এইমাত্র
  • মানিক মিয়ার বাড়িতে ১০৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির টাকা উদ্ধার
  • গণপিটুনিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিস্কার ও গ্রেফতার করা হবে: ঢাবি প্রক্টর
  • পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
  • মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের বিয়ারিং খুলে পড়ার কারণ জানা গেল
  • সিলেবাস ছোট করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব অবরোধ
  • সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
  • বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ
  • মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
  • সিরাজগঞ্জে গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    আইন-আদালত

    তারেক সিদ্দিকসহ ১০ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে অপহরণ, গুম ও হত্যার উদ্দেশে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অভিযোগে তারেক সিদ্দিকসহ ১০ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে মামলার আবেদন করেন লে. ক. (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।এদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি নিউমার্কেট থানায় এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।মামলায় আসামিরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীন, র‍্যাবের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত), ডিবির সাবেক ডিসি মো. আব্দুল বাতেন, মো. মোখলেসুর রহমান, ডিবির সাবেক এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল, গোলাম সাকলাইন, ডিবির সাবেক এসি মাহমুদ নাসের জনি, ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আবু আজিফ ও সিরাজুল ইসলাম খান।মামলার আবেদনে বলা হয়, বাদী তৌহিদুল ইসলামকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যায়। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাকে দুটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে, জামিন পেয়ে তিনি এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলেও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি।এবি 
    হত্যা মামলায় আলতাফ জর্জের ৩ দিনের রিমান্ড
    ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অটোরিকশাচালক মো. রনির মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হত্যা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে গ্রেফতার হন জর্জ। জানা যায়, গত ১৯ জুলাই দুপুরে মোহাম্মদপুর থানা এলাকার নূরজাহান রোডে প্রাইমারি স্কুলের সামনে গুলিবিদ্ধ হন রনি। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার মা মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসএফ 
    ভয়ে আত্মগোপনে আছি : মনিরুল ইসলাম
    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো খোঁজ মেলেনি আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ, মনিরুল ইসলামদের।এদের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম দেশেই আছেন।জঙ্গি ভয়ে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।টেলিফোনে ওই সাক্ষাৎকারে জুলাই হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করব। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, ছাত্র আন্দোলন দমাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ৪ আগস্ট ২৫ কোটি টাকা এসবি অফিসে এনে তা আত্মসাৎ করা হয়। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মনিরুল ইসলাম।পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘এসবি থেকে সরকারকে একাধিকবার রিপোর্ট দেওয়া হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শক্তি দিয়ে দমানো যাবে না।’ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের।গত সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব ছিলেন মনিরুল ইসলাম। সরকার পতনের পর জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের একাধিক মামলার আসামি করা হয়েছে তাকে।এফএস
    রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেফতার
    রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।সম্প্রতি, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংধনু গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গ্রুপটির বিভিন্ন কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।এসএফ 
    ত্বকী হত্যা মামলায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
    নারায়ণগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থী ত্বকী হত্যা মামলায় মোহাম্মদ পারভেজ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত পারভেজকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুরে র‍্যাব-১১ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।এর আগে, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ত্বকী হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া, কাজল হাওলাদার ও জামশেদ শেখ নামে চার জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।তাদের মধ্যে আসামি কাজল হাওলাদার ত্বকী হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বাকি তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা র‍্যাব হেফাজতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরেদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।এসএফ
    ডিএমপির ২ সদস্য গ্রেপ্তার
    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার ডিএমপির শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার দুজন হলেন নায়েক সজিব সরকার ও কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান।ডিএমপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে পারস্পরিক যোগসাজশে বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের প্রতি সেবাদান বাধাগ্রস্ত করতে উসকানিমূলক মন্তব্য ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাদের ইন্ধনে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।এফএস
    আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
    কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে হোটেল কর্মচারী সিয়াম সরদার (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।আদালতে কর্মরত একজন উপ-পরিদর্শক বলেন, ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোশাররফ হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।এর আগে রোববার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে বিশিষ্ট নাট্যকর্মী আসাদুজ্জামান নূর এবং ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা সোহাগ সরদার (৪৫) বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলাটি করেন।এসএফ
    আসাদুজ্জামান নূর-মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিয়াম সরদার (১৭) রাজধানীর মিরপুরের হোটেল রাব্বানীতে চাকরি করতেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা সোহাগ সরদার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।এর আগে, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দয়া করে একটি মামলায় গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।তবে, সে মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকায় তাকে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।একই মামলায় রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুজ্জামান নূরকে।এসএফ 
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে
    ঢাকার আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া। শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান ও তাদের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান পলাতক ছিলেন। গত ১ সেপ্টেম্বর আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই সন্তানের মধ‌্যে একমাত্র ছেলে জ‌্যোতি পারিবারিক ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান সাভার রিফ্রাক্টরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।সাভারে গণহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জ্যোতির বিরুদ্ধে পুলিশের পদোন্নতি, বদলি, টেন্ডার বাণিজ্য থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।এসএফ
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হবে। এফএস
    লাশ পোড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ডিবির আরাফাতের ৩ দিনের রিমান্ড
    আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলায় গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মিয়া তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ১০ নম্বর আসামি আরাফাত। মামলার পর রাজধানীর আফতাবনগর থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসি’র সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।এফএস
    হত্যা মামলায় তথ্য-প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার নয়: পুলিশ সদর দফতর
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানা ও আদালতে দায়েরকৃত হত্যা ও অন্য মামলার প্রাথমিক তদন্তে কোনো আসামির সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে, সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে এ নিয়ে একটি চিঠি তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) কামরুল আহসান সই করা চিঠিটি সারাদেশের প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফ্যাক্স করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে চিঠির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী পরিবার বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিভিন্ন আদালত বা থানায় করা মামলায় সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার না করার।পাশাপাশি, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক দায়ের করা হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মামলায় তদন্তের পূর্বে কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একের পর এক মামলা হচ্ছে। প্রায় তিন শতাধিক এসব মামলার অধিকাংশই হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলা।  প্রতিটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে সবাই মারা গেছেন।এসএফ 
    সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় বাবরের জামিন
    সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এই আদেশ দেন।২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা করা হয়।এ মামলায় আদালতে হাজির হন আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্যতম আসামি বাবর ঢাকায় কারাগারে বন্দি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে আদালতের বিচারক বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে বিএনপি সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘটিত হলে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আটক করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এসএফ    
    সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে
    ২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’র অভিযোগে গ্রেপ্তার ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক গোলাপ মাহমুদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল।২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’র অভিযোগে ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের বর্তমান ও সাবেক ১৩ কর্মকর্তাসহ ৬২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ঘটনার ৯ বছর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় জনির বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নূরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যায়। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে আসামিরা জনি ও মইনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে তাদের ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও নির্যাতন করা হয়।তখন নুরুজ্জামান জনির ৭ (সাত) মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ আত্মীয়স্বজনরা খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিণ অফিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন থানায় হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ান। প্রায় ২ দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করার পরেও নুরুজ্জামান জনির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।পরে ২০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর খেলার মাঠের আশপাশের মানুষজন চিৎকার করা কণ্ঠে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। নির্যাতিত ব্যক্তিটি পানি-পানি বলে চিৎকার ও মা-মা বলে আর্তনাদ করতে থাকেন।ঘটনাস্থলের এলাকার পাশে সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম রাতের কান্নার শব্দ শুনেছে বলে জানান। এ-ব্লকের বাসিন্দা সাইফুদ্দিনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সেতু জানান, রাত ৩টার দিকে ‘ওমাগো, মা, মা.. বাঁচাও’ বলে কয়েকবার চিৎকার শুনেছেন।সেই সময় আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পায়। ভোর রাতে বাদীসহ সাক্ষীরা ও প্রতিবেশীরা খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর মাঠের দিকে গিয়ে পুলিশদের দেখতে পায়। আসামিরা বলে যে, নুরুজ্জামান জনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তার মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।বাদী ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে দেখতে পান নুরুজ্জামানের বুকের বামে, ডান দিকে, দুই হাতের তালুতে ১৬টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার সব শরীর ঝাঁঝরা করে ফেলেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কর্কশ ভাষায় গালিগালাজ করে। লাশ গ্রহণ না করলে মামলা দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।এসএফ 
    পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের হত্যাকারীকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড
    ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারই ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিল। এই অপরাধে তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এই তথ্য জানিয়েছে।ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ 'পাঠাও'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ 'গোকাদা'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, ফাহিম সালেহ'র কাছ থেকে চার লাখ ডলার চুরি এবং অন্যান্য অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।প্রসিকিউটররা জানান, হাসপিল ফাহিম সালেহ'র কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন।কিন্তু হাসপিল তখনও ফাহিমের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করে যাচ্ছিলেন এবং এটা তার বস জেনে যেতে পারে, এমন ভয় থেকে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল হত্যা করেন ফাহিমকে। এর পরের দিন একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ফাহিমের মরদেহ কাটার এ পর্যায়ে করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি চার্জার কিনতে বাইরে যান। এর মধ্যে ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে।এইচএ

    Loading…