এইমাত্র
  • মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সংস্কার কাজে আসবে না: নুর
  • বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় ভাসবেন না: মির্জা ফখরুল
  • খানসামায় যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ১
  • মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
  • শেরপুরে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
  • ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: রেজাউল করিম
  • আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানালো অধিদপ্তর
  • চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জামায়াতের আমীর
  • আজ শনিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

    লাইফস্টাইল

    প্রথম প্রেম যে কারণে ভোলা যায় না
    ২০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে আমার প্রেম হয়। সে ছিল আমার প্রথম প্রেমিক। আমার বয়স তখন ১৭, আর ওর ১৯। আমরা একজন আরেকজনের জন্য পাগল ছিলাম। তবে আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে যায়। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আমি এখনো তার কথা ভাবি। সে আমার স্বপ্নে আসে। আমি এখন একজন বিবাহিত সুখী মানুষ। আমি খুবই সুখী। কিন্তু আশ্চর্য লাগে, তাকে ভুলতে পারি না। কিছুদিন আগে আমাদের আবার যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমার এখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমি কী করব? দয়া করে পরামর্শ দিন।পত্রিকা বা নিউজ পোর্টালের পরামর্শ কলামে যদি নিয়মিত চোখ রাখেন, তাহলে এই ধরনের সমস্যা প্রায় প্রতিদিনিই খুঁজে পাবেন। আগের সম্পর্ককে ভুলতে না পারা এবং বারবার সেই কথা মনে করে বর্তমান জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক। প্রথম প্রেম, প্রথম অনুভূতি, প্রথম ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলো প্রবলভাবে বিদ্যমান থাকে। ফলে সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পরও অতীত বর্তমানে এসে হানা দেয়। ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, এর কারণ হলো, দীর্ঘ সময় পরেও মানুষের জীবনের প্রথম প্রেমের প্রভাব রয়ে যায়। সেই প্রেম কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ হলেও সেই স্মৃতি মুছে যায় না। কিন্তু কেন?কেন এসব স্মৃতি আমার মনে ও মস্তিষ্কে এত গভীরভাবে গেঁথে থাকে? অন্য স্মৃতির চেয়ে কেন সেগুলো উজ্জ্বল হয়। একটি মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, প্রথম প্রেমের অনুভূতি অনেকটা প্রথমবার স্কাইডাইভিং বা বিমান থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ দেওয়ার মতো। এরপর আপনি যতবারই লাফ দেন না কেনো, প্রথমবারের স্মৃতিটা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে মনে থাকে।নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর্ট অ্যারন বলেন, ‘যে কোনো বিষয়ে আপনার প্রথমবারের অভিজ্ঞতা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভালো মনে থাকে। সম্ভবত প্রথমবার কোনো কাজ করার সময় কিছুটা ভীতি, কিছুটা উত্তেজনা কাজ করে সে জন্য। প্রেমে পড়ার বিষয়টিও অনেকটা এ রকম। কারণ প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে কখনো কখনো ভীতি থাকে, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, সে নিয়ে সংশয় থাকে। উদ্বেগ হচ্ছে প্রেমের সবচেয়ে বড় অংশ। বিশেষ করে প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে।’সে কারণে প্রথম প্রেম আমাদের স্মৃতি খুব গভীরে প্রোথিত থাকে। আর কোনো প্রেমের স্মৃতিই আর এভাবে মনে দাগ কাটতে পারে না। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সবশেষে যে প্রেমটি জীবনে আসে, সেটিই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সেই প্রেমটিতেই সবচেয়ে বেশি যত্ন পায় মানুষ। তবু প্রথম প্রেমের স্মৃতি কখনো না কখনো মনে পড়েই যায়। অ্যারন বলেন, এটা এ কারণে হতে পারে যে, বেশির ভাগ প্রথম প্রেম হয় বয়ঃসন্ধিকালে। যখন প্রবলভাবে হরমোনের পরিবর্তন হয়, পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। মোট কথা, সব মানুষের জীবনেরই সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়।  আর সে কারণেই এই সময় হওয়া প্রেমের প্রভাব অনেক গভীরভাবে পড়ে জীবনে।এফএস
    বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে?
    বৃষ্টি মানেই এক অন্যরকম পরিবেশ, এক ধরনের অনুভূতির জাগরণ। বাইরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, মৃদু বাতাস বইছে এবং ধীরে ধীরে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। এই মনোরম পরিবেশে এক কাপ চা, বইয়ের পাতা, আর খিচুড়ি— এ যেন এক অদ্ভুত মিল। কিন্তু কেন বৃষ্টির সময় মানুষের খিচুড়ি খেতে ইচ্ছা করে? এর পেছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক ও মানসিক কারণ।খাদ্যাভ্যাস ও আবহাওয়ার সম্পর্কবৃষ্টির সময় পরিবেশের আদ্রতা বেড়ে যায় এবং তাপমাত্রা কমে আসে। এই সময়ে আমাদের শরীর গরম ও সহজপাচ্য খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়। খিচুড়ি হচ্ছে এমনই এক খাবার যা গরম, সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর। এতে রয়েছে চাল, ডাল, এবং নানা ধরনের সবজি যা একসঙ্গে মিশে তৈরি করে এক বিশেষ স্বাদ ও সুগন্ধ। খিচুড়ি খেলে পেট ভরে, এবং শরীরে একধরনের আরাম অনুভূত হয়। বৃষ্টির সময় এমন আরামদায়ক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হওয়া খুবই স্বাভাবিক।খিচুড়ি: পুষ্টি ও স্বাদের মিলখিচুড়ি তৈরির উপাদানগুলো যেমন চাল, ডাল, সবজি, এবং মসলা, সবই মিলে তৈরি করে একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। এর পুষ্টিগুণ যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই এর মসলা ও মাখনের স্বাদ আমাদের মনকে তৃপ্তি দেয়। খিচুড়িতে থাকা মসুর ডাল বা মুগ ডাল প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, আর সবজিগুলো ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। ফলে বৃষ্টির সময় আমাদের শরীর যখন বেশি ক্যালরি ও পুষ্টি চায়, তখন খিচুড়ি খাওয়া হয় খুবই উপকারী।আবেগ ও স্মৃতির মিলনবৃষ্টির সঙ্গে খিচুড়ির সম্পর্ক অনেকটাই মানসিক। ছোটবেলায় মা বা দাদির হাতে বানানো খিচুড়ির স্বাদ হয়তো আমাদের অনেকেরই মনে গেঁথে আছে। বৃষ্টি পড়লে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো ফিরে আসে, আর তার সঙ্গে জুড়ে যায় খিচুড়ির গন্ধ। আমাদের মন এক ধরনের নস্টালজিয়া অনুভব করে, যা আমাদের খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। তাই বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়া শুধু একটি খাবার খাওয়া নয়, বরং একটি স্মৃতির স্বাদ উপভোগ করা।স্বাস্থ্যবিধি ও সহজলভ্যতাবৃষ্টির সময় বাইরে খোলা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এই সময়ে অনেকেরই ঠান্ডা-জ্বরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় ঘরে তৈরি, গরম ও সহজপাচ্য খিচুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ। এছাড়া খিচুড়ি রান্না করা সহজ এবং এর জন্য খুব বেশি উপকরণ প্রয়োজন হয় না। বাসায় যেসব উপকরণ থাকে, তাই দিয়েই মজাদার খিচুড়ি তৈরি করা সম্ভব।সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাববিভিন্ন সংস্কৃতিতে বৃষ্টির সময় বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশেও বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়া একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে বসে খিচুড়ি খাওয়া, তার সঙ্গে ইলিশ মাছ বা ডিম ভাজা যোগ করা—এ এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। এই অভ্যাসটি সামাজিক বন্ধনকেও মজবুত করে।বৃষ্টি আর খিচুড়ি এ এক অদ্ভুত মিলন। এটি কেবল একটি খাবারের প্রয়োজনীয়তা নয়, বরং এটি আমাদের আবেগ, স্মৃতি, এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটার সঙ্গে যেমন প্রকৃতি স্নান করে, তেমনই খিচুড়ির প্রতিটি গ্রাসে আমরা তৃপ্তি পাই। তাই বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি খাওয়া শুধু একটি খাদ্যাভ্যাস নয় বরং এটি আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ।এমআর
    রাতারাতি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে যেসব পানীয়
    প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। এজন্য ভেষজ রূপচর্চা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাদ দেন না। অনেক অর্থও ব্যয় করেন। ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই ভালো। কিন্তু এর পাশাপাশি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং  পানীয় পান করেন তাহলে সুফল মিলবে। তাই প্রথমেই দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। তাতে শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। ত্বকও থাকবে সতেজ। তবে সাধারণ পানি নয়। পান করতে হবে কিছু বিশেষ পানীয়। এতে দ্রুতই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। ডাবের পানি:সুন্দর ত্বকের জন্য সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পান করতে পারেন। শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বককেও হাইড্রেটেড রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বককে টানটান রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন বি৩, বি২, সি ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বাড়ায়। লেবু ও মধু মেশানো পানি:সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে একটি লেবু এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। খালি পেটে এ পানীয় পান করুন। এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও ধরে রাখে এই পানীয়। এছাড়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের গুণের কারণে ত্বকে ব্রণের দাপটও কমে।হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি:সকালে হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি পান করুন। হলুদে থাকা কারকিউমিনে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আদায়ও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য গুণ। এ দুটি ভেষজ একসঙ্গে খেলে ত্বকের সংক্রমণ দূরে থাকবে। ত্বকে ভাঁজ ও বলিরেখা দেখা যাবে না। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাবে না। প্রথমে দেড় গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। তাতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ২ ইঞ্চি আদা থেতো করে দিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। রোজ সকালে এ পানীয় পান করুন।  অ্যালোভেরা জুস:অ্যালোভেরা জুস ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর । তাই মর্নিং ড্রিঙ্ক হিসেবে এর  তুলনা হয় না। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, বি। পাশপাশি এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড আছে। এ সব উপাদান ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও বাড়ে। এফএস
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ১ অক্টোবর ২০২৪
    আজ ১ অক্টোবর ২০২৪ , মঙ্গলবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)ব্যবসার কাজে মাথা ঠান্ডা রাখুন। বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ। বাড়িতে অনেক বন্ধু আসায় খরচ বৃদ্ধি। শরীর নিয়ে কষ্ট পেতে পারেন। বুদ্ধির জোরে শত্রুজয়ে আনন্দ। ভাই-বোনে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। সম্মানহানি থেকে একটুর জন্য রক্ষা পাবেন। নিজের বুদ্ধিতে বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। প্রেমের কারণে  আনন্দ লাভ। চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। প্রেমে আনন্দ লাভ। বাড়তি খরচের জন্য ব্যবসায় চাপ। শত্রুর কারণে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা। জমি ক্রয়-বিক্রয়ে প্রচুর লাভ হতে পারে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য মানুষ আপনাকে ঠকাতে পারেন। ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে অশান্তি হতে পারে। উচ্চ পদের কোনও চাকরির খোঁজ আসতে পারে। লিভারের সমস্যায় ভোগান্তি।  মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট। সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা। কুকথা বলার জন্য অনুশোচনা। জ্যোতিষচর্চায় আনন্দ লাভ। শরীরে কষ্ট বৃদ্ধি। কারও দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা। টাকাপয়সা বুঝে খরচ করুন, অধিক ব্যয়ের সম্ভাবনা। সংসারে দায়িত্ব দ্রুত সেরে ফেলুন। প্রাত্যহিক কাজে বাধা পড়তে পারে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে সুখের দিন। আইনি কাজে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। সন্তানের ব্যবহারে মনঃকষ্ট। বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে। সেবামূলক কাজে শান্তিলাভ। কোমরের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। আজ স্ত্রীর কোনও কাজ আপনাকে অবাক করবে। নিজের কাজের প্রতি গর্ববোধ হবে। জ্বর-জ্বালায় ভোগান্তির আশঙ্কা আছে। গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ। ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে। কৃষিকাজে সাফল্য পাবেন। পড়াশোনায় সুনাম বৃদ্ধি। দুপুরের পরে ব্যবসার ব্যাপারে বিশেষ আলোচনা। ভ্রমণে না যাওয়াই ভাল, কষ্ট বাড়তে পারে। প্রিয়জনের কোনও কাজের জন্য সংসারে অশান্তি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে আইনি ঝঞ্ঝাট পর্যন্ত হতে পারে। বেশি কথা বলার ফলে ক্ষতি হতে পারে। বাড়তি উপার্জনের যোগ রয়েছে। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না। ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে। পারিবারিক কারণে প্রচুর খরচ হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় অর্থাভাবের যোগ। প্রেমে বিবাদ বিচ্ছেদ পর্যন্ত যেতে পারে। কোনও অসৎ কাজের জন্য মনঃকষ্ট। কর্মস্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। কোমরের কষ্ট বাড়তে পারে। সব কাজের জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। পরিবারের সঙ্গে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা বন্ধ হতে পারে। চিকিৎসার ব্যাপারে  খরচ বৃদ্ধি। দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিবেশীর জন্য সম্মানহানি। সেবামূলক কাজে আনন্দ লাভ। বাড়ির লোকের কাছ থেকে দুঃখ পেতে পারেন। বন্ধুদের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে। ভাল কাজে সাফল্য লাভ। পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রার আলোচনা বন্ধ হতে পারে। আপনার আলোচনায় মানুষ সন্তুষ্ট হবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনাকে মালিকের বশ্যতা স্বীকার করে চলতে হতে পারে। শত্রুপক্ষের সঙ্গে আপস করে নিজের কাজ উদ্ধার করতে হবে। প্রয়োজনীয় বিষয়ে দ্রুত এগিয়ে যান। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ বিদ্যমান। সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে। শিক্ষকদের জন্য ভাল খবর। প্রেমের ব্যাপারে চাপ আসতে পারে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। নতুন বন্ধুর জন্য আনন্দ লাভ। স্ত্রীর কোনও কাজে শান্তি পেতে পারেন। শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন। কোনও আশা নষ্ট হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। কোনও মহিলার কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। স্বামীর আবদার পূরণ করতে হতে পারে। সন্তানের ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা। বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে। নেশা থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা। ব্যবসার ক্ষেত্রে ভাল কিছু ঘটতে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির যোগাযোগ লক্ষ করা যাচ্ছে। ব্যয় বাড়তে পারে। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবে। শারীরিক কষ্ট অবহেলা করবেন না। আইনি কাজের ব্যাপারে ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাড়ির কাছে কোথাও ভ্রমণ হতে পারে। কুচিন্তার কারণে মনঃকষ্ট। লটারি থেকে আয় হতে পারে। কোনও বন্ধুর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার যোগ রয়েছে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে। বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট। ব্যবসার কাজে আনন্দ পাবেন। বিবাহের যোগাযোগ আসতে পারে। দুপুরের পরে একটু সাবধানে থাকুন, বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখবর আসতে চলছে। আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির যোগ। সামাজিক সুনাম লাভ। ব্যবসার ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ আসতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য দুশ্চিন্তা। চাকরির স্থানে বাড়তি আয় হতে পারে। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে। চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ। পিতার সঙ্গে তর্ক হওয়ায় মনখারাপ। সারা দিন প্রিয়জনের সঙ্গলাভে আনন্দ। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। পেটের সমস্যা। বিবাহের ব্যাপারে কথাবার্তা হতে পারে। দাম্পত্য কলহেরর কারণে মনঃকষ্ট। পড়াশোনার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারেন।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা। ব্যবসায় লাভের যোগ। দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে চাপ বৃদ্ধি। অপরের উপকারের জন্য খরচ বৃদ্ধি। ব্যবসায় উন্নতির ইঙ্গিত। চাকরির স্থানে জটিলতার জন্য চিন্তা। পরিজনের সঙ্গে সামান্য বিষয়ে তর্ক বাধতে পারে। একাধিক পথে উপায় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। কাজের ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। খেলাধুলার জন্য পুরস্কৃত হতে পারেন। অহেতুক ক্রোধ বাড়তে পারে। নতুন কাজের জন্য যোগাযোগ হতে পারে। এবি 
    গোসলের যেসব ভুলে হতে পারে চর্মরোগ
    প্রতিদিন গোসল করা সবারই দৈনন্দিন অভ্যাস। তবে জানেন কি, সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার গোসল করলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা নেই- এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।তবে আপনি যখনই ঘামবেন; তখনই গোসল করা জরুরি। গোসলের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতা, চুলকানিসহ ত্বকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে গোসলের মাধ্যমে।প্রতিদিন গোসল করার ভুল ধারণার মতো আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আছে, যেগুলো অনেকেই এড়িয়ে যান। যেমন- গোসলের জন্য সঠিক সাবান নির্বাচন, ঠান্ডা বা গরম পানির ব্যবহার, ভুল তোয়ালে কিংবা শরীর মাজুনি পরিষ্কার না রাখা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অনেকেই সচেতন থাকি না। চর্মরোগের কারণ হতে পারে গোসলের অনুষঙ্গ অপরিষ্কার রাখা।চলুন তবে জেনে নিন গোসলে যেসব ভুল সবাই কমবেশি করে থাকেন->> প্রথমেই আসা যাক, গোসলের জন্য কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? অবশ্যই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান। এই ধরনের সাবান শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেয়। অন্যান্য সাবান ত্বকে ব্যবহার করলে শুষ্ক হয়ে যায়। তবে মাইল্ড সাবানও ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ত্বকের জন্য ভালো, বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য। আপনার যদি একজিমা বা ত্বকের কোনো সমস্যা থাকে, তবে সুবাসযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না।>> শরীরের বেশ কিছু স্থান আছে, যেখানে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন-বগল, হাত, পায়ের পাতা ও মুখে। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই স্থানগুলো বেশি সংবেদনশীল। তাই এসব স্থানে সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও নিম্নাঙ্গে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।>> গোসলের পর শরীর মোছার জন্য সবাই তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করে থাকেন। সঠিকভাবে পরিষ্কারের অভাবে তোয়ালেতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাসসহ বিভিন্ন জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। জীবাণুযুক্ত তোয়ালে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চর্মরোগ পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে তোয়ালে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। ধুয়ে অবশ্যই রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।>> শুধু তোয়ালে পরিষ্কার রাখলেই হবে না, সঙ্গে শরীর মাজুনির কথা ভুলে গেলে চলবে না! এটি সবাই ব্যবহারের পর বাথরুমেই রাখেন! আর বাথরুম হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। তাই শরীর মাজুনি ব্যবহারের পর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার কোনো স্থানে ঝুলিয়ে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর শরীর মাজুনি পরিবর্তন করতে হবে। যদি আপনার শররি মাজুনিটি প্লাস্টিকের হয়ে থাকে, তাহলে ২ মাস পরপর পরিবর্তন করতে হবে।>> সাধারণত শীতকালে সবাই কমবেশি গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। তবে জানেন কি, শুধু শীতকাল নয় গ্রীষ্মকালেও যদি আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন; তাহলে আপনার ত্বক বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে। বিশেষ করে যাদের ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি, একজিমা বা সোরিয়াসিস আছে; তারা গরম পানি দিয়ে গোসলের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ৫-১০ মিনিট হট বাথ নিলে বিভিন্ন ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে।>> প্রতিদিন যেমন গোসলের প্রয়োজন নেই: ঠিক তেমনই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করারও প্রয়োজন নেই। যদি আপনার চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় বা শরীরচর্চার পর মাথার ত্বক ঘামে কিংবা নোংরা হয়; তাহলেই কেবল চুল পরিষ্কার করতে পারেন। মাথার ত্বকে তৈলাক্তভাব না আসলে চুলে শ্যাম্পু করার দরকার নেই!>> বাথরুমে একটি গ্র্যাব বার থাকা খুবই জরুরি। অনেক সময় বাথরুমে অনেকেই পড়ে যান! এমন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে বাথরুমে একটি গ্র্যাব বার অবশ্যই লাগাবেন। জানেন কি, যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজারের মধ্যে ১০ জন মানুষ বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে থাকেন। এজন্য বাথরুমের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে একটি গ্র্যাব বার লাগানো আবশ্যক।>> গোসলের সময় ঝরনা সবাই ব্যবহার করে থাকেন! তবে এর এর মাথাটি কখনো পরিষ্কার করার কথা ভেবেছেন? ঝরনার মাথায় জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। তাই যখন আপনি পানি ছাড়বেন, ওই জীবাণুগুলো আপনার শরীরেই পড়বে। গরম পানি দিয়ে নিয়মিত মুছে, শাওয়ারহেড পরিষ্কার রাখবেন।>> গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার না করলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক। গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নেওয়ার পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।>> শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত থাকলে, ওই স্থানে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে তবে গোসল করা উচিত।>> বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যান না থাকলে দ্রুত লাগানোর ব্যবহার করুন। বাথরুম বদ্ধ স্থান হওয়ার কারণে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধে। যদি আপনার বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যান থাকে; তাহলে ভেতরের বাতাস বাইরে বের করার মাধ্যমে বাথরুম জীবাণুমুক্ত থাকবে।সূত্র: ওয়েব এমডিএমআর
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে। ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে। মধুর ব্যবহার আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা। ব্যবসায় লোকের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। সম্মানপ্রাপ্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। দাম্পত্য কলহ বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে। সাংসারিক সমস্যা মিটে যাবে। অতিরিক্ত বন্ধুপ্রীতি আপনাকে ভোগাতে পারে। প্রতিবেশীদের চাপে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। স্থির মস্তিষ্কে শত্রুর মোকাবিলা করুন। গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ করা যাবে। সন্তানদের কাজে গর্ববোধ। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অতিরিক্ত ব্যয় চিন্তায় ফেলতে পারে। পুরনো ব্যথা বাড়তে পারে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে। উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে। প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে দূরে থাকাই ভাল হবে। চক্ষুপীড়ার যোগ। কোনও ভাল চিন্তা আপনাকে সারা দিন আচ্ছন্ন রাখবে। ভ্রাতৃবিরোধের যোগ দেখা যাচ্ছে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকাই ভাল। বাড়িতে আত্মীয়ের সমাবেশ হতে পারে। নিজের মেধা প্রকাশের সুযোগ পাবেন। সামাজিক কাজে বেশি না জড়ানোই শ্রেয়, মানহানির আশঙ্কা। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত। শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন। বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি। যে কোনও কাজের চেষ্টা করতে পারেন, ফল শুভ হবে। বাড়িতে কারও বিয়ে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সন্তানদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার বজায় রেখে চলুন। রাস্তায় ছোটখাটো আঘাত লাগতে পারে।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন। কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে। নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার যোগ। গৃহনির্মাণে বাধা পড়তে পারে। সপরিবার ভ্রমণ হতে পারে। যানবাহন চালানোয় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখুন। কর্মক্ষেত্রে বদলির সম্ভাবনা। নিজের কৌশলে ব্যবসায় উন্নতির যোগ। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে। পরিশ্রমের সুফল পাবেন। প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন। কারও প্ররোচনায় হঠাৎ কোনও কাজে হাত দিয়ে দেবেন না। পারিবারিক অশান্তি মিটে যাওয়ার সঙ্কেত। অতিরিক্ত কথা বলায় বিবাদের যোগ। পেটের সমস্যা একটু থাকবে। কর্মস্থানে পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)কোনও ভাল জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ। বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায় দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি। আপনার কোনও আচরণ লোকের খারাপ লাগতে পারে। শরীরে যন্ত্রণা বৃদ্ধি। শত্রুভয় বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে কোনও মহিলার সঙ্গে নতুন ভাবে বন্ধুত্ব শুরু হতে পারে। কাজের জায়গায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘ দিনের কোনও ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। সন্তানদের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য। কোনও জটিল সমস্যা আপনাকে ভোগাতে পারে। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন। কর্মস্থানে নিজের কিছু ভুল শোধরানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে রুক্ষতা বাড়বে। বিশেষ কোনও আলোচনা থাকলে সেরে ফেলুন। শারীরিক দুর্বলতায় ভোগান্তি। কর্মস্থানে ভাল পরিকল্পনার জন্য সুনাম বাড়তে পারে। গুরুজনের কথায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ কোনও কাজের সুযোগ আসতে পারে। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)ধর্মবিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে। মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর হবে। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। খাদ্যের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বন্ধুদের কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। ব্যবসার ব্যাপারে মনোবল বাড়ান। কাউকে পরামর্শ না দেওয়াই ভাল হবে। হতাশার জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা। মানুষের সেবায় শান্তিলাভ। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিপত্তি ঘটতে পারে। দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ করে অশান্তি শুরু হতে পারে।মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার ব্যাপারে বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। ভ্রমণের পরিকল্পনায় বাধা আসতে পারে। প্রেমের জট ছেড়ে যাবে। ব্যয়ের প্রতি একটু বেশি নজর দিতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ কেটে যাবে। সন্তানের সুবুদ্ধি ঘটতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলাই ভাল। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। পুরনো শত্রুর কাছ থেকে বন্ধুর মতো ব্যবহার পাবেন। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন। সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন। মনে মনে কোনও ভয় আপনার বুদ্ধিনাশ করতে পারে। আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে। আমাশয়-জাতীয় রোগে কষ্ট পেতে পারেন। বাড়ির পরিবেশ আপনার অনুকূল থাকবে। বাড়ির বড়দের শরীর নিয়ে একটু চিন্তা থাকতে পারে। উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ সুযোগ আসতে পারে।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ঘরের পরিবেশ অনুকূল থাকলেও বাইরের পরিবেশ তেমন উপযুক্ত হবে না। বাড়ির গুরুজনদের নিয়ে ভ্রমণ হতে পারে। উচ্চশিক্ষায় বাধা পড়তে পারে। প্রেমের ক্ষেত্র খুব শুভপ্রদ। নিজের ধৈর্যের জন্য প্রশংসা পেতে পারেন। সংসারে বা ব্যবসায় বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এবি 
    খেজুর ভেজানো পানির জাদুকরী গুণ
    খেজুর সবচেয়ে জনপ্রিয় শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম। এর স্টিকি টেক্সচার এবং প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ সবাই পছন্দ করেন। সেইসঙ্গে এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা এই ফলকে প্রক্রিয়াজাত চিনির একটি চমৎকার বিকল্প করে তোলে। যদিও কেক বা স্মুদিতে খেজুরের ব্যবহার অনেকে জানেন, তবে আপনি কি কখনো খেজুর ভেজানো পানি পান করেছেন? খেজুরের পানি খেজুরের মতোই স্বাস্থ্যকর এবং যারা চিনিযুক্ত পানীয় এড়াতে চান তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুর ভেজানো পানি পানের উপকারিতা সম্পর্কে-১. হজমের স্বাস্থ্য ভালো রাখেআপনি কি ইদানীং হজমের সমস্যায় ভুগছেন? যদি তাই হয়, তাহলে খেজুরের পানিতে চুমুক দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই শুকনো ফলটি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য দারুণ করে তোলে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২১ জন লোক যারা ২১ দিনের জন্য প্রতিদিন ৭টি খেজুর খেয়েছিল তাদের মল ফ্রিকোয়েন্সিতে উন্নতি হয়েছে। সুতরাং, আপনি যদি পেটফাঁপা এবং গ্যাসের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতে চান তবে খেজুরকে আপনার নতুন সেরা বন্ধু করুন।২. ত্বকের জন্য ভালোস্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল এবং তারুণ্যময় ত্বক এমন একটি জিনিস যা আমরা সকলেই কামনা করি। খেজুরের পানি অনায়াসে এই ইচ্ছা পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। এনআইএইচ অনুসারে, মধ্যবয়সী নারীরা যারা ৫% খেজুরের কার্নেলযুক্ত স্কিন ক্রিম ব্যবহার করেছিলেন তাদের বলিরেখার উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে। খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যার মানে এর পানিও আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করবে।৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেআপনি কি জানেন খেজুরের পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে? ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর খেতে পারেন, তবে তা সীমিত হতে হবে। খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কম থাকে এবং এর পানিতে চুমুক দিলে তা আপনার মিষ্টি পানীয়ের লোভ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেডিসিনাল ফুড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিক ডায়েটে খেজুর যোগ করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং লিপিড প্রোফাইল উন্নত করতে সহায়তা করে।৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালোহ্যাঁ, খেজুরের পানি আপনার হার্টের জন্যও উপকারী হতে পারে! এনআইএইচ-এর মতে, খেজুর খাওয়ার অভ্যাস কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য, বিশেষ করে প্লাজমা লিপিডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। সেইসঙ্গে খেজুরে উচ্চ ফাইবার সামগ্রী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি এগুলিকে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দুর্দান্ত করে তোলে। নিয়মিত খেজুরের পানি পান করলে তা হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, আপনাকে সুস্থ রাখে।বাড়িতে খেজুরের পানি কীভাবে তৈরি করবেন?একমুঠো খেজুর নিয়ে সেগুলোকে অর্ধেক করে কেটে এবং বীজগুলো ফেলে দিন। এবার একটি বড় প্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। খেজুরগুলো প্যানে দিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য সেদ্ধ করুন। আগুন বন্ধ করুন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিন এই খেজুর সেদ্ধ করা পানি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এটি আপনি ঠান্ডা বা গরম উভয়ভাবেই পান করতে পারবেন।এমআর
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)  কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন। লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে। সন্তানের ভাল কাজের জন্য গর্ববোধ। ব্যবসায় সমস্যা বৃদ্ধি। বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। বাইরের অশান্তি বাড়িতে আসতে পারে। ব্যবসায় ঝুঁকি থাকলেও লাভ বাড়বে। যুক্তিপূর্ণ কথা সুনাম বাড়াতে পারে। দাম্পত্য বিবাদের জন্য ভ্রমণ বাতিল হতে পারে। খারাপ কথা বলার জন্য অনুশোচনা। জ্যোতিষচর্চা থেকে আয় হতে পারে। বিলাসিতা বৃদ্ধির জন্য বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা করতে পারেন। এই দিন আপনার আয় এবং ব্যয়ের কথা চিন্তা করতে হবে। বাজেট তৈরি করে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শুভ রঙ: সবুজ, শুভ সংখ্যা: ৬বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। কাজের ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ হতে পারে। পাওনা আদায়ের জন্য বেশি কষ্ট পেতে হবে না। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটতে পারে। ব্যবসায় একটু চাপ বাড়তে পারে। বুদ্ধির ভুলে কাজে ত্রুটি হতে পারে। স্ত্রীর জন্য মায়ের সঙ্গে বিবাদ ও মনঃকষ্ট। প্রেমের ব্যাপারে আনন্দ পাবেন, তবে চিন্তাও বাড়বে। পিতার সঙ্গে আলোচনায় লাভবান হবেন। আপনার পছন্দমতো কাজ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যবসায় নতুন যোগাযোগ হতে পারে। বন্ধুস্থানীয় কারও কাছ থেকে উপকার পাবেন। অতিরিক্ত লোভ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।  খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে এবং বিশেষ করে এই দিন আপনার টাটকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। এই দিন বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নিতে হবে। শুভ রঙ: আকাশি নীল, শুভ সংখ্যা: ১১মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে। কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন। সন্তানের জন্য উদ্বেগ বাড়তে পারে। কর্মস্থানে ব্যস্ততার কারণে শরীরের কষ্ট বৃদ্ধি। পড়াশোনার জন্য কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা। পিঠের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে। নতুন কাজের বিষয়ে সুনাম বাড়তে পারে। ব্যবসায় আয় বাড়বে। সেবামুলক কাজে সাফল্য লাভ। কারও সঙ্গে তর্ক থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসায় পুরনো অশান্তি ফিরে আসতে পারে। দরকারি আলোচনা আজকের মধ্যে সেরে ফেলুন। ভুল সংশোধনের সুযোগ পেতে পারেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হতে পারে।এই দিন শিক্ষার্থীদের নিজেদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। এই দিন পড়াশোনায় সাফল্য পেতে পারেন এবং বন্ধুদের সমর্থনও পেতে পারেন। শুভ রঙ: গোলাপি, শুভ সংখ্যা: ৩কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন। দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা। শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে। সন্তানের কারণে আনন্দ লাভ। পিতার চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধি।  সম্পত্তি নিয়ে সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা। অসুস্থতার কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।  ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে। দূরে বাসরত কোনও আত্মীয়ের খবর পেতে পারেন। প্রেমে অশান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। পেটের সমস্যায় ভোগান্তি। নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকুন, লাভবান হতে পারেন। কোনও দুশ্চিন্তা সারা দিন আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। পড়াশোনায় অমনোযোগ দেখা দেবে। নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি ভাল সুযোগ পেতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের এই দিন মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে হবে। এই দিন প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। তাঁদের সঙ্গে বিনোদনের উপায় উপভোগ করতে পারেন। শুভ রঙ: হলুদ, শুভ সংখ্যা: ২সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক। বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। কারও প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। বেকারদের জন্য কাজের ভাল যোগাযোগ হতে পারে। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য উদ্বেগ। কোনও প্রাজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। প্রতিবেশীদের ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়। প্রেমের ব্যাপারে নির্ভয়ে এগোতে পারেন। লিভারে একটু সমস্যা দেখা দেবে। ব্যবসায় নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনার কাজ এগিয়ে যাবে এবং আপনি সফল হবেন। আয়ের উৎস বৃদ্ধির কারণে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বাড়বে। এই দিনটি আপনার জন্য শুভ হবে। শক্তি সচল রাখতে হবে। শুভ রঙ: ঘন সবুজ, শুভ সংখ্যা: ১২কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কাজের চাপ বাড়তে পারে। শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের সময় নষ্ট। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকুন। সন্তানের জন্য খরচ বাড়তে পারে। আশানুরূপ আয় বৃদ্ধির যোগ। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। পেটের সমস্যার জন্য দুপুরের পরে কাজের ক্ষতি হতে পারে। কারও কাছ থেকে দামি কোনও উপহার না নেওয়াই ভাল হবে। শরীরের কোথাও যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আলস্য বাড়বে। আপনার আচরণে পরিবারের সকলে আনন্দ পাবেন।     নিজের মতে কিছু করার জন্য কর্মস্থানে বিবাদ বৃদ্ধি। বেকারদের জন্য চাকরির সুযোগ আসতে পারে। যাঁরা সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরা এই দিন সুখবর পেতে পারেন। ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায়, পরে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত উত্তেজনা নিয়ে কোনও কাজ করা চলবে না। তাহলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। প্রয়োজনীয় কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে এবং আয়-ব্যয়ের জন্য বাজেট তৈরি করা আবশ্যক। শুভ রঙ: মেরুন, শুভ সংখ্যা: ৪তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)ব্যয় বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার। অতিথিসেবায় শান্তিলাভ। শত্রুভয় বাড়তে পারে। চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধি। কর্মস্থানে সম্মান বাড়তে পারে। পিতার জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার। প্রিয়জনের জন্য মনঃকষ্ট বৃদ্ধির সম্ভাবনা। দূরের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারের জন্য সুনাম পাবেন। চাকরির স্থানে কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। স্ত্রীর জন্য মানসিক চাপ বাড়তে পারে বা অশান্তি হতে পারে।  এই দিন কাজে মনোযোগ দিতে হবে। মনকে শান্ত রাখতে হবে এবং নিজের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য বিষয়গুলি ভাল ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। শুভ রঙ: কমলা, শুভ সংখ্যা: ১০বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। সামাজিক সম্মান পাবেন। একাধিক পথে আয় বৃদ্ধি। একটু সাবধানে চলাফেরা করুন, বিপদের যোগ রয়েছে। কোনও একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। শিল্পীদের জন্য ভাল সময়। রক্তচাপ ও পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। পড়াশোনায় অসুবিধা দেখা দিতে পারে। ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি পাবে। ভ্রমণে না যাওয়াই ভাল হবে, কষ্ট বাড়তে পারে। প্রিয়জনের কারণে ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।  এই দিন আর্থিক সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে পারে এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতিও দেখতে পারেন। তাই এই দিন নিজের লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে হবে। শুভ রঙ: পার্পল, শুভ সংখ্যা: ৯ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে। কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে অভিমান বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ কাজে লাগান। বন্ধুদের কারণে বিপদে পড়তে পারেন। আগুন থেকে বিপদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তর্কে জয়লাভ করায় আনন্দ। আর্থিক চাপ বাড়তে পারে। সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম জুটবে। মাথার যন্ত্রণা বাড়তে পারে। পিতা-মাতার চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। দাম্পত্য বিবাদ বিচ্ছেদ পর্যন্ত যেতে পারে। অসৎ কাজের জন্য মনঃকষ্ট। ব্যবসায় একটু পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। কর্মস্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।   ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এই দিন অর্থের বর্ষণ হতে পারে। অর্থ সম্পর্কে নিজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও পেতে পারেন। শুভ রঙ: নীল, শুভ সংখ্যা: ৫মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন। অশান্তি থেকে দূরে থাকুন। ব্যয় বাড়তে পারে। ব্যবসার ব্যাপারে উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। চাকরির স্থানে কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে। প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে অর্থব্যয় হতে পারে। দূরে কোথাও ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। শরীরে কষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে। কোনও ব্যক্তির দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়তি খরচের জন্য চাপ বাড়তে পারে।   এই দিন কিছু সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। যা আপনার সম্মান বৃদ্ধি করবে। সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করতে হবে। শুভ রঙ: লাল, শুভ সংখ্যা: ৭কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন। সংসারের ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। কাউকে খারাপ কথা বলায় অনুশোচনা হতে পারে। লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে। প্রিয়জনের ব্যাপারে কোনও খারাপ খবর আসতে পারে। বৃথাভ্রমণ হতে পারে। সামাজিক কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে। নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পাবে। অবান্তর কথার জন্য বিবাদ হতে পারে। কোনও কারণে সম্মান নষ্ট হতে পারে। সন্তানের ব্যবহারে মনে আঘাত পাবেন। বাড়িতে কোনও সুসংবাদ আসতে পারে। সেবামূলক কাজে শান্তিলাভ।   প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্যও এই দিনটি খুব ভাল। এই দিন সঙ্গীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনার ডেটে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। একে অপরের সঙ্গে বিশ্রামের মুহূর্তগুলি উপভোগ করবেন এবং পরিকল্পনাও ছকতে পারবেন। এই দিন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ককে আরও মজবুত করার সুযোগ পাবেন। শুভ রঙ: কালো, শুভ সংখ্যা: ৮মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)গাড়ি একটু সাবধানে চালান। অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে না যাওয়াই ভাল হবে। সন্তানের জন্য বাড়তি খরচ হতে পারে। একটু সাবধানে চলাফেরা করা দরকার, আঘাত লাগতে পারে। স্ত্রীর প্রতি অভিমান হতে পারে। কাজের চাপের জন্য শরীরের কষ্ট বৃদ্ধি। সম্পত্তির ব্যাপারে খরচ বাড়তে পারে। উপহার পাওয়ায় আনন্দ। মিথ্যা অপবাদ কপালে জুটতে পারে। প্রেমে আনন্দ লাভ। বাড়তি খরচের জন্য বাড়িতে বিবাদ। আত্মীয়-শোক আসতে পারে। ব্যবসা-ভাগ্য মধ্যম। এই দিন ব্যয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে অর্থের অভাব অনুভব করতে পারেন। অতএব, নিজের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে হবে। তাই নিজের প্রিয় শখের জন্য কিছু সময় ব্যয় করার চেষ্টা করতে হবে। শুভ রঙ: সাদা, শুভ সংখ্যা: ১এবি 
    বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের মন বুঝবেন যেভাবে
    বয়ঃসন্ধির কালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো হঠাৎ করেই চলে আসে। সেই বদলের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খায় বহু ছেলেমেয়েই। এই সময় তাদের আবেগ, আচরণ নিয়ে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন অভিভাবকেরাও। কথায় কথায় রাগ, এই ভালো, এই খারাপ মেজাজের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন না বাবা-মায়েরাও।এমন সময় কী করণীয়, কেনই বা এই বয়সে এমনটা হয়, মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়ঃসন্ধির সময়কালটা এমনই। এই সময় ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের বিশেষ তারতম্য লক্ষ করা যায়। যা তাদের মেজাজ ও মনে প্রভাব ফেলে।এই সময় যৌন হরমোনের নিঃসরণ বেশি হয়। শরীর ক্রমেশ যৌবনের দিকে এগোতে থাকে। ফলে ছেলে বা মেয়ে, উভয়েরই শরীরে বদল আসে। এই সময় কিছু নিউরনের ‘কানেক্টিভিটি’ বা সংযোগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে। যার ফলে মনোজগতে প্রভাব পড়ে। হরমোনের প্রভাব মস্তিষ্কেও পড়ে। মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলে সেরোটোনিন নামে হরমোন। নিউরো হরমোন সঠিকভাবে কাজ না করলেও মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় কখনো দেখা যায়, এই মন ভীষণ ভালো, আবার একটু পরই বিরক্তি।জেনে নিন অভিভাবকদের করণীয় কী ১. সন্তানের এই মেজাজ বদলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অনেক সময় নাজেহাল হয়ে পড়েন অভিভাবকরাও। প্রভাব পড়ে সম্পর্কেও। সামান্য কারণেই হয়তো বাবা-মায়ের ওপর চিৎকার করে বসল সন্তান। দু-একবার হলে সমস্যা নেই, কিন্তু তা বারবার চলতে থাকলে বাবা-মায়েরাও ভেবে উঠতে পারেন না, কী করবেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় ব্যালান্স পেরেন্টিং প্রয়োজন। অর্থাৎ সন্তানকে বুঝতে হবে, তার কার্যাবলিও নজরে রাখতে হবে। আবার তাকে ছাড়ও দিতে হবে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, সন্তানকে স্বাধীনতা দিয়ে কোনো খেয়াল রাখবেন না। ছোট থেকেই যদি এমন অভিভাবকত্বে শিশু বড় হতে থাকে, তা হলে বঃসন্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেক সময় বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্কের অভাব বা নিরাপত্তাহীনতা তাদের জীবনে বাড়তি সমস্যা তৈরি করে।২. ছেলেমেয়ে যদি চিৎকার করে সেই সময় অন্য পক্ষকে থেমে যেতে হবে। পরে যখন পরিস্থিতি শান্ত হবে, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কিছু হয়েছে কি না। যে কোনো সমস্যায় বাবা-মা পাশে থাকবেন। এই ভরসাটুকু সন্তান পেলে তাদের পক্ষেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজতর হতে পারে।৩. সন্তানের ভাবনা বুঝতে হলে বাবা-মাকেও নিজেকে সন্তানের জায়গায় রেখে বিষয়টি ভাবতে হবে। অনেক সময় সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব তৈরি হয়। বাবা-মায়ের উচিত ছেলেমেয়েকে বোঝার চেষ্টা করা। সে যাতে নির্ভয়ে মনের কথা বলতে পারে, সেই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা।কিন্তু এই বয়সের ছেলেমেয়েরা কি সব কথা সত্যিই অভিভাবকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে? গোপন ভালো লাগা বা প্রেমের সম্পর্কের টানাপড়েন—এই সব কথা কি বাবা-মাকে বলা যায় সব সময়? যদি মনে হয় সন্তান ভালো নেই বা হয়তো বাবা-মায়ের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে না, সে ক্ষেত্রে কোনো আত্মীয় বা শিক্ষক, যার সঙ্গে তার আদান-প্রদান বেশি, তাদের অনুরোধ করা যেতে পারে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য। প্রয়োজনে কাউন্সিলরের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।৪. এই বয়সের ছেলেমেয়েদের অনেকেই মিথ্যে কথা বলা শুরু করে। হয়তো স্কুলে যাচ্ছে না, কিন্তু সে কথা বাড়িতে জানতেই পারছে না। আবার অনেক সময় নেশা করার প্রবণতাও তৈরি হয়। অভিভাবকেরা যেমন ‘হেলিকপ্টার পেরেন্টিং’-এর মতো সব সময় ঘাড়ের কাছে শ্বাস ফেলবেন না, তেমনই তারা কোথায় কী করছে, খবরাখবর রাখার চেষ্টা করতে হবে। কাদের সঙ্গে মিশছে, অভিভাবকে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু সন্তান নয়, সন্তানের বন্ধুদের সঙ্গেও অভিভাবকদের সদ্ভাব থাকলে অনেক খবরাখবর পাওয়া যায়। এবি 
    টি ব্যাগ দিয়ে চা তৈরি কি সত্যিই ক্ষতিকর
    চা পানের নানা উপকারিতা রয়েছে। চা পানে কেউ কেউ খুবই তৃপ্তি খুঁজে পান। কেউ আবার চা পানের মাধ্যমে নিজেকে সতেজ করে তুলেন। কিন্তু প্রায়ই মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, বাসার বাইরে টং দোকানে গরম পানিতে টি ব্যাগ ডুবিয়ে যে চা পান করা হয়, তা কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? এ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। কারও মতে টি ব্যাগ ডুবিয়ে চা পান করা ঠিক নয়। আবার কেউ কেউ তো সরাসরি নিষেধই করে থাকেন।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টি ব্যাগ দিয়ে তৈরি চা পান করা কি আসলেই ক্ষতিকর? সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা রায় দত্ত। এবার তাহলে বিষয়টি নিয়ে জানা যাক।চা এর উপকারিতা: চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এতে নানা ক্রনিক অসুখ দূরে থাকে। আবার স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার অসুখের আশঙ্কাও কমে। আর মানসিক তৃপ্তি তো রয়েছে।টি ব্যাগ কি ক্ষতিকর: টি ব্যাগ দিয়ে তৈরি চা পান ক্ষতিকর না উপকারী, তা নির্ভর করে গুণগত মানের ওপর। টি ব্যাগের গুণগত মান কম বা খারাপ হলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক। কেননা, এ জাতীয় টি ব্যাগ নাইলন ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হয়। বিজ্ঞানসম্মত না পিইটি। এ জাতীয় টি ব্যাগ দিয়ে চা বানিয়ে খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এতে ছোট ছোট নানা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।উন্নতমানের টি ব্যাগ ব্যবহার: কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কাগজ দিয়ে দামি টি ব্যাগ তৈরি করে থাকে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে সামর্থ্য থাকলে পাতা দিয়ে তৈরি টি ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বড় পাতা দিয়ে টি ব্যাগের মতো তৈরি করা হয়। যার ভেতরে ছোট ছোট চা পাতা তাকে। এ জাতীয় প্রাকৃতিক টি ব্যাগ ব্যবহারে ক্ষতি হয় না। বরং আরও স্বস্থ্যের হাল ভালো থাকে।চা ফুটিয়ে পানে উপকার বেশি: টি ব্যাগ যতই ভালো হোক, প্রাচীন রীতি অনুযায়ী পানিতে ফুটিয়ে চা বানানোর পদ্ধতিই সেরা। চা পানে উপকার পেতে চাইলে গরম পানিতে চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে পানিতে উপস্থিত সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর সহজেই গ্রহণ করতে পারবে। এতে শরীরের সব ধরনের প্রদাহ কমবে এবং ছোট ছোট বিভিন্ন অসুখও দূরে থাকবে।দিনে কয় কাপ চা: একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৩-৪ কাপ চা পান করতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ১২ বছরের থেকে কম বয়সীদের চা পান করতে না দেয়াই ভালো। চা পানে তাদের ক্ষতি হতে পারে। উপকারের বিপরীতে ছোট ছোট অসুখ হতে পারে। আবার চিনি ও দুধ মেশানো যাবে না। এতে উপকারের থেকে বরং শরীরের ক্ষতিই বেশি হয়।এইচএ
    লিভার ভালো রাখতে খাবেন যেসব খাবার
    লিভার দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, আর দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ বটে। শরীরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য লিভারের গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, ভালো কোলেস্টেরলের কমে যাওয়া এবং খারাপ কোলেস্টেরলের বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শর্করা ও চর্বির সমস্যার কারণে লিভারে ফ্যাট জমে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লিভার নষ্ট হয় কিছু বদভ্যাসের কারণে। বিশেষ করে ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের কারণে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। অতিরিক্ত তেল–মশলাযুক্ত খাবার ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যার কারণ এই খাদ্যাভ্যাস। বিশ্বে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের লো ফ্যাট খাবার পরিত্যাগ করা প্রয়োজন। কারণ এতে ফ্যাট কম রাখলেও, থাকে চিনি। যা লিভারের জন্য আরও খারাপ।আসুন জেনে নিন, লিভার সুস্থ রাখার জন্য যা যা খাবেন১. কফি লিভারের জন্য ভালো পানীয়। কফি লিভারের ক্ষতিকারক এনজাইমের মাত্রা নষ্ট করে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা কমায়।২. প্রতিদিন যে কোনো এক রকমের বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে লিভার ভালো থাকবে।৩. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুন রাখুন। রসুনের এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে। তাই নিয়মিত রসুন খেলে লিভারের ফ্যাট কমে যাবে।৪. আপেল লিভারকে সুস্থ রাখে। আপেল প্রাকৃতিকভাবেই রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে।৫. লিভার ভালো রাখতে আঙুর, পেয়ারা ও টক জাতীয় ফল লেবু, আমড়া, জাম্বুরাও খেতে পারেন। এসবে আছে অ্যান্টি অক্সিডেনট। এর পাশাপাশি লেটুস পাতা, শসা, গাজর, কাঁচামরিচ, অলিভ তেল দিয়ে সালাদ খেতে পারেন।৬. পনির ও টক দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম। ডিম, কচি মুরগির গোস্ত, তৈলাক্ত মাছ ও সামুদ্রিক মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এসব খাবার লিভার সুস্থ রাখবে।  ৭. শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খান। সবুজ শাকসবজি লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। এ ছাড়া কপি জাতীয় সবজি যেমন ব্রকলি, বাধাকপি খেতে পারেন। এতে লিভার সুস্থ থাকবে।৮. ওটস অর্থাৎ ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। সয়াবিন ও সয়াজাত অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে ‘কনগ্লাইসেনিন’ নামক প্রোটিন থাকে, যা ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে।৯. লিভারের জন্য আখরোট ভালো। আখরোটে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা লিভারের সুস্থতায় কাজ করে।১০. বিটরুটের রস খান নিয়মিত। বিটরুটে বেটালাইন্স নামক এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারের জন্য উপকারী।এমআর
    শিশুদের যেসব খাবার থেকে দূরে রাখবেন
    জন্মের পর থেকে ৬ মাস নিজের মাতৃদুগ্ধ পান করে সদ্যজাতরা। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাড় করে নেয় শিশুর দেহ। এরপর ধীরে ধীরে নানা ধরনের খাবার দাঁতে কাটা শুরু করে শিশুরা। যদিও প্রথম দিকে আধা তরল খাবার দেওয়া হয় এই সময়ে।তবে এই সময় অন্তত ১ থেকে দেড় বছর শিশুদের খাওয়াদাওয়া সমন্ধে অত্যন্ত যত্নশীল হতে হয়। না হয় পেট খারাপ, হজমের সমস্যা থেকে আরো বড় কোনো রোগ হতেই পারে। তাই কী খাওয়াবেন আর কী খাওয়াবেন না, তা নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন হওয়া উচিত। এমন কিছু খাবার আছে, যা এমনিতে শরীরের জন্য ভালো হলেও ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য তা কিন্তু মোটেও ভালো নয়।তাই এই ৫ খাবার ভুলেও শিশুদের খাওয়াবেন না।গরুর দুধগরুর দুধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যোপযোগী। কিন্তু ১ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত নয়। শরীরের পুষ্টি জোগানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনে সমৃদ্ধ গরুর দুধ বাচ্চারা হজম করতে পারে না।ফলে বাচ্চাদের পেট ফুলতে পারে, পেটে ব্যথা ও অধিক গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।মধুএক বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো ঠিক নয়। সদ্যজাতদের অন্ত্র দুর্বল হয়। তাই মধু হজম করতে পারে না। শিশুদের মধু খাওয়ালে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটলিনম নামক ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।ফলে বাচ্চাদের বোটুলিসম হতে পারে। ফলে তাদের পেশী দুর্বল হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়।টক ফলভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক ফল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কিন্তু ভিটামিন সি ও টকফলের সিট্রিক এসিড বাচ্চাদের পেটে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে। ফলে বাচ্চাদের পেট খারাপ হয় ও ডায়েরিয়া হতে পারে।চকোলেটছোট শিশুদের ভুলেও চকোলেট দেবেন না। এতে পেট খারাপ তো হবেই সঙ্গে এতে থাকা ক্যাফিন এবং চিনিও বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর।গমগমে অ্যালার্জিন, গ্লুটেন থাকে। যা এক বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের জন্য হজম করা কঠিন। বরং এই সময়ে তাদের ভাত খাওয়াতে পারেন।এবি 
    মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু জ্বর হয়, একজন কতবার আক্রান্ত হতে পারেন?
    দেশে ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। গত আগস্টের চেয়ে চলতি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্টের শেষ দিক থেকে ক্রমেই হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই শত শত মানুষ ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে।অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরও ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা তার চরিত্র পরিবর্তন করছে। পরিবর্তন এসেছে ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গেও। মানুষের মনে তাই ডেঙ্গু জ্বর ও এডিশ মশা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা জিজ্ঞাসা।এসব জিজ্ঞাসার মধ্যে অন্যতম হলো- এডিস মশা কামড়ানোর কত দিন পর জ্বর আসে? একটা এডিস মশা কত দিন বাঁচে আর কত দিন এটি ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে? ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে কত দিন এই জীবাণু সক্রিয় থাকে?  একজন মানুষের কতবার ডেঙ্গু হয়?যুক্তরাজ্যভিত্তক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-এডিস মশা কামড়ানোর কতদিন পর জ্বর আসে?ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহনকারী মশার নাম এডিস এজিপ্টি। আমাদের দেশে এটি ডেঙ্গু মশা নামেই বেশি পরিচিত। এডিস মশা কামড়ানোর কারণেই ডেঙ্গু জ্বর হয়। যদিও এই মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জ্বর হয় না।এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মণ দেখা দিতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে। এই সময়কে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড।তিনি জানান, সাধারণত এডিস মশা কামড়ানোর পাঁচ থেকে সাত দিন মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর আসে। আর এই জ্বর থাকে পাঁচ থেকে ছয় দিন পর্যন্ত।আক্রান্ত রোগীর শরীরে কতদিন এই জীবাণু সক্রিয় থাকে?চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের চার ধরনের সেরোটাইপ পাওয়া যায়। এগুলো হলো: ডেন - ১, ডেন - ২, ডেন - ৩ এবং ডেন - ৪। একজন মানুষ তার সারাজীবনে এই চার ধরনে সর্বোচ্চ চারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। অর্থাৎ একবার একটি ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর তা সেরে গেলে, তার শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা সারা জীবনের জন্য কাজ করে।তার মানে হলো, একবার একটি ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি আর সেই ধরনে আক্রান্ত হবেন না। এরপর যদি তিনি পুনরায় আক্রান্ত হন, সেটি হবে ডেঙ্গুর ভিন্ন কোনো ধরন।অধ্যাপক গুলনাহার বলেন, “যতদিন রক্তে ভাইরাস থাকবে, ততদিন রোগীর শরীরে জ্বর থাকবে। কেবলমাত্র রক্ত জীবাণুমুক্ত হলেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায় একজন আক্রান্ত ব্যক্তির।”জ্বর সারলেই কি তিনি সুস্থ?অধ্যাপক ডা. গুলনাহার জানান, প্রথমবার ডেঙ্গু হলে অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। সামান্য শরীর ব্যথা ও একটু জ্বরের লক্ষ্মণ থাকলেও সাধারণত এ সময় সর্দিকাশিও থাকে না। একে ব্রেকবোন ফিভারও বলা হয়। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই এই জ্বর ভালো হয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে, অর্থাৎ অন্য আরেকটি সেরোটাইপে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে জটিলতা তৈরি হয়।কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেটার সঙ্গে নতুন ভাইরাসের অ্যান্টিজেনের এক ধরনের রিঅ্যাকশন হয়। যার ফলে হেমোরেজ বা প্লাটিলেট কমে যাওয়ার মতো জটিলতা তৈরি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে, ক্ষেত্রবিশেষে প্রথমে খুব জ্বর ওঠার পর তা কমে যায়। এসময় কিছুটা সুস্থ বোধ হলেও, এটিই আসলে সবচেয়ে জটিল পর্যায়। কেননা এ সময়েই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্তপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ সময় সুস্থ বোধ করায় শিশুরাও খেলাধুলা করতে চায়। তবে এটা একেবারেই করা যাবে না। এই সময় যেকোনো ধরনের পরিশ্রমের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সম্পূর্ণ বিশ্রাম করতে হবে।এডিস মশা কতদিন বাঁচে?এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বিবিসি বাংলাকে জানান, একটি পূর্ণ বয়স্ক এডিস মশা গড়ে ১৫-৪০ দিন বাঁচে। মূলত তাপমাত্রার ওপর এডিস মশার আয়ু নির্ভর করে। যেমন- শীতকালে এডিস মশা বেশি বাঁচে, আবার গরম কালে এডিস মশার বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার দ্রুত হয় বলে এসময়ে এডিস মশা কম বাঁচে।এডিস মশা কখন কামড়ায়?একসময় বলা হতো ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র দিনের বেলা কামড়ায়। কিন্তু সে ধারণা এখন আর কাজ করছে না। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশা তার চরিত্র বদলেছে। এখন দিনে বা রাতে সব বেলাতেই কামড়াতে পারে এডিস এজিপ্টি, বিশেষ করে রাতে যদি ঘর আলোকিত থাকে।এডিস মশা কতবার কামড়ায়?কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, ল্যাবে করা পরীক্ষায় দেখা গেছে, একটি এডিস মশা জীবদ্দশায় গড়ে চার থেকে ছয়বার কামড়ায়। কেবল মাত্র স্ত্রী মশাই কামড়ায়। অর্থাৎ একমাত্র স্ত্রী এডিস মশাই ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে। আর স্ত্রী এডিস মশাও কেবলমাত্র পেটে ডিম থাকা অবস্থাতে কামড়ায়।এডিস মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয়?এডিস মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয়- এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই প্রচলিত রয়েছে, যা সঠিক নয়। আরেকটি ভুল ধারণা হলো, আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর পর পরই সুস্থ একজনকে কামড়ালে তারও ডেঙ্গু জ্বর হবে।কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, এডিস মশার মাধ্যমে তখনই একজন ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হবেন, যখন মশাটি ভাইরাস ইনফেক্টেড অথবা ভাইরেমিক হবে। একটা এডিস মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে কামড়ে যখন ভাইরাস ছড়ানোর উপযোগী হয় তখন এটাকে বলা হয় ভাইরেমিক। আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর পর ডেঙ্গু মশাকে ভাইরাস বিস্তারের উপযোগী হতে একটি জীবনচক্র পূরণ করতে হয়। অর্থাৎ আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর মাধ্যমে মশার দেহে ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এরপর ডিম পারা এবং বংশবিস্তারের মাধ্যমে ওই মশা ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম হয়, অর্থাৎ ভাইরেমিক হয়। এরপর যতদিন মশাটি বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়াতে পারবে। এছাড়াও জীবাণু বহনকারী ওই মশা যত ডিম পারে, তার সবগুলোতেই ভাইরাস থেকে যায়। আর সেই ডিম যদি প্রকৃতিতে অনুকূল পরিবেশ পায় তবে সেখান থেকে জন্মানো মশার কামড়েও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রান্সওভারিয়াল ট্রান্সমিশন।ডেঙ্গু কি ছোঁয়াচে রোগ?ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ নয়, এটি কেবল মাত্র মশার মাধ্যমেই ছড়ায়। এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে, একই বিছানায় ঘুমালে কিংবা তার ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করলে, অন্য কারো এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এডিস মশা ব্যতীত স্পর্শ বা অন্য কোনোভাবে এই রোগ ছড়ায় না। এমনকি অন্য প্রজাতির মশার মাধ্যমেও ডেঙ্গু ছড়ায় না।
    চুল পড়া রোধে কাজ করবে আলুর রস
    নারী-পুরুষ সবাই চুলপড়া সমস্যায় ভোগেন। অতিরিক্ত চুল পড়া সত্যিই চিন্তার বিষয়। চুল পড়তে পড়তে অনেকের মাথায় টাক পড়ে যায়। ঘরোয়া উপায়েই চুল পড়া বন্ধ করা যায়। চুল কেরাটিন নামে একরকম প্রোটিন দিয়ে তৈরি ও ৯৭ শতাংশ প্রোটিন ও ৩ শতাংশ পানি রয়েছে। চুলের যেটুকু আমরা দেখি, সেটি মৃত কোষ। নানা কারণেই চুলে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার আগে চুল পড়ার কারণ জানতে হবে।   চুলের সাধারণ সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন আলুর রসের হেয়ার প্যাক। এতে চুল কমবে, চুল দ্রুত বাড়বে, পাশাপাশি ঝলমলে ও মজবুত হবে। আর চুল পড়া বন্ধ করতেও আলুর রস ভালো কাজ করে।আসুন জেনে নিই যেভাবে ব্যবহার করবেন আলুর রস-১. আলুর রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২. অর্ধেকটি আলু রস করে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।৩. একটি আলু ও একটি পেঁয়াজ রস করে একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৪. ৩টি আলু রস করে একটি ডিমের কুসুম ও ১ চা চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। ৪০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।এমআর
    সহজে তালের বড়া তৈরির রেসিপি
    তালের মিষ্টি স্বাদ ও গন্ধ ভালোবাসেন অনেকেই। মজার এই ফলটি দিয়ে তৈরি করা যায় অনেকরম পিঠা। তেমনই একটি পিঠা হলো তালের বড়া। মজাদার এই তালের পিঠা খেতে চাইলে এখনই সময়। বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে পাকা তাল। তাই দেরি না করে সহজেই তৈরি করে নিন তালের পিঠা।চলুন জেনে নেই তালের বড়া তৈরির রেসিপি—উপকরণ:তালের রস- ২ কাপনারিকেল কোড়ানো- ৪ টাবিল চামচচালের গুঁড়া- ৩ কাপবেকিং পাওডার- ১/২ চা চামচগুঁড়া দুধ- ৩ টেবিল চামচপানি- পরিমাণমতোলবণ- পরিমাণমতোচিনি- ৪ চা চামচতেল- ভাজার জন্যপ্রণালি:প্রথমে একটি পাত্রে তালের রস নিয়ে তাতে একে একে নারিকেল কোড়ানো, চালের গুঁড়া, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার, লবণ, চিনি, এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার মাখানো উপকরণগুলো আধাঘণ্টা রেখে দিতে হবে। একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে মাখানো তাল বড়ার আকারে দিয়ে ভেজে নিন। হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তালের বড়া।এবি 

    Loading…