এইমাত্র
  • ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান গ্রেপ্তার
  • আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম
  • মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে কী ঘটে, অবশেষে হাজার বছরের রহস্যের জট খুলল
  • কারখানার মালিক হওয়াই কি অপরাধ শহিদুজ্জামান শুভ'র?
  • 'স্বাভাবিক মৃত্যু'কে ফরেনসিকের কারিশমায় হত্যা প্রমাণের অভিযোগ
  • সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • 'এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়' তাহসান খানের বিয়ে প্রসঙ্গে মিথিলা
  • নতুন বিজ্ঞাপনে চিত্রনায়ক ইমন, সঙ্গী তার স্ত্রী আয়েশা
  • ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৬
  • মিরপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ আ.লীগের ৫ নেতা কর্মী গ্রেফতার
  • আজ মঙ্গলবার, ২৭ মাঘ, ১৪৩১ | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    খেলা

    সিকান্দার রাজার ঝড়ে আইএল টি-২০ চ্যাম্পিয়ন দুবাই ক্যাপিটালস
    দুবাই ক্যাপিটালসের শেষ দুই ওভারে দরকার ২৪ রান। তার ঠিক আগেই আউট অন ৩৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলা রভম্যান পাওয়েল। ম্যাচ তখন ফিফটি-ফিফটি। পাওয়েলের ওপর পড়া আলোটুকু এরপর নিজের ওপর নিলেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।ছোট দলের এই বড় খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দিনকে দিন হটকেকে পরিণত হচ্ছেন। জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার এবার শেষের ঝড়ে আইএল টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন করলেন দুবাই ক্যাপিটালসকে।মোহাম্মদ আমিরের করা ১৯তম ওভারে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ দুবাইয়ের করে দেন রাজা। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেও হাঁকান ছক্কা আর চার। রাজাকে নিয়ে উল্লাসে মাতে দুবাই।রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডেজার্ট ভাইপারসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্যাম বিলিংসের দুবাই ক্যাপিটালস।দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহই গড়ে ডেজার্ট ভাইপারস। ম্যাক্স হল্ডেন ৫১ বলে করেন ৭৬ রান। শেষদিকে স্যাম কারান ৩৩ বলে অপরাজিত ৬২ আর আজম খান ১৩ বলে খেলেন হার না মানা ২৭ রানের ইনিংস।জবাবে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শাই হোপ ধরে খেলতে থাকেন। ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন ক্যারিবীয় ওপেনার। তবে আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রভম্যান পাওয়েল ঝড় তুলে দলকে জয়ের পথ গড়ে দেন। ৩৮ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৬৩ রান।মাঝে ১০ বলে ২১ রান করে দিয়ে যান দাসুন শানাকা। এরপরের দায়িত্বটুকু একাই সামলেছেন সিকান্দার রাজা। ১২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় হার না মানা ৩৪ রানে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার।এবি 
    প্লাইমাউথের কাছে হেরে হতাশা নিয়ে লিভারপুলের বিদায়
    চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে রয়েছে লিভারপুল। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই শীর্ষে আছে তারা। এরই মধ্যে লিগ কাপের ফাইনালেও উঠে গেছে স্লটের দল। তবে হঠাৎ এক বড় ধাক্কা খেলে অল রেডরা। এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের দল প্লাইমাউথের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিভারপুল।দ্বিতীয় বিভাগে রেলিগেশন থেকে বাঁচতে লড়ছে প্লাইমাউথ। বর্তমানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগে লিগ টেবিলের তলানিতে আছে দলটি। সেই প্লাইমাউথের কাছেই কিনা এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নিল লিভারপুল। ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেন রায়ান হার্ডি। প্লাইমাউথের বিপক্ষে খেলা হওয়ায় তুলনামূলক দুর্বল দলই নামায় লিভারপুল কোচ। নিয়মিত সেরা একাদশে খেলার কেউই ছিল না এই দলে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে প্লাইমাউথ। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রায়ান হার্ডি। এই গোলই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়।পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ দল লিভারপুলের দখলে ছিল। তার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের দিকে ১৪টি শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি কিয়েজা-নুনেজরা।এদিকে ব্যস্ত সময় পার করছে লিভারপুল। দুইদিন আগেই টটেনহ্যামকে লিগ কাপের সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি লিগে এভারটনের মুখোমুখি হবে অল রেডরা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি উলভসের বিপক্ষে খেলবে স্লটের দল। এমআর
    বরিশালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীদের ঢল
    বহুল কাঙ্ক্ষিত ফরচুন বরিশালের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং দেশি-বিদেশী খেলোয়াররা ইতিমধ্যে বরিশালের মাঠি বেলস্ পার্কে এসে পৌঁছেছেন। তাও একটি নয়, পরপর ২টি ট্রফি নিয়ে এই প্রথমবারের মতো তারা ধান, নদী আর খালের বরিশালে। যা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রদর্শনী করা হবে। এরইমধ্যে ট্রফি দেখতে ক্রিকেট প্রেমীদের ঢল নেমেছে।এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে আজ রবিবার দুপুর ১টায় বরিশাল বিমানবন্দর থেকে খোলোয়ারসহ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নগরীর বেলস্ পার্ক আসে মাঠে আসে।এদিকে সকাল থেকেই বিপিএলের বিজয়ী ট্রফি এবং খেলোয়ারদের দেখতে বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেলস্ পার্কে অবস্থান করে এ অঞ্চলের ক্রিকেট প্রেমীরা। উৎসুক জনতার ভিড়ে বেলস্ পার্ক মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। খেলোয়ার মুসফিক, তামিম ইকবাল,মাহমুদুল্লহি রিয়াদ, তাওহিদ, হৃদয়, শান্তসহ দলের সকল খেলোয়ারদের দেখতে সকাল থেকেই মাঠ দখলে রেখেছে ক্রিকেট ভক্তরা।ফরচুর বরিশাল টিমের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় টিম, বিদেশী খেলোয়ারসহ ২২ জন এবং টিম ম্যানেজার, কোচসহ আরো ৪০ জনের একটি দল বরিশালে আসেন। পাশাপাশি ক্রিকেট প্রেমীদেরকে বিনোদনের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। তবে বরিশালের সকল ক্রিকেট প্রেমীদের দাবী আগামীতে এই বিপিএল খেলা যাতে বরিশালের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এমআর-২
    বরিশালের ভক্ত-সমর্থকদের জন্য আজ উম্মুক্ত হবে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি
    ফরচুন বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বরিশালে আসছেন তারা। ইতিহাস গড়া ফাইনাল জয়ের পর গোটা বরিশালজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ।টানা দুইবার শিরোপা জয় উদযাপন করতে চ্যাম্পিয়ান ট্রফিসহ আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বিমানযোগে বরিশালে আসেন তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশালের অন্যান্য ক্রিকেটাররা।বরিশাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ট্রফিসহ খেলোয়াড়রা এসে প্রথমে যান বিসিকের প্রাইমারে। সেখান থেকে দুপুরের খাবারের পর বরিশাল নগরীর বেলস্ পার্কে চ্যাম্পিয়ান ট্রফিসহ খেলোয়াড়রা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।ভক্ত-সমর্থকরা সরাসরি এবং বড় পর্দায় দেখতে পারবেন চ্যাম্পিয়ান ট্রফি ও খেলোয়ারদের।বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফরচুন বরিশালের ভক্ত-সমর্থকদের দাবি ছিলো ট্রফি নিয়ে লঞ্চে আসার জন্য। আমাদেরও সেই পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু সময় স্বল্পতা ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য সমর্থকদের দাবি রাখা সম্ভব হয়নি। যে কারণে বিমানযোগে আসার প্রোগ্রাম করা হয়েছে।তবে দুপুর আড়াইটায় বরিশালের ঐতিহাসিক বেলস্ পার্কে দেশী-বিদেশী খেলোয়ারদের সাথে নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেল।এমআর-২
    ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো শ্রীলঙ্কা
    ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। সিরেজর প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও লড়াই জমাতে পারেনি স্বাগতিকরা। লঙ্কান ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় টেস্টেও ভরাডুবি হয় তাদের। গলে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিনের লাঞ্চের আগেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ। শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে অজিরা। তৃতীয় দিনের ৮ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে নেমে আর ২০ রান যোগ করেই থামে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ৭৫ রানের সহজ লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। এই লক্ষ্যে নেমে ৮ম ওভারে ট্রেভিস (২৩ বলে ২০) ট্রেভিস হেডকে হারালেও উসমান খাওয়াজা-মারনাশ লাবুশানে মিলে বাকি কাজ সেরে ফেলেন সহজে। মূলত প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ হেরে বসে শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে নেমে তারা করে ২৫৭ রান। জবাবে স্মিথ ও আলেক্স কেয়ারির সেঞ্চুরিতে ৪১৪ রান করে বড় লিড নেয় সফরকারী দল। প্রবল চাপে দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রত্যাশিত দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। নিজেদের মাঠে ন্যাথান লায়ন, ম্যাথু কুহেনম্যানের স্পিনে ডুবে হাবুডুবু খায় দলটি। কুশল মেন্ডিস দুই ইনিংসেই ফিফটি করে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬ রান করে রাখেন অবদান। তবে বাকি ব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় হতাশায় ডুবতে হয় লঙ্কানদের।এই সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্র শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দলটি ১৯ টেস্টে পেল ১৩ জয়। এই চক্রে প্রথম দিকে ভালো করা শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ১৩ টেস্টে ৫ জয় নিয়ে শেষ করল ছয় নম্বরে।এবি 
    ইতিহাস গড়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
    বিপিএলে ২০১৭ সালের ফাইনালে ২০৬ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ক্যাপিটালস ওই রানের ধারে কাছে যেতে পারেনি। ২০১৯ এর আসরে ১৯৯ রান করে ১৭ রানে জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবার তাই জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো ফরচুন বরিশালের। তাড়া করতে হতো রেকর্ড ১৯৫ রান। ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে বরিশাল ওই রান তুলে ফেলেছে। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে টানা দু’বার বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চিটাগং কিংস। ওপেনিং জুটিতে ১২.৪ ওভারে ১২১ রান তোলে তারা। ওই জুটির ওপর ভিত্তি করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। জবাবে বরিশালও ওপেনিং জুটিতে ৮.১ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে। তামিম ও হৃদয়ের দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে কাইল মায়ার্স ও রিশাদ হোসেন বরিশালকে জয় এনে দিয়েছেন।চিটাগং কিংসের হয়ে ২২ বছর বয়সী পাকিস্তানি ওপেনার খাজা নাফি ৪৪ বলে ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ফিফটির পথে তার ব্যাট থেকে সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কার শট আসে। বিপিএলের শুরুতে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পেরে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের তোপে পড়া ওপেনার পারভেজ ইমন ৪৯ বলে হার না মানা ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট থেকে ২৩ বলে ৪৪ রান আসে। তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন তিনি।বরিশালের হয়ে ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ২৯ বলে ৫৪ রান যোগ করেন। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন। টুর্নামেন্টে তামিম তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬৭ রান করেছেন। তার ওপরে আছেন কেবল নাঈম শেখ (৫১১) ও তানজিদ তামিম (৪৮৫)। তার সঙ্গে জুটি গড়া ওপেনার হৃদয় ২৮ বলে তিন চারের শটে ৩২ রান করেন। বরিশালকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কাইল মায়ার্স। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ওই জুটিতে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে বরিশাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার মায়ার্স ২৮ বলে ৪৬ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা তোলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ৭ রান করলেও ৬ বলে দুই ছক্কায় ১৮ রান করেন রিশাদ হোসেন।চিটাগং কিংস ম্যাচ হেরেছে দুই ইনিংসেরই শেষ ৫ ওভারে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু পেয়েও শেষ ৪ ওভারে তারা মাত্র ৩১ রান নিতে পারে তারা। একইভাবে বল হাতে শেষ ৫ ওভারে রান তো চিটাগং আটকাতেই পারেনি বরং একাধিক ফিল্ডিং মিস করেছে। এর মধ্যে ১৬তম ওভারেই দুই চার ছেড়েছে তারা। ১৮তম ওভারে ফিল্ডিং মিসে রান দিয়েছে তারা। শেষ ২ ওভারে ২০ রান তাই আটকে পারেনি চিটাগং। এফএস
    এগিয়ে আনা হলো বিপিএলের ফাইনাল
    বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংসের মধ্যকার ম্যাচটি সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। বিসিবি এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের ফাইনালের প্রথম ইনিংস শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ইনিংসটি সাড়ে ৭টার মধ্যে শেষ করে ৭টা ৫০ পর্যন্ত থাকবে বিরতি। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হবে ৭টা ৫০ মিনিটে।চলতি বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে পা রেখেছে ফরচুন বরিশাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারার পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে চট্টগ্রাম কিংস। এফএস
    রোনালদো-নেইমার-তেভেজদের জন্মদিন আজ
    সুপারস্টারদের জন্মদিন মানেই ভক্তদের আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ্য। আর সেখানে যদি একগাদা ফুটবল তারকার তালিকা থাকে তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে যেনো আজ পড়েছে শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক। রোনালদো-নেইমার-তেভেজের একই জন্মদিন অনেকের জানা। তবে ফুটবলের প্রতিভাপ্রসবা এই দিনটা শুধু এই তিনজনেরই নয়। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা রোনালদো আর নেইমারের পাশাপাশি আজকের দিনে পৃথিবীর আলো দেখেছেন সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ও কোচ পাওলো সিজার মালদিনি, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ, রোমানিয়ার কিংবদন্তী গিওর্গি হ্যাজি ও সফল কোচ সভেন গোরান এরিকসন।ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন তো আর শুধু তাঁর সময়ের নন, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন। নেইমারের আবির্ভাব সর্বকালের সেরাদের মধ্যে যাওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এখনো সেখানে যেতে পারেননি, সময় ফুরিয়ে এলেও একদম শেষ হয়ে যায়নি। তবে নিজের সময়ের সেরাদের মধ্যে অবশ্যই থাকবেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। কার্লোস তেভেজের শুরুটাও ‘নতুন ম্যারাডোনা’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আরও অনেক আর্জেন্টাইনের মতো তিনিও সেটা হতে পারেননি। কিন্তু নিজের সময়ে ক্লাব ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন তেভেজ। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে জন্ম নিয়েছিলেন সিজারে মালদিনি নামের একজনও। মিলানের প্রতীক হয়ে যাওয়া মালদিনি পরিবারের প্রথম প্রজন্মের গল্পটা তার হাত ধরেই। ১৯৬৩ সালে মিলানকে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দেওয়া দলের অধিনায়ক ছিলেন, প্রিয় ক্লাবের এক যুগের ক্যারিয়ারে লিগও জিতেছেন চারবার। পরে কোচ হয়েও দুই দফায় মিলানের ডাগআউটে এসে জিতিয়েছেন উয়েফা কাপ, উইনার্স কাপ ও ইতালিয়ান কাপ। মিলানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারদের তালিকা করলে ছেলে পাওলোর সঙ্গে সিজারকেও রাখতেই হবে।৫ ফেব্রুয়ারিই জন্মেছিলেন গিওর্গি হ্যাজিও। রোমানিয়ার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার একজন তিনি নিঃসন্দেহে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিলেন বিশ্ব ফুটবলেরও অন্যতম সেরাদের একজন। ‘কার্পেথিয়ানসের ম্যারাডোনা’ হিসেবে খ্যাত হ্যাজির স্টুয়া বুখারেস্ট, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার হয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ছিলেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা রোমানিয়া দলের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা।এই বিখ্যাত ফুটবলারদের ভিড়ে একই দিনে জন্ম হয়েছিল এক বিখ্যাত কোচেরও— সভেন গোরান এরিকসন। সুইডিশ এই রাইটব্যাকের ফুটবল ক্যারিয়ার খুবই সাদামাটা। কিন্তু কোচ হিসেবে সাফল্য ঈর্ষণীয়। সুইডিশ আইসম্যান হিসেবে খ্যাত এরিকসন ক্লাব ও জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে দশটি দেশে কাজ করেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনটি আলাদা দেশে (সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালি) লিগ ও কাপের ডাবল জেতা প্রথম কোচও তিনি।এবি 
    টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে বরিশাল
    তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে আসরটির ফাইনালে উঠেছে তামিম ইকবালের দল। তবে হেরে গেলেও এখনই চিটাগংয়ের পথচলা শেষ হচ্ছে না। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে তারা। সেখানে জিতেতে পারলে ফাইনালে জায়গা করে নেবে।আজ সোমবার মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলা শুরু হয়। যেখানে শামীম হোসেনের দারুণ এক ইনিংসের সুবাদে প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্রথমে ব্যাট করা চিটাগং কিংস নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ও ১৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।যেখানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।চিটাগংয়ের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। এমনকি ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা বিপদেও পড়ে। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৭৭ রান তোলেন শামীম। ইমন ৩৬ বলে ৩৬ করে বিদায় নেন। কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাটিং করা শামীম আলীর বলে আউট হলেও ৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন।দলীয় ১৯তম ওভারে বল করেন মোহাম্মদ আলী। প্রথম বলে তিনি খালেদ আহমেদকে ফেরান। পরের বলে আরাফাত সানী এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। এবার তৃতীয় বলে ইনর্ফম শামীম হোসেনকে বিদায় করেন। পরের বলে শরিফুল ইসলাম এক রান নেন। আর শেষ দুই বলে এই পাকিস্তানি পেসার যথাক্রমে সানী ও আলিস আল ইসলামকে আউট করেন। এক ওভারে ৪ উইকেট ও ৪ ওভারের স্পেলে ২৪ রানে পান ৫ উইকেট।বরিশাল বোলারদের মধ্যে আলী ৪টি ও কাইল মেয়ার্স ২টি উইকেট দখল করেন।জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮.৪ ওভারে ৫৫ রান তোলেন অধিনায়ক তামিম ও হৃদয়। নবম ওভারে খালেদ আহমেদের বলে তামিম ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হন। কিন্তু এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি তাদের। হৃদয় খেলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের অপরাজিত জ্বলজ্বলে ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে চিটাগং। সেখানের জয়ী দল ফাইনালে যাবে।এফএস
    রংপুরকে বাড়ি পাঠিয়ে ফাইনালের আরও কাছে খুলনা
    যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—মিরপুরে আজ এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্স-রংপুর রাইডার্স ম্যাচের প্রথম ইনিংস দেখে এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে কোনো দল ১০০-এর আগে অলআউট হলে আর কী বাকি থাকে! খুলনা টাইগার্সও ম্যাচটা জিতেছে হেসেখেলে। ফাইনালে উঠতে হলে তাদের পেরোতে হবে আরও এক ধাপ।টানা চার ম্যাচ হারা রংপুর রাইডার্সের কাছে আজ জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ, এলিমিনেটরে হারা মানেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। রংপুর তাদের হারের ধারা বজায় রাখল এই ম্যাচেও। ৯ উইকেটে হেরে ২০২৫ বিপিএল থেকে ছিটকে গেল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর। নাঈম শেখের ছক্কার পর খুলনার ক্রিকেটারদের চোখেমুখে দেখা গেছে তৃপ্তির ঝলক। অন্যদিকে সোহানের চেহারায় হতাশার ছাপ স্পষ্ট।রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয়ী খুলনা টাইগার্সকে এখন খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন খুলনা তখন প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলকে। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে মিরপুরে শুরু হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের ফরচুন বরিশাল-চিটাগং কিংস ম্যাচ।৮৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ রানেই ভেঙে যায় খুলনা টাইগার্সের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের তৃতীয় বলে খুলনার অধিনায়ক মিরাজকে বোল্ড করেন আকিফ জাভেদ। মিরাজ মেরেছেন ডাক। তবে প্রথম ওভারে উইকেট হারালেও সেটা কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি খুলনার ওপর। দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম শেখ-অ্যালেক্স রসের জুটিতে রান উঠতে থাকে দ্রুত বেগে। নাঈম ব্যাটিং করতে থাকেন খুনে মেজাজে। ১০.২ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান করে ফেলে খুলনা। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাকিবুল হাসানকে কাভারের ওপর দিকে ছক্কা মেরে ৯ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেন নাঈম।৫২ বল হাতে রেখে পাওয়া খুলনার ৯ উইকেটের জয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন নাঈম। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচসেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে ১৬ রানে নেন ৩ উইকেট।এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সোহান। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে ১২.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ৫২ রানে পরিণত হয় দলটি। সেই সময় টেলএন্ডার জাভেদের ১৮ বলে ৩২ রানের ক্যামিওর কারণে ইনিংসটা একটু দীর্ঘায়িত হয়েছে। ১৮ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন।জাভেদের পর আজ রংপুরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন সোহান। জাভেদ-সোহান ছাড়া অন্যান্য ব্যাটারদের স্কোর ছিল মোবাইল নম্বরের মতো। সৌম্য সরকার ডাক মেরেছেন কোনো বল মোকাবিলা না করেই। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ভিন্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন সৌম্য। আজ যোগ দেওয়া তিন বিদেশি ভিন্স, রাসেল ও ডেভিড করেছেন ১,৪ ও ৭ রান। খুলনার মিরাজ, নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মিরাজ ৪ ওভারে ১০ রান খরচ করেছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান, মুশফিক ও নাওয়াজ।প্রথম ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর। তখন তাদের কাছে প্রথম কোয়ালিফায়ার মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। এরপরই সোহানদের দল হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি গুনে গুনে হারল টানা ৫ ম্যাচ। যার মধ্যে ছিল টুর্নামেন্টের আলোচিত দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুটি ম্যাচ।এবি
    ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার
    বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্বে থাকা হান্নান সরকার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সহকারী নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন হান্নান। জানা যায় তিনি বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিসিবির সূত্র জানায়, হান্নান সরকারের পদত্যাগ ছিল এক মাসের নোটিশে। তিনি নিজেও নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন। হান্নান ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বেতনে নিয়োগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বেতনটিকে আকর্ষণীয় মনে করেননি। নির্বাচকের পদ থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা এবং আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।হান্নান সরকার বলেন, নির্বাচকের পদটি সম্মানজনক হলেও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার মতো নয়। বেতন কম এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, তাই এই ধরনের চাকরি আমার জন্য উপযুক্ত নয়। কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আমি আগ্রহী, বিশেষ করে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আমাদের পথপ্রদর্শকের সহযোগিতায়। আশা করি, আমি একদিন জাতীয় দলের কোচ হতে পারব। এছাড়া, হান্নান বলেন, বিসিবিতে সম্মানজনক বেতন এবং স্থায়ী চাকরি পেলে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চান।এবি 
    শ্রীলঙ্কাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা দিলো অস্ট্রেলিয়া
    ম্যাচের ফল যেন ঠিক হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার রানপাহাড়ের জবাবে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে ধসের পর। ফলোঅনে পড়া শ্রীলঙ্কা পরাজয়ের ব্যবধান কতটা কমাতে পারে, সেটাই ছিল দেখার।তবে ঘরের মাঠেও লজ্জা থেকে বাঁচতে পারলো না শ্রীলঙ্কা। তাদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ই উপহার দিলো অস্ট্রেলিয়া। গল টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে এক ইনিংস এবং ২৪২ রানে।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জয়। আর নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয় লঙ্কানদের। এর আগে ২০১৭ সালে নাগপুরে ভারতের কাছে ইনিংস এবং ২৩৯ রানের হারই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়।উসমান খাজার ২৩২ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস আর স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইঙলিশের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।৪৮৯ রানে এগিয়ে থেকে লঙ্কানদের ফলোঅন করায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলে বড় পরাজয়ের প্রহর গুনছিল স্বাগতিকরা। এদিন বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়ার জয়ে অপেক্ষা বাড়িয়েছে।চতুর্থ দিনে প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এরপর ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে ২৪৭। নয় নম্বর ব্যাটার জেফ্রে ভেন্ডারসে কেবল ফিফটি (৫৩) পেয়েছেন। প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিয়ে আউট হন দিনেশ চান্দিমাল (৩১), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (৪১), কামিন্দু মেন্ডিস (৩২), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৩৯) আর কুশল মেন্ডিস (৩৪)।দুই স্পিনার ম্যাথিউ কুহনেম্যান আর নাথান লিয়ন নেন ৪টি করে উইকেট।এবি 
    ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফে খুলনা, রাজশাহীর বিদায়
    ম্যাচ শুরুর আগে দুর্বার রাজশাহী ছিল চারে। খুলনা টাইগার্স হারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেতো রাজশাহীর। তবে খুলনার পা পিছলে পড়েনি। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেরা চারে উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।গ্রুপপর্ব শেষে খুলনা আর রাজশাহীর পয়েন্ট সমান ১২। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় খুলনা উঠে গেছে চারে, নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। এক ধাপ নিচে নেমে বিদায় হয়ে গেছে রাজশাহীর। বোলাররাই খুলনার জয়ের ভিত গড়ে দেন। ঢাকাকে ৯ উইকেটে ১২৩ রানেই আটকে দেন তারা। ১৯ বল হাতে রেখে ১২৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে খুলনা এবং সেটা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে। মিরাজ ৫৫ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস খেলে দল জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।যদিও ছোট লক্ষ্য তাড়ায় খুলনাকে শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোহাম্মদ নাইম শেখ আর আফিফ হোসেনকে শূন্য রানেই সাজঘরের পথ দেখান কাটার মাস্টার। এরপর অ্যালেক্স রস ১৯ বলে ২২ আর উইলিয়াম বসিস্তু ২০ বলে করেন ১৮। মিরাজ এক প্রান্ত ধরে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় ঢাকা। লিটন দাসকে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। লিটন ১০ বলে ১০, হাবিবুর রহমান সোহান ৮ বলে ৩, ফারমানুল্লাহ ২০ বলে ৭ করেই সাজঘরে ফেরেন।২৮ বলে ফিফটি করা তানজিদ তামিমেরও ধৈর্য্যর বাধ ভাঙে। ৩৭ বলে ১ চার আর ৭ ছক্কায় ৫৮ রান করে আউট হন বাঁহাতি এই ওপেনার। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১৭ বলে ২০ আর মেহেদী হাসান রানা ১১ বলে ১৩ করলেও ঢাকার পুঁজি বড় হয়নি।হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট। ১০ রানে ২ উইকেট নেন উইলিয়াম বসিস্তু।এবি 
    এনামুল হক বিজয়কে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
    বিপিএলে স্পট ফিক্সিং বিতর্কে এবার সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। চলমান তদন্তের কারণে আপাতত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট। যদিও এখনও কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  জানা যায়,  বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হককে যেন দেশ ছাড়তে না দেওয়া হয়। এ ব‍্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব‍্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব‍্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে।’এ ব‍্যবস্থা অবশ‍্য আপৎকালীন। দুর্নীতি দমন বিভাগ নেমেছে তদন্তে। সে তদন্ত চলাকালে আপৎকালীন সিদ্ধান্ত হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করেছে বিসিবি। তবে তার ওপর আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হলে সেটা তুলে নেওয়া হবে শিগগিরই।এনামুল একা নন, রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটারকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে। আবার রাজশাহীসহ সব মিলিয়ে ১০ জন ক্রিকেটার ও চার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মনিটর করছে এসিইউ, এমনটাই কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে দেশের একটি গণমাধ্যম। ১০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দুইজন বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বাংলাদেশি খেলোয়াড় এবং দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার। 
    হোয়াইটওয়াশ হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করল বাংলাদেশ
    ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফর করছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই সফরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে তারা সেই সুযোগ আগেই হাতছাড়া করেছিল। ওয়ানডেতে একটি ম্যাচ জিতলেও, টি-টোয়েন্টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের হার দিয়ে তারা হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০৪ রান সংগ্রহ করেন তারা।সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কেই হয়েছে দুই ফরম্যাটের পুরো ৬ ম্যাচ। যেখানে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ নারী দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ ‍উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে। এদিন বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সফরকারী ব্যাটাররা। বিপরীতে বোলাররা লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি টিকে ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত। ৯ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা দেখেশুনে শুরু করলেও ২৪ রানে ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে (১২ বলে ১৩) হারায়। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তারও ঝড়ের আভাস দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ২১ রান করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন শারমিন আক্তার (৬), তাজ নেহার (১০) ও লতা মন্ডলরা (৫)। উইকেট হারানোর মিছিলে অধিনায়ক জ্যোতি যেমন যোগ্য পাননি, তেমনি রানের গতিও খুব একটা বাড়াতে পারেননি। খেলেছেন ৪৩ বলে ৩৩ রানের এক ধীরগতির ইনিংস।বাংলাদেশ অধিনায়ক ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে ২০ ওভারে তাদের পুঁজি দাঁড়ায় সর্বসাকুল্যে ১০৪ রান। বিপরীতে ক্যারিবীয় দলের পক্ষে জ্যানেলিয়া গ্লাসগো সর্বোচ্চ ৩ এবং জেইদা জেমস, অ্যাশমেনি মুনিসার ও অ্যাফি ফ্লেচার ১টি করে উইকেট নেন।পিএম

    Loading…