঝিয়ে বলতে পারেনি, তাই আমরা হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারিনি। পরে রাতে আমার ভাই মারা যায়।
অনিকের চাচা মাইন উদ্দিন জানান, আমি মুনসুরপুর বাজারে ছিলাম। দুপুরের ঘটনার পর পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত করে যায়। কিন্তু পরে সন্ধ্যায় আবার আমার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে পিটায়, এতে রাতের সে মারা যায়।
গতকাল দুপুরে ঘটনায় আজকে মামলা হওয়া কথা ছিল, কিন্তু মামলার আগেই তারা আমার ভাতিজাকে পিঠিয়ে হত্যা করে। আমরা এই হত্যার বিচার দাবী করছি।
এইদিকে মুনসুরপুর ইউয়নের চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিন বলেন, কালকের ঘটনা আমি জানি না, তবে কাল রাতে নিহতের ঘটনাটা জেনেছি। পুলিশ তদন্ত করছে এবং লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আটপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, নিহতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের ঘটনার পূর্বে গতকাল দুপুরের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
এআই
নেত্রকোনায় রাস্তার পাশে ঝোপে মিলল জীবিত নবজাতক (মেয়ে)। স্হানীয় লোকজন উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবার সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের প্রাইমারি স্কুলের পাশে উলুয়াটি সড়কে একটি ঝোপের কাছে কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সাইকেল আরোহী এক পথচারী। পথচারী স্থানীয়দের খবর দিলে, স্থানীয় রীনা আক্তার ও নুরুল ইসলাম গিয়ে উদ্ধার করেন নবজাতকটিকে।
পরে তারা মডেল থানায় খবর দিলে নারী ও শিশু ডেস্কের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক রাজিয়া আক্তার হাসপাতাল সমাজ সেবার সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুপুর থেকে নবজাতকের সার্বিক তত্বাবধানে নার্স আয়াসহ সকলেই আন্তরিকভাবে সেবা করছেন। কয়েক ঘন্টায় শিশুটিকে তারা প্রাথমিকভাবে সুস্থ করে তুলেছেন।
শিশু বিভাগের (নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ড) ইনচার্জ মাসুমা আক্তার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আজকেই জন্ম নেয়ার পরপরই নাভি কেটে ফেলে দিয়েছে বললেন হাসপাতালের।
বাবা মায়ের নিষ্ঠুরতার বলি নবজাতককে পরম মমতায় নার্স আয়ারা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন। এদিকে জন্মের সাথে সাথে পিতা মাতার এমন নিষ্ঠুর আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এদিকে শহর সমাজসেবার আওতায় নবজাতকের জন্য খাবারসহ সকল ধরনের খরচ বহন করে খাবার ও নানা কিছু জোগান দিচ্ছে হাসপাতাল সমাজসেবা।
হাসপাতাল সমাজসেবার দায়িত্বে থাকা মনির মিয়া জানান, সকল ধরনের শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে ঔষুধসহ সবকিছু সমাজসেবা বহন করছে। এমনকি সার্বক্ষণিক শিশুর তত্বাবধানে থাকছি আমরা।
রীনা আক্তার জানান, রাস্তায় ফেলে রাকা শিশুটিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সাইকেল চালক দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলল আমি এবং নুরুল ইসলাম চাচা দেখতে আসি। পরে আমি অসহায় বাচ্চাটিকে দেখে কোলে তুলে নেই। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে আমাকে সাথে যেতে বলে। তখন আমি শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে নার্সদের হাতে দিয়ে আসি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সঞ্জুরা আক্তার নামের নারী জানান, এমন নারকীয় কাজ নিষ্ঠুর পাষন্ড মানুষ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। এদের বিচার আল্লায় করবে।
এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার নারী শিশু ডেস্ক ইনচার্জ রাজিয়া আক্তার জানান, তারা খবর পেয়েই ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে আইনিভাবে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এই শিশুর প্রকৃত বাবা মা কে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাশীম রেজা খান সরল জানান, নবজাতক উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই দত্তক নিতে সন্তাহীন প্রায় ৩০ জনের মতো মৌখিক আবেদন জানিয়েছে।
এআই
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/20240717_2128196697e35b19e43.webp)
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উদীচী কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর শহরের সুরেশকৈরী সড়কের পাশেই উদীচী কার্যালয়। বুধবার কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। ওইদিন দুপুরে একদল দুবৃর্ত্ত কার্যালয়ের হামলা চালায়। এসময় দুবৃর্ত্তরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার ও বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর করে। এছাড়াও কার্যালয়ের ভেতরে সংরক্ষিত থাকা প্রয়োজনীয় কাগজ বাইরে ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
উপজেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ আবির বলেন, আমাদের কার্যালয় আজ বন্ধ ছিল। দুপুরে দুবৃর্ত্তরা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার ও বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর করে। এছাড়াও সিলিং ফ্যান ও ২০টি চেয়ার নিয়ে যায়। আগুনে পুড়িয়ে দেয় অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
উপজেলা উদীচীর সভাপতি ওবায়দুর রহমান বলেন, কে বা কারা উদীচী কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে অগ্নিসংযোগ করেছে আমরা বলতে পারছি না। ঘটনার পরপরই বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 42515421426697ab8b0e695.webp)
সারা দেশে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, নিহতদের বিচার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ করেছে স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে জড়ো হয়ে সেখানে থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রেসক্লাব মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা 'কোটা না মেধা', 'আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না' স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা। তারা বলেন, আমরা অধিকার চাইতে গিয়ে হয়ে গেলাম রাজাকার। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরানো হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই,কোটা প্রথার সংস্কার চাই।
এই সময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা কোটা সংস্কার চাই। মেধা দিয়ে সমাজ গড়তে চাই। আমাদের ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 421274515421426697aac6c1676.webp)
জামালপুরে কোটা আন্দোলনকারীরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ঘেরাও করে ছাত্রলীগ নেতাদের ১০/১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জামালপুর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বেসরকারি সৃষ্টি স্কুল এবং বঙ্গবন্ধু স্কুলসহ একাধিক স্কুলের আন্দোলনকারীরা জামালপুর হাইস্কুল মাঠে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জড়ো হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে শহরের মির্জা আজম চত্বরে গিয়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে।
সেখান থেকে বেলা ১১টার পর শহরের শেখের ভিটা রেলক্রসিংয়ে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেন আটকে দেয়। এক ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়ে দিয়ে তারা শহরের পাঁচ রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের দিকে আসতে থাকে।
কোটা আন্দোলনকারী রেদওয়ান খন্দকার মাহিন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ মাসজিদের কাছে মিছিল আসামাত্রই কলেজে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঢিল ছুড়তে থাকে এবং গালাগাল করে। এ সময় আন্দোলনকারী এক নারী আহত হয়। পরে তারা কলেজের সামনে চলে আসে এবং ছাত্রলীগ নেতাদের ধাওয়া করে।
তিনি বলেন, এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা দৌড়ে কলেজের দোতলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ নেতাদের ১০-১২টি বাইক ভাঙচুর করে।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বিসহ ছাত্রলীগের একাধিক নেতা তখন কলেজ গেটে অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি বলেন, আমি কলেজ থেকে চলে এসেছি। আমার নতুন বাইকটিও ভাঙচুর করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা।
সদর থানা পুলিশের ওসি মহব্বত কবির জানান, পুলিশ জানমাল রক্ষা করতে কাজ করছে।
এআই
সারাদেশে চলমান কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড় জেলার সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পালন করা হয়। পঞ্চগড় শহরের ধাক্কামারা, জেলা জজ কোর্ট এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে কোটা না মেধা, মেধা-মেধা ও ভূয়া ভূয়া শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা করতোয়া সেতুর প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। অবরোধ চলে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা।
এরপরে আগামীকাল শুক্রবার জুমআর নামাজের পরে আবারো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করে চলে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রিাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকা শাটডাউনে মহাসড়কে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। আন্তঃজেলা বাস সীমিত আকারে চলাচল করলেও দূরপাল্লার কোন যানবাহন বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি। তবে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া গাড়িতে করে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এআই
পঞ্চগড়ে দূর পাল্লার বাস চলাচলে প্রভাব ফেলেছে কোটা আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জেলা জুড়ে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জেলা জুড়ে অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করলেও ঢাকাগামী কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরিস্থিতি একই ছিল।
এইদিকে ঢাকার সাথে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস কাউন্টারগুলোতে অনেকেই এলেও বাস চলাচল না করায় তাদের ফিরে যেতে দেখা গেছে। যাত্রীরা জানান, আপাতত রেলপথে ঢাকা যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন উপায় দেখছেন না তারা।
পঞ্চগড় বাস মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে সড়ক পথে বাস চলাচলে ঝুঁকি থাকায় সকাল থেকে ঢাকাগামী কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করেছে বলে জানান তিনি।
তবে একাধিক পরিবহনের টিকিট কাউন্টার থেকে বলা হয় পরিস্থিতি ভালো হলে রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যেতে পারে।
এইদিকে জেলার সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কোটা আন্দোলনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা করতোয়া সেতুর প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। অবরোধ চলে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা। এতে সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
এরপরে আগামীকাল শুক্রবার জুমআর নামাজের পরে আবারো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করে চলে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা. এরপরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 545324126698f60f09ab5.webp)
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টায় পৌর শহরের বিজয় চত্বর সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে তারা অবস্থান নেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় সন্তান কমাণ্ডের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকেই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের দেবীগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক দীপঙ্কর রায়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায়, ডেপুটি কমাণ্ডার লিয়াকত আলী, যুদ্ধকালীন ডেপুটি কমাণ্ডার মনমথ নাথ রায়, দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের উপদেষ্টা আ.স.ম নুরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ প্রমুখ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের বিপক্ষে আমরা নই। বর্তমানে সেটি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের পরই সরকার কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু তার আগে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে। তা বন্ধ করতে হবে। নয়তো আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা সেই নৈরাজ্য প্রতিহত করতে মাঠে নামবো।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্নে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের ত্যাগকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। তাদের ত্যাগের জন্য আজকের এই বাংলাদেশ। তাই অরাজকতা নয় বরং আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 54532416698ec21a7e4b.webp)
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ইট পার্কেল নিক্ষেপ ও ব্যানার ছিড়র ফেলেন। পরে বিক্ষোপকারীরা লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। যার অংশ হিসেবে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় ও হাতীবান্ধা উপজেলা সদরে গণজমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাতিবান্ধা দুই জন শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে মারপিট করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়া করেন। তবে জেলা সদরে কোন প্রকার অপীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানাগেছে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করলে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পুনরায় সরকারী আলীমুদ্দিন কলেজ ও মেডিকেল মোডে অবস্থান নেয়। সাধারন শিক্ষার্থীদের মিছিলে যুক্ত ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, বিএনপি'র লোকজন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এটা নিয়ে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এআই![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Screenshot 2024-07-18 1613066698ebdd51481.webp)
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত ও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মতিউর রহমানকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কমিটির সদস্য করা হয়েছে রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. বিজন মোহন চাকি এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. শফিকুর রহমানকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও অফিস প্রধান মোহাম্মদ আলী।
আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কমিটি গঠন করা হয় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে উক্ত বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমকে আহ্বায়ক করে পৃথক আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ অলক কুমার দাস সদস্য এবং উপ-প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাঃ এস এম শাহরিয়ার সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটিকে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই দিনে ২ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার (২৪ জুলাই) আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মাইনুল ইসলাম জানান, কারফিউ’র কারণে গত রোববার ও সোমবার ভারত থেকে পেঁয়াজসহ সব ধরণের পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়। এদিন ৮১টি ট্রাক ও বুধবার ৪৩টি ট্রাকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। ফলে এই স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই দিনে ১২৪ ট্রাকে ২ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
এদিকে, ভারত থেকে আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম স্থানীয় বাজারে নিম্নমুখী। দুই দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ৩ টাকা। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৮৬ টাকা। গত সোমবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৮৯ টাকা দরে।
এইচএ
সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক আড়াই ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রেখেছিলেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এ সময় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সিরাজগঞ্জ শহরের ইবি রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এরপর টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কের ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী রুট অবরোধ করেন তাঁরা।
এ সময় তারা লাঠিসোঁটা হাতে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের দমনের চেষ্টা করে। পরে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে দুপুর ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের ইবি রোড এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর সংঘর্ষ থেমে গেলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের নবদিপুর এলাকায় জমায়েত হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ সময় আশপাশের এলাকায় সতর্ক বস্থায় রয়েছে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নতা ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাশকতা এড়াতে সিরাজগঞ্জ শহর ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এআই
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 545324146698f4e3ac5ed.webp)
কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সকাল থেকে বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে পুুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলছে। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট ছুড়ছে। এতে কয়েক শিক্ষার্থীসহ বেশ কজন পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এঘটনায় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে লাঠিসোটা হাতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে শহরের সাতমাথার দিকে অগ্রসর হয়। শিক্ষার্থীদের একাংশ বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাতমাথায় আসলে পুুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করতে দেখা যায়।
এর কিছুক্ষণ পরে বিভিন্ন দিক থেকে আবারও শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা উত্তেজিত হয়। পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছুড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে পাল্টা ইট পাটকেল ছোড়ে। এরপর থেকে সাতমাথা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুরু হওয়া শহরের সাতমাথায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এখনো চলছে।
এদিকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, কলোনী, বনানী এলাকায়ও শিক্ষার্থীদের সাথে পুুলিশের সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার আগ পর্যন্ত বগুড়ায় মোটামুুটি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। শহরের ভেতর দোকানপাটও খোলা ছিলো। তবে বর্তমানে সাতমাথা ও এর আশপাশের এলাকা প্রায় জনশূন্য। দোকানপাটও বন্ধ।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেন, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
এআই
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Naogaon---Students---Chhatra-League6698dd1a5c717.webp)
কোটা সংস্কারের দাবিতে ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, কোটা সংস্কারের দাবিতে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নওগাঁর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাট-নওগাঁ উচ্চবিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি শহরের গোস্তহাটির মোড় হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তন্নী আক্তার ও আতিকুল ইসলাম বলেন, কোটা প্রথা সংস্কার ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তারা স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী হাট-নওগাঁ স্কুল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে অন্তত ১০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন। এ সময় তাদের সাথে নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আমিনুল হক বেলাল, শফিউল আজম (ভিপি) রানা, যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ন্যায্য একটা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে লেলিয়ে দিয়েছে। নওগাঁয় আজকে যে হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত বর্বরোচিত। আহতদের মধ্যে দুজন অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই কঠিন সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে বিএনপি বলেও জানান তিনি।
এইচএ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Naogaon-Sadar-Model-Thana6698d620f144a.webp)
নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়ন মাঠ থেকে এক মধ্যবয়সী এক পুরুষের মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে আরও একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ভোর রাতে ওই ইউনিয়নের ঝিকরা ইটভাটার পাশে মাঠের পানি সেচের ড্রেন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ব্যক্তিরকে উদ্ধার করে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
নিহত সবুজ হোসেন (৫০) বর্ষাইল ইউনিয়নের মল্লিকপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত সাইদুল হোসেনর ছেলে। এ ঘটনায় আহত সজিব হোসেন (৩০) ওই গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সবুজ হোসেন তার পরিবারে সঙ্গে ঢাকায় থাকে। গত কয়েক দিন আগে তার ছোট বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বাড়িতে আসেন। অপারেশন শেষে গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার গাড়িতে নওগাঁ থেকে টিকিট ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে রাখে ও রাত সাড়ে ৯টায় তার চাচা সাখাওয়াত মোটরসাইকেল করে হাঁপানিয়া পর্যন্ত তাদের দুই ভাইকে নামিয়ে দিয়ে যান। পরে আবার বাড়ি সজিবের বাবা সাড়ে ১২টায় সজির ফোনে কল দিলে কথা হয় যে তারা সমস্যা পড়েছে। তার কিছু পরে থেকে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাই। ভোর রাতে মাঠে মরাদেহ পাওয়া যাই।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিদুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এইচএ
সিলেটে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর মধ্যে মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এম সাগর হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত শাটার লাগিয়ে দোকানের ভেতরে অবস্থান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বন্দরবাজার এলাকার মহাজনপট্টি ও হকার্স মার্কেটের গলি থেকে ছাত্রদল-যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে কামরান চত্বরে এসে পুলিশ মোতায়েন দেখে তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতাকর্মীরা।
এসময় মহানগর পুলিশের সিআরটি টিম ঘটনাস্থলে এসে মিছিলকারীদের দিকে ফাঁকা গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০ মিনিট ব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশ ও ৬ নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এম সাগর হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একপর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকাল ৩টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে বন্দরবাজারে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) বলেন, কিছু লোক নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিহত করেছি। এসময় ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
এআই
কোটা সংস্কারের দাবি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরের পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বরে প্রথমে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে স্লোগান ধরেন, কোটা না মেধা? মেধা মেধা’ আমার ভাই মরল কেন? প্রশাসন জবাব চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে সেখানেই তারা তাদের কর্মসূচি আজকের মত সমাপ্ত করেন।
এদিকে, বৈষম্যমূলক কোটা ব্যাবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল পৌর শহরের পুরাতন বাস-স্টেশন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রদলের কর্মীদের মাঝে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ পরে ছাত্রদলের নেতারা জেলা বিএনপির অফিসের সামনেই সমাবেশ করে।
এদিকে,শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্রদলের মিছিল শেষে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। পৌর শহরের রমিজ বিপণীর জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
একেই সময়ে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাদাঘাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
এইচএ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Mohabbat-Ali6697869bb0b30.webp)
এক বছরেও সন্ধান মেলেনি হবিগঞ্জের মাধবপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে পরিচিত নিখোঁজ মহব্বত আলী। গত বছর ৩০ জুলাই রাতে নিখোঁজ হয় মহব্বত আলী। যার বয়স ৩৮ হবে। এখনো খোঁজ মিলেনি তার। তিনি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিখোঁজ মহব্বত আলী কয়েক বছর আগে দুবাই থেকে ফেরত আসেন। এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসাবে রয়েছে তার পরিচিতি। বিভিন্ন সময়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করেছেন।গত বছরের ১ আগস্ট নিখোঁজ মহব্বত আলীর বাবা রুসমত আলী বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই নিখোঁজ মহব্বত আলীর পিতা রুসমত আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-৬) আদালতে একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে খোকন মিয়াকে (৩৮) প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বার ৪৩৮/২৩ (মাধব)। আদালত মাধবপুর থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্যে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে মাধবপুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ মহব্বত আলী বিজিবির সোর্স হিসাবে বিভিন্ন সময়ে মাদক উদ্ধারে সহযোগিতা করাতে বিরোধ দেখা দেয় আসামিদের সঙ্গে। নিখোঁজ মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ আটক হয়। প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে ।
বিজিবির সোর্স হিসাবে নিখোঁজ মহব্বত আলী আসামিদের মাদকের চালান আটকে সহযোগিতার জন্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। আমার দুইটা নাতি মহব্বত আলীর সন্তানরা তাদের বাবাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়। আমি আমার ছেলে ফেরত চাই। আমার ছেলে ফেরত পাওয়ার আশায় আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছি।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন চেয়ে গত ১০ জুন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন রুসমত আলী। মামলাটি রুজু করার পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক, পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক আ. রহিম তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়ে চলে গেলে নবাগত পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
নিখোঁজ মহব্বত আলী পরিবারের দাবি, থানা পুলিশের নিকট মামলা থাকলে ভিকটিম উদ্ধার হবে না। তাই তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করে সিআইডি অথবা পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ জানান, আমি মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এই মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
বাদী পক্ষ মামলাটি তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করার জন্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বলে জানতে পেরেছি। এখনও আমি তদন্তকারী হিসাবে দায়িত্বে আছি, ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, আমি এই থানায় নতুন যোগদান করেছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি নিখোঁজ মহব্বত আলীকে বের করতে।
এইচএ
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/20240716_2024536696836cb173e.webp)
সিলেটে লিঙ্গ কেটে হিজড়া বানানো চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ছিনতাই রাহাজানি, নেশাদ্রব্য সেবন ও বিক্রিসহ নানা অভিযোগে সোমবার (১৫ জুলাই) সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সিলেটের অন্যতম নেতৃস্থানীয় হিজড়া, বর্তমানে দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা এলাকার বাসিন্দা ভান্ডারি রানা ভুঁইয়া (৫২)। তিনি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
তারা হলেন, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বালুর মাঠ এলাকার কালি ওরফে আব্দুল্লাহ (৪০), মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর এলাকার লিমা ওরফে লিমন (৩০), শিববাড়ি এলাকার ইমা (২৫), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বাজিতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আদুরী ওরফে আবেদ আলী (২৪), দক্ষিণ সুরমার সাধুরবাজারের আলেয়া (৬০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের গুনই গ্রামের সমশের আলীর ছেলে লিপি ওরফে অলিউর রহমান (৩৫), দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার পাখি (৪৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের জমিলা (৩৮), কোম্পানীগঞ্জের টুকেরবাজার এলাকার শান্তা ওরফে লিটন (২৮), মোগলাবাজারের শিববাড়ি এলাকার চাঁদনী (৩০), একই এলাকার সানজিদা (৩২), দক্ষিণ সুরমার সাধুরবাজারের চাঁদনি (২৮), গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকার দিলারা বেগমসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ জুলাই) কালি, লিমা, ইমা হিজড়াসহ কয়েকজন হিজড়া আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সুবিদবাজার এলাকায় রানা ভুঁইয়ার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি কিছুটা আহত হলেও পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।
পরদিন শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার গার্ডেন টাওয়ারের সামনা থেকে তার গ্রুপের রত্না হিজড়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কালি লিমা ইমা হিজড়ার গ্রুপের কয়েকজন হিজড়া মিলে অটোরিক্সায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে কদমতলি বালুর মাঠে একটি নির্জন কক্ষে আটকে রাখে।
পরে অপহরণকারীরা ০১৭২৩৭৩৬৬৯৮ নম্বর থেকে রানার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যতায় তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। রানা টাকা দিতে অস্বীকার করেন অপহরণকারীরা রত্নাকে মারধোর করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। তারা রত্নার গলার ১ ভরি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় দেড়লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। অপহরণের বিষয়টি কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবগত করলে তারা কদমতলী বালুর মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা ছিনতাই রাহাজানি নেশাদ্রব্য সেবন ও বিক্রি, লিঙ্গ কর্তন করে হিজড়া তৈরিসহ আরও নানা অপকর্মে লিপ্ত। এরা লিঙ্ক কর্তনকারী। তারা লিঙ্ক কর্তন করে নিজেদের হিজড়া পরিচয় দিয়ে অসামাজিকতা করে আসছে। এ অবস্থায় তিনি অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মঈন উদ্দিন শিপন বলেছেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্ল্যেখ্য, সিলেটে হিজড়াদের অভ্যন্তরিন কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়েই এই কোন্দল। সম্প্রতি নেতৃস্থানীয় এক হিজড়ার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং অপর একজনকে প্রতিপক্ষ অপহরণ করেছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করলেও অপহরণকারীদের মারধরে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটের হিজড়াদের অভ্যন্তরীন কোন্দল অনেক পুরানো। চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন স্বার্থে তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই কোন্দল। কখনো কখনো তা সংঘর্ষেও রূপ নেয়। হয় থানা পুলিশ। কিন্তু এতেও হচ্ছেন কোন সমাধাণ।
এমআর
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/news pic 62422541421246696367b5c8f3.webp)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৮৭ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ২ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোর রাতে আটকৃত আসামিদের বসত ঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার বালিছড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৯)। উদ্ধারকৃত চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।
দোয়ারা বাজার পুলিশ জানায়, থানার এসআই মো. এনামুল হক মিঠু, এসআই মো. ফরিদ মিয়া, এএসআই হোসাইন মোহাম্মদ ফরহাদ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় এ সময় তাদের বসত ঘরে তল্লাশি করে ৩ হাজার ৩৫০ কেজি (৪৭ বস্তা) ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিছড়া দক্ষিণ ক্যাম্পেরঘাট গ্রামের আব্দুল আলীর বসত ঘরে তল্লাশি করে আরও ২ হাজার কেজি (৪০ বস্তা) ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজেদের কাছে রাখায় হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এআই
অনলাইন ভোট
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/q66a346dc9b114.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/tramp66a206f30aa45.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Screenshot 2024-07-25 12133666a1f5f0eec05.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/africa66a1d926c230d.webp)
বিনোদন
সব দেখুন![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/safin ahmad66a2856825362.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/puja66a0bae7e382f.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Screenshot 2024-07-18 1643366698f49aaff60.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/012012016698b12a82369.webp)
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News166a0b66b1c60d.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Chili-pepper6698d0728c4d1.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/ morich6693ea9337e70.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/gold65eb310d933e9.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/alo6692493162492.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/bazar663e004772a96.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/bank bd66a2787cdf08b.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News166a0b66b1c60d.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Chili-pepper6698d0728c4d1.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/ morich6693ea9337e70.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/gold65eb310d933e9.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/alo6692493162492.webp)
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Screenshot 2024-07-25 15153266a21868a9e75.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/3r23w66a13aea0a7c8.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Hsc657976a958c5b.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/asif nazrul65366152bd025.webp)
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/facebook66a23f3f68bb9.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/internat66a12a607b1df.webp)
![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/ polok6640d7af142e5.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/moon6698c06908eb1.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/News26698b1a0a6371.webp)
![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/16697ea1e1f510.webp)
আইন-আদালত
সব দেখুন![](https://www.somoyerkonthosor.com/admin/post_image/partho66a244199effe.webp)
প্রবাস
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/366a3573334392.webp)
লাইফস্টাইল
সব দেখুন![](https://somoyerkonthosor.com/admin/post_image/Screenshot 2024-07-01 100445669895ad51bf5.webp)