এইমাত্র
  • লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যায় অংশ নেওয়া যুবলীগ ক্যাডার আরজু ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে!
  • শিবিরের কমিটিতে নাম থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন পূজা চেরি
  • জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
  • চাকরি ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে নারী পাচারের অভিযোগে ২ চীনা নাগরিক গ্রেফতার
  • একযোগে প্রত্যাহার হচ্ছেন ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত
  • রাশমিকাকে নিয়ে মাহফিলে বয়ান, ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা
  • বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস
  • লিটনকে অধিনায়ক করে টি-টোয়েন্টিতে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণে দিশেহারা বাংলাদেশ
  • জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ
  • আজ বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

    রাজনীতি

    খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষে থাকায় নির্যাতিত হয়েছেন: তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণের পক্ষে থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তার পরিবার এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সব সময় ভূমিকা রেখেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, "আমার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে জীবন দিয়েছেন। আমার মা দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যার কারণে তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। আমার ভাই আরাফাত রহমান কোকো ষড়যন্ত্রকারীদের অত্যাচারে শহীদ হয়েছেন।"তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছরে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং সার্বিক উন্নয়ন ধ্বংস করেছে। দুর্নীতি এবং লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তর থেকে সচেতন ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা দেশ-বিদেশে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।"তারেক রহমান বলেন, "দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ইংরেজি এবং অন্যান্য দক্ষতায় পারদর্শী করা হবে। খেলাধুলায় উৎসাহিত করা হবে এবং প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে।"এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, "দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং যানজট মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।" তিনি আরও জানান, "জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের নামে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হবে।"কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তৃতায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, "সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বের কোনো চেষ্টা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। রাষ্ট্র মেরামত এবং সংস্কারের কাজ নির্বাচিত সরকারের অধীনেই সম্ভব।"কুমিল্লা বিভাগীয় এই কর্মশালায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কর্মশালা শেষে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত হবে না বলে অঙ্গীকার করেন।এসএফ 
    ভারতীয় বেডশিটে আগুন, দেশীয় কাপড় বিক্রি করলেন রিজভী
    রাজশাহীতে ভারতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় বেডশিটে আগুন দিয়ে দেশীয় কাপড় বিক্রি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।"দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য" শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে রিজভী রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বেডশিট ছুঁড়ে ফেলে তাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরান। এরপর উপস্থিত নেতাকর্মীরাও ভারতীয় পণ্যের বিরোধিতা করেন।প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে স্বল্পমূল্যে দেশীয় কাপড় বিক্রি করা হয়। রিজভী নিজে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে ২০০ টাকায় শাড়ি ও ১০০ টাকায় লুঙ্গি বিক্রি করেন। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব কাপড় সংগ্রহ করেছিলেন।অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, "ভারত বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না, তাদের বন্ধুত্ব কেবল শেখ হাসিনার সঙ্গে।" তিনি ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানান।তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে দেশীয় কৃষকদের অবহেলা করা হয়। আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালির লুঙ্গি, জামদানি, রাজশাহীর সিল্ক বিশ্বখ্যাত। আমাদের এগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।"অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যাদের মধ্যে ছিলেন ডা. রফিকুল ইসলাম, বিশ্বনাথ সরকার, মামুনুর রশিদ, এবং ওয়ালিউর রহমান রানা।এই কর্মসূচি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং দেশীয় পণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়। নেতারা মনে করেন, দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়িয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়া সময়ের দাবি।রিজভীর এই প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। দেশীয় পণ্যের প্রতি আরও আগ্রহী হতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।এসএফ 
    জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন টার্কি ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল।মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে টার্কি ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ড. রফিক কোরকুসুজ, কামাল কেয়া, মেহসুরেত আকিনলি, হোসনি ইয়াযযান, হান্না একবুলাট, রাসিম আয়তিন।জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ জানান, সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সম্পন্ন হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এবি 
    বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির আনুগত্য করার জন্য নয়: এ্যানি
    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির আনুগত্য করার জন্য নয়। আমরা চাই নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে।”মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে উদয় টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ্যানি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, যার মধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, এসএম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, আতিকুর রহমান রুমন, এহসান মাহমুদ ও জাহিদ রনি উল্লেখযোগ্য।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সংস্কৃতি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও স্বাধীনতার আদর্শ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ্যানি আরও বলেন, “স্বাধীনতা মানে শুধু একটি পতাকা নয়, এর অর্থ হলো একটি জাতির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।”তিনি দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে নতুন প্রজন্মকে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।এসএফ  
    হাসিনা-রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব
    এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। এ ছাড়া ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এবং চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাতের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে লেনদেন, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসিসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে।গতকাল সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে হিসাবের তথ্য তলব করেছে।মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।বিএফআইইউর চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হিসাবে কোথা থেকে কীভাবে টাকা এসেছে, তা জানাতে বলা হ‌য়ে‌ছে। সেই অর্থ পরবর্তী সময়ে কোথায় খরচ হয়েছে, নগদে উত্তোলন হয়েছে কি না, এসব বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হ‌য়ে‌ছে।চি‌ঠি‌তে এই ট্রাস্টের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। তার বোন শেখ রেহানা অন্যতম ট্রাস্টি। এ ছাড়া অন্য যারা এই ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত কিংবা যেসব হিসাবে ট্রাস্ট থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, জমা হয়েছে, তাদের তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।বিএফআইইউয়ের চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রায় সাড়ে ৫শ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এসব হিসাবে জমা আছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ তালিকায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সন্তান ও পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম থাকলেও প্রথমবারের মতো তাদের দুই বোনের হিসাবে তথ্য চাওয়া হলো।ব্যাংকে পাঠানো বিএফআইইউর অন্য এক চিঠিতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তাঁর ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত এবং তাদের মা ডালিয়া চৌধুরীর হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর আগে তাদের আরেক ভাই ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে বিএফআইইউ। তাদের পরিবার শেখ হাসিনা পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।এদিকে হিসাব তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।  সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ। আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং সিআরআই-ইয়ং বাংলা প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের তালিকায় শেখ পরিবারে আরও আছেন শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পরিবারের ৭ জন, চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পরিবারের ৯ জন, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পরিবারের ৫ জন এবং শেখ হেলাল উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী রূপা চৌধুরী ও ছেলে শেখ তন্ময়।অবৈধ সম্পদ অর্জন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচারে সন্দেহভাজন ১০ প্রভাবশালীর দেশি-বিদেশি সম্পদ অনুসন্ধানে গত সপ্তাহে ১২টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। দুদক, সিআইডি ও এনবিআরের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি টিম এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সার্বিকভাবে তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করবে বিএফআইইউ। আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। মূলত কারও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেলে যেন দ্রুত সে অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া যায়, সে জন্যই এই পাঁচটি সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। তদন্তের আওতায় আনা প্রভাবশালীদের তালিকায় পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার পরিবার এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ রয়েছে।এরই মধ্যে এসব ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত হিসাব ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ। শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে যৌথ তদন্তের আওতায় আনা ব্যবসায়ী গ্রুপ হলো– এস আলম, বেক্সিমকো, সামিট, সিকদার, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাসা, জেমকন ও নাবিল গ্রুপ। এ ছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবার ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পরিবারের বিষয়ে বিশদ তদন্ত করা হবে। এসব ব্যক্তি ও গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কোথায় কী সম্পদ আছে, তা বের করা যৌথ তদন্তের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে দ্রুত কীভাবে অর্থ ফেরত আনা যায়, তা নিয়েও তারা কাজ করবে।এবি 
    তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত: বিএনপি
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দাবি করেছে, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। দলটির নেতারা বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ও লাগবে না।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এটি সঠিকভাবে করা সম্ভব।তিনি আরও বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করতে কম্পিউটারই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুল নির্বাচনকারীদের বাদ দিতে পারবে, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা সম্ভব নয়। মঈন খান দাবি করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে ৩-৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না, এবং এই প্রস্তাবের জন্য নতুন কিছু করতে হবে না।নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গঠন এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং প্রশাসনিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইনি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। তবে, ভোটার তালিকা তৈরি এবং অফিসার নিয়োগের কাজের জন্য ২-৩ মাসের বেশি সময় লাগবে না। তিনি তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এসএফ
    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস আলম
    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সারজিস আলম। সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য করা হয়। এরপর সম্প্রতি তাকে মুখ্য সংগঠক পদে মনোনীত করা হয়েছে। সংগঠনটির লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করা।জাতীয় নাগরিক কমিটি গত সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে এবং এটি একটি তরুণদের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের ৪৪টি থানা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করেছে তারা। এর মধ্যে ১৯টি থানা ঢাকায় এবং ২৫টি থানা-উপজেলা ঢাকার বাইরে রয়েছে।সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।ফেসবুক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানিয়ে বলেছেন, তিনি দেশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।এসএফ 
    ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
    বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় আজ দুপুর ১১টায়, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে।সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে স্বাগত জানান। এ সময় তারা সমসাময়িক রাজনীতি এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা হয়।সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা এবং পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত।এসএফ 
    ভারতের মিডিয়া মিথ্যাচারে লিপ্ত: রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, "ভারত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে ডাহা মিথ্যা প্রচারণায় ব্যস্ত।"সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠন।রিজভী বলেন, “ভারতে অসংখ্য মুসলমান ও খ্রিস্টান নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও বাংলাদেশ কখনো সেই বিষয়ে মাথা ঘামায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করায় ভারত তুলকালাম শুরু করেছে।”তিনি আরও বলেন, "ভারত পেঁয়াজ, রসুন, আদার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে মনে করে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে। এটি তাদের ভুল ধারণা। বাংলাদেশ এর বিকল্প উৎস খুঁজে নিতে সক্ষম।"অনুষ্ঠানে রিজভী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। শহিদদের নামে স্থাপনা ও সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে শহিদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজনের সঞ্চালনায় আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল। শহিদ রফিকুল ইসলাম, আফিকুল ইসলাম সাদ ও সায়াদ মাহমুদ খানের পরিবারসহ আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।এসএফ 
    ভারত নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, "আমাদের একটা পররাষ্ট্রনীতি আছে। আমরা বলেছি, সব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ব নয়। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গেই আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি থাকতে হবে।" তিনি বলেন, ছোট-বড় দেশ বলে কিছু নেই; প্রতিটি দেশই কারো না কারো ওপর নির্ভরশীল। "আমেরিকা যেমন বড় দেশ, তেমন তাদেরও বিভিন্ন বিষয়ে অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারত যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা তাদের নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার শামিল," বলেন তিনি।রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত "নেতা ও কবি" বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ মন্তব্য করেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, "সংস্কারের কোনো শেষ নেই, কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। বিশেষত নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা কেউ বলছে না।" তিনি আরও বলেন, "বিশ্বের সব পণ্ডিতরা একত্রিত হলেও রাজনীতিবিদরাই সবসময় দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা যদি মনে করেন তারাই সব, তাহলে তা কিভাবে চলবে?"অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন। দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লাহ।এসএফ
    অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেমে থাকা উচিত নয়: তারেক রহমান
    জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।  জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’।এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারেক রহমান বিশ্বের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো মানুষ যাতে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্য অর্জনে ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় অতিক্রম করেছে, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছিল। এই দুঃসময়ে যারা প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের অনেকেই নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি এসব শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং এখনো নির্যাতিতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।  তারেক রহমান বলেন, "আজ আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার এক নতুন যাত্রায় আছি।"জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রয়োজন যেখানে কারও অধিকার লঙ্ঘিত হবে না।  তারেক রহমান বলেন, দেশের আপামর জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস ও মিথ্যা মামলায় শাস্তি আমাদের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়।  তারেক রহমান বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। তিনি জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে সবাইকে এই যাত্রায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এটিকে দৃঢ় অঙ্গীকার হিসেবে গ্রহণ করতে বলেন।  এসএফ 
    সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস ও আফরোজা
    চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। শায়রুল কবির খান জানান, "তাদের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।"এর আগে, চলতি বছরের ১৪ মে একই কারণে এই দম্পতি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তখনও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তাই উল্লেখ করা হয়েছিল।মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের সুস্থতার জন্য তাদের সহকর্মী ও সমর্থকদের প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।এসএফ 
    পালিয়ে যাওয়া সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দেখা মিললো লন্ডনে
    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর পর থেকে তার মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হন।দীর্ঘ আত্মগোপনের পর রোববার (৮ ডিসেম্বর) ইস্ট লন্ডনের ইম্প্রেসন ভেন্যুতে ভার্চুয়াল সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের সামনে দেখা গেল শেখ হাসিনাকে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও এক মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন:সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।এই ব্যক্তিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তারা কীভাবে পালিয়ে লন্ডনে উপস্থিত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের আগে, তার পৃষ্ঠপোষকতায় অন্তত ১,৫৮১ জনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই চিরতরে অঙ্গহানি বা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।এই ঘটনা প্রমাণ করে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব লন্ডনে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর কী পরিণতি হবে এবং তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন, তা সময়ই বলে দেবে।দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ ও জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের এই বিদেশে উপস্থিতি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।এসএফ 
    বেগম রোকেয়া এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন: তারেক রহমান
    বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (৯ ডিসেম্বর), বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, "বেগম রোকেয়া কঠোর রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেও সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান উপলব্ধি করেছিলেন। তার মতে, শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান হাতিয়ার। তিনি নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারীমুক্তির জন্য কাজ করেছেন।"তারেক রহমান আরও বলেন, বেগম রোকেয়া তার লেখনী ও সমাজকর্মের মাধ্যমে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি—এই তিনটি ক্ষেত্রেই নারীদের স্বায়ত্ত্বশাসন ও আত্মমর্যাদা অর্জনে উৎসাহিত করেছিলেন।তিনি উল্লেখ করেন, "নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া ছিলেন প্রথম উদ্যোগী। মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষিত করার প্রয়াসে তাকে রক্ষণশীলদের বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও অদম্য।"বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, "নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। শত বাধা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন নিরলস। তার কর্মময় জীবন ও আদর্শ আজও নারী সমাজকে উদ্দীপিত ও অনুপ্রাণিত করছে।"তারেক রহমান বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বেগম রোকেয়ার সংগ্রাম এবং অবদান নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় চিরকাল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের প্রতীক। তার জীবন ও আদর্শ শুধু নারীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি মাইলফলক।এসএফ 
    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান
    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল শক্তিশালী ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই জয়টি বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা তাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারতকে পরাজিত করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর পথকে আরও উজ্জ্বল করেছে।রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৮ রানের স্কোর গড়ে। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এই সংগ্রহ ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং, এবং বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ভারতের ব্যাটসম্যানরা কোনও বড় জুটি গড়তে পারেননি এবং ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে তাদের ইনিংস থেমে যায়।বাংলাদেশের হয়ে বোলিংতে ইকবাল হোসেন ইমন এবং অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম তিনটি করে উইকেট নেন। বিশেষ করে ইমন তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার অর্জন করেছেন, যেখানে তিনি ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট শিকার করেন এবং পুরো সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার খেতাবও জিতে নেন।বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ক্রিকেটারদের এবং দলের কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেন, "বাংলাদেশের যুব ক্রিকেট দল তাদের সাহসিকতা ও দক্ষতায় ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে আমাদের গর্বিত করেছে।"এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দলের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের এই জয়কে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন।এশিয়া কাপ জয়ী বাংলাদেশ দল দেশের যুব ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতেও অনুপ্রেরণার উৎস হবে।এসএফ 

    Loading…