ব্যাংক খাতের সংস্কার ও খেলাপি ঋণ থেকে মুক্তি কীভাবে?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। ওই দিনই তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ৩৬ দিনের এ আন্দোলনে অনেক ছাত্র-জনতা ও পুলিশ মারা যাওয়ার পাশাপাশি দেশে আইনশৃঙ্খলায় ব্যাপক অবনতি ঘটে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। দেশের এই সংকটময় সময়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আইন শৃংখলা স্বাভাবিক ও ভেঙে পড়া আর্থিক খাত সংস্কার করা। এছাড়া নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে চলমান বিভিন্ন কাজ/প্রজেক্ট শেষ করার অনিশ্চয়তা। বিদেশে অর্থ পাচার হওয়ার পাশাপাশি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাজুক অবস্থা। তারমধ্যে খেলাপি ঋণ তো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কেননা নতুন রাষ্ট্র গঠনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। খেলাপি ঋণ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমবেশি হয়। তবে বাংলাদেশের মতো সমসাময়িক অর্থনীতির দেশে লাখ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার খেলাপি ঋণ স্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা এ সমস্যা সঠিকভাবে তদারকির অভাবে ধীরে ধীরে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩, এন অ্যাক্ট-১৩৮ বেশি ব্যবহার করা হয়।আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ আদায়ের জন্য প্রচলিত আইনের অধিকতর সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইনানুযায়ী ২০০৩ সালে অর্থঋণ আদালতের যাত্রা। এ আইনের কার্যকারিতাকে দেশের অন্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই স্থাপিত করা হয়েছিল অর্থঋণ আদালত। সময়ের বিবর্তনে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বহুগুণ বেড়েছে। তাই অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি নতুন করে আলাদা Negotiable Instrument Act-1881 আদালত প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। বর্তমানে আদালতের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা ও বিচারক সল্পতার কারণে মানুষ এখন আদালত বিমুখ আচরণ করেন। যার ফলে আর্থিক খাত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় ঋণ খেলাপিরা। এর থেকে মুক্তি পেতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।০১। অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করার জন্য আদালত দায়িককে ৬ মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখতে পারবে। ৩৪(১২) ধারা অনুযায়ী, কোন একজন দায়িককে একবার গ্রেফতার করে পরিপূর্ণ মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হলে, তাকে পুনরায় গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাবে না। এক্ষেত্রে আটকাদেশের মেয়াদ শুধু ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং খেলাপি ঋণের টাকার পরিমাণ অনুযায়ী তা ৬ মাস হতে ৬ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।০২। অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ধারা ৪৬ অনুযায়ী কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পাদিত চুক্তি বা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতা হতে ঋণ পরিশোধ সূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ শুরু হবার পরবর্তী- (ক) প্রথম এক বছরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ১০%, বা (খ) প্রথম দুই বছরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ১৫%, বা (গ) প্রথম তিন বছরে প্রাপ্য অর্থের অন্যুন ২৫% পরিমাণ অর্থ আদায় না হলে, পরবর্তী এক বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে। আর উল্লিখিত ঋণ পরিশোধ সূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সাকুল্য মেয়াদ ৩ (তিন) বছর অপেক্ষা কম হলে উক্ত নির্ধারিত সাকুল্য মেয়াদের মধ্যে আদায়ের পরিমাণ ২০% অপেক্ষা কম হলে তার পরবর্তী ১ (এক) বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে। ০৩। মামলা চলাকালীন অর্থঋণ আদালতের কোন আদেশ বা ডিক্রীকে চ্যালেঞ্জ করে ঋণগ্রহীতা মহামান্য হাইকোর্টে কোন রিট মামলা দায়ের করলে সেক্ষেত্রে দেখা যায় উক্ত রিট মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত অর্থঋণ বা অর্থজারী মামলা উপর স্থগিতাদেশ আসে। এতে বছরের পর বছর মামলা স্থগিত হয়ে থাকে। এতে একদিকে যেমন আদালতের ঘাড়ে মামলা জট বাড়ে তেমন অন্যদিকে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে রিট মামলা দায়েরের সময় ঋণগ্রহীতা যাতে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ পাওনা টাকার ২০% বা ২৫% টাকা জমা দিয়েই রিট করে তেমন বিধান করা যেতে পারে।০৪। অর্থঋণ আদালত আইনের অধীনে মামলা দায়ের ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরল বিশ্বাসে কোন কর্ম করে থাকলে, সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির ক্ষমতা আদালতের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যাতে মামলা পরিচালনায় তারা অহেতুক হয়রানির শিকার না হন।০৫। ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করার প্রয়াস হিসাবে দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা ছাড়াও আরও কীভাবে বাধ্য করা যায় সেই বিষয়ে অর্থঋণ আদালত আইনে কিছু বিধান যুক্ত করা যেতে পারে। যেমন: পাসপোর্ট জব্দের ক্ষমতা, নতুন ব্যবসা করতে না পারা, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে না পারা, যে কোনো লাইসেন্স নিতে না পারার বিধানও এই আইনে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।০৬। আইনে ঋণগ্রহীতার উত্তরাধিকারদেরও ঋণ গ্রহীতার মতই সমান দায়ি করে মামলা চালাবার বিধান রাখতে হবে যদি তারা মৃত ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি ভোগ করে থাকে। তাই তাদেরও দেওয়ানী আটকাদেশের আওতায় আনতে হবে। এর অন্যথা হলে উত্তরাধিকারীরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী হবে না।০৭। বিদ্যমান আইনে অর্থঋণ মামলার জারী পর্যায়ে নিলামের ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র। মূল মামলায়ও যাতে উপযুক্ত ক্রেতা পেলে নিলামের মাধ্যমে জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা সমন্বয় করা যায় সেই বিধান করতে হবে। অর্থাৎ মূল মামলা দায়েরের দিন থেকে রায়ের আগ পর্যন্ত নিলাম এর বিধান রাখা হয়।০৮। অর্থঋণ মূল মামলায় সাক্ষীর পর্যায় সংক্ষিপ্ত রাখার বিধান করা ও দ্রুত শেষ করা। যেমন: বিবাদী যাতে অহেতুক জেরার নামে সময় ক্ষেপন করতে না পারে।০৯। খেলাপি ঋণের দাবি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সেক্ষেত্রে এর বিপরীতে দায়েরকৃত আপিল/রিভিশন মামলা জেলা জজ আদালতে নিষ্পত্তির বিধান করা।১০। দায়েরকৃত অর্থঋণ মামলায় যদি কোন জামানত না থাকে সেক্ষেত্রে ঋণ খেলাপির মালিকানাধীন সম্পত্তির ক্রোকের জন্য খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশের বিশেষ বা প্রশাসনের অন্য কোন সংস্থাকে দায়িত্ব অর্পনের বিধান করা। যেহেতু প্রশাসনের যথেষ্ট ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে এসব খুঁজে বের করার।১১। মামলায় ঋণ খেলাপি, জামিনদার, বন্ধকদাতার পাশাপাশি সিএনএফ এজেন্ট, কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষকে পক্ষভুক্ত করার বিধান রাখা যাদের অপরাধমূলক সহযোগিতায় কোন ঋণ খেলাপির উৎপত্তি হয়েছে।১২। অর্থঋণ সংক্রান্ত দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশে এ আদালতের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু সেই তুলনায় মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। আদালতের তুলনায় মামলা বেশি বলে মামলাগুলোর মেরিট বিবেচনায় নিষ্পত্তি হতে সময় বেশি লেগে যাচ্ছে। ১৩। অর্থঋণ মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে মধ্যস্থতা কার্যক্রম মামলাকে বিলম্বিত করে। এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অর্থঋণ মামলায় মধ্যস্থতা কার্যক্রম সফল হয় না। সেক্ষেত্রে এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলায় মধ্যস্থতা কার্যক্রম বাতিল করা উচিত।১৪। খেলাপি ঋণের দায় আদায়ে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শুধু নিম্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের উপর দায় না চাপিয়ে আইনের মাধ্যমে উক্ত দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উচ্চ বা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপরও দায় দায়িত্ব সমভাবে অর্পণ করা সমীচীন। এতে দেশে খেলাপি ঋণের দায় আদায় জোরদার হবে।১৫। অনেক সময় বিবাদী পক্ষ অর্থাৎ ঋণ খেলাপিরা উচ্চ আদালতে সংশ্লিষ্ট মামলার বিষয়ে বা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেছে মর্মে লইয়ার সার্টিফিকেট নিয়ে এসে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর মামলা স্থগিত করে রাখে। যদিও পরে দেখা যায় এতে উচ্চ আদালত হতে কোন স্থগিত আদেশ প্রদান করা হয়নি। আবার অনেক সময় দেখা যায়, পরবর্তী ধার্য তারিখে বিবাদীপক্ষ স্থগিত আদেশের সার্টিফাইড কপি দাখিল করবে বলে আদালতে বার বার সময়ের আবেদন দেয়। এভাবে তারা সময় ক্ষেপণ করে প্রতিটা ধার্য তারিখে। এটা মূলত আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল। তাই আইন করে এসব বন্ধ করা উচিত। বিশেষ করে মূল অর্থঋণ মামলায় বিজ্ঞ আদালতের এই বিষয়টা বিবেচনায় আনা উচিত।১৬। আইনে মামলার আর্জিতে ঋণগ্রহীতার বন্ধককৃত সম্পত্তি বাদে অন্যান্য সম্পত্তিও যাতে আলাদা সিডিউল আকারে যুক্ত করা যায় তদরূপ বিধান করা। যাতে করে বন্ধককৃত সম্পত্তি হতে কোন কারণে ঋণের দায় আদায় না হলেও বা কোন বন্ধক ত্রুটিপূর্ণ হলেও উক্ত বর্ণিত অপরাপর সম্পত্তিসমূহ হতে ঋণের দায় আদায় করা যায়। এছাড়াও এতে আদালতের কাছে ঋণ গ্রহীতার ঋণ পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতার চিত্র ফুটে উঠবে।১৭। আইনে মামলা পরিচালনাকালে ঋণ বিতরণে দৃশ্যমান অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আদালত কর্তৃক তা দুদক, সিআইডি বা পিবিআইকে তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দানের বিষয় যুক্ত করার বিধান আনা। এর ফলে ঋণ বিতরণের সময় ব্যাংকাররা আরও সচেতন হবে।১৮। কারো বিরুদ্ধে ঋণের দায় আদায়ে মামলা হলে সেক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালত ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে বিবাদীর বিদেশ যাত্রার অনুমতির বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া মামলাধীন কোন ঋণ খেলাপি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।১৯। মামলার শুরুতেই আদালতকে বন্ধকী সম্পত্তি সনাক্ত ও মূল্যায়নের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া। এতে অচিহ্নিত বন্ধকী সম্পত্তি কিংবা মূল্য সম্পর্কে শুরুতে আদালত ধারণা পেলে তাতে মামলার গতিপথ এমনভাবে নির্ধারিত হবে যা মামলা জট নিরসনে ভুমিকা রাখবে।২০। বিবাদী জবাব দেওয়ার পরে আর হাজির না হলে উক্ত মামলায় একতরফা রায় না হয়ে দো তরফা রায় হবে মর্মে বিধান করা। এতে বিবাদী পরিবর্তিততে এক তরফা রায়ের অযুহাতে মিস মামলা করে মামলা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। যেহেতু মিস মামলা আদালতে মামলা জট বাড়ায়।২১। বিদেশে পলাতক ঋণ খেলাপিদের যাতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা যায় তৎবিষয়ে আদালতের আদেশ দানের বিষয়েও ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করা প্রয়োজন। এমন কোন বিধান অর্থঋণ আদালত আইনে সংযুক্ত করা যায়।২২। অর্থঋণ আইনে ফৌজদারি মামলার মত স্বশরীরে ঋণগ্রহীতা আদালতে হাজির থাকা এবং পাওয়ার অব অটর্নী দিয়ে অর্থঋণ মামলা পরিচালনা না করার বিধান যুক্ত করা। অর্থাৎ বিদেশে অবস্থান করে মামলা পরিচালনা নিষিদ্ধ করা। অর্থঋণ মামলা দায়ের হবার সঙ্গে সঙ্গে আদালত কর্তৃক ঋণ খেলাপির পাসপোর্ট জব্দ করার ও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সরাসরি বিধান যুক্ত করা।২৩। বিবাদীর বন্ধকী সম্পত্তি ব্যতীত অপরাপর সম্পত্তির সন্ধান পেলে মূল অর্থঋণ মামলার যেকোন পর্যায়ে তা অর্থঋণ আদালত কর্তৃক সরাসরি ক্রোক করার বিধান আনায়ন করা।২৪। সর্বোপরি অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম যাতে দ্রুত শেষ হয় সে জন্য পর্যাপ্ত বিচারক ও কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা উচিত।