এইমাত্র
  • সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে জবাই করে হত্যা
  • লাইসেন্স ফেরত চায় সিটিসেল
  • সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
  • নারীদের বোরকা নিয়ে আদৌ কী 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছেন জামিল আহমেদ?
  • ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
  • বিতর্কে জড়ালেন শিল্পকলার নতুন ডিজি
  • শেখ হাসিনা-রেহানাদের পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ বাতিল চেয়ে রিট
  • গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
  • মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা
  • ‘২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে খেলবে’
  • আজ বুধবার, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    রাজনীতি

    অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক: অলি
     অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ৮৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নে গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া অনেক নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।অথর্ব ও অকর্ম ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অলি। তিনি বলেন, এমনটা করলে ছাত্র-জনতার রক্ত ব্যর্থ হবে।তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন- জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয় এটি পরিবর্তন করা যাবে না। তার জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।গণভবন কারও বাবার সম্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও গর্ব উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, এটি জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, প্রশ্ন হলো গণভবন কেন? অন্য কোনো জায়গা নয় কেন?এমএইচ
    দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ বার্তা বিএনপির
     দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক কাজে সফরকালে যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল (রোববার) দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। খবর বিবিসি বাংলার। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে, দলটির সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্য সফরের সময় কোনো ধরনের মোটর সাইকেল বহর ও গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে বলা হয়েছে।সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, যে এলাকায় সাংগঠনিক সভা, কর্মী সভা অথবা জনসভা অনুষ্ঠিত হয় সেই এলাকায় ঊর্ধ্বতন নেতাদের আগমন ঘটলে শোভাযাত্রার কারণে প্রচণ্ড যানযটের সৃষ্টি হয় এবং মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।একইসাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন বা নিজেদের নামে পোস্টার প্রদর্শন না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এ বার্তায় বলা হয়েছে, এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, অনভিপ্রেত এবং দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এমএইচ
    ভারত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত সবসময় তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা কারো জন্যই শুভ নয়। তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হওয়া উচিত।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, তার সুফল পেতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।ফখরুল বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের যে রাজনীতি ও আচরণ, সেটা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কীভাবে করছে, তারাই ভালো বোঝে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না।তার ভাষ্য, 'এর অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত সবসময় এই দেশগুলোর ওপর একটা প্রভুত্ব করেছে। যেটা ভারতের জন্যও শুভ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য শুভ নয়।'অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের মতামতের উপর নির্ভর করে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছে হন্তান্তর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 
    সালমান মুক্তাদির ও মানজুর মতিন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে
    ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির এবং আইনজীবী ও সংবাদ উপস্থাপক মানজুর আল মতিন।রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঘোষিত কমিটিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের ২ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।৫৫ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন। মুখপাত্র হয়েছেন সামান্তা শারমিন। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে সালমান মুক্তাদির ও মানজুর আল মতিনকে।সালমান মুক্তাদির বাংলাদেশের আলোচিত ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। জুলাই বিপ্লবে তিনি ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরাসরি ও অনলাইনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আন্দোলন চলাকালে তিনি পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারগ্যাসের মুখেও পড়েন। যেখানে অন্য জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা চুপ ছিলেন সেখানে তিনি আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। ফেসবুক ও ইউটিউবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রচারণা চালিয়ে যান।অন্যদিকে, মানজুর আল মতিন শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দিয়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি পুলিশের গুলি না করতে এবং ডিবি অফিসে হেফাজতে রাখা ৬ সমন্বয়ককে মুক্ত করতে রিট করেছিলেন।এফএস
    অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সময়োপযোগী: মির্জা ফখরুল
    অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার স্থায়ী রূপ ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার পক্ষে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংস্কারেরও পক্ষে দলটি।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন ।মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তারা ভালোই করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেক সমস্যার সমাধান করেছেনও। বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গার্মেন্টসগুলোকে সচল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।  বিপ্লবের পর কিছু সমস্যা থাকে। সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা আছে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ঘটনায় চেয়ে অপপ্রচার বেশি হচ্ছে।এইচএ 
    বিএনপির কর্মকাণ্ডে আ.লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে: নুর
     সদ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়নি। দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ, শাসন ব্যবস্থা, দেশের ব্যবসায়িক খাত, অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ‘এখন আবার আরকেটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, লুটপাট দখলবাজি ও নৈরাজ্যে লিপ্ত হয়েছে; যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রূপ ফুটে উঠছে।এটাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের মানুষকে শান্তি দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে’। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। নুর বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা বিলুপ্ত করে অবরুদ্ধ করেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। এসব কারণে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠে, সামিল হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে। যে কারণে ৫ আগস্ট দেশে থেকে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনাসহ তার এমপি-মন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। নুর আরও বলেন, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাতে বিএনপিসহ একাধিক দল অংশ নেয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি দেশে সেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়, তা হলে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আবারো ঐক্যবদ্ধ হব। তবুও নৈরাজ্য বাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও যৌথ বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যেমন যৌথ বাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। এই মাফিয়াদের দমন করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি আমার জেলায় আসছি, সেখানে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে; এটা কেমন মানসিকতা। সংবাদের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। বর্তমান সরকারকে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।এমএইচ
    পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই: ডা. জাহিদ
     বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে নানা চক্রান্ত করছে। প্রশাসনের সব সেক্টরে এখনও তাদের লোক বসে আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব–তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা পাশের দেশের (ভারত) বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিককে ষড়যন্ত্র মোকবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের রেজাউর করিম পল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবিরসহ ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
    ভারত কি আবারও শেখ হাসিনার জমিদারি ফেরাতে চায়, প্রশ্ন রিজভীর
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ আশ্রয় দেয়নি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রেখেছেন, ভারত কি আবারও তার (শেখ হাসিনা) জমিদারি ফিরিয়ে আনতে চায়? শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পেটুয়া বাহিনী দিয়ে দেশের মানুষের প্রতি অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার মতো পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ তাকে আশ্রয় দেয়নি।  বিএনপির এ নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জমিদারি আবারও কি ফিরিয়ে আনতে চায় ভারত? তারা কি বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চায় না? তারা যদি বাংলাদেশের মানুষের কথা গুরুত্ব না দিয়ে শুধু শেখ হাসিনার কথা বিবেচনা করে, তবে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশি শক্তিকে রুখে দেবে।   বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, যে- ই নির্বাচন কমিশনে আসুক না কেন, আমরা চাই নির্বাহী বিভাগের রক্তচক্ষুর কাছে তারা মাথা নত করবেন না।এমএইচ
    সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন রিজভী
    প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শফিক রেহমানের বাসায় দেখা করতে যান তিনি।এ সময় রিজভী শফিক রেহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফিরেন শফিক রেহমান। বিমানবন্দরে তাকে লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শফিক রেহমান প্রত্যাবর্তন কমিটি।শেখ হাসনিার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান এই প্রবীণ সাংবাদিক।প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।এসএফ 
    দিশেহারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, ছাড়তে চান রাজনীতি
    প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দলটি এখন নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে। অথচ গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তি পালনেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানেই পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে।  শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ ‘দেশ ছাড়ার চেষ্টাকালে’ হয়েছেন গ্রেফতার। এছাড়া অনেকেই আবার জনতার আক্রোশের শিকার হয়ে মারাও গেছেন। তবে নেতাদের মধ্যে এখনো যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘আত্মগোপনে’ আছেন।  বর্তমানে নেতৃত্ব শূন্য থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছে। তাদের অনেকেই এখন উদ্বগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তারা তাদের নামও প্রকাশ করতে চাননি। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের এখন দিশাহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। কারণ একমাস হয়ে গেলো অথচ কেন্দ্র থেকে কার্যকর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলো না। ফোন দিলেও কেউ ধরে না। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।’অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এখনকার যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, সেটার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ফরিদেপুরের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘ক্ষমতা হারালে এমন অবস্থা যে হতে পারে, সেটা তো নেতাদের অজানা থাকার কথা না। তারাই তো এর জন্য দায়ী।’তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিম খাইলো নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইলো তারা; আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হইতেছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।’তবে বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাত্তর সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কাজেই দেশ যতদিন থাকবে, আমাদের দলও থাকবে। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো।’এদিকে হামলার ভয়ে নিজেরা গা ঢাকা দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেশিরভাগের পরিবার-পরিজন তাদের এলাকাতে রয়েছেন। তবে আয়-রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে গিয়ে অনেকের স্ত্রী-সন্তানরা বিপাকে পড়েছেন। পালিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কাজ-কাম করবো কী করে? আর আয় না থাকলে সংসারের কী অবস্থা হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন?’। পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি জানান, সংসার চালাতে না পেরে তার স্ত্রী প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে। তিনি বলেন, ‘এভাবে কতদিন থাকবে? ভাবতে গেলেই কান্না আসে। মনে হচ্ছে, রাজনীতি করাই পাপ হয়েছে। তাই আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিছি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেন ফরিদপুরের ওই আওয়ামী লীগ কর্মী। কর্মীদের মধ্যে আরও অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতা।‘আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়’গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই, শেখ হাসিনা চলে গেছে; শেখ হাসিনা পালায় না।’ অথচ এ ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসার পর গত ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান, যা এখনও মানতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যারা চেনেন, জানেন। যারা কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, তারা কেউই এটা মানতে পারবে না। কারণ উনি মোটেও পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছেড়ে না গেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।তৃর্ণমূলের এক নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর পর খালেদা জিয়া ছাড়েননি, এমনকী এরশাদের মতো স্বৈরাচারও পালায়নি। সেখানে নেত্রী কেন দেশ ছাড়ল, সেটাই আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থায় বিচারের মুখোমুখি হতে হলেও এখন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা উচিৎ। তবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা যখন ‘আত্মগোপনে’ যাচ্ছিলেন, তখন ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজ জেলা গোপালগঞ্জে।’শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে গত ৫ আগস্টের পরপরই বেশ কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিলও করেছিলেন তারা। কিন্তু গত ১৫ অগাস্টের পর গোপালগঞ্জেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে আর আগের মতো সক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।মূলত সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই তাদের ওপর ‘চাপ’ ছিল, যা এখন আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।তবে এত কিছুর পরেও প্রশ্ন একটা থেকেই যায় তাহলে হাল ধরবে কে?শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কিছুদিন পর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছিলেন যে, তার মার আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।আমার মনে হয় এখানেই শেষ। আমার পরিবার এবং আমি- আমাদের যথেষ্ট হয়েছে, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন জয়।তবে কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য তার কণ্ঠে ভিন্ন সুর শোনা যায়।অবশ্যই তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরবেন, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে, বিবিসিকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে বলনে জয়। এবি 
    দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্যতম দায়ী: রিজভী
     বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি, তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।’ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে পৃথিবী কাঁপানো শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও সমমনা জোটগুলো। ৫ আগস্টের একটি পটভূমির মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।’স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের দল এমন একটি রাজনৈতিক দল, যার সঙ্গে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমাদের।’ তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা অতীতে আঁতাত করা যাদের রেকর্ড আছে তারা ক্ষমার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা? গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনো সব অফিস আদালতে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা জনগণের নজরে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, শুধুমাত্র চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি, (তবুও দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ, দিনকাল বন্ধ করেছে) কিন্তু মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের, তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে নিষ্ঠাবস্তু খবর পরিবেশন করা। এটাই গণতন্ত্র। এর বাহিরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডা। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে বিকাশ করতে হলে একমাত্র উপাদান হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যম, আবার সেই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সত্য বস্তনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দখল-ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন, আপনি কেন পদত্যাগ করেননি? আপনার কাছে চাকরিটাই বড় ছিল, দেশ-রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা যেগুলো দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন।’সংবাদ সম্মেলনে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনো দিন দখল করিনি। সত্যের পথে আমি অবিচল থেকেছি। সৎভাবে আমি রাজনীতি করেছি। অথচ একটি গণমাধ্যমে আমার নামে অপ্রচার করেছে। স্বৈরাচারের দোসর আব্দুর রাজ্জাক ও নাসিম এই কৃষি ইনিস্টিটিউশনকে দখল, চাঁদাবাজির স্থান বানিয়েছিলেন।’কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন বলেন, ‘কৃষি ইনিস্টিটিউট বিএনপি দখল করেনি, দীর্ঘ ১৭ বছর পর এটি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বিজয় অর্জন হলে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের দোসররা পালিয়ে যায়।’এমএইচ
    যুবদলে কোনও দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই: যুবদলের সভাপতি
    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন,‌ যুবদলের কোনও নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ড, কিংবা অপকর্মে লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলে কোনো দুষ্কৃতকারীদের ঠাঁই দেয়া হবে না। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।মোনায়েম মুন্না  বলেন, জিয়া পরিবার কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। আমরা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের দোসররা কিভাবে পালিয়ে গেছে দেশবাসী দেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা অনুযায়ী শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, ইনসাফ এবং উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন, তাদের ভালোবাসা অর্জন করুন। তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই নির্দেশনা মেনে বিএনপি ও যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মানুষের পাশে থেকে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে তাদের ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে। সেই লক্ষ্যে যুবদলের প্রতিটি নেতাকর্মী এখন থেকেই যার যার অবস্থান থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে করে জনগণের মনে কষ্ট লাগে।যুবদলের সভাপতি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাজার মাইল দূরে বসে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দল পরিচালনা করছেন। তিনি বিএনপি ও যুবদলকে একটি শক্তিশালী মাঠের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চান। বিএনপির রাজনীতিতে যুবদল সবসময় বড় ভূমিকা পালন করে বলে দাবি করেন তিনি।চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ উজ্জ্বল, লক্ষীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ, ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম, বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মাসুম, রাঙামাটি জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসএম মুরাদ চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন, লক্ষীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম হুমায়ূন, বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকার। এ ছাড়া এতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের আওতাধীন মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভার প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এবি 
    জাতীয় সরকার ব্যবস্থা ও দুই কক্ষের পার্লামেন্ট চায় বিএনপি
    জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, দেশে প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশ নিতে চান এমন অসংখ্য জ্ঞানী-গুণী, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ এবং মানবতাকর্মী রয়েছেন। তবে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তাদের পক্ষে সংসদে সদস্য হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তাদের সেবা আর অবদান দেশের কাজে লাগাতে বিএনপি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়।তিনি বলেন, গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই আগামীতে দেশ পরিচালনায় অংশ নেবেন, যাতে দেশ তাদের অবদানের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষের সমর্থনই কেবল আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে। জনগণ নিশ্চয়ই সেই সব দল বা ব্যক্তিকে জাতীয় সরকারে শামিল দেখতে চাইবে না, যারা পুরো দেশটাকে একটা দল আর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। যারা উন্নয়নের নামে আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে দেড় লাখ টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, গুম-খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনে দেশের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তোলা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, চাল, ডাল, লবণ, তেল ও ওষুধের দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিচার, নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তেও শত শত নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত করা হয়। জনগণ নিশ্চয়ই সেই জালেমদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাইবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে যে সুযোগ সেদিন হাতছাড়া করা হয়েছে, আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। তিনি বলেন, দলের সব সংকটকালে তৃণমূলই বিএনপিকে বার বার রক্ষা করেছে। এমপি ও মন্ত্রী পদ-পদবির প্রত্যাশা না করা নিবেদিত প্রাণ কর্মী দল যারা বিএনপির আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা বরাবর রেখেছেন, সেটা অব্যাহত থাকলে সফলতা আর অগ্রযাত্রা কখনোই ব্যাহত হবে না।বিগত বছরগুলোর বিরামহীন আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ও দলের প্রতি তাদের অবিচল আস্থার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের আত্মত্যাগ আর অবদান মুষ্টিমেয় হঠকারীর অপকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত হতে কেন দেবেন? সতর্ক থাকুন, প্রতিরোধ করুন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণের পরিবর্তিত আশা আর ভাষার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের উপযুক্ত হতে হবে। এবি 
    বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ
    কবর থেকে তুলে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।পরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, বাবা ১/১১ পর দেশেই ছিলেন, পান্থপথের একটা বাসায় থাকতেন। আমি চাইনা আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠুক।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার আমার বাবাকে নির্মম নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা হয়েছে বারবার। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়, যা অত্যন্ত বেদনার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তাকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয়নি। আমরা চাই লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধোঁয়াশা যেন দূর হয়। এবি 
    খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুক। বুধবার রাত ৮টায় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাহিদ হোসেন জানান, আজ বুধবার রাত ৮টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করবেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুক। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট বাসায় ফিরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। তিনি রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে। তিনি দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত ছিলেন।এবি 

    Loading…