এইমাত্র
  • ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
  • চুনারুঘাটে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
  • টাঙ্গাইলে চিপস কারখানাকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
  • জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নিহত
  • চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস
  • সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ
  • ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি
  • চুয়াডাঙ্গায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
  • যে প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
  • শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    আন্তর্জাতিক

    ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি
    ব্যাপক গণ-বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারতে অবস্থান করা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি এখন তুঙ্গে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানোর পর এই দাবিটি সুনির্দিষ্ট আইনি রূপ নিয়েছে। ২০১০ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে গুমসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানায়, তখন নয়াদিল্লির আইনি উপায় কী হবে? এ নিয়ে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন।নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন-১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখণ্ডে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য; যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।বাংলাদেশের আদালতে এখনও দোষী প্রমাণিত না হলেও হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। ভারত থেকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাকে এসব অপরাধে অভিযুক্ত করাই যথেষ্ট। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০(৩)-এর আওতায় প্রত্যর্পণ চাওয়ার জন্য অনুরোধকারী রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও যথেষ্ট।এক্ষেত্রে অনুরোধ জানানো রাষ্ট্রের কাছে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার দরকার নেই। ২০১৬ সালে চুক্তিতে আনা একটি সংশোধনীর কারণে এটির দরকার নেই। তবে মূল চুক্তিতে অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো দেশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ অন্যান্য প্রমাণ শেয়ার করার শর্ত ছিল। অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ ত্বরান্বিত করার জন্য ২০১৬ সালে অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়।যে কারণে বাংলাদেশ এ ধরনের অনুরোধ করলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ভারতের। তবে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে কোনও ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম বিধানও রয়েছে।প্রথমত, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে অপরাধী ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক নেতা হন, তাহলে তার প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। আবার ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ৩১(১) ধারায় রাজনৈতিক ছাড়ের বিধান রয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ভারত কি এসব বিধানের ওপর নির্ভর করতে পারে? এর জবাব হলো, না। কারণ চুক্তির ৬(২) ধারায় বিশেষভাবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের মতো অপরাধকে বাদ দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক আইন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।দ্বিতীয়ত, যদি সেই ব্যক্তির প্রত্যর্পণ অপরাধের দায়ে আদালতে বিচার করা হয়, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দিয়েছে অনুচ্ছেদ ৭। এই বিধানটি হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ তিনি ভারতীয় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই।তৃতীয়ত, চুক্তির অনুচ্ছেদ ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি প্রত্যপর্ণের জন্য অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে বোঝাতে পারেন যে, তাকে হস্তান্তর করা হলে দেশে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না এবং তাকে প্রত্যর্পণ করাটা নিপীড়নমূলক হবে, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। কারণ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ‘‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে’’ করা হয়নি বলে জানাতে পারবে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র।একই নীতি ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ২৯ ধারায় প্রতিফলিত হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। যে পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা করছেন, তাতে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক শত্রুতার দ্বারা প্রভাবিত। যদি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং তার প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক এবং অন্যায্য।এই ব্যাখ্যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। যারা দাবি করবে, শেখ হাসিনাকে তার স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জবাবদিহি করা হবে ন্যায়বিচারের স্বার্থেই। কোনও বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা কার ব্যাখ্যা সঠিক তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারা অনুযায়ী, উভয়পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় অটল থাকতে পারে।তবে ভারতের সামনে আরেকটি আইনি বিকল্প আছে। তবে সেটি হবে কঠিন। চুক্তির ২১(৩) ধারায় ভারতকে যেকোনও সময় নোটিশ দিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস পর চুক্তিটি আর কার্যকর থাকবে না। এছাড়া চুক্তি বাতিলের আগে করা প্রত্যর্পণের অনুরোধের প্রক্রিয়া করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু বলা হয়নি।ভারত এই বিকল্প ব্যবহার করবে কি না তা নির্ভর করবে দেশটি শেখ হাসিনাকে কতটা মূল্য দেয় তার ওপর; যিনি নয়াদিল্লির ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চায়। একতরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করলে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে; যা ভারতের বিভিন্ন কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।দিন শেষে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আহ্বান এখন আইনি বিষয়ের চেয়ে অনেকটা রাজনৈতিক হয়ে গেছে। তবে ভারত যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, তাদের রাজনৈতিক চাহিদা পূরণ এবং যেকোনও সিদ্ধান্তের ন্যায্যতার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের ভাষাকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।এসএফ
    শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
    গণবিপ্লবের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে লঙ্কান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।সাক্ষাৎকারে তাকে শেখ হাসিনা ইস্যু ও বাংলাদেশ-ভারতের করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, “প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে— মানুষকে প্রথমে আস্থা দিতে হবে। শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক নেতা নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। এরপর তারা বিদেশেই থাকেন। আমি এখন প্রাধান্য দেবে… বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল থাকে।”তিনি আরও বলেছেন, “যদি হাসিনা দেশের বাইরে থাকে। তাহলে তাকে বাইরেই থাকতে দিন। আমি মনে করি স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিকতার উপর নজর দেবে এবং দেশ কীভাবে চালাবে সেখানে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করুক।”২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায়ও বাংলাদেশের মতো গণবিপ্লব হয়। সাধারণ মানুষের রোষে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালান। এরপর প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। আগামী শনিবার দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এতে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারবেন রনিল।ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, হাসিনাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি কতদূর এগিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়।এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এছাড়া দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে সাবেক এই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে।সূত্র: ফার্স্টপোস্ট এসএফ
    আজই শেষ ভিসার মেয়াদ, কী করবেন শেখ হাসিনা?
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মুখে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। কূটনৈতিক পাসপোর্টে দেশ ছাড়ায় তিনি ভারতে বৈধভাবে ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারবেন। তার এ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। ফলে তার ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এই নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে থাকবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। এ নিয়ে ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। ভারত চাইলে যে কাউকেই সে দেশে আশ্রয় দিতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।এর আগে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন। এ সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ভারতে তার অবস্থানের কারণে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কেননা আমরা তাকে ফেরাতে চাই। তিনি সেখানে থেকে যেসব কথা বলছেন তা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি যদি চুপ থাকতেন তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। তিনি নিজের জগতে থাকলে জনগণও বিষয়টি ভুলে যেত। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিষয়টি কেউ ভালোভাবে নিচ্ছে না।তিনি বলেন, আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ আচরণ। তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন নয়- তিনি স্বাভাবিক পথেই সেখানে গেছেন। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি সেখানে গেছেন।সংবাদমাধ্যম জি নিউজে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মহলের ধারণা হয়তো শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি এখন দেশটির সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।আরইউ
    সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
    ৬৪ বছর আগে স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু নদ চুক্তি’ নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিয়েছে ভারত। সেই নোটিশে চুক্তির কয়েকটি ধারা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৩০ আগস্ট ইসলামাবাদে পাঠানো নোটিশ। সেখানে চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারাটি পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।ভারতী উপমহাদেশের দীর্ঘতম নদী সিন্ধু তিব্বতের মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মির বং পাকিস্তানের কাশ্মির বা আজাদ কাশ্মিরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের ভেতর দিয়ে দেশটির পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে প্রবাহিত হয়ে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির কাছে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে।৯ বছর ধরে আলোচনার পর ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিন্ধু নদ চুক্তি (ইন্দুস ওয়াটার ট্রিটি- আইডব্লিউটি) স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। মধ্যস্থতাকারী এবং সাক্ষী হিসেবে বিশ্বব্যাংকও স্বাক্ষর করেছিল চুক্তিতে।ভারতের ওই কর্মকর্তা বলেন, “জম্মু-কাশ্মিরে আমাদের দু’টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এ কারণে চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ ধারাটি আমাদের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছি। বিশ্বব্যাংকও এ ইস্যুতে উভয়পক্ষের সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।”প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলোয়ামায় পাকিস্তানপন্থি জঙ্গিদের হামলা এবং তার জেরে কয়েক মাস পর নয়াদিল্লি কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতেও। সিন্ধু নদ চুক্তি সেসবেরই একটি অংশ।এর আগে এই চুক্তি বিভিন্ন ধরা পর্যালোচনা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সালিশী বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান; তবে ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।সূত্র : এনডিটিভিএসএফ
    ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
    ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি ফেরাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক শান্তি পরিকল্পনা উল্লেখ করেছেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে তিনি সেই পরিকল্পনা উন্মোচন করতে পারেন।রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশে শান্তি ফেরানোর রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে। এমনকি সংকট চলার সময় ‘ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট’-এর বদলে স্থায়ী শান্তির পরিকল্পনাও নাকি প্রস্তুত।আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে তিনি এই মন্তব্য করলেন। এর আগে গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সেই পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছিলেন জেলেনস্কি।উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়ার সৈন্যদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার জবাবদিহিতার শর্ত আরোপ করেছিল। চলতি বছরেই রাশিয়ার অংশগ্রহণসহ আরও এক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। জেলেনস্কি নভেম্বর মাসেই এমন সম্মেলনের পূর্বাভাস দিয়েছেন।প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনও কিছু জানাননি। তবে তার দেশ প্রায় আড়াই বছরের যুদ্ধ অবসানের কোন কোন পূর্বশর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত, সেই পরিকল্পনা তা ইঙ্গিত করবে।বুধবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া দৈনিক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, অনেক আলাপ আলোচনার পর বিস্তারিত এই রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে। তার মতে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেন তথা গোটা ইউরোপের জন্য নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী শান্তির কোনও বিকল্প থাকতে পারে না।নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের প্রতি কী মনোভাব দেখাবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে রাশিয়ার মনোভাব কী হবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। নীতিগতভাবে শান্তির প্রস্তাবে সায় দিলেও ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করার পর মস্কো আলোচনা সম্পর্কে অনীহা দেখাচ্ছে।ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও রাশিয়া বার বার উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা করছে রুশ নেতৃত্ব।এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়া শান্তির বিষয়ে কতটা আগ্রহ দেখাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।এসএফ 
    মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
    দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। সম্প্রতি রাজ্যটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং এতে ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।এমন অবস্থায় মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে ভারতের ১৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে মণিপুর রাজ্যের সীমান্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।ইতোমধ্যেই মিয়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলছে, ভারত ও মিয়ানমারের পুরো সীমান্তকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। ৩১ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে ওই সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো হবে।এছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, মিয়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।সংবাদমাধ্যম বলছে, মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালানের অভিযোগ প্রায়শই উঠে থাকে। মণিপুরে অশান্তির অন্যতম কারণ হিসাবেও সীমান্তের এই পরিস্থিতিকেই ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ।পিটিআইকে ওই সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো ও সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ৩১ হাজার কোটি রুপি।মণিপুর ছাড়াও মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের ৫২০ কিলোমিটার, নাগাল্যাণ্ডের ২১৫ কিলোমিটার, মনিপুরের ৩৯৮ কিলোমিটার এবং মিজোরামের ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।পিটিআই জানিয়েছে, মণিপুরের মোরের কাছে মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁটাতার বসানোর কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। মণিপুর ও অন্য রাজ্যগুলোতে আরও ২১ কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মণিপুরে অশান্তির আবহে মিয়ানমারের সঙ্গে গোটা সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে মণিপুর। এছাড়া সম্প্রতি রাজ্যটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।দ্য হিন্দু বলছে, ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে মণিপুরের উপজাতীয় কুকি-জো এবং মেইতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সংঘাত-সহিংসতায় ৬০ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।উল্লেখ্য, অতীতে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যন্ত অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের “লুক ইস্ট” নীতির অংশ হিসাবে ২০১৮ সালে এটিকে চালু করা হয়েছিল।ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমান্তের দু’দিকেই ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও নথিপত্র ছাড়াই যাতায়াত করতে পারতেন। সেই চুক্তিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাতিল করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।এসএফ 
    ২৪ নারীকে নিপীড়ন: সাবেক সিআইএ অফিসারের ৩০ বছরের জেল
    বিভিন্ন দেশে দুই ডজনেরও বেশি নারীকে মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ব্রায়ান জেফরি রেমন্ড। ৪৮ বছর বয়সি রেমন্ড ২০২৩ সালের নভেম্বরে যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত এই রায় দিয়েছেন।ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ার ইউএস অ্যাটর্নি ম্যাটিউ গ্রেভস জানিয়েছেন, রেমন্ড সরকারি কর্মচারী থাকাকালে সন্দেহভাজন নারীদেরকে তার সরকারি বাসস্থানে প্রলুব্ধ করে মাদকপান করাতেন এবং এর পর তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন।বিচার বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা নিকোল আর্জেন্টিয়েরি বলেছেন, রেমন্ড ১৪ বছর ধরে কয়েক ডজন নারীকে যৌন নির্যাতন করেছেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, রেমন্ডের সর্বশেষ পোস্টিং ছিল মেক্সিকো সিটিতে, যেখানে তিনি একাধিক নারীকে মাদকাসক্ত করে যৌন নির্যাতন করেন।রেমন্ডের বিরুদ্ধে তথ্যের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে এফবিআই সেখানকার জনসাধারণের কাছে আবেদন জানায়। তদন্ত শুরু হয় ২০২০ সালের ৩১ মে যখন একজন নগ্ন নারীকে মেক্সিকো সিটিতে তার বাসভবনের বারান্দা থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখা যায়।রেমন্ডের ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শত শত ছবি ও ভিডিও, যাতে অন্তত ২৪ জন অচেতন ও নগ্ন বা আংশিক নগ্ন নারীর ছবি দেখা যায়।তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে বহু বছর ধরে কাজ করেছেন এবং পেরুসহ বিভিন্ন দেশে বসবাস করতেন। এফবিআই জানিয়েছে যে তিনি স্প্যানিশ ও ম্যান্ডারিন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি।এসএফ
    ইসরায়েলে নতুন যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করলো জার্মানি
    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের জন্য নতুন করে অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেবে না জার্মানি। আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করল বার্লিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে মামলা ও রাজনৈতিক চাপে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ রপ্তানিকৃত এসব অস্ত্র দিয়ে মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য না করলেও রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশটির সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে। সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রাইট বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো জার্মান অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা নেই। এদিকে জার্মান সরকার এমন দাবি করলেও সরকারি তথ্য কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ডেটা অনুযায়ী, গত বছর ইসরায়েলে ৩২৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেয় জার্মানি। যার মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি ২০২২ সালের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। তবে এ বছর অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধাস্ত্র বিভাগের জন্য মাত্র ৩২ হাজার ৪৪৯ ইউরো অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় প্রশ্নের জবাবে এসব ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে।এবি 
    করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন ছড়িয়েছে ২৭ দেশে
    করোনাভাইরাসের এক্সইসি নামের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার এই ধরন শিগগিরই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনটি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপগোত্রীয়। তবে এক্সইসি ধরনে নতুন করে রূপান্তর ঘটেছে। এর ফলে চলতি শরতে ইউরোপে করোনার নতুন এই ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে করোনার টিকা এই ধরনকে প্রতিরোধে সহায়তা করবে।করোনার আগের উপ-ধরন ওমিক্রনের কেএস.১.১ এবং কেপি.৩.৩ এর মিশ্রণে শঙ্কর ধরনে রূপ নিয়েছে এক্সইসি। বর্তমানে ইউরোপজুড়ে এই ধরনের সংক্রমণের ব্যাপক আধিপত্য দেখা গেছে।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার নতুন ওই ধরনটি গত জুনে জার্মানিতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, করোনার নতুন ধরনটি এখন পর্যন্ত পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ অন্তত ২৭টি দেশের ৫০০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে এই ধরনের প্রকোপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেছেন, সাম্প্রতিক অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এক্সইসি ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মাঝে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষমতাবিশিষ্ট। শীতকালে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে উচ্চগতি দেখা যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো- করোনার ভ্যাকসিনগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারবে।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এরিক টোপোল বলেছেন, এক্সইসির সংক্রমণ মাত্র শুরু হচ্ছে। ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে নতুন এই ধরনটি কয়েক মাস সময় নিতে পারে।নতুন ধরন এক্সইসির উপসর্গ: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এক্সইসির উপসর্গগুলো আগের সব কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের মতোই। যার মধ্যে রয়েছে জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্ষুধামন্দা এবং শরীরে ব্যথা।এই ধরনটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপ-পরিবারের সদস্য হওয়ায় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজগুলো দেওয়া হলে তা গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জনগণকে স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যবিধির চর্চা এবং পরিষ্কার বাতাস গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া গবেষকরা নতুন এই ধরনের উপসর্গগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এক্সইসিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।এইচএ
    বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক
    বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক। তিনি  বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি টাকা।তবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিশ্লেষকদের অধিকাংশের মতে, বর্তমানে মাস্কের সম্পদ যে গতিতে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে তার মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য পৌঁছাবে ১ ট্রিলিয়ন বা এক লক্ষ কোটি ডলারে। সেক্ষেত্রে এই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ারে পরিণত হবেন মাস্ক।অবশ্য এই ব্যাপারটি শুনতে যত সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতে এত সহজ নয়। কারণ এক্ষেত্রে মাস্কের দু’জন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। একজন হলেন কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার শীর্ষ নির্বাহী জেনসেন হুয়াং এবং আরেকজন ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানি।গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ১১ হাজার ১০০ কোটি (১১১ বিলিয়ন) ডলার এবং জেনসেন হুয়াংয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার ৪০০ কোটি (১০৪ বিলিয়ন) ডলার। বর্তমানে যে গতিতে তাদের সম্পদ বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০২৮ সাল নাগাদ এই দু’জন ট্রিলিয়নিয়ার হয়ে উঠবেন।অর্থাৎ নিকট ভবিষ্যতে মাস্ক যদি কোনো বড় ধরনের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন, সেক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবেন তিনি  বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন হুয়াং কিংবা আদানি।এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, প্রতি বছর ১১০ শতাংশ হারে বাড়ছে মাস্কের সম্পদ এবং তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনকটির নাম টেসলা। প্রতি বছর মাস্ক যে পরিমাণ আয় করেন, তার অর্ধেকেরও বেশি আসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি থেকে।টেসলা কোম্পানির ১৩ শতাংশ মালিকানা নিজের হাতে রেখেছেন মাস্ক। কোম্পানিতে তার শেয়ারের আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।বর্তমানে টেসলা থেকে নিয়মিত যে পরিমাণ মুনাফা আসছে মাস্কের, তাতে ছেদ না পড়লে ২০২৭ সাল শেষ হওয়ার আগে তার সম্পদ ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।সূত্র : সিএনএনএমআর
    বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক
    বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক। তিনি  বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি টাকা।তবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিশ্লেষকদের অধিকাংশের মতে, বর্তমানে মাস্কের সম্পদ যে গতিতে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে তার মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য পৌঁছাবে ১ ট্রিলিয়ন বা এক লক্ষ কোটি ডলারে। সেক্ষেত্রে এই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ারে পরিণত হবেন মাস্ক।অবশ্য এই ব্যাপারটি শুনতে যত সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতে এত সহজ নয়। কারণ এক্ষেত্রে মাস্কের দু’জন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। একজন হলেন কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার শীর্ষ নির্বাহী জেনসেন হুয়াং এবং আরেকজন ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানি।গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ১১ হাজার ১০০ কোটি (১১১ বিলিয়ন) ডলার এবং জেনসেন হুয়াংয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার ৪০০ কোটি (১০৪ বিলিয়ন) ডলার। বর্তমানে যে গতিতে তাদের সম্পদ বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০২৮ সাল নাগাদ এই দু’জন ট্রিলিয়নিয়ার হয়ে উঠবেন।অর্থাৎ নিকট ভবিষ্যতে মাস্ক যদি কোনো বড় ধরনের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন, সেক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবেন তিনি  বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন হুয়াং কিংবা আদানি।এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, প্রতি বছর ১১০ শতাংশ হারে বাড়ছে মাস্কের সম্পদ এবং তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনকটির নাম টেসলা। প্রতি বছর মাস্ক যে পরিমাণ আয় করেন, তার অর্ধেকেরও বেশি আসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি থেকে।টেসলা কোম্পানির ১৩ শতাংশ মালিকানা নিজের হাতে রেখেছেন মাস্ক। কোম্পানিতে তার শেয়ারের আর্থিক মূল্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।বর্তমানে টেসলা থেকে নিয়মিত যে পরিমাণ মুনাফা আসছে মাস্কের, তাতে ছেদ না পড়লে ২০২৭ সাল শেষ হওয়ার আগে তার সম্পদ ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।সূত্র : সিএনএনএমআর
    লেবাননে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৪৫০
    লেবাননে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের সিদন শহরে একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। সেই ধোঁয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।এর আগে লেবাননে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কাছে থাকা পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৩ হাজার জন।ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।লেবানিজ রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, লেবাননের একাধিক স্থানে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে।এ ঘটনার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।  বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থান থাকা দাহিয়া এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগের যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লেবাননে কয়েক হাজার পেজারে বিস্ফোরণের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয়ে পরবর্তী প্রায় ১ ঘণ্টা সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে।  আল জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য, মেডিকেল কর্মী এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবননজুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে।নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।  হিজবুল্লাহ এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি শত্রুদের দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ।হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিস্ফোরণে আমাদের আট যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্যই এই পাপপূর্ণ আগ্রাসনের জন্য তার ন্যায্য শাস্তি পাবে।এমআর
    বাংলাদেশিসহ ২৪ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া
    রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের ২৩ জন অভিবাসীকে পুলিশি প্রহরায় নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর এক তরুণ বাংলাদেশি অভিবাসীকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট।প্রথম দফায় পাঠানো ২৩ জনকে রোমানিয়ার আরাদ এবং ওটোপেনি শহরের আটক কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিবাসীদের মধ্যে ছিলেন ১৯ জন পুরুষ ও চারজন নারী।এই অভিবাসীরা বিভিন্ন কারণে রোমানিয়ায় অনিয়মিত হয়ে পড়ায় তাদের পুলিশি প্রহরায় ফেরত পাঠানো হয়। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, ভিয়েতনাম, নেপাল, আজারবাইজান, ইথিওপিয়া ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক।২৩ জনের মধ্যে ২২ জনই বৈধ ভিসা নিয়ে রোমানিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২০ জন ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসায় এবং দু’জন টুরিস্ট ভিসায় দেশটিতে যান। এছাড়া একজন অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে পৌঁছেছিলেন। এই ২৩ অভিবাসীকে বেশ কয়েকটি আলাদা ফ্লাইটে দেশটির ক্লুজ নাপোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বুখারেস্টে অবস্থিত হেনরি কোয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কার করা হয়।দেশ ছাড়ার সময় ২৩ অভিবাসীকে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনের অঞ্চলে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আংশিকভাবে ইউরোপের অবাধ চলাচল অঞ্চল শেনজেন জোনে প্রবেশের পর থেকেই দেশটির অভিবাসন পুলিশ অভিবাসন প্রবাহের দক্ষ ব্যবস্থাপনা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন ২৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণকে ঢাকার উদ্দেশে ফেরত পাঠায় রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ। তিনি ২০২৩ সালে বৈধ ভিসা নিয়ে গেলেও ভিসার মেয়াদ নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।পরে তাকে বুখারেস্টের হেনরি কোয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট যোগে ফেরত পাঠানো হয়। সীমান্ত ত্যাগের সময় তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোমানিয়া, ইইউ, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।রোমানিয়া আংশিক শেনজেনে প্রবেশের অর্থ হলো দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের অনুমতি থাকলে তারা বিমানযোগে শেনজেন জোনে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তারা চাইলেই সড়ক পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন না।এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আসা নিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা নিয়োগকর্তা কিংবা অন্যান্য কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়েন, তারা অনিয়মিত উপায়ে লরি কিংবা কোনও গাড়িতে চড়ে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চান। কিন্তু সীমান্তগুলোতে বুলগেরিয়া, তুরস্ক এবং রোমানিয়ার যৌথ টহলে প্রায়ই ধরা পড়েন অভিবাসীরা। সীমান্তে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি সিদ্ধান্ত জারি করে কর্তৃপক্ষ। ইনফোমাইগ্রেন্টস।এসএফ 
    ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে ২০০ হাতি মারবে জিম্বাবুয়ে সরকার
    জিম্বাবুয়েতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগানের জন্য ২০০ হাতি হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এভাবে হাতি মারার পরিকল্পনা করছে দেশটি।চার দশকের মধ্যে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো। পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। চলতি মাসের শুরুতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগান দিতে হাতি, জলহস্তি, জেব্রাসহ ৭শ’র বেশি প্রাণী মারার ঘোষণা দেয় নামিবিয়া। এবার একই রকম সিদ্ধান্তে পা বাড়িয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ জিম্বাবুয়ে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ জানায়, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান দেয়ার জন্য ২০০টি হাতি মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মানুষকে খাওয়ানোর জন্য ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিলো জিম্বাবুয়ে।দেশটিতে মোট হাতির সংখ্যা ৮৪ হাজার। কিন্তু হাতি ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। বিশ্বে হাতির সর্বোচ্চ সংখ্যার দিক দিয়ে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হাতিগুলোকে মারার মাধ্যমে দেশটির বনগুলোতে হাতির সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকরা। যার কারণে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের হিসাব মতে, জিম্বাবুয়ের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি দেশ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়াজুড়ে বিস্তৃত একটি সংরক্ষণ এলাকায় ২ লাখেরও বেশি হাতি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।এবি 
    ২৭ দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
    করোনাভাইরাসের এক্সইসি নামের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার এই ধরন শিগগিরই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার নতুন ওই ধরনটি জার্মানিতে প্রথম শনাক্ত হয় গত জুনে। এরপর থেকে এক্সইসি ধরনটি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনটি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপগোত্রীয়। তবে এক্সইসি ধরনে নতুন করে রূপান্তর ঘটেছে। এর ফলে চলতি শরতে ইউরোপে করোনার নতুন এই ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও করোনার টিকা এখনও গুরুতর ক্ষেত্রে এই ধরনকে প্রতিরোধে সহায়তা করবে।করোনার আগের উপধরন ওমিক্রনের কেএস.১.১ এবং কেপি.৩.৩ এর মিশ্রণে শঙ্কর ধরনে রূপ নিয়েছে এক্সইসি। বর্তমানে ইউরোপজুড়ে এই ধরনের সংক্রমণের ব্যাপক আধিপত্য দেখা গেছে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, করোনার নতুন ধরনটি এখন পর্যন্ত পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ অন্তত ২৭টি দেশের ৫০০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে এই ধরনের প্রকোপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেছেন, সাম্প্রতিক অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এক্সইসি ভ্যারিয়েন্টের মানুষের মাঝে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। তারপরও করোনার ভ্যাকসিনগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভালো সুরক্ষা দিতে পারে। আর শীতকালে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে উচ্চগতি দেখা যেতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এরিক টোপোল বলেছেন, এক্সইসির সংক্রমণ মাত্র শুরু হচ্ছে। এক্সইসির ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে নতুন এই ধরনটি কয়েক মাস সময় নিতে চলেছে।• নতুন ধরন এক্সইসির উপসর্গ কী?করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এক্সইসির উপসর্গগুলো আগের সব কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের মতোই। যার মধ্যে রয়েছে জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্ষুধামন্দা এবং শরীরে ব্যথা। এই ধরনটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপ-পরিবারের সদস্য হওয়ায় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজগুলো দেওয়া হলে তা গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জনগণকে স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যবিধির চর্চা এবং পরিষ্কার বাতাস গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া গবেষকরা নতুন এই ধরনের উপসর্গগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এক্সইসিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এসএফ 

    Loading…