এইমাত্র
  • জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • আন্দোলনের সময় যে টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল, শনাক্ত করলেন নাহিদ ও আসিফ
  • টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
  • বরিশালের বাবুগঞ্জে ৫টি পাইপ গান উদ্ধার, এলাকায় আতঙ্ক
  • ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
  • চট্টগ্রামে ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টি থেকে ২৫ তরুণ-তরুণী আটক
  • আশুলিয়ায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৫
  • এটা 'বীভৎস দৃশ্য', আয়নাঘরের বর্ণনায় প্রধান উপদেষ্টা
  • চুয়াডাঙ্গায় গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে এসপি তানভীর আটক
  • আজ বুধবার, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    তথ্য-প্রযুক্তি

    মাস্কের এআই কিনতে চাওয়ার প্রস্তাবে, পাল্টা এক্স কেনার প্রস্তাব অল্টম্যানের
    ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এক বিনিয়োগকারী সংস্থা ওপেন-এআই প্রতিষ্ঠানটিকে কিনতে ৯৭ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত মাস্কের দরপত্রটি স্টার্টআপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ওপেন-এআই’এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী কলহকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটি’র মাদার কোম্পানি ওপেন-এআই কেনার প্রস্তাবের জবাবে মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ অল্টম্যান বলেন, ‘না ধন্যবাদ, তবে আপনি চাইলে আমরা টুইটার ৯ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিতে পারি।’এই প্রস্তাবটি ইলন মাস্ক এবং ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের নতুন এক অধ্যায়। ২০১৫ সালে তারা একত্রে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে ২০১৮ সালে সংস্থাটি ছেড়ে চলে যান মাস্ক। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়।এবি 
    বরিশাল বিভাগের অদম্য নারীদের সম্মাননা প্রদান
    বরিশালে অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৫-এর বিভাগীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তত্ত্বাবধানে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় নারী বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে আয়োজনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রায়হান কাওছার।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক নাইমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ৩ জন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ৩ জন, সফল জননী নারী ৩ জনসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আরো পাঁচ নারী।নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করেছে বরিশালের সদর উপজেলার রিপা খানম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে বরিশাল সদর উপজেলার উম্মে সুমাইয়া। তারা বিভাগের পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।এছাড়া সাধারণ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন বিভাগের ১৭ নারী। পরে অদম্য নারীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।এমআর-২
    ৯০ বছর বছর বয়সে নভোচারীর স্বপ্ন পূরণ
    এড ডুইট ১৯৬০-এর দশকে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে পারতেন – কিন্তু রাজনীতি তার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালে, ৯০ বছর বয়সে, তিনি অবশেষে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পেলেন।মানবজাতি এখন মহাকাশ পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ন্যূনতম ৪,৫০,০০০ ডলার (£৩৬০,০০০) খরচ করে ধনী ব্যক্তিরা "নভোচারী" উপাধি দাবি করতে পারেন, একটি সংক্ষিপ্ত উপ-কক্ষপথীয় উড়ানে মহাকাশের কিনারায় গিয়ে ফিরে আসার মাধ্যমে এবং প্রায় ১০ মিনিট ধরে পৃথিবীর ওপরে ভরশূন্য অবস্থা অনুভব করার মাধ্যমে।বর্তমানে ব্লু অরিজিন ও ভার্জিন গ্যালাকটিকের মাধ্যমে পরিচালিত এই নিকট-মহাকাশ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে সাধারণত একজন ক্রু সদস্য থাকেন, যার নাম ও গল্প শিরোনামে উঠে আসে– এবং প্রায়ই তারা বিনামূল্যে যাত্রার সুযোগ পান।২০২১ সালে, ব্লু অরিজিনের প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইটে, সেই ব্যক্তি ছিলেন ৮২ বছর বয়সী বৈমানিক ও প্রাক্তন মার্কিউরি ১৩ সদস্য ওয়ালি ফাঙ্ক। কয়েক মাস পরে, এটি ছিলেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন স্টার ট্রেক ক্যাপ্টেন উইলিয়াম শ্যাটনার। ২০২৪ সালের মে মাসে, ব্লু অরিজিনের সপ্তম স্বল্প-মেয়াদী ফ্লাইটে সেই ব্যক্তি ছিলেন এড ডুইট।ডুইট একজন খ্যাতনামা ভাস্কর, যার শিল্পকর্ম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গ্যালারি ও জনস্মৃতিস্তম্ভে প্রদর্শিত রয়েছে। শ্যাটনারের মতো তিনিও ৯০ বছর বয়সী ছিলেন, তবে শুধুমাত্র তার বয়স বা ভাস্কর্যের জন্যই তিনি আলোচনায় আসেননি। তার পরিচয় ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ – তিনি ছিলেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী প্রার্থী।।“অনেকেই তাকে শুধু একজন শিল্পী হিসেবে চেনেন,” বললেন আন্তোনিও পেরোনেস।তিনি স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর নির্বাহী পরিচালক, যা একটি দাতব্য অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থাটি তার মহাকাশ যাত্রার জন্য অর্থায়ন করেছে এবং সকলের জন্য মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করতে চায়।“তারপর হঠাৎ মানুষ জানতে পারে—এক মিনিট, তার জীবনের আরেকটি পুরো অধ্যায় আছে? আমি মনে করি, এটি অনেকের জন্য সত্যিই চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার ছিল।” তার সেই অতীত সত্যিই চমকপ্রদ।ডুইট একজন এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, পাশাপাশি একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৬১ সালে টেস্ট পাইলট স্কুলে ছিলেন, যখন তিনি পেন্টাগন থেকে একটি চিঠি পেলেন। এটি প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির অনুমোদিত ছিল, যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি কি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে চান। প্রথমে এটি মজা বলে মনে করলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জানতে পারেন যে এটি মূলত একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল, যা কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। “প্রেসিডেন্ট নাসার কাছে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তোমরা কি এই মানুষটিকে প্রশিক্ষণ দেবে?’ আর নাসার উত্তর ছিল, ‘না, কারণ এতে আমাদের পুরো কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে যাবে, আমাদের করভিত্তি নষ্ট হবে, এবং আমরা জনগণের কাছ থেকে আর কখনও এক পয়সাও পাব না যদি এই মুহূর্তে আমাদের কর্মসূচিতে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করি,’” ডুইট ২০১৯ সালে বিবিসি ৫ লাইভ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।তিনি আরও বলেন, “প্রথম সাতজন নভোচারীর খ্যাতি ছিল যেন তারা সুপারহিরো।” তিনি ১৯৫৮ সালে নির্বাচিত বিখ্যাত মার্কিউরি সেভেন দলের কথা উল্লেখ করছিলেন। “যদি তখনই এর মধ্যে একজন কৃষ্ণাঙ্গ বা একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তবে এই ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষের মতোই মনে হতো বিশ্ববাসীর কাছে, বিশেষ করে করদাতা জনগণের চোখে। তাই প্রেসিডেন্টকে আরেকটি মহাকাশ কর্মসূচি—একটি সামরিক মহাকাশ কর্মসূচি—তৈরি করতে হয়েছিল।”ডুইট তাই সামরিক বাহিনীর ম্যানড অরবিটিং ল্যাবরেটরি (MOL) কর্মসূচির অংশ হিসেবে নভোচারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যখন কেনেডির সরকার ঘোষণা করল যে তারা আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী নির্বাচন করেছে, তখন ডুইট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা পান এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন বক্তৃতা দেন।এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, ১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তাকে নাসার অ্যাস্ট্রোনট গ্রুপ ৩-এর জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অষ্টম স্থানে রাখা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র প্রথম সাতজনই মার্কিউরি সেভেন হিসেবে নির্বাচিত হন। এক মাস পরেই, ডুইটের নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে যায়।"যে দিন প্রেসিডেন্ট নিহত হলেন, সেদিন আমার জীবন বদলে গেল" – এড ডুইট"২২ নভেম্বর ১৯৬৩—এই দিনটি আমাদের প্রকল্পের একেবারে শেষ ছিল," ডুইট বলেন।প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার পর, তাকে বিদেশে বিভিন্ন পদে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি আরও কয়েক বছর বিমান বাহিনীতে থেকে যান। কিন্তু মহাকাশে যাওয়ার তার শেষ সম্ভাবনাটিও কেনেডির সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছিল।একজন আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী মহাকাশে যেতে সক্ষম হন ডুইটের ২০ বছর পর, যখন গাইয়োন "গাই" ব্লুফোর্ড—যিনি একইসঙ্গে একজন এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্কিন বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন—নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাত্রা করেন। ব্লুফোর্ড ছিলেন ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত ৩৫ জন নভোচারীর দলের সদস্য, যারা স্পেস শাটল কর্মসূচির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এটিই ছিল প্রথমবার, যখন নভোচারীরা সবাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ বা শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। সংগ্রামের গল্প২০২৩ সালের ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র, দ্য স্পেস রেস, মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, যেখানে ব্লুফোর্ড ও ডুইট-এর গল্পের পাশাপাশি তারা যে বৈষম্য ও বর্ণবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।"ডুইট এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে পরীক্ষামূলক টেস্ট পাইলট ও এ্যারোস্পেস গবেষণা কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন এবং তার শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের মতোই সব যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন," চলচ্চিত্রটির পরিচালক লিসা কোর্টেজ আমাকে স্পেস বোফিনস পডকাস্টে বলেন।"ডুইট ছিলেন অসাধারণ যোগ্য, কিন্তু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন""এড ডুইট একজন অত্যন্ত যোগ্য কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু তিনি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন," বলেন কোর্টেজ। "তিনি সবসময় বলেন, যদি তিনি ২০ বছর পর জন্মাতেন, তাহলে তখন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট সামাজিক অগ্রগতি হতো, যা তাকে দৃশ্যমানতা ও স্বীকৃতি দিত এবং সত্যিকারের একজন নভোচারী প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করত।"ডুইট সামরিক নভোচারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর নাসায় একাধিকবার আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কখনোই নির্বাচিত হননি। তখনকার সময় ভিন্ন ছিল, তবে নাসা পরবর্তীতে তার মহাকাশ অভিযানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং আজকের বহুমুখী নভোচারী দল আধুনিক আমেরিকার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।"আমরা এই অধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করেছি""আমরা জানতাম যে আমরা মহাকাশ স্বপ্নের এই অধ্যায়কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করছি," বললেন আন্তোনিও পেরোনেস। "আমরা সেই ধারণাটিকে আবার জাগিয়ে তুলতে চাই—যে বাধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, চ্যালেঞ্জের মুখেও সাহস দেখানো যায়, এবং এড ডুইট সেই সাহসের প্রকৃত উদাহরণ।""অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন ডুইট"ডুইট এখন স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। "আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে তিনি অনুপ্রাণিত করতে পারেন, এবং সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।" তবে ডুইটের নিজের কথাই সবচেয়ে সেরা উদ্ধৃতি, যা তিনি মহাকাশযাত্রার পর বলেছিলেন—তার নভোচারী প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পরে।"আমি ভেবেছিলাম, আমার জীবনে এই অভিজ্ঞতার দরকার নেই," তিনি বললেন, "কিন্তু আমি মিথ্যা বলেছিলাম। আসলে, আমার সত্যিই এটা প্রয়োজন ছিল।"এমআর
    ধেয়ে আসছে অ্যাস্টারয়েড, ২০৩২ সালে আঘাত হানার আশঙ্কা
    পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি অ্যাস্টারয়েড নিয়ে সতর্ক করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ‘2024 YR4’ নামের এই অ্যাস্টারয়েডটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীতে আঘাত হানার ১ ভাগেরও কিছু বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাস্টারয়েডটি ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট চওড়া। যদিও এটি মানবজাতির অস্তিত্ব বিলীন করার মতো বড় নয়, তবে কোনো বড় শহরে আঘাত করলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।, নাসার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাস্টারয়েডটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ করলে প্রায় ৮ মেগাটন টিএনটির সমপরিমাণ শক্তি নির্গত হবে। এই শক্তি হিরোশিমায় ব্যবহৃত পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।2024 YR4 অ্যাস্টারয়েডটি প্রথম নজরে আসে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এটি চিলিতে অবস্থিত নাসার অর্থায়নে পরিচালিত `অ্যাস্টারয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম' স্টেশনে ধরা পড়ে।এর ঠিক চার দিন পর, ৩১ ডিসেম্বর, এটি নাসার স্বয়ংক্রিয় `সেন্ট্রি রিস্ক লিস্ট'-এ অন্তর্ভুক্ত হয়। এই তালিকায় এমন অ্যাস্টারয়েডগুলো থাকে, যেগুলোর ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে 2024 YR4-এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। তবে ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি পৃথিবীতে আঘাত করবে না।সময়ের সঙ্গে নতুন তথ্য ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ঝুঁকি তালিকা থেকে অ্যাস্টারয়েডটির নাম বাদও পড়তে পারে।  আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা  এর আগেও অনেক অ্যাস্টারয়েডকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে নতুন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সেগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই অ্যাস্টারয়েডটিও একইভাবে ঝুঁকিমুক্ত প্রমাণিত হবে।  নাসার মতে, এখন পর্যন্ত এটির মতো বড় কোনো অ্যাস্টারয়েড পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের ১ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা নিয়ে চিহ্নিত হয়নি। তবে ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণগুলো বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও 2024 YR4 পৃথিবীতে আঘাত করার সম্ভাবনা কম, তবুও এটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণ করে। পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য এসব অ্যাস্টারয়েডের গতিপথ নির্ধারণ ও তাদের উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।এমআর
    ফেরেশতাদের শব্দ রেকর্ড করলো নাসা!
    মহাকাশ নাকি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ-এটাই এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল! কিন্তু নাসার গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য! মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা এক রহস্যময় ধ্বনি রেকর্ড করেছে নাসা, যা শুনে গবেষকরা অবাক! তাদের মতে, এটি যেন কোটি কোটি মানুষের একসঙ্গে কোনো মন্ত্র বা সংগীত গাওয়ার মতো শোনাচ্ছে! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই শব্দ কি সত্যিই শুধুই বৈজ্ঞানিক কম্পন, নাকি ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি? ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আকাশের প্রতিটি অংশে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত! তাহলে কি এবার সেই সত্যের প্রমাণ পেল বিজ্ঞান?সাহীহ মুসলিম হাদিস আবু দার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন সাহাবারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আকাশে কী দেখেছেন? কী শুনেছেন?”জবাবে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখতে পাও না। আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শুনতে পাও না। আকাশজুড়ে প্রচণ্ড কম্পনের শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর এর পেছনে রয়েছে এক গভীর রহস্য! আকাশের প্রতিটি অংশে, এমনকি চার আঙুল পরিমাণ জায়গাও খালি নেই-সেখানে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর জিকিরে মশগুল।”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মতো শব্দ হচ্ছে। অতীতে ধারণা করা হতো যে, মহাকাশ একটি সম্পূর্ণ বায়ুশূন্য পরিবেশ, যেখানে শব্দের সৃষ্টি অসম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাসার একাধিক গবেষণা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা ও কম্পনের ফলে বিশেষ ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।নাসার “আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট” এবং “লিসেন টু দ্য ইউনিভার্স” শীর্ষক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে মহাকাশে শব্দের সৃষ্টি হয়। সংস্থাটির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও গবেষণা সরঞ্জামের মাধ্যমে এসব মহাকাশীয় শব্দ শনাক্ত ও রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রের তোলা ছবিগুলোর তিনটি নতুন সোনিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি নতুন এক ডকুমেন্টারি NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করে।সোনিফিকেশন হলো তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। চন্দ্র এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রগুলো মহাকাশ থেকে যে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে, তা সাধারণত ডিজিটাল সংকেত আকারে থাকে এবং পরে চিত্র আকারে রূপান্তরিত করা হয়। সোনিফিকেশন প্রকল্প সেই তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করে, যা নতুন এক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে।নাসার নতুন ডকুমেন্টারি "Listen to the Universe" NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এটি দেখায় কীভাবে সোনিফিকেশন তৈরি করা হয় এবং এই প্রকল্পের পিছনের গবেষণা দল কিভাবে কাজ করে।২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য মহাকাশের তথ্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যায়।নাসার চন্দ্র প্রোগ্রামের ভিজুয়ালাইজেশন ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞানী কিম্বারলি আরক্যান্ড বলেছেন, আমরা NASA+ এবং SYSTEM Sounds-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই গল্পটি বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। দুর্দান্ত বিষয় হলো এই প্রকল্পটি দারুণভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং অনেক মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।গবেষকদের মতে, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রের বিকিরণের ফলে কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়, যা থেকেই এসব শব্দের উৎপত্তি ঘটে। মূলত, এসব শব্দ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ হিসেবে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৪০০ বছর আগেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির মতো শব্দ হয়।নাসা বর্তমানে বলছে, এই শব্দগুলি কাঁপুনির কারণে সৃষ্টি হয়। এমনকি গবেষণার সাথে যুক্ত একজন বিজ্ঞানী মন্তব্য করেছেন, যে শব্দ শুনে তার মনে হয়েছে যেন একত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হলো খ্রিস্টানদের একধরনের ধর্মীয় সঙ্গীত, যা একসঙ্গে গাওয়া হয়। তবে, ১৪০০ বছর আগে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন।নাসা মহাকাশে যে শব্দ আবিষ্কার করেছে, তার পেছনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে, যেমন নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র বা প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ। তবে, এই শব্দের বর্ণনা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি ১৪০০ বছর আগে বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন। যদিও নাসা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে এই শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি কিনা, তা কেবল আল্লাহই জানেন।এফএস
    নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
    সম্প্রতি, ‘নবীজির ঘর মোবারক’ শীর্ষক শিরোনামে দুটি ছবির একটি কোলাজ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে৷রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের নয় বরং প্রথম ছবিটি তাঁর ঘরের আদলে করা একটি অ্যানিমেশনের এবং দ্বিতীয় ছবিটি ভারতের একটি রাজপ্রাসাদের অন্দরের ছবি৷ এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Devlet-i Aliyye-i Turkiya নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘[3D] The Inside of The Prophet Muhammad’s House and His Belongings (Replica)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি হাদিসের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘর ও ঘরের জিনিসপত্রের প্রতিরূপ। এই প্রদর্শনীটি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রথম ছবিটি ব্যবহার করে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের আসবাবপত্র’ শীর্ষক শিরোনামে একটি দাবি  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।অন্যদিকে, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মিডিয়া স্টক ওয়েবসাইট Shutterstock এ ‘Ancient Kitchen Utensils’ শিরোনামে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্ত করা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের দ্বিতীয় ছবিটির মিল রয়েছে৷ এফএস
    অ্যালেক্সায় আসছে এআই
    অ্যালেক্সা অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম। একাকী জীবনে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছিল অ্যালেক্সা। কিন্তু এআইয়ের দাপটে কিছুটা স্তিমিত ছিলো। তবে এবার নতুন উদ্যমে তাকে শক্তিশালী করে তুলছে অ্যামাজন। এবার অ্যালেক্সার মস্তিষ্কে যুক্ত হচ্ছে এআই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যালেক্সা নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।  গত দুবছর ধরেই অ্যালেক্সাকে ঢেলে সাজাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে অ্যামাজন। তবে সংস্থার আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা রোহিত প্রসাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও সময় আসেনি। আপাতত আরো নানা প্রযুক্তিগত বাধা পেরতে হবে অ্যালেক্সাকে। তারপরই তাকে উন্মুক্ত করা হবে।যেসব বাধা এখন অ্যালেক্সার চ্যালেঞ্জএর মধ্যে রয়েছে হ্যালুসিনেশন অর্থাৎ নকল জবাব। এছাড়াও সাড়া দেয়ার গতি ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারার মতো বিষয়গুলোতেও আরো নিখুঁত করা হচ্ছে অ্যালেক্সাকে। এখনও অ্যালেক্সাকে খুব সহজ কাজ দেয়া হয়। যেমন, অ্যালার্ম দেয়া কিংবা গান বাজানো। নতুন করে সে ভালো রেস্তোরাঁ খুঁজে দিতে পারবে কিংবা ব্যবহারকারীর ঘুমের রুটিন মেনে বেডরুমের আলোর দিকটা খেয়ালে রাখবে।ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিট আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। মাইক্রোসফট, গুগল, মেটা ও অন্য সংস্থাগুলো দ্রুত নিজস্ব এআই মডেল বাজারে আনলেও তাড়াহুড়া করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন। সেই সময় থেকেই তারা ব্যস্ত অ্যালেক্সাকে আরো নিখুঁত করে তুলতে। কয়েক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করার পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যালেক্সা। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে অ্যামাজনের এই ওয়্যারলেস ডিভাইসটি। এইচএ 
    গেমিংয়ে চমক দিতে বাংলাদেশে আসছে নতুন এলজি এআই মনিটর
    গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য একটি চমৎকার খবর! গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশে নিয়ে আসছে এলজি ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক গেমিং মনিটর আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W। ২০২৫ সালের মার্চের দিকে এটি দেশের বাজারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। গেমিং, এন্টারটেইনমেন্ট এবং পেশাদার কাজের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে একটি গেম-চেঞ্জার।এলজির নিজস্ব সিস্টেম ওয়েব ওএস উইথ এআই সমর্থিত মনিটর এটি যা একে স্মার্ট টিভির মতো কার্যকর করে তোলে। কোনো অতিরিক্ত ডিভাইস ছাড়াই আপনি সরাসরি ইউটিউব, নেটফ্লিক্স এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উপভোগ করতে পারবেন। নতুন এই মনিটরে আছে এআই পিকচার, ডাইনামিক টোন ম্যাপিং, এআই পার্সোনালাইজড পিকচার উইজার্ড, এবং এআই সাউন্ড—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। স্পেশাল ফিচারস হিসেবে রয়েছে রিমোট সাপোর্ট, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। এই বৈশিষ্ট্য গুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মাল্টিমিডিয়া পেশাদারদের জন্য দারুণ কার্যকর হবে।গেমারদের জন্য বিশেষভাবে এই মনিটরকে ডিজাইন করা হয়েছে। ৩২ ইঞ্চির বিশাল ইউএইচডি ৪কে স্ক্রিন সাথে ১০বিট কালার আপনার গেমপ্লে করবে আরও প্রাণবন্ত। ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম গেমিং অভিজ্ঞতাকে স্মুথ ও ফাস্ট করে তুলবে। এটি এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক ও এএমডি ফ্রি-সিঙ্ক প্রিমিয়াম কম্পাটিবল। হোক অ্যাকশন গেম বা রেসিং, প্রতিটি মুভমেন্ট হবে ঝকঝকে এবং ল্যাগ-ফ্রি। এছাড়া এইচডিআর১০ প্রযুক্তির মাধ্যমে গেমিং ও সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্পষ্ট ও জীবন্ত হয়ে উঠবে। আলট্রাগিয়ার 32G810SA-W শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, ডিজাইনেও অনন্য। ইউনিটি হেক্সাগনাল স্ট্যান্ডের অভিনব ডিজাইন এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকেন্দ্রিক সুবিধা এটিকে অসাধারণ করে তুলেছে।কবে এবং কোথায় পাওয়া যাবে?যারা প্রি-অর্ডার করতে চান, মার্চের মাঝামাঝি সময় তাদের জন্য দ্রুত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। দাম সম্পর্কেও গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি থেকে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
    মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি
    মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যার সীমা তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহক। পাশাপাশি অপারেটররা গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে।রোববার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা নির্দেশিকায় প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো।এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্দেশিকায়, মোবাইল গ্রাহকদের ৭, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ টি ডাটা প্যাকেজ অফারের সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। যা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা।নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। নিয়মিত প্যাকেজ, যে প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকে; গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ—গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য; রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ বাজার যাচাই–বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে যে প্যাকেজ গ্রাহকদের দেওয়া হবে।নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে। এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন অর্থাৎ আনলিমিটেড প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে।অবশ্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা-মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেয়া যাবে না।কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।এফএস
    ভাঙা ব্রিজে ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের লাখো মানুষ
    কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর আমতলী এলাকায় ২০০৫ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার ফলে উলিপুর উপজেলার তবকপুর, ধামশ্রেনী ও চিলমারী উপজেলার থানাহাট, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা পোক্ত হয়। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বন্যার পানির তোড়ে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে বিজ্রের একাংশ দেবে যায়। সে সময় পানির স্রোতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ছিড়ে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও জনগণের চলাচলের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুকনো মৌসুমে অন্যের জমি দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। স্থানীয়রা চাঁদা তুলে কখনও বাঁশের সাঁকো, আবার কখনও প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা তৈরি করে যাতায়াত করছে। সেটিও টেকসই নয়। ফলে চুনিয়ার পাড়, আকন্দ পাড়া, তামাকু পাড়া, কবিরাজ পাড়া, বান্দার ঘাট, বানু কিষামত পাড়া, হিন্দু পাড়া, রাজারঘাট, বিষ্ণু বল্লভ, খামার তবকপুর, পাগলার ঘাট, বড়ুয়া তবকপুর, আমতলীসহ ২০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সেতুর অভাবে চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন।কলেজ শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন জানান, ব্রিজটি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন রিকশা, অটোরিকশা, জেএসসহ ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করতো। এখন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটে কষ্ট করে যাতায়াত করছেন লোকজন। স্থানীয় রিপন মিয়া, আব্দুর রশিদ, সেকেন্দার আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখানে গলা পানি হয়। তখন  প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা দিয়ে পার হতে হয়। সাত বছর ধরে এই ভোগান্তি। ব্রিজটির কারণে এ এলাকার হাজারো মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এখন পানি না থাকায় অন্যের জমি দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। জমির মালিকরা আর কত দিন হাটতে দেবে? দ্রুত সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষের চলাচলে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, সড়কটি পাকা হওয়ায় মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাগব হয়েছিল। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ২০ গ্রামের মানুষ আবারও সেই কষ্টে পড়েছে। আমি নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন,  সেখানে পুনরায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।এমআর
    ৫০টির বেশি দেশে সার্ভিস দিচ্ছে শরীফের এসইও কোম্পানি
    বাংলাদেশে তৈরি হলেও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শরীফ সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত এসইও কোম্পানি Upgraph। এটি এখন ৫০টিরও বেশি দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও সেবা প্রদান করছে। গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে স্থান করে নেওয়ার এই যাত্রা শুধু দেশের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্যও এক অনুপ্রেরণার উৎস।শুরুটা কেমন ছিল?শরীফ সিদ্দিকী, একজন তরুণ উদ্যোক্তা, ১১ বছরের এসইও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে Upgraph প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড তৈরি করা, যা এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠবে। শুরুতে, শরীফ একাই এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। তবে তার নেতৃত্বে দলটি দ্রুতই বৃদ্ধি পায়। আজ রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাধিক পেশাদারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দক্ষ টিম।সেবা এবং সফলতাUpgraph মূলত বিভিন্ন ধরনের এসইও সেবা প্রদান করে, যেমন:সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)পে-পার-ক্লিক (PPC)ওয়েব ডিজাইনলোকাল এসইওপ্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের শতাধিক ক্লায়েন্টের সাথে সফলভাবে কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ।শরীফ সিদ্দিকীর ভিশনশরীফ সিদ্দিকী বলেন, “এসইও ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে ৬৪ বিলিওন ডলারের। এই বিশাল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা পিছিয়ে আছি শুধু আমরা ভালোমত নিজেকে স্কিল্ড করিনা। নিজেকে ডেভেলপ করিনা, আপডেট করিনা নতুন নতুন টেকনিকের সাথে।”তিনি আরও যোগ করেন, "আমার লক্ষ্য শুধু Upgraph কে একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করা।"আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার কারণUpgraph.io-এর সফলতার পেছনে শরীফের স্ট্র্যাটেজি, উচ্চমানের সেবা, এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার দক্ষতা রয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত নতুন টুল এবং টেকনোলজির সাথে নিজেদের আপডেট করে।ভবিষ্যতের পরিকল্পনাUpgraph এর লক্ষ্য শুধু ৫০টি দেশে সীমাবদ্ধ থাকা নয়। শরীফ সিদ্দিকী ভবিষ্যতে ১০০টি দেশে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে চান। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও গ্লোবাল ব্র্যান্ড হতে পারে, যদি তারা দক্ষতা এবং মানসম্পন্ন সেবার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।
    নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন বানাতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত
    বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশের কাছে মহাকাশে দুটি এয়ারক্রাফট কিংবা স্যাটেলাইটের মধ্যে ডকিং করার ক্ষমতা রয়েছে।  এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সফলতা পেয়েছে। এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল ভারতের। খবর এনডিটিভি  গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে স্পেস ডকিং পরীক্ষা বা স্পেডেক্স অভিযানটি সফলভাবে সূচনা করেছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুটি মডিউল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (ডকিং) করার প্রযুক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভবিষ্যত ভারত মহাকাশে স্টেপ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্পেডেক্স পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণে ইসরোর ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই অভিযান। এছাড়া এর মাধ্যমে ভারতের মহকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চাঁদের মিশনেও অংশ নেবে।   চলতি বছরের অক্টোবরে ভারত সরকার জানায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দিল্লি মহাকাশে তাদের নিজস্ব স্টেশন নির্মাণ করবে।এই ‘স্পেডেক্স’ অর্থাৎ স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্টের উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযানকে ‘ডক’ এবং ‘আনডক’ প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান দু’টো মহাকাশযানকে সংযুক্ত করা বা ডকিং এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করা বা আনডকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রযুক্তি, তারই বিকাশ।‘স্পেডেক্স’ অভিযান দুটো ছোট মহাকাশযান ব্যবহার করে ‘ইন-স্পেস’ ডকিংয়ের জন্য এটি একটা সাশ্রয়ী প্রযুক্তি মিশন। একই উদ্দেশ্যে যখন একাধিক মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়, তখন ‘ইন-স্পেস ডকিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।এই অভিযানে মূলত দুটো ছোট মহাকাশযান রয়েছে- ‘এসডিএক্স০১’ এবং ‘এসডিএক্স০২’। এদের ওজন প্রায় ২২০ কেজি। এগুলো পিএসএলভি-সি৬০- এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। পিএসএলভি হলো পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান।ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, দুটো মহাকাশযান বানাতে এবং অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য ভারতীয় মূল্যে আনুমানিক ১২৫কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপণ যন্ত্রের জন্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।এবি 
    ২০২৫–এ আসছে জেন জির উত্তরসূরি জেন বেটা
    রাজনীতি থেকে ফ্যাশন ট্রেন্ড—চলতি জীবনে সবকিছুতেই এখন জেন জিদের জয়জয়কার। বিশ্বজুড়ে সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে জেন জিরা। জেন জি বা জেনারেশন জেড হলো সেই প্রজন্ম, যাদের জন্ম ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। আর তাদের পরবর্তী প্রজন্ম হলো জেনারেশন আলফা বা জেন আলফা, যাদের জন্মকাল ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই দুই প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে আসছে জেনারেশন বেটা বা জেন বেটা।প্রজন্মের নামকরণের জন্য পরিচিত সমাজবিজ্ঞানী মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল জানান, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বে আসতে চলেছে নতুন প্রজন্ম—জেনারেশন বেটা বা জেন বেটা। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী এই প্রজন্ম ২০৩৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশে পরিণত হবে।মার্ক জানান, জেন বেটাদের ‘বেটা বেবি’ বলে ডাকা হবে। এই প্রজন্ম শুরু থেকেই দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ উপভোগ করবে। ভার্চুয়াল জগৎ তাদের জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে উঠবে।জেন বেটা এমন এক প্রজন্ম, যাদের জন্ম হবে স্মার্ট টেকনোলজি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির (এআই) জগতে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতি মুহূর্তে এআইকে কাজে লাগাবে তারা। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিনোদন—সব জায়গায় তারা এআইয়ের সাহায্য নেবে বলে মনে করেন মার্ক।মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল তাঁর ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘জেন বেটা বা বেটা বেবিদের হাতের মুঠোয় থাকবে প্রযুক্তি। যখন জেনারেশন আলফা স্মার্ট প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, জেনারেশন বেটা এমন এক যুগে বাস করবে যেখানে শিক্ষা থেকে বিনোদন—তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব ক্ষেত্রে এআই ও অটোমেশন পুরোপুরি জড়িত থাকবে।’তবে মার্ক জানান, এই প্রজন্মকে এমন এক দুনিয়ার মুখোমুখি হতে হবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার সমস্যায় জর্জরিত। এসব চ্যালেঞ্জ তাদের মানিয়ে নেওয়া, গুণমান বজায় রাখা এবং পারস্পরিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন শেখাবে।মার্ক বলেন, ‘বেটা বেবিরা ভবিষ্যৎ গড়বে, তাই তাদের চাহিদা, মূল্যবোধ ও পছন্দ বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’আধুনিক বিশ্বে যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রসারে ক্রমশ সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ কমে যাচ্ছে, সেখানে জেনারেশন বেটাকে সংযোগ স্থাপনের বিভিন্ন ধরনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী মার্ক।এবি 
    রিয়েলমি সি৭৫ পানির নিচে সচল থাকবে ১০ দিন
    স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রি প্রতিনিয়ত নতুনত্বের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডগুলো প্রিমিয়াম মডেলের ফিচারগুলো স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে এখন আরও সাশ্রয়ী মূল্যে সহজলভ্য করছে।তরুণদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমিও এর ব্যতিক্রম নয়। রিয়েলমি এবার মিড-বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে সি৭৫ উন্মোচনের মাধ্যমে। এই ডিভাইস সেগমেন্টের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে আইপি৬৯ সার্টিফিকেশন, যা যেকোনো ধুলাবালি বা পানির বিরুদ্ধে দেয় সর্বোচ্চ সুরক্ষা। এই ডিভাইসটি ফ্ল্যাগশিপ-লেভেলের টেকসই গঠন, উন্নত প্রযুক্তি এবং অসাধারণ পারফরম্যান্সের এক নিখুঁত মিশ্রণ। রিয়েলমি সি৭৫ শুধু একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন নয়, এর অনন্য ফিচারগুলোর সমন্বয় একে সেগমেন্টের অন্যান্য স্মার্টফোনের থেকে একেবারে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে। আসুন, জেনে নিই কেন রিয়েলমি সি৭৫ আপনার জন্য হতে পারে সেরা পছন্দ!পানির নিচে ১০ দিন: মিড-রেঞ্জের টানটান বাজেটে স্মার্টফোন কিনতে গেলে আপনি চাইলে এখন একেবারে ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন নিয়ে খুশিমনে ঘরে ফিরতে পারবেন। কী বিশ্বাস হলো না? আপনার মনে জায়গা করে নিতেই এবার স্মার্টফোনের বাজারে আলোড়ন তুলে সম্পূর্ণ পানি ও ধুলাবান্ধব অল-রাউন্ড প্রটেকশন ডিভাইস নিয়ে হাজির হয়েছে রিয়েলমি।  রিয়েলমি সি৭৫-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর অত্যাধুনিক পানি ও ধুলা প্রতিরোধী প্রযুক্তি। বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোন যেখানে কেবল একটি বা দুটি স্তরের পানি প্রতিরোধক সুরক্ষা দেয়, রিয়েলমি সি৭৫-এর আইপি৬৬, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯– প্রতিটি রেটিং আলাদাভাবে পরিপূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে। আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে। এই সার্টিফিকেশন অনুযায়ী, ফোনটি ০.৫ মিটার পানির নিচে ১০ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে! এছাড়া, ২.৫ মিটারে ১২ ঘণ্টা, ২ মিটারে ১ ঘণ্টা এবং ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকাসহ উচ্চ চাপের পানি স্প্রে, এমনকি ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানির স্প্রে-তেও কার্যক্ষম থাকে। এজন্য, দুর্ঘটনাবশত পানিতে পড়ে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের সময়- যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ।টেকসইতার নতুন সংজ্ঞা: রিয়েলমি সি৭৫ সেগমেন্টের সেরা ড্রপ-প্রুফ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে টেকসইতার নতুন মান নির্ধারণ করেছে। ডিভাইসটি ১.৮ মিটার উচ্চতা থেকে মার্বেলের ওপর সামনের দিকে পড়ে যাওয়ার মতো কঠিন পরীক্ষা সফলভাবে পেরিয়েছে, যা এটিকে তার শ্রেণির সেরা ডিভাইস হিসেবে প্রমাণ করে। স্ট্যান্ডার্ড ল্যাব পরীক্ষাগুলোতে, ফোনটি ০.৯ মিটার উচ্চতা থেকে মার্বেলে ১৫০ বার মুখ থুবড়ে পড়া এবং ১.৫ মিটার উচ্চতা থেকে ৩০ বার একইভাবে পড়া সত্ত্বেও অক্ষত রয়েছে।এটি মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স (এমআইএল-এসটিডি ৮১০এইচ) এবং টিইউভি রেইনল্যান্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যা এর অসাধারণ স্থায়িত্বকে নিশ্চিত করে। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে ব্যবহৃত আর্মরশেল গ্লাস অতিরিক্ত চাপ ও স্ক্র্যাচ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে, যা ফোনটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া, এটি মান অনুযায়ী টেস্ট করা, যার ফলে ফোনটি পড়া বা কম্পনের মতো ধাক্কাও সহ্য করতে পারে।৪ বছরের ব্যাটারি স্থায়িত্বে অনন্য সি৭: রিয়েলমি সি৭৫-এ রয়েছে ৬০০০এমএএইচ বিশাল ব্যাটারি, যা একবার চার্জে ২৪ দিন স্ট্যান্ডবাই টাইম, ৫.৫ ঘণ্টা গেমিং, এবং ১২.৬ ঘণ্টা ভিডিও দেখা নিশ্চিত করে। এর ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ফোনটিকে মাত্র ৩৮ মিনিটে ৫০% চার্জ এবং ৯০ মিনিটে পুরো চার্জ করতে সক্ষম করে। এমনকি-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও ফোনটি নির্ভরযোগ্য চার্জিং সক্ষমতা প্রদান করে।এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো চার বছরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, যা সম্ভব হয়েছে বায়ো-ইন্সপায়ার্ড উপকরণের ব্যবহারের মাধ্যমে। ফোনটির ব্যাটারি ১৪৬০ চার্জ সাইকেলের পরেও ৮০% এর বেশি হেলথ বজায় রাখতে সক্ষম। এমন ব্যাটারি স্থায়িত্ব ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত মানের দ্বিগুণ, যা টেকসই ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই ফোনটিকে অসাধারণ একটি পছন্দে পরিণত করেছে।উন্নত চিপসেট ও এআই প্রযুক্তি: স্মার্টফোনটি চালিত হয় হেলিও জি৯২ ম্যাক্স চিপসেট দিয়ে। এতে রয়েছে ২৪ জিবি পর্যন্ত ডায়নামিক র‍্যাম (৮ জিবি + ১৬ জিবি), যা সহজে গেমিং, মাল্টিটাস্কিং এবং একাধিক অ্যাপ ব্যবহারে মসৃণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ফোনের ৯০ হার্টজের এফএইচডি ডিসপ্লে নিশ্চিত করে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।রিয়েলমি সি৭৫-এ রয়েছে এআই ক্লিয়ার ফেস প্রযুক্তি, যা ছবি বা ভিডিওর মান উন্নত করতে সাহায্য করে। এই অ্যালগরিদম ছবির অস্পষ্টতা দূর করে মুখের স্পষ্টতা নিশ্চিত করে। এটি ৩ গুণ বা তার বেশি জুম করা ছবিতেও সূক্ষ্ম বিবরণ ও স্পষ্টতা বজায় রাখে।  শক্তিশালী পারফরম্যান্স পেতে আরও যা রয়েছে: অসাধারণ সাউন্ড ও ডিজাইন: ফোনটিতে রয়েছে আল্ট্রাবুম স্পিকার, যা আরও জোরালো এবং স্পষ্ট সাউন্ড সরবরাহ করে। এর আধুনিক ডিজাইন ও রঙ তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করবে।মিনি ক্যাপসুল ৩.০: সবার আগে তথ্য জানতে রিয়েলমি সি৭৫-এ রয়েছে মিনি ক্যাপসুল ৩.০ প্রযুক্তি, যা তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে প্রদর্শন করে। গ্র্যাব অর্ডার ট্র্যাকিং এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য এই ফিচার দারুণ কার্যকর।  এআই স্মার্ট লুপ: জিটি সিরিজের এআই ফিচারগুলো এখন পাচ্ছেন সি৭৫-এ। ফোনটি কপি করা তথ্যকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে এবং এর সম্ভাব্য ব্যবহার উপলব্ধি করতে পারে। এতে দ্রুত অ্যাপ শেয়ারিং এবং কাজের দক্ষতা বাড়ে।দুর্দান্ত সাউন্ড ও ডিসপ্লে: বড় স্পিকার এবং উন্নত অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে সি৭৫ ৪০০% পর্যন্ত সাউন্ড বুস্ট করতে পারে। এটি পার্টি, আড্ডা কিংবা নাচের প্র্যাকটিসের জন্য আদর্শ। ফোনটির ৯০ হার্টজ এফএইচডি ডিসপ্লে আরও উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।প্রিমিয়ামের স্পর্শে বাজেটের চমক: স্মার্টফোনের বাজারে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এমন ডিভাইস খুব কমই দেখা যায়, যা নিজের ক্যাটাগরিতে সত্যিকার অর্থে সীমা ছাড়িয়ে যায়। রিয়েলমির নতুন স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫ ঠিক এই কাজটিই করেছে। উন্নত প্রযুক্তি, টেকসই গঠন এবং ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন মাথায় রেখে তৈরি এই ডিভাইসটি মিড-লেভেল স্মার্টফোনের ধারণাই বদলে দিয়েছে, যা প্রিমিয়াম ও বাজেট স্মার্টফোনের মধ্যে থাকা সীমারেখাকে কার্যত মুছে দিয়েছে।আপনি যদি একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হন; কঠিন পরিবেশে কাজ করা একজন পেশাদার; অথবা শুধুমাত্র একটি নির্ভরযোগ্য ডিভাইস চান, তবে রিয়েলমি সি৭৫-এর লাইটনিং গোল্ড ও স্টর্ম ব্ল্যাক- দুটি রঙের ডিভাইসের যে কোনো একটি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। রিয়েলমি সি৭৫ এর ১২৮জিবি রমের সঙ্গে রয়েছে ২৪জিবি র‌্যাম (৮জিবি + ১৬জিবি ডায়নামিক র‌্যাম) এবং ২৫৬জিবি রমের সঙ্গে রয়েছে ২৪জিবি র‌্যাম (৮জিবি + ১৬জিবি ডায়নামিক র‌্যাম) যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১৯,৯৯৯ টাকা এবং ২২,৯৯৯ টাকা।এইচএ
    ৩০০ প্রতিবন্ধীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নহর ইনিশিয়েটিভস ডিজিটাল ফেলোশিপের যাত্রা
    জুলাই বিপ্লবের ৫০ জন আহত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ৩০০ প্রতিবন্ধীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নহর ইনিশিয়েটিভস ডিজিটাল ফেলোশিপ ২০২৫-এর যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নহর ইনিশিয়েটিভস ডিজিটাল ফেলোশিপ-২০২৫ চালু করা হচ্ছে। এই উপলক্ষে রাজধানীর বনানীর ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসে শনিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ফেলোশিপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। দুই সেমিস্টারে পড়াশোনা শেষে ৪ মাসের পেইড ইন্টার্নশিপের মধ্যদিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পাবেন তারা। এই সকল কিছু সম্পন্ন হবে ‘ই লার্নিং প্ল্যাটফর্ম’ এবং এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে।এই ডিজিটাল ফেলোশিপে বাংলাদেশ থেকে ১০০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সরাসরি সুপারিশে ৫০ জনসহ পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, নাইজেরিয়া, ঘানা, জিম্বাবুয়ে থেকে ২০০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে প্রথম গ্রুপ থেকে ১২ জন গ্রাজুয়েট বের হয়েছেন। বর্তমানে ২০০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ৯টি দেশ থেকে তাদের শেষ সেমিস্টারে রয়েছেন।অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ব্রুনাইয়ের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রোজিমি আব্দুল্লাহ, আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল এবং কলেজের ডিরেক্টর প্রফেসর জামিলুন্নেসা, ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক সহান, অভিনেতা তাওসিফ মাহবুব, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার ফাতিহা আয়াত, নহর-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক ফারিদ খান, আমিরুল মোমেনিন মানিক, আল মানার হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর ডাক্তার সুলতান আহমেদ এবং নহরের চেয়ারম্যান ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। এ ছাড়াও নাহিদা সুলতানা, এইচ এম আতিফ ওয়ফিক, রনি শাহ এবং শুভ মোহাম্মদ আল-আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সবশেষে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কেটে ডিজিটাল ফেলোশিপ-২০২৫ এর সূচনা করেন।এমএইচ

    Loading…