বিয়েতে নাচতে নাচতে হার্ট অ্যাটাক করে তরুণীর মৃত্যু
খুশির দিনে নেমে এল শোকের অন্ধকার। বিয়েতে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবতীর। পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি রিসোর্টে। ওই যুবতীর নাম পরিণীতা জৈন (২৩)। জানা গিয়েছে, এক আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার সময় আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরিণীতা। তখন সকলে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।জানা গিয়েছে, পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। পরিণীতা তখন ‘লেহরা কে বলখা কে’ নামে একটি বলিউড গানের তালে নাচছিলেন। তখন তিনি হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থলে শোরগোল পড়ে যায়। তখন পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে ছুটে আসে। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারে শোকের ছায়া নামে। জানা গিয়েছে, পরিণীতা এমবিএ স্নাতক ছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইন্দোরের দক্ষিণ তুকোগঞ্জে থাকতেন।উল্লেখ্য, ১২ বছর বয়সে তাঁর ভাইও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। তবে, মধ্যপ্রদেশে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে, আগর মালওয়া জেলায় ক্রিকেট খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি যোগব্যায়াম অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে নাচতে নাচতে ৭৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।জুন মাসে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তর প্রদেশের নৈনিতাল জেলায় বিয়ের আগে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন দিল্লির ২৮ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়। অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে তিনি হৃদরোগে মারা গিয়েছিলেন।এর আগে, ২০২৩ সালে বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতেই মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। জানা গিয়েছিল, মৃত যুবকের নাম মুত্যম সে তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার কুভীর মণ্ডলের পরদি নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ গান করে বেশ আনন্দ করছিল ১৯ বছর বয়সের ছেলেটা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে শার্টের সামনের বোতাম খুলে গানের তালে তালে নাচছিল সে। ভেতরের গেঞ্জি দেখিয়ে বলিউড তারকার মতো কোমর দোলাচ্ছিল সে। তবে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেই যুবক।সঙ্গে সঙ্গে ভাইঁসাতে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালেই কলেজ ফেস্টে নাচতে নাচতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মাস্টার্সের এক ছাত্র। মৃত ছাত্রের নাম, অভিজিৎ শিন্ডে। তাঁর বয়স ২৬ বছর। অভিজিৎ মহারাষ্ট্রে নাসিকের বাসিন্দা। সে বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এভাবে এক ছাত্রের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। এর আগে হায়দরাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকা মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। জিম করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়।এবি